নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনু গল্প ।। ব্যথা ও সাইকোলজিস্ট ।।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪৪




আতিকের সারা শরীরে ব্যাথা জিম জিম করে । পায়ে ব্যাথা আবার মাঝে মাঝে মাঝে হাঁটুতে । ব্যাথা টা মনে হয় হাটে । মাঝে মাঝে কমরে চলে আসে । আতিক খুবেই চিন্তা পরে গেল । মা নিয়ে গেল পীর সাবের কাছে । পীর দেখে বলল বদ নজর পড়েছে । একটা ছাগল মানত কর । আর জিলামি ৫ কেজি দাও । ১০ টা লঙ্গি ১০ কাপড় দাও । আতিক সব দেয়ার পড়ও ভাল হয় না । আতিকের মা আতিক কে নিয়ে গেল ফকিরদের তুক-তাক ঝাড়-ফুঁকের কাছে কিন্তু ছেলের ব্যাথা ভাল হয় না। এখন আর পীর ফকির তুক-তাক এর ওপর খুব একটা আস্থা পাচ্ছে না। তাঁর পর গেল ডাক্তারের কাছে । ডাক্তার আতিকের সব কথা শুনে কিছু মেডিসিন দিল । কিন্তু ব্যাথা ভাল হয় না । ব্যাথা পা হাঁটু কমর থেকে আজকাল পিঠেও চলে আসে । সে কি ব্যাথা । ডাক্তারের কথা আতিকের আর বিশ্বাস হয় না।আতিক ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিচে নেমে আসে আর ভাবে আরেকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখালে কেমন হয়! যে কথা সেই কাজ। চলে গেল মেডিকেলে কলেজে । ডাক্তারকে সমস্যা বলা মাত্রই ডাক্তার রক্ত, প্রস্রাব, ইসিজি, চেস্ট এক্সরেসহ চারটি পরীক্ষা দিলেন। যথাসময়ে পরীক্ষা শেষ হল। বিষণ্ন মনে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন। তিনি মনযোগ দিয়ে রিপোর্ট দেখলেন। রিপোর্টের দিকে চোখ রেখে কিছু প্রশ্নও করলেন। আতিক উত্তর দিল । তাঁর পর ডাক্তার বলল একটা এম আর আই কারতে । আতিক তাই করালো । আর ভয় পাইতে লাগলো । না জানি কত কঠিন অসুক হয়েছে । মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আতিক কে কোন মেডিসিন দেয় না । তিন দিন পরে আরও কিছু রিপোর্ট করায় ডাক্তার। রিপোর্ট দেখে ডাক্তার একটা হাসি দিয়ে বলে আরে কিছুই হয় নাই আপনি একটা কাজ করুন ফিজিও থেরাপি এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সরনাপন্ন হউন । আতিক সব রিপোর্ট নিয়ে ফিজিও থেরাপি এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে আসে । ডাক্তার আতিকের সব কথা শুনে । কোথায় কোথায় ব্যাথা সব ভাল করে দেখে । আবার কিছু পরীক্ষা করতে দেয় । সাথে এক্সরে । আতিক সব করিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে । ডাক্তার বিশেষ কৌশলে হাঁটালেন, দৌড়-ঝাঁপ করালেন। তারপর প্রেসক্রিপশন লেখার সময় মুচকি হেসে বললেন- “আপনার কিছুই হয়নি, সবই আপনার মনের দুর্বলতা”!এরপর আতিকের প্রেসক্রিপশন আর বিষণ্ন মুখের দিকে তাকিয়ে একগুচ্ছ হাসলেন আর ক্ষীণ স্বরে বললেন-“ভয়ের কিছুই নেই। আপনি ভাল আছেন আছেন”। ডাক্তারের একগুচ্ছ হাসি নিয়ে বের হল আতিক । দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আকাশের দিকে তাকাই- দেখি শাদা মেঘের ভেলাগুলোও হাসছে। কিন্তু পায়ের আর কমরের ব্যথা তো যাচ্ছে না। আতিকের মা বলে এত বড় বড় ডাক্তার দেখাইলাম কিন্তু কেউ আমার ছেলের ব্যথা ভাল করতে পারছে না।
