নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্য গল্প- মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ ( দুর্বল মনের মানুষরা পড়বেন না )

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৬



মোবাইল ফোনটা একটা ম্যাসেজ এলো তখন ভোর পাঁচ টা কিন্তু ম্যাসেজ রিং টুন কেন জানি একটু ভৌতিক মনে হল । লাইট টা জ্বালিয়ে একটু পানি খেয়ে নিল । রাতে রিং টুন অফ করে ঘুমায় ।
ম্যাসেজ টা অনেক সুন্দর - হাই পিউ । তুমি রাতে মেরুন গাউন পড়ে ঘুমাও । চশমা টা খুলে ঘুমাবে । নাইট ড্রেস আর হালকা গোলাপি লিপজেল তোমার কে দারুন লাগে ।
অফিসে যাওয়ার সময় ছাতা নিও বৃষ্টি হবে । গুড ডে ।
মুখ টা একটু বাকা করে বলল- কত রকমের পাগল আছে জানি না। শীতের দিনে বাংলাদেশে বৃষ্টি এটা একটা পাগল ছাড়া কিছুই না।
আর ঘুমাতে পারল না পিউমনি । একটু কফি বানয়ে খেয়ে নিল । বনানীর লেকে লাইট আলো কুয়াশার জন্য দেখা যায় না। যে ম্যাসেজ দিল মনে মনে আবার একটু বকা দিল । যত সব পাগল ছাগল ।দাত ব্রাশ শেষ করে । হালকা একটু ব্যায়াম করে নিল । খুব সচেতন মেয়ে । একটা ভাল চাকুরি করে । নিজের টাকায় ছোট একটা ফ্ল্যাট নিয়েছে বনানী । মা ভাইদের সাথে লন্ডন থাকে । বড় বোনের সাথে একটা বিষয় নিয়ে মনমালিন্য । রুটিন বাধা জিবন । সকাল ৭ টা আবহাওয়া খুবেই খারাপ । গভীর সমুদ্রে নাকি নিম্ন চাপ । খবরে দেখাচ্ছে । দরজা জানালা সব বন্ধ । শীতের নীল সুয়েটার পড়ে অফিসের জন্য বের হল । উত্তরা অফিস। গাড়ি থেকে নামতেই বৃষ্টি আর বৃষ্টি । এমন জায়গায় নামলো
যে ভেজা ছাড়া উপায় নাই। অফিস থেকে কোন মতে শরীর মুছে ছুটি নিয়ে বাসায় ।
বেলা এগারটা আবার একটা ম্যাসেজ অবাক হল নাম্বারটা টা দেখে ! +১০১ ।
এবার লিখা তোমার ঘরটা অনেক সুন্দর আমার ভাল লেগেছে তবে শীত কাল বলে কি টবে মানি দিবে না।
পিউ এবার আর একটু অবাক হল । ঠিক তো টবে পানি দেয়া হয় না অনেক দিন । বারান্দায় গেল । টবে পানি দিল । বৃষ্টি হল কিন্তু টব পর্যন্ত পানি আসে না। যে অল্প একটু বৃষ্টি । পিউ তার গোল্ডেন কালার আই ফোনটা দেখছে । ভাবছে কেউ হয়ত রহস্য করছে । কিন্তু কে করবে তার সাথে। চিন্তা করে পায় না । পিউ ভাবতে লাগলো । ভালই তো । দেখি আর কি কি বলে আই ম্যাসেজ ।
সাথে সাথে রিপ্লে চলে এলো । হ্যালো পিউ আমি তোমাকে অনুসরণ করি ২৪ ঘণ্টা । পিউ এবার হেসে বলল দারুন মজা তো - তা কে আপনি জানতে পারি । ম্যাসেজ এলো আমি রহস্য ।পিউ বলল আপনি রহস্য ! এবার আবার ম্যসেজ এলো - তোমার কি বিশ্বাস হয় না। সেল ফোনের দিকে চেয়ে পিউ পিউ একটু ভয় পেল । এর মধ্য ফোন বাজছে ।
---হ্যালো কে
--- আরে পিউ নাম ভাসেনাই ।
--- অহ! সরি কেয়ে ।
--- কি হল তকে এমন শুনাচ্ছে কেন? বৃষ্টি তে গলা বসেছে ।
--- আরে না কেয়া । আমার মনে হয় কিছু সমস্যা হচ্ছে ।
--- কি রকম ।
--- আর বলিস না। ফোনে আবল তাবল ম্যাসেজ আসে ।
--- এত সুন্দর মেয়ে তুই । একটা ছ্যাকা খেয়ে আর ছেলে দের বিশ্বাস করিস না। এটা ঠিক না। একজন
মানুষ খারাপ হতেই পারে তাই বলে জগতের সবাই না।
---- আমি ভাই প্রেম করব না । বুঝলে ।
--- কেন করবি না । তুই কি ম্যাদার তেরেসা হবি পিউ ।
---- তাহালে কি তোর মত হতে বলছিস ?
