![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
নিকেতন থেকে বের হয়ে মুল রাস্তায় আসলাম ট্যাক্সি কিংবা অটোরিক্সার খোজে। সন্ধ্যে সাতটা বাজেনি তখনো। কর্পোরেট অফিসগুলোতে ছুটি হচ্ছে-এখন ভাড়ায় গাড়ি পাওয়া বেশ কষ্টের। ট্যাক্সি চালকেরা তাদের প্রিয় গন্তব্যে পছন্দের যাত্রীকে নিয় ইচ্ছেমত ভাড়া হাকাতে ব্যাস্ত। দুয়েকটা খালি গাড়ি আসলেই ছুটো যাচ্ছে কয়েকজন-আর মওকা বুঝে চালকেরা ভাব নিচ্ছে। দুয়েকজন হা না বললেও বেশীরভাগই হয় মাথা ঝাকাচ্ছে নয়তো কিছু না বলেই আরো জোরে গাড়ি ছুটিয়ে চলে যাচ্ছে।ঢাকার রাস্তায় এই ট্যাক্সি চালকের দৌরাত্মে নিজেকে বেশ অসহায় মনে হয়।গাড়ি কেনাটা আর তখন বিলাসিতা মনে হয়না-সবচে জরুরি বিষয় বলেই ভাবতে ইচ্ছে করে।মৌলিক চাহিদা অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সাথে গাড়িটাকে জুড়ে দিতে ইচ্ছে করে।
পাশের ব্যাংক থেকে এক রমণী অভদ্রের মত আমাকে টপকে সামনে গিয়ে উল্টোমুখে দাড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে বা হাতে আইডি কার্ডের ফিতেটা ঘুরিয়ে যেভাবে ঠ্যাং নাচাচ্ছিল তা দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল।আমিও ইচ্ছে করলে তার সামনে গিয়ে দাড়াতে পারি কিন্তু সংস্কারে বাধে।
নাহ্ এখানে এভাবে দাড়িয়ে থাকার কোন মানে হয়না।হাতে যখন সময় আছে এর থেকে রিক্সায় গুলশান একনম্বর গিয়ে বাসে করে যাই।সময় থাকলে এমনিতেই অনেক সময় বাসে চড়ি-সেখানে প্রতিমুহুর্তেই নতুন নতুন কাহিনীর জন্ম হয়-শুধু চোখ মেলে বসে কান পেতে শুনলেই হল।
অফিস ছুটির সময় তাই স্বভাবতই এখন বাসে আরো বেশী ভীড়।সৌভাগ্যবশত সিট পেয়ে গেলাম। তিন সিটের দুপাশে দুজন বসে ছিল -মাঝেরটা খালি। বাম পাশের যাত্রীটা হাটু সরিয়ে আমাকে ভিতরে যাবার পথ করে দিলেন। দুজন যাত্রীর মাঝখানে বসাটা আমার বেশ অপছন্দের। একটু বিষন্ন মনে বললাম- ভাই মাঝখানেই পাঠালেন?
