নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণকে অপরাধই মনে করে না সাফাত। ওরা সব পার্টতেই ধর্ষণ করে থাকে।

১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২১



হায় সেলুকাস, বনানীর উচু সমাজে বেড়ে উঠা ধর্ষক সাফাত আহমেদরা জানেইনা যে, ধর্ষণ কোন অপরাধ।
ধর্ষণকে অপরাধই মনে করে না সাফাত। ওরা সব পার্টতেই ধর্ষণ করে থাকে।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যে অপরাধ, তা জানে না বলে দাবি করেছে সাফাত আহমেদ। তার ভাষ্য, তারা ‘মেয়ে বন্ধুদের’ সঙ্গে প্রায়ই পার্টিতে ‘এমনটা’ করে থাকে। জন্মদিনের পার্টির এই ঘটনা যে এত বড় হতে পারে, তা তার ধারণাতেই ছিল না। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অকপটে দুই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথাও স্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাদের ভাষ্য, ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হিসেবে সাফাত উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করতো। অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তার স্বাভাবিক বলেই মনে হতো।
জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান,সাফাত ও সাদমান স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই সকল কিছু স্বীকার করে। তাদের প্রশ্ন করা হয়,তোমরা পালিয়ে ছিলে কেন? জবাবে সাফাত জানায়,পুলিশ তাদের খুঁজছে এমন খবর পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। পুলিশ কেন খুঁজছে জানতে চাইলে তারা বলে,এই বিষয়টিই তারা বুঝতে পারছে না।তারা দুই তরুণীর অভিযোগকে ধর্ষণ বলে মনেই করছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সাফাত ও সাদমানরা এমন পরিবেশে বড় হয়েছে যে, তাদের কাছে ‘ধর্ষণ’ কোনও বড় বিষয় নয়।তাদের অনেক মেয়েবন্ধু রয়েছে এবং তাদের ভাষায় মাঝেমধ্যেই মেয়েবন্ধুদের সঙ্গে তারা ‘আনন্দ-ফূর্তি’ করে।
পুলিশের আরেকজন কর্মকর্তা জানান, সাফাতের জন্মদিন উপলক্ষে তারা সেইরাতে গভীররাত পর্যন্ত মদ্যপান করে বলে জানিয়েছে। দুই তরুণীর সঙ্গে সম্মতিক্রমেই মিলিত হয়েছিল বলে সাফাত ও সাদমানের দাবি। পরবর্তীতে কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তা তারা বুঝতে পারছে না। এমনটি হওয়ার কথা ছিল না বলেও জানায় সাফাত ও সাদমান।
দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে সহায়তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার সদস্য ডিসি- ডিবি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথা স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য জানার জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।’ রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক কিছু বের হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চার জন একসঙ্গেই ছিল, নাঈম পালিয়ে যায়
আলোচিত এই ধর্ষণের মামলা দায়েরের পর থেকে পাঁচ আসামির একজন নাঈম আশরাফ পালিয়ে যায়। আর সাফাত, সাদমান, গাড়িচালক বেল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ একসঙ্গেই ছিল। মামলা দায়ের হওয়া পর্যন্ত বাড়িতেই ছিল তারা। তবে মামলা দায়েরের পরপরই চার জন একসঙ্গে চলে যায় গাজীপুরে। সেখানে একরাত থাকার পর যায় নরসিংদী। তারপর নরসিংদী থেকে সিলেটের মামা বাড়িতে যায়। সাফাতের একজন মামা তাদের আত্মগোপনে রাখার জন্য সব ধরনের সহায়তা করে। গ্রেফতার হওয়ার দুই দিন আগে বডিগার্ড আজাদ ও গাড়িচালক বেল্লাল আলাদা হয়ে যায় সাফাত-সাদমানের কাছ থেকে। পুরো সময়টাতেই তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়িও ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সাফাত।
আলোচিত এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। বিস্তারিত জানতেই তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তারা কোথায় ছিল, কারা তাদের আশ্রয়দাতা সবকিছুই জানার চেষ্টা চলছে।’
যেভাবে গ্রেফতার হলো সাফাত ও সাদমান
গ্রেফতার অভিযানে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, মামলা দায়েরের পরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয় পাঁচ আসামি। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ও পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখার একটি দল তাদের মোবাইলের কল ডিটেইলস রেকর্ড সংগ্রহ করে সব আত্মীয়-স্বজনদের ফোনে আড়ি পাতে। এতেই অপর একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে সাফাতের এক মামার সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রযুক্তিগত এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে তিন দিন আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সিলেট এলাকার একটি বাড়িতে অভিযানও চালায়। কিন্তু অভিযানের ১০ মিনিট আগে ওই বাসা থেকে চলে যায় সাফাত ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে আরও অনুসন্ধান শেষে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে সিলেট নগরীর মদিনা কমপ্লেক্স এলাকার রশীদ ভিলা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাফাত ও সাদমানকে।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলার এক নম্বার আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে সাফাতের ছয় দিন ও সাদমানের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: এমন নিষ্পাপ হাস্যোজ্বল খোমার লোক কিভাবে "***" হতে পারে!
*** যাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, তাদেরকেই বা কেন সাজা দেয়া হবে?
এদের চৌদ্দগুষ্টি, এদের বাপ মা সহই যাবজ্জীবন সাজা দেয়া উচিৎ|

২| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

নাগরিক কবি বলেছেন: এদের বলার মত ভাষা আমার জানা নেই।
ভাল লিখেছেন।




অন্যপ্রসঙ্গ। : এতটা কো-ইনসিডেন্ট কিভাবে হলো। আমি যানি না। আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন আমি কিসের কথা বলছি। আমি কিন্তু আপনার ফেসবুকের ওই লেখাটি আগে কখনো পড়িনি। কিংবা আপনাকে চিনতাম ও না
:( ব্যাপার টা কিভাবে হলো আমি বুঝতে পারছি না। :(

৩| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

নাগরিক কবি বলেছেন: তবে সময় এর দিক বিবেচনা করলে আমি আপনার আগে প্রকাশ করেছি। আর আপনার লেখাতে কিছুটা ভিন্নতা আছে। ব্যাপারটা কেমন যেনো।

১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০২

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: কিছু নিউজের অংশ মাত্র

৪| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১৭

সত্যের ছায়া বলেছেন:

হেতারা ভালা পোলা হয়ে গেছে। এখন দেখলে কেমন জানি নিষ্পাপ নিষ্পাপ মনে হয়। মানুষ জীবনে এক বারই ভুল করে। এর আগে যা করেছে সেটি ফূর্তি করেছে। শেষেরটা ধর্ষণ! ফূর্তির মাঝে যে ধষণ হয় হেতাগো হেইডা জানা ছিল না! আহারে কি আউসের কথা।

প্রকৃতির লালত তাদের উপরে যারা ধর্ষণ কে ফূর্তি হিসেবে চালিয়ে দেয়।
প্রকৃতির লালত তাদের উপরে যারা ফূর্তির আড়ালে নারী ধর্ষণ করে।

প্রকৃতির লালত তাদের উপরে যারা নারী কে পণ্য এবং ফূর্তির জন্য প্রচারণা চালায়।

প্রকৃতি যেন তাদের কে ধবল, কুষ্ঠ, এবং প্রতিবন্ধী করে দেয়।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এরা তো বলছে স্বেচ্ছা সম্পর্ক। দেখা যাক সামনে কি রয়েছে। প্রমান জোগাড়ের উপরে নির্ভর করছে মামলার ভাগ্য। হুমকি ধামকি ব্ল্যাকমেইলিং - অন্ততপক্ষে এসবের নিশ্চয়ই প্রমান রয়েছে।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক সপ্তাহ বড় জোর, তারপর তারা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যাবে।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ব্লগতো ধর্ষণময় হইয়া গেলো রাজীব ভাই !

৮| ১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আহ ! কোথায় যাইতেছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ! সরি , আগের মন্তব্য মুছে দিয়েন !

৯| ১৩ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

আমার বাংলা পোষ্ট বলেছেন: এটা তাদের মুখের বুলি। এরা প্রশাসনকে বুঝাতে চাচ্ছি তারা না জেনে অপরাধ করেছে। যদি জানত তাহলে এমনটি করতো না। আমি কি তোরা এতো বছর লেখা পড়া কোথায় করেছিস? নিশ্চয় পশুদের ঠ্যাংগের তলে বসে নয়।

১০| ১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: তারা বাঙালী সংস্কৃতিতে বড় হয়ে বিদেশি হয়ে যাচ্ছে, তাই তো বলছে ধর্ষন?? এটা তো ফুর্তি মাত্র, অপরাধ হবে কেন??

১১| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এগুলার ছবি দেখলে চোখ অপবিত্র হয়।

১২| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এসব হৈ চৈ সাময়িক। আমাদের মেমোরি হলো জেলিফিস মেমোরি। ভুলতে বেশি সময় লাগবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.