নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে সবচেয়ে বড় ছিল ? (একটি কিরিগিজ রুপকথা)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭


কিরগিজের এক গ্রামে বাস করত তিন ভাই। ওদের সম্পত্তি বলতে ছিল শুধু একটা ষাঁড়। জীবিত অবস্থায় এটাকে কিভাবে তিনভাগে ভাগ করে নেয়া যায় এর কোন যুক্তিসম্মত উপায় বের করতে না পেরে প্রথমে ভাবল ওটাকে বিক্রি করে ফেলবে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে কয়েক গ্রাম ঘুরে এমন কোন ধনীকে খুঁজে পেলনা যার ওই সাড় কেনার সামর্থ্য আছে! একবার ভাবল ষাঁড়টাকে কেটে টুকরো টুকরো করে মাংস ভাগ করে নিবে। কিন্তু না তখুনি তারা মাথা থেকে এ চিন্তা তাড়িয়ে দিল। এত প্রিয় ষাঁড়টাকে কেটে ফেলতে তাদের খুব কষ্ট হবে।
অবশেষে বহুদূরে এক গাঁয়ের কোন এক বিচক্ষণ প্রবীণ লোকের কাছে পরামর্শ চাইল,কি করে ষাঁড়টাকে সমান ভাবে তিনজনে মিলে ভাগ করে নেয়া যায় ।
তিনি বললেন ষাঁড়টাকে তার কাছে নিয়ে আসতে। তারপরে বলবেন কি করে এটাকে ভাগ করা যায়।
তিন ভাই বাড়িতে ফিরে এসে পরদিন অতি প্রত্যুষে ষাঁড়টাকে নিয়ে চলল সেই বিজ্ঞ প্রবীণের কাছে। যাবার পথে বড় ভাই হাঁটছিল আগে আগে ,ষাঁড়ের দড়ি ধরে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সে, মেঝো ভাই ছিল মাঝে আর ছোট ভাই গরু তাড়াবার একটা লাঠি নিয়ে ষাঁড়টার পিছু পিছু। পথে যেতে যেতে তাদের দেখা হল এক পূর্ব পরিচিত ঘোড় সওয়ারীর সাথে।
সে ঘোড়া থামিয়ে প্রথমে বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করল,
- কি ব্যাপার ষাঁড় নিয়ে চললে কোথায়?
- যাচ্ছিরে ভাই ওই দুরের পাহাড়ের পাদদেশের এক গ্রামের বিজ্ঞ প্রবীণের কাছে। তিনি বলেছেন ষাঁড়টাকে নাকি আমাদের তিন ভাইকে সমান ভাগে ভাগ করে দিবেন!
- তাই নাকি ! খুব ভাল । ঠিক আছে,ফের দেখা হবে - বিদায়।
শুনুন বড় ভাই তাকে ডেকে বলল,
-কিছুদূর গেলেই আমার মেজো ভাই এর সাথে দেখা হবে । তাকে আমার শুভেচ্ছা দিয়ে বলবেন, আমরা আশা করি সন্ধ্যে নাগাদ ওই গ্রামে পৌঁছে যাব, সে যেন চিন্তা না।
- ঠিক আছে বলব।’ বলেই ঘোড় সওয়ারী বিদায় নিল।
দুপুর নাগাদ তার সাথে দেখা হল মেঝো ভাই এর সাথে। ঘোড় সওয়ারী কাছে গিয়ে কুশল বিনিময় করে বলল,
-তোমার বড় ভাই তোমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছে, চিন্তা না করতে ।সন্ধ্যে নাগাদ নাকি তোমরা ওই গ্রামে পৌঁছে যাবে।
- ও তাই ধন্যবাদ তোমাকে। আরেকটু সামনে এগিয়ে আমার ছোট ভাই এর সাথে দেখা হলে বলবে সেও যেন চিন্তা না করে। আমরা ভাল আছি। আশা করি সন্ধ্যের আগেই গন্তব্যে গিয়ে পৌছব।
-ঠিক আছে বলব। আপনাদের যাত্রা শুভ হোক।’ বলেই অশ্বারোহী ফের ঘোড়া ছোটাল তার পথ ধরে।
বিকেল নাগাদ দেখা পেল ছোট ভাইয়ের। সে লাঠি নিয়ে ষাঁড়ের পিছু পিছু এগিয়ে আসছে।
সামনে এগিয়ে গিয়ে কুশল বিনিময় করে ঘোড় সওয়ারী বলল;
