নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনু গল্প - বাবার পকেট মার ( সত্য কাহিনী অবলম্বনে )

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৩



মাসুদ আর প্রবাল দুই বন্ধু খুব মিল তাদের । দুই বন্ধু এক সাথে সিগারেট খায় তা ছারা আর একটা মিল আছে দু টাকা হলে দু ধরনের নেশা করে । মাসুদ কিশোর গঞ্জ শহরে মেথর কলোনি থেকে দেশি মদ আর প্রবাল কিশোর গঞ্জ শহরের হয়বত নগরের
মনার বাড়ি গাঁজা খাবে । কয়দিন ধরে প্রবাল টাকার অভাবে গাঁজা কিনতে পারছে না। তাই মাসুদের কাছ থেকে পাঁচ দশ টাকা ধার নিয়ে চলতে হচ্ছে ।
সকাল নয় টায় মাসুদ হয়বত মোরে এসে দেখে প্রবাল দাদ বের করে হাসছে ।
--কি রে প্রবাল এত খুশি কেন ?
-- আরে বলিস আজ মনটা ভাল । চল নাস্তা করি ।
বেশ করে গরম পারাটা আর মুরগীর মাংস দিয়ে নাস্তা সেরে নীল । প্রবাল মাসুদ কে একশত টাকা দিয়ে বলল রাখ সন্ধ্যায় একটু পানি খাইস । মাসুদের মনটা ভাল হয়ে গেল টাকা পেয়ে । দুপুর বার টার সময় পঞ্চাশ টাকার গাঁজা কিনে আনলো মনার বাড়ি থেকে । তার পড় ফিসারির ভিতরে গিয়ে খুব সুন্দর করে গাঁজা বানাতে লাগলো । প্রবাল গাজার বিচি পরিষ্কার করার জন্ত আবার একটা হাতের নখ বড় রেখছে । দুপুরের খুব রোদ ফিসারির পুকুর পারে কাঁঠাল গাছ তলে বসে মনের সুখে গাঁজা টানতে লাগলো । মাসুদ আবার গাঁজা খায় না । তিন নাম্ভার গাঁজার পোটলা শেষ করছে প্রবাল । গাঁজার নেশা প্রবালের মাথায় উঠলে , প্রবাল তখন মিথ্যা কথা বলা ভুলে যায় । মাসুদ তখন তার সব পেটের কথা বের করে ফেলে । আবার মাসুদ যখন বাংলা মদ খায় প্রবাল তার পেটের কথা সব বের করে । এমন সময় একটা কালো কুকুর দেখে প্রবাল বলছে দেখ দুস্ত একটা হলুদ শাড়ি পরে সুন্দর মেয়ে আসতাছে । মাসুদ বুঝতে পারল প্রবালের নেশা মাথায় উঠেছে ।
মাসুদ বলল কিরে বন্ধু আজ এত টাকা কোথায় পাইলি । প্রবাল একটা বড় হাসি দিয়ে- সকালে বাবার ঘরে ডুকে দেখি , বাবা ঘুম । আলমারি খোলা। মা বাথরুমে । বড় ভাবি খাটের নিচে ঝাড় দিচ্ছে । এক মিনিটে বাবার মানি ব্যাগ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে চুপ করে মোরে চলে আসি । কেউ জানতে পারে নাই বন্ধু !
-- আমাকে তো একশ টাকা দিলি বাকি টাকা কই ।
-- আরে পাঁচশ আমার কাছে সকাল থেকে খরচ করছি । বাকি পাঁচশ আমাদের রান্না ঘরে একটা বিড়ির পলিথিনের ভিতরে ভরে পুরান চকীর পায়ার নিচে রেখে দিছি কেউ জানবে না । ঐ পাঁচশ আগামী সপ্তাহে খরচ করব । দুপুর দুইটা প্রবাল গাছ তলায় ঘুম ।
মাসুদ বাড়ির দিকে আসার পথে প্রবালদের বাড়িতে খুব চেচামেচি শুনে , বাড়ির ভিতরে ডুকে । অহ মাসুদ তো অবাক প্রবালের বড় ভাবিকে ওর স্বামী অনেক মেরেছে । প্রবালের মা চোর হিসাবে বউ কে- বকেই চলছে । বড় ভাবি চোখ বন্ধ করে কাঁদছে । বেচারার দিকে তাকানো যায় না। শ্বশুরের মানি ব্যাগ থেকে নাকি সকালে এক হাজার টাকা চুরি করেছে ।
মাসুদ তখন সব ঘটনা বলে দিল প্রবালের মা কে । ঠিক টাকা পাওয়া গেল চকির পায়ার নিচে ।
তার পর প্রবাল কে খুঁজে নিয়ে গেল ওর বড় ভাই । প্রবাল কে প্রবালের মা ইচ্ছা মত জুতা পিটা করল ।
সন্ধ্যা সাতটা হয়বত নগর মোরে আকরামের চায়ের দোকানে বসে প্রবাল চা খাচ্ছে এমন সময় মাসুদ এলো ।
কিরে বন্ধু খুব মাইর নাকি খাইসস ।
-- প্রবাল একটু মুস্কি হাসি দিয়ে বন্ধু ধরা খাইছি । মা জানি কেমনে জাইনা গেছে
শ্যালার টাকা কই রাখছি সেওটা বের করে ফেলছে । আসলে আমার মায়ের সাথে
জীন আছে ।
মাসুদ বলল হ ঠিক এই জন্যই তোদেড় বাড়ি যায় না।প্রবাল চল মোরগ মল ।
-- না বন্ধু তুমি যাও । আমি ফালতু মেথর পট্রির বাংলা মদ খাই না ।
মাসুদ পূর্ণিমার ঘরে কেবল ছোট দুই গ্লাস মদ শেষ করছে অমনি মাসুদের
মা সখিনা বেগম মাসুদের চুল ধরে মেথর পট্রি থেকে থাপড়াতে থাপড়াতে বের করে
রিক্সায় তুলে ।
প্রবাল দুর থেকে দাদ বের করে মনের সুখে হাসতে থাকে ।শ্যালা আমি একা মাইর খামু কেন তুই ও খা ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.