--- আমি কেমন ?
--- তুই তো তসলিমার নাছরিনের নানী ।
--- কি ভাবে ।
---- এই যে তুই বস কে আর বসের ভাই কে এক সাথে দিল্লির লাড্ডু দেখাচ্ছিস ।
---- শুন লাড্ডু দেখুক কিন্তু দিল্লির লাড্ডু অনেক দামী । শুন পিউ এরা হল সব রাম ছাগল । ঘরে
বউ আছে তার পড় ও বলে চলুন না কেয়া একটু কফি খেতে । ভালই লাগে যখন আমার হাত ধরে
বলে কেয়া তোমাকে অনেক মিস করি আবার বাসায় গিয়ে বউ কে বলে জান তুমি আছো বলেই
জিবন কত সুন্দর ।।
---- শুন কেয়া । তাই তো তুই তসলিমার নানী । নানীর চরিত্র তসলিমার চেয়ে একটু ভাল ছিল ।
---- পিউ কাল তো অফিস বন্ধ । বড় দিনের । কি করবি ।
--- তোর তো অনেক ছেলে বন্ধু একটা আমাকে হাওলাদ ডে হাবাগোবা দেখে ।
---- হাবা গোবা কেন ।
---- বদল টাইমের ছেলে গুলো মেয়েদের জন্য যে কোন রিক্স নিতে পারে । আর চালাক গুলো চামে কেটে
পড়ে ।।
---- পিউ তোর তো ভালই জ্ঞান ।
---- হাবে না তোর মতো একটা বান্ধবি আছে । যে দশটা প্রেম করে । একদিন দেখবি তুই প্রেমের কি
জ্বালা
---- পিউ আমি প্রেম করি না । প্রেমের ভাব ধরি । যার যত ভাব তার তত মুল্য ।
---- কেয়া তুই তোর ভাব নিয়ে থাক । আমি ফোন রাখি । একটু পিংক সিটিতে যাব ।
---- কেন রে ? কে আসবে না কি ?
---- ওহ আসবে জাতীয় চাচা । আমি তো দেখতে বিদিশার মতো ।
---- পিউ তুই যা বলিস না। রাখি কাল ফোন দিস ।
পিউ ফোনটা রেখে রান্নার কি কি আছে দেখছে । একটা ম্যাসেজ এলো হ্যালো পিউ আমি তোমাকে
দেখছি । ম্যাসেজটা পড়ে একটু হেসে বলল - মন ভড়ে দেখ । দেখতে আর পয়সা লাগেনা । আমাকে
দেখছ ! তাহালে বল দেখি আমি কি করছি । ম্যাসেজ এলো । পিউ তোমার পড়নে একটা ফতুয়া কমলা সাদা কালার । টবে টাইস টা সাদা । এখন তুমি রান্না ঘরে ।
পিউ ভয় পেল । রান্না ঘর থেকে তাকে কেউ দেখা সম্ভব না। তবে কি তার ঘরে কোন গোপন ক্যামেরা কেউ বসালও । না আমি মনে মনে যাই বলি সে তাই উত্তর দেয় । আবার ফোন হাতে নিয়ে
বলল - আচ্ছা মিঃ রহস্য আমি আজ রাতে কি করব । সাথে সাথে উত্তর এলো তুমিও আজ রহস্য হয়ে
আমার কাছে ফিরে আসবে । পিউ বলল ঠিক আছে ।আমার জন্য অপেক্ষা কর ।
ম্যাসেজ এলো তাই তো করছি । পিউ কোথায় জানতে পারি । ম্যাসেজ এলো গুলসান এক এ । শুটিং ক্লাবের ঠিক সামনে ।।
পিউ এবার ফোন করল এবার কেয়া কে -
---------হ্যালো কেয়া
------ কি রে পিউ বল ।
---- শুন আমি হয়ত পাগল না হয় ছাগল । আমার সেল ফোনে কিছু ভৌতিক ম্যাসেজ আসে ।
আমি কি করি ? কি খাই ? কি পরি ? সব বলে দেয় । রাতে একটু ভয় ভয় লাগছে ।
তুই চলে আয় একসাথে থাকব ।
----- আচ্ছা ২০ মিনিট লাগবে । থাক । একসাথে পিংক সিটি তে যাব ।
----- ওকে কেয়া ।
ফোন শেষ করতেই ম্যাসেজ । হ্যালো পিউ । তোমার একটা সুন্দর নাম আছে । আমি কি সেই নামে
