নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী সাংঘাতিক!কী বীভৎস একটা ব্যাপার।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৩




“সদ্য প্রেমিকার স্তন ছুঁয়ে আসা ছেলেটিও রাস্তায় কোন পতিতা দেখলে আড় চোখে দেখে মনে-মনে পতিতা বলে গালি দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে যার স্তন ছুঁয়ে এসেছে মনের আদালতে সেটাকে পবিত্র করে রেখেছে।”
.
—কী সাংঘাতিক!
.
“অথচ ফ্রিতে যে শরীর ছুঁয়ে এসেছে সেটি তার বিবেকের কাছে পবিত্র, আর কয়টা টাকায় শরীর বিলিয়ে দেওয়া মানুষটি পতিতা। পতিতা একটা উপাধী!”
.
“প্রেমিকের হাতে হাত রেখে কোন রুমে নিজের শরীর মুক্ত করে দেওয়া মেয়েটি আধুনিক। পোশাকের আড়ালে মায়া মতি প্রেমিকা। সে তো পতিতা নয়? সেতো ভালোবেসেই সব বিলিয়ে দেয়।”
.
“অথচ চাইনিজ রেস্তোরাঁয় চাউমিনের সাথে বহু আগে তার শরীরটা দলীল করে দিয়েছে। কিন্তু এখানে পতিতা ট্যাগ দেওয়া সাংঘাতিক অপরাধ। আসলেই তো—কী সাংঘাতিক!”
.
“কারো শরীর ছুঁয়ে কেউ নিজেকে সুখের সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়! আর কেউ শরীর বিলিয়ে কারো মুখে হাসি ফুঁটায়। কেউ আধুনিক আর কেউ সাইনবোর্ড ধারী পতিতা। কেউ যৌনতা উপভোগ করে, আর কেউ পেট ভরতে নিজেকে বিক্রি করে।”
.
—কী বীভৎস একটা ব্যাপার।
.
“কত লেখক পতিতার গল্প বিক্রি করে বিখ্যাত হয়ে গেলো। কিন্তু পতিতারা পতিতা-ই থেকে গেলো। তাদের নামের পাশে বিখ্যাত ট্যাগ লাগেনি। কারণ রাত হলেই পতিতাকে গালি দেওয়া মানুষটি দরদাম কষতে ব্যস্ত হয়ে যাবে।”
.
“আধুনিক প্রেমিকেরা আবার স্তনের ঘ্রানে নিজেকে হারিয়ে ফেলবে। ভোর হলেই মুখ বেকিয়ে পতিতাদের জন্য ঘেন্না প্রকাশ করে যাবে। তারা সামাজিক! আমি বুঝি অ-সামাজিক রয়ে গেলাম!”
.
—উফ্ কী সাংঘাতিক!
------------ সুত্র- ছবি ও লেখা । ধ্যান সর্ব যুগের সাধনা ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কী ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এই ভ্রম তো গেল না।
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা।

যৌনকর্মীরা এই সমাজ ও সমাজপতি এবং অতিশয় ভদ্দরনোকদের দৃষ্টিতে বেশ্যা, পতিতা, বারবনিতা, দেহপসারিণি কিংবা খানকি, ছিনাল, মাগি- এর ‘চে বেশি কিছু নয়। কারণ, সে একাধিক পুরুষের সাথে বিছানায় যায়, যখন-তখন অল্প-বিস্তর টাকার জন্য নিজ দেহটাকে বিলিয়ে দেয়। যা সমাজ স্বীকৃত নয়। যা সমাজের দৃষ্টিতে বেশ্যাবৃত্তি। এরা তথাকথিত ভদ্দরনোকদের দৃষ্টিতে কুলটা, নষ্টা, পথভ্রষ্টটা নর্দমার কীট। সমাজ এদের ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দেয়। সমাজে এদের ঠাঁই নেই। এই সমাজ তাদের জন্য নয়। এই সমাজ অতি সুশীল ভদ্দরনোকদের।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

পবন সরকার বলেছেন: উফ্ কি সাংঘাতিক পোষ্ট রে বাবা!!!!

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চেতনার মহামারি লাগে যখন তখনি এমন হয়!

