নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমলাপুর রেলস্টেশনে পীর দেখা (সত্য ঘটনা )

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৪


২৬.০৩.২০১৬ তারিখে মতিঝিল দিলকুশা লাইটিং বা আলোক সজ্জা দেখতে বের হই । তখন রাত ৯.৩০ মিনিট । রিকসা নিয়ে অনেক ঘুরার পর চলে আসি কমলাপুর কিছু ছিন্নমূল শিশুর কিছু খাবার কিনে দিতে । কিছুটা সময় তাদের সাথে ব্যয় করে তিন নং প্লাটফরম দেখি চট্রগ্রাম মুখি মেইল ট্রেন দাঁড়ানো । অনেক লম্বা একটা ট্রেন । মানুষ জন খুব কম । আমি ও আমার স্বামী চেয়ে দেখি একটা জানালায় অনেক মানুষ ভীর করে আছে । কেউ কেউ কান্না করছে । আমারা ভাবলাম হয়ত কেউ মারা গেছে তাই দেখার জন্য যাই । কিছু কিছু মানুষের মাথায় আবার টুপি । কাছে
গিয়ে আমি কিছুটা বোকা হয়ে যাই । কেউ মারা যায় নাই । মাইজ ভাণ্ডারীর কোন এক পীর যাচ্ছে এই ট্রেনে । পীর কে বিদায় দিতে সবাই এসেছে । পীর ও পীর সাহেবের সাথে মনে হয় তার ছেলে । বিশেষ লম্বা পাতলা টুপি পড়া পীর সাহেবের ।
আমি পীর দেখার জন্য জানালা থেকে বেশ কিছু দূরে পীর কে দেখতে লাগলাম । অনেক মানুষ বাবা বাবা বলে কাঁদছে । কেউ কেউ মাপ চাওয়ার ভঙ্গিমায় দু হাত দুলে বাবা বাবা করছে , অনেক মানুষ । কেউ কেউ পীরের হাত ধরে কি জানি কি দিচ্ছে । এর বাবা বাবা বলে নারী পুরুষ যুবক কিশোর আর কিছু বুড়া মানুষ । বাবা বাবা বলে কাঁদছে । আমি ভাল করে দেখলাম এদের সবাই খুব গরীব আর মূর্খ মানুষ
বেশি । পীর কে হাত ছুঁয়ে শুধু টাকা দিচ্ছে । কাউকে পাঁচশ টাকার কম দিতে দেখি নাই । কেউ পারে না। পীরের জন্য জীবন দিয়ে দিতে । এত মানুষ কান্না করছে আর পীর সাহেব শুধু টাকা নিচ্ছে । মাথায় হাত দিতেছে । আমি এই দৃশ্য এক ঘণ্টা বসে বসে দেখলাম । কারো মাথায় বাবরী চুল ।সাদা লুঙ্গি সাদা পাঞ্জাবী । একজন এমন মুরিদ কে দেখলাম যে অনেক দূরে গিয়ে বিড়ি খাচ্ছে । পীর সাহেবের সাথে ছোট বড় অনেক ব্যাগ আর চার জন লোক খাদেম । খাদেম রা মনে হয় যেন রাজার সামনে যে ভাবে আসে ঠিক সিনেমার মত সেই ভাবে আসে । পীর কাউকে কিছু দিতে দেখলাম না। শুধু নিতে দেখলাম । এমন গরীব মানুষের কাছে কি ভাবে হাত মিলিয়ে
টাকা নেয় তাই দেখে অবাক হলাম । দুই চার জন কে ডেকে আমি বলি আজ কি এশার নামজ বা মাগরিবের নামজ পড়েছেন । একজন একটু হেসে বলল মাঝে মাঝে পড়ি ।আচ্ছা এই সব পীর আমাদের সামজে কি কাজ করে । শিক্ষা চিকিৎসা বা কোন
ভাল কাজ করতে দেখি না। কমলা পুরে কত শিশু না খেয়ে শুয়ে আছে পীরেরা কি একটা শিশুকে দেখলাম না রাতের খাবার কিনে দিতে । একটা ছিন্ন মুল শিশু আমাকে বলল আপু ঐ দিকে দেখবেন না। এরা হল পীর । এদের মহিলারা দেখলে গুনা হয় ।। আমি অবাক হলাম ঠিক এদের দিকে দেখা ঠিক না। এরা সভ্য দুনিয়ায়
সভ্য লেভাজ ধারী ভিক্ষুক ... আল্লাহ্‌ আমাদের কুরান হাদিসের জ্ঞান ডান কর ।।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৬

মশার কয়েল বলেছেন: :( :( :(( :((

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৬

নতুন বলেছেন: আমাদের সমাজের মানুষের ধম`ভীরুতা এবং অজ্ঞতাই এদের পুজি...

