নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ববির আগের পর্বঃ Click This Link
প্রথম পর্বঃ Click This Link
ফের ববি'র কথাঃ
ববি- নামটা কেমন মেয়েলি। সেটা সেও জানে, তবু এই নাম বলে সে মজা পায়। আর আমদেরও মনে হয় এই নামটা ছাড়া ওকে মানাত না।
সেদিন সন্ধ্যেয় গিয়েছিলাম তার সাথে ‘শায়লা’র বান্ধবীর বাসায়। ও জানে আমার মত ল্যাদা পোলাপান দিয়ে কিস্যু হবেনা। তারপরেও বন্ধুকে সাথে নিতে সে আরামবোধ করে।
ওই মেয়ের সাথে আমি যদি গুটুর ফুটূর করিও দু-দশ ঘন্টা- তাহলে ওরা নিরিবিলিতে রোমান্স করতে পারে! আমি বলে দিয়েছি দোস্ত আঙ্গুল সাবধান- যেভাবেই হোক হাত হয় তোর পেছনে না-হয় শায়লার পেছনে রাখিস!
শায়লা’র( মুল উচ্চারন ‘শ্যায়লা’) ওর বান্ধবীও আগুন! আমি নিশ্চিত ববি’র একখান চোখ এই দিকেও আছে। শায়লাকে ফর্মুলা দুই দিয়ে কবে আবার অজ্ঞান করে একে পাশে রেখে সারারাত ফুর্তি করবে বোঝা মুশকিল!
তবে ‘শায়লা’ যেমন শরির ঝলসে দেয় এ তেমন নয়, এর আগুন যেন শীতের ফায়ার প্লেস! উষ্ণতায় ওম লাগে।
উচ্চতা,শরিরের গড়ন, গায়ের রঙ আর পোষাকে-কথায় একে হলিউডের অতি খাসা নায়িকার সাথে তুলনা করা চলে।
পরিচয় পর্ব শেষে, গুটিশুটি মেরে বসে আছি। ‘ভাও’ বুঝতে পারছি না কোন পথে আগাব। সে একাজ-ওকাজের বাহানায় ঘরময় এধিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমি পিট পিট করে আড়ে-ঠারে খাটো স্কার্টের ফাঁকে তার অনাবৃত সুগঠিত ‘ইষ্টম্যান কালার’ ঠ্যাং দুখানা দেখছি।
কিন্তু বড় আফসোস ও অনুতাপের বিষয়, বন্ধু আমার আরো দু-একটা আঙ্গুল হারানোর মত বেকায়দায় পড়লেও এ মেয়ে নিতান্ত দয়াপরবশত; হয়ে এই আধা বাবনিককে ভুখা কাঙ্গাল ভেবে, ওষ্ঠে একখানা ‘গুড নাইট’ কিস দিয়েছিল মাত্র।
পরদিন অতি প্রত্যুষে, হানাদার বড় ভায়ের আক্রমনের ভয়ে আমরা সেখানকার পাততাড়ি গুটালাম। ইস স আমার সেখান থেকে আসতে যা কষ্ট হয়েছিল, বন্ধুকে বললাম; হৃৎপিণ্ড খানা রেখে যাই- পরে এসে না হয় নিয়ে যাব।
ও বলল,- ধুৎ শালা চল তাড়াতাড়ি ভাগি!
