নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক- তৃতীয় পর্ব

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫


প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
কেন যেন প্রথম দর্শনেই এলিনার সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করেছিল।ভেবেছিলাম এ মেয়ের সাথে কেন আগে দেখা হয়নি? সে সুন্দরী তবে একটু ভারী শরির। চর্বিবহুল নয় কিন্তু চ্যাপ্টা হৃস্টপুস্ট গড়ন। সোনালী আর বাদামীতে মেশানো তাঁর কাধ ছাড়ানো চুলের কথা আগেই বলেছি। চোখদুটো হাল্কা নীল। ঘন গাঢ় ভ্রু-দ্বয়ে তাকে সুন্দর লাগে। হাব ভাবে কথায় রক্ষনশীল মানসিকতা ব্যক্তিত্বের ছাপ স্পষ্ট প্রকাশ পায়। মেটামুটি শিক্ষিতা-কোন এক কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করত তখন। এত শান্ত নিরীহ ঢঙ্গে চলত আর মেপে মেপে কথা বলত যে, তাকে সমীহ না করে উপায় ছিলনা। মনে হত এ মেয়ে নিজেকে সহজে বিলিয়ে দিতে চায়না।
দ্বীতিয়বার কোন কাজ নাথাকলে আমি-ই ইচ্ছে করে গেলাম তাদের বাসায়। ততদিনে সেখানে সাবলেট থাকা বন্ধুরা অন্য বাসায় চলে গেছে।
আমি এমন ভাবে গেলাম যে, ওদের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। দরজা খুলল এলিনা’ই। ‘ওরা এখানে আর নেই’ শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম।
-তুমি জাননা তোমার বন্ধুরা আর এখানে থাকেনা?’ বলেই এমন একটা বাঁকা হাসি দিল যে, দেখেই আমার গা জ্বলে গেল!
-ঠিক আছে আসি তাহলে-বলেই ঘুরলাম!’
- চা খাবে?’ বলেই ফের হেসে ফেলল।
আমি ঘার ঘুরিয়ে তার তাকিয়ে দেখতে পেলাম, তার উজ্জল চোখের আন্তরিক আমন্ত্রন!
এখন কি আর যাওয়া যায়।তবুও একটু ইতস্তত করতেই দরজা থেকে সরে বলল সে, আসো ভিতরে আসো।
আমি অতি ধীর পদক্ষেপে করিডোরে ঢুকে দেখি বাসা সুন-শান! সাবলেট চলে যাওয়ায় একটা রুম এমনিতেই খালি হয়ে গেছে। ও মা-বোনের কথা জিজ্ঞেস করতেই বলল, ওরা বাইরে গেছে কাজে।
মা মনে হয় আজ ফিরবে না। আর নাদিয়া কখন কোথায় থাকে কোথায় যায় এ খবর মা ছাড়া কেউ রাখে না।