এরা সবাই অন্ধ ভক্ত...কেউই প্রশ্নকরে না কেন কি জন্য এসব করছে তারা।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ! ধান্দাবাজগুলোর হাতে ধর্মের নেতৃত্ব পড়লে তার ফলাফল হয় ভয়াবহ !

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কত্ত রকমের পীর যে আছে আমাদের দেশে।

গরীব কাঙ্গালের পাশাপাশি অনেক স্বনাম ধন্য লোকজনও নাকি তাদের মুরিদ।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৮

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম .।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৭

কালীদাস বলেছেন: এদের কিছু বললে ফ্যানগুষ্ঠী চোখের পলকে লাইফ হেল বানিয়ে দিতে পারে। এদের রুট অনেক গভীরে, আর এমনসব পাওয়ারফুল ফ্যান আছে যে কেউ এদের কিছু বলার সাহস পায় না কখনও।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: এই সময়ে এসেও......

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৬

সাগর মাঝি বলেছেন: ভন্ডদের ভক্তের অভাব নেই। মানুষ মুখ খুলে যে একটু প্রতিবাদ করবে তার উপায়ও নেই। ভক্তদের হাতে আলু ভর্তা হতে হবে।

হায়রে আমাদের সমাজ,, হায়রে সমাজের অন্ধ মানুষ তোদের জ্ঞান হবে কখন।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

স্পর্শ বলেছেন: আপনার বর্ননার দ্বারা আমাদের বুঝতে আর বাকি যে ঐ পীর একজন খাটি ভন্ড .এই সব পীরে কে ধইরা উকতা কইরা চৌরাস্তার মোড়ে পুইতা রাখা দরকার তাইলে সাধারন মানুষ ইসলামকে অবিকৃত অবস্থায় পাইত!

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: পীরালী ব্যবসা খুব লাভজনক একটা ব্যবসা। সহজ সরল মানুষদের ধর্মের নামে যা তা বুঝিয়ে প্রচুর উপার্জন করা সম্ভব। অনেক শিক্ষিত লোকেরাও এদের পিছনে ঘোরাফেরা করে যা দেখলে অবাক হতে হয়।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: যারা এই পীরের মুরিদ, তারা আসলে পড়াশুনা বা অন্য কোন ভাবে জ্ঞান অর্জনের কোন সুযোগই পায়নি। জীবনটাই হয়তো কেটেছে এদের রেল স্টেশনে ঘোরাঘুরি করে। পৃথিবী তাদের দৃস্টিতে গোল না হয়ে সমতল, জ্বীন-ভূতের স্বর্গরাজ্য। ইহকালতো বৃথা গেলই, এখন পরকালে যদি সুখ লাভ করা যায়, পীর যদি তাদেরকে সাথে করে বেহেস্তে নিয়ে যেতে পারে, এই আশাতেই তারা এগুলো করে থাকে। এই আশাটুকু নিয়েই তারা বাকি দিনগুলো বেঁচে থাকার প্রেরনা পায়। আর এই অনুভূতিকে পুঁজি করেই ধর্ম নামের ব্যাবসা চালু হয়েছে পৃথিবীতে। সকল ধর্মই আদতে ব্যাবসা। পীরও যা, হুজুরও তা, সাধুও তা, খৃস্টানদের পোপও তা... সবাই এক।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: আর কইয়েন না আপা গুণা হইবো। কিছু অন্ধ ভক্ত মনে করে পীর বাবারা তাদের সব মুশকিল আসান করে। আরে ভাই পীরেরা নিজেরাই তো কত রকম মুশকিলে আছে তাদের আছান করে কে?

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৮

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: যার পীর নাই তার পীর শয়তান-এটাই এদের মুলনীতি। এসব ভয় দেখিয়েই সাধারণ মানুষকে এরা বিপথগামি করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.