নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব-বিজাতীয় সংকরায়ন ও মিসিং লিঙ্ক (Humans are Not from Earth)~৪

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫১


ডক্টর এলিস সিলভার যে সতেরোটি কারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন যার মাধ্যমে আমরা ভাবতে বাধ্য হই যে, আমরা এই পৃথিবীতে বহিরাগত তন্মধ্যে ৫,৬ নম্বর নিয়ে আজ আলোচনা হবে (সম্ভবত; সর্বাধিক বিতর্কিত অংশ);
৫.মানব-বিজাতীয় সংকরায়ন।
টি একটি সুপরিচিত সত্য যে, মানুষের ডিএনএর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মিলে যায় পৃথিবীতে পাওয়া অন্যান্য উদ্ভিদ এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সাথে (এবং সম্ভবত সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে অন্য যে কোন প্রানের সাথে এই ডি এন এ’র মিল খুঁজে পাওয়া যাবে)।
বিজ্ঞানভিত্তিক রিপোর্ট আছে যে, আমাদের ডি এন এ ৫৫ শতাংশ কলার সাথে, মাছির সাথে ৬০ শতাংশ এবং শিম্পাঞ্জির সাথে ৯৮ শতাংশ মিলে যায়।
যাইহোক, হতে পারে এই পরিসংখ্যান কিছুটা বিভ্রান্তিকর! কারণ প্রশ্ন থাকতে পারে এটা ঠিক কিসের উপর নির্ভর করে আপনি তুলনা করছেন? এর মধ্যে কোন জিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- যা মানুষ ও শিম্পাঞ্জির মধ্যে ব্যাপক ব্যাবধান গড়ে দেয়?
আসলে সর্বশেষ গবেষণার ফল, যা জিনের মধ্যে সন্নিবেশ এবং মুছে ফেলার ক্রম হিসেব নেয়; শিম্পদের সাথে ভাগ করে নেওয়া ডিএনএর পরিমাণ ৯৮.৫ থেকে কমিয়ে সংশোধন করে ৯৫ শতাংশ (এবং শূকরের ক্ষেত্রে ৯৬ থেকে ৯১ শতাংশ) করা হয়েছে।
হোমোসেপিয়েন্স ও শিম্পদের মধ্যে আরেকটি মূল পার্থক্য রয়েছে যা খুব কমই উল্লেখ করা হয়: শিম্পদের ২৪ জোড়া ক্রোমোজোম আছে -যেখানে আমাদের আছে মাত্র ২৩টি। (যদি মানুষ আরো একখানা ক্রোমোজোম বেশী নিয়ে জন্মায় তবে ২৪ তম ক্রোমোজোম ডাউন’স সিনড্রোম সৃষ্টি করে।)
শিম্প’স এবং মানুষের মধ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (এবং শূকর এবং মানুষ) একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনের ভুল স্থানান্তরিত হবার কারণে ব্যর্থ হয়। এটা কোন ব্যাপার না কিভাবে বা কার সাথে আমাদের সবচেয়ে বেশী জেনেটিক মিল পাওয়া গেল। যদি অতি গুরুত্বপুর্ন জিনগুলির মধ্যে একটি মাত্র অনুপস্থিত থাকে তবে এটি কাজ করবে না।

হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট এবং অন্যান্য ডিএনএ প্রকল্পে কাজ করছেন এমন বিজ্ঞানীরা মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত ২২৩ টি জিন আবিষ্কার করেছেন যা অন্য কারো মধ্যে দেখা যায় না!!
পৃথিবীর কোন প্রজাতির মধ্যে যদি এই ডিএনএ গুলো বিদ্যমান না থাকে তবে কোথা থেকে এসেছে? কিছু জিন-তত্ত্ববিদ বিশ্বাস করেন যে তারা নেটিভ আর্থ হোমিনিডদের (অর্থাৎ হোমো ) ডিএনএ-তে বিভক্ত ছিল(ইরেক্টাস) সরাসরি ভিনগ্রহবাসীদের কাছ থেকে।
(যদিও এলিয়েনরা স্ব-ইচ্ছায় তাদের নিজস্ব ডিএনএ শেয়ার করেছিল নাকি কোন এলিয়েরা অন্য কোন এলিয়েন প্রজাতি থেকে নিয়েছিল তা অজানা।) এর ফলে হোমো ইরেক্টাস থেকে হোমো সেপিয়েন্স-এ (আধুনিক মানুষ) তাৎক্ষণিক লাফ দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে বড় ধরনের লিঙ্ক অনুপস্থিত।
(আমি ফিরে আসব পরবর্তী আলোচনায় ফের অনুপস্থিত লিঙ্ক ‘মিসিং লিঙ্ক’ খুঁজে না পাওয়ার জন্য। অন্যান্য আদি পৃথিবীর প্রজাতির সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ জেনেটিক লিঙ্ক ব্যাখ্যা করব। এটা এছাড়াও এই গ্রহে জীবনধারণের জন্য আমাদের কত কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করব।)
আমরা অনুমান করতে পারি, উদাহরণস্বরূপ, এলিয়েনদের মাথা বড় ও বড় মস্তিষ্ক এবং আমরা অতিরিক্ত ২২৩ টি জিন তাদের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। কিন্তু তাদের সম্ভবত বিশেষ বৃহৎ শারীরিক কাঠামো আছে (সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য-ভাবে একটি প্রশস্ত পেলভিক বেস) যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাইনি। এর মানে হল যে, এলিয়েনদের তাদের বড় মাথার শিশুদের জন্ম দেওয়ার জন্য কোন সমস্যা হয় না। আধুনিক মানুষের প্রচুর নারী আছে যাদের ‘পেলভিক বেস’ খুব সংকীর্ণ হওয়ায় সন্তান প্রসব বেশ কঠিনতর।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ *শিল্পীর চোখে ‘ নিয়েনডার্থাল’*
এছাড়াও বিষয়টা সংকরায়ন প্রক্রিয়া দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। আমরা জানি যে প্রথম দিকে মানুষের( নিয়েনথার্ডাল) চোখ রক্ষা করার জন্য ভারী ভ্রু ছিল। যখন অতিরিক্ত ২২৩টি জিন ছিল যোগ করা হয়েছে, আমাদের মাথার খুলির আকৃতি পরিবর্তিত হয়েছে, আমাদের ক্রেনিয়ামগুলি আরও বড় হয়েছে এবং আমাদের ভারী ভ্রু অদৃশ্য হয়ে গেছে। স্পষ্টতই এলিয়েনদের ভারি ও উঁচু ভ্রু নেই – কারণ তাদের পৃথিবীতে তাদের বসবাসের প্রয়োজন নেই। দুর্ভাগ্যবশত পৃথিবীতে আমাদের সেসবের খুব প্রয়োজন ছিল- এসব ছাড়া আমারা বড় সমস্যায় আছি। সুতরাং, যদি এই তত্ত্ব সত্য হয়, আমরা সম্ভবত পৃথিবীর স্থানীয়, কিন্তু এলিয়েনদের দ্বারা সঙ্করায়িত(হাইব্রিড প্রজাতি) তবে দুঃখজনক যে এর ফলে আমরা দারুণ বুদ্ধিমান হলেও পৃথিবীতে নিশ্চিন্তে বসবাসের উপযোগী কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমরা হারিয়েছি।
***********************************

৬. জীবাশ্ম রেকর্ড - একটি অনুপস্থিত লিঙ্কের অভাব!

ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব অনুসারে, বানর ও আমরা একই বংশধর হিসাবে বিবর্তনীয় শাখা। তবুও জীবাশ্ম রেকর্ডের মধ্যে লিঙ্ক দেখাচ্ছে প্রথম দিকের বনমানুষ এবং আধুনিক মানুষের মাঝের লিঙ্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
(অনুপস্থিত লিঙ্ক ; আধুনিক মানুষ এবং তাদের নৃতাত্ত্বিক পূর্বপুরুষদের মধ্যে বিবর্তনীয় লাইনের অর্ধেক পথ অনুমানমূলক বিলুপ্ত প্রাণী। ১৯ শতকের শেষার্ধে, চার্লস ডারউইনের কাজের একটি সাধারণ ভুল ব্যাখ্যা ছিল যে মানুষ ‘রেখাগত-ভাবে’ বিদ্যমান প্রজাতির বনমানুষ থেকে এসেছে। এই তত্ত্বটি গ্রহণ করা এবং এটিকে শ্রেণীবিন্যাসের সাথে সমন্বয় করা ‘গ্রেট চেইন অফ বিয়িং’ এর কিছু জীবাশ্ম ‘এপ-ম্যান বা ম্যান-এপ’ চেইনটি সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে হয়েছিল।
আজ এটা স্বীকৃত, বর্তমানে সিংহভাগ নৃতাত্ত্বিকেরা মনে করেন যে, বনমানুষের (যেমন, শিম্পাঞ্জি) সাথে আধুনিক মানুষের সম্পর্ক সরাসরি বংশধরের পরিবর্তে সাধারণ পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে। এই পূর্বপুরুষদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি, তবে এপ-হোমিনিডের বিচ্যুতি ৬ থেকে ১০ মিলিয়ন বছর আগে ঘটে থাকতে পারে।)
২০ শতকের গোড়ার দিকে এই অনুপস্থিত লিঙ্কটি খুঁজে পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বিজ্ঞানীরা এতটাই মরিয়া হয়ে ওঠেন যে একটি বড় ধরনের প্রতারণা জাল পাতা হয়েছিল; পিল্টডাউন ম্যান (১৯১২ সালে ‘আবিষ্কৃত’) জীবাশ্মকে ভাবা হোত আদিমতম বনমানুষ। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আসল বলে বিশ্বাস করা হোত। আসলে এটি মধ্যযুগীয় কোন মানুষের মাথার খুলি, একটি ওরাংওটাং-এর চোয়ালের হাড় এবং একটি শিম্পাঞ্জীর দাঁতের জীবাশ্ম। এগুলোকে অ্যাসিডে ভিজিয়ে ও লোহার মরিচা ব্যাবহার করে এটাকে অনেক পুরাতন রূপ দেয়া হয়েছিল।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~*পিল্টডাউন ম্যান এর জীবাশ্ম*
(পিল্টডাউন ম্যান ছিল একটি প্যালিওনথ্রোপোলজিক্যাল প্রতারণা যেখানে হাড়ের টুকরোগুলিকে আদি মানুষের জীবাশ্মাবশেষ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। যদিও শুরু থেকেই কার্যত এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ ছিল, তবুও বহু বছর ধরে জীবাশ্মটিকে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাপক গৃহীত হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে নিশ্চিতভাবে এটা প্রতারণা বলে প্রমাণিত হয়েছিল। ২০১৬ সালে একটি ব্যাপক বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে অপেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক চার্লস ডসন এর জন্য দায়ী ছিলেন।
১৯২২ সালে, চার্লস ডসন দাবি করেছিলেন যে তিনি বনমানুষ এবং মানুষের মধ্যে ‘অনুপস্থিত লিঙ্ক’ আবিষ্কার করেছেন।
১৯১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ডসন ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের জিওলজির রক্ষক আর্থার স্মিথ উডওয়ার্ডের সাথে যোগাযোগ করেন, তিনি জানান যে তিনি পূর্ব সাসেক্সের পিল্টডাউনের কাছে নুড়ি পাথর বিছানো এক স্থানে প্লাইস্টোসিন যুগের একটি মানুষের মত খুলির একটি অংশ পেয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে; সেই গ্রীষ্মে, ডসন এবং স্মিথ উডওয়ার্ড সাইটে আরও হাড় এবং নিদর্শন আবিষ্কার করেছিলেন, যা একই ব্যক্তির ছিল বলে তারা মনে করে। সেই আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি চোয়ালের হাড়, আরও মাথার খুলির টুকরো, এক সারি দাঁত এবং আদিম কিছু সরঞ্জাম রয়েছে।
স্মিথ উডওয়ার্ড মাথার খুলির টুকরোগুলোকে পুনর্গঠন করেছিলেন এবং অনুমান করেছিলেন যে তারা ৫ লাখ বছর আগে থেকে মানব পূর্বপুরুষের অন্তর্গত। একটি ভূতাত্ত্বিক সোসাইটির সভায় সেই আবিষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এটার ল্যাটিন নাম দেওয়া হয়েছিল Eoanthropus dawsoni ("Dawson's dawn-man")। ১৯৫৩ সালে এটি একটি জালিয়াতি হিসাবে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহজনক এলোমেলোভাবে জোড়ার বিষয় নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক ছিল।)*

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ * ‘জাভা ম্যনে’র খুলি, হাড় ও দাঁতের দুই পার্শ্বের ছবি।*