এমন সময় একজন বলল আপু আপনার ছেলেরে ভাল কোন সাইকোলজিসট দেখান । আতিকের মা বলল আমার ছেলে কি পাগল নাকি যে সাইকোলজিসট দেখাতে হবে ? ভদ্র লোক হেসে বলল আপু আজকাল সাইকোলজিসটরা পাগলের ডাক্তারি করে না। তারা মনের অবস্থা দেখে রোগ বের করে চিকিৎসা করে ।
আতিক বলল মা চল তাই করি গত একমাসে কত টাকা গেল । শেষ চেষ্টা করি আরেক বার । আতিক কে নিয়ে সাইকোলজিস্ট কাছে গেল ।
সাইকোলজিস্ট আতিকের সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলো । রাতে কোথায় থাকে , বিছানা টা কেমন । অনেক কথা শুনার পর । আতিকের মা কে ডেকে বলল আপনার ছেলের খাট বালিশ আর তোষক বদলান ।
আর একটা রুটিন দিল । সকালে বিকালে হাঁটবে । ভাল জুতা পড়বে । সাইকোলজিস্ট আতিক কে বলল আপনার যখন ব্যাথা লাগবে তখন আপনি হাসবেন যে ব্যাথা দেখি তুই কি করিস । সাইকোলজিস্ট বলল আমি একটা মেডিসিন দিব ২৫ হাজার টাকা লাগবে । এটা খেলে ব্যাথা চলে যাবে । তবে তিনটা ফাইল খেতে হবে । আতিকের মা বলল ডাক্তার তাই করেন । কোন ডাক্তার আমার ছেলেরে মেডিসিন দেয় নাই । সাইকোলজিস্ট আতিক কে বলল আপনি বাহিরে যান । আপনার মায়ের সাথে দুই মিনিট কথা বলতে হবে । আতিক বাহিরে যায় । সাইকোলজিস্ট আতিকের মা কে বলে আপু আপনার ছেলে কিছুই হয় নাই । কাল কে ২০০ টাকা নিয়ে আসবেন । আমি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দিব ৩০ টা । আপনি বলবেন যে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন ।
ছেলের কাছে এটা গোপন রাখবেন । আতিকের মা সাইকোলজিস্টের কথা মতো কাজ করতে লাগলো । দামি মেডিসিন খেয়ে আতিক এখন ভাল ।
পৃথিবীর সকল রোগীর মুক্তি ঘটুক। হৃদয় খুলে তারাও হাসুক আর সে হাসির সুবাস ছড়িয়ে পড়ুক কৌতূহলী পৃথিবীর আঙিনায়। আমাদের কিছু রোগ মনে ডাক্তার দামি না । মেডিসিন দামি না তাই রোগ ভাল হচ্ছে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২৬

মিঃ আতিক বলেছেন: আপা,
আপনার গল্পের নায়কের নামে একজন ব্লগার আছে একটু খেয়াল রাখলে তো পারতেন, কাসেম জব্বার বাতেন কত নাম ছিল, আতিক নামটাই খুজে পেলেন? সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম ওহ নো......

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৩৬

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আতিক ভাই জিন্দা বাদ

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৩০

এম এ কাশেম বলেছেন: মনের অসুখ!!

ভাল লেগেছে।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: বাহ!! ভালো লাগলো।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: তাইলে আতিকই হেই পাবলিক ! হেরেতো সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের সাবজেক্ট নির্বাচন কইরা চেলিব্রেটি বানাইয়া দিলেন, আফা !

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

সুমন কর বলেছেন: হুম, মাঝে মাঝে এমন হতে পারে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.