নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেরাম খেলা..................... একটা সত্য অনু গল্

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১



ইমরান কেরাম খেলায় তখন ছিল নাম্বার ওয়ান । খুব চমৎকার কেরাম খেলত । যারা তাঁকে চিনে কেউ তার সাথে বাজী লেগে কেরাম খেলত না। আমাদের এক কাজিনের বিয়ে করেছে ময়মনসিংহে । বিয়ের কিছুদিন পর আমাদের সব কাজিন দের ভাইয়ার শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত । ইমরান দেশে থাকায় তারও যাওয়া হল সেই বাড়িতে । দুপুরে খাওয়া শেষ হলে সবাই খুব আড্ডায় ব্যস্ত । সেই বাড়িতে কেরাম থাকায় খুব শুরু হল কেরাম খেলা ।আমি ইমরান অন্য সব কাজিনরা দাড়িয়ে খেলা
দেখতে লাগলাম । ঐ বাড়িতে ইতি আপু খুব ভাল খেলে । বাজী হচ্ছে খেলাতে । ইতি আপু তিন গেইম জিতে গেল ।আমাদের দল তখন তিন গেইম হেরে গেল । ইতি আপু বলল কি এর কেউ বাজী লেগে খেলবেন তিন গেইমে তিন শ টাকা লাভ । তখন ইমরান বলল - বেয়াইন ৫০০ টাকা বাজী লাগলে খেলব । ইতি আপু রাজি হল । শুরু হল কেরাম খেলা কিন্তু অবাক হলাম ইমরান খুব খারাপ খেলছে এবং হেরে গেল । কোন পয়েন্ট ছারাই নীলে গেইম খেল ইমরান। ইতি আপু খুব খুশি আমরা সব চুপ হয়ে গেলাম । ইতি আপু বলল - বেয়াই কেরাম খুব নিশানার খেলা বুঝলেন । কি বিয়াই আবার হোক বাজী । ইমরান বলল বেয়াইন পাঁচ হাজার টাকা বাজী হলে খেলব । বেয়াইন রাজি হল টাকা জমা হল । খেলা শুরু- ইমরানের বেয়াইন কে খুব সহজে হাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা পকেটে নিল । বেয়াইন আবার বাজী ধরল তার হাতের একটা আংটি । আবার হারল । তখন ইমরান বলল বেয়াইন বার টা গেইম আপনার সাথে আমি খেলব যদি একটা গেইমে আপনি জিতেন তাহালে আপনার আংটি আর টাকা ফেরত পাবেন । রাত ১১ টায় খেলা শেষ হল । ইতি আপু সব কয়টা গেইম হেরে গেল । সেই দিন সবাই কি মজা তখন পাঁচ হাজার টাকা । কিন্তু সেই স্বর্ণের আংটি টা ইতি আপু নেবে না । যাই হোক তিন বছর পর ইতি আপুর বিয়েতে সেই স্বর্ণের আংটি টা ইতি আপুর স্বামীকে ইমরান পড়িয়ে দেয় । ইতি এবং ইমরানের মাঝে খুব সুন্দর একটা বন্ধুত্ব হয় । একে অন্য কে দুস্ত বলে ডাকে । সব চেয়ে কষ্টের বিষয় পরে জানতে পারি ইতি আপু আর কোন দিন কেরাম খেলে নাই ।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

rifat321 বলেছেন: হা হা হা এটা তো ময়মনসিংহ কাঠগলা এলাকার গল্প। নাম গুলো সেম

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: " সব চেয়ে কষ্টের বিষয় পরে জানতে পারি ইতি আপু আর কোন দিন কেরাম খেলে নাই"! অাহারে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.