![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের জীবনের আদর্শ হলো মহানবী (সাঃ) এবং উনার সাহাবীগণ । উনাদের জীবনীতে কি পাওয়া যায় যে ওনারা কেউ তাদের স্ত্রীদের পিটিয়েছেন ? মাঝ খান থেকে একটা কথা তুলে দেওয়া কি ধর্মকে হেয় করার উদ্দেশ্য নয় ?
ইসলাম হলো সার্বজনীন ও ব্যাপক ধর্ম । এখানে সব অপশনই রাখা হয় । যেমনঃ বহু-বিবাহ সমাজে প্রচলিত নয় কিন্তু ইসলামে তা অনুমোদন আছে তাই বলে কি সবাইকে বলা হয়েছে বহু-বিবাহ করতে ? অপশন না থাকলে এরকম পরিস্হিতি সৃষ্টি হলে কিভাবে সমাধান হবে ? যদিও তা সাধারণ নয় । তবে হাতে গোণা দু-একটা তো হতে পারে । তেমনি ভাবে স্ত্রীকে শাসন করাও সব সময়ের বিষয় নয় । কিন্তু সেরকম পরিস্হিতি কি হতে পারেনা ?
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলো বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভালোবাসার সম্পর্ক । দাম্পত্য জীবন কিভাবে পালন করতে হবে তা অবশ্যই আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) ওনার বইয়ে ভালো ভাবেই আলোচনা করেছেন । উনি নিশ্চয়ই বলেন নি যে, স্ত্রীকে সব সময় খালি মারধর করে শাসন করতে । যেটা উল্লেখ করেছেন সেটা অনেকটা ব্যাতিক্রমের মতো - সব কিছুর মধ্যেই ব্যাতিক্রম থাকে । এখন কোন বিষয় আলোচনা করতে গেলে আপনাকে সব কিছুই তুলে ধরা উচিত ।
এখন প্রশ্ন হলো - স্ত্রীকে কি কোন সময়-ই মারধর করা যাবেনা ? বা কোন ধরনের স্ত্রীদের করা যাবে ? কোন ধরনের পরিস্হিতিতে ? উত্তরটা কি একটু চিন্তা করলে পাওয়া যায় না ? মানুষের জীবন অনেক বড় এবং জটিল স্হান । এখানে অনেক ঘটনাই ঘটে । যেমনঃ আপনি যদি দেখেন যে আপনার স্ত্রী খারাপ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে, আপনি কি করবেন ? চেয়ে চেয়ে দেখবেন ? নাকি তাকে শাসন করবেন ? আপনার একটু শাসনে সে ফিরেও আসতে পারে । তাই বলে তাকে পিটিয়ে আধমরা তো করতে বলা হয়নি । শাসনের লিমিট আছে তাতে কাজ না হলে তাকে পরিত্যাগ করতে হবে । ইসলামে তা পরিস্কার বলা আছে ।
আরেকটা প্রশ্ন হলো- স্বামী অন্যায় করলে কি স্ত্রী তাকে পিটাবে ? না । সে অধিকার তার নেই । কারণ স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হলেও স্বামী হলো ঘরের কর্তা । স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্ব স্বামীর । স্বামী অন্যায় করলে সে তার থেকে দূরে থাকতে পারে এবং অন্যান্য মুরুব্বীদের নিকট অভিযোগ করতে পারে । এখন যদি তা না করে তার গায়ে হাত তুলে তাকে শাসন করতে যায় , এ সংসার যে টিকবে না তা মোটামুটি নিশ্চিত । কারণ তাহলে সংসারে মারামারি বেধে যাবে ।
যারা বলে যে, ধর্ম হলো কুসংস্কার । তারা নিজেরাই জানেনা যে কুসংস্কার কি জিনিষ । ইসলাম কোন কুসংস্কার নয় । ইসলাম হলো বর্তমানে একমাত্র সত্য ধর্ম । বাকীগুলো হলো বাতিল এবং বিকৃত । সত্যিকার ইসলাম পালন করলে মানুষ শান্তিতে থাকে । মানুষের কর্মকান্ডের কারণে , ধর্মের অপব্যবহারের কারণে স্বল্প জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ মানুষের দোষ না দেখে ধর্মের দোষ দেখে । তারা বিষয়টার গভীরে না গিয়ে ধর্মকে গালাগালি করে ।
এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারনা শয়তানের সহযোগীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয় মাত্র। প্রত্যেক মুসলমান ভাই ও বোনকে ইসলামকে ভালো ভাবে জানার ও তা পালন করার অনুরোধ করছি । ইসলামকে পালন না করলে ইসলামের কোন ক্ষতি হবে না । বরং ক্ষতি হবে যারা পালন করবেনা তাদের । আমাদের সমস্যা হলো - আমরা ইসলামকে জানি না ও জানার চেষ্টাও করিনা এবং আমাদের সামনে সত্যিকার ইসলাম পালন করার মানুষও এখন চোখে পড়েনা । তাই ইসলাম আমাদের থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা অমুসলিমদের প্রচারনাও বিভ্রান্ত হচ্ছি ।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫
একলা বগ বলেছেন: সমস্যা হইল বদ গন্ধযুক্ত নাস্তিক চুশিলরা জাইনা বুইঝাই ভন্ডামি করে, কাজেই সাধারন মুসলমানদের উচিৎ এই মর্কটগুলার ভন্ডামিতে বিভ্রান্ত না হওয়া।
২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬
েশখসাদী বলেছেন:
এবং ইসলামকে ভালোভাবে জেনে তা পালন করা এবং এসব বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার জবাব দেওয়া ।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০
সামুরাই হান বলেছেন: ভাল লাগলো । ধন্যবাদ ।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আরেকটা প্রশ্ন হলো- স্বামী অন্যায় করলে কি স্ত্রী তাকে পিটাবে ? না । সে অধিকার তার নেই । কারণ স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হলেও স্বামী হলো ঘরের কর্তা
পুরাই বস মার্কা কথা। কোন নারী এরম অধিকারের কথা বল্লে তারে ধইরা সেরম মাইর দেয়া দরকার, নাকি কন হুজুর?
৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৪৪
েশখসাদী বলেছেন:
মিষ্টার হাসান মাহবুব, আমাকে হুজুর বলার জন্য ধন্যবাদ । আমি মাদ্রাসা থেকে পাস করি নাই আর আমার লম্বা দাড়িও নাই । চাকুরী করি বিদেশে । এখন চিন্তা করে দেখেন আমাকে আপনার হুজুর বলা ঠিক হলো কিনা ?
ইসলামের কোথাও বলা হয় নাই স্ত্রী-কথা বল্লেই তাকে ধরে মাইর দিতে হবে । ইসলামের পারিবারিক জীবন হলো বন্ধুত্বপূর্ণ ও ব্যালেন্স । এখানে সবার অধিকার ও কর্তব্য পরিস্কার করে বলা আছে । না জেনে ঢিল ছুড়বেন না ।
মানুষ রোবট নয় আর দুনিয়া খুব ছোট নয় । ইসলাম হলো ব্যাপক ও সার্বজনীন ধর্ম । যে নিয়ম ইউরোপ-আমেরিকার শিক্ষিত মুসলমান যুগলের জন্য প্রযোজ্য হবে - ঠিক সেই রকম নিয়ম আফ্রিকা বা বাংলাদেশের অর্ধশিক্ষিত যুগলের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে । কিন্তু ইসলামী শরীয়তে সবই রাখা হয়েছে । অথচ আপনাদের মত অবুঝগণের তা চিন্তুা করার ক্ষমতা নাই বলে বেহুদা চিল্লা চিল্লি করেন ।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭
বলাক০৪ বলেছেন: Kill them all.
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪
স্বপ্নডানা বলেছেন: স্বামী অন্যায় করলে স্ত্রী তাকে মারতে পারবে না। যদি স্বামী বাজে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়? তখন স্ত্রী কি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে?
ফাউলের ফাউল কতগুলা!
৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৪৯
েশখসাদী বলেছেন:
না , তাকিয়ে দেখবেনা । তাকে বুঝাবে , না বুঝলে ছেড়ে চলে যাবে । তাকে মাইর দেওয়ার অধিকার দিলে - পরিণামে কার নাক-মুখ ভাঙবে ? স্বামীর না স্ত্রীর ?
