|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 শেরজা তপন
শেরজা তপন
	অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
 
 
মুজতবা আলী সাহেবের ‘রসগোল্লা’ গল্প পড়ে রসগোল্লার রস আস্বাদন করেননি এমন বাঙ্গালী সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া দুস্কর!
কোত্থেকে যেন জেনেছিলাম রসগোল্লার উদ্ভাবক কলকাতার এক ময়রা আর সেটা উদ্ভাবিত হয়েছিল এই বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মাত্র। একটু অবাক হয়েছিলাম কিন্তু খুব একটা গাঁ করিনি তখন।
সেদিন বেশ মনযোগের সহিত অতি নিবিষ্ঠ ধ্যানে সাঁইজির অতি বিখ্যাত ‘কানার হাটবাজার’ গীতটা শুনছিলাম। বড় মনে ধরেছে সে গীত।তবে গানের এক লাইনে ‘বোবায় খায় রসগোল্লা’ শুনে একটু চমকে উঠলাম –তার মানে রসগোল্লার খবর তিনিও তাহলে জানতেন!!
এমন কি হতে পারে কুষ্টিয়ার আখড়া থেকে তিনি সুদুর কলকাতা অব্দি যেতেন শুধু রসগোল্লার রস আস্বাদন করতে!!
কিন্তু তাজ্জব কি বাত; তিনিতো ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন উনিশ শতকের শেষভাগে( ১৮৯০)। তাহলে রসগোল্লা  চাখলেন কিভাবে???
অবশেষে এই ‘মদনা কানার’ গুগলের দ্বারস্থ ছাড়া উপায় কি?
বাঙালির পাতে ‘রসগোল্লা’ পরিবেশন করেছেন নবীনচন্দ্র দাস ১৮৬০ সালে।
যতদূর জানা যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম রসগোল্লা প্রস্তুত করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়ার হারাধন ময়রা আদি রসগোল্লার সৃষ্টিকর্তা। কলকাতার নবীনচন্দ্র দাস আধুনিক স্পঞ্জ রসোগোল্লার আবিষ্কর্তা ছিলেন এবং তিনি ইতিহাসে পাতায় আবিষ্কর্তা হিসেবে  রসগোল্লার কলম্বাস হিসেবে অভিসিক্ত হয়েছেন। ১৪ শতকের শেষভাগে ১৫ শতকের ভক্তি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভীষণা ভক্তি বৃদ্ধি লাভের সময় মিষ্টিটির প্রাচীনতা নদিয়াতে ফিরে আসে। এর পর এই রসগোল্লা জনপ্রিয় হয়ে,পাশের রাজ্যগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিশেষ করে কলকাতায় এটি উল্লেখযোগ্যভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। রসগোল্লা নদীয়া থেকে কলকাতা ও ওড়িশায় ছড়িয়ে পড়ে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে রসগোল্লার আদি উৎপত্তিস্থল বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলে। বিশেষ করে,পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পর্তুগীজদের সময় সেখানকার ময়রাগণ ছানা,চিনি, দুধ ও সুজি দিয়ে গোলাকার একধরনের মিষ্টান্ন তৈরি করেন যা ক্ষীরমোহন বা রসগোল্লা নামে পরিচিত। পরবর্তীতে বরিশাল এলাকার হিন্দু ময়রাগণের বংশধর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতা কিংবা ওড়িশায় বিস্তার লাভ করে।
হয়ে গেল, জনাব হারাধন আর নবীনচন্দ্র কট খেয়ে গেলেন -আমাদের সাঁইজি সম্ভবত সেই বরিশালের রসগোল্লার স্বাদ আস্বাদন করেছেন!
অবশ্য কলকাতা থেকে জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় ও এনে খাওয়াতে পারেন।
আমার বাবার মত মিষ্টি পাগল লোক এ জীবনে আমি কম দেখেছি।  আমার দাদার কন্ট্রোলের কাপড়ের দোকান ছিল গোপালগঞ্জ শহরে। আমার বাবা তার বড় সন্তান।
দুর্গাপুর থেকে গোপালগঞ্জের দুরত্বের বিচারে খুব বেশী না হলেও সেই আমলে সেটুকু পথ পাড়ি দেয়া সময়ের ব্যাপার ছিল। বর্ষার একমাত্র বাহন নৌকা আর গ্রীষ্মে কিছু পথ হেটে কিছুপথ গরুর গাড়িতে খানিকটা নৌকায় যেতে হোত।
