নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আমি কারো পক্ষে বিপক্ষে কথা বলতে চাইনা। হত্যা - হত্যাই, সেটা সমর্থন করার প্রশ্নই উঠে না। আর সেটা যদি হয় অনৈতিক ভাবে।
কিন্তু আমার মনে কিছু প্রশ্ন ছিল। নিজে থেকে সে উত্তর জানার জন্য নেট দুনিয়ার সাহায্য জরুরী ছিল; এর সত্য-মিথ্যা যাচাই করা ভীষন কষ্টসাধ্য বটে। নীচের লেখাটুকু পড়ে কেউ ভুল-ভ্রান্তি শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ হব;
বাংলাদেশী স্বাধীনতার আগে অনেক পূর্ব পাকিস্তানী (বাংলাদেশি) ১৯৪৮ সালের আরব-ইস্রায়েলি যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবীর লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষত ফিলিস্তিনের মুক্তি সংস্থা (পিএলও) -এর একাত্তরের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।
* সন্ধান পাওয়া যায়; কিন্তু দ্ব্যার্থহীনভাবে প্রমাণিত নয়। কেউ কি খোদ কোন ফিলিস্তিনীর এই দেশের মুক্তিকামীদের সাথে একযোগে লড়াইয়ের খবর জানেন?
ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকেই লক্ষ্য করা যায়। প্রথমদিকে অধিকাংশ আরব রাষ্ট্র সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধাগ্রস্থ ছিল, কিন্তু এই সম্পর্ক উষ্ণ হতে থাকে যখন ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে মেডিক্যাল টিম ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহায়তা করে।
* তার মানে ফিলিস্তিন ও অন্য আরোব দেশের মত দ্বীধাগ্রস্থ ছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্রায়েলি সরকার এবং ইস্রায়েলি সাধারণ জনগণ উভয়ই বাঙালি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নবগঠিত দেশটি ইস্রায়েলের দ্বারা দ্রুত স্বীকৃতি লাভ করে। তবে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্রায়েলি স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান।
* হতে পারে এটা তাদের বুদ্ধিদীপ্ত কুটনৈতিক চাল, যাতে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনীদের সমর্থন থেকে সবে এসে ইসরাইলের প্রতি নমনীয় হয়।
“১৯৮৮ সালের ১৫ ই নভেম্বর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পর থেকে প্যালেস্টাইনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানকারী ১৩৭ টি দেশগুলির মধ্যে একটি বাংলাদেশ।
অথচ
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার চূড়ান্ত পক্ষপাতদুষ্ট হলেও, এটি ভুলে যাওয়া কষ্টকর যে, ইয়াসির আরাফাতসহ ফিলিস্তিন এবং তার নেতারা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সহিংসতা ও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন।
নথিভুক্ত তথ্য অনুসারে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের আরব জাতীয়তাবাদী ও “ম্যান্ডেটরি প্যালেস্টাইন” -র মুসলিম নেতা মোহাম্মদ আমিন আল-হুসেইনি মুসলিম দেশগুলিকে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ইয়াসির আরাফাত পাকিস্তানের অনুরোধে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর পক্ষে সমর্থন পাওয়ার এজেন্ডা নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছিলেন। আরাফাতের দৃষ্টিতে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের “সন্ত্রাসী” হিসাবে দেখা হত।
*ধর্ম বাদ দিয়ে যদি মানবাতার দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয় তাহলে ফিলিস্তিনিদের মানবতা তখন কোথায় ছিল?????
সুত্রঃ উইকি, ব্লিৎজ ও অন্যান্য।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: জানিনা নিশ্চিত রাইট কি রং কিন্তু কিছ প্রশ্নের উত্তর খুজছি?
মন্তব্যার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
২| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যুক্তি নির্ভর লেখা।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছি- আমি ভাই আমার দেশকে নিয়ে আগে ভাবব তারপরে অন্য কথা।
৩| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
রবিন.হুড বলেছেন: ইয়াসীর আরাফাত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধীতা করলে তার ছবি দিয়ে স্বারক ডাক টিকিট বা ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কিভাবে অতিথি করা হয়?
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমারওতো তেমনটা প্রশ্ন?