লোকটা বেশ ভাল, অমায়িক হেসে বললেন, কেন আপনি সাইডে বসতে চাচ্ছেন?সমস্যা নেই,বসেস-বসেন। বলে তিনি সরে গেলেন।
কি ভুল করলাম পরমুহুর্তেই বুঝলাম। পরের স্টপেজে হুড়মুড় করে বেশ কিছু যাত্রী উঠল। আমার পাশে এসে দাড়াল হাতে পোর্টফোলিও নিয়ে মার্জিত পোষাক পরা একহারা গড়নের লম্বা ফর্সা এক তরুন।বাসে তখনো গাদাগাদি ভীড় নেই পিছনে ফাকায় দাড়ানোর সুযোগ পেয়েও সে কেন দরজার কাছে আমার পাশেই এসে দাড়ালো বুঝলামনা।
বাস ফের চলতে শুরু করল। আমি নিমগ্ন হলাম আমার ধ্যানে।
খানিক বাদে একটু অস্বস্তি! ছেলেটা খুব বেশী ঘেষে আছে আমার বাহুর সাথে।বাসের ঝাকুনি ঢিমে তালে হলেও এস বেশ জোরে জোরে দুলছে। প্রথমে পাত্তা দেইনি ডান দিকে একটু চেপে বসলাম।
পরের স্টপেজে আরো কিছু যাত্রী উঠল।এবার বাস ভরে গেছে-ছেলেটা কিন্তু কোথাও না সরে সেখানেই দাড়িয়ে রইল ঠায়। আবার চলতি বাসে তার ঘষাঘষিতে মালুম হল মামু অন্য কিসিমের!ডাইনে বায়ে সরলাম এদিক ওদিক ঘুরলাম কিন্তু সে তার লক্ষ্যে অনড়। এবার আবার নিজের ভুল ভেবে নিজের মধ্য ডুব দেবার চেষ্টা করলাম। ভেবে ওখানে এক রমনীই দাড়িয়ে আছে-কল্পনায় না হয় একটু আদিম সুখই অনুভব করলাম। কিন্তু না সপ্নের শুরুতেই হোচট খেলাম!কঠিন পুরুষাঙ্গের ঘর্ষন নারীর কোমলতার সাথে যে বড্ড বেমানান। মনে হল উঠে দাড়িয়ে জোরে এক থাপ্পর মারি-শালা বিতলামীর আর জায়গা পাওনা।উমহু ব্যাপারটা শোভন হবেনা-ফের সংস্কারের বাধা!
ঘাড় ঘুরিয়ে ছেলেটার দিকে তাকালাম ভাল করে। ফর্সা র্সুদর্শন লো পাওয়ার্ড চশমা তাকে বেশ ইনোসেন্ট লাগছে।সবকিছু ভুলে বাইরে কিছু একটা আতিপাতি করে এমন ভাবে খুজছে যে নিন্মাঙ্গের কোন বার্তাই তার মগজে গিয়ে পৌছায়নি। দুটো মাথা দুই ভাবনায় ব্যাস্ত।তার উদ্দেশ্যে কয়েক ডজন গালি জিভের অগ্রভাগে এসে কিলবিল করল শুধু।
আপনি কি জানেন কত শত পুরুষ শিশু কিশোর পুরুষদের দ্বারা ধর্ষিত হয় প্রতিবছর?
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সমকামিতাকে ঘৃনা করি কিন্তু সমকামীকে নয়(অনেকটা পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়-এর মত),কেননা তারা কোনমতেই বিপরিদ লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন অনুভব করেনা।এটাতো স্বীকৃত যে সমকামীতা একধরনের অসুস্থতা-প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর খেলার কাছে তারা অসহায়!অতএব তাদের ঘৃনা করাটা বোধ হয় ঠিকনা।।
কিন্তু সারা বিশ্বেই অন্য এক ধরনের সমকামী বা উভকামীর দেখা মিলবে। এদের কোন বাছ বিচার নেই। বিপরিদ লিঙ্গের কাউকে না পেলে এরা সমলিঙ্গের সাথেও দৈহিক মিলনে লিপ্ত হতে দ্বীধা করেনা। নিজের রিপুকে দমন করার জন্য এরা যে কোন পন্থা অবলম্বন করে।আমাদের দেশের মত ধর্মীয় কারনে বা সামাজিক ভাবে রক্ষনশীল দেশেই এদের আধিক্য। অবশ্য সবখানেই একঘেয়েমীতা বা রুচি পরিবর্তনের জন্য কিছু মানুষ সমকামীতায় আগ্রহী হয়।