( জাভা ম্যান; জাভা ম্যান বা পিথিক্যানথ্রোপাস ইরেক্টাস ছিল একটি বানর মানুষ। জাভাদ্বীপের একটি নদীর বালিতে এর মাথার খুলির উপরের অংশ, দাঁত এবং উরুর হাড় পাওয়া গেছে। গবেষণার পরে, এটি পাওয়া গেছে যে এই হাড়গুলি একটি হোমিনিডের ছিল যা সোজা হয়ে হাঁটতে পারে। তাই একে বলা হতো 'পিথেক্যানথ্রপাস ইরেক্টাস হিউম্যান'। আনুমানিক ৭ লাখ এবং ২০ লাখ বছরের মধ্যে পুরানো, এটি আবিষ্কারের সময়, সবচেয়ে প্রাচীন হোমিনিড ফসিল ছিল, এবং এটি হোমো ইরেক্টাস টাইপ নমুনা হিসাবে রয়ে গেছে।
ইউজিন ডুবোইসের নেতৃত্বে, খননকারী দল পূর্ব জাভাতে সোলো নদীর তীরে ত্রিনিল-এ একটি দাঁত, একটি মাথার খুলি এবং একটি উরুর হাড়ের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছিলেন। তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে জীবাশ্মগুলি বনমানুষ এবং মানুষের মধ্যে ‘অনুপস্থিত লিঙ্ক’ প্রতিনিধিত্ব করে। ডুবাইস- প্রজাতিটিকে বৈজ্ঞানিক নাম ‘অ্যানথ্রোপোপিথেকাস ইরেক্টাস’ দেন, পরে এটির নামকরণ করেন ‘পিথেক্যানথ্রপাস ইরেক্টাস’। জীবাশ্মটি অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। ১৮৯১ সালের দশ বছরেরও কম সময়ে, ডুবাইসের সন্ধানের উপর প্রায় আশিটি বই বা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল।
ডুবোইসে’র যুক্তি সত্ত্বেও, খুব কম লোকই স্বীকার করেছে যে জাভা ম্যান বনমানুষ এবং মানুষের মাঝের একটা রূপ। কেউ কেউ এই জীবাশ্মকে বনমানুষ হিসেবে এবং অন্যরা আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ হিসেবে বাতিল করেছেন। অনেক বিজ্ঞানী জাভা ম্যানকে বিবর্তনের একটি আদিম পার্শ্ব শাখা হিসেবে বিবেচনা করেছেন যা আধুনিক মানুষের সাথে একেবারেই সম্পর্কিত নয়। এটি ‘নিখোঁজ লিঙ্ক’ ছিল তা প্রমাণ করার জন্য ডুবোইস অনেক ভুল ব্যাখ্যা করেছিলেন)*

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সহজ সত্য হল যে, অনুপস্থিত লিঙ্কটি কোথাও নেই।
যেহেতু ভিনগ্রহের প্রাণী, ইউএফও এবং ভূতের অস্তিত্বের প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি এবং শিম্পাঞ্জি ও আধুনিক মানুষের ডি এন এর বেশ মিল আছে - সেকারণেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এলিয়েনসদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে।
বনমানুষের সাথে আমাদের একমাত্র প্রমাণিত সংযোগটি হ'ল পৃথিবীতে বিদ্যমান যে কোন প্রাণীদের তুলনায় আমাদের উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক ডিএনএর তাদের সাথে মিলে যায়। কিন্তু মহাবিশ্বের অন্য প্রাণীদের অস্তিত্ব আমাদের অজানা- হয়তোবা বিশাল মহাবিশ্বের আরো লক্ষ লক্ষ প্রাণীদের সাথে আমাদের ডি এন এর আরো বেশী মিল পাওয়া যাবে।

আমি উপরে উল্লিখিত হিসাবে, কেন লিঙ্কটি মিসিং বা পাওয়া যাচ্ছে না তার একটা যোগ্য উত্তর হতে পারে যে, এলিয়েনরা হয়তো প্রাইমেটদের(প্রথমদিককার মানুষ) মধ্যে থেকে অতি সাবধানে বাছাই করা জিনগুলির একটি সিরিজ সন্নিবেশিত করেছে বা তাদের ডিএনএর নির্দিষ্ট অংশ প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যার ফলে তাৎক্ষণিক যে বিবর্তন ঘটছে সেটা প্রকৃতিতে এত দ্রুত ঘটা অসম্ভব। প্রাইমেট থেকে সরাসরি আধুনিক মানুষ এসেছে। সেকারনেই এর মাঝের লিঙ্কগুলো অনুপস্থিত।

আরেকটি কারণ হতে পারে; সম্ভবত আদি গ্রহ থেকে আমাদের এখানে আনা হয়েছিল সম্পূর্ণরূপে বিকশিত আধুনিক মানুষ হিসাবে।
ধারনা করা পূর্বপুরুষদের সাথে এত নিকটবর্তী ডিএনএ সংযোগ হতে পারে সম্পূর্ণভাবে কাকতালীয়।পৃথিবীর আদিবাসী মানুষ দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে হোমিনিডগুলি মারা গিয়েছিল (বা সম্ভবত বিলুপ্তির পথে চালিত হয়েছিল)। মানুষই একমাত্র প্রজাতি যারা এখানকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পৃথিবী আমরা বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হল; আমাদের উচ্চতর মস্তিষ্কের শক্তি ব্যবহার। কিন্তু এভাবে বেঁচে থাকা বেঁচে থাকার মতো নয় – আমরা এই পৃথিবীকে সত্যিই উপভোগ করছি বলা যায় না।

হোমোসেপিয়েনসদের এই নতুন গ্রহের পরিবেশের মানিয়ে নেয়া যে কত কষ্টকর হয়েছে বা এখনো হচ্ছে; তা যদি আমাদের অন্যান্য (নেটিভ) প্রজাতির সাথে তুলনা করা হয় তবে তার সপক্ষে শত শত উদাহরণ তালিকাভুক্ত করা সম্ভব ।
শুরুতে, এখানে প্রাকৃতিক-ভাবে বেড়ে ওঠা খাবার আমরা পছন্দ করি না। আমাদের স্বাদ পরিবর্তন করতে হয়েছে- এবং প্রতিনিয়ত আমরা স্বাদ পরিবর্তন করছি। চাষ-কৃত প্রজাতি এবং বন্য প্রজাতি আকার, রঙ, স্বাদ বা টেক্সচারে একে অপরের সাথে সাদৃশ্য অল্পই মেলে । এবং তারপরেও আমরা এটাকে বহু ধরনের মশলা তেল সুগন্ধি রঙ মেখে রান্না করে খাচ্ছি কেননা পৃথিবীর প্রকৃ্তির পরিচর্যায় আমিষ জাতীয় খাবার আমরা সরাসরি খেতে পছন্দ করি না। * তবে কিছু ফল ও সবজী মানুষ প্রকৃতি থেকে সরাসরি খেতে পছন্দ করে। যদিও সংকর প্রজনন বা হাইব্রিডেশনের মাধ্যমে এসবের স্বাদ আকার রঙ সহ অনেক কিছুই পালটে দেয়া হয়েছে।
(আমাদের বাড়ির গ্রহের খাবার অবশ্যই অনেক সুস্বাদু ছিল - যদিও সম্ভবত পরিমাণে কম এবং কম পুষ্টিকর।)

অনেক স্থানীয় প্রাণী পৃথিবীতে ভূমিকম্প, সুনামি, হারিকেন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগে থেকেই অনুধাবন করতে সক্ষম - আমরা যদি এই প্রাণীদের পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়েই থাকি তাহলে আমাদের সত্যিই এইগুলি উপলব্ধি করতে সক্ষম হওয়া উচিত ছিল।* এবিষয়ে পরবর্তীতে বিষদ আলোচনা করা হবে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগগুলো পৃথিবীর প্রথম প্রাণীর আবির্ভাবের পূর্ব থেকেই ছিল। পৃথিবীতে বিবর্তিত প্রাণীগুলো এসব দুর্যোগ প্রকৃতিগত-ভাবে মোকাবিলা করেছে মধ্যেই নিজেদের মানিয়ে তারপরও আমাদের কোনো সচেতনতা নেই আসন্ন বিপদ আমরা এটি সম্পর্কে জানতে পারি যখন এটি আমাদের আঘাত করে। কিন্তু কোথায় আছে অন্য সব প্রাণী - কুকুর, গবাদি পশু, পাখি, এমনকি ব্যাঙ পর্যন্ত? তারা এটা জানত আসছে এবং তারা নিরাপদে পালিয়ে গেছে - এমনটা প্রায়শই ঘটনার কয়েক দিন আগেই ঘটেছে। যদি আমরা সত্যিই এই গ্রহে বিকশিত হয়ে থাকি তবে, খুব ভুল কিছু আছে এবং এখানে অবিশ্বাস্য-ভাবে অনেককিছু উদ্ভট রকম চলছে। (এটাও মনে হয়, আমাদের বাড়ির গ্রহে ভূমিকম্প, সুনামি বা হারিকেন নেই।)

(বিস্তারিত জানতে পড়ুন রেফারেন্স অধ্যায়#১ Ref#How animals predict earthquakes BBC Nature~ লেখার শেষে এই নিবন্ধটা দেয়া হবে)

আমাদের দিক-নির্দেশের অনুভূতি অভাব রয়েছে; সলমন ফিস শত শত মাইল দূর থেকে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে ডিম ছাড়ার জন্য।
আপনি যেখানেই তাদের বসান না কেন সেখান থেকে কবুতররা তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথ খুঁজে পেতে পারে (*একসময় নির্ভুল ঠিকানায় চিঠির আদান-প্রদান হোত কবুতরের মাধ্যমে) এমনকি যদি আপনি তাদের ছেড়ে দেওয়ার আগে পুরো যাত্রায় সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে অন্য দেশে নিয়ে যান- তবুও। পরিযায়ী পাখি উড়ে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ফের ছয় মাস পরে ঠিক একই বাসাগুলিতে ফিরে আসে।
বিড়াল ও কুকুর তাদের পুরানো বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পথ খুঁজে পেতে পারে এমনকি যদি তাদের মালিক চলে যায় শত মাইল দূরে কোন একটি নতুন ঠিকানায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাসে করে যায় কেউবা ট্রেনে - এবং তারা জানে কোনটি ধরতে হবে এবং কোথায় উঠতে হবে। অন্য দিকে, আমরা সবসময় পথ হারিয়ে ফেলছি বা ভুল পথে যাচ্ছি. আমি একসময় যে অফিসে কাজ করতাম বা যেই স্কুলে পড়েছি সেই পথ অনেকসময় আমরা সম্পূর্ণ ভুলে যাই। আমি একবার, মাত্র কয়েক ব্লক দূরে একটি ঠিকানা থেকে আমার বাড়ির পথ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছিলাম। এ ব্যাপারে আমাদের স্মরণশক্তি বা ঘ্রাণশক্তি এতটাই খারাপ যে, আমাদের পথ খুঁজে পেতে আমাদের মানচিত্র এবং জিপিএস আবিষ্কার করতে হয়েছে (তারপরেও আমরা পথ হারিয়ে নদীতে গাড়ি চালাই।)

পৃথিবীর বেশিরভাগ স্থানীয় প্রজাতি গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে তাদের পথ খুঁজে পায়। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, আমাদের মধ্যেও এমন কোষ রয়েছে মস্তিষ্ক যা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সনাক্ত করতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রটি আমাদের ব্যবহারের জন্য খুব দুর্বল বলে মনে হচ্ছে। আমাদের হোম গ্রহ সম্ভবত অনেক শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র আছে।

অন্যদিকে , প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি এটা প্রমাণ করার ব্যাপার রয়েছে, কেন আমরা ভাষা বিকাশ করেছি? ভাষা হল; কথা বলার ক্ষমতা যাতে আমরা একে অপরের দিকনির্দেশনা দিতে পারি - প্রধানত খাদ্য খুঁজে পেতে এবং শিকার ধরার সহযোগিতা করার জন্য।
এটা খুবই সম্ভব যে, আমরা আমাদের হোম গ্রহে ভাষা তৈরি করেছি, আমাদের পৃথিবীতে আনার অনেক আগে। এমনকি আমাদের পৃথিবীতে পাঠানোর সময়ে আমাদের ভ্রুনের জেনেটিক মেমোরিতে ভাষা বিকাশের ক্ষমতা আমাদের মধ্যে এনকোড করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে সহজে ব্যাখ্যা করতে যায়; কেন আমরা পৃথিবীতে ভাষা এত দ্রুত বিকাশ করেছি।
(*অনুবাদকঃ এখানে একটা প্রশ্ন রাখা যায় যে, তবে কেন আমরা আমাদের বাড়ির গ্রহে ভাষা সৃষ্টি করেছি?।

***************************** বিশেষ নিবন্ধ******************************

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~*মিসিং লিঙ্ক আবিস্কার* ইউ এস টুডে*~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

লুসি
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পাথরের উপর পা রাখা নয় বছর বয়সী ‘লুসি’( বৈজ্ঞানিকদের নামকরণ) নামের একটি বালিকাকে গবেষকদের নতুন গবেষণা অনুসারে মানব বিবর্তনের একটি ’মিসিং লিঙ্ক’ আবিষ্কারের প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
ম্যাথিউ বার্গার দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান মালাপা জীবাশ্ম সাইটের কাছে একটি শিলা অনুসন্ধান করার সময়ে তার কুকুরটিকে অনুসরণ অস্ট্রালোপিথেকাস সেডিবা'র জীবাশ্মটি ২০০৮ সালে আবিষ্কার করেছিলেন।
‘মানবজাতির দোলনায়’ একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলা এবং পরবর্তীতে একটি দুই মিলিয়ন বছর বয়সী যুবক পুরুষের জীবাশ্ম আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের তুমুল আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল। নতুন সমীক্ষা নিশ্চিত করে যে প্রজাতিটি হোমো প্রজাতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং প্রাথমিক মানব এবং আমাদের আরও বানরের মতো পূর্বপুরুষদের মধ্যে মানব ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~সেডিবার জীবাশ্ম