এটা পড়ে দেখুন;
https://www.weeklyblitz.net/news/palestine-opposed-to-bangladeshs-war-of-independence-termed-bengali-freedom-fighters-as-terrorists/
৪| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২০
অশুভ বলেছেন: অজানা তথ্য! রাজনীতি বড় অদ্ভুত জিনিস। কখন কে পাল্টি মারে ঠিক নাই।
"তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন" নীতি অনুযায়ী ইসরায়েল বনাম ফিলিস্তিন যুদ্ধের অবসান হোক সেই দোয়া করি।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও সেই দোয়া করি। ওদের মানবতা না থাকুক আমাদের আছে।
এক ধনবান ফিলিস্তিনই যুবকের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল- আমি মুসলিম শুনে সে হেসে বল্ল; তাই নাকি? আমার মুসলমানের
পার্সেন্ট হয় ১০০ তাহলে তোমার বড়জোর কুড়ি! যদিও সবাই এমন নয় তবে ওরাও অন্যসব আরবদের মত; আমাদেরকে
ছোটলোক/ মিসকিনের নজরেই দেখে।
৫| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: মুসলমানরা ভাই ভাই যুক্তিতে তখন সমর্থন ছিল পাকিস্তানের(দখলদার) পক্ষে।আর কোথাও মগজ খাটানোর দরকার ছিল না।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা সেটাতো বটেই!
তখন কোথায় গিয়েছিল মানবতা, সহমর্মিতা, সহানুভুতি??
আমরা মাইনষের জন্য কাইন্দ্যা মরি- কেউ আমাগের জন্যে কাঁন্দে না!
৬| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে আমিও ভাবিতো !!!
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: এই বিষয়টা সবাই কেন হিডেন রাখে সেইটা একটু ভাবনার বিষয়!
এ সব বিষয়ে বললেই কি আমি ইসরাইলের দালাল হয়ে যাব?
৭| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: না অবশ্যই না। ফিলিস্তানের দালাল হয়েই বা কি লাভ এটা নিয়াও ভাবছি।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: দালাল হইলে নিজের দেশের হইতে হবে- বাকি সবকিছু দেশের স্বার্থে
৮| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
পুলক ঢালী বলেছেন: আমার জানা মতে ১৯৯৭ সালে নেলসন মেন্ডেলা যখন বাংলাদেশ ভিজিট করেন তার এক কি দুইদিন আগে ইয়াসির আরাফাত বংলাদেশে আসেন। এটা রাজনীতি ৭১ থেকে ৯৭ পর্যন্ত ২৫/২৬ বছরে পদ্মায় অনেক পানি গড়িয়ে গেছে পূর্ব পাকিস্তানের চেয়েও তখন বাংলাদেশের বয়স বেশী।
ঐ সময়ে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন। সে সময় স্মারক ডাক টিকিট বের হতেই পারে, তাতে ৭১ সালে ইয়াসির আরাফাতের মুসলিম উম্মার স্বার্থে পাকিস্তান রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়ার কালীমা ঘুচে যায়না।
বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় সবসময় প্যালেষ্টাইনের প্রতি একটা সমবেদনা ছিলো, কারন, বাঙ্গালী মুক্তির আকাংখা স্বাধীনতার তৃপ্তী এবং সংগ্রামের মূল্য বোঝে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা তাই আরাফাতকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন।
সমস্যা হলো আরাফাত গংদের কাছে ধর্ম আগে মানবতা পরে।
মানবিকতা ছাড়া ধর্ম মূল্যহীন, সেই ভাবনা রাজনৈতিক স্বার্থের কাছে পরাভুত ।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মুল বক্তব্যের সাথে আমি সহমত;
'মানবিকতা ছাড়া ধর্ম মূল্যহীন, সেই ভাবনা রাজনৈতিক স্বার্থের কাছে পরাভুত।'
কেউ কি একটা উদাহরন দিতে পারবে; বাংলাদেশে গনহত্যার সময়ে ফিলিস্তিনের জনগন একটাও ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে রাস্তায়
দাড়িয়েছিল?
তখনতো ওরা এখনকার থেকে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। মানবাধিকার কর্মী সবসময়ই ওখানে গিজ গিজ করে। কিন্তু
আমাদের মানবতা লুণ্ঠিত হলে ওরা না দেখার ভান তো দুরের কথা দেখতেই চায় না!!
যদি ধর্ম মুল বিষয় হয় তবে; রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিয়ে ওদের বক্তব্য কি জানতে ইচ্ছে করে??