- আসার পথে তোমার মেঝো আর বড় ভাই এর সাথে দেখা হয়ে ছিল। তারা তোমাকে শুভেচ্ছা দিয়ে বলেছে চিন্তা না করতে। সন্ধ্যে নাগাদ নাকি ওই গ্রামে পৌঁছে যাবে।
- তাই। তোমাকে ধন্যবাদ ভাই। আমি আরও ভয়ে ভয়ে মরছি। রাত হয়ে গেলে-তো বেশ বিপদে পড়ব।
- আপনাদের যাত্রা শুভ হোক। ফের দেখা হবে।’ বলে বিদায় নিয়ে অশ্বারোহী তার তার গন্তব্যের পথে ঘোড়া ছোটাল।
-------------------------------------------------------------------------
ঠিক তখুনি ঘটল এক ভয়াবহ অঘটন! আচমকা বিশাল এক ঈগল এসে ষাঁড়টাকে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে মেঘের আড়ালে হারিয়ে গেল! তিন ভাই বোকার মত শুধু হা করে চেয়ে চেয়ে দেখল । কিন্তু ওদের কিছুই করার ছিলনা। পথের মাঝেই সারারাত বসে থেকে সকাল হলে ভীষণ মন খারাপ করে খালি হাতে বাড়ির দিকে ফিরে চলল।
ঈগলটা সেই বিশাল-দেহী ষাঁড়কে তার নখের থাবায় ধরে উড়ে উড়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিল মনমতো কোন বসার জায়গা। উড়তে উড়তে তার নজরে এল তৃণভূমিতে চড়ে বেড়াচ্ছে বিশাল এক ছাগলের পাল। ওর মধ্যে বেশ বড়সড় একটা ছাগলের দিকে তার নজর গেল। ছাগলটার উঁচু উঁচু শিংগুলোকে বেশ শক্তপোক্তই মনে হল। ঈগলটা চুপিসারে ধীরে ধীরে নেমে বসল সেই ছাগলের শিংয়ের উপরে। সেখানেই বসে আরামসে ষাঁড়টাকে ছিঁড়েফুড়ে খেল আর ষাঁড়ের হাড়গুলো সে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলল এদিক ওদিক।
----------------------------------------------------------------------
ঠিক তখুনি শুরু হল বৃষ্টি। ছাগপালক তাড়াহুড়ো করে তার ছাগলের পালকে বৃষ্টির ছাট থেকে বাঁচানোর জন্য জড়ো করলো সেই বড় ছাগলটার দাড়ির নীচে।
-----------------------------------------------------------------------
আচমকা সেই ছাগ-পালক তার বা’চোখে অনুভব করল তীব্র ব্যথা। সে ভাবল ‘চোখে নিশ্চয়ই কিছু একটা ঢুকছে’।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ব্যথা উঠল চরমে! তাড়াহুড়ো করে ছাগলের পালকে খোঁয়াড়ে রেখে,গ্রামের সবাইকে ডেকে বলল,
-‘তাড়াতাড়ি আমার জন্য ডাক্তার নিয়ে আসো। আঃ! মনে হচ্ছে পাথর কণা ঢুকেছে চোখের মধ্যে। খুব যন্ত্রণা হচ্ছে।’
তার ব্যথার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে গ্রামের লোকেরা হুড়োহুড়ি দৌড়াদৌড়ি করে জনা চল্লিশেক ডাক্তার জোগাড় করে নিয়ে এল। ডাক্তাররা চল্লিশটা নৌকায় চেপে নেমে পড়ল ছাগ-পালকের চোখের মধ্যে!
বহুক্ষণ ধরে তারা চোখের ভিতর নৌকা বেয়ে আবিষ্কার করল একটা হাড়! সেটা ছিল সেই ষাঁড়েরই চোয়ালের হাড়ের একটা অংশ।
ডাক্তাররা ছাগ-পালকের চোখের মধ্যে থাকা হাড়টা-বের করে দিয়ে ফিরে যাবার পথে সেটাকে ফেলে দিয়ে গেল গ্রাম ছাড়িয়ে বহুদূরের এক জঙ্গলে।
কিছু সময় বাদে একদল যাযাবর সেই পথ দিয়েই যাচ্ছিল- যেখানটায় ডাক্তারদের ছুড়ে দেয়া হাড়টা পড়ে আছে।