সারা দুনিয়াতে যে ডমেষ্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে চিল্লা চিল্লি করা হয় তার মানে জানেন ? দুই জনের মারামারি করলে এইটা কি সংসার হবে ? কোন স্বামী সংসার করবে স্ত্রীর হাতে মাইর খেয়ে ?
কি বলেন , বুঝে বলছেন তো ?
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৯
নিউজ২৪ বলেছেন: ধন্যবাদ এতো সুন্দর পোষ্টের জন্য।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
বোকা বন্ধু বলেছেন: ভালো লাগল
হাসান মাহবুব সাহেব, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। একটা দেশে কয়টা প্রধান মন্ত্রী থাকে ?
এখন কোন মন্ত্রী অপরাধ করলে প্রধানমন্ত্রী তাদের মন্ত্রিত্ব বাতিল করতে পারেন। কিন্তু এটা কি বাস্তব সম্মত যে যে কোন মন্ত্রী ই প্রধান মন্ত্রীর পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করতে পারবে। না কখন ও যুক্তি সংগত না। প্রধান মন্ত্রী অপরাধ করলে তার শাস্তি ও হতে হবে। কিন্তু সেটা কোন মন্ত্রীর সাথে থাকলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে এতে কোন সন্দেহ নাই।
পরিবার কাঠামো থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই যার যার দায়িত্ব অর্পিত আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে নারীকে বেশি অধিকার দেওয়া হয়েছে , কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষ কে ।
৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৫৪
েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ । ওনারা ইসলামের বিরোধিতা করে কারণ করতে হবে এজন্য । এই বিরোধিতার মধ্যে কোন যুক্তি নাই - আছে অহেতুক বিদ্বেষ ।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অগ্রপথিক... বলেছেন: প্রথমে বুঝিনি কেন আপনি এই পোস্ট দিয়েছেন, এখন বুঝেছি কেন আপনি দিয়েছেন। ঐ লোক না জেনেই প্রচার শুরু করেছে, দেখুন বইটিতে কি লেখা আছে-
Punitive measures and their limits
There is a need at times for punishment and chastisement. And
according to the rule "necessity is confined to the demand of the
occasion", only that amount of chastisement is permitted which
will enable proper reformation. Such chastisement is referred to
as Ta'zeer in the Shariah. There are various forms of this:
(1) To reproach
(2) To scold
(3) To beat with the stick or hand
(4) To pull the ears
(5) To utter harsh words
(6) To physically detain
(7) To apply financial restraints etc.
Only that amount of punitive measures can be employed which
assist in improvement. It should not reach a stage of excessive
torment and agony. Such excess is, let alone a sin, also unnatural
and inhumane. The Fuqahaa (jurists) have explicitly prohibited
excessive beating. This includes beating in a manner which
leaves marks on the body. As for beating in a manner which
breaks the bones or splits the skin, it will obviously be more
prohibited. (Islaahe-Inqilaab volume 2 page 220)
Method of restraining oneself within the permitted
boundaries
Hadhrat Thanwi Rahmatullahi Alayhi was told that people tend
to commit excesses with the tongue and hand whilst applying
150
A GIFT TO THE HUSBAND AND WIFE
punitive measures upon their subordinates. However, they most
often regret their actions. Hadhrat was asked for some method
to ensure people remain within the limits.
Hadhrat replied- The best plan is, prior to you saying anything
or stretching your hand out, to ponder over what you are going
to say or what course of physical action you will assume.
Thereafter, make sure you stick to those limits. (Husnul-Azeez
page 351)
The best remedy is to ensure that you don't hit whilst angry.
Once the anger subsides, contemplate over the severity of the
offence and punish accordingly. (Dawaate-Abdiyat volume 19
page 1 1 9)
On occasions of extreme fury
If one becomes furious with someone else, he should move
away from in front of him or move the other person away.