আপনার মন্তবের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
৯| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: বেচারা ফিলিস্তিনিদের জমি দখল হতে হতে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে গুগল ম্যাপে এখন ফিলিস্তিন নামে কোনো অঞ্চল আর খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু মাত্র গাজা উপত্যকা আর পশ্চিম তীর এর সামান্য কিছু অংশ এখনো ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আর ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন একদম বিলীন হয়ে যাবে।
তবে, সব অন্যায়েরই মূল্য সবাইকে দিতে হবে, বিষয়টা শুধু সময়ের।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: ওদেরতো তাও শ'খানেক বছর লাগছে সব হারাতে।
আমরাতো একবছরের কম সময়েই সব হারাতাম!!!!
১০| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৭১-এ আমেরিকা কার পক্ষে ছিল? ৭ম নৌবহর তো আর বাংলাদেশকে সাপোর্ট করার জন্য না, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এরকম ঐ সময়ে নানা কারণে অনেক দেশই বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান করেছিল, পরে তারা আবার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে, বন্ধুও হয়েছে।
মুসলিম সেন্টিমেন্ট কাজ করে, বা বলা যেতে পারে ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট খুব কাজ করে। এজন্য সারা দুনিয়ার ইহুদিরা ইসরায়েলে সমবেত হয়েছে। বাংলাদেশে একজন মুসলমানকে মেরে ফেলা হলে শুধু বাঙালিরা চেঁচাবে, আর একজন অমুসলিমের উপর অত্যাচার করা হলে সারা দুনিয়া চেঁচাবে। আশা করি, এ ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই ধরতে পেরেছেন। আমাদের দেশের তথাকথিত প্রগতিশীলরা এটা কখনো বুঝতে চাইবেন না, তারা ফিলিস্তিনিদের উপর হত্যা-নির্যাতনে অনেকটা খুশিই বলা যায়। সাধারণভাবে, ইসরায়েল যেহেতু মুসলিম নিধনে নেমেছে, সেজন্য মুসলিম সেন্টিমেন্টে এটা আঘাত করবে। বসনিয়া-হার্জেগোভেনিয়া, চেচনিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় মুসলিমদের উপর নৃশংস নির্যাতন হচ্ছে বলেই এটা মুসলমানদের লাগে। তবে, সব মুসলমানের যে লাগবে, তাও না।
তবে, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে, দুর্বলের উপর অত্যাচারকে ঘৃণা করাটাই হলো মানবতা। যেভাবে ফিলিস্তিনিদের মারা হচ্ছে, এটা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণ করা যায় না। যারা গদ গদ হয়ে এটাকে সাপোর্ট করবেন, বা নিরপেক্ষতার কথা বলবেন, তারা কোনো সংজ্ঞাতেই মানবিক হতে পারেন না। ইয়াসির আরাফাত যদি ৭১-এ আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করে থাকেন, সেটাও নিষ্ঠুর অমানবিকই ছিল।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আপনার মত ঋদ্ধ ব্লগারের মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম...আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সন্মন্ধে যাদের অল্প সল্প জ্ঞান ও আছে তারাও সপ্তম নৌবহর বিষয়ে জানে।
বিশ্বের অনেক দেশই এখন মানবাধিকার বিষয় নিয়ে বেশ লাফা লাফি করে কিন্তু আমাদের চরম দুঃসময়ে তারা নির্বিকার ছিল!
তবে, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে, দুর্বলের উপর অত্যাচারকে ঘৃণা করাটাই হলো মানবতা। যেভাবে ফিলিস্তিনিদের মারা হচ্ছে, এটা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণ করা যায় না। যারা গদ গদ হয়ে এটাকে সাপোর্ট করবেন, বা নিরপেক্ষতার কথা বলবেন, তারা কোনো সংজ্ঞাতেই মানবিক হতে পারেন না। ইয়াসির আরাফাত যদি ৭১-এ আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করে থাকেন, সেটাও নিষ্ঠুর অমানবিকই ছিল।
আপনার শেষের এই কথাগুলোর সাথে সম্পুর্নরুপে সহমত পোষন করছি।
ধন্যবাদ ভাই -ভাল থাকুন
১১| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হত্যা, তা সে ধর্ম কিংবা ধর্মের বাইরে যেভাবেই দেখিনা কেন - তা কোন ভাবেই সমর্থন করা যায়না। আর যেভাবেই বলেন ,ফিলিস্তিনি সমস্যা কিংবা ইসরায়েলি আগ্রাসন - পুরাটাই মানবতার অসম্মান।
১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: এখানে আমার কোন দ্বীমত নেই! তবে বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে সেখানেই আমাদের নীতি হবে এক।
মানবিক দিক থেকে ওদের থেকে আমরা সেরা( আরবদের থেকে)
১২| ১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে প্রোফাইল, ইহা প্যালেষ্টাইনের জন্য কিছু করতে সমর্থ হবে না।
১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: সেটাতো বটেই !