অল্প চেনা অতিচেনা কিংবা অচেনা কোন সবল পুরুষের কাছে একই বিছানায় যখন আমরা একটা কিশোরকে আমরা ঘুমোতে পাঠাই নিশ্চন্তে তখন কি একবারও ভাবি-কি ভয়াবহ একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে সেই একটা রাতে?সেই কিশোরটি কাউকে বলতে পারেনা-হয়তো কেউ বিশ্বাস করবে না ভেবে।কি নিদারুন ভয়ঙ্কর লজ্জা অপমান গ্লানীতে নীল হয়ে সে মুষড়ে থাকে-সারাটাজীবনই হয়তো সে মনের একান্ত গহীনে সে কষ্টটাকে বয়ে বেড়ায়।
ঠিক তেমনি একটি ভয়ঙ্কর ধর্ষনের ঘটনার বর্ণনা করছি আমার এক অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নিজের জবানীতে;
তখন বয়স ১১/১২ হবে।নারীদের প্রতি অল্প বিস্তর আকর্ষন বোধ করি, রুপ দেখে বিমোহিত হই, কল্পনায় সপ্ন গিজগিজ করে রুপকথার আদলে। সন্তান উৎপাদনের পুরোপুরি প্রক্রিয়া থকনো জানা হয়নি।যৌন বিষয়ক কথাবার্তা বহুবার পিউরিফাইড হয়ে কানে আসে।
ভাবতাম যৌন সম্ভোগ শুধু খারাপ লোকেরাই করে।আমার পরিবার,পরিবেশ আর আশেপাশের কালচার এইভাবেই আমাদের শিখিয়েছিল।নিরাভরন নারিদেহ দেখার দুর্নিবার আকাঙ্খা থাকলেও সেইটে ছিল শুধু নিষিদ্ধ কোন কিছু চোখ দিয়ে স্পর্শের আকাঙ্খায়।
ইন্টারনেট টিভির দৌরাত্ম আর খোলামেলা ছবির আগ্রাসনতো তখনো শুরু হয়নি-তাই এই প্রজন্মের থেকে অনেকখানি পিছিয়ে ছিলাম তখন।
সমকামী ব্যাপারটা তখন ধারনার মধ্যেই ছিলনা।একসাথে গাদাগাদি লেপ্টালেপ্টি করে শত শত পুরুষ নারী শুয়ে থাকলেই কি-নির্জলা বন্ধুত্ব কিংবা আত্মিক সম্পর্ক ছাড়া তাদের মধ্যে অন্য কোন সম্পর্ক থাকতে পারে সেইটে কল্পনা থেকে বহু লক্ষ্য যোজন দুরে ছিল।
সেই পুচকে বয়সে আমার দুই বোন আমাকে বডিগার্ড হিসেবে নিয়ে গেল বেড়াতে আমাদের দুরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে।সম্পর্ক দুরের হলেও তাদের আন্তরিকতাও আতিথিয়েতা ছিল দারুন।জোড়াজুড়িতে সেই রাতে সেখানে থেকে যেতে বাধ্য হলাম সবাই।মেয়েদর থাকার জায়গার ব্যাবস্থা হলেও আমাকে নিয়ে পড়ল ফ্যাসাদে!তখন না বড় না ছোটর দলে।
অবশেষে আমার জায়গা হল তাদেরই ভাড়া দেয়া এক মেস বাড়িতে।মাঝারি একটা রুমে তিনখানা খাট। তিনজন বোর্ডার মাত্র। জায়গা হল তন্মধ্যে বেশ বড় একখান খাটে সজ্জন এক বোর্ডারের সাথে।
তখনো হাফ প্যান্ট পরি। গায়ের জামাখানা খুলে রেখে বিছানায় শরির এলিয়ে দিলাম।
এরকম পরিবেশ আমার জন্য একদম নতুন -অপরিচিত কারো সাথে ঘুমাইনি কখনো, তাই প্রথমে একটু অস্বস্তি লাগলেও জার্নি আর হুটোপাটার ধকলে ক্লান্ত আমি ঘুমিয়ে পরলাম পরক্ষনেই।
গভীর রাত; ঘুম ভেঙ্গে গেল-দম আটকানো অস্বস্তি কর একটা চাপ অনুভব করছিলাম।
ঘুম ঘোরে ভেবছিলাম সপ্ন দেখছি-পরমুহুর্তেই ফিরে এলাম বাস্তবে।ভীষন আতংকিত হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার পাশে শুয়ে থাকা সবল রোমশ পুরুষটা আমাকে জোরে চেপে ধরে তার উত্তিথ পুরুষাঙ্গ দিয়ে আমার দুপায়ের ফাকে জোরে জোরে ঘষছে। সারা দেহ থরথর করে কেপে উঠল আমার ভীষন ভয় পেয়ে গেলাম।তবুও মনে ভীষন সাহস সঞ্চয় করে ঝাড়া দিয়ে উটে বসে আতংকিত কন্ঠে বললাম- এসব কি করছেন?