বিজ্ঞানীরা প্যালিওঅ্যানথ্রোপলজি জার্নালে লিখেছেন যে প্রজাতিটি ৩ মিলিয়ন বছর বয়সী ‘লুসি’ বা অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিস এবং ‘হ্যান্ডিম্যান’ হোমো হ্যাবিলিসের মধ্যে সেতু বন্ধন যোগ করেছিল।
নতুন প্রজাতির এনাটমি’র বিস্তারিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, সেডিবা অনন্য, তবে তার প্রতিবেশী অস্ট্রালোপিথেকাস আফ্রিকানাস এবং হোমোগণের প্রাথমিক সদস্যদের সাথে মিল রয়েছে ‘একটি ঘনিষ্ঠ বিবর্তনীয় সম্পর্ক নির্দেশ করে’।।
‘আমাদের ফলাফল বিবর্তনের ঐতিহ্যগত, রৈখিক দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে।এবার মনে করা হচ্ছে যে, লুসির চেয়ে এক মিলিয়ন বছর ছোট একটি জীবাশ্ম-এর মুল প্রজাতি আরও বেশি মানুষের কাছাকাছি হবে, ~জেরেমি ডিসিলভা-ডার্টমাউথের নৃবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং সহ-লেখক।

'দাঁতে বিরল নীল রঞ্জকের এমবেড করা মিডলএজে’র মহিলার ফসিলের ইতিহাস পুনরায় লেখা যেতা পারে'।

ডিসিলভা আরো বলেন "আমাদের জটিল বিবর্তনীয় ইতিহাসের প্রথম দিকে বিভিন্ন হোমিনিডরা কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে সেটার সঠিক সমান্তরাল রেখার একটা চিত্র খুজে পাই, এখানে মিসিং লিঙ্ক থাকার কোন অবকাশ নেই;।
বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা অনুসারে, সেডিবা দুই পায়ে হাঁটতে পারত, ‘ তবে সে গাছে আরোহণে দক্ষ ছিল এবং বেশীরভাগ সময় সে গাছে গাছে কাটিয়েছে সম্ভবত খাদ্য এবং শিকারীদের থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।‘ তার হাতের শক্তিশালী গ্রিপ এবং আরোহণের জন্য প্রয়োজনীয় ‘সূক্ষ্ম গ্রিপিং’ এবং শরির ও পায়ের ধরনে প্রমান হয় সে সোজা হয়ে জমিতে হাটতে সক্ষম ছিল। (গাছে আরোহণ ও জমিনে চলাচল; সে দুটোতেই দক্ষ ছিল)
সুত্রঃ
USA TODAY -MISSING LINK

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ * বিরুদ্ধমত*~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~সেডিবার কাল্পনিক চিত্র
বিরূদ্ধমত~ সেডিবা
২০০৮ সালে তাদের আবিষ্কারের পর থেকে, আমরা অস্ট্রালোপিথেকাস‘সেবিডা'র ফসিল নিয়ে মিডিয়ার হৈ চৈ এর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি। যে ফসিলটাকে বলে হচ্ছে, অস্ট্রালোপিথেকাস এবং জেনাস হোমো এর মধ্যে অনুপস্থিত লিঙ্কের মাঝামাঝি কোন প্রাণী বা আমাদের পূর্বপুরুষ- বৈজ্ঞানিকেরা ধরেই নিয়েছেন যে, এটা সেই মিসিং লিঙ্ক। জীবাশ্মগুলিকে মিডিয়া বিবর্তনীয় 'গেম চেঞ্জার' 'আমাদের প্রথম দিককার পুর্বপুরুষ' এবং 'বিবর্তনীয় তত্ত্বের জন্য শক্তিশালী প্রমাণ' হিসাবে প্রশংসা করেছেন।
আমরা যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছি, জীবাশ্মগুলির আরও অধ্যয়নের জন্য যথেষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরে এবং যেখানে এগুলো আবিস্কৃত হয়েছে তাঁর চারপাশের ভু প্রকৃতি ও পরিবেশ অনেকখানি পালটে বা ধ্বংস হয়ে যাবার পরে একসময় মিডিয়ার হৈ চৈ ও বন্ধ হয়ে যায়।

আসলে,মুল তথ্য হচ্ছে, নিউ সায়েন্টিস্ট-এ ২০১৪ সালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে শিরোনামে বলা হয়েছে ' এটা সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রী বাঁক নিয়েছে'
: “ সুদীর্ঘ সময় আগের-হারানো আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে কাছের একজনের অস্তিত্ব হয়তো কখনও ছিল না। অস্ট্রালোপিথেকাস সেডিবার জীবাশ্ম যা মানব বিবর্তনের ইতিহাস পুনর্লিখনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা আসলে একসাথে মিশ্রিত দুটি প্রজাতির অবশিষ্টাংশ হতে পারে" (বারাস, ২০১৪)।
ইস্রায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এলা বিন' প্রাচীন হোমিনিডদের মেরুদণ্ড বিষয়ে গবেষণা করছেন এবং তাঁর গবেষণার ফল নিয়ে সায়েন্স জার্নালে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। তাদের নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে, সায়েন্স জার্নাল 'ইয়োয়েল রাক' এবং তিনি "উপসংহারে পৌঁছেছেন যে 'সেডিবা জীবাশ্ম মুলত দুটো নয় চারটে ফসিল জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে'!!
তারা প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র কোন আদি মানব বা এপস যাদের মৃত্যুর সময়ে জোরে ঝাঁকুনি বা ভুমিকম্প হয়েছিল, যার ফলে হাড়গুলো খুব কাছাকাছি এলোমেলোভাবে পেট্রিফিকেশনের (যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জৈব পদার্থ, দীর্ঘ সময় ধরে খনিজ পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তা পাথুরে পদার্থে পরিণত হয়।) সূচনা করেছিল।
তারা এপ্রিল ২০১৪ সালে কানাডার ক্যালগারিতে ‘প্যালিওনথ্রোপোলজিক্যাল সোসাইটি’র(আদি ভূতাত্ত্বিক অতীতের সাথে সম্পর্কিত নৃবিজ্ঞান) একটি সভায় তাদের গবেষণা উপস্থাপন করে। সেখানে উদ্ঘাটন করা হয় যে, বিবর্তনবাদীদের জন্য জীবাশ্ম সম্পর্কে তাদের সিদ্ধান্তে ভুল করা কতটা সহজ, বিশেষ করে অতি‘অল্প প্রমাণ’ এর উপর ভিত্তি করে যদি তৈরি করা হয়। যেমন ‘ শধু মাত্র একটি পায়ের হাড় ব একটি চোয়াল এর হাড় দিয়ে পুরো প্রাণীর শারিরিক ও চারিত্রিক রূপ নিরূপণ করা ভীষণ কঠিন’।

দক্ষিণ আফ্রিকার উইটওয়াটারসরান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনীয় জীবাশ্মবিদ লি বার্গার, যিনি সেডিবা জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছিলেন। বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হাড় থেকে অত্যধিক তথ্য আহরণ করার চেষ্টা করার প্যালিওন্টোলজিকাল( আদি সৃষ্টি-সম্বন্ধীয়) সম্প্রদায়ের একটি সাধারণ অভ্যাসকে অস্বীকার করেছিলেন। সেডিবার জীবাশ্মগুলি সাধারণ জীবাশ্মের চেয়ে অনেক বেশি সম্পূর্ণ বলে প্রমান করার চেষ্টা করেছিলেন (যদিও সেডিবার জীবাশ্মগুলি অসুম্পুর্ন ছিল- এমনকি ৫০ ভাগ সম্পূর্ণ থেকেও অনেক দূরে ছিল)। বার্গার যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি যে হাড়গুলি খুঁজে পেয়েছেন তার মধ্যে যদি কোনও অমিল পাওয়া যায় (যেমনটি সাধারণত জীবাশ্মের সন্ধানের ক্ষেত্রে হয়) তবে কঙ্কালের শারীরস্থান(এনাটমি) সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

একটি নিউ সায়েন্টিস্ট নিবন্ধ অনুসারে, 'বার্গারের সর্বশেষ কাজ ইঙ্গিত দেয় যে, একজন যুবক পুরুষের কশেরুকা রোগের লক্ষণ থাকতে পারে। যদি তাই হয়, এমন জীবাশ্ম কোন প্রজাতির প্রতিনিধিত্ত্ব করে না'। এর অর্থ এই যে সেডিবার জীবাশ্মগুলি এমনকি একটি ট্রানজিশনাল প্রজাতির অস্তিত্বের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না, যেহেতু সেই আদিম প্রজাতির স্বাভাবিক এনাটমি অজানা থাকবে।

যদি ডারউইনীয় বিবর্তন সত্যিই ঘটে থাকে তবে জীবাশ্মের রেকর্ড অবশ্যই শত কোটি পরিবর্তনকালীন ফসিল দিয়ে পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু আমরা যে বিষয়টা বারবার জোর দিয়েছি- এমনকি অনেক বিবর্তনবাদীরাও প্রায়শই স্বীকার করেন-মানুষের বিবর্তনের প্রমাণ একটি বানরের মতো পূর্বপুরুষ থেকে হবার সম্ভাবনা নেই। জীবাশ্ম রেকর্ড বাইবেলের মডেল সঠিক হলে সৃষ্টিবাদীদের ভবিষ্যদ্বাণী সমর্থন করে। ঈশ্বর আদি ‘প্রজাতি’ (জেনেসিস ১:২১,২৪-২৫) সৃষ্টি করেছেন, এবং সময়ের সাথে সাথে এই ধরণের মধ্যে কেবল বৈচিত্র্য ছিল।
যদিও এটা বিশ্বাস করা কঠিন তবুও আমরা কোটি কোটি বছর আগে একটি এককোষী জীব থেকে বিবর্তিত হয়েছি সে বিশ্বাস করা আরো কঠিন। ধর্মে যদি রূপকথার বয়ান হয় তবে এই বিবর্তনের ধারা সেই রূপকথাকেও হার মানায়।
মুল
JEFF MILLER, Ph.D.
Apologeticspress অরগানাইজেশান (ভাবানুবাদ-শেরজা তপন)



বিরুদ্ধমত~ লুসি
যদি এটি এত গুরুত্ত্বপূর্ন না হয় তবে পরিস্থিতি হাস্যকর হবে। কয়েকমাস পর পর মিডিয়া একটি নতুন এমন কিছু প্রাণীর জীবাশ্মের সম্পর্কে কথা বলে যা দেখতেএরন্যান্য এপসদের মতো নয়-যাদের আকার আকৃতি ও প্রকৃতি আধুনিক মানুষের সাথে বেশই মিলে যায়, আর বিবর্তনবাদীরা বিশ্বজুড়ে লাফালাফি শুরু করে মিসিং লিঙ্ক কুজে পাওয়া গিয়েছে বলে।
সম্ভবত, এই নতুন প্রাণীর ক্ষুদ্র বৈশিষ্ট্যগুলি আদিম পূর্বপুরুষদের থেকে কীভাবে আমাদের আধুনিক মানুষ হিসেবে বিবর্তিত হয়েছিল সে সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা দেয়। এদের কারো অক্ষি-কোটরের গর্তগুলি বেশিরভাগ এপস-এর চেয়ে বড় বা ছোট, মাথার খুলিটি বড় (বা ছোট)।
লুসির মত ছোট পায়ের প্রানী কিভাবে স্থলভাগ দিয়ে দুই পায়ে ছোটাছুটি করেছিল সেইটা একটা ভাবনার বিষয়- বিশেষ করে যখন বড় বিড়াল জাতীয় বা হিংস্র পশু যখন তাড়া করেছিল? তার আঙুলের হাড়ের ছোট ছোট গিঁটগুলোর আমাদের জানায় যে, এই প্রাণীটি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় গাছ থেকে গাছে বিচরন করেছে। শুধু সঙ্গম বা অন্য কোন কারণে অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে এরা মাটিতে নেমে এসে সোজা হয়ে দাড়িয়েছে।
এই পুরো দৃশ্যকল্পের উদ্বেগের বিষয় হল যে প্রতিবারই সৃষ্টিবাদীরা এটিকে ভুল প্রমাণ করে এবং প্রতিবারই নির্দিষ্ট কিছু প্রাণী- যেমন পিল্টডাউন ম্যান, লুসি, বা ইডার জীবাশ্মকে অসম্মানিত করা হয়, এবং কিছু চমৎকার আবিস্কার বিজ্ঞানের গৌরবোজ্জল দিকটাকে হেয় করা হয়। এইসকল জীবাশ্ম আবিস্কারের পরে সারা বিশ্বের মিডিয়া এত হৈ চৈ শুরু করে যে, সৃষ্টিবাদীরা তাদের বিশ্বাসের মুলে ধাক্কা খেয়ে চরম মুষড়ে পড়ে। প্রতিটি নতুন আবিষ্কারের এই ধাক্কা সইতে না পেরে সৃষ্টিবাদী বা ধার্মিক উন্মত্ত পাঠকরা তাদের প্রিয় ধর্মগুরু বা জ্ঞানী বিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে এবং মুলত খৃষ্ট ধর্মের বিজ্ঞ ব্যক্তিরা দাবি করে যে, কিছু দিনের মধ্যে উত্তর দেওয়া হবে অন্যথায় জেনেসিস সৃষ্টির বিষয়টি পাল্টে দেয়া হবে কিংবা আপডেট করা হবে না হলে এর বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে।
এটা যেন অসংখ্য বিবর্তনীয় দুর্বলতার গল্প – জনসাধারণ ততবার ভুলে যায় যতবার মিডিয়া আরেকটি বিবর্তনবাদী শিশুকে দত্তক নেয় কিংবা জন্ম দেয়।
আসুন আমরা সবাই কিছুক্ষনের জন্য থামি, একটি গভীর শ্বাস নিই, এবং পদ্ধতিগতভাবে বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করি যে কেন ‘সর্বশেষ আবিষ্কার’ এর আগে আসা অন্যান্য সমস্ত বিবর্তনীয় ‘স্ট্যান্ডবাজি’ বা ‘ব্রেকথ্রু’ ছাড়া কিছুই নয়।
মানব ইতিহাসের প্রতিটি বৈধ পরীক্ষা যা এর সাথে কিছু করার আছে তা দেখিয়েছে যে মহাবিশ্বে প্রাকৃতিক জীবন শুধুমাত্র তার নিজস্ব ধরণের প্রাক-বিদ্যমান জীবন থেকে আসে। উপরন্তু, চিন্তা- চেতনা, যৌন প্রজনন, বিভিন্ন রক্তের ধরন, কথ্য ভাষা এবং মানব মস্তিষ্কের জটিলতার মতো নির্দিষ্ট মানবিক বৈশিষ্ট্য মানব বিবর্তন তত্ত্বের মিথ্যা প্রমাণের ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য বাধা সৃষ্টি করে (হাররুব এবং থম্পসন, ২০০৩)
দ্বিতীয়ত, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে "সঠিক" তারিখগুলি পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত ডেটিং পদ্ধতিগুলি দুর্লভ অসুবিধায় পরিপূর্ণ যা তাদের অকেজো করে দেয় (দেইয়ং,২০০৫; স্নেলিং, এনডি; মরিস, ১৯৯৪)। প্রকৃতপক্ষে, বিবর্তনবাদী সম্প্রদায় অনেকসময় কাছাকাছি কিংবা তাদের ইচ্ছামত তারিখ তৈরি করছে, তাদের পূর্বকল্পিত ধারণার সাথে খাপ খায় না এমন যেকোন তারিখগুলিকে বাতিল করে দিচ্ছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন তারিখগুলি করছে। অসংখ্য জীবাশ্মের আবিষ্কারের পরে এমন হয়েছে লক্ষ লক্ষ বছর বিবর্তনীয় সময় যোগ করা হয়েছে, যদিও তাদের প্রত্যাখ্যান করা সময়রেখা সঠিক বলে ‘জানা’ ছিল (বাট-২০০৮)। কোন জীবাশ্মের সঠিক সময়কাল বের করা এতটাই দুরূহ এবং সকল পরিক্কা নিরীক্ষা এত ব্য্যবহুল এবং কঠিন যে, বাইরের কেউ এর চ্যালেঞ্জ করতে সাহস পায় না। আপনাকে যখন বলা হবে এটা বিলিয়ন বা এত মিলিয়ন বছর আগের তখন বিশ্বাস করা বা অবিশ্বাস করে ছুড়ে ফেলা ছাড়া আর কোন পথ থাকে না।
তৃতীয়ত, বিশ্ব এই মিথ্যা বিবর্তনবাদী দাবিগুলোকে যথাযথ বিশ্বাসের সাথে তুলে ধরার জন্য অন্য প্রাণীর জীবাশ্মকে কতজন কথিত মানব পূর্বপুরুষ হিসেবে প্রমানের চেষ্টা করা হয়েছে, তাঁর মধ্যে নিয়ান্ডারথালস, নেব্রাস্কা ম্যান, পিল্টডাউন ম্যান(১৯১২), জাভা ম্যান এবং রোডেসিয়ান ম্যান (২০০৩)। এছাড়াও, The Hobbit Man (২০০৫)এবং লুসি কিংবা সেডিবা( ২০০৮) অন্যতম।

