নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প @ জরিনার ফ্রি চানাচুর

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮




মুখ থেকে পানের পিক ফেলে জরিনা হাতের আঙুলের চুন মুখে দিয়ে রেল গাড়িতে উঠে বসল । রেলের দরজায় বসা মজনু আড় চোখে জরিনা কে দেখে মাথার চুল গুলোতে হাত বিলায় । জরিনা সবার দিকে দেখে একটু হাসি দেয় । সবাই তার হাসি দেখে খুব মজা পায় । জরিনা সাজ আড় কাপড় পড়া যাত্রার মেয়ে চেয়ে কিছুতেই কম
না । রাতের রেল গাড়ি ঢাকা থেকে সিলেট যাবে । মেইল ট্রেন । অল্প সময়ে মধ্যে রেল গাড়িতে সবার সাথে খুব খাতির জমায় । সখ করে রেলের কামরায় জরিনার কাছে সবাই পান চেয়ে নেয় । এক কোনা থেকে মফিজ বলে যে মজার পান খাওলাইন
দিলটা শীতল হয়ে গেছে । কমলা পুর থেকে রেল গাড়ি ছারে । টঙ্গি রেল ষ্টেশনে আসা পর্যন্ত জরিনা সবার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবার সাথে খুব ভাব জমিয়ে যাচ্ছে । একজন বলল ম্যাডাম শুধুই রসের পান খাওয়ালাইন । জরিনা পান মুখে
এক গাল হেসে বলে আমি একজন করে কিছু খাওয়াই না। যদি সবাই খেতে চান তবে খাওয়াব । এই কথা শুনে দু এক জন বলল - আপা আপনি এত মিষ্টি । আপনার কথা এত মিষ্টি । আর এত মিষ্টি করে বললে কি না খেয়ে পাড়ি । জরিনা হেসে বলল সবাই খাবেন আমার জন্য দোয়া করবেন । কিন্তু আপনাদের খাওয়াইতে ভয় লাগে । যদি ফ্রি খেয়ে পেট খারাপ করে তবে সব দোষ হবে আমার । অন্য জন বলল মন পরিষ্কার
করে খাওয়াইলে কারো কিছু হবে না।
রেলের কামরায় বসা দু তিন জন বলে মহিলার কিছু টাকা খরচ করাই । বেশি ফর ফর করে । মনে মনে রেল গাড়িতে বসে থাকে বিশ বাইশ জন জরিনা কে বোকা বানিয়ে খাইতে চাচ্ছে । জরিনা সাদা মনে বলল- দেখুন কয় দিন বাঁচব । আমি ঢাকার
সিনেমায় কাজ করি । সব সময় নায়িকা দের সাথে থাকি । আর একটু লেখা পড়া থাকলে নায়িকা হইতে পারতাম । রেল গাড়ি ততক্ষণে নরসিংদী চলে এসেছে । সবাই
জরিনা সাথে খুব মজা করছে । জরিনা ও বোকার মত তাদের কথার উত্তর দিয়ে যাচ্ছে । দু একজন হালকা পাতলা রঙ তামসা করছে । জরিনা খুব সুন্দর করে পান বানিয়ে মুখে দিচ্ছে আর রঙ ঢং করে কথা বলছে । নরসিংদী থামতেই জরিনা বলল
আপনারদের খাওয়াইতে পারলে নিজের কাছে খুব ভাল লাগত । এমন সময় একজন চানাচুর ওলা উঠল । আর বলতে লাগলো । নবাবের চানাচুর । বাদশা খাইলে ফকির হয় । ফকির খাইলে বাদশা হয় । গরম চানাচুর রাতে খাইলে দিনেও মনে থাকবে ।
এখন রাত ১২ টা আমার চানাচুর খাওয়ার পড়ে মনে হবে দিন বার টা । সবাই তার কথা শুনে হে হে করে হাসছে । একজন বলল জরিনা আপা চানাচুর খাবেন ।
জরিনা বলল সবাই খেলে খাব । একা খাওয়ার মধ্যে কোন মজা নাই ।
একজন আমি আপনাকে খাওয়াতে চাই ।
জরিনা বলল- না একা আমাকে কেন খাওয়ালে সবারে খাওয়ান । অন্য জন বলল জরিনা আপা আপনি খাওয়ালেই আমরা সবাই খাব । লোকটা অন্য জন কে বলে
দাঁরাও টাকা কিছু খরচ করাই । কারন তারা একসাথে সাত জন উঠেছে ।
জরিনা পানি দিয়ে কুলি করে বলল- এই বেটা চানাচুর সবাই কে দে ।
চানাচুর ওলা বলল কত করে দিব । একজন বলল আগে দশ টাকার করে দাও । রেলের কামরার সবাই মজা করে চানাচুর খাচ্ছে । একজন খাবে না। সবার কথায় সে চানাচুর খেল । জরিনা দুবার খেল । রেল গাড়ি যাচ্ছে । সবাই তাদের মধ্যে কথা শেষ করে ঘুমেয়ে পড়লো । রেল গাড়ি আখাউরা এলো । সবাই গভির ঘুমে । সকাল ৬ টায়
একজন একজন করে ঘুম ভাঙল । সবাই চেয়ে দেখে তাদের পড়নে জামা নাই । পায়ের জুতা নাই । সবার কাপড়ের ব্যাগ নাই । কামরার সকল লোকের একেই অবস্তা
কিন্তু জরিনা নাই । সবাই বুঝতে পারলো চানাচুরে কিছু ছিল । সবাই একজন আর একজন কে দোষ দিচ্ছে । কারো কাছে কোন টাকা নাই । মানি ব্যাগ । হাতের ঘড়ি এমন কি একজনের হাতের সোনার আংটি পর্যন্ত নাই ।
জরিনা আখাউরা রেলস্টেশন থেকে সবার সব কিছু বস্তায় ভরে । পড়নের কাপড় টা বদলায়ে মাথার চুল গুলো ছেড়ে দিতে নাকে নথ পড়ে পায়ে স্যান্ডেল পড়ে একদম কাজের মেয়ে মত হয়ে গেল । এই জরিনা কে আর কেউ চিনবে না। চানাচুর ওয়ালা কে নিয়ে ঢাকার ফিরতি গাড়িতে উঠল । চানাচুর ওলা বলে আজ তো বাম্পার ডাকাতি করলা । এত মানুষ কি ভাবে বোকামি করে জরিনা আপু । জরিনা একটা ধমক দিয়ে বলল আমার নাম জরিনা না। সখিনা বানু । আর শুন সব পুরুষ মানুষ
সুন্দরী মেয়ে দেখলে তাদের ভবিষ্যৎ ভুলে যায় । পুরুষের এই জ্ঞান থাকলে কি পাবনা
পাগল থাকত ।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

সুমন কর বলেছেন: গল্প হিসেবে সাধারণ। মেসেজটাই মূখ্য।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

বিজন রয় বলেছেন: দারুন থিম।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

মুসাফির নামা বলেছেন: ভাল একটা মেসেজ।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । সবাই বেয়াক্কেল হয়ে গেল । ঘটনাগুলো সমসাময়িক ঘটে । লেখা ভাল লেগেছে । কিছু জায়গায় টাইপো হয়েছে, যেমন 'টাকা' থেকে সিলেট- এখানে ঢাকা হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.