লোকটা আচমকা আমার কাছ থেকে এমন প্রতিরোধ আশা করেনি- সেও ধড়মড় করে উঠে বসে-কাপা কাপা কন্ঠে এক্কেবারে কিস্যু জানেনা এমন ভঙ্গীতে বলল,কেন কি করেছি?
-আমি আরো জোড়ে চেঁচিয়ে উঠলাম, মানে আপনে জানেননা কি করেছেন? আমি সবাইকে বলে দেব।
তখুনি সে আমার মুখ চাপা দিয়ে হিস হিস করে উঠল, খবরদার কাউকে বলবা না তাইলে খুন করে ফেলব।‘
পাছে ঘুমিয়ে পড়লে সে আমাকে মেরে ফেলে সেই ভয়ে আতংকে সারারাত আমি ঠায় বসে ছিলাম সেখানটায়। ভোরের দিকে হয়ত একটু তন্দ্রার মত এসেছিল-ফের চোখ মেলে চাইতেই দেখি বিছানা ছেড়ে পালিয়েছে সে- সকালের মিষ্টি রোদের আলো ভরে আছে সারা ঘর।
ভোরের আলোর স্পর্শে হয়ত আমি ভয় মুক্ত হয়েছিলাম-তবু সেই রাতের স্মৃতি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে আরো বহু বছর।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৪৮
আতিকুর রহমান সুমন বলেছেন: আপনার লেখার শিরোনাম দেয়া উচিত ছিল যৌণ হয়রানি।
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: সমকামী নিয়ে একটা ধারাবাহিক লেখার ইচ্ছে আছে। সেই ধারাবাহিকের অংশ এটা।
তাই আর শিরোনাম পরিবর্তন করিনি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৫০
অলস ছেলে বলেছেন: অতীব সত্যকথন। ধন্যবাদ সুন্দর করে লেখার জন্য।
অনেকসময় আমাদের বদ্ধ সমাজে এই ধরণের চাপা পড়া ঘটনার শিকার হয়ে কেউ কেউ পরবর্তীতে নিজেরাই মানসিক ভাবে বিকৃত হয়ে পড়ে, যেটা খুব মর্মান্তিক। ছোট বাচ্চাদেরকে এভাবে মর্ষকামীতার স্বীকার হতে দেখেছি কয়েক সময়, এমন সব মানুষদের হাতে, নিজের চোখকেই প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। প্রথমে ভেবেছি, আমার মনের ধারণার সমস্যা আছে। কিন্তু পরে নিশ্চিত হয়েছি। এক্ষেত্রে আমি আর কাউকেই বিশ্বাস করতে পারিনা। এর সমাধান ও আমি দেখি, একমাত্র নৈতিক শিক্ষা আর ধর্মের মূল সুর বুঝতে পারার মধ্যেই আছে।
__________________________________________
আপনার বন্ধুর ঘটনা কি চট্টগ্রামের? আশা করি, না। সবাই শুধু চট্টগ্রামের দোষ দেয়। শয়তানীর বেলায় সব সেয়ানা
"সবকিছু ভুলে বাইরে কিছু একটা আতিপাতি করে এমন ভাবে খুজছে যে নিন্মাঙ্গের কোন বার্তাই তার মগজে গিয়ে পৌছায়নি"
বুঝলাম, আপনি সুদর্শন।
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অলস ছেলে' আপনার সূদীর্ঘ-সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সহমত।
না চিটাগাং এর নয়। সারা দেশেই এধরনের বিকৃতকামী লোকদের দেখা মিলবে। এরকমন ঘটনার শিকার আমি নিজেও হয়েছি।