পাঁচ মোড়ল একাট্টা হয়ে যতক্ষন পর্যন্ত নির্দিষ্ট একটা সিদ্ধান্তে না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত এর সমাধান অসম্ভব! সেখাবে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের তাবৎ মুসলিম রাষ্ট্রের প্রোফাইল একই কাতারে দাঁড়াবে
১৩| ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চলমান বাস্তবতার যথার্থ প্রকাশ । । শুভ কামনা।
১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: যথার্থ প্রকাশ কি না জানি না তবে বিষয়টা জানার দরকার ছিল।
বাংলাদেশ না হলে সারা পৃথিবীতে আমরাও উদ্বাস্তু হিসেবে নয় ,পাকিস্থানের গোলাম হয়ে লাথি ঝাঁটা খাইতাম!
১৪| ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান হোক।
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।
১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আগের মন্তব্য কি সেলফোনে করেছিলেন?
আমারা নিজেদের মধ্যে সামান্য ক্যাঁচাল করলেও অন্য কারো ক্যাঁচালে ভীষন অস্বস্তিবোধ করি!
অবশ্যই আমরা সহঅবস্থান চাই
'যুদ্ধটাকেই চিতেয় তোল
যুদ্ধটাকেই কবর দাও...
১৫| ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: সাদ্দামের ইরাক ছাড়া প্রায় সব আরবীভাষী দেশই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলো।
১৫ই আগষ্টের আগে সৌদি বা চীন-কেউই স্বীকৃতি দেয়নি।
১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
শেরজা তপন বলেছেন: জাতি হিসেবে আরবদের থেকে আমরা অনেক বেশী মহৎ মহানুভব ও উদার!
সেজন্যই ওদের দুঃখে কাঁদি, সীমিত সামর্থের তোয়াক্কা না করে চীৎকার করে গলা ফাটাই!
কিন্তু ওরা আমাদের ফকিন্নি মিসকিনের জাত বলেই গালি দেয় এখনো!!!!
আপনার মত ব্লগারের মন্তব্যে অনেক বেশী অনুপ্রাণিত হই। ধন্যবাদ সবিশেষ
১৬| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আশি'র দশকে কয়েক হাজার বাংলাদেশী লেবানন গিয়েছিলেন ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করতে।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: তাই কি!
কিন্তু আমাদের চরম দুঃসময়ে ওরা আমাদের পক্ষ নেয়নি। ধর্মটাই ওদের কাছে মুখ্য ছিল মানবতা নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
১৭| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: পোস্টের মন্তব্যগুলি অনেক ভাল লাগল।
অনেক সমৃদ্ধ হলাম।
আমার মনে হয় কেউ কেউ যুদ্ধ করতে ভালবাসে।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার!
তাতো বটেই- কেউ কেউ যুদ্ধ না চাইলে যুদ্ধ কি আর হইত
ভাল থাকুন সবসময়
১৮| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তাই কি!
কিন্তু আমাদের চরম দুঃসময়ে ওরা আমাদের পক্ষ নেয়নি। ধর্মটাই ওদের কাছে মুখ্য ছিল মানবতা নয়।
=============================================================
অনেক ফিলিস্তিনী ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের জন্যে ফান্ড দিয়ে সাহায্য করেছে।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: এই বিষয়টা আমার জানার দরকার ছিল। অথেনটিক কোন রেফারেন্স দিতে পারবেন কি? দিলে কৃতার্থ হব
১৯| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এই বিষয়টা আমার জানার দরকার ছিল। অথেনটিক কোন রেফারেন্স দিতে পারবেন কি? দিলে কৃতার্থ হব
=======================================================================
আমার মেঝ চাচা-চাচী মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ইংল্যান্ডে ফান্ড রাইজ করেন। তাঁরা সাক্ষ্য দিতে পারেন। ধন্যবাদ।
১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বলেছেন;'আমার মেঝ চাচা-চাচী মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ইংল্যান্ডে ফান্ড রাইজ করেন।'
জেনে বেশ ভাল লাগল।
কিন্তু উঁনারা নিশ্চয়ই ফান্ড রাইজটা শুধু ফিলিস্তিনি বংশদ্ভুত লোকদের কাছ থেকে করেননি? সেখানে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই
সহযোগীতা করেছিল। এমনকি কিছু জিউস বা ইসরাইলান মানুষও সহযোগীতা করতে পারে। তারা সবাই ভাল মানুষ ছিলেন।
তাদের মধ্যে ছিল মানবতা- দেশ জাতি ধর্মের উর্ধে উঠে তারা আমাদের মানবিক সহায়তা করেছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রনীতি
বা মুল্ধারার ফিলিস্তিনীদের মনোভাব এর থেকে বোঝা দুস্কর!
