নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আগের পর্বঃ হুন্ডিতে খাইলো দেশ; ব্লগারদের ভাবনা কি?
প্রথমেই প্রশ্ন থাকতে পারে হুন্ডি আর অর্থ-পাচার কি এক?
উত্তরঃ এক নয় কিন্তু একে অপরের পরিপূরক!
অর্থ-পাচার কেন হয় কিভাবে হয় এবং কোন কোন খাতে অর্থ-পাচার বেশী হয়? আমরা আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব। তবে গত পর্বের মত এখানেও ব্লগারদের অংশগ্রহণ খুব জরুরী- আমার থেকে অনেকেই অনেক বিষয়ে ভাল জানেন। ‘গত পর্বে এমনিতেই দিনটা শুক্রবার ছিল( ব্লগ খরার দিন) তাঁর উপরে ‘হুন্ডি’র মত খটমটে ব্যাপার। ভেবেছিলাম ব্লগারেরা এড়িয়ে যাবেন। কিন্তু আমি ভীষণ অবাক হলাম ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে!!
লেখার শুরুতেই বলে নিচ্ছি; আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই এবং পুরো নিবন্ধটা মোটেও পুরোপুরি অথেনটিক তত্ত্ব ও তথ্যপূর্ণ নয়। এখানে অনেক কিছুই ধারনাগত আলোচনা আছে তবে যৌক্তিক।
আপনি কি জানেন অর্থ পাচারের সবচেয়ে বড় খাত কোনটা?
সুইচ ব্যাঙ্কে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার কোটি টাকা জমা হচ্ছে যার বড় অংশ পাচার-কৃত। এদেশ থেকে পাচার করা অর্থে বিশ্বের বহু উন্নত দেশে বাড়ি গাড়ি কেনা হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লগ্নি করা হচ্ছে। নিশ্চিতভাবে দেশের অর্থ বা সম্পদ অবৈধ পথে পাচার হয়ে যাচ্ছে এটা নির্দ্বিধায় আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য ভীষণ ক্ষতির।
কিন্তু এই অর্থগুলো পাচার হচ্ছে কিভাবে? কেউ পকেটে করে দেশ থেকে টাকা বাইরে নিয়ে যাচ্ছে? যদি যায় তবে অন্য কোন দেশে বাংলাদেশী মুদ্রার কি কোন ভ্যালু আছে?
তাহলে? এবার ধরুন সেই টাকাকে ডলার বা অন্য কোন দেশী মুদ্রায় রূপান্তর করে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যিনি নিয়ে যাচ্ছে তিনি বৈদেশিক মুদ্রা পেলেন কোথায়?
সেজন্য দায়ী কে বা কাহারা? যদিও এইভাবে বড় বা মাঝারি অঙ্কের মুদ্রা বেশ কঠিন ও অপ্রয়োজনীয়। তবে এভাবেও পাচার হয় সেকথায় আমি পরে আসছি।
আর কি কি খাতে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার হয়?
অবৈধ বা নিষিদ্ধ পণ্যের লেনদেনে। যেমন ড্রাগ কেনা বেচায়, সোনা কেনা বেচায়, বন্য প্রাণী ও তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, হিউম্যান ট্রাফিকিং ( মানব পাচার, মূলত; নারী-শিশু পাচার ও আদম ব্যবসা) সহ অন্য অনেক খাতে।
এর পর আসে আন্ডার ইনভয়েসিং আমদানীতে ও ওভার ইনভয়েস রপ্তানিতে। আন্ডার ইনভয়েস হয় মূলত ট্যাক্স ফাঁকি দেবার জন্য। এলসি'র অতিরিক্ত টাকাটা হুন্ডি করে পাঠানো হয়। ওভার ইনভয়েস হয় শুধুমাত্র টাকা পাচারের জন্য নয় এখানে আরেকটা খেলা আছে সেটা সবাই 'পয়েন্ট আউট' করে না।
ওভার ইনভয়েসঃ পণ্যের প্রকৃত মূল্য থেকে বেশী দেখানো। (মূলত গার্মেন্টস, পাওয়ার প্ল্যান্ট, সেবা-খাতের শুল্কমুক্ত পণ্য ও মেশিনারিজ )
আন্ডার ইনভয়েসঃ পণ্যের প্রকৃত মূল্য থেকে কম দেখানো। (রি-কন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে অহরহ হচ্ছে)