আরও সাম্প্রতিক খবরে, বিবর্তনীয় পরাজিতদের দীর্ঘ তালিকায় সর্বশেষ নবাগতকে লিখুন –আর ডি ইডা-র মাত্র পাঁচ মাস পরে - "সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে অসাধারণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য, আমাদের প্রাচীনতম পূর্বপুরুষ" ‘ইডা লেমুর’ জীবাশ্মকে শুধুমাত্র ‘ বিশেষ মহান বৈজ্ঞানিক আবিস্কার (রেফ. ২০০৯) হিসেবেই নয়, বরং ‘সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি’ হিসেবেও সমাদৃত করা হয়েছে। কিছু বিজ্ঞানী যুক্তি দিয়েছেন যে, এটি ‘সম্পূর্ণভাবে এবং অকাট্যভাবে স্যার চার্লস ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বকে নিশ্চিত করে’। ডঃ জেনস লরেঞ্জ ফ্রানজেন
- আমরা আরডির সাথে দেখা করি - সাধারণ পূর্বপুরুষের "সন্নিধ্যে আমরা এসেছি", যাকে আমরা মানব বিবর্তনকে ৪.৪ মিলিয়ন বছর আগে নিয়ে যাওয়ার কথা। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে যে সায়েন্স জার্নালে অক্টোবর ২০০৯ সংখ্যায় ১১ টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। ডেভিড পিলবিম সাহসিকতার সাথে বলেছিলেন, "এটি মানব বিবর্তনের অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি’।
বিবর্তনের বিজ্ঞাপন হিসাবে ‘ইডা’ চমৎকার শোনাচ্ছিল-‘বিশেষজ্ঞরা এটিকে গত শতাব্দীতে মানব বিবর্তনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে অভিহিত করেছিলেন’ (২০০৯)। ইডা’র জারিজুরি ফাঁস হবার পরে আশ্চর্যজনকভাবে চরম দ্রুততার সাথে "বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য" আরডি’কে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল।
টাইম ম্যাগাজিনের ২৩ জুলাই ২০০১ সংখ্যায়, স্টাফ লেখক মাইকেল লেমনিক এবং আন্দ্রেয়া ডোরম্যান তাদের পাঠকদের ‘আর্ডিপিথেকাস রামিডাস কাদাব্বা’র সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। অনুমিতভাবে, কদাব্বা -‘আরডি’ নামক নুতুন জীবাশ্ম যা বর্তমান শাসনকারী মিডিয়া চ্যাম্পিয়নের এক মিলিয়ন বছরেরও বেশি আগে ৫.২ থেকে ৫.৮ মিলিয়ন বছর আগে বেঁচে ছিলেন তাঁর স্থান দখল করেছিল। উপরন্তু, কদাব্বা কথিতভাবে বিবর্তিত হয়েছিল ‘সেই সময়ে যখন মানুষ ও শিম্পরা তাদের পৃথক পথে চলে গিয়েছিল’। উপরন্তু, বিবর্তনবাদীদের মতে যারা এই সন্ধান সম্পর্কে লিখেছেন, তারা বলেছেন ‘কাদাব্বা’- ‘প্রায় নিশ্চিতভাবে সোজা হয়ে হেঁটেছিল’। এক সময় আবিষ্কৃত কদব্বার হাড় এখনও আমাদের কাছে আছে। তাহলে কেন আমরা এখনও সেই অভূতপূর্ব বিবর্তনীয় বিজয়ের কথা শুনছি না?
সহজ কারণের জন্য যে এটি ‘ইদানীং জনি-কাম-লেট’ নয় যা মিডিয়া হাইপ তৈরি করতে পারে।
বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভট ও মিথ্যা প্ররোচনার পেছনে যে বিশ্বের চিন্তাশীল ব্যক্তিরা যে শত শত বছর ধরে দৌড়েছেন এবং প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের ছাত্রদের যে, ভুল শেখানো হচ্ছে এবং সেই ভুলটাকেই তাদের বিশ্বাস করাতে বা প্রমান করাতে বাধ্য করা হচ্ছে, এর খেসারত কে দিবে?
কিভাবে মানবজাতি বিবর্তিত হয়েছে তা জানতে আর কত লুসিস, হবিটস, পিল্টডাউনস, নেব্রাস্কাস এবং আরডি লাগবে? কথিত মানব বিবর্তনের গণকবরে স্তুপীকৃত ফসিল বা জীবাশ্ম ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তেই থাকবে শুধু। কিন্তু ফলাফল শুন্য।


মুল সুত্রঃ
Ardi Joins a Long, Infamous List of Losers
Apologetics Press
( ভাবানুবাদঃ শেরজা তপন)


আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link

প্রথম এডিটঃ ২৩ অক্টোবর-সকাল ১০ঃ০০
দ্বীতিয় এডিটঃ ২৩ অক্টোবর রাত ৮ঃ৫৫

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ড: এলিসের ১৭ টি কারণ আপনার কাছে লজিক্যাল মনে হয়েছে?

আমাদের সবচেয়ে নিকটতন "বসবাস যোগ্য" গ্রহ হতে আমাদের গ্রহে আসতে ( আবিস্কৃত সবচেয়ে দ্রুততম নভোযানে ) ১৬০ হাজার বছর দরকাের, ইহা আপনি জানেন কিনা?

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আর কি কি জানেন বলেন? আপনার মগজে আপনার হিসাব দড়কড়চা পাকিয়ে আছে।
আপনার কি ধারনা জগৎশুদ্ধ সবকিছু আপনি একাই জানেন? অন্য মানুষকে এত আহম্মক ভাবেন কেন?
মানুষ সন্মন্ধে খানিকটা উচ্চ ধারণা পোষন করতে শিখেন।
আমার কাছে লজিক্যাল যেটা আপনার কাছে লজিক্যাল না ও মনে হতে পারে। এই নিয়েই তো এত তর্ক -বিতর্ক।
এই ধারাবাহিক আপনার পছন্দ হচ্ছে না সেটা প্রথমেই বলেছেন- আমি যা বোঝার তক্ষুনি বুঝে গেছি।
নিজের ঝুলি থেকে কিছু বের করুন?

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৫

মামুinসামু বলেছেন: এলিয়েন শিপ হইলে ১৬০ মিনিটও লাগতে পারে, কিংবা ১৬০ সেকেন্ড।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যটা কি পজিটিভ না নেগেটিভ সেন্সে বলেছেন সেটা অনুধাবণ করতে কষ্ট হচ্ছে। :(

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: পূর্বপুরুষদের চেহারা দেখে তো আমি আক্কেল গুড়ুম হয়ে যাচ্ছি ভাইয়া। :(

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: কি কন আপু মিল-টিল পান নাই??
আমিতো আয়নায় এই রকম নিত্যদিন দেখি :)

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই সিরিজের পোস্টগুলো আমার জন্য না। এসব বিষয়ে আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: :) সেটাতো বুঝেছি ভায়া প্রথম পর্ব থেকে। আপনার জন্য 'দুনিয়া কাঁপানো ব্যান্ডে'র আরো কয়েক পর্বে হাত দিয়েছি- সময় মত পাবেন।
সত্যি কথা সরাসরি বলার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনি লিখেছেন -
পৃথিবীতে, একই জিনগুলি সবচেয়ে আদিম থেকে সবচেয়ে উন্নত প্রজাতির মধ্যে সনাক্ত করা যেতে পারে। আমাদের ডি এন এ ৫৫ শতাংশ কলার সাথে, ফলের মাছির সাথে ৬০ শতাংশ, এবং বিজ্ঞানভিত্তিক রিপোর্ট আছে যে, যে আমরা শিম্পাঞ্জির সাথে আমাদের ৯৮ ভাগ ডি এন এ মিলে যায়।

বাক্যগুলি সঠিক ভাবে সৃশুঙ্খলাবদ্ধভাবে বিন্যস্ত হয়নি। মনে হচ্ছে গুলগ অনুবাদ করে দিয়েছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: উনার সাহায্যতো কিছুটা নিয়েইছি- অস্বীকার করার উপায় নেই।
এভেবে ভুলত্রুটি ধরে দিলে লেখার মান উন্নত হবে নিঃসন্দেহে। এটাই ফাইনাল না- আরো বহুবার এডিট হবে নিশ্চিত।
( ভাষা ও বাক্য বিন্যাসগত সমস্যা আমার ভাল রকম আছে)
অনেক ধন্যবাদ- এমন মন্তব্য আমাকে নিরাশ করেনা না আরো উদ্যমী করে।
বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা
* খানিকটা ঠিক ঠাক করে দিয়েছি। খুব বেশী তাড়া যাচ্ছে!

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: কোনটার মত দেখো ভাইয়া?

সেডিবা নাকি খাঁটি শিম্পাঞ্জীর মত?