সেখান থেকে আমরা এক দৌড়ে ‘ওডেসা’।
ওডেসাতে গিয়ে উঠলাম- আমারই এক বন্ধুর বাসায়। আঠার তলা বিল্ডিঙ্গের সর্বচ্চো চুড়ায় থাকে সে।
এত উঁচুতে থাকে সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হল আঠার’শ শতকের লিফটখানা নিয়ে। কেঁচি গেইট( কলাপসিবল) বন্ধ করে বোতাম চাপার পরে মনে হয় সে শরির গরম করে কিছুক্ষন। তারপরে গোঁয়ার ষাড়ের মত গোঁ গোঁ করে খানিক্ষন, এর পরে কয়েকবার কাঁপুনি দিয়ে হেলে দুলে উঠতে শুরু করে। আঠার তলায় উঠতে গিয়ে বার বার গোত্তা খায়- ভয়ঙ্কর কাঁপুনি দিয়ে আটকে যেতে যেতে যেতে যায় না। আমরা দুই বন্ধু ইশারায় বলি, এই যাত্রায় বেঁচে গেলে হয়। একবার উপড়ে উঠলে আর নামছি না।
আমার বন্ধুর উষ্ণ অভ্যার্থনার উষ্ণতায় আমরা জ্বলে গলে পড়ি। সাথে একখানা ডাকসাইটে সুন্দরী রমনী থাকলে সবকিছুই ভোঁজবাজীর মত পাল্টে যায়! এরপরে অন্য কার ‘গোস্তে’(অতিথিশালায়) গেলে এমন একজন সুন্দরী রমনীকে হাতে পায়ে ধরে ধার করে নিয়ে যাব।
কৃষ্ণ সাগরের নাতিশীতোষ্ণ জলে ওদের জলকেলী আর উদ্দাম আদর আহ্লাদ জমে উঠল বেশ! এভাবে দু’চার দিবস রজনী গুলজার হল।
দু-এক ঘন্টা সঙ্গ ছাড়া থাকলেই সব যেন বরবাদ হয়ে যাবে- সেজন্য ক্ষনিকের ত্বরে কেউ কারো হাতের মুঠি ছাড়ে না। মনে হয় চারিপাশে ববি’র মত আরো অনেক বাবনিক ঘুরে বেড়াচ্ছে যারা এমন মেয়েকে ভাগানোর জন্য মরিয়া।
আমার ওডেসা’র সেই বন্ধু বেশ স্মার্ট কিন্তু রুশ ভাষায় লবডঙ্কা! সে এখানে আছে এক আদম ব্যাপারির হয়ে। ব্যাপারি বাইরে থেকে লোক (আদম) পাঠায় আর সে বাড়ি খুঁজে খুঁজে তাদের আবাসন করে। সেই সাথে খাবার- দাবারের দায়িত্বটাও সে পেয়েছে। বাইরে ঘর না পেলে বা লোক সঙ্কুলান না হলে দু’চার দশজনকে নিজের এখানে এনে রাখে।
কৃষ্ণ সাগরের এমন উষ্ণ আবহে থেকেও আজ পর্যন্ত জুতের একটা বান্ধবী যোগার করতে পারেনি। ববি’র বান্ধবীর চেহারা সুরত চলন বলন দেখে চরম পুলকিত হয়-কল্পনার সাগরে ভাসে যে, তার দুয়ারও এমনি এক রাজকুমারীর পদধুলিতে ধন্য হবে। ফাঁক পেলেই সে ববির কাছে নারী পটানোর মন্ত্র জানতে চায়?
ববিও ফাজলামি করে বলে কিস্যু না ভাই, ডাইরেক্ট জাপটায় ধরবেন। কথা বার্তার সময় আছে নাকি? এই দেখেন না- সারাক্ষণ আমরাতো ঠোটে ঠোট চুবায় রাখি- কথা কই কখন?
সেই বন্ধু ভীষণ লজ্জা পেয়ে বলে, কি বলেন ভাই- কই আপনি আর কই আমরা। আপনার মত চেহারা ফিগার থাকলে আমাদেরও আর কথা কইতে হত না।
কিন্তু এমন নায়কোচিত চেহারা ফিগার নিয়েও ববি ধরা খেল!
কোন এক প্রভাতে আমার জিগার দোস্ত ববি ফের সিঙ্গেল হয়ে গেল! সে মেয়ে এবার অন্য কারো সাথে ভেগেছে।
দোস্ত আমার, মনের কষ্টে আঠার তলা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়ে ভূতলের অসীম দুরুত্ব দেখে পিছিয়ে এল।
পরে আকন্ঠ বাঙ্কা (কাঁচের জার) বাঙ্কা মলদোভিয়ান রেড ওয়াইন গিলে – গলা জড়িয়ে কান্নাকাটি করে সবকিছু ভোলা ছাড়া গতি রইল না। ওর সাথে আমি কাঁদলাম ফাও! .....
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি তাতেই কৃতজ্ঞ ভাই। আপনার উপস্থিতি আমাকে বরাবরই উজ্জীবিত করে।
বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখন পড়তে শুরু করলাম। পড়া শেষ করে মন্তব্য করে যাব নে
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বড় ভাইয়ের ভয়ে পালাতেই হলো শেষ পর্যন্ত।
বাপেরও বাপ থাকে। যার সাথে ভেগেছে সে নিশ্চয়ই ববির চেয়েও বড় প্লেবয়। কিন্তু আপনি কাঁদছিলেন কেন? বন্ধুর দুঃখে? নাকি এমনি এমনিই?