সদ্য ছেড়ে যাওয়া ভাড়াটিয়াদের রুম খানা ঝাড়-পোছ করে ভদ্রস্ত ভাব আনা হয়েছে। সেখানে আমাকে বসতে বলে সে গেল চায়ের এন্তেজাম করতে। রুশীয়দের সামোভারে গরম পানি সারাক্ষণই থাকে। দু’মিনিটেই চা নিয়ে হাজির সে- সাথে দুখানা কুকিজ।
আজকে হল সব ঘরোয়া গল্প। ওর বাবা কোথায় কি করেন?
-সে নাকি সরকারি বেশ বড় অফিসার ছিলেন। তিনি নাকি অন্য বাসায় তার সৎ মাকে নিয়ে থাকেন।
ওর মা ছোট খাট একটা চাকুরি করে সংসার চালায়- আর সে মাষ্টারি করে যৎ সামান্য কিছু উপার্জন করে। বাবা কোনই সহযোগীতা-তো করেনই না, এমনকি মেয়ে দুটোর খোঁজ খবরও নেয় না।
বাবা চলে গেলে হঠাত সংসারে অসচ্ছলতা! ওদের কোন বিকল্প আয়ের পথ জানা নেই। কোন মতে খেয়ে পড়ে বোনের পড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খায়।ওর মা এক বান্ধবীর কাছে বিদেশীদের কাছে ঘর নাকি সাবলেট দেয়া যায় এটা জেনে- কিছু বাড়তি আয়ের পথ হবে ভেবে, বাঙ্গালীদের ভাড়া দিয়েছিল।
ও বরাবরই এর বিরোধিতা করেছে। মা-কে বোঝাতে চেয়েছে, যেভাবে চলছে চলেতো যাচ্ছে। বাইরের লোকের ভাড়া দিলে একটা রুমে তিনজন মানুষ কেমনে থাকবে।
ওর মা ভীষণ বেয়াড়া টাইপের মহিলা কারো কথাই শোনে না- যে কারনে বাবার সাথে বনিবনা হয়নি। তারপরে বোনটা আবার বেশী চঞ্চল, খানিকটা উগ্র আর খরুচে। সেও মায়ের সাথে লাফাল। মা আবার তাকে বেশী প্রশ্রয় দেয়।
ইস এ কটা দিন কি যে ভয়াবহ ছিল। একটা রুমে অচেনা অন্য ভাষাভাষী সাত আটজন পুরুষ মানুষ! ওরা তিনটে মাত্র রমণী। সারাক্ষণই কেউ না কেউ আসছে যাচ্ছে। ওর মায়ের খবরদারীতে সবাই চুপ চাপ থাকলেও-একই রান্না ঘরে এতগুলো লোকের ভিন্ন ধরনের রান্না। একটা মাত্র বাথরুম সবার ব্যাবহার করা!
ও বজ্বা মোই!’ বলেই তার গায়ে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল- ঘেন্নায় মুখ খানিকটা কুঁচকে গেল।

