নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আজ শুক্রবার! এমনিতেই ব্লগে ব্লগারদের উপস্থিতি বেশ কম। তাঁর উপরে ছুটির দিনে সেটা তলানিতে এসে ঠেকবে; তার ভবিষ্যতবাণী করতে জ্যোতিষী হবার প্রয়োজন নাই। আর এই দিনেই আমি সব ব্লগারদের অংশগ্রহণের অনুরোধ নিয়ে এমন একটা বিষয় নিয়ে আসলাম কেন? এর উত্তরঃ উপায় নেই- আজকেই সারাদিন ঘুরে ফিরে ব্লগে থাকতে পারব। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে জীবন জীবিকার তাগিদে মহামূল্যবান সময়কে কর্মঘণ্টা হিসেবে বিক্রি করব। তখন ব্লগে স্থির হয়ে বসা কষ্ট হবে।।
খবর, বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৪ মে ২০২৩
সুপ্রিয় ব্লগার, আসুন প্রথমে খবরটা দেখে নিই।
বেশি মানুষ গেলেও রেমিট্যান্স আসছে কম ঈদের মাসেও প্রত্যাশিত প্রবাসী আয় আসেনি ২০ লাখ এর বেশি মানুষ গেলেও রেমিট্যান্স আসছে কম ঈদের মাসেও প্রত্যাশিত প্রবাসী আয় আসেনি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুতে প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করলেও দুই মাস পরেই নেমেছে ১৫০ কোটির ঘরে জানুয়ারি মাসে ১৯৫ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা। হুন্ডির কারণে ফেব্রুয়ারিতে নেমে এসেছে ১৫৬ কোটিতে বেপরোয়া হুন্ডিতে কমছে রেমিট্যান্স ওই মাসে ৭ কোটি ডলার বেড়ে ১৫৯ কোটি ডলার দেশে আসে।
টানা ছয় মাস পতনের পর চলতি বছরের শুরুতে আবার বাড়ে রেমিট্যান্স। এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৫ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে আবার হুন্ডি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এতে আবারও দেড় শ কোটি ডলারের ঘরে নামে প্রবাসী আয়। ওই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে ১৫৬ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়। তবে পরের মাস মার্চে প্রবাসী আয় আবার ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল ঈদুল ফিতরের কারণে এপ্রিল মাসেও চাঙা থাকবে প্রবাসী আয়। কিন্তু হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দেওয়া উচ্চ রেটের কাছে হেরে যান প্রবাসীরা। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানোর কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৬৮ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
*অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো বন্ধ করতে হলে ডলারের রেট কার্ব মার্কেটের রেট ম্যাচ করে দিতে হবে। দামের পার্থক্য থাকলে হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হুন্ডি বন্ধ করা অনেক কঠিন। বেপরোয়া হুন্ডি ব কারণে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করেও প্রত্যাশিত প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। *
***
হুন্ডি হুন্ডি হুন্ডি বেপরোয়া হুন্ডি! কয়েক দফায় ডলারের দাম বাড়িয়ে, নানাভাবে ধর পাকড় করে, নজরদারি, প্রবাসীদের কাছে বিনীত অনুরোধ করে, ভর্তুকি সহ নানা রকম প্রলোভন দেখিয়েও হুন্ডির দৌরাত্ম বন্ধ করা যাচ্ছে না। কেন? দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে নেমে যাবার জন্য কি এককভাবে হুন্ডি দায়ী? হুন্ডি কেন হয়? এর পেছনের মুল কারিগর কারা? হুন্ডি আর অর্থ-পাচার কি এক?
কোনটা আমাদের বেশী সর্বনাশ করছে হুন্ডি না অর্থ পাচার?
প্রিয় ব্লগার। আমি কোন অর্থনীতিবিদ নই- অর্থনীতি নীতি, বৈদেশিক নীতি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা নিয়ে আমার জ্ঞান ভীষণ রকম সীমিত। ব্লগে অনেকেই আছেন যারা এই বিষয়ে আমার থেকে অনেক অনেক বেশী জানেন। আসুন না যে যতটুকু জানি এই বিষয় নিয়ে একটু আলাপ।
হতে পারে আমি প্রশ্ন-ফাঁস জেনারেশনের একজন। মাথায় ডোডো পাখির বুদ্ধি ধরি; এখানে তেমন ধারার কিছু প্রশ্ন হলে বা আমার লেখায় কোন ভুল থাকলে সরাসরি জানাবেন, কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব নয়।
আমার প্রশ্ন;
১।এক বছরে কেন বিশ লাখ নতুন কর্মী অন্য দেশে যাবার পরেও রেমিট্যান্স আশানুরূপ বাড়েনি?
২। হুন্ডি কি? এবং হুন্ডি কেন হয়?
৩। হুন্ডির মাধ্যমে কিভাবে টাকা পাচার হয়?
৪। ডলারের দাম বাড়ালে কি হুন্ডি কমে যাবে বা বন্ধ হবে?
৫। হুন্ডির কারনে কিভাবে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়? যে দেশ থেকে অর্থ পাঠানো হয় সে দেশ কি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
৬। হুন্ডি আর অর্থ-পাচার কি এক?
৭। অর্থ পাচারের সবচেয়ে বড় মাধ্যম কি?
৮। কিভাবে আমরা না জেনে বুঝে প্রতিনিয়ত অর্থ-পাচার করছি?
৯। কার্ব মার্কেটে অবৈধ ডলার বা অন্য বৈদেশিক মুদ্রা কোত্থেকে আসে?
১০। ডলার ব্যতীত অন্য বৈদেশিক মুদ্রা যেহেতু দেশের বাইরে নেয়া ও আসা অবৈধ তাহলে কার্ব মার্কেট বিশেষ করে ‘ফরেন মানি এক্সচেঞ্জে’ কিভাবে অন্য সব মুদ্রার লেনদেন হয়?
১১। ‘ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ’ ( শুধু মাত্র ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে যদি লেনদেন হয়) বন্ধ করে দিলে কি উপকার হবে বা অপকার হবে।
১২। ‘ফরেন মানি এক্সচেঞ্জে’ বৈধ কিংবা অবৈধ উপায়ে লেন দেন হচ্ছে কিনা এ নিয়ে কোন কড়া নজরদারির ব্যবস্থা আছে কি না?
১৩। দেশের বাইরে বৈধ উপায়ে কোন টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা আছে কি?
১৪। একজন নাগরিক তাঁর বৈধ অর্থ দিয়ে অন্য দেশে সম্পত্তি কিনতে পারেন কি? যদি না হয় তবে এটা কি যৌক্তিক?
১৫। ইপিজেড থেকে বিদেশী ব্যবসায়ীরা কি উপায়ে তাদের লভ্যাংশ নিয়ে যায়? তারা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হন?
১৬। বৈদেশিক কোন কর্মী এ দেশে আয় করে কোন উপায়ে তাঁর অর্থ দেশে প্রেরণ করেন?
১৭। সরকার বা প্রশাসন কি অর্থ-পাচার রোধ করতে পারেন।
১৮। কি উপায়ে হুন্ডি ব্যবসা বন্ধ হতে পারে?
১৯। হুন্ডি ব্যবসার মুল হোতাদের প্রশাসন কি চিনে বা জানে?
২০। এ দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার মূলত কারা করে?
২১। কোন কোন দেশ হুন্ডির জন্য ক্ষতির সম্মুখীন এবং কেন?
অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেললাম। এই প্রশ্নগুলোর বেশীরভাগ উত্তর মোটামুটিভাবে আমার কাছে আছে। তবে পুরোপুরি অথেনটিক নয়, কিংবা আমার অভিজ্ঞতালব্ধ অথবা মনগড়া। ব্লগারেরা যে যতটুকু জানেন যেভাবে জানেন দয়া করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। এবিষয়ে অথেনটিক কোন রেফারেন্স থাকলে জানাবেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাবার জন্য শুধু হুন্ডিকে দোষারোপ করে যেভাবে দেশের রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক বুদ্ধিজীরিরা বিবৃতি দিচ্ছেন সেটা কতটা যৌক্তিক না শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।
আমি জানি এই বিষয়ে সার্ভে করে ব্লগের ক্ষুদ্র গণ্ডি থেকে দেশের মানুষের চিন্তাধারা পালটে দিতে পারব না। হয়তো সেভাবে কেউ জানবেও না। তবুও সচেতন কিংবা অচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেরা-তো মুল বিষয়টা জেনে নিলাম।
ব্লগারদের মতামত ও রেফারেন্স সহ আমার জানা বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে বেশ বড় পরিসরে লেখার ইচ্ছে রইল। কারো কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করবেন।
০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার ঋণাত্মক শূণ্য
হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে বেশী টাকা পাওয়া যায় ও দ্রুত অর্থ হাতে পাবার নিশ্চয়তা থাকে। হুন্ডির এজেন্টরা একেবারে বাড়িতে গিয়ে নির্দারিত ব্যক্তির হাতে টাকা পৌছে দেয়- সত্য। একারনেই প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর ব্যাপারে বেশী উৎসাহী।
কিন্তু হুন্ডি কিভাবে পরিচালনা হয় বলে আপনার মনে হয়?
হুন্ডিতে টাকা পাঠালে কি অর্থ পাচার হয়। যে দেশ থেকে টাকা পাঠানো হয় এবং যে দেশে পাঠানো হয় তাদের উভয়ের কি লাভ-ক্ষতি হয় বলে আপনি কি মনে করেন?
উত্তর দেয়া না দেয়া আপনার ইচ্ছের উপরে নির্ভর করে। কিন্তু নিয়মিত ব্লগার হিসেবে একটা উত্তরের দাবি করতেই পারি।
২| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
একটু সময় দেন, ঘাড়টা আগে সোজা করি। এতো ওজনদার পোস্ট বুঝলাম বইবার সক্ষমতা আমার ঘাড়ের নেই। যদিও আমি এই লাইনেরই ছাত্র মানে ব্যবসায় শিক্ষার, তাই আপনার লিখার ট্যাকনিক্যাল টার্মগুলো সহজেই বুঝি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই টার্মগুলো শুধুই চর্বিত চর্বন। বাস্তবে তা নিয়ে কাজ করার সুযোগ আমার-আপনার মতো আমজনতার আছে কি? আমাদের দৌড়তো চায়ের কাপ পর্যন্তই। কল-কাঠিতোসব উপরওয়ালাগণের হাতে। তাই আমাদের সদিচ্ছার সঙ্গে সুযোগ ম্যাচ করবে কি? আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশপ্রেমের মৃত্যু ঘটেনি। কিন্তু পরিচর্যা আর সুযোগের কারণে স্তিমিত হয়ে গেছে। তাই হুন্ডির মতো বিষয় অনেকেই অনিচ্ছায় করে থাকে। কারণ, আমরা ঝুঁকি নিতে যতোটা পছন্দ করি, অর্থ খরচ ততোটাই অপছন্দ করি। তাই ঝুঁকি থাকার পরও হুন্ডি সদর্পে বহাল তাবিয়েত ছিলো, আছে, থাকবে। কারণ, এরসঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক ব্যক্তিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক স্বার্থ।
০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০২
শেরজা তপন বলেছেন: জটিল ভাইয়ের জন্য জটিল জটিল কোশ্চেন
আপনি এই লাইনের ছাত্র তাতো জানা ছিল না-রে ভাডি।
এখনতো আপনাকে আর ছাড়ছি না। ভাল করে ভেবে চিনতে উত্তর দিন। এত অল্পতেই কাট দিলে হবে না।
হুন্ডি আর অর্থ পাচারের বিষয়ে আপনি কি জানেন কিংবা ধারনা কি একটু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলে আমি সহ ব্লগারেরা ব্যাপক উপকৃত হইত।
মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
৩| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশে বৈধ পথে যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসে তার থেকে দ্বিগুণেরও বেশি হুন্ডির মাধ্যমে আসে। বিশেষ করে মিডেলইষ্ট এ হুন্ডির লেনদেন বেশি।
০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে। এর সত্যিকারে পরিসংখ্যান কখনোই পাওয়া যাবে না।
কিন্তু প্রবাসীরা যে বৈদেশিক মুদ্রা পকেটে করে এনে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন- সেটাকে আপনি কি বলবেন?
৪| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
জ্যাকেল বলেছেন: হুন্ডির কারণে আমাদের ইকোনমিক চ্যানেল ক্ষতির সম্মুখিন এ আর নতুন কী? নতুন হইতেছে দেশের প্রবাসীর কষ্টার্জিত ডলার বিশেষত ইন্ডিয়া এবং সেফ হোমে পাঠান বন্ধ হইতেছে না উপরন্তু বছরে বছরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুজবে কে? চোরের হাতেই সরকারের উচ্চ পদ গুলো চলে গেছে তাই পরিত্রাণ নেই ইহা সুনিশ্চিত।
০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: হুন্ডির মুল খেলাটাই ওইখানে। টাকা আসতে হইলে টাকা যাইতে হবে। না হলে আর হুন্ডি কেন।
নিশ্চয়ই দুই পাঁচ লাখ ডলার মানুষ পকেটে করে নিয়ে যায় না। এত বড় রিস্ক কেউ নিতে চায় না। কিন্তু বৈধ ঠাকা দিয়ে আপনি কানাডায় কিছু কনতে চাইলে কেমনে কিনবেন?হুন্ডি ছাড়া উপায় নাই- ওইখানেই শুভঙ্করের ফাঁকি!!
তবে অবৈধ হুন্ডিতে বেশীরভাগ বৈধ আয়ের টাকা আসে কিন্তু যায় সব অবৈধ আয়ের টাকা। এ দেশ থেকে বৈধভাবে টাকা পাঠানোর কোন উপায় কি আছে?
যদি না থাকে তবে হুন্ডি থাকবেই।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৫| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
নতুন বলেছেন: টাকা পাঠানোর সহজলভ্যতা এবং রেট।
আমার মনে হয় বাংলাদেশ সরকারের উচিত মোবাইল এপপস করা যেটা আমি আমার ব্যাংকের একাউন্টের সাথে যুক্ত করবো, ডেবিট কার্ড, আপ্যেল পে বা ক্রেডিট কার্ড থেকে বেশি রেটে খুব সহজে কয়েক ঘন্টায় টাকা আমার দেশে পৌছে যাবে।
এমনটা করুন তবে হুন্ডী কমে যাবে...
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে টাকা হাতে পাওয়া সম্ভব। ডলারের বাড়তি রেটের সাথে সরকার আবার ২/৩% প্রণোদনা দেয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে হুন্ডির রেট আরো বেশী। কেন বেশী? তারা কেমনে বেশী টাকা দেয়? হুন্ডি মানেই কি অবৈধভাবে অর্থ পাচার? আপনি কারো হাতে টাকা দিবেন সে দেশে আপনার নির্দিষ্ট লোকের কাছে সেটা সরকারি রেটের থেকে বেশীতে পৌছে দিবেন- বিষয় সিম্পল। এখানে বৈধ অবৈধের কি আছে?
আপনি যে অবৈধভাবে অন্য দেশে অর্থ পাচার করছেন- সেটা সঠিক ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে না যাবার জন্য সেই দেশ ও তো বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না-কি? তবে হুন্ডি নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নাই- আমাদের কেন এত মাথা ব্যাথা?
সাথে থাকবেন- আশা করি উত্তর পাবেন।
৬| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: হুন্ডি'র অন্যতম কারণ ব্যাংকের প্রতি আস্থাহীনতা। আরেকটা কারণ টাকা লুকিয়ে রাখা। ব্যাংকের মাধ্যমে আসলে তো প্রমাণ থাকছে কত টাকা আসছে।
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: অনেকগুলো কারনের মধ্যে এটা একটা কিন্তু মুল কারণ সম্ভবত এটা নয়। এদেশ থেকে যখন আপনি অন্য দেশে অবৈধভাবে অন্য দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন ব্যাঙ্কিং চ্যানেল ছাড়া সেটাতো তাদের জন্যও ক্ষতির কারণ হওয়া উচিৎ, সেটা নিশ্চয়ই তাদের ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থার উপরে আস্থাহীনতার জন্য নয়।? কিন্তুএটা নিয়ে তাদের তেমন মাথা ব্যাথা নেই- কেন?