০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো( মানে সৌম্য) এমনিই কেঁদেছি ভ্রাতা। মদ খাইলে এমনিতেই হৃদয়টা একটু আর্দ্র হয়- কারো খুশিতে হাসতে ইচ্ছে করে
কারো দুঃখে কান্না তাইতো বললাম আমি কাদলাম ফাও!!
বড় ভাইও একসময় ধরা খেয়ে যেতে পারে। ববি চরম জিনিস- তাঁর খেলাতো সবে শুরু!
ফের ধন্যবাদ আপনাকে - আপনার আন্তরিকতা ও মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন সবসময়
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার লেখা পড়তে বড়ই আরাম লাগে।
০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে বিমোহিত হলাম আর আমিও আরামবোধ করলাম!
পরের পর্ব পড়ার জন্য আমন্ত্রন রইল-নতুন এক লননার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব
ভাল থাকুন- মন্তব্যের জন্য ফের ধন্যবাদ
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লেখার হিউমারগুলো আমি বেশি ইনজয় করছি। একদিকে সৌম্যরে বলতেছেন ল্যাদা পোলাপান, অথচ সেও কিন্তু কম সেয়ানা না যেমন :
পরিচয় পর্ব শেষে, গুটিশুটি মেরে বসে আছি। ‘ভাও’ বুঝতে পারছি না কোন পথে আগাব। সে একাজ-ওকাজের বাহানায় ঘরময় এধিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমি পিট পিট করে আড়ে-ঠারে খাটো স্কার্টের ফাঁকে তার অনাবৃত সুগঠিত ‘ইষ্টম্যান কালার’ ঠ্যাং দুখানা দেখছি।
উপমা বা বর্ণনাগুলো মোর দ্যান ইউনিক
আমি নিশ্চিত ববি’র একখান চোখ এই দিকেও আছে। শায়লাকে ফর্মুলা দুই দিয়ে কবে আবার অজ্ঞান করে একে পাশে রেখে সারারাত ফুর্তি করবে বোঝা মুশকিল!
তবে ‘শায়লা’ যেমন শরির ঝলসে দেয় এ তেমন নয়, এর আগুন যেন শীতের ফায়ার প্লেস! উষ্ণতায় ওম লাগে।
কিন্তু বড় আফসোস ও অনুতাপের বিষয়, বন্ধু আমার আরো দু-একটা আঙ্গুল হারানোর মত বেকায়দায় পড়লেও এ মেয়ে নিতান্ত দয়াপরবশত; হয়ে এই আধা বাবনিককে ভুখা কাঙ্গাল ভেবে, ওষ্ঠে একখানা ‘গুড নাইট’ কিস দিয়েছিল মাত্র।
ইস স আমার সেখান থেকে আসতে যা কষ্ট হয়েছিল, বন্ধুকে বললাম; হৃৎপিণ্ড খানা রেখে যাই- পরে এসে না হয় নিয়ে যাব।
লিফ্টের বর্ণনা পড়তে পড়তে তো আমি নিজেই ভয়ে কাঁপছিলাম
এত উঁচুতে থাকে সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হল আঠার’শ শতকের লিফটখানা নিয়ে। কেঁচি গেইট( কলাপসিবল) বন্ধ করে বোতাম চাপার পরে মনে হয় সে শরির গরম করে কিছুক্ষন। তারপরে গোঁয়ার ষাড়ের মত গোঁ গোঁ করে খানিক্ষন, এর পরে কয়েকবার কাঁপুনি দিয়ে হেলে দুলে উঠতে শুরু করে। আঠার তলায় উঠতে গিয়ে বার বার গোত্তা খায়- ভয়ঙ্কর কাঁপুনি দিয়ে আটকে যেতে যেতে যেতে যায় না। আমরা দুই বন্ধু ইশারায় বলি, এই যাত্রায় বেঁচে গেলে হয়। একবার উপড়ে উঠলে আর নামছি না।
এরপরে অন্য কার ‘গোস্তে’(অতিথিশালায়) গেলে এমন একজন সুন্দরী রমনীকে হাতে পায়ে ধরে ধার করে নিয়ে যাব।