মুখোশের আড়ালে যখন জীবন- তখনি ভন্ডামি গ্রাস করে
জ্ঞান যখন কেবলি জীবিকার জন্য
সুখ যখন কেবলি উদগ্র যৌনতায়
স্বপন যখন ক্ষুদ্রসীমায় বৃত্তাবন্দি- তখনি এমন হয়!

তবে ছবিটা নিয়ে অনলাইনে অনেক রকম তত্ব, বিতর্ক চলছে!

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ছবিটা বীভৎস !

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

যাযাবর চখা বলেছেন: উফ্ কি সাংঘাতিক ছবি রে বাবা!!!!

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এমন ছবি না দিয়ে অন্য কোন ছবি দিন।

লেখা ভাল কিন্তু ছবিটা ভাল নয়।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূর ভাইয়া আপনার এই একই কথা একটি ছেলের বেলায় হয়ে থাকে। যারা এই সব নোংরামির কাজে যায়। তারাও একই অপরাধে অপরাধি। তারাও আপনার নিচের লেখা অংশের ভাগিদার। সমান এই দুই ব্যাক্তিই এই ভদ্র সমাজের কোন স্থান থাকতে পারেনা। কিন্ত এরাই সমাজে বুক ফুলিয়ে হাটে। এরাই বড় বড় কথার বান্ডার বেড় করে মুখ থেকে। কিন্তু কেন?

গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কী ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এই ভ্রম তো গেল না।
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা।

যৌনকর্মীরা এই সমাজ ও সমাজপতি এবং অতিশয় ভদ্দরনোকদের দৃষ্টিতে বেশ্যা, পতিতা, বারবনিতা, দেহপসারিণি কিংবা খানকি, ছিনাল, মাগি- এর ‘চে বেশি কিছু নয়। কারণ, সে একাধিক পুরুষের সাথে বিছানায় যায়, যখন-তখন অল্প-বিস্তর টাকার জন্য নিজ দেহটাকে বিলিয়ে দেয়। যা সমাজ স্বীকৃত নয়। যা সমাজের দৃষ্টিতে বেশ্যাবৃত্তি। এরা তথাকথিত ভদ্দরনোকদের দৃষ্টিতে কুলটা, নষ্টা, পথভ্রষ্টটা নর্দমার কীট। সমাজ এদের ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দেয়। সমাজে এদের ঠাঁই নেই। এই সমাজ তাদের জন্য নয়। এই সমাজ অতি সুশীল ভদ্দরনোকদের।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

ডানা ভাঁঙ্গা চড়ূই বলেছেন: ছবি ও লিখা দুইটাই ভালো লাগলো।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

মানিজার বলেছেন: সুজা কতা বৈশ্যাগিরি খারাপ । সমাজকে গালি দিয়া এইখানে চুচিলগিরি কৈরা লাভ নাই । খারাপ মানে খারাপই । পতিতাগিরি বন্ধ করতে পারবেন না, কারণ এইটা সমাজের একটি আঁধারি প্রতিষ্টানে রুপ নিয়েছে । সমাজে ভন্ড লুকেরা উপরে ওঠে যাওয়ার কারণেই এই দশা হয়েছে । এইসকল ভন্ডদের বিরুদ্ধে পারলে কিছু করতে পারেন ।

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
@কামরুননাহার কলি ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার প্রতিউত্তর করার জন্য।
এক হাতে যেমন তালি বাজেনা, তেমনি একা একা কেউ খারাপ হতে পারেনা।
চরিত্র খারাপ হবার জন্য বিপরীত লিংগের কাউকে না কাউকে থাকতে হয়।
মেয়েদের নানা বিশেষণে ডাকা হলেও পতিত পুরুষদের কোন বিশেষণ নাই।
তাই তারা থেকে যায় পর্দার অন্তরালে।

১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিবাহপূর্ব বা বিবাহবহির্ভূত শারিরীক সম্পর্ক খারাপ, পাপ ও অনৈতিক। আর ধর্ম না মানলে সবই বৈধ। আর কিছু নারীবাদি তো পতিতাবৃত্তিকেও একটা পেশা হিসেবেই ভাবছে। সমাজকে টেনে এনে লাভ কী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.