নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।
এই প্রথম দেখলাম পাগলের বেশে মুক্তিযোদ্ধা...
নাম তার জঙ্গু পাগলা!
সালাম হে বীর । শত সালাম ।।
------------------------------------------------------------
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাছুর আগলা গ্রামে স্ত্রী ও ৬ সন্তান নিয়ে তার বসবাস। এলাকায় তাকে জঙ্গু পাগলা বলে এক নামেই চিনে।
কিন্তু তার আসল পরিচয় হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা জমশেদ আলী ওরফে জঙ্গু পাগলা।
.
একাত্তরে তিনি যুদ্ধ করেছেন ১১ নং সেক্টরে। যুদ্ধক্ষেত্রে তার সঙ্গি ছিলেন ময়মনসিংহের আওয়ামীলীগ নেতা প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। একাত্তরে যুদ্ধে যাওয়ার
আগে তিনি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে কিরসা গান পরিবেশন করতেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে
তিনি ছুটে যান যুদ্ধে। ফিরে এসে যোগ দেয় রক্ষি বাহিনীতে। এরপর ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে
পাগল হয়ে যান। দীর্ঘদিন পাবনা পাগলা গারদে ভর্তি থাকেন। এরপর এলাকায় এসে বসবাস করতে থাকেন।
.
কিন্তু তিনি এখনও মনে করেন দেশ স্বাধীন হয়নি। তাই তিনি প্রতীকি কাঠের তৈরী অস্ত্র কাঁধে নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।
মাথায় জাতীয় ফুল শাপলার পদক, ময়ুর এর পাখা,
পড়নে লাল সালু, হাতে বিভিন্ন আকারের চুরি, কোমরে বাঁধা ৫ টি ছাগল চড়ানো খুটি ইত্যাদি। তার এ বেশভূষা দেখে যে কেউ তাকে সুস্থ মানুষ বলে মনে না করলেও তার সাথে কথা বলে সহজেই বোঝা যাবে না তিনি একজন পাগল। কারণ তার পোষাক-আষাকে পাগল মনে হলেও তার কথা বার্তায় পাগলামির ছাপ
সহজেই বোঝা যায়না।
.
জঙ্গু পাগলা নাম করণের ব্যাপারে তিনি জানান, জং থেকে জঙ্গি, জং মানে যুদ্ধ! অর্থাৎ তিনি জং এর পাগল। কারণ, তার ভাষায়-স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এখনও তিনি যুদ্ধ করে চলেছে।
এলকাবাসীর কাছে ও শুনলাম তিনি একজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা! মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেক ভিক্ষুক, শ্রমিক, চাষি, কারখানার শ্রমিক, রিক্সা চালক, নাইট গার্ডসহ জীবন যুদ্ধে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার কথা শুনেছি এবং দেখেছি। কিন্তু এই প্রথম
দেখলাম পাগলের বেশে মুক্তিযোদ্ধা...
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০১
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: জামাল পুরের সবাি টাকে চিনে
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
দুঃখজনক। আশা করি, সরকারের দৃষ্টিতে আসবে।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সে তো ঠিক কাজটিই করতে চাইছেন, যদি স্বাধীন'ই হবে তো 'রাজাকার' শব্দটি গায়ে লেখে এইদেশে আন্দোলন করার দুঃসাহস পায় কোথা থেকে?!! স্যালুট বাংলার এই বীর সন্তানকে .....।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার জন্য রইলো সুন্দর একটা জীবনের শুভ কামনা ।
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার মানসিক চিকিৎসার দরকার ছিলো; সেই এলাকার মুক্তিযোদ্ধাগণ ব্যাপারটা কি বুঝতেছে না, কে জানে!
৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেবকে হত্যার পর, হত্যাকারীরা রক্ষীবাহিকে আক্রমণের গুজব ছড়ায়, এতে বাহিনীর লোকজনকে চলে যেতে হয়; সেটাও একটা ফ্যাক্টর; হত্যাকারী জেনারেল জিয়ার অপরাধের সীমা নেই।
৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের এইতো অবস্থা। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির নতুন যে সংজ্ঞা এই সরকারের আমলে প্রতিস্থিত হয়েছে সেটা হচ্ছে -
'' আওয়ামিলীগের গোলামি মেনে নিয়ে তাদের সব অপকর্ম ঢাকতে একশ বার' মুক্তিযুদ্ধ' শব্দটা জপুন এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে যেই কথা বলবে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী।এদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করুন''। ব্যাস এটুকু করতে পারলেই আপনার পরিবারকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেয়া হবে, চাকুরি, ব্যবসা , টেন্ডার সব আপনার।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা নিজের প্রান বিপন্ন করে যুদ্ধে গেছে তাদের পক্ষে কি সম্ভব এই অনাচারকে প্রশ্রয় দেয়া? তাইতো তারা হয় পাগল হয়েছে, কেউ কেউ ভিক্ষা করছে আর নাহয় মুখে কুলুপ এটে নিরবে চেয়ে চেয়ে দেখছে তাদের আত্মত্যাগের নিষ্ঠুর পরিনাম।
৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওনার জন্য কি কোন কোটা নাই!!
৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
@ঢাবিয়ান ,
বিএনপি-জামাতের সময় মুক্তিযোদ্ধারা ভালো ছিলেন? আপনার মাথায় মগজ টগজ কিছু আছে তো?
১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: তিনি এখনো মনে করেন দেশ স্বাধীন হয়নি ।আসলে উনি সুস্থ আমরা পাগল ।
এখনো স্বাধীন হয়নি ।
১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সত্যিকারের মুক্তি যোদ্ধার এই অবস্থা আর ভূয়া মুক্তি যোদ্ধারা কত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।
১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: @চাদ্গাজী, জি না জনাব বিএনপি জামাতের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাল থাকার প্রশ্নই উঠে না ।জিয়া ও শেখ নামক দুই ডাকাত পরিবার দেশের স্বাধীনতা হাইজ্যক করেছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে নয় , দুই পরিবারের গোলামির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে।আপনে এক পরিবারের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পক্ষে আর দেশের জনগন দুই পরিবারের বিনাশের পক্ষে।
কেন বার বার মাইকিং করে নিজের গোলামির পরিচয় দিতে এত ব্যস্ত আপনি? বিনা ভোটের নির্বাচনে দাড়াবেন নাকি?
১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৬
কাইকর বলেছেন: এসব সরকারের দৃষ্টিতে আসবেনা।
১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
ব্লু হোয়েল বলেছেন: যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারা সার্টিফিকেট ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন না । প্রত্যক্ষ মাঠে যুদ্ধ করেও রাজাকার আর খুনি খেতাব অর্জন করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । আর যারা কলকাতায় হোটেলে আনন্দ ফূর্তি করে বেড়িয়েছেন আর শরীরে বালাইনাশক মেখে আনন্দফূর্তির চিকিৎসা নিয়েছেন তারা হলেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা । ইতিহাস লেখা আছে খুন করেছে কিছু সেনা কর্মকর্তা যার প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিল স্বগোত্রীয় দলের তৎকালীন একজন মন্ত্রীর ছত্রচ্ছায়ায় । যেখানে মেজর জিয়াউর রহমান বীরপ্রতীক এর নাম খুনের সাথে একটি বারের জন্যও প্রকৃত ইতিহাসে পাওয়া যাবে না । নতুন করে যারা ইতিহাস রচনা করেন তারাই কেবল জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যা দিয়ে থাকেন । যিনি এতগুলো অপকর্মের হোতা সেই মোশতাকও কলকাতার হোটেলের বাসিন্দা ছিলেন ।
১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৭
আবদুল মমিন বলেছেন: ।জিয়া ও শেখ নামক দুই ডাকাত পরিবার দেশের স্বাধীনতা হাইজ্যক করেছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে নয় , দুই পরিবারের গোলামির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে।আপনে এক পরিবারের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পক্ষে আর দেশের জনগন দুই পরিবারের বিনাশের পক্ষে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোথায় দেখলেন উনাকে? উনার পরিবারের কি অবস্হা, কিছু জানেন?