নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাকে মারধর করার ফলে কবরে ভয়াবহ শাস্তি ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৬

একদিন ।



দুই দুনিয়ার বাদশাহ হুজুরে আকরাম (সাঃ) জান্নাতুল বাকী তথা মদীনার কবরস্হানে গেলেন । অনেকগুলো কবর দেখলেন । খুশী হলেন । শেষমেশ একটা কবরের সামনে গেলেন । উনার চেহারা মুবারকে ঘাম দেখা দিল । তিনি অস্হির হয়ে পড়লেন। দুঃচিন্তায় চেহারা কালো হয়ে উঠল । হয়রান পেরেশান হয়ে গেলেন তিনি ।



একজন সাহাবী (রাঃ) উনার অবস্হা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি এত পেরেশান কেন ?



'হায়, হায়' ! তিনি অস্হির হয়ে বললেন, 'এই কবরের বাসিন্দার উপর ভয়ানক আযাব হচ্ছে । এমনই শাস্তি যা ভাষায় বলা যায় না । আহা ! এই ব্যক্তির কি উপায় ?'



বলে তিনি কবরে হাত মুবারক রেখে দোয়া করলেন । কিন্তু চেহারায় প্রশান্তি এলো না ।



তিনি বললেন, 'দোয়া কবুল হচ্ছে না । কোন রহস্যময় কারণে । সাংঘাতিক বড় পাপ করেছে সে ।'



হুজুর (সাঃ) এর উপর অস্হিরতা বেড়েই চললো । তিনি বললেন, ' আমার উম্মতের উপর এমন কঠিন শাস্তি হচ্ছে আর আমি বাড়ী গিয়ে ঘুমাবো ?'



তিনি একজন সাথীকে ডেকে বললেন, 'যাও, মদীনার বাজারে । সেখানে আওয়াজ দিয়ে ডাকো যাদের আত্নীয়ের কবর এখানে রয়েছে । '



তারা এলো ।



তাদেরকে নিজ নিজ আত্নীয়ের কবরে দাড়াতে বললেন ।



সবাই দাড়ালো ।



কিন্তু আশ্চর্য্য ! ওই কবরের পাশে কেউ দাড়ালো না ।



বেদনায় নীল হয়ে গেলেন হুজুর (সাঃ) । অনেক পরে এলো এক বুড়ি । ধীর পায়ে । লাঠিতে ভর দিয়ে । তিনি দাড়ালেন সেই কবরের পাশে ।



হুজুরের পাক (সাঃ) স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন । তারপর বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'এটা কার কবর ?'



'আমার ছেলের ।' বৃদ্ধা বললেন ।



'আপনার ছেলের কবরে ভয়ানক শাস্তি হচ্ছে ।'



'ইয়া রাসূলূল্লাহ ! এটা কি সত্যি ?'



'সত্যিই ' ।



'শুনে আমি খুব খূশী হলাম ।'



'আল্লাহ মাফ করুন ! আপনি এ কি বলছেন মা ?' সে আপনার সন্তান !'



শুনুন তাহলে, হে আল্লাহর রসূল ! এই বাচ্চা যখন আমার পেটে তখন তার বাবা মারা যায় । সে পৃথিবীর মুখ দেখল । তার কেউ ছিলো না । আমি নিদারুণ কষ্ট করে তাকে বড় করে তুললাম । তিল তিল করে । সে বিয়ে করল । স্ত্রীকে পেয়ে সে ভূলে গেল আমাকে । একদিন তার ভালোবাসার বউ কানে কানে কি যেন বলল । ছেলে রাগে অধীর হয়ে মারতে শুরু করল আমাকে । ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেলাম আমি । জ্ঞান হারালাম ।



হুশ ফিরলে আমি প্রার্থনা করলাম , প্রভুর দরবারে । দু'হাত তুলে । বললাম, 'হে আল্লাহ ! তাকে কবরে শাস্তি দাও । অনন্ত কাল ধরে । দুনিয়াতে দিওনা । চোখের সামনে ছেলের কষ্ট সহ্য করতে পারব না । '



'হে আল্লাহর রাসূল ! আমি এখন এজন্য খূশী যে আমার দোয়া কবূল হয়েছে । '



হুজুর (সাঃ) অত্যাচারিতা সরল প্রাণ এই বৃদ্ধার কথা শুনে চোখের পানি চেপে রাখতে পারলেন না । উনার মুক্তার মতো অশ্রু , গাল বেয়ে ফোটায় ফোটায় পড়তে লাগল ।



খানিকপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, 'হে বৃদ্ধা মা ! তুমি তোমার ছেলেকে ক্ষমা করো । সে ভয়াবহ শাস্তি পাচ্ছে । '



বৃদ্ধা বললেন, 'হে রাসূলূল্লাহ ! অন্য কিছু বলুন । ছেলেকে ক্ষমা করব না আমি ।'



নিরুপায় হয়ে হুজুর (সাঃ) আকাশের দিকে মূখ তূললেন । কাতর স্বরে বললেন, 'হে আল্লাহ ! এই বৃদ্ধাকে কবরের শাস্তি দেখাও ।'



চোখের পলকে ঘটনা ঘটল ।



বৃদ্ধার চোখ বিস্ফোরিত হলো । সে প্রাণ ফাটা চিৎকার করে বেহুশ হয়ে গেল ।



খানিক পর ।



জ্ঞান ফিরল বৃদ্ধার ।



থর থর করে কাপছেন তিনি । তীর খাওয়া কবুতরের মত ।



তিনি বললেন, 'ওগো খোদা ! কবরের আযাব কি এমন ভীষণ ! এমন ভয়ানক ! ছেলের পুরো শরীর থেকে চামড়া উঠিয়ে নেয়া হয়েছে । তাকে মুগুর পেটা করা হচ্ছে । হে আল্লাহর রাসূল ! আমি তাকে ক্ষমা করলাম । আপনি দোয়া করুন । সে যেন মুক্তি পায় । '



হুজুর (সাঃ) হাত উঠালেন ।



দোয়া শেষ । উনার চেহারা উজ্জ্বল ।



প্রকৃতিতে, আকাশে বাতাসে নেমে এল সুমহান সমাহিত পরিবেশ ।



গভীর প্রশান্তি - দয়াল নবীর চেহারা মুবারকে । চারদিকে শান্তির ছায়া ।



সূত্রঃ মৃত্যুর ওপারে । মাওলানা তারিক জামিল । অনুবাদ- শফিউল্লাহ কুরাইশী । পথ প্রকাশ । বাংলা বাজার । ঢাকা ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২০

গ্রামের মানুষ বলেছেন:
আল্লাহ! আমাদের আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন! আল্লাহ মাফ চাই, মাফ করে দেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১৩

েশখসাদী বলেছেন:
আল্লাহ! আমাদের আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন! আল্লাহ মাফ চাই, মাফ করে দেন।

আমিন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.