নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।
আমার এক প্রিয় বান্ধবী । নাম লিপি।
বিবাহিত । মা হতে যাচ্ছে। স্বামী জুয়েল চট্রগ্রামে চাকুরী করে বিধায় লিপি এই অবস্থায় ঢাকার উত্তরা বাবার বাসায় থাকেন। একদিন বিকালে হঠাৎ লিপির বাবা ষ্টোক করে। হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেদিন লিপি কে খুব পরিশ্রম করতে হয়েছে, কারণ লিপির কোন ভাই নেই। সে আবার সাড়ে আট মাসের গর্ভবতী।লিপি সন্ধায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভর্তি হতে হয় মাতৃসদনে। ডাক্তার জানায়, জরুরী ভিত্তিতে সীজার না করলে মা ও সন্তান দুজনের জন্যই বিপদ হতে পারে। জুয়েল কে সংবাদ দেয়া হয়। পরদিন ভোরে জুয়েল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে সংবাদ পায় লিপির বাবা মারা গেছেন। দুপুরের পরে লিপির সীজারহবে।জুয়েল বিপদে দিশেহারা হয়ে যায়, এখন সে কি করবে। কোথায় যাবে ? ভাইহীন লিপির বাবার লাশ দেখতে হাসপাতালে ? নাকি নিজের স্ত্রী, সন্তানের কাছে।জুয়েল গাড়ী থেকে নেমে চলে যায় লাশ সামলাতে। লিপির বাবার লাশ দেখে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে জুয়েল। কারণ মাত্র ১ মাস আগেই সে তার বাবাকে হারিয়েছে । নিজেকে সে অভিবাবকহীন, অসহায় ভাবছে। এক সময় তার বুকে ব্যথা উঠে এবং ঐ হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। লিপির বাবার লাশ বের করতে সময় লাগে অনেক বেশী, কারণ ভর্তির ১ ঘন্টা পর নার্স ট্রলিতে করে সামনে নিয়েআসে জুয়েলের লাশ।সীজার শেষে বিকাল নাগাদ লিপি কিছুটা সুস্থ বোধ করে। দেখে পাশে তার সন্তান নেই। জানতে পারে ,অপরিপক্ক শিশু জন্ম হওয়ায় ইনকিবিউটরে রাখা হয়েছে। সন্ধায় পর নার্স এসে জানায় “ ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছিল,,,,,, কিন্তু ,,,,, দুঃখিত,,,,”।একই দিনে লিপি তার তিনটি আশ্রয় হারায়। বাবা, স্বামী, সন্তান। আমাদের সমাজে নারীর বেঁচে থাকার এই তিনটিই স্থান। লিপি বেঁচে আছে। থাকবে। বাহির থেকে কেউ কি বুঝবে এই বেঁচে থাকার ভিতরকার রূপটি কেমন।আমি জানিনা লিপি কেমন করে বেঁচে আছে। কেন , কিসের আশায় বেঁচে আছে। তবু তাকে বেঁচে থাকতে হবে কষ্টের স্মৃতি নিয়ে।প্রতি বছর একই দিনে লিপি তিনটি কবর জিয়ারত করে যে কবরে প্রতিটি বাসিন্দা তার এক একটা আত্মা।লিপি বেঁচে আছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এটাই হচ্ছে জীবন ও বাস্তবতা।
—
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
কানিজ রিনা বলেছেন: লিপির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মর্মান্তিক! এই অনুগল্প কী সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: হা অনেক বছর আগের
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
নকীব কম্পিউটার বলেছেন: আহ!
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
কালনী নদী বলেছেন: বোন ঘটনাটি কি সত্যি? আহারে কতনা দুঃখ নিয়ে মানুষগুলো বেচে আছে, আর আমরা নিজেদের খায়েস পুরন না হলে কেঁদে মরি।
আহারে আল্লাহ যেন লিপি বোনকে ধৈহ্য দড়ার তৈাফিক দেন।
৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
++++
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: কষ্ট পান নাই ত
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
সায়ান তানভি বলেছেন: আপনি চমৎকার লিখেন।পড়তে ভাল লাগে।
৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বেশ মর্মান্তিক । সত্য ঘটনা অবলম্বনে শুনে মনে হলো, লিপি নিশ্চয় বেঁচে আছে কোন অলৌকিক ক্ষমতায় !
৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৪
প্রামানিক বলেছেন: এটা কি বাস্তব! ভয়াবহ ঘটনা।
১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
কালনী নদী বলেছেন: লিপি আপুকে আমার সালাম পৌছিয়ে দিবেন, দয়াকরে।
১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:০৯
উল্টা দূরবীন বলেছেন: মর্মাহত।
১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫২
মুহা:ওবায়দুল হক বলেছেন: আপু খারাপ লাগলো আসলে এটাই বাস্তবতা ।জীবন বড়ই অদ্ভুত।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এটাই হচ্ছে জীবন ও বাস্তবতা
তবে জীবনের এমন বাস্তবতা কারও জীবনে যেন না আসে।