নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবার গন্ধ ।।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১১



কলেজে ক্লাস নেয়া অবস্তায় দেখলাম আমার চেয়ে ছাত্রের ক্লাসের সুন্দরী মেয়ে নুরজাহানের দিকে খেয়াল বেশী । আমি সাইকোলজি পড়াতে এসে খুব ভাল করে দেখলাম সব কলেজে উঠার পড় লিখা পড়ার চেয়ে প্রেমে বেশী মনযোগী ।
ঠিক তিন দিন পড়ে আমি ক্লাসে সবাই কে বললাম- একটা পরীক্ষা নিতে চাই ।
দেখি কে ভাল লিখে । সবাই ভালবাসার জন্য একটা চিঠি লিখ । দেখি ভালবাসা লিখে প্রকাশ কর ।
যাই হউক ৩০ মিনিট পড়ে সবাই লিখা জমা দিল । আমি খাতা গুলো নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । ছাত্র ছাত্রীদের প্রেমের চিঠি পড়ে আমি বুঝতে পাড়লাম দিল্লির লাড্ডু কেন এত মজা । আর যাই হউক প্রেমের জন্য বাঙালির কবি যে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছে গীতাঞ্জলী লিখা না হলে বুঝতাম না।।
একটা চিঠি পড়ে আমি তো নিজেই অবাক ।
লিখেছে প্রিয় স্যার
আমি প্রেমের ফসল , জন্মের পড়ে বাবাকে দেখিনি , মায়ের আত্তহত্যা দেখেছি ।
আমার বাবা আমার সামনে দিয়ে যায় , আমাকে দেখলে নাক বাকা করে ।
বাবার শরীরের গন্ধ আমি পাই । যদি আমার বাবা জায়গায় আমার আপন মামার নাম লিখা তবু কেন জানি বাবা কে বাবা ডাকতে ইচ্ছা করে ।
বাকি লিখটা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে । আমি সারারাত ঘুমাতে পাড়ি নাই ।
পড়ের দিন ক্লাসে সবাই কে বললাম - সবাই প্রেমের চিঠি লিখেছ । তোমাদের প্রেমের চিঠিতে দেশ প্রেম নাই । পিতা মাতার প্রেম নাই । সমাজের প্রেম নাই । ছোটেদের প্রতিপ্রেম নাই , বড়দের প্রতি প্রেম নাই । প্রেম শুধু নার আর নারীর একে অন্য কে ভাল লাগা না। তোমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ।
সবাই খুব লজ্জা পেল । বাবার জন্য এত কষ্ট সেই চিঠি টা ক্লাসের সব চেয়ে সুন্দর মেয়েটার । আমি নুর জাহান কে ১০ বই উপহার দিয়ে বললাম মা তোমার চিঠি
প্রতিটা বাবার জন্য এক বড় পাওনা । ক্লাসের সবার সামনে সেই চিঠি পড়তে পাড়লাম না। কিন্তু অন্তরে গেথে রেখেছি । আমি নুর জাহান কে তার পড় থেকে মা বলে ডাকতাম । ১৯৯৬ সাল ওর বিয়েতে আমি উকিল বাবা হই ।
আল্লাহ মানুষ কে কোথায় নেয় । নুর জাহানের সেই বাবা আজ নুর জাহানের কাছে ।। তার জন্মদাতা বাবা কে শেষ বয়সে সবাই যখন দূর দূর করছে তখন নুর জাহান তার কাছে নিয়ে আসে ।। জগতে শিখার অনেক কিছু আছে ।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

দি রিফর্মার বলেছেন: বর্তমানে প্রেম বলতে আমরা জানি শুধু একজন নর ও নারীর প্রেম। আপনি চমৎকার বলেছেন যে, আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যার মাঝে দেশ প্রেম নেই, অন্য মানুষের প্রতি ভালবাসা নেই আর যেখানে বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা অনুপস্থিত তাদের আবার ভবিষ্যৎ কি? সবাইকে প্রেম-ভালবাসা-মমতার মূল্য শিখতে হবে, তবেই সত্যিকারের প্রেম স্বার্থক হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর ও মর্মস্পর্শী।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

Monthu বলেছেন: মানুষ যখন শশীরের শক্তিধর থাকে যা তা করে। যখন যৌবন থাকে যা তা করে। ভাবেনা। আজকের অকাজ অতিরিক্ত স্বেচ্ছাচার একদিন তাকেই ভুগতে হবে।
আমি এমন দুটি বাস্তব কাহিণি দেখেছি।
১)একজন মেয়ে ছিল। অনেক সুন্দর। তার বিয়ে হয়। আর এক ছেলে এক মেয়ে হয়। তারপর সে তার বাড়ির চাকইরের সাথে প্রেম করে পালিয়ে যায়। ছেলে মেয়ে রেখে। সে ভুল ছিল। সে যাওয়ার সময় স্বামীর বাড়ি হতে টাকা, গয়না নিয়ে গিয়েছিল। ১বছর না যেতেই ওই লোক তাকে ত্যাগ করে। তারপর আরেক জায়গায় বিয়ে করেন সেই মেয়ে। এদিকে তার প্রথম স্বামী আরেকটা বিয়ে করে ফেলেছে। এই মেয়ে আচ্ছা লেখার উদ্দেশ্য সুন্দর একটা নাম দেই। রাবেয়া। রাবেয়া আবার বিয়ে হল। ১০ বছর কেটে গেল।
তার এই স্বামী মারা গেলো। আর সেই খানে ওই স্বামী এতো সম্পদ নাই। কি খাবে কি করবে। এখন রাবেয়া বাবার বাড়িতে এসে পড়ে। তো প্রথম ঘরের যে সন্তান ছিল। সেই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে কালাম (ছদ্দ নাম) তার পুলিশে চাকরি হয়েছে । তবে সেউ কালাম এখনো তার মাকে খোঁজে । কারন সতিন মার কাছে সে কোন আদর পায়নি। কি করবে সে ?

সে একদিন নানীর বাড়ি এল। দেখে তার মা এইখানে। সে জেদ ধরে মাকে নিয়ে যাবে তার সাথে। মা তো যেতে চায়না কিভাবে যাবে। তার কোন মতেই মন চায়না। তারপর এলাকার যারা তার ভাই চাচা ছিল তাকে কম হলেও মাস খানেক বুঝিয়ে সেখানে পাঠালো। এই হল প্রথম কাহিণী।
২) এক লোক বিয়ে করে প্রথম বউ রেখে। তার পর সে বউ মারা যায় প্রথম বউ মারা যাওয়ার পর সবাই একা। সে বৃদ্ধ । তার পর কি হল সেই আগের কাহিণি। সে তার প্রথম বউ এর সন্তানের ঘরে থাকে।


আমরা এতে কি শিক্ষা পাই। সন্তান নিজের হয়। নিজের সুখের জন্য সন্তানকে ফেলে দেয়া ঠিক না। আপনি নারী হোন আর পুরুষ।।।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: নূর জাহানের জন্য শুভ কামনা।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: অভিভূত হলাম, প্রকৃত ভালোবাসায়'ই হয়ত মেয়েটির কাছে শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে তার বাবাকে ।

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আহা, মনটা সত্যি বিষন্ন হল, এমন দূর্ভাগ্য যেন কারো না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.