ডাকব তোমায় । পিউ রেডি হতে হতে বলল - ডাকো । আবার ম্যাসেজ - আমার কাছে আসবে শীতের রাতে তবে একটা শাড়ি পড়লে ভাল হতো । পিউ মনে মনে একটা শাড়ি পড়ার চিন্তা করছিল । এবার পিউ ভাবছে এটা তার মনের খেয়ালের উত্তর । তার বেখ্যায়ালি মন এ উত্তর দিচ্ছে । এবার সে তার প্রিয় শাড়ি পড়লো । হাতে কিছু কাঁচের চুরি । কপালে একটা ছোট কালো টিপ । আবার ম্যাসেজ - তোমাকে আজ বসন্তের রানির মতো লাগছে । এবার স্বর্গে এক সাথে বসন্তে নীল আকাশের মেঘের সাথে তোমাকে দেখাব স্বর্গের একটা মহল । কি বল ।
একটু একটু ভয় নিয়ে বলল পিউ - অপেক্ষা কর আবার পালিও না । আমি কিন্তু পালানো মানুষ পছন্দ করি না। পিউ ধরে নিয়েছে সে যা দেখছে । সব ভুল । এটা তার ভাবনা । কেয়া চলে এসেছে
পিউ তার ম্যাসেজ দেখাল কেয়া কে । একটা রিক্সা নিয়ে গুলসান পিংক সিটির দিকে যাচ্ছে । কেয়া
বলে কি রে কোন ম্যাসেজ নেই । তুই আমাকে মাঝে মাঝে বোকা বানাস । এটা ঠিক না। পিউ বলল -
আমার মনে হয়েছে যে এটা আমার ভাবনা । না হয় ম্যাসেজ গুলি গেল কই । কিন্তু কেয়া সকালের
বৃষ্টি । টবের পানি , গোলাপি লিপজেল , আমার শাড়ি পড়া , সব জানি কেমন লাগছে ।
কেয়া বলল - একা একা থাকলে এমন হয় । এটা একধরনের মানসিক সমস্যা ঘুমালে ঠিক হয়ে যাবে । তাদের দু জনের মারকেতিং শেষ । ধান সিঁড়ি নান রুটি কাবাব বেশ মজা করে খেল । কেয়ার একটা ফোন এলো । তার এক বন্ধু এসেছে গুলসান ফুয়াং ক্লাবে । কেয়া বলল চল পিউ তকে একটা হাবলোর সাথে পরিচয় করাই । পিউ বলল - তুই তো জানিস ছেলে মানুষ আমার একদম পছন্দ না ।
ওদের প্রেম মানেই হাত ধরা কিস করা । আমার নোংরামি ভা লাগে না। কেয়া বলল- আচ্ছা চল - ৫ মিনিটের মধ্য চলে আসবো । দু জন মিলে একটা রিক্সা নিল । শুটিং ক্লাবের কাছে আসার একটু
আগে একটা ম্যাসেজ আসলো । পিউ দেখ এবার তো বিশ্বাস হল+১০১ নাম্ভার । কেয়া দেখল
সত্যি ম্যাসেজ । পড়তে লাগলো পিউ - হ্যালো জবা । পিউ এর শরীরের সব কটা লোম কুপ কাঁটা দিয়ে উঠল । এই নামে কেবল তাকে আকাশ ডাকতো । যে তার ভালবাসা । যে কিছু না বলে হারিয়ে গেছে । কই সুন্দর করে লিখা জবা আমি স্বর্গের পালকি নিয়ে দাড়িয়ে তোমাকে নিতে এসেছি ।
ম্যাসেজটা পড়া শেষ । একটা গাড়ি খুব জুড়ে ধাক্কা দিল রিক্সা টা কে । কেয়া দূরে ছিতকে পড়লো । পিউ এর উপর দিয়ে চলে গেল গাড়িটা খুব দূরত । মানুষের ভীর লেগে গেল । কেয়ার কিছুই হয় নাই । কেয়া পিউ এর সেল ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে কোন ম্যাসেজ নাই । শুধু দেখে একটা আলোর
পালকি তে পিউ কে ! কে জানি তুলে নিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু পিউ এর নিথর লাশটা মাটিতে পড়ে আছে ।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩১

কবি সুবর্ণ আদিত্য বলেছেন: ভালো লাগলো। বানানের প্রতি আরো যত্নবান হলে বেশ হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.