দাদা মাসে দু’এবার বাড়িতে আসতেন – বাবার তার দোকানে বসা শুরু করেন বার কি তের বছর বয়স থেকে। তাকে দু-তিনদিনের জন্য দোকানে রেখেই আসতেন তিনি। 
ছেলে মিষ্টি পছন্দ করে জেনে তিনি বাবা দোকানে পৌছানো মাত্র কেজি খানেক জিলাপি নিয়ে আসতেন। তিনি খেতেন দু-একটা মাত্র বাকিটা বাবার পেটে চালান হোত। গাঁয়ে আসার সময়ে দু’তিনদিনের খাবার খরচ বাবদ দু’চার আনা দিয়ে আসতেন। 
দাদা বের হতেই বাবা চলে যেতেন ময়রার দোকানে। পুরো পয়সাগুলো তার হাতে দিয়ে বলতেন, বাপজান না আসা পর্যন্ত আমি শূধু মিষ্টি খাব।
আশ্চর্যজনক ভাবে দাদার অনুপস্থিতির কয়েকদিন ভাত না খেয়ে তিনি শুধু মিষ্টি খেয়ে কাটিয়ে দিতেন।
আমার বাবার যখন ১৫ কি ষোল বছর বয়স তখন আমার দাদা বেরিবেরি রোগে মারা যান। 
দাদাজানের রেখে যাওয়া কিছু জমিজমা আর শহরের দোকানখানায় নজর পড়েছিলতার ঘনিষ্ট আত্মীয়দের। পরিবারের বড় ছেলে সে, নাবালক অবস্থায় বাবা মারা যাওয়ায় প্রথমে জোড়াজুড়ি তারপরে গ্রামসুদ্ধ লোক মিলে জড়িয়ে পড়ল ‘কাজিয়া’য়( গোপালগঞ্জে বেশ প্রসিদ্ধ ‘ কাইজ্যা’ নামে- ঢাল বর্শা নিয়ে হুলস্থুল মারামারি! এ বিষয় নিয়ে গল্প করার ইচ্ছে রইল অন্য সময়ে)। শেষমেশ আমার বাপের জান নিয়ে টানাটানি! কপর্দক শুন্য অবস্থায় তিনি রাতের আধারে পালিয়ে এসেছিলেন রেলওয়েতে চাকুরিরত বড় বোনের স্বামীর এখানে গোয়ালন্দ ঘাটে।  
এমনিতেই অর্থাভাব তারুপরে কিনে খাওয়া মিষ্টিতে তার মন ভরছিল না। শয়নে স্বপনে তিনি দেখতেন। রসে ভেজা গরম গরম, আমিত্তি,রসগোল্লা,চমচম,কালোজাম, রাজভোগ, কমলাভোগ, লবংগ, ছানার জিলাপি ছানার সন্দেশ সহ কতকিছু  তিনি বানাচ্ছেন আর ইচ্ছেমত খাচ্ছেন!
সবে বছর পাঁচেক হোল দেশভাগ হয়েছে।বাঙ্গালীর ভাষা আন্দোলন তুঙ্গে তখন!  গোয়ালন্দের তখনও রমরমা অবস্থা! ভারত ভাগ হয়ে গেলেও গোয়ালন্দী জাহাজে এপার ওপারের রথী মহা রথীরা তখন চক্কর কাটছেন আর আর জাহাজের ব্রিটিশ বাবুর্চির হাতে বিখ্যাত গোয়ালন্দী চিকেন কারির স্বাদ নিচ্ছেন।
ট্রেনের জন্য ঘাটে এসে দীর্ঘ সময় বসে থাকা বেশ কষ্টকর তাদের জন্য। ঘাটের দোকান পাট তো বটেই স্টেশন পর্যন্ত অস্থায়ী- পদ্মার ভাঙ্গনের তোড়ে বছরে দু’চার দশবার ঘাট আর স্টেশোনের স্থান পালটায়। তারা যুত হয়ে বসবেন কোথায়?
তখন তার বয়স বিশ কি একুশ- সেখানকার হেড অব পার্সেল ক্লার্কের বড় ছেলের সাথে শলা করে তাদের অর্থায়নে ঘাটের পাড়ে একখানা মিষ্টির দোকান তুললেন। 
এমনিই গল্পবাজ তারপরে অন্যদের তুলনায় মোটামুটি পরিপাটি দোকান আর অভিজ্ঞ হিন্দু ময়রার হাতে তৈরি অতি স্বুসাদু রসগোল্লা আর খাঁটি গাওয়া ঘিয়ের মুচমুচে পরোটার লোভে ভিড় বাড়তেই লাগল দিন দিন। 
আর নিজের দোকানের মিষ্টি খেয়ে খেয়ে তিনি দশাসই বপুধারি হয়ে পড়লেন অচিরেই।
ব্যাবসা জমতে সময় লাগল না, একজন ভয়ানক মিষ্টি পাগল মানুষের উদ্ভাবিত নিত্য নতুন ধরনের মিষ্টির সুনাম এলাকার গন্ডি ছাড়িয়ে পৌছে গেল দূর –দুরান্তে! 
শুনেছি তার দোকানের রসগোল্লা নাকি টিনে করে সুদুর করাচী অবধি পৌছে যেত। 
কে জানে সুদুর ভেনিস বন্দরে টিনভর্তি সেই ‘রসগোল্লা’ ঝান্ডু দা এখান থেকেই নিয়েছিলেন কি না !   
 
“কর্তা বললেন,‘টিন খুলেছ তো বেশ করেছ,না হলে খাওয়া যেত কী করে?’আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,‘এখানে দাড়িয়ে আছেন কী করতে? আরও রসগোল্লা নিয়ে আসুন।’ আমরা সুড়সুড় করে বেরিয়ে যাবার সময় শুনতে পেলুম। বড়কর্তা চুঙ্গিওলাকে বলছেন, ‘তুমিও তো একটা আস্ত গাড়ল। টিন খুললে আর এই সরেস মাল চেখে দেখলে না?’