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: মাঝে মাঝে সেডিবা মাঝে মাঝে লুসির মত।
মেয়েরা এত 'ফসিল' হইল কেন বুঝলাম না!! মনে হয় বেশী সাজু গুজু করার জন্য মাটিতে এত কেমিক্যাল হজম করতে পারে না :)

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৩

মোগল বলেছেন: মানুষ পৃথিবীর বাইরে থেকে আসছে - এই কথা তো প্রত্যেক আব্রাহামিক রিলিজিয়নই বলতেছে - এইজন্য বানরের সুত্র আবিষ্কার করাটা অতি কল্পনা। এইজন্য জোর করে মিসিং লিংক আবিষ্কার করতে হয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: উঁনারা বলছেন বেহেস্ত থেকে ডাইরেক্ট- মাঝে কোন স্টপেজ নাই।
আর ইনি মানে এলিস সাহেব বলছেন যে, আমারা পৃথিবীর আশেপাশের সৌরজগরে কোন এক গ্রহে বিকশিত হয়ে পরে বাকি সব সুন্দর সুন্দর গ্রহরে তছনছ করতে আইছি।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৬

মোগল বলেছেন:
- এই জিনিস বানর থেকে আসছে, চিন্তা করতেই তো কিরকম জানি লাগে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: কিরাম যেন সেডিবা'র মত সাইড থেকে লাগে :)
এত্ত এত্ত জ্ঞানী গুণীরা বলেছেন যখন হইলেও হইতে পারে।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এমন মন্তব্য আমাকে নিরাশ করেনা না আরো উদ্যমী করে।
কেউ কেউ আছে ভুল ধরিয়ে দিলে তাদের ইগোতে লাগে। কেউ কেউ কোনোরকম ভুলই মেনে নিতে চায় না। কেউ কেউ ভুল ধরিয়ে দিলেও গায়ে মাখে না। আপনি তাদের দলে নন এটা পরিষ্কার।
আমার ভুল ধরিয়ে দিলেই আমি শুধরাতে পারবো, আমি সবজান্তা নই। কয়েকদিন আগে একজন আমাকে অশোক গাছের বৈজ্ঞানীক নাম শুধরে দিয়েছেন। আমি সাথে সাথে অনেক যায়গায় সেটি শুধরে নিয়েছি তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে। আগামীর জন্য সঠিকটা আমার জানা রইলো।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা
ভাল থাকবেন- শুভরাত্রি।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পর্বটা আমার জন্য একটু কঠিন হয়ে গেছে মনে হয়। জিনেটিকস সংক্রান্ত জীববিজ্ঞান কম বুঝি। আমি পড়িনি এখনও শুধু চোখ বুলিয়েছি। কালকে ভালো মত পড়ে মন্তব্য করতে চাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আচমকা নীচের দুটো নিবন্ধ সংযোজন করার জন্য অনুবাদ ভাল হয়নি সেজন্য কঠিন ঠেকেছে। খানিকটা এডিট করেছি। সময় করে বাকিটা করব।

আপনার চোখে কোন ভুল ধরা পড়লে একটু জানাবেন।
ধন্যবাদ অপেক্ষায় রইলাম...

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৫

আরইউ বলেছেন:



*মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি কী যেন সমস্যা হলো। প্রথম ছবির দেয়া টেক্সটুকু উদ্ধার করতে পারিনি, তাই স্ক্রিনশট আকারে দিলাম। স্ক্রিনশটের লেখার কন্টিনিউয়েশন হচ্ছে তার নিচের টেক্সট।



আমরা সবাই এক কমন পূর্বপুরুষ থেকে এসেছি। সুতরাং জেনেটিক সিমিলারিটি থাকবেই কারণ প্রাণের বেসিক কন্সট্রাকশনের জন্যতো একই ধরণের জেনেটিক মেজেস লাগবে। এখন বলা হয় মানুষের সাথে শিম্পান্জীর ৯৮.৮% জেনেটিক মিল আছে। এখন যে ১.২% এর মিল নেই সেটার আসলে সংখ্যায় কয়টা জিন। ধরুন, আমাদের মোটামুটি ৩ বিলিয়ন বেজ পেয়ার আছে। এখন ১.২% অমিল মানে সংখ্যায় ৩৫ মিলিয়নের পার্থক্য। এখন কিন্তু পার্থক্যটাকে খুব বেশি ছোট মনে হচ্ছেনা, তাইনা!

আবার যে সব জেনেটিক মিল আছে সেগুলোও কিন্তু একইভাবে একইমাত্রায় এক্সপ্রেস করবে এমন নয়। জিনের মিল থাকা আর সেই জিনের একই ধরণের/মাত্রায় এক্সপ্রেশন হওয়া ভিন্ন জিনিস। এখানে আবার মিউটেশনের ব্যাপার-স্যাপারও আছে। পরিসংখ্যানে তাই কোয়ান্টিটিভ মিল মানেই কোয়ালিটিটিভ মিল থাকা নয়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত ভীষণ!!
কিভাবে আপনার আগের মন্তব্য মুছে গিয়েছে সে ব্যাপারে আমার কোন ধারণা নেই!

এলিস সিলভার সেই কথাটাই রিপিট করেছেন; আমরা সবাই কমন পূর্বপুরুষ থেকে এসেছি- যেমন মহাবিশ্বের যেখানেই জীবন আছে সেখানেই এই জেনেটিক মিল খুজে পাওয়া যাবে।
~এখন বলা হয় মানুষের সাথে শিম্পান্জীর ৯৮.৮% জেনেটিক মিল আছে। এখন যে ১.২% এর মিল নেই সেটার আসলে সংখ্যায় কয়টা জিন। ধরুন, আমাদের মোটামুটি ৩ বিলিয়ন বেজ পেয়ার আছে। এখন ১.২% অমিল মানে সংখ্যায় ৩৫ মিলিয়নের পার্থক্য। এখন কিন্তু পার্থক্যটাকে খুব বেশি ছোট মনে হচ্ছেনা, তাইনা!
দারুন একটা তথ্য দিয়েছেন। আসলে বিরুদ্ধমত থাকলে তর্ক বিতর্কের মাধ্যমে চমৎকার কিছু তথ্য উপাত্ত উঠে আসে।

সবগুলো পর্ব-তে ধারাবাহিকভাবে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫২

কলাবাগান১ বলেছেন: এত জ্ঞানী একজন লোক বই লিখেছেন কিন্তু নতুন জিন কিভাবে প্রানীতে উদ্ভব হয়, সেটার বেসিকই না জেনে ধারনা প্রসুত ত্বত্ত নিয়ে বই লিখেছেন উনি।
ডিএনএ তে মাত্র ৪ টা ক্যামিক্যাল (A,T,G,C).....বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে (Reversion, transposition, repetition, inversion, mating, recombination etc.), হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তন এর দ্বারা existing gene থেকেই এর পর্যায়ক্রমিক বিন্যাস চেন্জ হয়েই নতুন জিন তৈরী হচ্ছে। তার জন্য অন্য গ্রহ থেকে নতুন জিন আসার দরকার নাই
এত তথ্যগত ভুল যে উনাকে বিজ্ঞানী ভাবতেও কস্ট হয়। শিম্পাজীর ২৪ জোড়া আর মানুষের ২৩ জোড়া কেন, এর উত্তর বহু বার দেওয়া হয়েছে ...এমনকি আমিও বিবর্তন বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সামুতেই পোস্ট দিয়েছিলাম ....আমার ব্লগে এখনও আছে (কিভাবে শিম্পাজীর ২ নং ক্রমোজম পেয়ার জোড়া লেগে মানুষের ২ নং ক্রমোজম পেয়ার তৈরী হয়েছে)...হিউম্যান জিনোম সিকোয়েন্স করার পর, এর প্রমান হাতেনাতে দেওয়া হয়েছে।

Down's syndrome হয় trisomy এর জন্য (এক জোড়া বেশী ক্রমোজম এর জন্য নয়, একটা ক্রমোজম বেশী হওয়ার জন্য)।

গ্লুকোমা চোখের ক্যান্সার নয়

শেষ বাক্যগুলি হাসানোর মতই....দুই তিন জন ট্যাবলয়েড সাইন্সটিস্টদের কথায় ...ল্যাবে প্রমানিত বিবর্তন নাই হয়ে যাবে না.....। ইউটিউবে দেখে নিয়েন কিভাবে চোখের সামনে ১০ দিনের মাথায় নতুন প্রজাতির ব্যাক্টিরিয়ার উদ্ভব হয় (সিলেকশান প্রেসারে- হার্ভাড রিসার্চ ইভুলিউশান লিখে সার্চ দিন)...করোনা ভাইরাস এর কিভাবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এ উদ্ভব হচ্ছে????

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমার মত তিনিও মনে হয় জিনগত তত্ত্বে একটু দুর্বল আছেন :)
আপনি বলেছেন; ডিএনএ তে মাত্র ৪ টা ক্যামিক্যাল (A,T,G,C).....বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে (Reversion, transposition, repetition, inversion, mating, recombination etc.), হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তন এর দ্বারা existing gene থেকেই এর পর্যায়ক্রমিক বিন্যাস চেন্জ হয়েই নতুন জিন তৈরী হচ্ছে। তার জন্য অন্য গ্রহ থেকে নতুন জিন আসার দরকার নাই
এত তথ্যগত ভুল যে উনাকে বিজ্ঞানী ভাবতেও কস্ট হয়।

~ এইটা আমার জানা ছিল না।
Down's syndrome হয় trisomy এর জন্য (এক জোড়া বেশী ক্রমোজম এর জন্য নয়, একটা ক্রমোজম বেশী হওয়ার জন্য)।
~ এইটা একটাই হবে- আমার অনুবাদের ভুল। ধন্যবাদ শুধরে দেবার জন্য।
গ্লুকোমা চোখের ক্যান্সার নয়- ঠিক।

শেষ বাক্যগুলি হাসানোর মতই....দুই তিন জন ট্যাবলয়েড সাইন্সটিস্টদের কথায় ...ল্যাবে প্রমানিত বিবর্তন নাই হয়ে যাবে না.....।
~ এখানে আমি একমত হতে পারলাম না। মোটেই এটা হাসানোর মত কথা নয়। পিল্টটাউন ম্যানের জীবাশ্ম আবিস্কারের পরে শত বছর ধরে জীব বিজ্ঞানের ছাত্রদের ভুল শেখানো হয়েছে। এভাবে বার বার কিছু মানুষের ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে প্রচুর বিজ্ঞানী ও শিক্ষানবিশদের। বিজ্ঞানের কিছু কিছু মহান আবিস্কার ও তত্ত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে- মানুষ হাসি ঠাট্টা করেছে। এটা তো মিথ্যে নয়। ওই নিবন্ধটা ফের পড়ার অনুরোধ রইল- ওটা আমার অন্যখান থে সংগৃহীত। মিঃ এলিসের নয়।

১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০২

নিমো বলেছেন: মোগল বলেছেন:- এই জিনিস বানর থেকে আসছে, চিন্তা করতেই তো কিরকম জানি লাগে।
জা্ন্নাতে বিকশিত না হলে এমন সম্মান সূচক সম্বোধন সম্ভব নয়।

@ লেখক, সিলভার ভাই থাকতে Svante Pääbo কেন নোবেল পেল যদি একটু জানাতেন ?

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৬

মোগল বলেছেন: নিমো বলেছেন: মোগল বলেছেন:- এই জিনিস বানর থেকে আসছে, চিন্তা করতেই তো কিরকম জানি লাগে।
জা্ন্নাতে বিকশিত না হলে এমন সম্মান সূচক সম্বোধন সম্ভব নয়।


হ, "জিনিস" কইলে সমস্যা, আর "বানর" কইলে ঠিকাছে। /:)

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫১

নিমো বলেছেন: মোগল বলেছেন: হ, "জিনিস" কইলে সমস্যা, আর "বানর" কইলে ঠিকাছে। /:)
জিনিস বা বানর কোনটাই বলার দরকার নাই। যে ব্যাপারে কোন ধারণাই নাই, সে ব্যাপারে নাই বা বললেন। মেশিন ট্রান্সলেট দিয়েই যদি বিজ্ঞান বুঝে ফেলা যেত, তবেতো হয়েইছিল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: মেশিন ট্রান্সলেট দিয়েই যদি বিজ্ঞান বুঝে ফেলা যেত, তবেতো হয়েইছিল।
:) একেবারে কঠিন সত্য কথা বলেছেন! মুর্খ হা করলে তাঁর অজ্ঞতা প্রকাশ পায়; তেমনি হয়েছে আমার অবস্থা!

জিন বা জেনেটিক বিষয়ে আমার ধারনা তেমন নাই বললে চলে- তাই এই পর্বে ভাষাগত ও তথ্যগত সমস্যা ব্যাপক হয়েছে বলে মনে হয়। বেচারা সিলভা হয়তো এভাবে লিখেনি- আমিই সম্ভবত গুবলেট করে ফেলেছি :(

অযথা বিতর্ক সৃষ্টি ও নিজেকে বিতর্কিত এবং ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক অবনমন যে না হয় সে কারনেই- এই অনুবাদের এখানেই ইতি টানব বলে ভাবছি!

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৯

কামাল৮০ বলেছেন: এই তত্ত্বের সাথে ধপাস তত্ত্বের অনেক মিল আছে।এই দুই মাল একই কারখানায় তৈরি।ধপাস তত্ত্ব হালে পানি না পাওয়ায় অন্য ভাবে হাজির করা।দুই জন একই গুরুর শিষ্য।ধপাস তত্ত্বে বলা আছে মানুষকে অন্য গ্রহে বানিয়ে ধপাস করে ফেলে দিয়েছে।সেটারই উন্নত রূপ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আগের থেকে খানিকটা এগিয়েছে বা আধুনিক হয়েছে এইটাইবা কম কি- যুগের সাথে তাল মিলিয়েছে :)
~এইসকল জীবাশ্ম আবিস্কারের পরে সারা বিশ্বের মিডিয়া এত হৈ চৈ শুরু করে যে, সৃষ্টিবাদীরা তাদের বিশ্বাসের মুলে ধাক্কা খেয়ে চরম মুষড়ে পড়ে। প্রতিটি নতুন আবিষ্কারের এই ধাক্কা সইতে না পেরে সৃষ্টিবাদী বা ধার্মিক উন্মত্ত পাঠকরা ধর্মের বিজ্ঞ ব্যক্তিরা দাবি করে যে, কিছু দিনের মধ্যে উত্তর দেওয়া হবে অন্যথায় জেনেসিস সৃষ্টির বিষয়টি পাল্টে দেয়া হবে কিংবা আপডেট করা হবে না হলে এর বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে।
-এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি ভাই?