Thereafter, drink some water. If the anger is much worse, one
should ponder over the fact that Allah Ta'ala has many rights
over us and we are also guilty of offenses. Just as He forgives
us, we should also forgive the faults of the other party. What
will our condition be if Allah Ta'ala has to take us to task for all
our sins? (Malhoozaat Jadeed Malfoozaat page 6)
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অগ্রপথিক... বলেছেন: বইটার ইংরেজী অনুবাদ নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারেন-
Click This Link
আর বাংলা অনুবাদ নিচের লিংক থেকে-
Click This Link
৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৫৬
েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে । পড়ে দেখব এবং বইয়ের উপর ভিত্তি করে লেখার ইচ্ছা আছে ।
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০০
নিষ্কর্মা বলেছেন:
আমার মতে বেশি বেশি কুর'আন পড়া উচিত আমাদের। কুর'আন আমাদের সবার বোঝার মত করেই লেখা, এবং অনুবাদ্গুলোও যার যার ভাষার জন্য যথেষ্ট সুন্দর করেই করা হয়েছে।
স্ত্রীদের ব্যাপারে সুরা নিসা পড়লে অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে।
১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০১
অগ্রপথিক... বলেছেন: বাংলা অনুবাদ অংশটাও দেখুন-
১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৪৮
সত্যান্বেষী বলেছেন: ধর্ম যে মানুষকে কত বড় অমানুষে পরিণত করতে পারে এই পোস্টটি পড়লে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে উঠে।
এক পক্ষ বিনা প্রতিবাদে চুপচাপ মার খেলে সংসারে অশান্তি লাগবে না, যুক্তির কথা। কিন্তু মাইর খাওয়াটা, অশান্তির ভয়ে চুপচাপ থাকাটা কেবল নারীকেই করতে হবে কেন? এইটা উল্টা হইলেও একি ফল হইবে না? যেমন ধরেন, স্ত্রী মারছে আর স্বামী বেচারা মার খেয়ে চুপ থাকছে। তাহলেও তো সংসারে অশান্তি হবে না। তাই না? তাহলে মহান (?) আল্লাহতায়ালা এই বিধান করেননি কেন? তিনি পুরুষ তথা মোহাম্মদ বলে?
আর এই যে বলল নিরাপত্তা দেয়, ইনকাম করে। এইটা তো আজকাল অনেক নারীই করছে। মোহাম্মদ তো আর জানতেন না (সর্বকাল দ্রষ্টা কেউ থাকলে তো তার জানার কথা) যে ১৫০০ বছর পর দাবার ছক উল্টেও যেতে পারে। জানতেন না যে নারীরা অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের কেবল সমানই নয় বরং ভালও ভাল করতে পারে, পুরুষের তুলনায় বেশী অর্থ উপার্জন করতে পারে। এখন তাহলে এই অর্থ উপার্জনকারী নারীর ক্ষেত্রে ইসলামের বিধানটা কি? তিনি কি তার বদমাশ স্বামীকে জুতা দিয়া পিটাইতে পারিবেন না?
৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:১১
েশখসাদী বলেছেন:
ইসলাম মহানবী (সাঃ) প্রবর্তিত কোন ধর্ম নয় । এটা নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নাই । কোন লেখাপড়া না জানা মানুষের পক্ষে কোন বই লেখা সম্ভব নয় । কুরআন যে ঐশ্বরিক বাণী এটা অনেক অমুসলিম জ্ঞানীরাও স্বীকার করে গেছেন । আজ পর্যন্তু কুরআনের কোন ভবিষ্যত বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয় নি ।
আর মহিলারা মহানবী (সাঃ) জীবনীতেও আয় উপার্জন করে গেছেন । মহিলারা আয় উপার্জন করলেও এটা সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব । এতে স্বামীর কোন অধিকার নেই যদি না স্ত্রী স্বেচ্ছায় না খরচ করে ।
আর স্ত্রী উপার্জন করলেই মার দেবার অধিকার পায় না । এটা অনেকটা মর্যাদা আর ব্যালেন্সের বিষয় । যেমন, সন্তান বাবার থেকে বেশী অধিকার করলেও সন্তান সন্তান-ই থাকে । টাকা দিয়ে সম্পর্ক এর ক্ষেত্র হয় না । এটা হয় কে কোন স্হানে আছে ।
মাথা কি খাটাইতে জানেন না নাকি ইসলামের বেলায় আসলে মাথা খাটাইতে চান না ? অন্ধের মতো বিরোধিতা এক জিনিষ আর যুক্তি তর্ক আরেক জিনিষ ।
১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:০৩
অগ্রপথিক... বলেছেন: নারীরা যেখানে সম্পদ উপার্যন করে, সেখানে কেন নারীরা এত নির্যাতিত হয়-
http://www.kcsdv.org/stats.html
দেখুন আধুনিক দেশগুলোতে নারী নির্যাতনের হার
৩০ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮
েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ । পশ্চিমা বিশ্বের কেন এ হাল ? তারা তো উন্নত সব দিক দিয়ে ?