আমি গাইলুম,
                                           রসের গোলক,এত রস কেন তুমি ধরেছিলে হায়।
                               ইতালির দেশ ধর্ম ভুলিয়া লুটাইল তব পায়। - গুরু নমস্য মুজতবা আলী
 ৪৬ টি
    	৪৬ টি    	 +১১/-০
    	+১১/-০  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০০
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার ব্যাপকতা আমাকে  ঈর্ষান্বিত করে। আপনি সামু ব্লগের  মুল্যবান  অর্জন!
 আপনার মন্তব্যে আমি দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হই আবার ভয়ে ভয়েও থাকি ভুল-চুক হয়ে না যায় 
  যাক অনেক তো খেয়েছেন এখন কৃচ্ছতা  করলে সমস্যা নেই-
 অফটপিকঃ আপনার পাথরঘটার ইলিশ নিয়ে লেখাটা পড়েছি- বহুদিন ধরে 'ইলিশ' নিয়ে বড়সড় একটা গ্রন্থ লেখার ইচ্ছে ছিল। তথ্য  
 সংগ্রহের  পাশাপাশি লেখালেখি চলছে। ব্লগে প্রকাশের সময়ে আপনার সহযোগীটা একান্ত কাম্য। আশা করি সাহায্য পাব।
 ভাল থাকুন- সুস্থ্য থাকুন
২|  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ৯:৩৯
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ৯:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল,পড়ে আনন্দ পেলাম।কৃষ্ণনগরের শরভাজা আর কোথাও দেখলাম না,সে এক মজার মিষ্টি।রসমালাই মনে হয় খুব পুরনো মিষ্টি না।
  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০১
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী রসমালাই খুব একটা পুরনো মিষ্টি না!
 শরভাজা খেয়েছি- স্বাদ বেশ ভাল! 
 ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের পাশাপাশি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার জন্য- ভাল থাকুন
৩|  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১০:৩৬
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১০:৩৬
জটিল ভাই বলেছেন: 
ওটা মুছিসনে! আদালতে সাক্ষী দেবে 
  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০৩
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ 
মুখে রসগোল্লার রস লেপ্টে যাওয়া চুঙ্গিওয়ালার মুখখানা হয়েছিল দেখার মত 
কি দারুন সরস কাহিনী! আহা
৪|  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১০:৪৫
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১০:৪৫
কল্পদ্রুম বলেছেন: রসগোল্লার উৎপত্তি বাংলাদেশে না কি ভারতে এইটা নির্ধারণ করা মনে হয় কঠিনই। তবে নবীনচন্দ্র দাশ ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন আবিষ্কার কর্তা হিসেবে। GI স্বীকৃতিও পশ্চিমবাংলার।
  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০৬
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী সেটা বেশ কঠিন নিঃসন্দেহে!!
তবুও  ঠেলাঠেলি যাই হোক তালগাছটা আমার 
 GI স্বীকৃতি ওরা পেলে কি হবে আসল মালিক আমরাই হাঃ হাঃ
( আসলে সেই সময়ে এই কৃতিত্ব সবারই)
ধন্যবাদ  আপনাকে মন্তব্যের জন্য- ভাল থাকুন নিরন্তর
৫|  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০৮
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি তখন স্কুলে পড়ি। আমার বড় সেঝো বোন তখন এই ঝান্ডুদার রসগোল্লাটা পড়া করতো জোরে জোরে। আমি নিজের পড়া ভুলে মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। রসগোল্লা আমি আমার পাঠ্য হওয়ার আগেই পড়েছিলা।
  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:১৬
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আহারে সেই কত আগের কথা - সেই পন্ডিত মশাই ও নাই আর সেই রসগোল্লাও হারিয়ে গেছে!!!
ঝান্ডুদার নামতো মুখে মুখে ফিরত তখন আর 'চুঙ্গিওয়ালা 'এমন শব্দের মানে খুজতে গিয়ে শিক্ষক ও গলদ্ঘর্ম হোত!
আপনাকে পেয়ে আমোদিত হলাম ভাই। ভাল থাকুন
৬|  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২০
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লাগলো। আপনার মিষ্টপাগল বাবার কথা শুনে তাকেও অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আপনার বাবার মতোই আরেকজন মিষ্টি পাগল বা রসগোল্লা পাগল যে মানুষটা এই ব্লগে আছে, সে কিন্তু আমি। কিন্তু বর্তমানে ডায়াবেটিসের কারণে নিজেকে সংযত রাখতে হচ্ছে।
  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২৮
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: আহারে ভাই- বড় ব্যাথিত হলাম!
 আমি কিন্তু মিষ্টি খুব একটা পছন্দ করিনা। এক পিস চমচম চার পাঁচবারে খাই
 আমার বাবার মত একজন মিষ্টি পাগল বড় ভাইওকে পেয়ে দাউন আহ্লাদিত হলাম। মনে থাকবে এ কথে- বাবার মিষ্টি খাবার কথা 
 মনে হলেই আপনার কথা স্মরণ হবে
 ভাল থাকুন শরিরের প্রতি যত্ন নিন-গানের প্রতি মনযোগী হউন 
৭|  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২০
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের জয়পাড়া-দোহার কিন্তু রসগোল্লার জন্য বিখ্যাত 
  ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২৯
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি- ওদিকে গেলে একবার চেখে দেখবখন
 লেখাটা অনেক তথ্যে সমৃদ্ধ হচ্ছে!!