ধন্যবাদ আপনাকে -আপনার চাচা-চাচীর প্রতি রইল আমার সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।
২০| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: ১৯৭১ সালে ইয়াসির আরাফাতের পিএলও নিজেরাও যুদ্ধে জড়িত ছিলো। তারপরেও তাঁর এদেশের মুক্তিসংগ্রামের তথ্য তার জানা থাকা উচিত ছিলো। হয়তো বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে সাথে রাখতে তিনি তাদের ম্যান্ডেটকে বহন করেছেন। ১০ নম্বর মন্তব্যের বক্তব্য আমারও।
১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:০২
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আমিও সোনাবীজ ভাইয়ের মত একজন অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্লগারের মন্তব্যে আমিও সহমত পোষন করেছি।
আমি আপনার মন্তব্যকেও সমর্থন করছি- কিন্তু আদপে কি ঘটেছিল সেটা আহে জানা দরকার।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ২:০১
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি আর পেলেন না, উৎস দিচ্ছেন http://www.weeklyblitz.net-এর। এর প্রতিষ্ঠাতা সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী'র ইসরায়েল প্রীতির ইতিহাস একটু জেনে নিয়েন।
১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: মামুন ভাই, আমি আমার জানার সীমাবদ্ধতা ও তথ্যের উৎস সন্মন্ধে খোলামেলা বলেছি।
কিন্তু কথা হচ্ছে, যে কোন ্মিডিয়া থেকে প্রকাশিত কোন খবরকে আমরা পক্ষালম্বনের বিশেষ এক ট্যাগ দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিতে পারিনা। যতক্ষন পর্যন্ত তার বিপক্ষে কোন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রমান হাজির করতে না পারব।
নেট খুজে এর থেকে খুব বেশি তথ্য আমি পাইনি। সেজন্যি প্রশ্ন রেখেছি সবার কাছে। অথেনটিক তথ্যের অপেক্ষায় আছি...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ- ভাল থাকবেন
২২| ১৮ ই মে, ২০২১ ভোর ৫:৪৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্যালেস্টাইন সম্পর্কে আপনি যে তথ্য দিয়েছেন তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। এটা যদি সত্য হয় তবে খুবই দুঃখজনক। আমার মনে হয়ে এই ধরণের মারাত্মক একটি তথ্য প্রদানের স্বপক্ষে আপনার আরো অনুসন্ধান করা উচিত সত্যতা যাচাই করতে। ১৯৭২ সালে যখন ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তখনও বাঙালিদের মনে গণহত্যা ও পাকিদের পৈশাচিক কর্মকান্ডের দগদগে ক্ষত শুকিয়ে যায় নি। সেই সংগ্রামের সময় যদি প্যালেস্টাইন পাকিদের নূন্যতম সমর্থন করতো আমার মনে হয় না বঙ্গবন্ধু কখনই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন - এমনকি প্যালেস্টাইনীদের সংগ্রামের সঙ্গে বাঙালিদের সংগ্রামের সামঞ্জস্য থাকা সত্বেও।
আবার ইসরাইল যদি ১৯৭১ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিদের স্বার্থরক্ষায় বিন্দুমাত্র অংশ নিতো, আমার মনে হয় না তারা দুঃসাহস করতো ১৯৭২ সালে সমর্থন প্রদানের প্রস্তাব দেয়ার।