রাত সমাগত,বনের মাঝে একটা লবণের গুহা দেখে তারা ভাবল আজকের রাতটা এখানেই কাটিয়ে গেলে কেমন হয়? সবাই মিলে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিল আজকের এখানেই থাকবে।
চারিদিক থেকে শুকনো কাঠ জোগাড় করে আগুন জ্বেলে তার পাশে সবাই মিলে গোল হয়ে বসে গল্প করতে করতে বলল,এই লবনের গুহাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশী নিরাপদ , এর থেকে ভাল জায়গা মনে হয়না এই বনে আছে।’
রাতে সেই গুহায় যখন সবাই শোবার বন্দোবস্ত করছে, ঠিক তখনি আচমকা সেই গুহার মেঝে দেয়াল ছাদ সবকিছু ভয়ংকর ভাবে দুলে উঠল। যাযাবররা ভয় পেয়ে ভাবল, হয়তো ভূমিকম্প হচ্ছে। তারা তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে গুহা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এল।
বাকী রাতটা তারা গুহা ছেড়ে বহু দুরে খোলা আকাশের নীচে নির্ঘুমই কাটাল।
ভোর হতেই যাযাবর সর্দার তার চল্লিশজন ঘোড় সওয়ারীকে পাঠাল গুহার চারপাশটা ভাল করে দেখে আসতে। কেন শুধু গুহাটাই কেঁপেছিল।
ঘোড় সওয়ারীরা তাদের ঘোড়া ছুটিয়ে সেই লবন গুহার আশে পাশ ঘুরে দেখল। সেটা আসলে গুহা নয় বিশাল একটা ষাঁড়ের চোয়ালের হাড়- সেটা এখনও একটা শেয়াল বসে বসে চিবোচ্ছে।
‘ও এই জন্যই আমরা গতরাতে ভেবেছিলাম ভূমিকম্প হচ্ছে!’ আহ্ কি ভয়টাই না পেয়েছিলাম কাল রাতে।’
------------------------------------------------
তারা সবাই মিলে একসাথে তীর ছুড়ে সেই শেয়ালটাকে মেরে ফেলল। কিন্তু শেয়ালটাকে মারল বটে তবে ছাল ছাড়াতে গিয়ে পড়ল বিপদে! একপাশের ছাল ছাড়ানোর পরে বহু-চেষ্টা করেও সেটাকে অন্যপাশে উল্টাতে পারল না। অগত্যা হাল ছেড়ে দিয়ে ওরা অর্ধেক চামড়া নিয়েই ফিরে এল তাদের সর্দারের কাছে।
ঠিক তক্ষুনি এক মহিলা এসে সেই সর্দারের কাছে আর্তি জানাল,
-দয়া করে কি তুমি আমাকে সেই শেয়ালের চামড়াটা দিবে,যেটা এই মাত্র তোমার ঘোড়সওয়াররা বয়ে নিয়ে আসল। আমি চামড়াটা দিয়ে আমার ছোট্ট শিশুর জন্য একটা টুপি বানাব।’
- ঠিক আছে নিয়ে যাও।’ দয়ালু সর্দার তখুনি চামড়াটা মহিলাকে দিয়ে দিলেন।
--------------------------------------------------
মহিলা চামড়াটা তার বাসায় বয়ে নিয়ে ছেলের মাথার মাপ নিয়ে টুপি সেলাতে বসলেন। আধখানা টুপি সেলাই করতেই তিনি দেখেন চামড়া শেষ। তিনি আবার ছুটলেন সেই সর্দারের কাছে। তাকে অনুরোধ করলেন বাকি অর্ধেক চামড়া এনে দেয়ার জন্য।
সর্দার তাকে বললেন তার চল্লিশটা ঘোড় সওয়ারীর কথা অনেক চেষ্টা করেও তারা বাকি অর্ধেক আনতে পারেনি। তিনি বললেন,
-এর থেকে ভাল হয় যদি তুমি নিজে গিয়েই ছাড়িয়ে নিয়ে আস।’
সর্দারের অনুমতি পেয়ে মহিলা খুশী মনে চলে গেল শেয়ালের চামড়া ছাড়াতে। খুব সহজেই সে চামড়া ছিলে দ্রুত হতে ছেলের জন্য টুপি বানিয়ে ফেলল।
-----------------------------------------------
এখন সবার জন্য প্রশ্ন। কেউ কি বলতে পারবে কে সবচেয়ে বড়?