৭| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ক্ষেত্র বিশেষে প্রবাসীরা দেশে অর্থ প্রেরণ করতে হয়তো ভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকেন তবে, আমি মনে করি প্রবাসীদের এই ভিন্নপথ যাকে আমরা হুন্ডি বলে থাকি এবং হুন্ডি বলে জানি - তা খুব সম্ভব তেমন বড় অংক নয়। বড় অংক দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছে। দেশ থেকে পাচার বন্ধ করতে হবে। - এটি ভয়ংকর একটি অধ্যায়। এক হাজার এক রাত্রির আরব্য রজনীর মতো কাহিনী যা আমার পক্ষে বলে লিখে বোঝানো সম্ভব না। এর চেয়ে বেশী কিছু বলাও আমার পক্ষে সম্ভব না।
০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়েছি যখন- এত সহজে আর ছাড়ছিনা প্রিয় ব্লগার।
এবার একটু ঝেড়ে কাশুন। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুর উত্তর পাব বলে আশা করছি।
এমন দায়সারা মন্তব্য দিলে হবে না। আপনার কাছে ব্লগারদের অনেক প্রত্যাশা।
সময় করে একটু ডিটেইল মন্তব্য করবেন বলে অপেক্ষায় রইলাম।
৮| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগের করুণ দশার জন্য, আপনার কি মনে হয় না- (?)
মডারেটর সাহেব দীর্ঘদিন ধরে আমাকে এবং চাঁদগাজীকে ব্যান করে রেখেছেন। তাই ব্লগের এই করুণ দশা। মডারেটর নিজে গলা টিপে ব্লগের বারোটা বাজাচ্ছেন?
হুন্ডি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
হুন্ডির জন্য দায়ী সরকার।
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সপক্ষে যুক্তি আছে অবশ্যই। তবে এটা নিশ্চিতভাবে অনেকগুলো কারনের একটি। তিনিতো ব্লগে আছেনই- কেউ চাইলেই আপনার মত তাঁর ব্লগ বাড়িতে গিয়ে চলমান ঘটনা নিয়ে পোষ্ট পড়ে আসতে পারেন।
তবে কোন একজন ব্লগারের আসা যাওয়ার উপরে যদি ব্লগের তেতে ওঠা ও স্তিমিত হোয়া নির্ভর করে তবে সেটা নিশ্চিতভাবে ভীষণ শঙ্কার!!
এখানে আপনাকে ব্লগার জুলভার্ণের কথাও বলতে হবে। ব্লগে কিছুটা চাঞ্চল্য ধরে রাখার জন্য- গত দু'বছরে তাঁর অবদান ও কম নয়।
আপনিও তো ঝিমিয়ে গেছেন। আপনিও বা কম কিসে।
হুন্ডি নিয়ে আপনার কাছে কিছু শুনতে চাই।
ব্লগার গাজী সাহেব যদি কিছু বলেন তো আমাকে আওয়াজ দিয়েন। আমি তাঁর পোস্টে গিয়ে কপি করে নিয়ে আসব।
৯| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই আমাকে মাফ করে দিন। আপনাকে নিয়ে ঢাকা কোর্ট রোডে আমি বিউটি লাচ্ছি খাবো। সাভার এর নরেন বাবু বেঁচে থাকলে তাঁর দই এনে খাওয়াতাম। আমি এর বেশী কিছু বলতে পারবো না। আমি ভূমিকম্প নিয়ে লিখবো প্লিজ পাশে থাকবেন।
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: খাওন দাওনের লোভ দেখায়া লাভ নাই।
আপনার মত শিক্ষিত বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ মানুষ যদি এভাবে মুখে কুলুপ এঁটে থাকে তবে ব্লগারেরা অনেক কিছু মিস করবে।
আপনি এ বিষয়ে অনেক কিছু জানেন আমি নিশ্চিত। যে কথাইয় ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে সেটুকু ফিল্টার করে বলুন।
১০| ০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে আপনার সম্যক জ্ঞান আছে বলেই এতোগুলি প্রশ্ন করতে পেড়েছেন। যে এই ব্যাপারে জানে না সে এতোগুলি প্রশ্নও করতে পারতো না। তবে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আপনি হয়তো সন্দিহান থাকতে পারেন। আমি হয়তো কিছু প্রশ্নের উত্তর জানি। তবে আমিও নিশ্চিত না। তবে আমার ধারণা থেকে বলার চেষ্টা করছি।
১। ২০ লাখ নতুন লোক যাওয়ার পরেও বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণ কেন বাড়লো না। সত্যিই চিন্তার বিষয়। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পুরানো প্রবাসী অনেকের হয়তো আয় কমেছে বা বেকার হয়েছে। জীবন যাত্রার খরচ বেড়েছে তাই সঞ্চয় কমেছে। আরও কারণ থাকতে পারে। ২০ লাখ সবাই চাকরী নিয়ে হয়তো যায়নি। অনেকে হয়তো এখনও চাকরী খুজছে।
২ এবং ৩। হুন্ডি বলতে আমরা বুঝি ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে টাকা পাঠানো। এটা প্রাচীন ভারতীয় একটা পদ্ধতি যেটা একটা বৈধ মাধ্যম ছিল। এটা এক ধরণের বিল অব এক্সচেঞ্জ ছিল। পরে এটাকে অবৈধ লেনদেনে ব্যবহার শুরু হয়। একজন ব্যক্তি ১০,০০০ টাকার বদলে সমপরিমাণ রিয়াল আরবে পাঠাতে চায় আবার আরবের একজন ১০,০০০ টাকা বাংলাদেশে কোন আত্মীয়কে পাঠাতে চায় সমপরিমাণ রিয়ালের বদলে। তখন বাংলাদেশের দালাল ১০ হাজার টাকা নিয়ে আরবে যার ১০ হাজার টাকার সমপরিমাণ রিয়াল দরকার তাকে সেটা দিয়ে দেয় তার বিদেশী পার্টনারের মাধ্যমে। একইভাবে আরবের আরেক লোকের কাছে থেকে রিয়াল নিয়ে নেয় সেখানকার পার্টনার। বাংলাদেশের পার্টনারকে বলে অমুককে ১০ হাজার টাকা যেন দিয়ে দেয়া হয়। দুই পার্টনার যেহেতু এক সাথে ব্যবসা করছে তাই ব্যাংকিং চ্যানেলে বা ফিজিকালি টাকা বা রিয়ালকে পাঠাতে হচ্ছে না। তবে অনেক সময় বাংলাদেশের কাস্তমারের কাছ থেকে নগদ টাকা নেয়া হয়। আর বাইরের অন্য কোন দেশ থেকে রিয়াল বা ডলার ব্যাংকিং চ্যানেলে আরবে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কারণ বাইরের অনেক দেশে বিদেশি মুদ্রা পাঠানোর উপর তেমন কোন বাঁধা নাই। যত বাঁধা বাংলাদেশে। তাই বাংলাদেশে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা সাধারণত নগদ টাকা নেয়। হুন্ডি কেন হয় সেটা ব্যাখ্যা উপরে দুইজন দিয়েছে।
৪। ডলারের দাম বাড়ালে হুন্ডি কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু পুরোপুরি কমবে না। কারণ অনেক প্রবাসীর কাগজপত্র ঠিক নাই। তারা বৈধ পথে টাকা পাঠাতে পারবে না। তাছাড়া ব্যবসায়ীক কাজে অবৈধ লেনদেনে হুন্ডি ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় কাগজ পত্রের ঘাটতির কারণেও অনেক ব্যবসায়ী হুন্ডি করে।
৫। হুন্ডির কারণে টাকা আনলে সেটা বাংলাদেশের রিজার্ভে ঢোকে না। ফলে সরকার বা ব্যাংক সেটা ব্যবহার করতে পারে না। যে দেশ থেকে হুন্ডি করা হয় তাদের লাভ হওয়ার কথা কারণ তাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ কমলো না।