আমি চা খেতে খেতে দু একটা প্রশ্ন করি আর, তার নীল চোখের দিকে তাকিয়ে ভাষা পড়ার চেষ্টা করি। কি শান্ত ভঙ্গিতে সে বলে যাচ্ছে, আমি না জানি তার কতই আপনজন। এমনিতে এরা ভালই ছিল- সোভিয়েতের সময়ে, এই অর্থ আর সরকারি অনুদানে সংসারটা ভালই চলে যেত। তখন চারিদিকে এত চাকচিক্য ছিলনা- ছিলনা রেসের ঘোড়ার দৌড়।
সোভিয়ের ভেঙ্গে যাবার সাথে সাথেই সেই অল্প বিস্তর সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে গেছে। মুদ্রাস্ফিতির ভয়ঙ্কর উম্ফলনে রুবলের মান কমে গেছে( উক্রাইন তখন নিজেদের মুদ্রা ছাপানোর চেষ্টা করছে। সাধারন কাগজে চার রঙ্গা ছবি ছেপে নাম দিয়েছে কুপন!)। নিত্য পন্যের দাম সাধারনের নাগালেরর বাইরে। বলা যায় মধ্যবিত্ত থেকে এক ধাক্কায় নিন্মবিত্তে নেমে গেছে তারা।
তারপরেও তার মুখে হাসি। মনে হয় এইতো আছি বেশ!
একা বাসায় সুন্দরী এক রুশ রমণীর অতি সন্নিকটে বসে আমি তখন উসখুস করছি।
তার নীল চোখের দিকে চেয়ে আমি না বলা ভাষাগুলো পড়ার চেষ্টা করি। লম্পট মানুষের ধান্দা থাকে কোন দুর্দশাগ্রস্থ রমণীর চরমতম ফায়দা লোটার। মাঝে মধ্যে আমার চোখ খানা পিছলে নজর বুলিয়ে নেয় শরিরের ভাঁজগুলোতে। এ মেয়েকে ফাঁকি দেয়া সহজ নয়-সে বোঝে আমার চাহনীত অন্তর্নিহিত মর্ম- একটু মিষ্টি হেসে গায়ের পোষাকটা গুছিয়ে নিয়ে ফের গল্প শুরু করে।
এরকম প্রতিদিন কত পুরুষের দৃষ্টিকে তার তাচ্ছিল্য বা উপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু এলিনার এমন গুরুভার ব্যাক্তিত্ব দেখে, মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে-কদমবুচি করে দোয়া খায়ের নেই।
তবে আমার দিকে তার চাহনীতে বন্ধুত্বের আহ্বান। মনের মধ্যে তারও একটা অপরাধবোধ জমে আছে- আমার বিগতা প্রেমিকার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের জন্য পরোক্ষ সম্পর্ক থাকায়। সে সে অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত্ব করতে চায়।
আমি মনে মনে হেসে গড়াগড়ি খেয়ে বলি, আমিও চাই তুমি এগিয়ে আস।
সে আমার কথা জিজ্ঞেস করে, আমি ইনিয়ে বিনিয়ে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে বলি। নিজেকে বেশ একটা ঋদ্ধিমান কেউকেটা হিসেবে জাহির করি।
সে তার নীল চোখ তুলে অবাক হয় শোনে... এত এলেমদার লোক রুশ ভুমিতে চরণ রেখেছে বলে। আশে পাশে কাঁচা মাটি খুজে কপালে ছোঁয়াতে চায়। আমার আগে যারা এখানে এসেছে- তারাও এমন ধারার গল্প করেছে ভেবে সে হয়ত নিজের মনে হাসে।
এর মধ্যে কয়েক প্রস্থ চা চক্র হয়ে গেছে। আমাদের গল্পে গল্পে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে।তার শরিরের অনাবৃত অংশ বলতে ঝুল স্কার্ট ছাড়িয়ে এক বিঘৎ পায়ের গোছা থেকে গোড়ালী। চোখের নজর ওখানে গিয়েই চড়কা কাটে। আর সে মাঝে মধ্যে অন্যমনস্ক হবার ভান ধরে স্কার্টের ঝুল আরেকটু টেনে নামায়।
মনের মধ্যে বড় আনচান করে আমার। মনে হয়- একে না পেলে জীবন বৃথা! হায়রে জীবন কতবার কত কারনেই না বৃথা হোল।


তৃতীয় পর্ব সমাপ্ত
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আকন বিডি বলেছেন: প্রথম

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: অভিনন্দন ও ধন্যবাদ! আমার কি সৌভাগ্য আপনাকে আজ প্রথমেই পেলাম
কিন্তু মন্তব্য কই??

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আকন বিডি বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়ে তারপর মন্তব্য দিবো

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: কি বললেন- সবগুলো পর্ব পড়ে তবেই মন্তব্য করবেন??
প্রথম পর্বের ভুমিকা পড়েননি ভ্রাতা? এ লেখা শেষ হতে এক দেড় যুগ ও লেগে যেতে পারে - তাঁর মানে আপনার মন্তব্যের আশা
প্রায় ছেড়ে দিতেই পারি :(