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: যেখানে কয়েকশো বছরের ইতিহাস নিয়েই সঠিক, নির্দিষ্টতা নিয়ে বিভ্রান্তির শেষ নাই, সেখানে বিজ্ঞানীদের হাজার হাজার, লক্ষ কোটি বছর, মাইলের ইতিহাস নিয়ে সত্যিই আমি বিভ্রান্ত।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভট ও মিথ্যা প্ররোচনার পেছনে যে বিশ্বের চিন্তাশীল ব্যক্তিরা যে শত শত বছর ধরে দৌড়েছেন এবং প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের ছাত্রদের যে, ভুল শেখানো হচ্ছে এবং সেই ভুলটাকেই তাদের বিশ্বাস করাতে বা প্রমান করাতে বাধ্য করা হচ্ছে, এর খেসারত কে দিবেকিভাবে মানবজাতি বিবর্তিত হয়েছে তা জানতে আর কত লুসিস, হবিটস, পিল্টডাউনস, নেব্রাস্কাস এবং আরডি লাগবে? কথিত মানব বিবর্তনের গণকবরে স্তুপীকৃত ফসিল বা জীবাশ্ম ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তেই থাকবে শুধু। কিন্তু ফলাফল শুন্য।

~এসব কথা শুনলে কেউ কেউ হেসে ফেলে কেউবা বিরক্ত হয়। আসলে কথা কি বেঠিক?

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার এই চারটি অনুবাদ পোস্ট গুলোর মন্তব্য গুলো কি আপনি খেয়াল করে দেখেছেন ? এখানে যারা মন্তব্য করেছে এদের কিছু নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায় খুব ভাল ভাবেই । সত্যিই বলতে কি আপনার পোস্টের লেখার থেকেও আপনার এই পোস্টে আসা মন্তব্য গুলোতে আমার আগ্রহ জন্মাচ্ছে বেশি । এর থেকে সামুর বর্তমান মন্তব্যকারীদের ব্যাপারে একটা পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায় !

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: যে যাই বলুক আমি খুব বেশী মন খারাপ করছি না।
কিছু পুরনো ব্লগার অনেকদিন বাদে নিয়মিত মন্তব্য করছেন এবং বিশেষ কিছু অংশ নিয়ে বিতর্ক করছেন। কিন্তু লেখার মধ্যে এমন কিছু বিষয় বা অংশ আছে তা নিয়ে প্রায় সবাই নিশ্চুপ!

কখনো একটু আধটু কষ্ট পেলেও আমিও বেশ আগ্রহ অনুভব করছি- অপেক্ষা করছি তাদের মন্তব্যের।
তবে অযথা বিতর্ক কটুক্তি এবং কারো কারো সাথে সম্পর্ক তিক্ততায় পৌছানোর আগেই এই ধারাবাহিক বন্ধ করে দিতে চাচ্ছি- এ ব্যাপারে আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম...

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার মূল্যবান সময় নস্ট করছেন এই ভুডু সাইন্স নিয়ে.....দু একজন ভন্ড বিজ্ঞানী হয়ত ভন্ডামী করেছেন ফসিল নিয়ে কিন্তু দিন শেষে বিজ্ঞান দিয়েই প্রমানিত হয়েছে যে এটা মিথ্যা ছিল। স্কুল কলেজে যে বায়োলজি পড়ানো হয় সেটা তাদের এই ভন্ডামীর উপর ভিত্তি করে পড়ানো হয় না...যে গুলি প্রতিস্ঠিত (বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত) সেগুলিই পড়ানো/শিখানো হচ্ছে...আপনি যে বলছেন যে শিক্ষার্থীদের শত বছর ধরে ভুল শিখানো হচ্ছে সেটা একটা ডাহা ভুল কথা....আজ যদি স্কুল কলেজে পড়ানো হয় যে মানুষ এসেছে অন্য গ্রহ থেকে সেটা হবে খুবই ভুল কেননা এটা একজনের মনগড়া হাইপোথিসিস যেটা বিজ্ঞান দ্বারা প্রমান করার কোন উপায় ই উনি বলেন নাই....
আপনি Neil deGrasse Tyson এর নাম শুনেছেন কিনা জানি না...উনার নতুন বই টা কে দেখুন ..অনুবাদ করুন পাঠক রা অনেক প্রমানিত সত্য জানতে পারবে, পারলে উনার জাস্ট একটা ভিডিও দেখুন ইউটিউবে, যদি আপনি উনার পরের ভিডিও দেখতে অনুপ্রানিত না হন, তাহলে বলতে হবে যে আপনি হয়ত আসল আর জাংক সাইন্স এর বিভেদ টা বুঝতে পারছেন না। .... স্টিফেন হকিং এর বই এর অনুবাদ করুন ...আপনার চিন্তা শক্তি অনেক বেড়ে যাবে...।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার যেটা আনন্দের জায়গা যেটা পড়ে বা লিখে আমি মজা পাই সেটা নিয়েই থাকতে দিন! স্টিফেন হকিংস এর মত বিজ্ঞানীদের জন্য তো আপনারা আছেনি তাদের নিয়ে বা তাদের লেখা অনুবাদ না হয় আপনারাই করবেন।
আপেল কমলা আঙ্গুর আম কাঁঠালের মত রাজকীয় ফল নিয়ে লেখার লোকের অভাব নেই কিন্তু বনের ধারে অতি অবহেলায় জন্মানো ডেওয়া বা কুচ ফল লেখার মত লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। কেননা তাদেরকে কে ফলের মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা তাই নিয়ে অনেকের সন্ধিহান থাকে!
আপনার সুচিন্তিত পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন

২০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার এখানে মন্তব্য করা কয়েক শ্রেণীর আছে । আপনি খেয়াল করে দেখবেন । এক শ্রেণী রয়েছে যারা আপনার লেখার ভুল বের করে নিজের মত করে সেটা ব্যাখ্যা করছে কিংবা কোন কোন স্থানের সাথে তাদের দ্বিমত রয়েছে ব্যাখ্যা করছে। এই সব বিষয়ে তাদের জ্ঞান রয়েছে এবং তাদের ভাষা ব্যবহার দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে তারা কোন ভাবেই আপনাকে ছোট করতে চাচ্ছে না, এটা তাদের উদ্দেশ্যও না । লেখার সাথে দ্বিমত পেষন করছে কেবল । ব্লগার আর ইউ এর মন্তব্য দেখেন । আরেকদল আছে মূলত যারা কিছুই জানেনা কেবল জানার ভং ধরে থাকে । এই শ্রেণীর মানুষের উদ্দেশ্যই হচ্ছে অন্যকে নিচু দেখিয়ে নিজেকে বড় করার চেষ্টা । যেহেতু নিজেদের ঘাটে কিছুই নেই তাই সবাইকে কটু কথা বলে উপরে ওঠার একটা চেষ্টা । এদের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে গুগল । আরেক শ্রেণী হচ্ছে বিশ্বাসী বলদ । যাদের মনে একবার কোন কিছুর বিশ্বাস স্থান হয়ে গেলে সেটার বাইরে সব কিছুই বিরোধীতা করে তারা !
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারনে লেখা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন ?

লেখা চালিয়ে যাবেন কিংবা যাবেন না সেটা আপনার একান্তই আপনার নিজেস্ব সিদ্ধান্ত তবে আমার কাছে যেহেতু মতামত চেয়েছেন তাই মত দিচ্ছি যে লেখা অবশ্যই চালিয়ে যান । আর বিতর্ক এড়াতে যদি চান তাহলে কেবল মাত্র যৌক্তির মন্তব্য গুলোর জবাব দিন । আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন যে কয়েকজন রয়েছে যারা লেখা না পড়েই মন্তব্য করছে, কয়েকজন কেবল অহেতুক মন্তব্য করছে নিজের পন্ডিটি ফলানোর জন্য । এই টুকু পরিস্কার বুঝতে পারছেন । কেবল মাত্র যারা পোস্ট পড়ে সেখানে পোস্টে যৌক্তিক মন্তব্য করছে, কেবল তাদের প্রশ্নের জবাব দিন । অন্য গুলোর সেভাবে থাকুক । অথবা সেগুলো কমেন্ট মডারেশনে থাকুক । এই পোস্টেই দেখুন, আমার আগের ১৭টা মন্তব্যের ভেতরে কেবল ৪ মন্তব্য যৌক্তিক । পোস্টে পড়ে তারা তাদের নিজেস্ব মন্তব্য জানিয়েছে । বাকি গুলো একদমই বেহুদা মন্তব্য । এমন কি আমার নিজের মন্তব্যটা কিন্তু পোস্ট রিলিটেড নয়, কেবল মন্তব্য রিলেটেড !
আপনার আরেকটা সমস্যা হচ্ছে আপনি একটু বেশি বিনয়ী! রাশানদের মত একটু রাফটাফ হৌউন । দেখবেন বেহুদা মন্তব্যের পরিমান কমে যাবে ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি খেয়াল করে দেখবেন। এক শ্রেণী রয়েছে যারা আপনার লেখার ভুল বের করে নিজের মত করে সেটা ব্যাখ্যা করছে কিংবা কোন কোন স্থানের সাথে তাদের দ্বিমত রয়েছে ব্যাখ্যা করছে। এই সব বিষয়ে তাদের জ্ঞান রয়েছে এবং তাদের ভাষা ব্যবহার দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে তারা কোন ভাবেই আপনাকে ছোট করতে চাচ্ছে না, এটা তাদের উদ্দেশ্যও না। লেখার সাথে দ্বিমত পেষন করছে কেবল।
~আমিতো খেয়াল করেইছি। তবে কিছু মন্তব্যের উত্তর দিতে আমি হিমশিম খাচ্ছি। এদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছুই নতুন করে শিখছি যা আমার জানার গন্ডির বাইরে। এই লেখা এদের কারনেই আমার বড় এচিভমেন্ট। এই ব্যাপারগুলো আমি কোনদিনও জানতে পারতাম না যদি এই লেখাটা না দিতাম। সারাজীব ভুল ধারনা নিয়ে বসে থাকতাম।
~ দ্বীতিয় ও তৃতিয় শ্রেণী সন্মন্ধে আমি কিছুই বলতে চাচ্ছিনা। সব ব্লগার আমার কাছে সম্মানিত।

ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব বেশী বিনয়ী নই। অনেকেই আমাকে বেশ রাফ ও অনুভূতিহীন ভাবে। লেখালেখি আমার কাছে অতি স্পর্শকাতর ব্যাপার। আমার সীমাবদ্ধতা সন্মন্ধে আমি ভীষণ সচেতন। কোন একটা ভারি ক্যাচাল হলে আমি চির জনমের মত লেখালেখি থেকে সরে যেতে বাধ্য হব।
ব্যাবসা আমার কাছে পুজনীয়। লেখালেখি আমার কাছে বিকল্প কোন কিছু একটা আকড়ে ধরে আনন্দের সাথে বেঁচে থাকার অবলম্বন!
সাত বছর লেখালেখি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে আমি অন্য কাছে ব্যাস্ত ছিলাম- কিন্তু অশান্তিতে ছিলাম!

আপনার বেশ বড়সড় মন্তব্যে আমি ভরসা পেলাম। সপ্ন আর আশায় মানুষ বাঁচে- সেই সপ্ন আর আশা নিয়ে আমিও বাঁচতে চাই।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

নিমো বলেছেন: সুপ্রিয় লেখক, একটা কথা হয়তো শুনে থাকবেন, সবার মুখ বন্ধ করতে থাকলে, আদৌ নিজের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না। আমার মত নাদানের সামান্য মন্তব্যে লেখা বন্ধ কেন করবেন? প্রয়োজনে আমার মন্তব্য মুছে, আমাকে ব্লক করে হলেও লেখা চালিয়ে যান ভালো থাকুন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১০

শেরজা তপন বলেছেন: লেখালেখি নিয়ে আমার কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নেই।
এটা আমার নিতান্ত সখের জায়গা। ব্যাবসা, পারিবারিক সামাজিক কর্ম সম্পাদনের পাশাপাশি লেখালেখি করি। কোন্দিন লেখালেখির মাধ্যমে নিজের প্রচার প্রসারের চিন্তা করিনি। দু'বছর আগে আমার একটা বই প্রকাশিত হলেও প্রকাশক আমাকে কোনভাবেই মোড়ক উন্মোচনে নিতে পারেননি।
মাঝে মাঝে মাথার মধ্যে পোকা কামড়ায়- সেই পোকার কামড়ে লিখি। এখানে খুব বেশি মনযোগ দিতে পারিনা। তাই ব্যাপক ভুল ভ্রান্তি থেকে যায়। আমার নিজের যোগ্যতা আর সক্ষমতা সম্পর্কে ভাল ওয়াকিবহাল- সে কারনেই যে যেভাবে ট্রিট করে সেটা মেনে নিই।
সব সময় নিজেকে বিতর্ক ও ক্যাচাল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি না হলে এইসব ব্যাপার আমার ব্যাবসায় মনযোগ নষ্ট করে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চেয়েছি। ভাল থাকুন যত পারুন গঠনমুলক মন্তব্য করুন সেটা বিরুপ হলেও ক্ষতি নেই।

২২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্ঞানী মানূষের জ্ঞানী পোষ্ট।
গ্রেট পোষ্ট।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: (সোনাগাজী সাহেবতো আমাকে গণ্ড মুর্খ গাধা ভাবে! আমার লেখাকেও উনি গরুর রচনা বলেছেন। এটা কারো বিরুদ্ধে অনুযোগ বা অভিযোগ নয়)
আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ- ভাল থাকুন নিরন্তর।

২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

হাবিব বলেছেন: এ আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারবো না।।।।

"আমরা এই পৃথিবীর বহিরাগত" কথার সাথে পূর্ণভাবে একমত

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আরে হাবিব ভাই যে!!! কেমনে কোত্থেকে কিভাবে??? পোষ্ট ও দিয়েছেন দেখি একখানা -বাঃ
অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে আনন্দ হচ্ছে। চাল থাকুন। নাম খানিক ছেটে ছোট করে এসেছেন- খারাপ নয় :)

২৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "... আপনার কি ধারনা জগৎশুদ্ধ সবকিছু আপনি একাই জানেন? অন্য মানুষকে এত আহম্মক ভাবেন কেন?
মানুষ সন্মন্ধে খানিকটা উচ্চ ধারণা পোষন করতে শিখেন। "

-মানুষ সম্পর্কে আমার উচ্চ ধারণা আছে; কিন্ত বাবনিক ও এই সিরিজ পড়ার পর, আপনার সম্পর্কে ধারণা উঁচুতে যাচ্ছে না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আমার সন্মন্ধে আপনার ধারনা উঁচুতে উঠিয়ে আমার বিশেষ ফায়দা হাসিল হবে?

২৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আধুনিক মানুষ বিবর্তনের ফল নয়, এটাই বাস্তব সত্য।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ বিবর্তনের ফল কি নয় এটা নিয়ে অনেক যুক্তি তর্ক ব্যাখ্যা তত্ত্ব প্রমানের বিষয় আছে। সরাসরি না বলতে আমি রাজী নই।
আর আমার রাজী অরাজীতে কারো কিছু আসে না নিশ্চিত।
মানুষের মনে ধারাবাহিকভাবে যে প্রশ্ন আসে প্রতিনিয়ত তাঁর বিজ্ঞান ভিত্তিক উত্তর জানার চেষ্টা করছি।
অনেক অনেক কিছু জানছি ও!
ভাল থাকুন আপনি- অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,





আপনার পোস্টটি দু'দুবার পড়েও ঠিক বুঝতে পারিনি , বক্তব্যগুলি সঠিক ভাবে বাক্যবদ্ধ হয়নি বলে। বাক্যগঠনে গুগলের আঁচ রয়েছে যথেষ্ট যেটা মরুভূমির জলদস্যুও তার মন্তব্যে বলেছেন এভাবে- "মনে হচ্ছে গুগল অনুবাদ করে দিয়েছে।“

গুগলের করা অনুবাদ বেশীর ভাগই এলোমেলো হয়ে থাকে। যেমন অনেকটা এরকমের - "Misunderstanding" কে গুগল হয়তো অনুবাদ করে দেবে এভাবে "মেয়েটি নীচে দাঁড়িয়ে আছে "।

তাই আপনার লেখা পড়ে বুঝিনি তেমন কিছূই। যেহেতু পোস্ট থেকে লেখা কপি করা যায়না তাই আপনার লেখা থেকে উদাহরণ তুলে দিতে পারলুমনা যে, কোথায় কোথায় বাক্যগুলি সুশৃঙ্খল ভাবে গঠিত হয়নি, অসম্পূর্ণ থেকে গেছে ফলে বুঝতে বেগ পেতে হচ্ছে ।

ভালো হবে যদি আপনি গুগলের করা অনুবাদ অংশ নিজে আবার সম্পাদনা করে লেখেন। তাতে বক্তব্য পরিষ্কার হবে এবং লেখার বিষয়টিতে মতপার্থ্যক্য থাকলে্ও সুপাঠ্য হবে । আশা করি আপনি এই মন্তব্যটি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন।

এবারে পোস্ট সংক্রান্ত----
কলাবাগান১ ডিএনএর গঠন নিয়ে ৪টি কেমিক্যালের কথা বলেছেন। এরা A,T,G,C অর্থাৎ এডিনাইন(A), থাইমাইন(T), গুয়ানাইন (G), সাইটোসিন(C) । এগুলো হলো নাইট্রোজেন বেজ। এরা সুগার আর ফসফেট এর দ্বারা তৈরী একধরনের পাত বা দন্ড (ব্যাকবোন) এর সাথে এমন ভাবে বিন্যস্ত থাকে যেটাকে দেখলে মোচড়ানো একটি মইয়ের মতো মনে হবে।

ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবো আমরা সবাই।

এখন এই ৪টি নাইট্রোজেন বেজ বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে আমরা ডিএনএর অসংখ্য ব্লক বানাতে পারি। যেমনটা বলেছেন কলাবাগান১ _Reversion, transposition, repetition, inversion, mating, recombination etc. প্রক্রিয়ায়। এভাবেই আরইউ এর কথামতো আমাদের মোটামুটি ৩ বিলিয়ন বেজ পেয়ার আছে।
যেভাবে আমরা ১,২,৩,৪ অংকগুলিকে উল্টেপাল্টে বসিয়ে অসংখ্য সংখ্যা বানাতে পারি, তেমন ডিএনএর অসংখ্য ব্লক বানানো যায়।

এছাড়া্ও আরইউ বলেছেন - মানুষের সাথে শিম্পান্জীর ৯৮.৮% জেনেটিক মিল আছে। এখন যে ১.২% এর মিল নেই সেটার আসলে সংখ্যায় কয়টা জিন। ধরুন, আমাদের মোটামুটি ৩ বিলিয়ন বেজ পেয়ার আছে। এখন ১.২% অমিল মানে সংখ্যায় ৩৫ মিলিয়নের পার্থক্য।

এগুলি হলো জেনেটিকস এর বেসিক ধারনা। আপনার বইয়ের লেখক এলিস সিলভারের মনে হয় এরকম কিছু খতিয়ে দেখার ইচ্ছে জাগেনি বা তিনি ইচ্ছেকৃত ভাবে এই বৈজ্ঞানিক সত্য এড়িয়ে গেছেন নিজের হাইপোথিসিসটিকে বড় করে তুলে ধরার জন্যে। অথবা তিনি বইটি লিখেছেন বিশেষ একশ্রেনীর পাঠককে টার্গেট করে। সেকারনেই কলাবাগান১ কে বলতে হয়েছে- “ হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তন এর দ্বারা existing gene থেকেই এর পর্যায়ক্রমিক বিন্যাস চেন্জ হয়েই নতুন জিন তৈরী হচ্ছে। তার জন্য অন্য গ্রহ থেকে নতুন জিন আসার দরকার নাই
এত তথ্যগত ভুল যে উনাকে বিজ্ঞানী ভাবতেও কস্ট হয়।“


যাই হোক, বইটিতে উল্টাপাল্টা- সত্য-মিথ্যা যে তথ্যই থাকুক না কেন , আমরা নতুন কিছু জানতে পারছি এটাই আমাদের লাভ। কিছু কিছু মন্তব্য পড়ে আমি নিজে্ও লাভবান হচ্ছি এবং শিখতে পারছি।
তবে স্বীকার করছি , কঠিন এবং জটিল একটি বিষয়কে অনুবাদ করতে হচ্ছে আপনাকে।

সাথে আছি .....................

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কয়েকজন আমাকে একই অপবাদে অভিযুক্ত করল; আপনার মন্তব্যে তাদের সেই সুর পেয়ে আমার মনে হোল প্রতিবাদ করা উচিৎ। এটা থিক কিছু কিছু ক্ষেতে আমি গুগল বা অন্য কোন ট্রান্সলেট মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছি কিন্তু এটা হুবুহু গুগল অনুবাদের জেরক্স এটা আমি মেনে নিতে পারলাম না। এর পেছনে আমি অনেক অধ্যাবসয় ও শ্রম দিয়েছি। হতে পারে কিছু জিনিস না বোঝার কারণে বাক্য বিন্যাস ঠিকমত করে উঠতে পারিনি- চোখ এড়িয়ে গেছে বা তাড়াহুড়োর জন্য ঠিক ঠাক অনুবাদ হয়নি কিন্তু তাই বলে ঢালাওভাবে গুগলের কপি বললে ভীষন কষ্টের বিষয় হয়। দয়া করে নীচে দেখুন;
হুবুহু গুগল অনুবাদঃ
এটি একটি সুপরিচিত সত্য যে মানুষ তাদের ডিএনএর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভাগ করে নেয় পৃথিবীতে পাওয়া অন্যান্য উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির সাথে (এবং সম্ভবত জুড়ে মহাবিশ্ব). পৃথিবীতে, একই জিনগুলি সবচেয়ে আদিম থেকে সনাক্ত করা যেতে পারে প্রজাতির অধিকার সবচেয়ে উন্নত বেশী মাধ্যমে.
আমরা আমাদের ভাগ 55 শতাংশ কলার সাথে ডিএনএ, ফলের মাছির সাথে 60 শতাংশ, এবং এটি সাধারণত রিপোর্ট করা হয় যে আমরা শিম্পাঞ্জির সাথে 98 শতাংশ ভাগ করি।
যাইহোক এই পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিকর হতে পারে, কারণ এটা ঠিক কি উপর নির্ভর করে আপনি তুলনা করছেন। এটি প্রকৃত জিন যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আসলে সর্বশেষ গবেষণা, যা জেনেটিক মধ্যে সন্নিবেশ এবং মুছে ফেলা অ্যাকাউন্ট নেয় ক্রম, আমরা শিম্পদের সাথে ভাগ করে নেওয়া ডিএনএর পরিমাণ 98.5 থেকে কমিয়ে সংশোধন করে শতাংশ থেকে 95 শতাংশ (এবং শূকরের ক্ষেত্রে 91 শতাংশ)।

আমার অনুবাদঃ
এটি একটি সুপরিচিত সত্য যে, মানুষের ডিএনএর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মিলে যায় পৃথিবীতে পাওয়া অন্যান্য উদ্ভিদ এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সাথে (এবং সম্ভবত সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে অন্য যে কোন প্রানের সাথে এই ডি এন এ’র মিল খুঁজে পাওয়া যাবে)।
পৃথিবীতে, একই জিনগুলি সবচেয়ে আদিম থেকে সবচেয়ে উন্নত প্রজাতির মধ্যে সনাক্ত করা যেতে পারে।
বিজ্ঞানভিত্তিক রিপোর্ট আছে যে, আমাদের ডি এন এ ৫৫ শতাংশ কলার সাথে, মাছির সাথে ৬০ শতাংশ এবং শিম্পাঞ্জির সাথে ৯৮ শতাংশ মিলে যায়।
যাইহোক, হতে পারে এই পরিসংখ্যান কিছুটা বিভ্রান্তিকর! কারণ প্রশ্ন থাকতে পারে এটা ঠিক কিসের উপর নির্ভর করে আপনি তুলনা করছেন? এর মধ্যে কোন জিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- যা মানুষ ও শিম্পাঞ্জির মধ্যে ব্যাপক ব্যাবধান গড়ে দেয়?
আসলে সর্বশেষ গবেষণা, যা জেনেটিকের মধ্যে সন্নিবেশ এবং মুছে ফেলার ক্রম হিসেব নেয়-আমরা শিম্পদের সাথে ভাগ করে নেওয়া ডিএনএর পরিমাণ ৯৮.৫ থেকে কমিয়ে সংশোধন করে ৯৫ শতাংশ (এবং শূকরের ক্ষেত্রে ৯৬ থেকে ৯১ শতাংশ) করা হয়েছে।
----------------
আপনার কি মনে হচ্ছে এখানে আমি কোন রকম সম্পাদনা করিনি?
আমি কষ্ট খানিকটা পেয়েছি; যখন অনুবাদ বিষয়ে আপনার কাছে থেকেও একইরকম মন্তব্য পেলাম তখন।
এটা তেমন কোন গুরুতর বিষয় নয়। আমার হাতে সময় ও সুযোগ আছে এটা বার বার সম্পাদনা করার- ছাপা হলে কথা ছিল।


শেষের দুটো নিবন্ধ একেবারে পষ্ট করার আগে শেষ মুহুর্তে দিয়েছি। আগে থেকে কোন প্লান ছিল না। সেখানে বেশ ভুল চুক বাক্য বিন্যাসের গলদ রয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। আমি সময় করে সাধ্যমত ঠিক করব।
আপনার লেখাটা চেষ্টা করছি সেই কারনে বাকি মন্তব্যের উত্তরে পরে আসছি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমে যতটাই হতাশ হয়েছিলাম আপনার শেষের কথাগুলিতে ততটাই অনুপ্রাণিত হলাম;
যাই হোক, বইটিতে উল্টাপাল্টা- সত্য-মিথ্যা যে তথ্যই থাকুক না কেন , আমরা নতুন কিছু জানতে পারছি এটাই আমাদের লাভ। কিছু কিছু মন্তব্য পড়ে আমি নিজে্ও লাভবান হচ্ছি এবং শিখতে পারছি।

আমার মুল বক্তব্য সেটাই। যুক্তি তর্কের মাধ্যমে আমরা কত কিছুই না জানছি।
শুভকামনা রইল।

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দারুন পোস্ট, শুভ কামনা রইলো

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন ভ্রাতা

* আপনার সায়েন্স ফিকশান একবারে পড়ব বলে নিয়ৎ আছে।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

কামাল৮০ বলেছেন: বেশ বড় করেই মতামত দিয়েছিলাম।কিন্তু পোষ্ট করতে যেয়ে দেখি লগিং করা নাই।তোথায় যে হারিয়ে ফেললাম।আর লিখতে ইচ্ছা করছে না।পরের পোষ্টে জানাবো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগিং জীবনে কন মন্তব্য কোনদিন মুছি নাই আমাকে আবার দোষী ঠাওরেন না :)
কষ্ট পেলাম শুনে- সঙ্গে সঙ্গে এ গেলে হয় পাইতেন।
অপেক্ষায় রইলাম পরের মন্তব্যে...