৬। হুন্ডি এক ধরণের অর্থ পাচার। আরও মাধ্যম আছে। সরকারের রেকর্ডে না উঠলেই সেটা অর্থ পাচার।
৭। অর্থ পাচারের সবচেয়ে বড় মাধ্যম সম্ভবত রফতানি। অনেক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক ইচ্ছে করে রফতানির কিছু টাকা দেশের বাইরে রেখে দেয় ক্রেতার সাহায্য নিয়ে । ফলে দেশে রফতানি আয় কম আসে। এগুলিকে রফতানির আন্ডার ইনভয়সিং বলা যেতে পারে। ডলার যা আসার কথা তারচেয়ে ডলার কম আসে দেশে। অনেক রফতানিকারক এই কাজ করে। তাদের জন্য এটা করা খুব সহজ কাজ। ধরা পড়ার সম্ভবনা খুব কম। ব্যাংকও ধরতে পারবে না যদি বুদ্ধি খাটিয়ে করা হয়। এছাড়া ওভার ইনভয়সিং করে থাকে অনেক বহুজাতিক কোম্পানিগুলি বিদেশে নিজেদের কোন কোম্পানির সাথে । ফলে এই দেশে তাদের খরচ বেশী হওয়ার কারণে ট্যাক্স কম আসে। টাকাও বিদেশে চলে যায়। যে দেশে যাবে সেই দেশে সাধারণত ট্যাক্স এবং ডিউটি কম থাকে। তাই সমস্যা হয় না। এটাকে ট্রান্সফার প্রাইসিং বলে। নিরীক্ষকদের দায়িত্ব এগুলি ধরার চেষ্টা করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এগুলি ধরা খুব কঠিন কাজ। এছাড়া দেশীয় আমদানিকারক কোম্পানি ডিউটি ফ্রি পণ্যে ওভার ইনভয়েসিং করার মাধ্যমে টাকা পাচার করতে পারে।
৮। এটার উত্তর জানি না। প্রশ্নটাই পরিষ্কার না আমার কাছে।
৯। একজন ব্যক্তি বিদেশে ভ্রমণে গিয়ে আসার সময় ডলার নিয়ে আসতে পারে। এটা সে কারব মার্কেট বিক্রি করে দিতে পারে কোন রেকর্ডিং ছাড়া। এই ডলার হিসাবে আসে না।
১০। ডলার ব্যতীত অন্যান্য মুদ্রা বিদেশ থেকে আনা বা বিদেশে নেয়া যায় না। এটা জানতাম না। মানি এক্সচেঞ্জগুলি তো সব মুদ্রার লেনদেনই করে।
১১। মানি এক্সচেঞ্জ অনেক দুর্নীতি করে। এরা অনেক লেনদেন লুকায়। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে রিপোর্ট করে না। নজরদারি কম। এগুলি বন্ধ করলে কিছু উপকার হতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
১২। এদের উপর নজরদারি খুব দুর্বল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই সক্ষমতা বা জনবল নাই।
১৩। দেশের বাইরে অনেক কোম্পানি ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করেছে বৈধভাবে। যেমন ডি বি এল গ্রপ। আরও আছে। বাংলাদেশের ব্যাংকের মাধ্যমে এটা সম্ভব। কিন্তু প্রক্রিয়া জটিল। এছাড়াও বৈধ কোন ব্যবসার খরচ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান পাঠায়। এছাড়া রফতানি কারকরা এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটায় রপ্তানির একটা অংশ ব্যাঙ্কে ডলার একাউন্টে ডলার রাখতে পারে। যে কোন ব্যবসার খরচ কোন অনুমতি ছাড়াই বিদেশে পাঠাতে পারে।
১৪। এটা সম্ভবত খুব রেয়ার একটা জিনিস। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দেয় বলে মনে হয় না। বৈধভাবে সম্পদ কেনার জন্য দেশের বাইরে টাকা পাঠানোর কোন পদ্ধতি সম্ভবত নেই।
১৫। শুধু ইপিজেড না যে কোন বিদেশী বিনিয়োগকারী তার লাভের টাকা বৈধভাবে নিতে পারে। এটা তেমন কোন সমস্যা না। সবাই নিচ্ছে। অনুমতি দেয়া আছে।
১৬। যারা বৈধভাবে এই দেশে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করে তারা আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ নিজের দেশে পাঠাতে পারে। তবে সম্ভবত ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ থেকে ক্লিয়ারেন্স লাগে।
১৭। সরকার বা প্রশাসন যদি ব্যবসা বান্ধব আইন করে সেই ক্ষেত্রে পাচার কমানো সম্ভব। আইনের মধ্যে গলদ থাকলে টাকা পাচার হবেই।
১৮। এটা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। কারণ শুনেছি যে সরকারি বড় প্রকল্পের প্রয়োজনে কিছু অবৈধ লেনদেন হুন্ডির মাধ্যমে করতে হয়। তবে শোনা কথা সত্যি নাও হতে পারে। হুন্ডি ব্যবসায়ইদের ধরলেই এবং শাস্তি দিলেই এটা কমিয়ে আনা সম্ভব। অনেক ব্যাংকের কর্মকর্তা হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত।
১৯। প্রশাসন চাইলেই এদেরকে ধরতে পারবে। প্রশাসন কিছু জানে। বাকিটা জানা কোন ব্যাপার না।
২০। মুলত ব্যবসায়ী এবং দুর্নীতিবাজরা করে থাকে। এছাড়া প্রবাসীরা করে থাকে। বড় বড় গ্রুপগুলি শয়ে শয়ে কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। ব্যাংকিং চ্যানেলেও অর্থ পাচার হতে পারে বিভিন্নভাবে।
২১। যে সব দেশে বৈদেশিক মুদ্রার উপর বিধি নিষেধ বেশী সেই সব দেশে হুন্ডি বেশী হয়। বেশী নিয়ন্ত্রণ ভালো না।
সঠিক উত্তর আপনার কাছে থেকে জানলে আমার জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করি।
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
শেরজা তপন বলেছেন: এমন বিস্তারিতভাবে মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । আমি এমনটাই আশা করছিলাম।
আপনার মুল্যবান সময় ব্যয় করে সুদীর্ঘ মন্তব্যের উত্তরের জন্য কৃতজ্ঞতা
আপনার ১,২ ও ৩ এর প্রশ্নের উত্তর বেশ চমৎকার হয়েছে।
৪ নং উত্তর সম্ভবত হবে না -ডলারের বিক্রয়মুলয় বাড়লে হুন্ডি কমবে না। ডলারের মুল্য বারলে হুন্ডির রেট ও বাড়বে সমানুপাতিক হারে।
৫ ঠিক তেমনি ওই দেশে যত টাকা হুন্ডীর মাধ্যমে গেল সেটা বৈধ উপায়ে গেলে তো তাদেরও রিজার্ভ বাড়ত। যদি সমপরিমান অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয় তবে কোন দেশই লাভবান হয় না- লসও হয় না।
৭ বেশ বিশদভাবে দারুন বলেছেন। তবে এই ঘাপলাটা আমদানীতেও কম নয়। সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
৮ নং ধরুন আপনি ভারতে যাবেন ভ্রমনে আপনি কার্ব মার্কেট থেকে ৫০ হাজার রুপি নিয়ে চলে গেলেন। সেটা খরচ করে আসলেন। এটাও অর্থ পাচার। অথবা অন্য দেশ থেকে ইউরো নিয়ে দেশে প্রবেশ করলেন- সেটাও অর্থ পাচার। এটা বুঝে না বুঝে করা। অর্থের পরিমান অল্প দেখে সেটাকে সাধারণভাবে অর্থ পাচার বলে ভাবা হয় না।
১০ এখানে শুধু ফরেন মানি এক্সচেঞ্জে অন্য দেশীয় মুদ্রা লেনদেন করা যায়। বাংলাদেশ ব্যঙ্কের অনুমতি আছে নাকি কিন্তু দেশ থেকে অন্য কোন দেশীয় মুদ্রা দেশের বাইরেও নেয়া যাবে না বাইরে থেকে অন্য দেশীয় মুদ্রা আনাও যাবে না( মুলত ডলার বাদে)। বড় হাস্যকর ব্যাপার!
