নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

দরবেশ বাবার কেরামতিতে পাসপোর্ট ।।

১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬


কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে গেলাম একটা জরুরি পাসপোর্ট করার জন্য। জিজ্ঞেস করলাম কত দিন লাগবে। বলল সাধারনত ১২ দিনে পাওয়ার কথা। তবে এখন বই সংকট। ১ মাসও লাগতে পারে।
মন খারাপ করে বাইরে চলে এলাম। অমনি এক দরবেশ বাবা ডাক দিলো। হে বৎস, মন খারাপ করে কোথায় যাচ্ছিস? তোর কি লাগবে আমাকে বল।
বললাম, বাবা আমার জরুরি পাসপোর্ট দরকার। কিন্তু ওনারা বলছে ১ মাসও লাগতে পারে।
হোক মাওলা, দেখি তোর কাগজপত্রগুলো।
তারপর দরবেশ বাবা আমার কাগজগুলো নিয়ে ফচাৎ করে ছিড়ে ফেললেন। তারপর নতুন ফরম দিয়ে বললেন এটা পুরন কর।
বললাম, বাবা আমিতো অরিজিন্যাল কুমিল্লার রসমালাইর মতো খাটি ফার্স্টক্লাশ গেজেটেড কর্মকর্তা দিয়ে সত্যায়িত করে এনেছিলাম। এখন আবার গ্যাজেটেড কর্মকর্তা পাব কোথায়?
বাবা বললেন, আমার চেয়ে বড় কর্মকর্তা আর কে আছেরে এই জগতে। তুই পূরণ কর। সত্যায়িত আমি করব।
ফরম পূরণ করে বাবার হাতে দিলাম। বাবা বললেন হাদিয়া দিয়ে ছবি তুলে তুই যাগা। ঠিক ৪ দিন পর তোকে স্বপ্নে কল দেব। এসে বই নিয়ে যাবি।
বলেন কি বাবা, মাত্র ৪ দিন! এ কি করে সম্ভব! সত্যি করে বলেন বাবা, আপনি মানুষ নাকি জলন্ত অলিল? পাসপোর্ট অফিসের লোকজন বলে ১ মাস লাগবে। আর সরকারি নিয়মে ১২ দিনের নিচে কোন ভাবেই বই পাওয়া যায় না, কিন্তু আপনি ৪ দিনে কিভাবে দেবেন?
এসব তুই বুঝবি নারে, সব উপরওয়ালার লীলা খেলা। তারাতারি টাকাটা দে, উপর ওয়ালাকে দিয়ে আসি।
সাত হাজার সরকারি ফি। আর বাবার হাদিয়া ৮ হাজার। মোট ১৫ হাজার টাকা দিলাম। বাবা কাগজগুলো নিয়ে উপরওয়ালার কাছে চলে গেলেন। এই টাকার ভাগ বাবা একা নেবেন না। ভাগ পাবেন বাবা, তার বাবা, তার বাবা পর্যন্ত।
বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, পুলিশ বাড়িতে যাবে না ভেরীফিকেশন করতে?
তুইতো ভেরী বোকা লোকরে। পুলিশের দুই চোখে দুইটা কচকচে নোট নিয়ে চাপ দিয়ে একটা ফু দেব, অমনি তোর বাড়ি ঘর সব স্বপ্নে ভেরীফিকেশন করে ফেলবে। সব উপর ওয়ালার লীলা খেলারে। হোক মাওলা।
ঠিক ৪ ওয়ার্কিং ডে এর পর আজকে বাবা কল দিলেন। আয় বৎস পাসপোর্ট নিয়ে যা। আজকে ১৩ মে, অথচ ডেলিভারী স্লিপে লিখা ডেলিভারী ডেট ১৬ মে ২০১৯।
সত্যি দরবেশ বাবার হেকমত বড় কড়া। বাবা বললেন, ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার হাদিয়ার বিনিময়ে পাসপোর্ট অফিসের ডাটাবেস থেকে একজনের ফুল ডাটা পর্যন্ত উধাও পর্যন্ত করে দিয়েছেন।
শুনে আমি বাবার চরন দুটিতে লুটিয়ে পড়লাম। বাবা আপনিই সেরা। আপনার পদধুলি দেন।
কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের পশ্চিম পাশের মার্কেটে এমন অনেক দরবেশ বাবা দলে দলে বসে বসে জিকির আসগারে মত্ত আছেন। উপর ওয়ালার সাথে উনাদের ডাইরেক্ট কানেকশন। আপনি চাইলেও উপরওলার নাগাল পাবেন না। যত টাকা দেন কোন লাভ হবে না। উপরওয়ালা আপনার সাথে কথাও বলবেন না। উপরওয়ালাকে পেতে হলে বাবার মাধ্যমে যেতে হবে।
ঠিক কিনা বলেন, ওই কথা বলে না ক্যা?
----------------
বন্ধুর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম মাত্র ।।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: বাংলাদেশি পাসপোর্টের ব্যাপারে আমার অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে, সেগুলা মনে করতে চাই না!

২| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: আমি কিন্ত চট্টগ্রামে ৪টা পাসপোর্ট বের করেছি আমার এবং ফুল ফ্যামিলির জন্য। এক টাকাও বাড়তি দেই নি। একমাসের মধ্যেই পেয়েও গিয়েছিলাম। জমা নেয়ার সময় একটা জিনিস নিয়ে ঝামেলা করছিল। উপরের এর অফিসারের কাছে যেয়ে কমপ্লেইন করতেই কাজ হয়ে গেল।
মুল লেখকের কপাল খারাপ। দেশটা একদম রসাতলে গেল।
ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশ গুছিয়ে লিখেছেন এবার।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহারে! বাবাদের কি মহিমা! ভালো অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন আপু।
শুভকামনা জানবেন।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার অসাধারণ গুছিয়ে লেখা এই নিবন্ধ খানা ব্লগার হাবিব স্যার এর খুব কাজে লাগবে। উনি টাঙ্গাইল জেলা পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করে হাহাকার করছেন। টাঙ্গাইল জেলা অফিসে পাসপোর্ট আনতে গেলে তারা বলছেন আপনার সমস্যা আছে ঢাকা অফিসে যান। ঢাকা অফিসে অনেক কষ্ট দেওয়ার পর তারা বললেন আপনার সমস্যা সমাধান করতে হবে টাঙ্গাইল অফিসে। অতএব দেরি না করে টাঙ্গাইল অফিসে চলে যান জলদি। পুনরায় টাঙ্গাইল অফিসে যাওয়ার পর তারা বলেন , আপনার সমস্যা প্রতি গুরুতর। সমাধান অতি সহজ নহে।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসগুলোর বাস্তব চিত্র আপনি অতি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । আপনাকে অভিনন্দন।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

মানুষ বলেছেন: আপনারা যদি সবাই ঘুষ দেওয়াটা বন্ধ করতে পারতেন তাহলে দেশের অন্য চেহারা হতো। কিন্তু সে তো হবার নয়। বঙ্গসন্তান সকলেরই ভীষণ তাড়াহুড়া। একারণেই সরকারি নিয়মের ১২ দিনও সহ্য হলো না আপনার।

"অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।"

৭| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

অজানা তীর্থ বলেছেন: কথা গুলো অনেক সাজানো আর বাবার আশির্বাদে আমিও ৭ দিনের মাথায় পেয়ে গেছিলাম আর সেটা হলো বাবাদের প্রধান কার্যালয়ে। বাবারা সবই পারেন।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আমার পাসপোর্ট ৬ হাজার পড়েছে,তবে খুব সহজেই পেয়েছি,আর আমার বন্ধুর পাসপোর্টের, অভিজ্ঞতার কথা স্বরণ করলে মন চায় দালালকে গরম ডুবন্ত তেলে চুবিয়ে আনি। শালা আমাদেরকে ৩ মাস ঘুরাইছে ডেট দিতে দিতে। পরবর্তীতে আঁগারগাও পাসপোর্ট অফিসের প্রধান কর্মকর্তা যিনি সেনাবাহিনী মেজর, ওনার মাধ্যমে দালালকেও ধরছি,অতিরিক্ত দেয়া টাকাও আদায় করেছি,পাসপোর্টও পেয়েছি।। আজও ঐ সেনাবাহিনী মেজরের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা দুই বন্ধু।

৯| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৫

সুমন কর বলেছেন: হুম, সব বাবা'র খেলা !!

১০| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি যাবো পাসপোর্ট রিনিউ করতে।

১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৩

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: বাবাদের সাথে দেখা হলে দোয়া নিউ- সময় বাঁচবে

১১| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৯

চাঙ্কু বলেছেন: সাধারণ কপিজ্ঞতাটা আপনি অসাধারণভাবে বর্ননা করেছেন!!

জ্বলন্ত অলিল!!! =p~ =p~

১২| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১:২৯

Hafiz Anwar বলেছেন: নাহিদ ভাইয়ার লেখা কপি/পেস্ট মাত্র।

১৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:০৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনি সত্যি সৌভাগ্যবান যে সময়মতো দরবেশ বাবার দর্শন লাভ করিয়াছেন | দরবেশ বাবাদের বিষয়ে কমবেশি অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে | নি:সন্দেহে তাহারা অসাধারণ কেরামতির অধিকারী | ইদানিং শুনিতেছি বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা বিদেশের প্রতিটি বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ পাইবেন | এইসকল কর্মকর্তাদের কারো কারো চিরুনি ভেরিফিকেশন বিড়ম্বনা হইতে প্রবাসীদের রক্ষার্থে এই সকল দরবেশ বাবাদেরও সকল বাংলাদেশী দূতাবাসে পদস্থাপিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি | :p

১৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

ইমু সাহেব বলেছেন: জয় বাবা !!

১৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: বাস্তব চিত্র অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে ফুড়িয়ে তুলেছেন। অনেক ভাল লেগেছে।

১৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: বাবারা দেশময় এভাবে ঝাঁড়ফুঁক দিয়ে বেড়াচ্ছে নাকি!

জয় বাবা দরবেশ ভোলানাথ :P

১৭| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাস্তবতা....

১৮| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.