বড়ই আফসোস

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এক পর্বের মধ্যেই গল্প, অর্থনীতি, হালকা ইতিহাস, প্রেমের সম্ভাবনা সব হয়ে গেল। নারীর অসহায়ত্ব, নিরাপত্তাহীনতা, জীবন সংগ্রামের দেখাও পাওয়া গেছে। এ পর্বও ভালো লেগেছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমারা পেরেস্ত্রোইকা পরবর্তী বিশেষ এক সময়ে রাশিয়া গিয়েছিলাম। গল্পের পাশাপাশি তাদের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের কিছু
কথা না বললেই নয়। না হলে এটা শুধু ম্যড়ম্যাড়ে প্রেমের উপখ্যান হয়ে যাবে যে।
ধন্যবাদ ভাই তমাল বরাবরের মত অনুপ্রাণিত করার জন্য- শুভ কামনা রইল।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এলিনা এলো বটে তবে তার বাস্তববাদী কথাবার্তায় হৃদয়ে উঁকি মারা প্রেমকে আপাতত সংযমে রাখলাম।চা চক্রে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে। যদিও রাতের পরিবেশে চূড়ান্ত বাস্তববাদী মানুষের হৃদয়েও প্রেমের বহ্নিশিখা জ্বলে ওঠে। আমরা পাঠকরাও হাতে চায়ের কাপ নিয়ে গ্যালরীতে বসলাম ঘটনার পরবর্তী পর্বের জন্য।
পোস্টে প্রথম লাইক।( কমেন্ট লেখা পর্যন্ত এখন কোন লাইক না পড়ায় ....)
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই প্রথম লাইকের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।
জ্বী সে একটু বাস্তবাদী ছিল বটে- তাঁর চরম রোমান্টিকতা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে, অপেক্ষায় থাকুন।
সেই রাতগুলি আসতে আর কিছু সময় বাকি আছে- আসবে হয়তো নয় নিশ্চিত।

পরের পর্বে আমন্ত্রন রইল।
ভাল থাকুন নিরন্তর!

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: এলিনা কি রাশান? না ইউক্রেনিয়ান?
আলকাশ পড়ে ধারণা হয়েছিলো ঐ দেশে চা নেই, খালো মদ খায়। আপনার কপাল খারাপ, এলিনার বাসায় সন্ধ্যা পর্যন্ত চলার জন্য পর্যাপ্ত চা ছিলো। :P

কিন্তু এরকম চমৎকার ভালোবাসা ছেড়ে ছেলেরা গেলো কোথায়?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলেও ভিসা ব্যাবস্থা প্রবর্তন করেনি তখনো কোন দেশ। সবখানেই রাশিয়ানদের দৌরাত্ম্য ছিল তখনো।
জন্মসুত্রে এলিনা উক্রাইনান হলেও ওরা মুলত রাশান ছিল। আমরা উক্রাইন রাশিয়াকে আলাদা করে ভাবতে শুরু করিনি তখনো।
রাশিয়ানদের চা পানের বিষয়ে যৎকিঞ্চিত জানতে চাইলে সময় করে আমার এই লেখাটা পড়বেন;
Click This Link

ঠিক তাই। আমদের পরে পাওয়া সেই ভালবাসার মুল্যায়ন করার যোগ্যতা ছিল না

অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই। ভাল থাকুন

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩২

কালো যাদুকর বলেছেন: দ্বিতীয় এবং তৃতীয পর্ব পড়লাম ৷ কয়েকটি বিষয মনে নাড়া দিল
* বিদেশে যেয়ে আমাদের ভাইবোনেরা দেশি মূল্যবোধ থেকে সরে যান ৷ কেন যান, সেটার কিছু আভাস পাওয়া যাচ্ছে গল্পে।
* পোষ্ট সোভিয়েত ইরাতে রুশ সমাজে দরিদ্রতা চরম সমস্যা তৈরী করেছিল। তখন রুশ মেয়েদের এরকম সমস্যার মধ্য দিয়ে যেত হত ৷ যেমন অপরিচিত মানুষকে বাসায় সাবলেট দেয়া, ইত্যাদি।
* গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক সুক্ষ্ম অনুভূতিগুলো তুলে আমার চেষ্টা করেছেন। শুধু শারীরিক অনুভূতিগুলো প্রাধান্য না দিয়ে, প্রকৃতিগত ব্যাপারগুলো আসলে আরো ভাল হত ৷

ধন্যবাদ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: * গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক সুক্ষ্ম অনুভূতিগুলো তুলে আমার চেষ্টা করেছেন। শুধু শারীরিক অনুভূতিগুলো প্রাধান্য না দিয়ে, প্রকৃতিগত ব্যাপারগুলো আসলে আরো ভাল হত ।