ভাল থাকবেন।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:০৭
অরণ্য আনাম বলেছেন: সমকামীতা নিয়ে আমরা কয়েক জন বেশ কিছু তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রঞ করেছি এবং করছি। এই নিয়ে আমার ধারাবাহিক পোষ্ট দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে কাজের চাপে তা হয়ে উঠছে না।
তার আগেই আপনি এমনই একটি পোষ্ট দিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:১০
শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা কি আপনাদের গুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করুন না।
সমকামীতা নিয়ে সবার ধ্যান ধারনা আর অভিজ্ঞতা তো একরকম নয়।
খুব শিগ্রী আপনাদের সেই তথ্যবহুল লেখাগুলো পাব আশা করি।
ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:১৩
হাসান বায়েজীদ বলেছেন: আপ্নার লেখার ক্রমশ:ই একজন বিদগ্ধ পাঠক হয়ে উঠছি
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি!!আমার সৌভাগ্য
ধন্যবাদ-ভাল থাকবেন।
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:১৪
রিজভী বলেছেন: ভালো একটি বিষয়কে আলোচনায় তুলে এনেছেন।
+
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই রিজভী মন্তব্য আর প্লাস দুটোর জন্যই ধন্যবাদ
৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩৪
'লেনিন' বলেছেন: যতদূর জেনেছি সমকামীরা আসলে অনেকটাই প্রকৃতির খেয়ালে তৈরি। তাদের ঘৃণা করা বোধহয় ঠিক নয়। তবে আপনি প্রথম যে জনের কথা বললেন সে অপ্রকৃতিস্থ হয়তো উভকামীও।
দ্বিতীয়টি পেডোফাইল।
"অলস ছেলে বলেছেন: বুঝলাম, আপনি সুদর্শন। "
হা হা আপনি আবার সমকামী নাতো?
আমার অভিজ্ঞতায় বাসে এক মধ্য বয়স্ক ভদ্র সমকামীর সাথে পরিচয় ঘটে। তার বিশেষ ধরণের মেয়েলি অঙ্গভঙ্গি এবং কথা বলার ধরণে বুঝতে একেবারেই কষ্ট হয়নি। আমার ছোটভাই সাইডের সিটে বসা থাকায় লোকটি তার পাশে এসে দাড়িয়ে আলাপ... ইত্যাদি আর সব কথাতেই প্রচণ্ড আগ্রহ। মোবাইল নম্বর নেবে ইত্যাদি উফ.. নানাভাবে সে দীর্ঘসময় আলাপের চেষ্টা চালালো। তার স্টপেজে না নেমে আমাদের স্টপে এসে নামে। তার বাসায় নিমন্ত্রণ... চায়ের সাথে মৃদু লয়ে গান বাজবে সাথে চা। হা হা হা
তো আমার মেজাজ প্রচণ্ড চড়ে যাচ্ছিল তাই বললাম আপনি হয়তো সমকামী কিন্তু আমরা নই। এমন কাঁঠালে আঠা.. সে এক অভিজ্ঞতা বটে!
কিন্তু তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে সমকামীদের ঘৃণা করিনা।
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:১২
শেরজা তপন বলেছেন: হা হাঃ
এই লেনিন কি সেই লেনিন?