এটা কি সেই ষাঁড়?

মনে রাখতে হবে একজন ঘোড় সওয়ারীর প্রায় সারাদিন লেগেছিল তার মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত যেতে !
তবে কি ঈগল ?
মনে রাখতে হবে থাবায় করে ষাড়টাকে তুলে গিয়েছিল আকাশে!
তবে কি সেই ছাগল?
ভুলে গেলে চলবে না যার শিঙের উপরে বসে ঈগলটা ষাড়টাকে খেয়েছিল!
তবে কি সেই ছাগপালক?
মনে রাখতে হবে চল্লিশটা নৌকায় চড়ে চল্লিশ জন ডাক্তার দীর্ঘক্ষন ধরে খুজে তার চোখের ভিতর থেকে গরুর চোয়ালের হাড় বের করেছিল!
তবে কি সেই শেয়াল ?
মনে রাখতে হবে যার থাবায় পুরো বনভুমি কেঁপে উঠেছিল।
তবে কি সেই শিশু?
ভুলে গেলে চলবেনা অর্ধেক শেয়ালের চামড়া দিয়ে তার মাথার টুপি হয়নি।
অথবা সেই শিশুর মা যে এমন দৈত্যাকৃতি শিশুর জন্ম দিয়েছে?

এই গল্পটাতে আরো অনেক প্রশ্ন ও তার উত্তর রয়ে গেছে। বলতে পারবে কি কেউ -কে সবচেয়ে বড়? *

ভাষান্তর ও রুপান্তরঃ শেরজা তপন

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শোভন শামস বলেছেন: অপূর্ব, লিখে যান আকর্ষণীয় উপস্থাপনা

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটি পড়ে আপনার মন্তব্যের জন্য ফের অনেক ধন্যবাদ ভাই শভন শামস।

আমি উদ্দীপ্ত হলাম আরো ভাল কিছু অনুবাদের জন্য। ভাল থাকুন- পরের পর্বগুলোতে সাথেথাকুন।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সুন্দর মাথা ঘুরানো গল্প।একই রকমের কিন্তু আলাদা একটা একটা ভার্সন কোথায় যেন পড়েছিলাম,মনে পড়ছে না এখন। সবচেয়ে বড় মনে হয় মেষপালক লোকটিই। অতবড় একটা ষাড়ের চোয়াল চোখে ঢুকে গেছে।তাছাড়া ৪০ টি নৌকা নিয়ে সহজে খুঁজে পায় নি। এদের বড়ত্ব কল্পনাই করা যাচ্ছে না। ধন্যবাদ আপনাকে।আরো কিছুর অপেক্ষায় রইলাম।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: মাথা এই রুপকথাটা পড়ে আমরাও ঘুরে গিয়েছিল ভাই- তমাল। এখনো ঘুরছে !! :) :)
হতে পারে আপনার অনুমান সঠিক- দেখি না কে কোথায় যায়???

ফের আপনার সুন্দর সাবলীল মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুন বলেছেন: মা সবার বড় শেরজা তপন । উত্তরটা কি ঠিক হলো কি না জানান :)
আরো অনুবাদের অপেক্ষায় । ভালোলাগা রইলো ।

কিরঘিজ শব্দটা পড়েই মনে পড়লো পুশকিনের লেখা আমার প্রিয় উপন্যাস ক্যাপ্টেনের মেয়ের কথা । গল্পের পটভুমির অধিকাংশ জুড়েই ছিল কিরঘিজের কথা ।
+

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: মায়েরাতো মাকেই বড় রাখে সবসময় ( আমরাও তাই) :)
আপনি বুদ্ধিমতি - ধরে ফেলবেন চট করে, তারপরেও কথা থেকে যায়...
আপনার মন্তব্য না পেলে রুশীয় কিছু লিখে পানসে লাগে।

হ্যা হ্যা কিরঘিজের চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ছবি দিতে পারলে খুব ভাল হত। কি সুন্দর দেশ !!!! আপনি কি গিয়েছেন?
পৃথিবীর তো কিছু বাকি নাই ঘোরার আপনার

ভাল থাকুন- পরের পর্বে যেন পাই।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

শোভন শামস বলেছেন: এরিকা ফ্যাটল্যান্ড এর লিখা সোভিয়েত স্তান বইটা চমৎকার, ইংরেজিতে। সব স্তান গুলো ভ্রমনের গল্প।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: এই বইটাও আমি পড়ি নাই ভাই। আপনার বিশ্ব সাহিত্যে বেশ দখল আছে। ধন্যবাদ -সুযোগ পেলে পড়ে দেখব

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার তো মনে হয় মা !

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: রুপকথাতো তাই সব কিছু ভীষনভাবে রূপক!
আপনি উত্তরটা ভেবে চিন্তেই দিয়েছেন আর উত্তরটা এমনই হওয়া উচিৎ। মা বলে কথা

আপনাকে দেখে ভাল লাগল :)

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময় নিয়ে আবার আসছি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে সময় নিয়ে আসুন ভ্রাতা- অপক্ষায় রইলাম...