ধন্যবাদ জনাব কালো যাদুকর, লেখাগুলো পড়ে মন্তব্যের জন্য।
বাবনিক শব্দের অর্থই হচ্ছে লম্পত বা চরিত্রহীন! স্বভাবতই এখানে শারিরিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে আলোচনা একটু বেশি থাকবে না হলে নামকরনের স্বার্থকতা কোথায়- এখন তবুও একটু রয়েসয়ে কথা হচ্ছে, সামনেতো উদ্দাম শারিরিক সম্পর্কের কথা আসবে! তবুও লেখার ধারা একসময় একদম পালটে যাবে- দয়া করে সাথে থাকুন ও অপেক্ষা করুন। লেখাটা আপনাকে নাড়া দিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফের ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে রাশিয়া ইউক্রেন হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চোরা পথ ছিলো তা কী এখনো চালু আছে?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:২০

শেরজা তপন বলেছেন: এখন পথটি মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানি। ধন্যবাদ

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৯

অশুভ বলেছেন: শুরু না হতেই শেষ। :(
লেখাটা নিয়ে আগ্রহ এখন চরমে। কষ্ট করে পর্বগুলো আরেকটু বড় করে দিন প্লিজ। :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: ফের এক কথা! এতটুক্কু করেই লিখতে অর্ধেক কাহিনী লিখতে আমার ৮ বছর লেগে গেছে- আর বাড়াইতে বইলেন না ভাই :(

লেখায় আলকাশের স্টাইল এসে গেলে ওয়ার্ন করবেন প্লিজ। পরের পর্বে দেখা হচ্ছে

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ চমৎকার! গল্প যতই এগুচ্ছে, শাখা প্রশাখা বিস্তৃত হচ্ছে - গল্পও তত পূর্ণতা পাচ্ছে। সাথেই আছি, এগিয়ে যান।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: ফের ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার!
আপনি ও আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে উৎসাহ যোগাচ্ছে ভাল কিছু লেখার। আর এক পর্বে ববির গল্প বলার পরে- লেখায় অন্য
এক উক্রাইনান ললনার প্রসং আসবে- তাকে নিয়ে চলবে বেশ কয়েক পর্ব। এলিনার গল্প আপাতত বন্ধ।

এভাবে সব সময় সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।পরের পর্বে মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব। যে কোন গঠনমুলক সমালোচনা করবেন প্লিজ। ভাল থাকুন

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২১

অক্পটে বলেছেন: খুব উপভোগ করছি। রাশিয়ার জীবনযাত্রা, এর মান, অতীত ঐতিহ্য আভিজাত্য, দারিদ্রতা সব মিলিয়ে রাশিয়াকে জানার একটা দারুণ সুযোগ হলো আপনার এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে।

বাবনিক চরিত এর মূল প্রতিপাদ্য হলেও পরিবেশ পরিস্থিতি প্রকৃতি ও তাদের সংস্কৃতির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন, এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: তখনকার রাশিয়ার আর্থ-সামাজিক প্রক্ষাপট কিছুটা জানতে চাইলে আমার ' কাগদা তো-ভ রাশিয়া' (ওয়ান্স আপন আ টাইম রাশিয়া)
https://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/29793529
সময় সুযোগ পেলে পড়ে দেখতে পারেন।

আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। পরের পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: লেখক বলেছেন, মনের মধ্যে বড় আনচান করে আমার। মনে হয়- একে না পেলে জীবন বৃথা! হায়রে জীবন কতবার কত কারনেই না বৃথা হোল।

আর যেন বৃথা না হয়! অন্তত এলিনা যেন বুঝে বৃথা বড্ড খারাপ জিনিস ;)

ভালো লাগলো গল্পের প্রকাশ শৈলী। তবে এলিনার প্রতি এক ধরণের আকর্ষণ অনুভব তৈরি হচ্ছে কিন্তু =p~
নাদিয়ার নাম্বারটা দিলেন না, এখন এলিনার ইমেইলটা দিয়েন; আপনার গুণকীর্তন গামুনে!
=p~ =p~