অত বিনয়ের ধার না ধেরে বলতে পারি সুদর্শন না হলেও কু-দর্শন নই।প্রথম যৌবনে দু-চরজন আধা রুপসী প্রেম বার্তা টার্তা পাঠিয়েছিল-এখন আর তেমন করে আড়ে-ঠারে তাকায় না।বুঝলাম বয়স হয়েছে! তবে আমি কিন্তু ভাই কোন রকম বিকৃত যৌনাচারে আগ্রহী নই।
আপনার ঘটনাটাও বেশ মজার।
ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৮
তারিক রিদওয়ান বলেছেন: আমার মনে হয় বর্তমানে কমপক্ষে ২০% শিশু এই নির্যাতনের শিকার হয়।
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রিদওয়ান।আমারও ধারনা তেমনই হবে।
১০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০৫
কাঙাল মামা বলেছেন: সবকিছু ভুলে বাইরে কিছু একটা আতিপাতি করে এমন ভাবে খুজছে যে নিন্মাঙ্গের কোন বার্তাই তার মগজে গিয়ে পৌছায়নি। দুটো মাথা দুই ভাবনায় ব্যাস্ত।
হাহাহাহাহাহাহাাহাহা
আমিও ব্যাক্তিগত ভাবে সমকামিতাকে ঘৃনা করি কিন্তু সমকামীকে নয়
+
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: মামা, সহমতের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫০
আমি এক যাযাবর বলেছেন: আমাদের দেশে এটা নিয়ে কথা বলা উচিত। আমরা লজ্জায় অনেক কিছু লুকিয়ে যাই। - ভাল পোষ্ট।
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমরা শুধু নারী নির্যাতন নিয়েই মাঠ বা মিডিয়া গরম করি কেউ কিন্তু পুরুষ শিশু-কিশোরদের যৌন নির্যাতন নিয়ে কিছু বলে না। এসব নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা হওয়া উচিৎ ।
১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ...... এই বিষয়ে আরও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে ......
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে প্রীত হলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন -সহমত
১৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:০৪
'লেনিন' বলেছেন: জ্বী, ইহাই সেই
আছেন কেমন?
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি?? অবশেষে এইখানে দেখা। এই আছিরে ভাই- মহাব্যাস্ত!
ওই ব্যাপারটা নিয়ে আমি সরাসরি ব্লগ সঞ্চালকের সাথে কথা বলেছি। এই নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবেখন।
খুব ভাল লাগল আপনাকে এইখানে দেখে
ভাল থাকবেন
১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৫৯
ঊদভ্রান্ত বলেছেন: সুন্দর লেখা।ব্যবসাতে প্রফেশনাল না হতে পারলে লেখালেখি তে হয়ে যান।সফলতা ১০০%।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
যা বলেছেন!!!
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরোপুরি সফল আমি কখনোই কোন কাজে কোনদিন হতে পারবনা আমার ইনটুইশন তাই বলে।
১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮
আমিই স্রোত বলেছেন: গে নিয়া লেকা!!!
ইয়াক্ক!
পড়তেই ঘিন ঘিন করটাচে!
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি? কি বলেন!!
পুরোটা পড়ে এই কথা বললেন নাকি না পড়েই শুধু মন্তব্য?
লেখাটা কেমন হয়েছে তাতো বললেন না?
তবুও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৩৭
মুহিব বলেছেন: অতি অতি ভাল একটা ব্যাপার আপনি সামনে এনেছেন। আমাদের সবার এলার্ট হওয়া দরকার।
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে
১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১
অরণ্যচারী বলেছেন: ভালো লিখেছেন। +
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:০২
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অরন্যচারী
১৮| ০১ লা মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অতীব সত্যকথন।
০৩ রা মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১৯| ০২ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৩২
গাং চিল বলেছেন: আমি ও ব্যাক্তিগত ভাবে সমকামিতাকে ঘৃনা ।কিন্তু কিছু কিছু পাপীর
পৃথিবীতে না থাকাটা জরুরী।আমি মনে করি মানুষ মাত্রই একটা নির্দিষ্ট পরিমানে বিকৃত মষ্তিস্কের থাকে।সমকামীতা দের একটু বেশি।এদে চিকিৎসা হলে ভাল হতে পারে......................