১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১৭
রবিনহুড বলেছেন: মানব জীবনে বিয়ে দুটি দিক আছে,
১. আইনগত দিক
২. ধর্মীয় দিক।
এখন প্রশ্ন হল আপনি সেটা কোন দিক দিয়ে সবার আগে দেখবেন?
ধর্মীয় দিক থেকে আপনি ২জন সাক্ষী নিয়ে কবুল বললেই বিয়ে হয়ে যায়।
আর রাষ্টীয় আইনগত দিক থেকে বিয়ে রেজিষ্ট্রশন না করা পর্যন্ত সেটা বিয়ে বলে গন্য করা হয় না।
আপনি যদি বিয়ের ধর্মীয় দিক থেকে বিবেচনা করেন তা হলে এখান আপনার পূরো বিষয়টা ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে বিবেচনা করতে হবে।
ধর্মে বিয়ের সম্পকৃত আর কি কি অধিকারের কথা উল্লেখ করেছে।
ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিয়ের পর পরই বলা আছে, স্ত্রীর সমগ্র ভরন পোষনের দায়িত্ব স্বামীর। অর্থাত স্বামী সব সময় স্ত্রীর যাবতীয় খরচ বহন করতে বাধ্য। (সামর্থ অনুসারে)
আর রাষ্ট্রীয় আইনে স্বামী সব সময় স্ত্রীর ভরন পোষনে বাধ্য নয়।
তা হলে দেখা যাচ্ছে যে, যেখানে একজন পুরুষ যদি একজন নারীর যাবতীয় ভরন পোষনের দায় দায়ীত্বের জন্য দায় বন্ধ থাকে তা হলে স্বভাবতই তার কিছু অতিরিক্ত দায়বন্ধতা থেকে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় পুরুষ কি অতিরিক্ত দায়বব্ধতা পালনের জন্য কিছু বেশী অধিকার দাবী করতে পরেন না?
যার একজনের সারাজীবনের দেখভাল করার দায়বন্ধতা কাধে তুলে নেন তার অবস্থান স্বাভাবিক ভাবেই সেই ব্যক্তির উপরে অবস্থান থাকে। সেই অবস্থান থেকে সেই পুরুষ মানুষটি কি কিছু অধিকার পাওয়ার কথা না?
আমাদের সমাজের দিকে তাকালেই দেখতে পাই, সরকার যখন জনগনের দেখাশোনার ভার পায় তখন সেই সরকার জনগনের উপর কিছু অধিকার নিয়ে জনগনকে সেটা পালনে বাধ্য করতে পারেন। যেমন সরকার চাইলেই যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন, যে কাউকেই চাইলেই গৃহ বন্দি করতে পারেন....
আমাদের সামাজিক জীবনেও আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের গায়ে হাত তুলে থাকি, সেটাও বাবা -মা হিসাবে সন্তানদের ভরনপোষনের দায়বন্ধতা পালনের থেকে জন্মিয়ে থাকে....এটা সকলেই মেনে থাকেন।
সন্তানের উপর যদি বাবা-মায়ের হাত তোলার অধিকার থাকা কেনা উচিত সেটা কি একটু ব্যক্ষা করবেন?