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: এলিনা হয়তো সেটা বুঝে কিন্তু সৌম্য কি বুঝবে?
নাদিয়ার নম্বর খুঁজে বেড়াচ্ছি- পাইলেই দিব :)
উপন্যাসের শেষে সবকিছু দিয়ে দিব- তখন যদি আপনার আগ্রহ অবশিষ্ঠ থাকে।
বরাবরের মত অনুপ্রেরনা দেবার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যি বলতে কী, এই তিন পর্বের মধ্যে এই পর্ব আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে সব দিক থেকেই। সব কিছু ছাপিয়ে আপনার গল্প বলার/লেখার স্টাইল আমাকে মুগ্ধ করছে বেশি। একটা পরিস্থিতিকে/আবহকে এত চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলাতেই আপনার সাহিত্যিক দক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এলিনা চরিত্রটা এবার অনেক বিকশিত হয়েছে। তার ব্যক্তিত্ব, শান্ত, নিরীহ, মার্জিত স্বভাব, সর্বোপরি তার 'অ-বাবনিক' চরিত্র আমাকে আকৃষ্ট করছে। এ জিনিসটা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

ভনিতাহীন ভাবে নায়ক তার নিজের চাতুর্যের কথাও প্রকাশ করেছে।

আমার সন্দেহ ছিল আগের পর্বগুলোতেই - এরা কি এতই গরীব যে বাসায় সাবলেট ভাড়াটিয়া থাকে? এই পর্বে সেটা ক্লিয়ার হলো।

আমি আসলে এলিনার প্রেমে পড়ে গেছি। জানি, এলিনাকে আমি পাব না, পাবে অন্য একজন, তবু দূর থেকে আমি এলিনাকেই ভালোবেসে যাব। আমার প্রতি কারো হিংসা পরস্ত্রীকাতরতা বরদাস্ত করা হবে না

মুগ্ধপাঠ

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই, এইটা কি বললেন!! এলিনা যদি বাই এনি চান্স আপনার প্রেমে পড়ে যায় তবে আমি মানে সৌম্যের কি হবে?? গল্পতো এখানেই শেষ।

আপনার এই প্রশংসার ভার আমি সইতে পারবতো?
কমিঊনিজমের সময়ে ওদের চাকচিক্যমত জীবন ছিলনা কিন্তু খেয়ে পরে আপাত সুখে শান্তিতে ছিল সবাই কিন্তু পেরেস্ত্রোইকার পরবর্তীতে ভয়াবহ ম্মুদ্রাস্ফিতি, দ্রব্যমুল্যের উম্ফলন ওদের জীবনটাকে টালমাটাল করে দিল। ব্যাবসা বলতে ওরা বুঝত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে একটু নিজের আঙ্গিনার শাক সবজি আর সুর্যমুখীর বিচি বিক্রি! কিভাবে অতিরিক্ত অর্থ রোজগার করতে হয়/ হবে সেটা তাদের ধারনার মধ্যেই ছিল না। তাইতো বাঙ্গালীদের প্ররোচনায় ঘর সাব্লেট দেয়া শুরু করল।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনার দীর্ঘ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সবসময় সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৫

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: এককথায় চমৎকার লেখার ভঙ্গি। তবে প্রথম পর্ব আরও দারুণ।
মানুষের স্বভাবই বার বার বৃথা প্রেমে পড়া।
ইস্পাত এবং ('মা' নাকি) আরও একটা বইয়ে রাশিয়ার বর্ণনার সাথে মিল আছে। শুনেছিলাম সমাজতান্ত্রিক সময়ে রাশিয়ায় নাকি গণিকাবৃত্তি ছিল না?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা ঠিক - সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ায় গনিকালয় ছিল না। কেননা ওসব প্রয়োজন অনুভব করেনি কেউ কখনো :)

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ফের। যে সব বিখ্যাত সাহিত্যের কথা বললেন - তাঁর তুলনায় আমার লেখা নেহায়েত নস্যি
ভাল থাকুন, পরের পর্বে মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব...