মানবাধিকার নিয়ে আমার একটি লেখা আছে ইছে কোরলে
এটু পড়বেন
২০| ০৩ রা জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪
সন্দীপন বসু মুন্না বলেছেন: ভাল লিখেছেন ।
ধন্যবাদ।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যভাদ। ভাল থাকবেন
২১| ০৩ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৫০
দীপান্বিতা বলেছেন: 'লেনিন' বলেছেন: যতদূর জেনেছি সমকামীরা আসলে অনেকটাই প্রকৃতির খেয়ালে তৈরি। তাদের ঘৃণা করা বোধহয় ঠিক নয়।
'আমিও ব্যাক্তিগত ভাবে সমকামিতাকে ঘৃনা করি কিন্তু সমকামীকে নয়'
মুহিব বলেছেন: অতি অতি ভাল একটা ব্যাপার আপনি সামনে এনেছেন। আমাদের সবার এলার্ট হওয়া দরকার।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ।
মুহিব ও লেনিনকে ফের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।
২২| ০৩ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:০৮
অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। +
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:২৪
সিদ্ধার্থ আনন্দ বলেছেন:
অ্যালান গিনসবার্গকে আমাদের এক কবি বলে ছিলেন তিনি প্রথম যৌবনে সমকামী ছিলেন (অ্যালান গিনসবার্গ নিজেও তাই ছিলেন)। এটা দুই-তিন বছর আগে আমাদের সেই লম্বা দাঁড়ি বিশিষ্ট কবি সাহেব স্মৃতি কথায় দেশীয় এক পত্রিকায় লিখেছিলেন।
আমার এক বন্ধু ঢাকায় গিয়ে সমকামী সমাজে নাম লেখাইছে। এরপর থেকে ওর কোন ধরণের ছোঁয়ায় গা ঘিনঘিন করে। ও যতই যুক্তি দেখায়, আমার মনে হয় যে যথেষ্ট সিক। বব না কি যেন নাম দিয়ে তাদের একখানা সমকামী গ্রুপ আছে। মাঝে মাঝে নানা কর্মশালা, মুভি শো টো করে।
আপনার বন্ধুর মতো আমার এক বন্ধুর জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছিল সে শৈশবে, এখনো সে ঘটনা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সে যখন এ ঘটনা আমাকে বলেছিলো বুঝেছিলাম কি সহনীয় যন্ত্রনা সে দিনের পর দিন বয়ে বেড়াচ্ছে। তাই আমাদের নিজের ছোট ভাই-বোন, সন্তানদের নিয়ে সাবধান হওয়া দরকার।
ধন্যবাদ। জরুরী পোষ্ট।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: অ্যালাস গিনবার্গকে নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার 'ছবির দেশে কবিতার দেশে' উপন্যাসে বিস্তারিত লিখেছেন।
আপনার বন্ধুর সুস্থতা কামনা করছি। সে যদি প্রকৃতিগতভাবে সমকামী না হয়ে শুধুমাত্র সখের বশে সমকামী হয় তাহলে তাকে ঘৃনা করাই স্বাভাবিক।
সহমতের জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ০৫ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:০৩
মুক্ত বয়ান বলেছেন: লেখেন, লেখেন.. যত বেশি লেখা যায়.. দরকার সচেতনতা।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: চেস্টা করব-ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
মৃত৬৬৬ বলেছেন: আমাদের বদ্ধ সমাজে ওদের অবস্থা সত্যিই দূর্বিষহ। আমি আমার বন্ধুর কষ্ট দেখেছি। আমি ওকে আমেরিকা চলে যেতে বলেছি।
পোস্টে প্লাস।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন-ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৪৮
আতিকুর রহমান সুমন বলেছেন: ঘৃণা করা ভালো না।