নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব সভ্যতা যখন মানব রুপী পশু

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮



‘রাখা হতো টয়লেটে পেটানো হতো অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত’
‘কিশোর গৃহকর্মী আল আমিনের কাজে একটু ভুল হলেই মাথায় তুলে আছাড় মারা হতো। অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত তাকে পেটানো হতো। এরপর টয়লেটে ফেলে রাখা হতো। জ্ঞান ফিরলে একবেলা জুটত পচা খাবার।’ সোমবার ১৬৪ ধারায় আদালতে আসামিদের দেয়া জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেকের (রোড নম্বর ৪, বাসা নম্বর ২৩/২৫) একটি বাসায় গৃহকর্মী আল আমিনের (১২) ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলত। তাকে নির্যাতন করে গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্তা পৈশাচিক আনন্দ পেত। টানা ছয় মাস ধরে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। খেতে না পেয়ে তার শরীর হয়ে ওঠে কঙ্কালসার।
নির্যাতন করেও সাধ মেটেনি তাদের। রোববার ঘাড় মটকে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা গৃহকর্তা শেখ জোবায়ের আলম ও গৃহকর্ত্রী সাইয়্যেদা রহমান আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জোবায়ের, তার স্ত্রী সাইয়্যেদা, শাশুড়ি আনজু আরা পারভীন ও শ্যালক সাকিব আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার দায় স্বীকার করে জোবায়ের ও সাইয়্যেদা সোমবার ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
আল আমিনের চাচা হারুন অর রশীদ জানান, ময়মনসিংহের বাঘাডুবার শিমুলিয়াপাড়ার দরিদ্র কৃষক রুহুল আমিনের চার সন্তানের মধ্যে বড় আল আমিন। অভাবের তাড়নায় ঢাকার এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজে তাকে দিয়েছিলেন তার বাবা। ছয় মাস ধরে তাকে এমন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তার পরিবার।
আদাবর থানার অপারেশন অফিসার সুজিত সাহা যুগান্তরকে বলেন, আল আমিনের শরীরের সর্বত্র ক্ষতচিহ্ন ছিল। তাকে দেখে মনে হয়েছে একটি কঙ্কালের ওপর চামড়া লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এই কঙ্কালসার দেহের ওপর এমন অত্যাচার কল্পনাও করা যায় না। পেশাগত জীবনে এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনা শোনেননি তিনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ছয় মাস আগে জোবায়ের ও সাইয়্যেদা দম্পতির জন্ম নেয়া সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য আল আমিনকে নেয়া হয়। আল আমিনের চাচাতো ভাই মানিক মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মী হিসেবে তাকে ওই বাসায় কাজে দেন। এরপর আল আমিনকে একটিবারের জন্যও ওই বাসা থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। এমনকি পরিবারের সঙ্গে তাকে যোগাযোগ করতেও দেয়া হয়নি।
কাজে ভুল করার অজুহাতে দিনভর সাইয়্যেদা তাকে নির্মম নির্যাতন করত। কখনও তিনি স্কেল দিয়ে, আবার কখনও লোহার রড দিয়ে আল আমিনকে পেটাতেন। গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ব্যবসায়ী জোবায়ের ফিরলে সাইয়্যেদা নানা অভিযোগ দিতেন আল আমিনের নামে। স্ত্রীকে খুশি রাখতে তিনি কখনও রড দিয়ে আল আমিনকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে টয়লেটে রেখে আসতেন। কখনও আছাড় মারতেন। এসব দেখে তার স্ত্রী পৈশাচিক আনন্দ পেতেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান মনি যুগান্তরকে বলেন, তিন মাস আগে আল আমিনের ডায়রিয়া হয়। তখন তাকে টয়লেটে থাকার স্থায়ী বন্দোবস্ত করা হয়। রাত ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাকে টয়লেটে থাকতে হতো। গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী ঘুম থেকে উঠলে আল আমিন টয়লেট পরিষ্কার ও গোসল করে সেখান থেকে বের হওয়ার অনুমতি পেত। সারাদিন কাজ করে রাতে একবেলা তার পচা খাবার মিলত।
আল আমিনকে যেভাবে হত্যা করা হয় : তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শনিবার সকালে কাজে ভুল করার অজুহাতে আল আমিনকে একদফা রড দিয়ে পেটান সাইয়্যেদা। সন্ধ্যার পর জোবায়ের বাসায় বাজার নিয়ে এলে সেগুলো গুছিয়ে রাখতে আল আমিনকে বলা হয়। শরীর অসুস্থ থাকায় সে গুছানোর কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন জোবায়ের ও সাইয়্যেদা তাকে পেটায়। রাত ৮টার দিকে বাচ্চার দুধের ফিডার হাত থেকে পড়ে গেলে সাইয়্যেদা চিৎকার শুরু করে। জোবায়ের স্ত্রীকে খুশি করতে আল আমিনকে মাথায় তুলে ছুড়ে মারে। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে।
ওই অবস্থায় তাকে আবারও পেটায় জোবায়ের। আল আমিন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে টয়লেটে রেখে আসা হয়। তাকে পানির ট্যাবের নিচে রেখে সেটি চালু করে দেয়া হয়। এক ঘণ্টা পর সেটি বন্ধ করা হয়। রাত ১টার দিকে সাইয়্যেদা টয়লেটে গিয়ে দেখে আল আমিন ওই অবস্থায়ই শুয়ে আছে।
তাকে অনেকবার ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে সে প্রচণ্ড রেগে যায়। সে তার ঘাড়ে জোরে লাথি মারে। এতে আল আমিন টয়লেটের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছিটকে পড়ে। পরে টয়লেটের দরজা লাগিয়ে সাইয়্যেদা ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন রোববার সকাল ৭টার দিকে সাইয়্যেদার মা আনজু আরা টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন আল আমিন ওই অবস্থাতেই মেঝেতে পড়ে আছে। তার হাত-পা ঠাণ্ডা। তখন তিনি জোবায়ের ও সাইয়্যেদাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। জোবায়ের স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকে একজনকে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা করে তিনি জানান, আল আমিন মারা গেছে।
মোবাইল ফোনে আল আমিনের পরিবারকে জোবায়ের জানান, আল আমিন গুরুতর অসুস্থ। রোববার সন্ধ্যায় তার চাচা হারুন ও অন্য আত্মীয়স্বজনরা এসে তার লাশ দেখতে পায়। সে সময় জোবায়ের আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আদাবর থানা পুলিশ আসে ।।
সুত্র- অনলাইন