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৮

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: একসময় কমিউনিজমের প্রতি আকর্ষনের টানে কিছু কিছু পড়া। সাহিত্যিক বিখ্যাত হন পাঠকদের কাছেই। আপনিও ভাল থাকবেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: ফের ধন্যবাদ আপনাকে। আমি প্লিজড

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার শৈশব কেটেছে রাশিয়ান সাহিত্যের সাথে, সেখানে যে মূল্যবোধের চর্চা ছিল। পরবর্তী এসব গল্প আমাকে ব্যথিত করে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা একটা জাতীর নৈতিকতার ভিত কেই উড়িয়ে দিলো। আপনার লেখায় অনেক কিছু ই থাকে, এসব শুধু গল্পই না সময়, পরিবেশ, সমাজ, সে সময়ের মানুষের চিন্তাধারা অনেককিছু ই তুলে আনে।
ভালোলাগা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: দুপুরেই দেখেছিলাম- কিন্তু উত্তর দেয়া হয়নি। আপনি সেই কত বছর ধরে আমার লেখার ধারে কাছে আছেন- আমার লেখার ধারা
আপনার ভাল জানা। আমার সাহিত্যজ্ঞান কম- কাট কাট করে মুল ঘটনাগুলো লিখি, মাঝে একটু মশলা মেশাতে মনে মনে ভাবি কি
হুজ্জতিটাই না করলাম। আপনার ও আপনার মত কিছু অতিপ্রিয় ব্লগারের আশকারাতে এখনো লিখে যাচ্ছি।
এভাবে সাথে থাকবেন- ভাল থাকবেন

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার। লেখায় মুগ্ধতা। সাথে সেসময়ের অনেক তথ্যও জানা গেল। পরের পর্বে কি হয় অপেক্ষায় থাকলাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পরের পর্বে নিশ্চিত আপনাকে সাথে পাচ্ছি ভেবে ভাল লাগছে।
একদিনে এতগুলো মন্তব্য আমাকে দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত করল ভাই- ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সবসময়।

১৭| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে কমেন্ট ব্যান করা হয়েছিলো, তাই আপনার পোষ্টে মন্তব্য করতে দেরী হলো। যদিও পোষ্ট আগেই পড়েছি।

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: যাক ফের আপনাকে পুর্ব-রুপে দেখে ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ বরাবরের মত অনুপ্রাণিত করার জন্য।

১৮| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

আরাফআহনাফ বলেছেন: "লেখায় আলকাশের স্টাইল এসে গেলে ওয়ার্ন করবেন প্লিজ।"
লেখার শুরুই তো করেছিলেন এটা মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে যে বাবনিক হলো আলকেশের যমজ ভাই !!!
আলকেশের যমজ ভাইয়ের মধ্যে আলকেশের ছাপ থাকবে না - তা কী হয়???


দারুন হচ্ছে - চলুক।

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: যমজ শব্দ সঠিক হয়নি- সহোদর বলে মানানসই হত! যদিও দুটো সম্পুর্ন ভিন্ন ধর্মী ঘটনা তারপরেও কিছুকিছু বর্নণা খানিকটা কপি হয়ে যেতে পারে( আমি প্রফেশনাল লেখক নই বলে-এরকম ভুল-চুক হতেই পারে) তাই বলেছিলাম আর কি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন

১৯| ১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আনমনা ভাব ধরা পড়া সেই বাঁকা হাসি... আহা

কত কারণেই না জীবন কতবার বৃথা গেল.. দুটোই অসম অনুভব ;)

জীবনকে চিপড়ে দেখতে পারলেই না তবে এমন নির্যাস বেরিয়ে আসে।
:)

++++

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি নেই তাই পুরো লেখাটা হা-হুতাশ করে মরেছে! :)
আচমকা বলা নেই কোয়া নেই হারিয়ে ছিলেন বেশ কিছুদিন।
ওয়েলকাম ব্যাক ভাই। ভাল থাকুন সবসময়।