কোন এক প্রভাতে আমার জিগার দোস্ত ববি ফের সিঙ্গেল হয়ে গেল! সে মেয়ে এবার অন্য কারো সাথে ভেগেছে। তমাল ভাইয়ের সাথে একমত। ওস্তাদেরও ওস্তাদ আছে। ববি সেই ওস্তাদের কাছে ধরা খাইছে
দোস্ত আমার, মনের কষ্টে আঠার তলা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়ে ভূতলের অসীম দুরুত্ব দেখে পিছিয়ে এল।
পরে আকন্ঠ বাঙ্কা (কাঁচের জার) বাঙ্কা মলদোভিয়ান রেড ওয়াইন গিলে – গলা জড়িয়ে কান্নাকাটি করে সবকিছু ভোলা ছাড়া গতি রইল না। চরম রসাত্মক বর্ণনা
ওর সাথে আমি কাঁদলাম ফাও! ..... এ লাইন পড়ে অনেকক্ষণ হেসেছি
কপি-পেস্ট কৃতজ্ঞতা : শায়মা মিস
সব মিলিয়ে দারুণ সিরিজ
০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছিল- লেখাটা আপনার আর আমি কপি-পেষ্ট করেছি মাত্র
(তবে বড়ই আফসোসের বিষয় এই কপি পেষ্টের নিয়মখানা আমি এখনো শিখে উঠতে পারিনি - শায়মা আপুর কাছে ধর্না দিতে হবে নাকি??)
লেখার একেকটা প্যারার শেষ অংশে আপনার মন্তব্য আমাকে বিমোহিত, অনুপ্রাণিত ও দারুন উজ্জীবিত করল।
আপনার নিজের লেখাতো অতি উঁচুমানের ( মাঝে মধ্যে রসে টই টুম্বুর) সেই সাথে মন্তব্যেও এক কাঠি সরেস
শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন এই কামনা ও প্রত্যাশা করছি।
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন।
৬| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:০৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: হলিউডের নায়িকা খাসা কোনটা নাম বললে দেখতাম
০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: কার নাম বলি; তখনকার দিনের হার্ট থ্রুব ' ফবি কেটস কিংবা ব্রুক শিল্ডের' মত নায়িকাদের সাথে তুলনা করেছি।
এখন খুশী হইলেন নাকি মনঃপুত হল না ব্রো??
৭| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিন্তু বড় আফসোস ও অনুতাপের বিষয়, বন্ধু আমার আরো দু-একটা আঙ্গুল হারানোর মত বেকায়দায় পড়লেও এ মেয়ে নিতান্ত দয়াপরবশত; হয়ে এই আধা বাবনিককে ভুখা কাঙ্গাল ভেবে, ওষ্ঠে একখানা ‘গুড নাইট’ কিস দিয়েছিল মাত্র।
আহারে !!!
কিস্যু না ভাই, ডাইরেক্ট জাপটায় ধরবেন। কথা বার্তার সময় আছে নাকি? এই দেখেন না- সারাক্ষণ আমরাতো ঠোটে ঠোট চুবায় রাখি- কথা কই কখন?
পরে আকন্ঠ বাঙ্কা (কাঁচের জার) বাঙ্কা মলদোভিয়ান রেড ওয়াইন গিলে – গলা জড়িয়ে কান্নাকাটি করে সবকিছু ভোলা ছাড়া গতি রইল না। ওর সাথে আমি কাঁদলাম ফাও!
যাক ফাউ কান্নায় আগেই চোখ পরিষ্কার, এখন রুপসুধা পানে সুবিধা হবে।
আপনি তো এক্কেবারে আড্ডার ভাষা তুনে এনে জমায়ে দিছেন এখন সাথে মুড়ি পিঁয়াজু সাপ্লাই দেন।
০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: মুড়ি পিঁয়াজুর সাথে খাটি সরিষার তেল, কাচা লঙ্কা আর পিয়াজ ও থাকবে- টেনশন নিয়েন না
কি যে বলেন রুপসুধা পান- কিঞ্চিৎ লজ্জা পাইলাম
এইবার খুব দ্রুত মন্তব্য পাইলাম- বিমোহিত ও প্রীত হইলাম!