৮|  ১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৩:১২
১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৩:১২
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে সত্যিই আনন্দ পেলাম । আরও পড়ার আগ্রহ রইলো ।
মিষ্টি এক সময়ে খুব খেতাম । তবে রসগোল্লা ঠিক না, আমার পছন্দ রসমালাই । আমাদের এলাকার বিখ্যাত কালীপদের রসমালাইয়ের তুলনা নেই । 
ভাল থাকুন সব সময় ! আর এই রকম চমৎকার ব্লগ লিখুন আরও ।
  ১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ৮:৪৩
১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে ফের আসার জন্য কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ।
আপনার গল্পটা পছন্দ হয়েছে  জেনে ভাল লাগল- রসমালাই অনেকেরই পছন্দের কিন্তু স্বুসাদু রসমালাই খুঁজে পাওয়া দুস্কর!
কালীপদের রসমালাইয়ের কথা স্মরণে থাকবে- কিন্তু এলাকাটা কোথায়?
আমার ভাল লাগত মিল্কভিটার তৈরি আগেকার রসসমালাই- দুধের ক্ষিসসা'টা ঘন পায়েসের মত জমে থাকত- বড় স্বুসাদু ছিল।
এখন স্বাদ একেবারেই উল্টো।
সামনের দিনগুলোতে সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম...
৯|  ১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ৮:৩৫
১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ৮:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ১ নং মন্তব্যে নড়াইল নয় টাঙ্গাইল হবে । নদীর পানি না হলে ভাল মিষ্টি হয় না । আর ঢাকা মাওয়া রোডের এরা ধলেশ্বরীর পানি ব্যাবহার করে । নদীর পানি অর্থাৎ হিমালয় বেয়ে আসা পানি ছাড়া মিষ্টি সুস্বাদু হয় না ।
  ১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ৮:৪৬
১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ৮:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: বিষয়টা একেবারেই নতুন করে জানা হোল- 
 আমি ভেবেছিলাম গোয়ালন্দী জাহাজের মুরগী পদ্মার পানি ছাড়া স্বাদ হয় না এখন দেখি -মিষ্টির স্বাদেও নদীর পানির মহাত্ম্য আছে।
ফের আসার জন্য ধন্যবাদ- ভাল থাকুন
১০|  ১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ১০:৩৬
১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ১০:৩৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা পড়ে ছাত্রজীবনে যেমন মজা পেয়েছিলাম এখন আপনার গল্প পড়ে যেন আবার সেই ছাত্রজীবনে ফিরে গেলাম।  সুন্দর হয়েছে লেখাটি। ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
  ১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:১১
১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারার জন্য আমিও ভীষন ( ইদানিং সুন্দর ও ভালর সাথে ভীষন ও ভয়ংকর শব্দ বেশ চালু হয়েছে- কেন আমার জানা নেই)  আনন্দিত হলাম।
বরাবরের মত অনুপ্রাণিত করার জন্য ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন - সাথে থাকুন
১১|  ১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ১১:৪২
১৬ ই জুন, ২০২১  সকাল ১১:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
খাবার দাবার নিয়ে বেশ ক'দিন রমরমা খবর দিচ্ছেন। 
সেই গোয়ালন্দী মুরগীর ঝোলও যেমন নেই তেমনি নেই খাঁটি ঘি'য়ে ভাজা পরোটার সাথে রসে ভেজানো রসগোল্লা। 
এখন তো ড্রাই মিষ্টির ছড়াছড়ি। 
অনেক আগে বরিশালের পুরোনো আদালত ভবনের চৌহদ্দীতে "ঘরভরণ"  নামে একটি দেশ বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ছিলো। জনশ্রুতি ছিলো, রাতে সে দোকানে এসে পরীরা নাকি মিষ্টি বানিয়ে রেখে যেত!  এর  মিষ্টি না খেলে মনে হোত জীবনটাই বৃথা। ঘি'য়ে ভাজা লুচির সাথে গরম গরম রসগোল্লা বা রস মালাই। সারা দেশ থেকে লোকজন বরিশালে এলেই ঘরভরণের দোকানের মিষ্টির খোঁজ করতো।   
এর পরে গৌরনদীর নাম করতে হয়। গৌরনদীর দইয়ের সাথে রসগোল্লা। যে খায়নি সে বুঝবেনা দইমিষ্টি কি জিনিষ!
সবশেষ খেপুপাড়ার "জগাই" এর মিষ্টি। যেন অমৃত।  
এখন সেসব আছে কিনা জানিনে। তবে রসের ভিয়েনে বরিশাল যে সুগন্ধ ছড়ালো তাতে বরিশাইল্লা হিসেবে বুকটা ভরে উঠলো।
  ১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:১৫
১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: ঘরভরণ' দারুন একটা রেফারেন্স দিলেন ভায়া। 
পরির হাতের বানানো মিষ্টি খাওয়া হয়নি কখনো- চেখে দেখতে হবে  তার উপ্রে আবার ঘিয়ে ভাজা লুচি। অ হরি এতো অমৃত!!!