২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

অশুভ বলেছেন: বাবনিক প্রথম খন্ডের শেষের দিকে রেনেতার ঘটনা বেশি থাকায় এলিনার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। এখন ফের পড়তে গিয়ে মনে পড়ল এলিনাই তো গল্পের মূল নায়িকা।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: রেনেতার গল্প শেষ- শুধু প্রতিশোধের ব্যাপারটা না থাকলে ওর চরত্র না থাকলেও চলত, কি বলেন।
এর পরে এলিনাকে নিয়েই এগিয়ে যাবে লেখা- ধীরে ধীরে আরেকজনের পরবেশ হবে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার একসাথে এতগুলো মন্তব্যের জন্য।
একটু নিজেও লেখালেখি করেন

২১| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: তাহলে সজলের আর খোঁজ পাওয়া গেল না?
পরের পর্বে যাই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আর কোন খবর নেই-হারিয়ে গেলেন একেবারে???

২২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এগুলি কম বুঝি তারপরও বলি।

এলেনার বাঁকা হাসির মধ্যে নায়ককে বিব্রত করার একটা ইঙ্গিত ছিল। যার ফলে নায়কের গা জ্বলে গেল।

মা আজকে ফিরবে না আর বোনের ফেরার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা প্রকাশ এক ধরণের ইঙ্গিত মনে হচ্ছে। গায়ে পড়ে এত তথ্য দেয়ার অর্থ কি। :)

অর্থনৈতিক সমস্যা তাহলে ওদেরও আছে। বাইরে থেকে বোঝা মুশকিল। সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়া আর ভয়ংকর
রকমের মুদ্রাস্ফীতি মধ্যবিত্তের অবস্থা আরও খারাপ করেছে মনে হল। উক্রাইনের কুপন সম্পর্কে কৌতূহল সৃষ্টি হল। টাকার বিকল্প বানিয়েছিল মনে হয়।

ছেলেরা মেয়েদের দিকে অন্যভাবে তাকালে মেয়েরা সাথে সাথে বুঝতে পারে। হুমায়ূন আহমেদ বলছিলেন যে মেয়েদের মাথার পিছেও এক জোড়া চোখ থাকে।

আপনার মাথায় এলেনাকে কদমবুসি করে দোয়া খায়ের নেয়ার চিন্তাটা পড়ে হাসি আসলো।

আপনার এই গল্প পড়লে আমার বুকের মধ্যে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়। আপনার গল্পটা দেরীতে পড়ার এটাও একটা কারণ। :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: কেন ভাই দীর্ঘশ্বাস কেন? রাশিয়া না যেতে পারার আফসোস?

এলেনার বাঁকা হাসির মধ্যে নায়ককে বিব্রত করার একটা ইঙ্গিত ছিল। যার ফলে নায়কের গা জ্বলে গেল।
~ সেটা তো বটেই ওর ওই হাসিটা তাচ্ছিল্য, উপেক্ষা বা ব্যাঙ্গ করার জন্য ছিল।
মা আজকে ফিরবে না আর বোনের ফেরার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা প্রকাশ এক ধরণের ইঙ্গিত মনে হচ্ছে। গায়ে পড়ে এত তথ্য দেয়ার অর্থ কি।
~ দু'দলের অভিনয় দু'ধরনের! এইটাই সারা বিশ্বের রমণীদের অকৃত্রিম নিজস্ব স্টাইল। পুরুষরা আজও এই ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে ধরতে পারেনি।

উক্রাইনান মুদ্রা নিয়ে আমার একটা লাকার লিঙ্ক দিচ্ছি। সময় পেলে পড়বেন;
https://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/29473690

ছেলেদেরও একজোড়া চোখ আছে তারা সেটা ব্যাবহার করেনা নয়তো প্রয়োজন পড়েনা :)

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফের আসবার জন্য। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.