লেখার শুরুতেই বলে নিয়েছিলাম লেখা হবে আড্ডার ভাষায়, সামনে ধীরে ধীরে আড্ডার ভাষা থেকে স্রে এসে কিতাবের ভাষায় কথা হবে- নাহ, সে আর আমাকে দিয়ে হবে না।
পরের পর্বে সাথে থাইকেন। ভাল থাকবেন
৮| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:৩১
সোহানী বলেছেন: সিরিজ আমি এড়িয়ে চলার চেস্টা করি কারন একটা পড়লে বাকিগুলোর জন্য ঘুম হারাম হয়ে যায়। এমনিতে সময়ের টানাটানি, যতটুকু সময় পাই হুটহাট করে কিছু লিখি। তারপরও আপনার সিরিজের নামটা খুব আকর্ষন করেছে কিন্তু পড়তে পারিনি। যাই হোক অন্য কিছুতে কাটছাট দিয়ে শুরু করলাম সিরিজগুলো পড়া।
০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বেশ ব্যস্ত দিনযাপন করেন সেই আভাস আগেই পেয়েছি। তার পরেও এমন খাসা সাহিত্য কেমনে রচনা করেন সেইটেই
ভাববার বিষয়!!
আমি নিজেকে দারুন সৌভাগ্যবান মনে করছি এই ভেবে যে, আপনি অন্য কাজ-কর্মে কাট ছাট করে আমার লেখা পড়বেন জেনে।
অপেক্ষায় রইলাম-আপনার দারুন কিছু মন্তব্যের জন্য....
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন
৯| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: শ্যয়লা যার সাথে ভাগলো সেইটা কি মামুনুলের কেউ ?
যা শুন্তেছি তাতে তো নিজের জীবনের উপ্রে ঘেন্না ধইরা গেলো। নিজের বউ যে ভাবে তাকায় মনে হয় গায়ে লিখা আছে- ১০০ হাত দূরে থাকুন।
ঐ রকম একখান লিফট পাইলে বান্ধবি সহ উঠার আগে ইলেক্ট্রিশিয়ানরে পয়সা দিয়ে রাখতাম যেনো মাঝ পথে কারেন্ট বন্ধ কইরা দেয়।
পঞ্চম পর্বের জন্য এরকম অপেক্ষায় রাখলে কিন্তু খবর আছে।
০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আর বলবেন না ভাই, পুরুষ হয়ে জন্মানোর জন্য ইদানিং লজ্জাবোধ করি।
ঘরের মানুষের কাছে আজকাল অহর্নিশি নিজেকে চরিত্রবান হিসেবে জাহির করতে হয়-আমি বাদে বাকি বিশ্বের পুরুষজাতি যে কত
খারাপ এই গান গাইতে গাইতে গলা শুকায় যায়!!!
যা বলেছেন- ববি একথা শুনলে এখন আফসোসে চুল ছিড়বে! যে জোশ লাইফটাই না সে কাটাইছে রাশিয়ায়।
পরের পর্বে অন্য এক খাটু উক্রাইনান তরূনী-কে নিয়ে হাজির হচ্ছি। সময় পেলে পোষ্ট দিব, এমন করে সবসময় সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রাকছি।
ভাল থাকুন।
১০| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ববির ভাগ্যটাই খারাপ।
জনাব আমি কমেন্ট ব্যান মুক্ত হয়েছি। এখন নিয়মিত মন্তব্য করতে পারবো।
০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: যদিও আপনাকে বলিনি তবে খবরটা শুনে বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম।
আপনাকে নিয়ে সবার পোষ্ট পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। জনাব চাঁদ্গাজী চরম মনকষ্টে ছিলেন-সেটা তাঁর পোষ্ট পড়ে বুঝেছি।
ফের ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন- মুক্ত হস্তে মন্তব্য করুন। ভাল থাকুন
১১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১১:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন্তব্য যত সময় নিয়েই করি না কেনো!
বেশিরভাগ সময়ে প্রথম পাঠক কপালগুনে আমিই হই। আর একবার পড়া হয়ে গেলে মন্তব্য তামাদী হয়ে যায়
০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কপালগুণ হবে কেন- হবে আমার কপালগুনে
কেন তামাদী হয়- আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন নাকি?
তবুও জেনে ফের ভাল লাগল যে, আমার লেখাগুলো কপালগুনে সর্বপ্রথম আপনার চোখে পড়ে।
১২| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সর্বশেষ আপনার ফাও কাঁন্নাটাই ভালো লেগেছে । যাহোক এরপর না হয় উক্রাইনান তরুনীকে নিয়ে আপনার হাসি তামাসার গল্পে মেতে রইবো।
০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:০২
শেরজা তপন বলেছেন: এত রসের কথা কইলাম- শেষমেষ কিনা আমার কান্নাটাই আপনার ভাল লাগল!!!