১১/১২ সহমত
১৩ নং এটা শুধু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়।
১৪ ঠিক বলেছেন বলেই ধারনা করছি।
১৫ নং এখানে একটা ঘাপলা আছে। সেজন্য বেশ বড় ধরনের অর্থ পাচার হয় এখান থেকে। সে কথায় পরে আসছি।
বাকি গুলোর সাথেও সহমত। তবুও বিস্তারিতভাবে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।
আপনার ১,২ ও ৩ এর প্রশ্নের উত্তর বেশ চমৎকার হয়েছে।
৪ নং উত্তর সম্ভবত হবে না -ডলারের বিক্রয়মুলয় বাড়লে হুন্ডি কমবে না। ডলারের মুল্য বারলে হুন্ডির রেট ও বাড়বে সমানুপাতিক হারে।
৫ ঠিক তেমনি ওই দেশে যত টাকা হুন্ডীর মাধ্যমে গেল সেটা বৈধ উপায়ে গেলে তো তাদেরও রিজার্ভ বাড়ত। যদি সমপরিমান অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয় তবে কোন দেশই লাভবান হয় না- লসও হয় না।
৭ বেশ বিশদভাবে দারুন বলেছেন। তবে এই ঘাপলাটা আমদানীতেও কম নয়। সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
৮ নং ধরুন আপনি ভারতে যাবেন ভ্রমনে আপনি কার্ব মার্কেট থেকে ৫০ হাজার রুপি নিয়ে চলে গেলেন। সেটা খরচ করে আসলেন। এটাও অর্থ পাচার। অথবা অন্য দেশ থেকে ইউরো নিয়ে দেশে প্রবেশ করলেন- সেটাও অর্থ পাচার। এটা বুঝে না বুঝে করা। অর্থের পরিমান অল্প দেখে সেটাকে সাধারণভাবে অর্থ পাচার বলে ভাবা হয় না।
১০ এখানে শুধু ফরেন মানি এক্সচেঞ্জে অন্য দেশীয় মুদ্রা লেনদেন করা যায়। বাংলাদেশ ব্যঙ্কের অনুমতি আছে নাকি কিন্তু দেশ থেকে অন্য কোন দেশীয় মুদ্রা দেশের বাইরেও নেয়া যাবে না বাইরে থেকে অন্য দেশীয় মুদ্রা আনাও যাবে না( মুলত ডলার বাদে)। বড় হাস্যকর ব্যাপার!
১১/১২ সহমত
১৩ নং এটা শুধু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়।
১৪ ঠিক বলেছেন বলেই ধারনা করছি।
১৫ নং এখানে একটা ঘাপলা আছে। সেজন্য বেশ বড় ধরনের অর্থ পাচার হয় এখান থেকে। সে কথায় পরে আসছি।
বাকি গুলোর সাথেও সহমত। তবুও বিস্তারিতভাবে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।
১১| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সব দোষ মহা প্রয়াতাপশালী হুন্ডিরই এটা না হয় তর্কের খাতিরে মানলাম, তাহলে এসব জেনে শুনেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কি কোনই ব্যাবস্থা নিতে পারছেন না? কেন পারছেন না? আর এসব বিষয়ে যে নীতি নির্ধারণী তাদের কাজ কি? নিয়ন্ত্রক ও নীতিনির্ধারণী সংস্থা বসে বসে ললিপপ খান আর গাইতে থাকুন আমার বলার কিছু ছিল না নাগো...চেয়ে চেয়ে দেখলাম.....
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ শুনতে অম্লমধুর হলেও কথা শতভাগ সত্য। দারুন বলেছেন।
আরেকটু বিস্তারিত আলোচনায় আসবেন কি।
আমার ধারনা এ বিষয়ে আপনার বেশ ভালই জানা শুনা আছে। দয়া করে শেয়ার করুন না দাদা
১২| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুন্ডির অন্যতম একটা কারন "ইজি প্রসেসিং"। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠাতে গেলে কি পরিমাণ হ্যাপা তা ভুক্তভোগী জানে। এখন প্রবাসীরা সারা জীবন আয় করে দেশে টাকা পাঠায়, অনেকে সেই টাকায় সম্পদ গড়ে। কিন্তু প্রবাসে তার অর্থের প্রয়োজন হলে সেই জমানো টাকা বা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে টাকা নেয়াটা বাংলাদেশে শুধু দুরূহ নয় অনেকটাই অসম্ভব। আর বিদেশ থেকে টাকা আসলে সেটা উত্তলনে কিছু জটিলতা এবং বিলম্ব টাকা গ্রহীতা'কে নিরুৎসাহিত করে লেনদেন এর বৈধ পথটিতে। আর এসবের সামগ্রিক ফলাফল হুন্ডিতে টাকা লেনদেন এ আগ্রহী হয়ে ওঠে প্রবাসী এবং এদেশে তার টাকা গ্রহীতারা। হুন্ডিতে রেট ভালো পাওয়া যায়, অতি দ্রুত যে কোন সময় টাকা যে কোন জায়গায় পাঠানো যায়, যেখানে ব্যাংকিং চ্যানেলে তিনদিন বন্ধ (দেশে শুক্র এবং শনি, আর প্রবাসে রবি)। আসলে অসংখ্য কারন আছে হুন্ডির জনপ্রিয়তায়।
বিকাশ বা নগদের কথা চিন্তা করুন, প্রায় এক শতাংশের বেশী সার্ভিস চার্জ দিয়ে হলেও মানুষ বিকাশ বা নগদে টাকা লেনদেন করতে কি দ্রুত আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর কারন কি? সবাই চায় ঝামেলামুক্ত নিরাপদ সার্ভিস। তাই মুদ্রা বিনিময় হার এর পার্থক্য দূরীকরণ, লেনদেন এর সহজতর কার্যক্রম, সপ্তাহের তিন দিন লেনদেন এর বন্ধ সময় হ্রাস করে নিয়ে আসা, প্রবাসে বাংলাদেশী ব্যাংকের পর্যাপ্ত শাখা খোলা সহ নানান কার্যক্রম নিয়ে যথাযথভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ ছাড়া হুন্ডি বন্ধ হবে না কখনোই। আর একেবারে হুন্ডি বন্ধ কোন কালেই সম্ভব নয় কারন সারা বিশ্বের অবৈধ আয়ের অর্থ লেনদেন হয় এই হুন্ডির মাধ্যমে। তাই যতদিন অবৈধ অর্থ থাকবে ততদিন বিশ্ব জুড়ে হুন্ডি থাকবে বলে মনে করি।
ধন্যবার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে ছুটির দিনে পোস্ট দেয়ার জন্য।
০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: দারুন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!
হুন্ডির পেছনে আপনি বেশ কিছু কারন খুঁজে বের করেছেন। পরের নিবন্ধে এ তথ্যগুলো আমাকে সাহায্য করবে।
বিকাশ নগদের ব্যাপারেও সঠিক বলেছেন।
ভাল থাকবেন ও পরের পর্বগুলোতে সাথে থাকবেন।
১৩| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একটি বিষয় প্রশাসনের অনেকেই জানে যে, দেশে আন্ডার ইনভয়সিং এর মাধ্যমে বহু আমদানিকারক পণ্য আমদানি করেন যার অবশিষ্ট মূল্যের একটা বড় অংশ পরিশোধ করা হয় হুন্ডির মাধ্যমে। দেশের বড় বড় কর্পোরেট হাউজের পারচেস ডিপার্টমেন্টে খোঁজ করলেই এই বিষয়ের সত্যতা মিলবে। কিন্তু যেহেতু কাজটি অবৈধ, তাই নিয়মিত এটি চলে অন্তরালে, কিন্তু এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই সেটা জানে।
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: বোকা মানুষ বোকা নয় সবসময়।
একদম ঠিক। এতবড় মন্তব্য লেখা বেশ ধৈর্য ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
আগের মন্তব্যের উত্তর পরে দিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
১৪| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫
শায়মা বলেছেন: এত কঠিন কঠিন পোস্টে কঠিন কঠিন মাথা খাটুক।
তবে কিছুদিন আগে নাকি ব্যাংকে ডলার ছিলো না। এখনও অনেক খানেই মনে হয় নাই।
কাজেই হুন্ডি ছাড়া আর মানি এক্সচেঞ্জ ছাড়া উপায় কি!!!
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১০
শেরজা তপন বলেছেন: এটা কি কইলেন আপা!! আপনি শিক্ষিত মানুষ তারপরে শিক্ষক। এত সহজে পালাতে চাইলে হবে?
