নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি কাল্পনিক রাত ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩




রাত তিনটা বাজে । ঢাকার রাস্তায় এমন সময় খুব কোন মানুষ জন থাকে না । যারা থাকে তারা বিশেষ বিশেষ শ্রেণীর মানুষ বা প্রাণী । আমি কোন বিশেষ শ্রেণীতে পরি না তাই মানুষ না বলে প্রাণী বলা চলে । আমি শুধু মানুষ না কিছুটা আজব প্রাণী । এই মানুষ শব্দটির আগে পিছে কোন বিশেষণ নেই ।সন্ধার পর প্রিয়া মনি ফোন করেছিল আমি যেন এই শীতের বৃষ্টিতে না ভিজি । তারাতারি চলে আসি । রাতে আমার জন্য সে প্রিয় ছোট মাছ রান্না করবে । আমি একটু অন্য টাইপের প্রাণী । নিজেকে কোন দিন মানুষ ভাবতে পারি নাই । মানুষ হলে যে যে গুন থাকা দরকার তা আমার মধ্যে নেই । এক সময় প্রিয়ার সাথে দেখা করতে কত কিলোমিটার হেঁটেছি মনে নেই । তবে এটা মনে আছে যখন হাঁটতে শুরু করেছি তখন সন্ধার আজান তখন হাটা শেষ শেষ হয়েছে তখন ভোর । তার সাথে দেখা করার জন্য এমন অনেক পাগলামি হয়েছে জিবনে । প্রিয়ার সাথে কথা শেষ করে যে সুইচ দিয়ে ফোন কেটে দিয়েছিলাম তা মনে হয় অনেকক্ষণ টিপে ধরে রেখেছিলাম তাই মোবাইলটা বন্ধ হয়ে গেছে । বন্ধ মোবাইলে কল আসে না । আর আসার কথা ও না।
প্রিয়া মনে হয় অনেকবার কল করেছিল । তার অভ্যাসই এমন । মোবাইল বন্ধ থাকলে ও সে বার বার চেষ্টা করবে । শেষে মোবাইলটা বিছানার উপর আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলবে । কিছুক্ষন পর ভাঙ্গা মোবাইল জোড়া দিয়ে আবার চেষ্টা করবে । প্রিয়া ধারনা তখন বন্ধ মোবাইলেও সংযোগ পায় ।
আজ মনে হয় প্রিয়ার মোবাইলে আর জোড়া লাগেনি । জোড়া লাগলে আমার বন্ধ মোবাইলে নিশ্চয় আবার ফোন আসত ।
মোবাইলের সুইচ অন করার সাথে সাথে প্রিয়ার এসএমএস । “তুই শেষ” । এত ছোট একটা বাক্য দিয়ে কি বোঝাল । প্রিয়া খুব রেগে গেলে এইরকম ছোট ছোট বাক্য ব্যাবহার করে । নিশ্চয় রাগের মাথায় এসএমএস করেছে । প্রিয়া রাগের মাথায় কাউরে গালাগালি করতে পারে না । কুত্তার বাচ্চারে সংক্ষেপে কুবা বলে । সে অনেক চেষ্টা করে ও নাকি পুরোটা বলতে পারে না ।
আমি এখন বনানি ফ্লাইওভারের উপর বসে আছি । সোডিয়াম লাইটের আলোতে সব গাড়িকে কেমন যেন নতুন নতুন লাগে । ভাঙ্গাচোরা সিএনজিকে ও । ইচ্ছে করলে একটা সিএনজিকে নিয়ে এখন প্রিয়ার বাসার সামনে চলে যাওয়া যায় । বাসার সামনে গিয়ে তারে ফোন করে বলব সিএনজির ভাড়া দে । পৃথিবীর সব রাগ অভিমান ভুলে গিয়ে সে আমাকে জড়িয়ে ধরবে । এখন যাওয়া যাবে না । একটা ইম্পরট্যান্ট কাজ বাকি আছে । তারপর ।
আচ্ছা প্রিয়া এখন কি করছে । খুব রাগ করছে । রাগ করলে কিছু কিছু মেয়েকে খুব সুন্দর লাগে । প্রিয়া ওই কিছু কিছু সুন্দরের তালিকায় পরে গেছে । আর আমি সে কিছু ভাগ্যবান মানুষের তালিকায় আছি যারা এমন সুন্দর মানুষ পায় ।
প্রিয়া এখনও জানালার পাশে উপর বসে আছে । আজ সারারাত সে জানালা পাশে থাকবে । আজ তার একটা বিশেষ দিন । কেউ একজন তাকে কথা দিয়েছিল আজ দেখা হবে । সেই কেউ একজনের জন্য আজ আর অপেক্ষা করে লাভ নেই ।
আকাশে আজ সুন্দর পূর্ণিমা নেই মেঘের জন্য তবে শীতের বৃষ্টি আছে সাথে কুয়াশা । তবে তার মনে ভরা পূর্ণিমা আছে প্রেম আছে আর আছে অপেক্ষার মাঝে এক অপূর্ব মজা । সেই মনের পূর্ণিমায় দেখতে কেমন যেন নেশা নেশা লাগে । এখন নেশার মধ্যে হারিয়ে যাওয়াই ভালো । অরন্য প্রিয়া কে ফোন করে ।
হ্যালো ...............