ভালই মজা নিতে পারেন!
দেখি সামনের পর্বগুলোতে আপনার জন্য আরো কিছু ফাও কান্নার প্লট রাখা যায় কিনা
১৩| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ফুলে যেমন কাটা থাকে, তেমনি ব্লগেও কিছু দুষ্টলোক আছে। এরা ব্লগের পরিবেশ এবং ভালো ব্লগারদের নষ্ট করতে উঠেপরে লেগেছে।
০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো পুরনো ব্লগার! এসব বিষয়ে আপনি বেশ আগে থেকেই জানতেন-
অতএব সতর্কতা জরুরী!
আমি ভেবেছিলাম আপনাক একটা কন্যা- কিন্তু পরে জানলাম দুটো! বেশ ভাগ্যবান আপনি।
১৪| ০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০১
আরাফআহনাফ বলেছেন: বন্ধুকে নিয়ে আপনার চিন্তা ------- "হাত হয় তোর পিছনে না হয় শায়লার পিছনে রাখিস" ---- হাহাপগে।
আপনার নিজের হাতখানাও সামলে রাখুন সুহৃদ - যে দারুন রসে লিখে যাচ্ছেন - কখন না আবার কে ধার চেয়ে বসে !!!
দারুন, দারুন - সাথে আছি - চলুক ।
০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কঠিন নিক আপনার-বলতে গেলে ঠেকে যায়!
যা বলেছেন আর কি- উত্তরে কি বলব খুজে পাচ্ছি না! এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন- সাথে আছেন জেনে প্রীত হলাম।
১৫| ১১ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৮
আরাফআহনাফ বলেছেন: "বেশ কঠিন নিক আপনার-বলতে গেলে ঠেকে যায়!"
কঠিন সমস্যার সহজ সমাধান নিন -
আরাফ-আহনাফ ।
১৬| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩০
অশুভ বলেছেন: অনেকদিন পরে সামুতে ঢুকে মনে মনে ভাবছিলাম কতগুলো পর্ব না জানি মিস করে ফেলেছি। যাক, খুব বেশি মিস হয়নি।
ববি ভাইয়ের মত ক্যারেক্টার কখনো ছ্যাঁকা খাবে বলে মনে হয়নি। আর ছ্যাঁকা খেলেও শোকে কাতর হবে সেটাও চিন্তায় আসেনি। আসলে মানুষের মনতো, কখন কী হয়ে যায় বোঝা মুশকিল। পরের পর্বে অপেক্ষায় রইলাম।
১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে না দেখে- একটু চিন্তিত ছিলাম। পরে একটা পোষ্ট দিয়েও বিশেষ কারনে ড্রাফটে নিয়েছি।
সুযোগ পেলাম- এক্ষুনি আরেকটা পর্ব দিচ্ছি। পড়ে জানান কেমন হল?
ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক
১৭| ১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
অশুভ বলেছেন: গতকাল থেকে বাবনিক-৫ এর অপেক্ষা করছি। আর বারবার আপনার ব্লগে ঢুকে রিফ্রেশ দিচ্ছি। নতুন পর্ব নাই।
অবশ্য এখন না দেয়াই ভাল। অনেক ব্লগারই ঈদের ছুটিতে আছেন, যারা মিস করতে পারেন। আমার মতে একজন লেখকের স্বার্থকতা হলো তার লেখা যতবেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছায়। আর ব্লগের ক্ষেত্রে যতবেশি মন্তব্য পাওয়া যায় ততবেশি উৎসাহ বেড়ে যায়।
এজন্য একটু দেরী হলেও সমস্যা নেই। সাথেই আছি সবসময়।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। দিতে ভয় পাচ্ছি। মন্তব্য না থাকলে আবার লেখার আগ্রহ হারিয়ে না ফেলি...
আপনার ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য কৃতজ্ঞতা আর অপেক্ষা করানোর জন্য দুঃখিত।
দু এক দিনের মধ্যে বাবনিক নিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৮| ১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার যা কিছূ কোট করার সোনাবীজ ভায়া আর মনিরাপু কইরা ফেলছে
তাই ঐকিক নিয়মের ডাবল ডট দিয়ে ভাগলাম
++++
১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাগবেন কোথায়?? আসিতেছি আংশিক রঙ্গিন পরের পর্ব নিয়ে
১৯| ০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: একসাথে চার পর্ব পড়া শুরু করলাম...