কথা মোটেও কঠিন নয়। এইসব বোঝার জন্য ঝানু অর্থনীতিবীদ হবার দরকার নেই। এসব ব্যাপারে নারী ব্লগারদের অংশগ্রহন খুব জরুরী।
মনে সাহস নিয়ে আরেকটু এগিয়ে আসুন
১৫| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের রিকনডিশন গাড়ি আমদানিকারকরা ডিউটি কমানোর জন্য সর্বদা আন্ডার ইনভইসিং করে। এটা এই ব্যবসার একটা নর্ম এবং একটা ওপেন সিক্রেট। বাকি টাকা অবৈধভাবে পাঠায়। এগুলির সাথে সম্ভবত ব্যাংকের কিছু লোক জড়িত। কিন্তু কীভাবে করে এটা আমার জানার খুব ইচ্ছা। একজন ব্যবসায়ী আংশিক বলেছিল। বাকিটা আর শোনা হয় নাই।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলি ডলার কেনা বেচা করে সব চেয়ে বেশী লাভবান হয়েছে। ওদের ডলার কেনা আর বেচার দামের পার্থক্যের মধ্যে অনেক গ্যাপ ছিল। কয়েকজন ব্যাংকের এমডিকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু এটা কোন অবৈধ কাজ না ব্যাংকের জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে ডলার বেচা এবং কেনার সিলিং করে দেয়া। কারণ ব্যাংকগুলি কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি ডলারের দাম বাড়িয়েছে। অনেকটা শেয়ার ব্যবসার কৃত্রিম সঙ্কটের মত। শুধু ব্যাংক, প্রবাসীরা আর রফতানিকারকরা লাভবান হয়েছে। মুরগীর মাংস, গরুর মাংসের দাম এই কারণে বেড়েছে। কারণ পশু খাদ্যের অর্ধেকের বেশী জিনিস আমদানি করতে হয়।
ডলার ছাড়া অন্য মুদ্রায় লেনদেনের বিকল্প ব্যবস্থা করা জরুরী হয়ে পরেছে। এটা সম্ভব যদি বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়।
০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: ফের মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।
এখন বেশ কড়াকড়ি মনিটরিং চলছে। কিন্তু আইনের ফাঁক থাকলে সেটা শুধু চোখ রাঙ্গানী দিয়ে বন্ধ করা যায় না।
শেষের কথায় একদম সহমত!
লেনদেন না হবার পরেও অনেকগুলো বৈদেশিক মুদ্রার মুল্য তালিকা কেন যে ব্যাঙ্কে ঝুলিয়ে রাখে এটা একতা ধাঁধাঁ বটে
১৬| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনি ইউক্রেনে ও রাশিয়ায় থাকার সময়, আদম বেপারী ও হুন্ডির ( রুবল/ডলার ব্যবসায়ী ) সাথে জড়িত বাংগালীদের ২/১ জনকে চিনতেন?
০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কিছু আদম ব্যাপারির সাথে আমার সখ্যতা ছিল। আমার অনেক লেখায় তাদের কথা উঠে এসেছে। তারা নিশ্চিতভাবে হুন্ডিতে লেনদেন করতেন তবুও তখন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।
১৭| ০৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হুন্ডি বন্দে সরকার সফল হতে পারেনা। বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
অনেক প্রবাসীর সঠিক কাগজপত্র নেই, সময় ক্ষেপন, ব্যাংকের লেন্দি প্রসেস, রেট ইত্যাদির কারণে হুন্ডি বন্ধ হচ্ছেনা বা করা যাচ্ছেনা।
০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ মাইনুল ভাই, মন্তব্যে আসার জন্য।
অনেকগুলো কারনের মধ্যে এগুলোতো অবশ্যই আছে- এর বাইরে আরো অনেক গুরুত্ত্বপূর্ন ব্যাপার আছে। হুন্ডিতে শুধু টাকা আসলেই হবে না- টাকা যেতেও হবে।
১৮| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদেশে থাকি। টাকা সব সময়ে ব্যংকিং চ্যনেলে পাঠাই। আমার এখানে অগ্রনী, প্রাইম, ইসলামি ব্য্যাংক আছে। প্রবাসে ব্যংকগুলোতে কর্মকর্তাদের ব্যবহার খুবই ভাল। তা ছাড়া কাউন্টারে কাজ করে সব লোকাল বাঙ্গালীরা যারা বিদেশী আদব কায়দায় অভ্যস্ত । প্রবাসী শ্রমিকেরা অনেকেই তারপরেও হুন্ডিতে টাকা পাঠায় কারন ভাল রেট পাওয়া যায়। হুন্ডি চক্র ভাল রেট দিতে পারে কারন তাদের মাধ্যমে আমাদের দেশীয় রাজনীতিবিদেরা বিদেশে টাকা পাচার করে। আমার এখানকার হুন্ডি কিং রা সব রাজা বাদশাহের স্টাইলে চলাচল করে। এরা সবাই প্রকাশ্য । সবাই এদের চেনে । মন্ত্রী, এম্পিদের সাথে উঠাবসার ছবি দেয় ফেসবুকে নিয়মিত। হুন্ডি করে যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছে বিদেশে, তার জন্য্ কোন লাজ লজ্জা বা বিবেক ক্ষরন হতে দেখি না কখনও ।
০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: একদম সহিহ কথা।
আমিও জেনেছি ওরা চরম রাজার হালতে থাকে- ক্ষমতাবানও বেশ।
পুরোপুরি সহমত আপনার সাথে। দেশটারে কারো খাইল হুন্ডি না হুন্ডির পেছনের কারিগরেরা সেইটা মুখ্য বিষয়। ইনারা না থাকলে উনারা থাকতেন না।
১৯| ০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: দেশ প্রেমের অভাব।নগদ যা পায় হাত পেতে নেয়।সরকার মনে হয় অল্প কিছু প্রণোদনা দেয়।হুন্ডি বন্ধ করার জন্য দক্ষ লোক নিয়োগ করতে হবে।মোবাইলেই কথাবার্তা হয়,এখানে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।
০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: এই নজরদারি হবে না কখনো। আগে দেখতে হবে বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠায় কারা! এখান থেকে ওখানে টাকা না গেলে ওখান থেকে এখানেও টাকা আসবে না।
আপনি দেখেনতো ভেনিজুয়েলা থেকে হুন্ডি করতে পারেন কিনা? ভারত থেকে যেহেতু এদেশে টাকা আসে কম ও যায় বেশী সেজন্য এখানে অর্থ পাচার হয়। মানুষ গোল্পনে টাকা নিয়ে বর্ডার পার হয় কিংবা অন্য কোন অবোইধ পন্ধায় ওখানে ডলার বা রূপি নিয়ে যায়।
২০| ০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ২:০৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বর্তমান ব্যবস্থায হুন্ডি বন্দে সরকার সফল হতে পারবে না।
দরকার কিছু সদিচ্ছা কিছু মনিটরিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং সহ দেশের ব্যাংক গুলোর বড় অংকের লেনদেন মনিটরিং করার সফটওয়্যার।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় সবার এনআইডি ভিত্তিক ব্যাংক একাউন্ট আছে। কোন কারণ বাদে কোন ভাউচার ইনভয়েস বাদে বড় এমাউন্ট ট্রানজেক্সান ধরা খুবই সহজ ব্যাপার। বিদ্যমান মানিলন্ডারিং সফটওয়্যার দ্বারাই এসব ধরা সম্ভব।
দু-একটাকে ধরে অবৈধ ট্রানজেকশন বাজেয়াপ্ত করে মিডিয়াতে প্রচার করা হলে। ধরা পড়লে অর্থ বাজেয়াপ্ত হবে এমন একটা শক্ত ঘোষণা দিলে ভয়ে একটা লোকও হুণ্ডিতে অর্থপ্রেরন করবে না।
০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথার সাথে প্রায় একমত। হুন্ডীতে লেনদেনের আরো কিছু খাত আছে- সেগুলো বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব।
আসলে পকেটে করে বা অন্য উপায়ে ডলার বা বিদেশী মুদ্রা গোপনে দেশের বাইরে নিয়ে না গেলে সেটাকে অর্থ পাচার বলা যায় কি না সেটা একতা বড় প্রশ্ন।
আমি এখান থেকে একজনকে টাকা দিব তিনি সে টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় রুপান্তরিত না করে পাচার না করে অন্য দেশে যদি সেই পরিমান টাকা হস্তান্তর করে তাহলে সেটা কেমনে অর্থ পাচার? আর কার্ব মার্কেট ও মানি এক্সচেঞ্জ যদি বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে কারো হাতেই অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা থাকতে পারবে না তবে কেমনে অর্থপাচার হবে।
যদিও এর এটা সম্ভব সদিচ্ছা হলে কিন্তু কখনোই বন্ধ হবে না বিশেষ কিছু ক্ষমতাবান মানুষের স্বার্থে।
২১| ০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ২:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
এসব বিষয়ে আমি এক্কেবারেই "বকলম"! তাই কিছু বলার নেই।
০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এসেছেন তাই ঢের। কোন সমস্যা নাই। ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে
২২| ০৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৭
রানার ব্লগ বলেছেন: এর পেছনে দুইটা কারন। এক বাংলাদেশের বিরধী দল তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রবাসীদের ভুলভাল বুঝিয়ে হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করে এতে তাদের লাভ তাদের ব্যাবসা ফুল ফেপে ওঠে দুই প্রবাসীদের বাংলাদেশের সরকারের প্রতি অশ্রধ্যাবোধ ও বিশ্বাষহীনতা। কারন একজন প্রবাসী দেশের বাহিরে গেলে তারা বাংলাদেশের দুতাবাস থেকে সামান্যতম কোন সাহায্য পায় না।
০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এগুলো নাহয় হয় হুন্ডিতে টাকা আসার কিছু কারন।
হুন্ডীতে টাকা অন্য দেশে যাবার কারন কি হে বলে আপনার মনে হয়?
