নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।
হবিগঞ্জ শহর ও পইলের বিবেকবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিনি মোঃ চাঁন মিয়া।আমাদের প্রিয় ছন্দু ভাই। ৪নং পইলের ১নংওয়ার্ডের বারাপইত গ্রামের বাসিন্দা।
বিনয়ী,সদালাপি ও সৎ হিসেবেই যাকে সবাই দেখতে পান।অথচ তার দুঃখের অন্ত নেই। দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি বলেন- আমি একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হত দরিদ্র যা সর্বজন জ্ঞাত। ঝড়-তুফান,বৃষ্টি খড়া উপেক্ষা করে গভীর রাত পর্যন্ত পত্রিকা বিক্রি করে কোনরকম জীবিকার্জন করে চলছি।
আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধি।আমি মানুষের সহানুভূতি, স্নেহ,ভালোবাসাই কামনা করি।কিন্তু বর্তমানে কিছু মানুষ আমাকে ১,২,৫ টাকার কয়েন দিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্য ফেলে দেয়। কেউ কেউ পুরো মাসের পত্রিকার বিল শুধু কয়েনই ধরিয়ে দেয়। নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ধমকও খেতে হয়, যা চরম লজ্জা ও হতাশাজনক।
পত্রিকা বিক্রিলব্দ অর্জিত এ কয়েন দিয়ে দোকান থেকে কোন দ্রব্যাদি ক্রয় করতে গেলে চরম বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হচ্ছে। কোন দোকানে গিয়ে আমার চাহিদা জিনিসপাতি ক্রয় করতে চাইলে ঐ মালাশাল থাকা সত্ত্বেও কয়েন দিয়ে মুল্য পরিশোধ করার ভয়ে কোন দোকানদার আমার কাছে বিক্রি করতে চায়না বা বিভিন্ন অযুহাতে(যেমন চাল ক্রয় করতে চাইলে বিক্রেতা বলে আজ আমার এ চাল ভালো হবেনা যদিও চাল ভালো তা অনুভব করতে পারি) আমার কাছে বিক্রি করা থেকে বিরত থাকে।যা আমার মতো একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জন্য মারাত্মক কষ্ট ও চরম ব্যদনাদায়ক।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন-
আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হিসেবে মানুষের কাছ থেকে এমন কষ্টদায়ক আচরণ কখনো কল্পনাও করতে পারিনা।
আমি মানুষের কাছে হাত না পেতে সম্মানের সহিত পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকানির্বাহ করে কোন রকম সংসার চালিয়ে আসছি।আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে বিবেকসম্পন্ন প্রত্যেক গ্রাহকের নিকট সর্ব্বোচ্চ বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করতঃ আমাকে পত্রিকার মূল্য কয়েন দেয়া হতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
বিঃদ্রঃ-
কয়েকদিন পূর্বে ছন্দু ভাই আমাকে বিশেষ অনুরোধ করে বলে ভাই আমার দুঃখের কথা তোমার ফেইসবুকের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধের সহিত অবগত করে দিলে আমার হয়তো কিছুটা উপকার হতে পারে।বারংবার বলার পর বিষয়টি মানবিক বিধায় আজ না লিখে পারলাম না। আমার ফেইসবুকের বন্ধু আছেন এমন কোন একজনও যদি গরীব, দুঃখী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই ছন্দু ভাইর প্রতি সহানুভূতিশীল ও দয়ার দৃষ্টি নিক্ষেপ করতঃ তার পত্রিকার মূল্য কয়েন না দিয়ে কাগুজে টাকায় পরিশোধ করেন তাহলে আমার এ লেখা স্বার্থক হবে বলে মনে করি।
©somewhere in net ltd.