ববির জন্য কোন দুঃখ হচ্ছে না। আপনি কেন যে কাঁদতে গেলেন!! আসলেই ফাও কান্না...
বরাবরের মতই প্লাস।
০১ লা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: পুরোটাই মজা করে বলা
একটা সময় বন্ধু্র কষ্টটা নিজের কষ্ট বলেই মনে হোত।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব পাল্টে যায়- নিজেরটা নিজেরই মনে হয়
২০| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আগে পড়েছিলাম।লগ ইন না করায় কমেন্ট করা হয়নি। খুব ভালো লাগছিল পর্বটা।শ্যায়লার চলে যাওয়া, লিফটের বর্ননাটা যেমন ভালো লেগেছে তেমনি অসহায় লাগলো ববির জন্য। বেচারা ববি....
০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১০:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভাবছিলাম এই পর্বটা মনে হয় আপনার মিস হয়ে গেল!!
যাক পড়েছেন জেনে প্রীত হলাম।
আপনার মন্তব্য বরাবরই আমাকে অনুপ্রাণিত করে দারুনভাবে।
ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সুন্দর থাকুন। ৯ ও ১০ম পর্ব একসাথে দিচ্ছি। মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম...
২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
অশুভ বলেছেন: আবার পড়তে গিয়ে সত্যি সত্যিই অনেক মজা পাচ্ছি।
দোস্ত আমার, মনের কষ্টে আঠার তলা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়ে ভূতলের অসীম দুরুত্ব দেখে পিছিয়ে এল।
আপনার শব্দের গাঁথুনি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই।
২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
শেরজা তপন বলেছেন: কালকেই মন্তব্য পড়েছিলাম- আজকে ফের খুঁজে পেতে ঘাম ঝরছে-
আপনার মন্তব্য সবস্ময়ই আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করা।
ফের ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।
২২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জুন বলেছেন: কি ব্যাপার আমি তো আপনার নিয়মিত পাঠক তাহলে এটা পড়ি নাই কেন
যাক বেটার লেট দেন নেভার।
শায়্যলার বান্ধবীর বর্ননার চেয়েও লিফটের বর্ননা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ । এই রকম এক লিফটে চড়েছিলাম কায়রোতে । উপরে ওঠার পর দেখি দরজা খুলে না কি যে ভয় পেয়েছিলাম যে আবার নীচে চলে এসেছিলাম ।
আপনার ১৩ নং ভালোলাগাকে ১৪ করে দিলাম শেরজা তপন
+
২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার একটা ভাললাগা আমার কাছে সহস্রের অধিক!
আমার প্রতিটা গল্পের সাথে যে যোগসুত্র আপনার খুঁজে পাই তাতে মনে হয় যৌথ গল্প লিখলে ভাল হোত
কায়রোতেও এমন ধারার লিফটো আছে!!! আমি ভেবেছিলাম শেষখানা ওই অডেসাতেই ছিল হাঃ হাঃ
অনেক ধন্যবাদ আপু- এত পুরনো লেখা পড়তে এসে- ভাল্লাগা ও সরস একতা মন্তব্যের জন্য!
২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: বেশ রসালো পর্ব! তবে লিফট কাহিনীটাও মন্দ নয়।
০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম দিকে রসেই ভরপুর!
বাবনিক'রাতো রসের মানুষ হাঃ হাঃ
২৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
অমন বেহেস্তে না পাডাইয়া মোগো জীন্দেগীর মালিক ক্যান যে রসকষহীন বাঙলাদেশে পাডাইছে !!!!!!
হেই দুঃকখে আন্নের মতো ফাঁও কান্দন ছাড়া মোগো কফালে আর কিচছু ল্যাহা নাই..............
জীবনের "গুজরে হুয়ে দিন কা কাহানী"।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: সে এক দিন ছিল ভাই গো
আহা এখন শুধু সপ্ন মনে হয়! ডায়েরি আর দু-চারখানা ছবি না থাকলেও সেটা বাস্তব বলে আর মনে হোত না
চার পর্বে এসেছেন সবে- এমন ধীরে ধীরে পড়েন তবুও পুরোটা পড়বেন সেই প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপস্থিতি জানান দিয়া গেলাম - স্বাক্ষর ঐ 'লাইক'-এ