এত রাতে কেন ফোন দিছ । ফোন রাখ । তোমাকে আমি ফোন দিতে দিতে হাত ব্যথা । মানুষের সাথে মজা করতে করতে আমার সাথেও !প্রিয়া শোন ...... টুট ......... টুট......
ফোনটা কেটে দেয় প্রিয়া । অরন্যের উপর এখন রাগ আরও বাড়ছে । যখন আসার তখন খবর নেই এখন শেষ রাতে আসছে ভালোবাসা দেখাতে ।
“প্রিয়া তোমাদের দারোয়ান ঘুমাচ্ছে । ভিতরে দুকতে পারছিনা । গেটটা খুলে দিবা” ।
এসএমএসটা দেখেই প্রিয়া দোড়ে সিঁড়ির কিনারায় যায় । অরন্য দাড়িয়ে আছে । হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ । গাধাটা ভুলেনি অরন্য কে জড়িয়ে ধরে প্রিয়া ।
এত দেরি করছ কেন । কয়টা বাজে জানো, কিঞ্চিৎ অভিমানের সুরে কথাটা বলল প্রিয়া ।
ফুলের জন্য দেরি হইছে । তাজা ফুল সন্ধ্যায় পাওয়া যায় না । তাজা ফুল শেষ রাতে ফোটে ।
রাত বাড়ছে, ভালবাসার রাত । আকাশে কুয়াশাচ্ছন্ন চাঁদ । চাঁদের আলোয় একজোড়া মানব মানবীর ভালবাসায় সিক্ত হচ্ছে চারিপাশ । শেষ পৃষ্টার ভালবাসার গল্প আজ নাহয় এ পর্যন্তই থাক ।।
না আজ প্রিয়ার সব ফোন বন্ধ ছিল । শেষ রাতে অরন্য তার বাসার সামনে থেকে চলে আসে । একটু শীতল বৃষ্টিতে প্রিয়ার ঘুম ভেঙে লাভ নেই । বরং আমি ফিরে যাই কমলা পুর সেই সব মানুষের কাছে যারা আমার মতো প্রাণী কোন কালে মানুষ ছিল না এই স্বাধীনতা নামে পরাধীন দেশে । আমি চলে আসি আবার সেই সব মানুষের কাছে সস্তা চায়ে চুমুক দিয়ে ফুল গুলো রেখে দেই রেল লাইনের উপর । সকালে কোন পথিক ফুল গুলো পেয়ে তার নিজের মতো করে একটা সুন্দর সকাল উপভোগ করবে । ফুল গুলো পড়ে থাকে রেল লাইনের উপর । ঠিক তার দুই দিন অরন্যের সাথে দেখা হয় তার প্রিয় রেল লাইনের এক প্রেমিকের সাথে । অরন্য কে দেখে বলে -
সে দিন রেল লাইনে পড়ে থাকা ফুল গুলো দেখেই থমকে দাঁড়ালাম! খুব ভোরে যখন মরনেরে ছুতেঁ রেললাইন দিয়ে প্রচন্ডবেগে দৌড়াচ্ছিলাম! আমারও একটা প্রিয়া ছিল! আমিও তাকে কথা দিয়েছিলাম,! প্রিয়া অনেক রাত অবধি জেগেছিল আমায় একটিবার দেখবে বলে আমার প্রিয়া অসুস্থ ছিল! ঘুম ভেংগেছিল দেরী করে, তাইতো ট্রেনটা আমায় রেখে পালিয়েছিল! রাতের কুঁয়াশায় ভেজা ফুল গুলো কুঁড়িয়ে নিয়ে দৌড়াই তাই প্রানপনে একটা সকাল উপভোগ্য হবে বলে, ফুল নিয়ে যখন প্রিয়ার বাড়িব সামনে গেলাম, বাড়ী ভর্তী মানুষ, চারদিকে কোলাহল আমি নীরব নিস্তব্ধ, শিশিরে ভেজা ফুল হাতে পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই, আবাক চেয়ে রই,! আমার প্রিয়া ঘুমিয়ে আছে, অভিমানী প্রিয়া কথা বলে না ! ভাংগা হৃদয়ে ফুল হাতে আবার ছুটতে থাকি আর ভাবী আবার আসব! এবার কুঁড়িয়ে পাওয়া ফুল নিয়ে নয়ে! তাজা ফুল, বাগান থেকে নিজ হাতে তুলে নিয়ে যাব , আমার প্রিয়া কথা বলবে ভালোবাসবে! আমি আবার প্রিয়ার মুখে হাসি ফোটাব! অসুস্থ প্ররিদ্যতাকে বলে এত তাজা ফুল কোথায় পেলে ? প্রিয়া হাতের ফুল গুলো নিয়ে জানতে চায় কোথায় পেলে । প্রিয়া কে হেসে বলে রেল লাইনে । প্রিয়া ফুলের গন্ধ নিয়ে বলে এই ফুলে এত প্রেম কি করে গন্ধ বিলায় জানি কোন পথিকের প্রেমের ছুয়ায় সে আজ এত প্রান খুঁজে পেয়েছে । কুয়াশা এখনো ফুলের পাপড়িতে হীরার বৃষ্টি ঝরিয়ে গেছে ।







মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: মন্দ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.