২৩| ০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
কিরকুট বলেছেন: হুন্ডি সমস্যা কি কেবল বাংলাদেশেই? নাকি অন্যান্য দেশেও একি পরিস্থিতি!!??
০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: যেই সব দেশের বৈদেশিক আয়ের একটা বড় অংশ প্রবাসী শ্রমিকদের উপর নির্ভরশীল এবং বৈধ উপায়ে অন্য দেশে অর্থ পাঠানো যায় না সেই সাথে অবৈধ ও কালো টাকা বেশী থাকে হুন্ডি ও অর্থপাচার তাদের জন্য বড় ধরনের সমস্যা বটে।
এ ব্যাপারা মোটামুটি তৃতীয় বিশ্বের ও গরিব দেশ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ গুলোর সমস্যা বেশী।
পাশের দেশ ভারতেরও এই সমস্যা ব্যাপক।
২৪| ০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
কিরকুট বলেছেন: এমন হলে দেশে যারা হুন্ডি পরিচালনা করে তাদের বড় মাথা কয়েকটাকে ধরে প্রাইম সাজা দিলে বাকিরা থেমে যাবে আর যদি নাও যায় এদের লিস্ট করে ধরে আনতে হবে।
০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: কে কাকে ধরবে -সব ব্যাটায় তো চোর!
দুর্নীতিগ্রস্থ আমলা, রাজনীতিবীদ, ব্যাবসায়ী আর কালোবাজারিদের আটকাবেন ক্যামনে? হুন্ডি না থাকলে বেগম পাড়ায় বাড়ি কিনবে কিভাবে?
কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কিংবা একান্ত প্রয়োজনেও টাকা পাঠায়।
ধরুন আপনি ভারতে বেড়াতে গিয়ে ডাক্তার দেখালেন, বড় একটা রোগ ধরা পড়ল। অপারেশন এখুনি করতে হবে। টাকা পাবেন কোথায়? হুন্ডি ছাড়া গতান্তর নেই কিংবা আপনার প্রবাসী বন্ধু পরিজনের কোন কারনে টাকার দরকার হোল, সে টাকা কেমনে পাঠাবেন? অথবা ধরেন আপনি বিদেশে থাকেন দেশে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই-আপনার উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া সম্পত্তির অর্থ কিভাবে নিবেন? এ ক্ষে্ত্রে কোন বৈধ উপায় নেই- হুন্ডিই একমাত্র ভরসা।
যতদিন পর্যন্ত আপনার ব্যক্তিগত বৈধ অর্থ বৈধ উপায়ে অন্যদেশে প্রেরণ করতে পারবেন না এবং দুর্নীতি ও কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে পারবেন না ততদিন হুন্ডি বা অর্থপাচার ঠেকাতে পারবেন না।
২৫| ০৬ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ের ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় রাজীব নুর।
২৬| ০৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: হুন্ডিতে খাইলো দেশ, এ কথার সাথে একমত হতে পারলাম না একেবারেই। আজকেই প্রথম আলোয় একটা নিবন্ধে দেখলাম, পরিস্থিতির কারণেই হুন্ডি আছে এবং থাকবে। পরিস্থিতি কি, সেটার ব্যাখ্যা দিতে গেলাম না। শুধু বলি, দেশ খাইলোর মুখ্য কারণ এই পরিস্থিতি, হুন্ডি না।
অনেকে হুন্ডি করতে বাধ্য হয়। ধরেন আজ থেকে ৩০ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা এক লোক তার অসুস্থ বাবাকে দেশে টাকা পাঠাবে। বাবা ব্যাংকে যেতে পারবেনা, তাই ব্যাংকে না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো সুবিধাজনক হলো, বাবা ঘরে বসে টাকাটা পেয়ে গেল। সেসময় প্রাইভেট ব্যাংক ছিল না, এখন অনেক প্রাইভেট ব্যাংক হয়েছে, অথচ এখনো বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে ব্যাংকের সার্ভিসের চাইতে হুন্ডির সার্ভিস সুবিধা জনক হয়... সেই একই লোকের ছেলে যখন বিদেশে পড়তে গেল তখন তার টাকার প্রয়োজন, কিন্তু বৈধভাবে টাকা পাঠানোর কোন উপায় নেই। তখন সে হুন্ডি করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে টাকা পৌঁছে দিল ছেলের কাছে।
এখন একজন বিদেশে যাবে। পাসপোর্টে ডলার ইনডোর্স করতে গিয়ে দেখল ব্যাংক থেকে মাত্র পাঁচশত ডলার এনডোর্স করা যায়, অতএব ভরসা মানি এক্সচেঞ্জ। সেখানে ১০০০ ডলার এনডোর্স করা যায়, তারপর যত খুশি অতিরিক্ত ডলার কেনা যায়। এই এত ডলার কোথা থেকে আসছে? আবার এই অতিরিক্ত ডলার এনডোর্স করা নাই বলে বিমান বন্দরে ঝামেলা হতে পারে। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় হুন্ডি করে টাকা পাঠিয়ে দিলে।
আপনার প্রশ্নগুলোর জবাব দেয়া হলো না। আসলে জবাব দেবার মত বুদ্ধি নেই আমার। শুধু আমার দেখা কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করলাম, এটা বোঝানোর জন্য হুন্ডি মানুষ কেন করে।
০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
যা বলেছেন শতভাগ সহমত। এর পেছনে আরো অনেক অনেক কারণ রয়েছে। যে কোন কারনেই হোক হুন্ডি শুধু ক্ষতি করে না অনেকের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ!