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার দৃঢ় বিশ্বাস ,মা ই সবার চেয়ে বড়।
মায়ের কাছে আর কারো হয়না তুলনা!
আপনাকে ধন্যবাদ তপন দাদা সুন্দর
অনুবাদের জন্য।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরুাই, আপনার মন্তব্যে দারুনভাবে উদ্বেলিত ও আনন্দিত হলাম!
চেষ্টা করেছি সাধ্যমত- ভাল হলে চেষ্টা সার্থক হবে।

আমি আপনার উত্তর ঠিক হবে বলেই ধারনা করছি। মা-তো সবখানেই সবচায়ে বড়

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৭

জুন বলেছেন:
নেট থেকে কিরঘিযের অপরূপ সৌন্দর্য্যের একটা ছবি দিয়ে গেলাম তপন :)
আমি কিরঘিয যাই নি বটে
তবে মধু তুলেছি ঠোটে ,
দেখেছি গোঁপে চেটে
যায়নি কিছুই পেটে
=p~

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আহা মনে হয় এক্ষুনি দৌড়ে চলে যাই।

ছোট্ট ছড়াটা চমৎকার! আপনার লেখা? ধন্যবাদ আপু ফের

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৯৭৯ সালে আমরা ক্লাস সিক্সে পড়ি। ইংরেজি বইয়ে একটা গল্প ছিল - Who is the biggest? গ্রামের বিরাট দুই পালোয়ান কুস্তি করছে এক হাতির পিঠে। এমন সময় একটা চিল ছো মেরে পালোয়ানসহ হাতিটাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত ঈগলের নখর থেকে হাতিটা ছুটে পড়ে যায়। এক বাসায় এক কিশোরী জানালা খুলে আকাশ দেখছিল। তার চোখে কী যেন এসে পড়ে। তা খোঁজার জন্য গ্রামের অনেকগুলো জেলে অনেক নৌকা নিয়ে চোখে নেমে পড়ে। জাল দিয়ে ছেকে বের করা হয়- চোখের মধ্যে একটা হাতি পড়ে আছে, আর সেই হাতির পিঠে দুইজন পালোয়ান নিরন্তর কুস্তি করে যাচ্ছে তখনো। গল্পটার শেষ ছিল - Who is the biggest?

আপনার গল্পের শেষে যেভাবে ক্যানালাইজ করেছেন, তা একটা কৌশল। এ কৌশলে যে-কেউ প্রলুব্ধ হবে মাকেই সবচাইতে বৃহৎ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।

কিন্তু, এবার ভাবুন- একটা ক্ষুদ্র হাড়, যেটি শেয়ালমামা চিবুচ্ছিল, সেই হাড়টি পড়েছিল মেষপালকের চোখে। হাড়টা যদি ধুলিকণা হয়, শেয়ালটা হবে একটা পিঁপড়া বা বড়োজোর মাছি। মাছির তুলনায় শিশুর মাকে একটা টিকটিকির সাথে তুলনা করতে পারি, যেই টিকটিকি (অর্থাৎ মা) মেষপালকের বগলে যেয়ে চুপটি মেরে লুকিয়ে থাকতে পারে।

দারুণ সিরিজ শেরজা তপন ভাই।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: কি সুন্দর করে বয়ান করলেন সোনাবীজ ভাই! আমিতো এমন করে ভাবি নাই

আপনার ছোট বেলায় পড়া গল্পটা আমিও পড়েছি বলে মনে হয়। এখন আবছা আবছা মনে পড়ছে।
রুপকথা এভাবেই দেশ জাতি কাল ভেদে রুপান্তর হয়।

হ্যা মার বিষয়টাই সবার মাথায় আসে আগে। মুলত সব শেষে তাকে নিয়ে লেখা- আর আপনি যা বললেন, তেমন কারনেই।
কিন্তু পুরো গল্পটাই বড় একটা ধাঁধা!
তবুও আমরা ভাবতে থাকি দেখি কে কি এবং কিভাবে ভাবে?

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা এভাবে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: কি গোলমেলে প্রশ্ন সব। উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। আমারও মনে হচ্ছে মা। তবে রূপকটা কোন এঙ্গেলে জানতে পারলে ভালো লাগত।
প্রথমে ষাঁড়ের কথা পড়ে তো আমি ভাবলাম গল্পে বোধহয় ভুল আছে। বাকি ভাইরা এত দূরে হয় কি করে৷ পরে দেখি সবই এমন বিশাল বিশাল!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: :) গোলমালতো একটু হবে-! শিরোনাম-টাইতো ধাঁধা!!