আমার কাছে মনে হয়, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ইসরাইল-প্যালেস্টাইন উভয়েই কোনো পক্ষ নেই নাই। কিন্তু ইসরাইল দখলদার আর প্যালেস্টাইন সেই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামরত এই দৃষ্টিকোণ থেকেই বঙ্গবন্ধু প্যালেস্টাইনের পক্ষ নিয়েছিলেন।
১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কেন আমারও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে।
সেজন্যই আমি প্রশ্নগুলো রেখেছি। আশা করি এর সত্যিকারে উত্তর কোন এক সময় পাব।
আপনার শেষ কথায় যুক্তি আছে- তবে বঙ্গবন্ধু আরো অনেক কারনেও প্যালেষ্টাইনকে সমর্থন করতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনার দারুন , বিশদ ও বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।
২৩| ১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৭
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: কোনো মিডিয়া যদি বিশেষ কোনো বাহিনীর প্রোপাগান্ডাবাহন হিসেবে নিরন্তর কাজ করে, তাকে ছুঁড়ে না ফেলে তাকে গুরুত্ব দেয়াটা বরং প্রোপাগান্ডাকে পরোক্ষভাবে সহায়তারই তুল্য, বিশেষ করে গোষ্ঠীটির নৃশংস এই কালে।
১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: সহমত তবে এ বিষয়টা নিয়ে আরো বিশদ আমাদের জানা উচিৎ।
২৪| ১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আরেকটি কথা, মিডিয়া কোনো কথা বললেই সেটি প্রমাণ-অপ্রমাণের দায়িত্ব আমার-আপনার নয়, অকাট্য প্রমাণের দায়িত্ব সর্বপ্রথম মিডিয়ার নিজের।
১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের একেবারে দ্বায়িত্ব নেই তা কিন্তু নয়- কেননা আমরাও ব্লগ নামের কোন এক মিডিয়ার সাথে জড়িত। সবাই যদি দায় ছেড়ে দেয় তবে এত বিভ্রান্ত মানুষকে সামলাবেন কেমনে?
২৫| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুধু প্যালেস্টাইন কেন সকল আরব দেশ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। কারণ পাকিস্তান ধর্মকে ব্যানার হিসাবে সামনে রেখে বিশ্বের দরবারে নিজেকে উপস্থাপন করে। আরব নেতাদের কাছে মানববাধিকারের চেয়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বেশী গুরুত্বপূর্ণ তাই পাকিস্তানের গণহত্যা তাদের কাছে জায়েজ মনে হয়েছে। পাকিস্তানের সাথে অধিকাংশ আরব দেশের তখন ভালো সম্পর্ক ছিল। আরবের বর্বর নেতারাও তাই পাকিস্তানকে চোখ বুজে সমর্থন দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সংশ্লিষ্টতার কারণে ব্যাপারটা বিশ্বের মানুষের চোখে পড়ে। ভারত বিরোধিতার কারনেও অনেক আরব দেশ পাকিস্তানের পক্ষ নেয়। ইয়াসির আরাফাত রাজনীতিবিদ হিসাবে আরবদের চটাতে চান নি। তাই অন্যান্য আরব দেশের মত সেও পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে।
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন -আমি সহমত পোষন করছি।
কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য যে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসে স্বাধীনভাবে অতিপ্রিয় বাংলা ভাষায় আমাদের যুক্তি ও মতামত তুলে ধরতে পারছি। না থাকলে কি হোত? কোথা প্যালেষ্টাইন আর কোথায় ইসরাইল - কার চিন্তা কে করত তখন?