'হুন্ডি খাইলো দেশটারে' এই শিরোনামটা মুলত স্যাটায়ারধর্মী। আমাদের নেতা আমলা সহ বাংলাদেশ ব্যঙ্ক সহ সবাই রেমিটেন্সের নিন্মমুখীতার জন্য মুলত হুন্ডিকেই টার্গেট করছে; উপায় নেই জনগন গিলছেও তাই। কত বড় একটা ভুল ধারনা নিয়ে আমরা বাস করছি সেটাই মুলত আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। তাঁর আগে ব্লগারদের সাথে একটু ইন্টার্যাকশন করে নিলাম। অনেকের কাছ থেকেই অনেক নতুন তথ্য জানার আছে। সে সাথে এ বিষয়ে ব্লগারদের মনের ভাবটাও জানা হয়ে গেল।
২৭| ০৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন। খরচ পড়বে ৫০ লাখের মতো। আপনি পাসপোর্টে এন্ট্রি করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৫০০০ ডলার। পুরোটাই এন্ট্রি করতে পারবেন, তবে তার জন্য আপনার যে পেশি শক্তি ও দৌড়াদৌড়ির প্রয়োজন পড়বে, ততদিনে আপনার অসুখ কোন পর্যায়ে চলে যায়, বা বেঁচেই থাকেন কিনা, বলা মুশকিল। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য, কিংবা কিছু সুবিধা ভোগ করার জন্য, কিংবা কিছু দুর্নীতি বা পাচারকর্ম বাস্তবায়নের জন্য হুন্ডি সিস্টেমের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে।
আমার বাস্তব জ্ঞান নাই, তবু বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে যেভাবে টাকা আসে বলে বিভিন্ন জনের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে যা জানতে পারি তা বলছি। ধরুন সউদি থেকে হুন্ডির মাধ্যেম এ দেশে 'ক' টাকা পাঠাবে। হুন্ডির ব্যবসায়ী 'খ'-এর ব্যাংকা একাউন্ট আছে সউদি এবং বাংলাদেশ দু জায়গাতেই। 'ক' ৫০০০ রিয়াল 'খ'-কে দিল দেশে পাঠানোর জন্য। 'খ' ওটা ২৮ টাকা রেটে কিনলো, বাজার দরের চাইতে কম। বাংলাদেশে তার অ্যাজেন্টকে বলে দিল ৫০০০ রিয়ালকে ২৮ টাকা রেটে পৌঁছে দেয়ার জন্য। পরবর্তীতে হুন্ডি ব্যবসায়ী মিস্টার 'খ' দুটি পদ্ধতিতে রিয়ালের টাকা বাংলাদেশে পাঠায়। (১) ব্যাংকের মাধ্যমে। তার লাভ হলো, সে কিনেছিল ২৮ টাকা রেটে, সে দেশে পাঠাচ্ছে তার চাইতে বেশি রেটে। কিন্তু সউদির নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি এক মাসে ১০০০০ রিয়ালের বেশি পাঠাতে পারেন না (যদ্দূর জানি। ভুলও হতে পারে)। তবে যারা এভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছেন, তারা আসলে বৈধভাবেই পাঠাচ্ছেন। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের টাকা আসছে। কিন্তু তারা আবার বিপদে পড়তে পারেন যদি কখনো সউদি অথোরিটি তার বেতন ও বাংলাদেশে পাঠানো টাকার তদন্ত করে দেখেন যে সে বেতনের চাইতে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। এর শাস্তি নাকি খুবই ভয়াবহ। (২) ডলারে কনভার্ট করে নিজের সাথে দেশে নিয়ে আসা। এ ব্যাপারটা আন্দাজে বললাম।
আপনি যখন ক্ষুদ্র পাচারকারী, তখন বিদেশে বিভিন্ন প্রবাসীর কাছ থেকে ডলার নিবেন, দেশে কনভার্টেড পরিমাণ টাকা তার বাড়িতে দিবেন, আর ঐ জমানো ডলার দিয়ে ঐ দেশে বাসা বানাবেন তবে, এখানে আপনি বাংলাদেশ সরকারের খুব বড়ো ক্ষতি করতে পারবেন বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ সরকারের বড়ো ক্ষতি করে বিদেশে টাকা পাচার করতে হলে দেশেই আপনাকে বড়ো বড়ো পদে চাকরি করতে হবে, বা অন্যকিছু। পিকে হালদারগণ কি গরীব শ্রমিকদের মতো সউদির মরুভূমিতে জান হাতে নিয়ে কাজ করতো?
ব্যাংক রেট হুন্ডির রেটের চাইতে বেশি হলেও হুন্ডি পদ্ধতি কোনোদিনই সমূলে বন্ধ হবে না কিছু অফিশিয়াল জটিলতার কারণে, যার একটার কথা শুরুতেই বলেছি। অন্যদিকে, নিদেনপক্ষে আর্জেন্ট মানবিক কাজগুলোর জন্যও যেহেতু অবৈধভাবে ডলার কেনার প্রয়োজন পড়বে, এজন্য ডলারের দাম কোনোদিনই ব্যাংক রেটের সমান বা তার চাইতে কম হবে না।
২৮| ০৭ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- হুন্ডির সাথে আমার পরিচয় নেই। তবে জানি বিষয়টা কি। এর কারণে ব্যাক্তিগত ভাবে কোনো মনে করতে পারেন তার কিছু টাকা বেশি লাভ হলো, কিন্তু আখেরে দেশের-দশে চরম ক্ষতির কারণ হয়।
০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: কথাটা খানিকটা সত্যি বটে কিন্তু পুরোটা নয়। যাদের দেশী কালো টাকা বেশী আর যারা বাইরে বৈধ অর্থও পাঠাতে দেয় না এবন যে সব দেশের বৈদেশীক মুদ্রার রিজার্ভ মুলত প্রবাসীদের আয়ের উপর নির্ভরশীল তাদের জন্য সত্য।
ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।
২৯| ০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
রায়হান চৌঃ বলেছেন: এখুনি হুন্ডি বন্ধ করতে না পারলে বাংলাদেশ হবে পাকিস্থানের সেই জমজ ভাই, যে কিনা নিজের মাংস নিজেই ছিড়ে খাবে।
হুন্ডি বন্ধ করতে হলে আমার মতে কিছু ষ্টেপ এখুনি কার্যকর করা উচিৎ।
১) ষ্ট্রিকলি দ্বৈত নাগরিকত্ব বন্ধ করতে হবে, আর যদি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে হয় তবে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে আপনার স্তবর আ-স্তবর ছেড়ে দিয়ে তার পর ই যেতে হবে। (ফলাফল: বেগম পাড়া বা শেখ পাড়ায় আকাল পড়বে, সেই সাথে মেধা পাচার ও কমে যাবে, কারণ এদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু ই পায় না, এরা দেশ থেকে সবরকম এর সুযোগ সুবিধা সব নিয়ে ভীন দেশে গিয়ে দেশের বদমান করতে থাকে। )
২) এক্সপেট্রিস যত আছে, সে নিজের বা তাদের পারিবারিক ইন্ভেষ্টমেন্টের উৎস কমক্ষে ৮০% ব্যংকিং রিপোর্ট সাবমিট করতেই হবে, তা না হলে ইনভেষ্ট করতে পারবে না।
৩) এক্সপেট্রিস এর ব্যংকিং চ্যনেলে কত টাকা আসছে তার উপর নিররিক্ষা করে বাংক লোন বা অন্যান্ন সুবিধা গুলো সহজ করা হোক।
ধন্যবাদ ভাই একটা অনেক গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য....... থাকবেন ভাই
০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে হুন্ডি বন্ধে্র জন্য কিছু কার্যকরি পদক্ষেপ উচিৎ বলে নতু কিছু জানা হোল।
এমনটা মিও ভেবেছি অনেক- কেন একজন মানুষ দ্বৈত দেশের নাগরিক থাকবে।অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিতে হলে তাঁকে এক দেশের নাগরিকত্ব ও সব স্বত্ত্ব ছাড়া উচিৎ বলে আমিও মনে করি।
তবে এসব করলে হুন্ডি খিটা বন্ধ হবে কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব!
কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? ওইসব ধনী দেশে বড় অংকের অর্থ পাচার কারা করে সেটা বের করলেই বোঝা যাবে কেন আদৌ এই উদ্যোগ গ্রহন করা হবে না।
যুক্তিবোধ্য মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩০| ০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
রায়হান চৌঃ বলেছেন: শুধুমাত্র দ্বৈত নারিকত্ব তে হাত দিন দেখবেন ৬০% হুন্ডি বন্ধ হতে বাধ্য
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুন্ডির বহু বহু কারণ আছে। তার মধ্যে নাম্বার ওয়ান হচ্ছে সহজলভ্যতা ও বেশী রেট।
আমি কয়েকদিন আগে কিছু রিয়াল পাঠিয়েছি দেশে, ব্যাংকের মাধ্যমে। রেট আসছে ১ রিয়াল = ২৮.৩৫ টাকা। ২.৫% সহ হিসাব করলে ২৯.০৫ টাকা। আবার পাঠাতে খরচ পড়েছে ৯.৯৯ রিয়াল (২৯০ টাকা)। আর টাকা পৌছাতে আরও প্রায় ১২ ঘন্টা।
আর আমার পাশের বাসার এক ভাই হুন্ডির মাধ্যমে পাঠালেন, তিনি পেলেন ৩২ টাকা। পাঠাতে কোন খরচ নাই। পাঠানোর ৭-১০ মিনিটে পেয়ে গেছেন।
ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার দেখেছেন কখনও?