তবে কাজাকের লোকেরা কিন্তু বেশ সহজ সরল! ওরাও এই ধাঁধার উত্তর জানে কিনা খোদা মালুম!
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: @সোনাবীজ ভাই, আপনার উল্লেখিত গল্পটারই বাংলা অনুবাদ আমি পড়েছি।আপনাকে ধন্যবাদ এই গল্পের অবতাড়ণার জন্য। গল্প সম্পর্কে আপনার চিন্তার সাথেও আমি একমত।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যারে ভাই আমারও তাই মনে হোল- আমিও পড়েছি সম্ভবত!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ - নাগরিক ব্যাস্ততার মধ্যে সময় বের করে দারুন দারুন সব মন্তব্যের জন্য।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার গল্প। ইঁদুর মতির বিয়ের জন্য মা ইঁদুর সবচেয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী পাত্র খুঁজছে। লিখতে থাকুন।
পরের পর্বের অপেক্ষায়...

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: ইঁদুর মতির বিয়ের জন্য মা ইঁদুর সবচেয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী পাত্র খুঁজছে।
এটা কোন রুপকথা?? শোনার অপেক্ষায় রইলাম...


আপনার অনুপ্রেরণা আমাকে নতুন কিছু লেখার জন্য দারুনভাবে উদ্বুদ্ধ করছে।

সবিশেষ ধন্যবাদ ভাই পদাতিক চৌধুরি।

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিরিগিজ কি? আগে বুঝান।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: কিরগিজস্থান যাকে অনেকে বলে কিরঘিজস্থান- সংক্ষেপে কিরগিজ বা কিরঘিজ ( রাশিয়ান ভাষায় 'হ' ও ঘ' না থাকায় কিরগিজস্থানই সঠিক হবে সম্ভবত)। এখন সার্বভৌম একটা দেশ একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল।
বুঝাইতে পারলাম - নাকি আরো ডিটেলে যাব ? :)

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: তপন ভাই,আপনাকেও ধন্যবাদ এসব গল্প পোস্ট করার জন্য। রুশ রূপকথা আমি আগে কখনো পড়িনি।পড়ে খুবই ভালো লাগছে।এই সিরিজের মাঝে ব্রেক দিয়েন না কিন্তু।অনুরোধ করলাম। পোস্ট আসলেই মন্তব্য করে ফেলব।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আমারও তেমনি আশা আছে- একটানা ১০ খানা অনুবাদ দিব , তারপরে ব্রেক। বিশাল পরিসরের লেখা। প্রাক্তন সোভিয়েতের সব ভু-খন্ডের রুপকথা আছে, মোট চল্লিশখানা। ইচ্ছে আছে অন্য লেখার ফাঁকে ফাঁকে বাকিগুলোও দিব।

এমনভাবে বললে আমি ভীষন কুণ্ঠাবোধ করি। মনে হয় যতটুকু পাবার ছিল তার থেকে বেশী পেয়ে যাচ্ছি।
কি বলব আর- ভাল থাকুন

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: চল্লিশখানার কথা শুনে মনটা ভালো হয়ে গেল। সোভিয়েতের রূপকথার রাজ্য পরিভ্রমণ করা যাবে আপনার সাথে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: অপেক্ষা করুন দু-চারখান বাড়তেও পারে :)
ফের ধন্যবাদ ভাই তমাল আপনাকে আত আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবেন জেনে আনন্দে মনটা ভরে গেল। ভাল থাকুন

১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবি জসীমউদ্দিনের লেখা এরকম একটা গল্প পড়েছি। সম্ভবত বাঙ্গালীর হাসির গল্পে। সেখানেও শেষে প্রশ্ন যে সব চেয়ে বড় কে ছিল। উনি বাংলাদেশের আঙ্গিকে লিখেছিলেন হয়ত আপনার এই গল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আমিও পড়েছি বলে হয় মনে হচ্ছে!

