নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।
জীবনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে পৌঁছানোর পর, মানুষ যখন পরিপক্ক হয়ে ওঠে, তখন প্রেমের মাপকাঠি বদলে যায়। তখন আর কেউ প্রেমে পড়ার জন্য শুধু সৌন্দর্য, উচ্ছ্বলতা, কিংবা সুগঠিত দেহ খোঁজে না। বরং খোঁজে এমন একজনকে, যার উপস্থিতি তাকে শান্তি দিতে পারে। এমন একজন, যার সঙ্গে থাকলে জীবনের সমস্ত কষ্ট ভুলে যাওয়া যায়, যে তাকে মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
পরিপক্ক মানুষ এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার সঙ্গে কথা বললে মনে হবে যেন নিজেকেই বুঝতে পারছে। যার বুকে মাথা রাখলে মনে হবে, জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জনটি পেয়েছে—কাউকে, যে তাকে নিঃস্বার্থভাবে বুঝতে পারে। এই ভালোবাসা মানসিক শান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যেখানে শরীরী প্রেমের কোনো স্থান নেই। কিন্তু মনের প্রেম থাকে অফুরন্ত।
আমরা মানুষগুলো সারাজীবন কখনও টাকার মোহে, কখনও ক্ষমতার মোহে, আবার কখনও বাজে কোনো অভ্যাসের মোহে ডুবে থাকি। একটি বয়স পার হলে আমরা বুঝতে পারি, আমাদের চারপাশে অনেক লোক থাকলেও আমাদের বোঝার মতো একজনও নেই। এই সময়ে আমরা চাই শুধুমাত্র মানসিক শান্তি।
যখন আপনি বুঝতে পারবেন কারো মাঝে আপনি নিজেকে খুঁজে পান, কোনো চাওয়া-পাওয়া ছাড়াই, তখনই বুঝতে হবে এটাই প্রেম। এই ভালোবাসা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ধরে রাখতে হয়। এটি এমন একটি পরিপক্ক প্রেম, যা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাকে আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে এটাই অনুভব করাবে—"আমি আছি তোমার পাশে, সুখে কিংবা দুঃখে।"
এই পরিপক্ক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ নয়। এটি একে অপরকে বোঝা, সম্মান করা এবং নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার মাধ্যমে গড়ে ওঠে। এই ধরনের সম্পর্ক মানসিক শান্তির প্রধান উৎস হয়ে ওঠে এবং জীবনকে সুন্দর করে তোলে। একজন পরিপক্ক সঙ্গীর সঙ্গে এই প্রেম আপনার জীবনে আনন্দ, শান্তি এবং সন্তুষ্টি এনে দিতে সক্ষম।
তাই, জীবনের এই পরিপক্ক প্রেমের সন্ধানে থাকুন এবং একে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে শিখুন। কারণ, এটাই প্রকৃত ভালোবাসা, যা আপনাকে সবসময় মনে করিয়ে দেবে—আপনি কখনো একা নন।
-------------------- সেলিনা জাহান প্রিয়া
২| ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ৩:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: সুখ নিজেকেই অর্জন করতে হয়।
৩| ১১ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৫২
এস এম আহমেদ মনি বলেছেন: সহমত
৪| ১১ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৫
রবিন.হুড বলেছেন: সুন্দর লেখা। কিন্তু কোথায় গেলে পাবো আমি তারে?
৫| ১১ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন, জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময় তথা পরিণত মননে-বয়সে তথা জীবনে পরিপক্ক প্রেম আসার আগেই যে বেশীরভাগ মানুষের জীবনে অপরিণত/অপরিপক্ক সব প্রেম জীবনকে এমন জটিল-কঠিন করে তোলে যে, পরবর্তীতে আর পরিপক্ক প্রেম নিয়েই যে ভাবার সাহস পায়না বেশীরভাগ মানুষ।
আর যদিও সে আসে তবে তাকেও সাহস করে ভরসা করতে পারেনা। কি যে বিপদ ।
৬| ১১ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২৩
প্রামানিক বলেছেন: হা হা চরম সত্য কথা, বুড়া বয়সে সুন্দরীর চেয়ে গুনধারীর বেশি দরকার।
৭| ১১ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: প্রামানিক ভাই কইছেন, বুড়া বয়সে সুন্দরীর চেয়ে গুনধারীর বেশি দরকার।
৮| ১১ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪
শোভন শামস বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সুখ শান্তি বেশী দরকার এই অশান্ত পৃথিবীতে
৯| ১১ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সর্বাংশে সঠিক। আমার স্ত্রী বলে তার পা টিপার কাজ আমার চেয়ে ভালো কেউ করে না।
১০| ১১ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মৌরি হক দোলা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। কিন্তু এ জগতে শতকরা কয়জন মানুষ প্রকৃত ভালোবাসা খুঁজে পায় আর কয়জন তা পাওয়ার আগেই গাঁটছড়া বেঁধে সারাজীবনের জন্য মানিয়ে নেয়ার খেলায় মত্ত হয়ে ওঠে, এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৪৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: "আমি আছি তোমার পাশে, সুখে কিংবা দুঃখে।"
........................................................................
কোনও দিন নয় ।
এমনই যদি হতো জাকঁজমক করে বিয়ে করে মাত্র ২/৩ বৎসরের মাথায়
ডিভোর্স হতো না । ইউরোপের এই রোগ দিন দিনই আমাদের দেশে
মহামারীর মতো বেড়ে চলেছে ।
পূর্বে দেখতাম পুরুষরা ডিভোর্স দেয় এখন তার চেয়ে বেশী
মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পসন্দ করে ।
যেমন, পরীমনি,প্রভা,মিথিলা,মমতাজ,শমীকায়সার
এরাই তো পথ প্রদর্শক ।
ভালোবাসার সুখ দরজা দিয়ে আসে আর
জানালা দিয়ে পালায় ।