তেমনি বারতি দায়বদ্বতা থেকেই একজন স্বামী তার স্ত্রীর উপর শাস্তি দেবার অধিকার জন্মানোটা আমি ব্যতিক্রম কিছু দেখি না।
===================================
তবে বর্তমানে যেটা "স্ত্রীর কে পেটানো" বলে উল্লেখ করা হয় সেটা সম্পর্কে আমার দ্বিমত আছে। গায়ে স্পর্শ করাটাই যদি "পেটানো" বলে অবহিত করা হয় সেটা নিয়ে আমার দ্বিমত আছে।
এই ব্যপারে একটা পোষ্ট আছে নিচে দেখতে পারেন।
Click This Link
১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩৫
রবিনহুড বলেছেন: "পেটানো" শব্দটার একটা উদ্দেশ্য পূর্ন ব্যবহার হয়ে থাকে।
আমাদের সমাজে আমি দেখেছি বাবা-মা ৪০ বছরের বয়সের ৩ সন্তানের বাপ হয়ে যাওয়া ছেলেকেও পারিবারিক কলহের কারনে চড় থাপ্পর মাতে দেখেছি। সেটা জায়েজ। তখন কেউ সেটার প্রতিবাদ করে না... বলে "বাপে ঠিক কামটাই করছে"....
অথচ পশ্চিমা আইনে ১৮ বছর হয়ে গেলে সেই সন্তানের উপর বাবা-মা হাত তুলতে পারে না।
এখন আসুন দেখি ইসলাম তথাকথিক "পেটানো" শব্দের ব্যক্ষা কি দিয়েছে।
ইসলামে বলা আছে স্ত্রীকে যদি প্রহার করতে হয় সেটা নিচের কয়েটি বিষয় মেনে করা অনুমোদন করে।
১. কখনই মুখে আঘাত করা যাবে না। (মুখে চড়, থাপ্পর ও বাদ পরে গেল... )
২. আঘাতের পরিমান এমন বেশী হবে না যাতে করে, আঘাতের কারনে গায়ে দাগ পরে। (আরে ভাই একটা চড় থাপ্পর দিলেও তো গায়ে দাগ পরে যায়। আর যদি মেয়ের গায়ের রং একটু ফর্শা হয় তা হলে তো কথাই নেই.... তা হলে মারুম ক্যামনে? )
৩. যদি কোন বেত্রাঘাত বা দন্ড ব্যবহার করতে হয়, তা হলে সেটার দৈঘ্য কখনই একটা মেসওয়াকের পরিমান থেকে বেশী লম্বা হতে পারবে না....( একটা মেসওয়াক ৬/৭ ইন্চি লম্বা হয়ে থাকে...এটাকে কি মাইরের জন্য বেত হিসাবে ব্যবহার করা যায়? )
উপরের ৩ টা শর্ত পালন করার পর যে ধরনের আঘাত তৌরি হয় সেটাকে কি "পেটানো" বলা যেতে পারে?
অন্তত যে "পেটানের " ফলে গায়ে কোন ধরনের দাগ তৌরি হয় না, সেটাকে কি "পেটানো"বলা যেতে পারে?
বলতে পরেন কোন ধরনের মাইরের ফলে গায়ে অন্তত লাল দাগও হয় না?
তবে সর্বপরি বলা আছে, স্ত্রীকে না "পিটিয়ে" তাকে বুঝানো সবচে ভাল।
৩০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:২৫
েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ২:৩৫
chai বলেছেন: আলোচনা ভাল হয়ছে।
১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৪৭
বহুব্রীহি বলেছেন: কাউকে শারীরিক ভাবে আঘাত ফৌজদারী অপরাধ।
আপনার ঈশ্বর ও তার প্রেরিত ধ্ররমপ্রচারকের কথা রাখতে গিয়ে আপনায় না আবার জেলের ভাত খেতে হয়
১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৪৯
সত্যান্বেষী বলেছেন: বহুব্রীহি বলেছেন: কাউকে শারীরিক ভাবে আঘাত ফৌজদারী অপরাধ।
আপনার ঈশ্বর ও তার প্রেরিত ধ্ররমপ্রচারকের কথা রাখতে গিয়ে আপনায় না আবার জেলের ভাত খেতে হয়
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
অগ্রপথিক... বলেছেন: ভালো লাগল