হতে পারে তিনি এই গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন কিংবা অন্য কোন দেশের রুপকথায় এমনি ধারা গল্প আছে সেখান থেকে হতে পারেন।
আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগল। বরাবরের মত অনুপ্রণিত করছেন বলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
পরের পর্বে ফের দেখা হবে।

১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মা -এর চেয়ে পৃথিবীতে আর কেউ বড় আছে বলে মনে হয়না। আমার মনে হয় আপনার গল্পেও মা-ই সবচেয়ে বড়। যদি আমার কোন বিভ্রম হয়।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙ্গালীর মায়ের প্রতি একটুখানি বাড়তি দরদ থাকবে এইটেই মুল সত্য!
দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
সোনাবীজ ভায়ের মন্তব্যটা পড়লে কানিকটা উত্তর পাবেন বলে ধারনা করছি।

ভাল থাকুন প্রিয় ভ্রাতা।

১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: কিরগিজস্থান কিছু বুঝতে পেরেছি। বাকিটা নেট থেকে বুঝে নেব। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান মানুষ- এটুকুতেই অনেকখানি বুঝে নেবেন বলেই ধারনা করেছিলাম!

নেট আছে বলেই আমরা সহজেই কত কিছুই না জানতে পারছি :)

ভাল থাকুন -পরের পর্বে আপনাকে সাথে পাব এমনি করে আশা করছি।

১৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

ঘনশ্যাম বলেছেন: ছোটবেলায় এই গল্পটা পড়ে কে বড় এইটা ভেবে বেশ টেনশনে ছিলাম!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: এখনকি আর টেনশন হচ্ছে না- নাকি উত্তর পেয়ে গেছেন?
আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম! আশা করছি রুপকথার রাজ্যে আপনাকে সাথে পাব সবসময়।
আসুন মিলে মিশে ভ্রমন করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

২০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

জুন বলেছেন: না না আমার লেখা ছড়া নয় শেরজা তপন। কিছু কিছু রূপকথার যেমন সিভকা বুর্কা, মাছের আজ্ঞায় মোর ইচ্ছায় এমনতর বই এর শেষে যখন সব কিছু সুন্দরভাবে মিটে যাবার পর সবাই মিলে ভুড়ি ভোজে বসতো তখন এই ছড়াটি থাকতো হয়তো লেখকের পক্ষ থেকে ;)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আহা - বুঝলাম এতক্ষনে! :)

আপনার বিবিঢ সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আমাকে ঈর্ষান্বিত করে। সুন্দর ও সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকুন ভাল থাকুন নিরন্তর আপু মনি।

২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: এই গল্প আগেও পড়েছি, তখনো আজকের মতো মাথা গোলমাল হয়ে গিয়েছিল...

এই রাশিয়ান গল্প পড়তে পড়তে শুধু স্বপ্নবাজ সৌরভের কথা মনে পড়ছে। সোভিয়েত গল্পের পাগল... কোথায় যে গেল... :(

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: এইবারে পাগল হবার অপেক্ষা... :)
হ্যা তাকে ভীষন মিস করি! এমন মানুষগুলো ধীরে ধীরে কোথায় যেন হারিয়ে গেল!!!
@ করুনাধারা আপনার মন্তব্যে দারুন প্রীত হলাম। ভাল থাকুন নিরন্তর- দেখা হবে পরের গল্পে।

২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: এক সাথে ০৭-০৮ জন মহিলা বসে আলাপ করছিলো; আলাপ না এটা ছিলো তাদের পতির পদ-প্রতিযোগীতা। কে কত বড় পদে চাকরী করেন। একেকজন একেকভাবে বলছেন কারো স্বামী ডাক্তার, কারো ইঞ্জিনিয়ার, কারো মিনিস্টার, কারো ড্রাইভার। একজন এসে বলল; আমার স্বামী এমন পদে চাকুরী করেন, তার পায়ের নিচে এমন হাজারো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশাদার লোকজন থাকে!
সবাই অবাক হয়ে বলছিলেন, কি এমন পদ.....?
মহিলাটি বলল গোরস্থানের দারোয়ান :D

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা বিষয়টা দারুন মজার :)
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আপনাকে ফের আমার ব্লগে পেয়ে আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত হলাম।
রুপকথার গল্পে ব অড়দেরও যে দারুন আগ্রহ কিংবা তাদের ছেলেমানুষি মন এখনো ব বর্তমান আপনাদের দারুন সব মন্তব্য-ই সেটা প্রমান করে।
পরের পর্বে আপনার আরো কিছু গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম...

২৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অ ভাই! কই গিলান ;)
আগে দু' ছিলিম দেনতো দিকি ভায়া :P
দুটো টান না দিলে মাথা ভনভন কচ্ছে!! কুছুতেই থামাতেই পাচ্ছি না B:-) :-B B-) B-) =p~ =p~

বাপ্রে! সেকি রুপকথা!!
বলি সিদ্ধি কি অই দেশে ফ্রি ফ্রি মেলে নাকি!
উহার সেবনে নাকি- নৌকা পাহাড় বেয়ে যায়! খিক খিক খিক

দারুন অনুবাদে ++++
চলুক সিরিজ :)


২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে কাল খুঁজেছিলাম- আজকে এইমাত্র একটু ফ্রি হয়ে ব্লগে চোখ বোলাতেই দেখি ভৃগু ভাই হাজিরা দিয়েছেন!!

বরাবরের মতই মনটা আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে গেল!
কিরগিজের বনজঙ্গলে অতি উতকৃষ্টমানের জিনিস মেলে হয়তো- তার গুনে এমন গল্প প্রসব :)
দিশি ভেজাল গঞ্জিকার ছিলিমে টান দিয়ে কল্কে ফাটাতে হবে না হলে এর উত্তর বের করা দুরূহ বৈকি :) :)
দেখুন ভেবে সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দি ঘোড়সওয়ার ঘোড়া ছুটিয়ে একখানা ষাঁড়ের নাক থেকে ন্যাজের দেখায় পায়- কি মাল খেয়েছিল লেখক মহাশয় আল্লা মালুম!
চলুন ও দেশে গিয়ে ঘুরে আসি একবার- দেখি তেমন কিছু মেলে কিনা? তারপরে দু-ভাই মিলে হাজার হাজার রুপকথা রচনা করব!!!

২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার কাছে এখানে মা’কে সবচেয়ে বড় মনে হয়ছে। গল্পটি নিঃসন্দেহে চমৎকার।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আহা এমন ডাকসাইটের ব্লগারদের পদচারনায় আমি মুগ্ধ!

সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে অনুপ্রাণিত করবার জন্য। পরের পর্বে সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা করছি।

২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

কিরগিজ এর ভাষায় কি রুশ?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: ওদের মুল ভাষা তুর্কিশ আদলে কিরগিজ ভাষা, সাথে উজবেক ভাষার ও প্রচলন আছে। কিন্তু সোভিয়েতের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় দাপ্তরিক ভাষা ছিল রুশ! এখনো কিরগিজদের বড় একটা অংশ রুশ ভাষায় কথা বলে।

আপনারতো এসব জানার কথা

২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

মা.হাসান বলেছেন: জসিম উদ্দীন সম্পাদিত বাঙালীর হাসির গল্প (দুই খন্ড) বইতে এরকম দু একটা গল্প আছে- শেষটা এভাবে হয়- যে আগে বলবে তার জিৎ।

তবে ষাড়ের ভারসন ওখানে ছিলো না, ছিলো পালোয়ানদের কুস্তি করার কথা । মরাল আলাদা- বাচ্চাদের টল টেলের সাথে পরিচয় করানো বলেই আমার মনে হয়েছিলো।

আপনার বর্ননা অনবদ্য।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: হাসান ভাই, গতকাল আমি আপনার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছিলাম- কিন কেন কি কারনে গায়েব হয়ে গেল জানিনা!!!

আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালবাসা আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। ঠিক বলেছেন পল্লীকবি জসিমউদ্দিনের অনুবাদ ও রূপান্তরটা ছিল ছোটদের জন্য ( টল- টেলের সাথে পরিচয়) আর আমারটা বড়দের জন্য :)

পরের পর্বে আপনাকে আমন্ত্রন রইল

২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩

জুন বলেছেন: আপনার মত সাহসী নই শেরজা তপন , তারপরও বিভিন্ন দেশের দু একটা ঊপকথা রূপকথা ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদের দুঃসাহস দেখিয়েছি :)
আপনার ছোট বাচ্চা (নাতি পুতি :) ) থাকলে পড়ে শোনাতে পারবেন ছোট ছোট উপকথাগুলো ।
মন্তব্য না করলেও অসুবিধা নেই :(
ওহে বাদুড়, তুমি কেন উল্টোবাগে ঝুলো ? (লাওস দেশের একটি উপকথা)
রুশ উপকথাগুলো আপনি মূল ভাষা থেকে অনুবাদ করছেন বলে ওইদিকে আর পা বাড়াই নি :)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: একটুখানি সময় করে আপনার লেখা পড়লাম। মন্তব্য করে এসেছি।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী ভয়ানক গল্পরে বাবা

+

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা সাঙ্ঘাতিক- সেইরকম!!! :)

ভুতের গল্পের কাছাকাছি অবস্থা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.