নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ভাল আছি তুমি ভাল থেকো। --------------------------------------------

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬


আসিফ বিদেশে আসার পর তাঁর স্ত্রীর জন্য মন খুব লাগতে লাগলো । বিয়ে করার ছয় মাস পর তাঁকে দুবাই আসতে হল । সারা দিন কাজ শেষ করে স্ত্রীর সাথে রাতে অনেক কথা বলে । বউ বাবা মায়ের সাথে থাকে । সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আসিফ । দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেল । দেশে আসার দিন বউয়ের জন্য একটা স্বর্ণের হার নিয়ে এলো । ভালই কাটছে আসিফ আর সুমনার সংসার । যদিও সুমনার চাহিদা একটু বেশি তবে আসিফ মানিয়ে নিয়েছে । তিন মাস ছুটি শেষ আবার দুবাই । সুমনার বাহিরে যাওয়া নিয়ে মার্কেটিং শাশুড়ির বেশি পছন্দ না। দিন দিন তাই শাশুড়ির সাথে মন মানিল্য হচ্ছে । স্বামী মাঝে মাঝে ফোনে রাগ করে । আসিফ আর সুমানার ভুল বুঝাবুঝি । আসিফ কার কথা বিশ্বাস করবে বুঝতে পারে না। নানা মানুষের বউদের কথা শুনে সুমনাকে ভুল বুঝতে থাকে । সুমনার খালাত বোনের বিয়েতে যায় সুমনা সেখানে অনেক কাজিনদের সাথে ছবি তুলে । সুমনার প্রিয় কাজিন যে ইটালি থাকে বউ সহ । অনেক দিন পরে আসায় তাঁর সাথে কিছু ছবি খুব হাসি খুশি ভাবে তুলে । সেই হাসি খুশি ছবি গুলো সুমনার শাশুড়ি আবার ছেলের কাছে পাঠায় । স্বামী স্ত্রী মাঝে ভুল বুঝাবুঝি শুরু হয়। স্বামীর ধরনা তাঁর মায়ের কথা ঠিক । সুমনার ব্যাংকে আসিফ টাকা পাঠাত । সেই খানে জামা আছে প্রায় পনের লক্ষ টাকা । আসিফ বলল হটাৎ সেই টাকা গুলো তাঁর লাগবে । কিন্তু সুমনা বলল তাঁর পক্ষে এখন সেই টাকা দেয়া সম্ভব না । যাই হোক টাকার জন্য সেই ভুল বুঝা বুঝি চরম পর্যায়ে চলে গেল । কেউ কারো সাথে কথা বলে না। আসিফ জানিয়ে দিল সে আর সুমনা কে নিয়ে সংসার করতে চায় না। সুমনাও চলে আসলো বাপের বাড়ি । সুমনার পরিবার মেয়ে কে খুব ভুল বুঝতে লাগলো । সুমনার মা জানতে পারে যে সুমনার কাছে প্রায় পনের লক্ষ টাকা আছে । অনেক বার মেয়ের কাছে টাকা কোথায় আছে জানতে চায় । সুমনা কিছুই বলে না। এর মধ্য সুমনা একদিন হাতে সত্যি ডিভোর্স লেটার পায় । সুমনা ভাবতে পারে না আসিফ তাঁকে তালাক দিতে পারে । সুমনা ভেবেছিল দেশে আসলে হয়ত সুব ভুল বুঝা বুঝির অবসান হবে । কিন্তু আসিফ একবার তাঁর কোন খবর নিল না। সুমনার প্রাইমারি বিদ্যালয়ে একটা সরকারি চাকুরি হয় । চাকুরি নিয়ে চলে আসে একদম গ্রামে সুমনা চলে যায় তিন বছর । আসিফের জন্য মনটা প্রায় কাঁদে । মানুষ চাইলে সব কিছু ভুলতে পারে না। সুমনাও আসিফ কে ভুলার চেষ্টা করে ভুলতে পারে না ।
আসিফ দেশে ফেরে সুমনা কে ডিভোর্স দিয়ে তিন দিন পরেই চলে যায় দুই বছর পরে এসে তাঁর এক খালাত বোন কে বিয়ে করে । আসিফের এক মেয়ে এখন এক বছর । কুয়েতে যুদ্ধ আসিফ দেশে ফিরল । টাকা পায়সা তেমন কিছুই আর আনতে পারলো না। আসিফের বর্তমান বউয়ের নাম মিতা । কিন্তু আসিফ মাঝে মাঝে ভুল করে সুমনা বলে ডাক দেয় আর তাতে শুরু হয় ঝগড়া । আসিফ সকালে ঘুম থেকে উঠতেই একটা চিঠি পেল বসুন্ধরা হাউজিং থেকে সি ব্লকে তাঁর একটা জমি কিনা । প্রথমে ভাবল ভুল চিঠি। পরে যেয়ে দেখে না সত্যি তাঁর নামে একটা জমি কিনা ।
দলিল দেখে অবাক । আসিফ দেখল জমিটা সুমনা আসিফের নামে কিনেছে ।
আসিফ দেখল তাঁর মায়ের সব কথায় ভুল ছিল । আসিফ কি করবে বুঝতে পারে না । সময় গড়িয়ে অনেক দিন । সুমনার সাথে প্রায় ৭ বছর পর আসিফের দেখা গাজিপুর এক বিয়েতে । আসিফ অবাক সেই আগের মত নিরব শান্ত মেয়ে । আসিফের চোখে পানি ঝর ঝর করে পড়তে থাকে । সুমনা চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে । আসিফ ভুল আমার অ ছিল । সব কিছু তোমাকে জানানো উচিৎ ছিল ।
সুমনা বিদায় নেয় আসিফের কাছ থেকে । আসিফ বলে তোমার নাম্বার টা পেতে পারি । সুমনা বলে আমি আর পিছন ফিরে দেখতে চাই না আসিফ । আমি ভাল আছি তুমি ভাল থেক ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.