২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৪

সাসুম বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আধুনিক মানুষ বিবর্তনের ফল নয়, এটাই বাস্তব সত্য।

মহাজাগতিক জ্ঞানী, এলিস সিলভার, আরিফ আজাদ, শেরজা তপন ভাই এবং ধপাস থিউরির সকল অনুসারীর সাথে সহমদ জানালাম- মানুষ বিবর্তন এর ফল না। এসব ভুয়া।

চমতকার লেখা, গ্রেট অনুবাদ । অনেক কিছু জানতে পারছি নতুন করে।

ধন্যবাদ

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: অনুবাদ খুব খারাপ হৈসে; আপনি কইলেন গ্রেট অনুবাদ।
মহাজাগতিক চিন্তা একজন সম্মানিত ব্লগার, এলভিসের অনুবাদ তারে টানছেন ঠিক আছে তবে আরিফ আজাতের এইখানে টানা ঠিক হয় নাই।

আপনার মস্তিস্কে ঘিলুর প্যাচ কয়েকখানা বেশী আছে! চরম অপমানজনক বাক্য কতই না সহজিয়া ভঙ্গীতে বলেন- গ্রেট!!

৩০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




আমি সত্যই দুঃখিত আপনাকে মনঃক্ষুন্ন এবং হতাশ করেছি বলে।
আমার মন্তব্যে আমি কোথা্ও বলিনি যে, আপনার অনুবাদ সবটাই গুগল থেকে করা বা হবহু। কিছু কিছু লাইনে তেমনটা মনে হয়েছে আমার। কারন বাক্যগুলির বক্তব্য বোধগম্য হয়নি। সেগুলির কথাই বলেছি। যেমন আপনার প্রতিমন্তব্যের সম্পাদিত উদাহরণের এই বাক্য -
আসলে সর্বশেষ গবেষণা, যা জেনেটিকের মধ্যে সন্নিবেশ এবং মুছে ফেলার ক্রম হিসেব নেয়-আমরা শিম্পদের সাথে ভাগ করে নেওয়া ডিএনএর পরিমাণ ৯৮.৫ থেকে কমিয়ে সংশোধন করে ৯৫ শতাংশ (এবং শূকরের ক্ষেত্রে ৯৬ থেকে ৯১ শতাংশ) করা হয়েছে।

এটা থেকে আমি আসলে কি বলা হয়েছে, কে বা কারা সংশোধন করেছেন, কি উদ্দেশ্যে সংশোধন করা হয়েছে এসবের কিছুই বুঝিনি। রেফারেন্স্ও নেই কোন। হতে পারে সেটা আমার জ্ঞানের ঘাটতি।

আমি শুধু আপনাকে এই বার্তাটাই দিতে চেয়েছিলুম, লেখার ধরন বদলে আপনি যেন অনেকের তীর্যক মন্তব্য থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন এবং আপনার একজন শুভার্থী হিসেবে আমি স্বস্তি পেতে পারি।
আমার আগের মন্তব্যে আমি আপনার স্বপক্ষে বলতে গিয়ে বলেছি - যাই হোক, বইটিতে উল্টাপাল্টা- সত্য-মিথ্যা যে তথ্যই থাকুক না কেন , আমরা নতুন কিছু জানতে পারছি এটাই আমাদের লাভ। কিছু কিছু মন্তব্য পড়ে আমি নিজে্ও লাভবান হচ্ছি এবং শিখতে পারছি। তবে স্বীকার করছি , কঠিন এবং জটিল একটি বিষয়কে অনুবাদ করতে হচ্ছে আপনাকে। খেয়াল করুন,
এই কথা আমি আবার বোল্ড করে দিয়েছি। গল্প-উপন্যাস-কবিতা অনুবাদ করলে তেমন কিছু বলার থাকেনা। কিন্তু আপনি অনুবাদ করার জন্যে বেছে নিয়েছেন বিজ্ঞানের মতো কঠিন এবং যুক্তি নির্ভর একটি বিষয়। লেখক এলিস সিলভার তার বইয়ে যুক্তি নির্ভর সঠিক তথ্য পাঠকের বোধগম্য হয় এমন করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে সম্ভবত ব্যর্থ। সে দোষ তো আপনার নয়। আপনি অনুবাদক মাত্র।
সেজন্যেই আপনাকে প্রকারন্তরে সজাগ হতে বলেছি। আপনি যে সজাগ আছেন তা্ও আমি জানি কিন্তু ক্রমাগত প্রতিকুলতাকে ঠেলে আপনাকে যে লিখে যেতে হচ্ছে সেটার জন্যেই আবার আপনাকে মনে করিয়ে দেয়া।

এই মন্তব্য্ও যদি অসতর্কতার কারনে আপনার হতাশার কারন ঘটায় তবে নিজগুনে ক্ষমা করবেন।
শুভেচ্ছান্তে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: ছিঃ ছিঃ এখানে ক্ষমা চাওয়ার প্রসংগ আসছে কেন?
আমি কথাগুলো শুধু আপনাকে বলিনি- মরুভুমির জলদস্যু সরাসরি কিছু এক অংশ উল্লেখ করে বললেও আরো কেউ কেউ আকারে ইঙ্গিতে এমনটা বোঝাতে চেয়েছেন। আমি সবার উদ্দেশ্যে আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে বলেছি।
আমি একটু বেশি আপসেট হয়ে পড়েছিলাম তখন- আবেগকে কন্ট্রোল করতে পারিনি- কিন্তু সেটা সাময়িক।
পুরো লেখাটা আমি নিজেই আরো দু-ইয়েকবার পড়ার সময় পাচ্ছিনা। যেটুকু সময় পাচ্ছি মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছি।
আমি জানি আপনি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী- সে কারনেই হতাশ হয়েছিলাম।
আপনি ডি এন এর গঠন সন্মন্ধে যেভাবে চমৎকার ভাবে বলেছেন তা পড়ে আমি নতুন কিছু শিখলাম।
জনাম এলিস হয়তো কোন বিজ্ঞানভিত্তিক ব্লগে এই সন্মন্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রথম থেকে লিখলে অনেক ভুল ত্রুটি সংশোধন করতে পারতেন- কিংবা এই বইটাই প্রকাশ করতেন না।
উনি যতটুকু যা জানেন আমি তাঁর থেকে সহস্রভাগ কম জানি- কিছু কিছু অংশ অনুবাদ করতে গিয়ে আমি হিমশিম খেয়েছি। ওই বিষয়গুলো একেবারেই আমার জানাশোনা গন্ডির বাইরে।
কোন কোন ব্লগার বুঝতেই চাচ্ছেন না যে, এলিসের এই ভীনগ্রহের তত্ত্ব থেকে আমরা নিত্য নতুনভাবে অনেক কিছু জানতে পারব।
অনেকেই বেশ সতঃস্ফুর্তভাবে তর্ক বিতর্ক করছেন। কেউ কেউ অযথাই ভাল মন্দ মন্তব্য করছেন। যদিও সব ব্লগার আর তাদের মন্তব্য আমার কাছে কম বেশী সমান গুরুত্ত্বপূর্ণ!
আপনার ফের এসে বেশ কষ্ট করে বড়সড় মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সাথে থাকবেন-আমার ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

৩১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিপরীতমুখী চিন্তা ভাবনা হিসেবে আপনার এই সিরিজটা নিঃসন্দেহে অভিনবত্বের দাবি রাখে। মেঘনাদবধ কাব্য লেখা পর মাইকেলকেও যেমন সে সময়ে বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছিল। কিন্তু কমেন্ট পোস্টটির ওজন নিঃসন্দেহে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিতর্ক করার মত জ্ঞান আমার নাই কাজেই নীরব উপস্থিতির স্বাক্ষ্য রেখে গেলাম।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: বিজ্ঞানের এই সকল কঠিনতম বিষয়ে আমি তেমন কিছুই বুঝিনা! এলিস সিলভার লেখাটা পড়ে মনে হয়েছিল এটার অনুবাদ করা দরকার। শুরু করতে গিয়ে দারুণভাবে হিমশিম খেয়েছি অনেক জায়গায় কিছু বুঝতে পারি নাই তারপরও চেষ্টা করেছি। ব্লগে লেখাটা পোস্ট করে এখন বুঝতে পারছি আমি কত নাদান আসলে কাজটা ভুল হয়েছে অযথাই মনে হচ্ছে বেগার খেটেছি।
তবে এই ভুল থেকে অনেক অনেক কিছু শিখতে পেরেছি- সেজন্যই আমার ইচ্ছা আছে পুরো লেখাটা চালিয়ে যাবার! দেখি কতদূর কি হয়? সাথে থাকবেন।
আপনার উপস্থিতি ও সংগ আমার একান্ত কাম্য।

৩২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭

সাসুম বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার শেরজা তপন, প্রিয় রাশান নায়ক, জনপ্রিয় বাবনিক এর লেখক-

আমার মন্তব্যে আপনি মনে কস্ট পেয়েছেন জেনে, আমি যারপরনাই মনোযাতনায় ভুগছি। আমি এই জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি।

আপনার সায়েন্টিফিক শাহনামা তথা এই বৈজ্ঞানিক মহাকাব্যের সিরিজ পোস্টে আমার কোন মন্তব্যে আপনি কস্ট পেলে সেটা আমার ব্যার্থতা, এবং সেজন্য আমি সরি।

আপনি লেখক মানুষ, লিখে যাবেন। কে কি বল্লো তাতে থোরাই কেয়ার করবেন।

তবে আমার যদ্দুর মনে পরে, আমি কখনোই আপনাকে গালি দেইনাই, খারাপ কথা বলিনাই, গরু রচনা লিখেন এটাও বলিনাই, লিখতেও না করিনাই।

আপনার পোস্টে আমি সহমত জানিয়েছি, লিখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি এবং আপনাকে জ্ঞান চর্চা অব্যহত রাখতে উৎসাহ দিয়েছি।

এরপরেও আপনি আমার মন্তব্যে কস্ট পেয়েছেন জেনে আমি নিজেই কস্ট পাচ্ছি।

আবারো ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিচ্ছি।

আপনার লিখায় এখন থেকে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব।

ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভকামনা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো উল্টো বুঝলেন ভাই আমি সেরকম মনে কষ্ট পাই নাই অযথাই কেন ক্ষমা টমা চাচ্ছেন এজন্য আমি ভীষণভাবে লজ্জিত।
আমি সবসময়ই প্রত্যেকটা পোস্টে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষা করেছি -বহুদিন আমার কোন পোস্টে আপনি মন্তব্য করেননি আপনি যে বললেন আপনার প্রিয় বাবনিক সে বাবনিকে কোন মন্তব্য পেয়েছে কিনা আমি মনে করতে পারছি না।
এমনিতেই এই গ্রন্থের অনুবাদ করে বেশ বেকায়দায় আছি সবার কঠিন কঠিন মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে বারবার হিমসিম খাচ্ছি।
তার উপরে আপনার তাছাড়া মন্তব্যে আমি বেশ পেরেশানিতে আছি খানিকটা কষ্ট পেয়েছি তা ঠিক তবে এটা মাফ চাওয়াচাওয়ির মত কোন কষ্ট নয়।
আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে আমার মন্তব্যে আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ভীষণভাবে লজ্জিত ও দুঃখিত দয়া করে আমাকে মাফ করে দিয়েন। আমার কোন পোস্টে আপনি মন্তব্য করবেন না এটা জেনে আমি কষ্ট পাচ্ছি এখন।
পরের পর্বগুলোতে আমি অপেক্ষায় থাকবো ...আপনার মন্তব্যের আপনি যদি গঠনমূলক মন্তব্য করতেন যে মন্তব্যগুলো পড়ে আমি যদি শিখতে পারবো জানতে পারবো ভুলগুলো শুধরে নিতে পারব তাহলে আমার খুব ভালো লাগতো!
অনুরোধ থাকবে,যাই হোক না কেন আপনি যেভাবে ব্লগে লেখালেখি থেকে নিজের কে গুটিয়ে ফেলেছেন সেভাবে মন্তব্য থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিবেন না।

৩৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: Chariots of the Gods: Unsolved Mysteries of the Past এই বইটা কি আপনার পড়া আছে ? এই বইটা না পড়া থাকলে পড়তে পারেন । অনেক দিন ধরেই আমি বইটা খুজছিলাম । ইংরেজিটা কেন জানি পড়ে জুত পাচ্ছিলাম না । আজকে এই বইটা হাতে এসেছে । আপনার বইতে যেমন ধরা হয়েছে মানুষই আসলে এসেছে ভিন গ্রহ থেকে । এখানে মূলত দাবী করা হয়েছে আমরা যে সৃষ্টিকর্তাদের চিনি তারা মূলত ভিন গ্রহনের মানুষ । পুরো পড়ে শেষ করে নিই । তারপর পুরোটুকু ব্যাপারে বলা যাবে !




Chariots of the Gods: Unsolved Mysteries of the Past

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: রেফারেন্স এর জন্য অনেক ধন্যবাদ না এই বইটি পড়া হয়নি আপনি পড়া শেষ করে পারলে একটা ব্লগের রিভিউ দিয়েন। আর যদি অনলাইনে পিডিএফ ভার্সন পান তবে দয়া করে আমার সাথে শেয়ার করবেন।আপনার আন্তরিকতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

৩৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২২

শ।মসীর বলেছেন: মিসিং লিংক কি কখনো পাওয়া যাবে :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: দেখা যাক- এলিস ভাই তো বলেছেন মিসিং লিঙ্ক আসলে নেই!!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.