 তার উপ্রে আবার ঘিয়ে ভাজা লুচি। অ হরি এতো অমৃত!!!
  খেপুপাড়ার জগাই এর মিষ্টির নাম শুনেছি- খাইনি। কতবার বরিশাল গেলাম, আগে জানলে সব স্বাদ নিয়ে আসতাম 
 বরিশালের ঐতিহ্য ও রান্নার খ্যাতি এপার ওপার দু'পারেই ছড়িয়ে আছে- কাছে ধারের মানুষ হয়ে আমরা গর্ববোধ করি।
অনেক ধনবাদ ও আন্তরিক ভালবাসা আপনাকে- ভাল থাকুন নিরন্তর
১২|  ১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:৫১
১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার আব্বার মিষ্টি খাওয়ার কাহিনী পড়ে আমার কতোরকমের স্মৃতি মনে পড়ে গেল!!
মিষ্টি আমার খুব পছন্দের খাবার। একবারে খুব বেশী খেতে পারি না, তবে একটু একটু করে বারে বারে খাই। টাঙ্গাইলের চমচম বিখ্যাত কিন্তু রাজবাড়ীর চমচম স্বাদে অতুলনীয়। মাখনের মতো নরম, মুখে দিলে গলে যায়। এখন তাদের কি অবস্থা জানি না। একসময়ে দেশে চাকুরীর কারনে বিভিন্ন জেলায় ভ্রমন করেছি। নেত্রকোনার বালিশ, নাটোরের কাচাগোল্লা, রাজশাহীর রসকদম, রংপুরের ক্রীমচপ আমার প্রিয়। তবে সবচেয়ে প্রিয় রসমালাই। আমরা কুমিল্লার রসমালাই সবাই চিনি। কিন্তু গাইবান্ধায় এটাকে বলে রসমঞ্জরী যেটা আরো মজাদার।
আর গরম গরম মুচমুচে জিলাপী তো অতুলনীয়।  
 
এখন দেশে গেলে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে দু'টা করে সবপদের মিষ্টি কিনি। আর প্রতিদিন সকালে নাস্তার পরে খাই। তবে আগের সেই স্বাদ এখন পাওয়া যায় না। দেখতেই যা সুন্দর।
এখানে আমাদের শহরে ইন্ডিয়ান মিষ্টি পাওয়া যায়। খেতে খারাপ না, তবে দেশের মিষ্টি মিস করি খুউব!!! 
  ১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:০৭
১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমার আব্বার মিষ্টি খাওয়ার আরো অনেক কাহিনী আছে - পএ একসময় শেয়ার করব।
  রসগোল্লায় -আসা সবাই দেখি বেশ মিষ্টি ভক্ত 
  রাজবাড়ির চমচম আগের মতই আছে তবে অর্ডার দিয়ে বানালে ভাল করে( দাম একটু বেশী হয়)
রাজবাড়ির আদলে চমচম গোয়ালন্দে ভেজাইল্যা (ভরত মিষ্টান্ন ভান্ডার- ভ্যাজাইলার আরেক ভাই ছিল আকাইল্যা তার মিষ্টি ও ভাল) নামে একজন দীর্ঘদিন দরে তোইরি করে বেশ প্রসিদ্ধ হয়েছে তার মিষ্টিও!
এই সুযোগে অনেক প্রসিদ্ধ মিষ্টির নাম আর স্থানের নাম পেয়ে গেলাম। আমিও আপনার ম্মত অল্প অল্প করে মিষ্টি খাই- যদিও মিষ্টি খাওয়া বারন নয়।
ইন্ডিয়ান মিষ্টিও খারাপ নয়। এমন মনোহর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন ভাই সুস্থ্য থাকুন।
১৩|  ১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ২:০২
১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ২:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, রসগোল্লা রসের মাঝে যখনই ডুবে যাচছিলাম তখনই আপনি আপনার বাবার কষ্টের সিরাপ (কাহিনী) ঢেলে রসগোল্লার রস  
আস্বাদনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন তবে পরবর্তীতে তার জীবনের সাফল্য সেই  কষ্ট অনেকটাই দুর করে দিয়েছে।আপনার বাবার সাথে যা কিছু হয়েছে তা আমাদের এ নষ্ঠ সমাজের কিছু নষ্ঠ মানুষের আসল প্রতিচছবি যারা স্বার্থের জন্য যে কোন অন্যায় কাজই করে থাকে। 
আর রসগোল্লা বা মিষ্টি র কথা কি বলব ভাইজান? আমিও ব্যাপোক বালা বাই। আমার বাড়ী কুমিল্লায়। জীবনে কত যে 
মিষ্টি -জিলাপি-রসমালাই-রসগোল্লা-খেজুড়ের গুড় খেয়েছি তার হিসাব নেই।কুমিল্লা শহরে যে দিন ই যাই (এখনো) মাতৃভান্ডার এর  রসমালাই এবং মিষ্টি বাড়ীর জন্য যাই নেই না কেন এক কেজি রসমালাই আলাদা এবং সাথে রসগোল্লার আধা কেজির একটা প্যাকেট আলাদা থাকে এবং গাড়ীর সবার পিছনের কোনার সিটে বসে   কি জানি কি করি জানিনা তবে গাড়ী থেকে নামার সময় দেখা যায় এ দুপ্যাকেট খালি আর কষ্ঠের সাথে প্যাকেট দুটি ফেলে দিতে হয়।
  কি জানি কি করি জানিনা তবে গাড়ী থেকে নামার সময় দেখা যায় এ দুপ্যাকেট খালি আর কষ্ঠের সাথে প্যাকেট দুটি ফেলে দিতে হয়।
আর খেজুরের গুড়!!!! ময়নামতি (সেনানিবাস) বা চান্দিনা থেকে  যদি খেজুরের গুড় কিনে বাড়ি আসি,আসার পথে দেখা যায় কেজি খানেক গুড় নিখোজ হয়ে যায়।তবে তা কিভাবে এবং কোথায় হয় তা জানিনা তবে আমার মুখে খালি মিঠা মিঠা লাগে এই আরকি!!! তবে কেউ যদি আমাকে জিগায় মিঠাই কোই? তবে আমি বলি, আমি  মিঠাই খাইনা  ।
 ।
  ১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:১৯
১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: এমন মন্তব্য পড়ে হাসি আর আটকে রাখবে কার সাধ্যি! 