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

শামচুল হক বলেছেন: ঐ নিষ্ঠুরদেরকেও ঘাড় মটকে মারা দরকার।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কি সাংঘাতিক , মেন্টালি পুরাই সিক মনে হচ্ছে । কিভাবে এতো পশু হতে পারে ।
বাচ্চা টার কষ্ট ভাবতেই কেমন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে । এইজন্য বাসায় কাজের ছেলে মেয়ে থাকা বন্ধ করে দেয়া উচিত ।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: এরা কি মানুষ ভাবতে অবাক লাগে , মানুষের পক্ষে কি করে এটা সম্ভব!!!!!!

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

শিখণ্ডী বলেছেন: শিশুটির বাবা-মাকে আগে ধরা দরকার! তাদের ছেলেটিকে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না, কেন? কেমন আছে, এসব কি তাদের মনে উদয় হয় না? কয়টা টাকার লোভে ছেলেকে কাজে পাঠিয়ে খালাস! এ-ধরণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক্‌ই ঘটনা ঘটে, ক্রীতদাসের মত বন্দি করে রাখা হয়, যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না।

এই নরপশুদের জেল, ফাঁসী নয়--আছড়ে আছড়ে মারা দরকার।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

সালেম সুহাইল তাহী বলেছেন: আইয়ামে জাহেলি যুগও পিছে পড়ছে

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: বিত্তশালীরা এসব মানুষকে মানুষ হিসেবে আজও স্বীকৃতি দেয় নি।তারা আজও মনোবৈকল্য রোগে ভুগছে।লালঘরে তাদের চিকিৎসা দরকার।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নির্যাতন হয়েছে এটা সত্য। তবে যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা মনে হচ্ছে সাংবাদিকদের অতিরঞ্জিত। ১২ বছরের একটা ছেলেকে এত মার দিবে আর সে কিছু করবে না এটা মনে হয় না...

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলেছেন: ভাই সে কি বাংলাদেশী? হয়ে থাকলে শিরোনাম টা হওয়া দরকার ছিলো "বাংলাদেশে বাংলাদেশী এখনো নির্যাতন হয়"।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: এই মহিলার যে শাস্তি হওয়ার কথা তা বাংলায় বলতে হয়। ভদ্রতা বজায় রাখার জন্য নাই বললাম কিন্তু এই নরপিশাচ দের যেন জামিন না হয়

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: আমরাও কিন্তু মানুষ!

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমরা এখনো মানুষ হতে পারলাম না :(

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ছিঃ আশরাফুল মাখলুকাতের এই অবস্থা !!!

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: এটা নিষ্ঠুরতার চরম পর্যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.