২৬| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪৩
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আপনার পোস্টে যুক্তি আছে। দেখুন আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট বড় জটিল। এখানে আন্তর্জাতিক সমর্থন , যেকোনো যুদ্ধবিদ্ধস্ত নতুন একটি দেশের সমর্থন , তার অবকাঠামোগত উন্নয়নে সম্ব্রিদ্ধশালী দেশ গুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য অনেক সময় অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যা কিনা আবেগ বিরুদ্ধ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সমস্ত আরব বিশ্ব এবং মুসলিম দেশ (একমাত্র ইরাক ছাড়া ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা ও পাকিস্তান এর পক্ষাবলম্বন করেছে। এই বিরোধিতা এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পরেও অব্যাহত ছিল। সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছিল সৌদি আরব এমনকি ইরান এর তৎকালীন শাহ। আর আমেরিকার বিরোধিতাতো আছেই। যদিও আমেরিকা দেশ শত্রুমুক্ত হবার পরপরেই স্বীকৃতি দিয়েছিলো কিন্তু মনে মনে আমেরিকার পলিসি ভণ্ডুল করে বাংলাদেশের জন্ম কখনোই নিক্সন-কিসিঞ্জার প্রসাধন মেনে নেয়নি। এটা ছিল তাদের জন্য চরম কূটনৈতিক পরাজয়।
বঙ্গবন্ধু শুরুতেই বুঝেছিলেন এগিয়ে যেতে হলে তার মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন প্রয়োজন। অন্তত বন্ধু নাহলেও মুসলিম দেশগুলোকে উনি শত্রু বানাতে চান নাই। মুসলিম দেশগুলোকে বাংলাদেশ প্রশ্নে একটা নমনীয় অবস্থানে নিতে চেয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি তাই বঙ্গবন্ধুকে এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে নিয়েছিল। এতে করে মুসলিম দেশগুলো বাংলাদেশ প্রশ্নে কিছুটা হলেও তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে। সবচেয়ে জটিল বিষয় ছিল জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই জুলফিকার আলী ভুট্টো সমস্ত মুসলিম দেশ গুলোকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের বিরোধিতায় নেমেছিলেন যেন বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ না করে। এই কাজে ভুট্টো কিছুটা এগিয়েও গেছিলো। কিন্তু ইয়াসির আরাফাতের সাথে ভুট্টোর সু-সম্পর্ক থাকায় , আরাফাতের পরামর্শে ভুট্টো ওই কাজ থেকে বেশ কিছুটা নিবৃত্ত হয়েছিল। উপরন্তু , বঙ্গবন্ধু ওআইসি সদস্য পদ লাভের বিষয়ে খুব আগ্রহী ছিলেন কিন্তু ভুট্টোর বাধায় বার বার তা ব্যাহত হচ্ছিলো। এসময় ইয়াসির আরাফাত এগিয়ে এলে , ওআইসিতে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভ গতি পায়। আরাফাত ভুট্টোকে ওআইসিতে বাংলাদেশের বিরোধিতা না করার জন্যেও অনুরোধ এমনকি দূতিয়ালি করে।
মূলত , কূটনীতিতে অনেক সময় অনেক কিছুই করতে হয় , আমেরিকা জাপানে পারমানবিক বোমা ফেললেও , যুক্তরাষ্ট্রকে জাপান তাদের সবচাইতে পরীক্ষিত মিত্র হিসেবে উল্লেখ করে সবসময়। বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর পরমাণু বোমা প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কাজ করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উত্তর ইউরোপে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা পুনর্গঠন করার কাজে তাকে পুরোধা ব্যাক্তি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ যুক্তিযুক্ত ও বুদ্ধিদীপ্ত সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আমার ধারনা যুদ্ধ পরবর্তী ইয়াসির আরাফাতের এই তৎপরতা ও আন্তরিকতার বিষয়টা অনেকেই জ্ঞাত নয়!
সদ্য স্বাধীনতা লাভ করা একটা দেশ গড়ার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর ও আই সি সদস্যপদ লাভ ও জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য অনেক
ছাড় দিয়েছিলেন এটা সহজেই অনুমেয়।
কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা- যদি আমরা স্বাধীনতা লাভ না করতাম তখন কি হোত?? আমাদের বড় এক অংশ আজ উদ্বাস্তু হিসেবে
ছড়িয়ে থাকতাম সারা বিশ্ব জুড়ে- আর এক অংশ লাথি ঝাঁটা খেয়ে পাকিস্থানীদের গোলাম হয়ে থাকতাম। তখন ইয়াসির আরাফাত
সাহেব কি করতেন? আপনি একবার চোখ বুজে কল্পনা করে দেখেন সেই পরাধীন জাতির দুঃসহ ভয়ঙ্কর জীবনের কথা!
২৭| ১৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৫১
ঊণকৌটী বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে যৌথ সেনা কমান্ডার কিন্তু একজন ইহুদী ছিলেন
১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি- এ খবটা অনেকেই জানেনা বলে আমার বিশ্বাস! ধন্যবাদ ব্যাপারটা জানানোর জন্য
তবে ভাই বিচ্ছিন্নভাবে এক/ একাধিক বা বেশ কিছুসংখ্যক ইহুদী আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে জড়িয়ে থাকার মানে এই প্রমান হয় না যে, ফিলিস্তিন আমাদের স্বাধীনতার স্বপক্ষে ছিল।
২৮| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ২:১৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আগের কথা জানি না, তবে ১৯৮০ সালের পরে তো কখনো এমন দেখি নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Right