 অতীব মজার যেন রসে চূবানো রসোগোল্লা আর ভারি খিসসায় মোড়া চমচমের মত আপনার মন্তব্য! ফরিদপুরের খেজুরের গুড় 
 আমার মতে সবচেয়ে স্বুসাদু (পাটালি- দানা দানা রসালো)- তবে চান্দিনার গুড় আমার খাওয়া হয়নি 
 এর পর থেকে আপনার গাড়ির পেছন পেছন আমিও যাব ভাবছ জ্বীন পরিতে মিষ্টি খেয়ে ফেলে কি না দেখতে হবে 
হয়তো আপনার ওখান থেকে মিষ্টি চুরি করে  'আহমেদ জি এস' ভায়ের বর্নিত  ঘরভরন মিষ্টান্ন ভান্ডারে সাপ্লাই দেয়  
 
 আমার বাবার জন্য সমবেদনা প্রকাশ করায় আপনাকে ধন্যবাদ!
  আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগল কামরুজ্জামান ভাই ( আমার বড় ভায়ের নাম) আপনাকে পেয়ে- ভাল থাকুন!
১৪|  ১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ২:০৮
১৬ ই জুন, ২০২১  দুপুর ২:০৮
রানার ব্লগ বলেছেন: আহা রসগোল্লা !!! সুজুগ পেলেই আমি ঝাপিয়ে পরি এই গোল্লার উপর, আমার বন্ধুরা বলে যদি রসগোল্লা মেয়ে হতো তা হলে তোর নামে নির্ঘাত রসগোল্লা নির্যাতন মামলা হতো।
  ১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:২৬
১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: সব মিষ্টি খোরদের আড্ডা এখানে !!! বড় চমৎকার 
 সামুতে এমন সব মিষ্টি পাগল লোক থাকতে তিক্ততা ছড়ায় ক্যামনে সেইটাই বোধগম্য হচ্ছে না।
 আসুন মিলাদ দিয়ে মিষ্টি বিতরন করি 
 রসগোল্লা মেয়ে নয়? শিওর আপনি? 
  তবে কেন একজনও নারী ব্লগার এখানে রসগোল্লার প্রশংসা করল না, কেন কেন কেন ?
১৫|  ১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:১৬
১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: 
সবাই পড়ে আমার পাল্লা
ও আমি কোলকাতার রসোগোল্লা।
+++++
  ১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:৩০
১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৩:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: এই ছড়ার জনক কি মাইদুল সরকার- ভাই?
 না না বুঝেছি এই লিরিক্সে গান আছে একটা- 'ও আমি কোলকাতার রসগোল্লা' 
 তা হলেতো রসগোল্লা মেয়েই- ব্লগার 'রানার ব্লগ'কে দৃষ্টি আকর্ষন করিছি
অনেক ধন্যবাদ। রসগোল্লা প্রেমিকেরা রসে টইটুম্বর ও বটে 
১৬|  ১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৫:০১
১৬ ই জুন, ২০২১  বিকাল ৫:০১
তারেক ফাহিম বলেছেন: রসগোল্লা বর্ণনামতে মজা পাইনি, দেখতেই পরিপাটি!
  ১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৮:০২
১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৮:০২
শেরজা তপন বলেছেন: সবার কাছে ভাল লাগবে এমন কোন কথা নেই- তবে কোন এলাকার রসগোল্লা খেয়েছিলেন?
১৭|  ১৬ ই জুন, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:১৮
১৬ ই জুন, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ রে কি সরেস বর্ণনাই না দিয়েছেন !! আপনার আবার মিষ্টি পাগলামির গল্প দারুণ লেগেছে। আমি নিজেও এলাকা ভিত্তিক এসব খাবার সুযোগ পেলেই খাই । মিষ্টি ও দারুণ পছন্দের।
  ১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৮:০৭
১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: যাক অবশেষে  একজন নারী ব্লগারের পদধূলিতে এ ময়রার রসগোল্লার গল্প সার্থক হোল!
