নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প । ডালির মোড় ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৫



বাদল প্রতিদিন মেয়েটার পিছনে পিছনে আসে । গ্রামের রাস্তা কিন্তু বাদল অনেক দূরে থাকে কেউ তাতে কিছুই বলার নেই । একটা বাকে এসে মেয়েটা পিছন ফিরে দেখে বাদল ওর চোখের দিকে তাকিয়ে অন্য পথে হআটা দেয় । মেয়েটির নাম ডালিয়া । সবাই ডালি ডাকে । বাদল কিছুই করে না। এস এস সি তে নকল করতে যেয়ে ধরা পড়ে লিখা পড়া শেষ । ডালির আজ বিয়ে হয়ে যাবে ।
ডালির বাড়ির সামনে এসে পুকুর ঘাটে পা ধুয়ে ডলির বাড়িটার দিকে চেয়ে দেখে । একটা লিছু গাছ তলে একা একা কান্যা করে । ডালি চলে যায় স্বামীর ঘরে । বাদল শেষ বার দেখে যখন তাকে গাড়িতে তুলে সেই পথের বাকে গাড়ি আসতেই ডালি পিছন ফিরে তাকায় । বাদল সেই বাকে চেয়ে থাকে মেয়েটির চোখের দিকে । বাদল বুঝতে পারে আজ ডলির চোখের ভাষা ।এই বাকে একটা নতুন রাস্তা মিশেছে । বাদল এই বাকে একটা চায়ের দোকান দেয় । আর সাইন বোর্ডে লিখে ডালির মোড় চায়ের দোকান । কেটে যায় ৪০ বছর । রাস্তাটা পাকা হয়েছে । এই মোড়ে অনেক দোকান ।সবাই এই জায়গাটা কে ডালির মোড় বলে চিনে । বাদলের বয়স এখন ৬২ বছর । একদিন ডালিয়া তার ছেলে মেয়ে নাতি নিয়ে নতুন রাস্তা দিয়ে আসে । ডালিয়ার ছোট ভাই বলে আমাদের নতুন বড় পাকা রাস্তার মোড়টার নাম ডালির মোড় । ডালিয়া বলে বাহ ! ডালির মোড় কেন । টা তো জানি না। তবে একটা চায়ের দোকান লিখা ছিল ডালির মোড় চায়ের দোকান । ডালির সেই মোড়ে আসতেই ডালিয়ার আজ ও আবার মনে পড়ে গেল সেই পিছন ফিরে দেখার কথা। কিন্তু সময় কত বদলে গেছে । লোকটা জানি কেমন আছে । কত রোদ বৃষ্টি তে পিছু পিছু আসত। বাদলের চায়ের দোকান এখন অনেক বড় হোটেল । গাড়িটা মোড়ে আসতেই ডালিয়া বলে একটু মাইক্রো টা থামা । গাড়ি থেকে নামে মোড়টা ভাল করে দেখে । হোটেলের ক্যাশে বসা বাদল মিয়া চেয়ে দেখে একজন মহিলা কি জানি খুজছে ? বাদল সিট থেকে নেমে কাছে আসে । চিনতে কোন অসুবিধা হয় নাই । কাছে যেয়ে সালাম দেয় । ডালিয়া বলে অলাইকুম সালাম । দুই জনেই কিছুটা সময় চুপ থাকে । এক সময় হেসে দেয় । বাদল বলে আমার হোটেলে কিছু না খেয়ে যেতে পারবে না। ছেলে ছেলের বউ । মেয়ে মেয়ের জামাই , নাতি নাতনী নিয়ে নামে । বাদল মিয়া একটা বড়
মিষ্টির বল ডালিয়ার মোড়ের সবাইকে বিলিয়ে দেয় । সবাই জানতে চায় । কি বাদল মিয়া ঘটনা কি ? বাদল সবাইকে বলে যার নামে এই মোড় সেই লক্ষ্মী এই মোড়ে আসছে । সবাই অবাক হয় । বাদল বলে আমাকে একদিন ডালিয়া বলেছিল বেকার না থেকে এই মোড়ে একটা চায়ের দোকান
দাও । আমি তার কথা রাখছি মাত্র । কি নাম দিব , তাই ডালিয়ার নামে দিলাম ডালির মোড় ।
ডালিয়া বিদায় নেয় । যাওয়ার পথে আবার আসে । গাড়ি থেকে নেমে বলে বাদল আমি যাই । আজো কিন্তু ডালিয়ার চোখে সেই দিনের মত পানি । ডালিয়া এখন সাত সমুদ্রের ওপারে থাকে- ক্যানাডা ছেলের সাথে । যাওয়ার সময় বাদলের দিকে চেয়ে সাদা কাপড়ে সুধু চোখ মুছে । বাদল মিয়া সাদা দাড়ি তার চোখর পানিতে ভিজে ।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫০

পথে-ঘাটে বলেছেন: মানুষ চলে যায়,
রেখে যায় কত কথা কত স্মৃতি
থেকে যায় ভালবাসা।


ভাল লাগল।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২০

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ডালির মোড়; বাদল-ডালিয়ার অব্যক্ত প্রেমের স্মৃতিসৌধ। :(

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: বাদলতো তার বেকারত্ব ঘোচালো। আমার কথা ডালিয়া কেন এল না? চায়ের দোকানদার বলে? কেন বাদলের দিনকি যাচ্ছে না? সুখের জন্য কানাডায় যেতেই হবে এমনকি কোন কথা আছে?
কিছু মনে করবেন না। আমার বাস্তব জীবন থেকে করা কিছু প্রশ্ন। কারও উত্তর প্রত্যাশা করি না। যা্র উত্তর দেয়ার সেই যদি না দিল অন্যের কাছে চেয়ে কি হবে?

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: এই গল্প সেই সময়ের যখন মানুষ কেউ কাউকে ভালবাসি বলতে সময় চলে যেত । এটা ১৯৯৭০ দশকের গল্প

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.