নারী ব্লগারদের রসগোল্লা হয়তো পছন্দ ন্য় ভেবে বড়ি মনঃক্ষুন্ন ছিলাম 
যাক অবশেষে আপনাকে পেলাম! 
অবশ্য শেষ বেলায় জুন আপুও একটা লাইক দিয়েছেন- দেখি উনি কি বলেন??
১৮|  ১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৮:০৪
১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ৮:০৪
জুন বলেছেন: আপনার মিষ্টি কাহিনী পড়ে মনে হলো রসগোল্লার হাড়ি থেকে বুঝি রস গড়িয়ে পরছে   
   
আসলেই মানুষ পছন্দের খাবারের জন্য কি না করতে পারে শেরজা তপন ।
আমিতো সেই খেপুপাড়ার জগার মিষ্টি, সাতক্ষীরার জামতলার রসগোল্লা, মেহেরপুরের সাবিত্রি সন্দেশ, কুমিল্লা মাতৃভান্ডারের রসমালাইর সাথে আমাদের বান্দুরা বাজারের রসগোল্লার রসে পরোটা চুবিয়ে খাওয়া আহা কি যে মধুর সব স্মৃতি মনে পরে গেলো জিভে জলে একাকার অবস্থা । 
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো লেখায় 
  ১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২৫
১৬ ই জুন, ২০২১  রাত ১১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আসলে আমার বাবাকে নিয়ে কিছু গল্প একটু ইনিয়ে বিনিয়ে অন্য ধারায় লিখছি।
কষ্টের কোন বিষয় আমি আনছি না সবগুলো একটু রম্য ধারার।
অবশেষে পেলাম ! এক মিষ্টি পাগল আপুকে পেলাম ( অবশ্য ব্লগার মনিরা সুলতানা-ও জানিয়েছেন তিনিও মিষ্টি পাগল)- কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি অনেক মিষ্টি-খোর ছেলেদের টক্কর দিতে পারেন 
আপনার মিষ্টির বর্ননায় আমি বিমোহিত হলাম!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাকে  এত্তো এত্তো মজাদার মিষ্টির রেফারেন্স দেবার জন্য।
১৯|  ১৭ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১:৫১
১৭ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: 
সৈয়দ মুজতবা আলীর অনন্য সৃষ্টি ধুপছায়া গ্রন্থের রসগোল্লা। বাংলাদেশে নানান জেলাতে রসগোল্লা খেয়েছি, আমার কাছে বাংলাদেশের রসগোল্লাকেই সব সময় বেস্ট মনে হয়েছে। খুব সুন্দর লেখা পোস্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
  ১৭ ই জুন, ২০২১  দুপুর ২:২২
১৭ ই জুন, ২০২১  দুপুর ২:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে ফের আসবার জন্যে আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ।
 জেনে দারুন প্রীত হলাম। আপনার সুসাস্থ্য কামনা করছি
২০|  ১৮ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:৫০
১৮ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১২:৫০
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার বাবার রসগোল্লা প্রীতির কথা শুনে ভালো লাগলো।আপনার বাবা সৌভাগ্যবান।নিজের পছন্দের জিনিসের সান্নিধ্য পেয়ে গেছেন আজীবন। বাড়িতে মিষ্টি কিনলে আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়।কারণ অন্য লোকে ভাগে পায় না।  
  
  ১৮ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১:০২
১৮ ই জুন, ২০২১  দুপুর ১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষে আসলেন আপনি ' রসিক তমাল' ভাই রসের আড্ডায়!
আপনাকে পেলে রসের কথা জমে নাকি। কুট্টি নিয়ে ফের আসব- আপনার কৌতুক আর চুটকি শুনতে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক আরেক মিষ্টিখোরকে পাওয়া গেল 
জয়তু রসগোল্লা!!
২১|  ১৯ শে জুন, ২০২১  সকাল ১০:৩১
১৯ শে জুন, ২০২১  সকাল ১০:৩১
সোহানী বলেছেন: স্মৃতি কথা যেমন ভালো লাগলো তেমনি মনটাও খারাপ হলো। মানুশের কেন এতা লোভ? আমি খুব ভা্বি। আমার নেই তাই অন্যের কাছ থেকে কেড়ে নিতে হবে এমন ভাবনা কেন কাজ করে?
মিস্টি আমিও পঝন্দ করি কিন্তু ডায়েট এর চিন্তা করে কন্টোল করি ইদানিং। বয়সতো কম হলো না।  কানাডার মিস্টি মোটেও ভালো লাগে না। প্রিমিয়ার সুইট একটা আছে, দামেই বেশী কিন্তু স্বাদে সাধারন। তবে কানাডায় এসে দই মিস্টি বানানো শিখেছি। এটা আমার প্লাস পয়েন্ট।
  ১৯ শে জুন, ২০২১  দুপুর ১২:২৩
১৯ শে জুন, ২০২১  দুপুর ১২:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী আমার বাবা তার দুরন্ত কৌশোর হারিয়েছেন নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ভয়ঙ্কর কুটচালে।
তার বাবা মারা যাবার সময়ে আমার দাদী গর্ভবতী ছিলেন - আমার বাবা তার সবার ছোট ভাইকে দীর্ঘ বার বছর দেখেননি। ষোল থেকে সাতাশ এই কতগুলো বছর ছিলেন তিনি পরিবারহীন। আমার মাকে বিয়ে করে অবশেষে তিনি তার বাড়িতে যান।  তার বৈচিত্রময়, বেদনাদায়ক, সঙ্গিহীন এক বিশাল কাহিনী জমে আছে- সময় পেলে গল্প করব। আশা করি সাথে থাকবেন।
আমিও ডায়েটের জন্য মিষ্টান্ন, চকোলেট, আইস্ক্রিম এভয়েড করি 
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার দারুন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। 
ভাল থাকুন নিরন্তর!
২২|  ৩০ শে জুন, ২০২১  বিকাল ৪:৩২
৩০ শে জুন, ২০২১  বিকাল ৪:৩২
অশুভ বলেছেন: আমিও মিস্টিপাগল। ছোটবেলায় টাঙ্গাইলে খালার বাড়ি বেড়াতে গেলে খালু সবসময় আমার জন্য চমচম আর রসগোল্লার স্তুপ কিনে আনতেন। সেই লোভেই ঘন ঘন খালার বাড়ি যেতে ইচ্ছে করত।
ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পাওয়ার পর আমার খুব প্রিয় চাচা আমাকে মিস্টির দোকানে বসিয়ে বলেছিলেন "দোকানের যত মিস্টি আছে সব শেষ কর। আর মিস্টি শেষ হয়ে গেলে চেয়ার টেবিল-সহ খাইয়া ফালাও।" এখনো মনে আছে সেইদিন গুনে গুনে ১৮ টা রসগোল্লা খেয়েছিলাম যা এখন পর্যন্ত আমার মিস্টি খাওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড। আমি নিজেই এখন অবাক হই ১০-১১ বছরের একটা ছেলের পেটে এত্ত মিস্টি কেমনে আটল।
আপনার বাবার জীবনটা খুব কঠিন আর বৈচত্রময় ছিল। তাকে নিয়ে আরও লেখা চাই।
  ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১  সকাল ১১:৩৭
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১  সকাল ১১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক দেরিতে উত্তর দিলাম বলে দুঃখিত।
প্রথমে বলেন; আপনি কেন ব্লগ ছেড়ে উধাও হয়ে গেলেন? আপনাকে মিস করছি।
আমার বাবাকে নিয়ে আরো অনেক অনেক গল্প লেখার আছে। সত্যি ই তার দারুন বৈচিত্রময় এক জীবন ছিল।
ওই বয়সে ১৮ টা রসগোল্লা খাওয়া আসেলেই বিশাল ব্যাপার। এখনো আমি দুইটার বেশী মিষ্টি খেতে পারি না 
মিষ্টি চকোলেট আর আইসক্রিম- আমার নিজের খুব বেশী প্রিয় নয়- আমার বাবা ছিলেন মিষ্টি পাগল।
ভাল লাগল আপনার মিষ্টি খাওয়ার গল্প। ভাল থাকুন- ফের ব্লগে নিয়মিত হউন
২৩|  ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১  সকাল ১১:২৯
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১  সকাল ১১:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: রসগোল্লা নিয়ে অসাধারণ সুন্দর লেখা! রসগোল্লা আমার প্রিয় মিষ্টি-যা নিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলাম।
সম্প্রতি কোলকাতার একটা বাংলা সিনেমা দেখেছিলাম-যা নাম রসগোল্লা! অসাধারন সুন্দর সিনেমা-যার রিভিউ লিখেছিলাম-ফেসবুকে।
  ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১  সকাল ১১:৩৯
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১  সকাল ১১:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: সব রসগোল্লা পাগল ব্লগারেরা জড়ো হয়েছেন এখানে এসে।
আপনারও রসগোল্লা এত প্রিয় জেনে ভাল লাগল। মিষ্টি পাগল লোকের কথা শুনলেই- বাবাকে ভীষন মিস করি।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল এত পুরনো পোষ্টে এসে মন্তব্যের জন্য- ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ৯:৩৮
১৫ ই জুন, ২০২১  রাত ৯:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ১৯৭২ সালে সাতক্ষীরায় রসগোল্লা খেলাম , সন্দেশ একদম পেট পুরে । কলারোয়ার জামতলার মিষ্টি প্রসিদ্ধ এবং ঢাকাতে আসে । বরিশালে কোর্ট হাউসের ভিতরে অবাঙ্গালির স্পঞ্জ মিষ্টি খুব ভাল। ময়মনসিংহ কাছে জমিদার বাড়ির বাইরে মিষ্টিও নামকরা । এখানের কাচা গোল্লা আর নাটোরের প্রায় একই । রসগোল্লা আর মিষ্টান্ন মুলত হিন্দু সমাজের সৃষ্টি । মাওয়া রোডে বহু মিষ্টির কারখানা আছে শুধু ঢাকায় সাপ্লাই দেবার জন্য । ওদের মুল বিষয় ধলেশ্বরীর পানি যা দিয়ে মিষ্টি তৈরি হয় । নড়াইল করে যমুনার পানি দিয়ে । লিমিটেড খাই , ডায়াবেটিস , মাথা , হৃদযন্ত্র এসবের কারনে ।