বেশ কিছুদিন আগে একটা চামড়া-জাত পণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বেশ বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল একের পর এক জালিয়াতি করে রপ্তানিতে ওভার ইনভয়েসের জন্য। এই কেলেঙ্কারিতে বেশ নামী দামী সেই প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে এক্কেবারে পড়েছে।
তারা কেন ওভার ইনভয়েস করত? যদিও ওভার ইনভয়েস তারা মূলত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে করত না( তবুও বিশাল অঙ্কের অর্থ-পাচার করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে) কিন্তু অর্থ পাচারের সাথে তারা জড়িয়ে পড়েছিল।
বাংলাদেশ সরকার চামড়া রপ্তানিতে ১০ ভাগ নগদ প্রণোদনা দেয় আর চামড়া-জাত পণ্যের জন্য দেয় ১৫%
কিভাবে অর্থ-পাচার হল( মুল বিষয়টা ধারনাগত)
রপ্তানির জন্য একটা মেয়েদের ব্যাগের সর্বোচ্চ দাম ধরা যায় ৪০ মার্কিন ডলার। এই মূল্যের প্রতিটি ব্যাগের বিপরীতে রপ্তানিকারক সঠিক কাগজপত্র দাখিল করলে ৬ ডলার ক্যাশ ইনসেনটিভ পাবেন।
ধারনা করছি ওরা যেটা করেছে ( তথ্য আছে); নিজেদের একটা প্রতিষ্ঠান (অন্য নামে) খুলেছে দুবাইতে (ট্যাক্স ফ্রি ওপেন মার্কেট)। সেখান থেকে কার্যাদেশ দিয়েছে ৫০০০০ চামড়ার ব্যাগের। দাম ২০লক্ষ ডলার।
এখান থেকে পাঠিয়েছে ক্যানভাসের ব্যাগ। শুধু চামড়ার একটা হ্যান্ডল বা ট্যাগ দিয়ে এটাকে চামড়ার ব্যাগ হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে। যার মূল্য ২/২.৫ ডলার সর্বোচ্চ। সেই ব্যাগ সেখানে কম দামে বা বেশী দামে অন্য কোথাও এক্সপোর্ট করছে বা স্থানীয়ভাবে স্টক-লট হিসেবে বিক্রি করছে। অথবা আগে থেকে এমন সস্তা ব্যাগের অর্ডার নিয়ে এলসি খুলছে।
বিশ লক্ষ ডলার হুন্ডির মাধ্যমে ফের সেদেশে চলে যাচ্ছে। রপ্তানিকারক সরকার ও দেশকে সব ধরনের বাঁশ দিয়ে প্রতিবার তিন সাড়ে তিন লক্ষ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে।
এভাবে তারা নাকি পাঁচ হাজার কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়েছিল।
এবার আসুন আরেকটা অর্থ-পাচারের গল্প শুনি;
বিষয়টা খুব স্পর্শকাতর যা অনেককেই বিব্রত করবে। আমি কোন ধর্ম-পন্থীকে হেয় করারর জন্য এই তথ্যগুলো দিচ্ছি না।
ঘটনার শুরু দেশভাগের পর থেকেই। দেশ ভাগের সময়েই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় একটা অংশ এদেশ থেকে চলে গিয়েছিল বা বিতাড়িত হয়েছিল। ঠিক সেইভাবে ওপার থেকেও বহু মুসলিম সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে এদেশে শরণার্থীর মত আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু এদের দুপক্ষের কেউই দুই দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পায়নি। তারা সাধারণ নাগরিকের মতই জনস্রোতে মিশে গিয়েছিল।
দেশভাগের পরেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে এবার বেশ গোপনে, রাতের আধারে! দীর্ঘদীন ধরে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে অতি সঙ্গোপনে যেন কাক পক্ষীও টের না পায় সেইভাবে হঠাত একদিন বাড়িঘর ফেলে রেখে তালা মেরে, স্বজাতি কারো জিম্মায় রেখে কিংবা গোপনে কারো কাছে বিক্রি করে দিয়ে হুট করে পালিয়ে যেত।
এই ধারা এখনো অব্যাহত আছে, কিছুটা গোপনে কিছুটা ওপেন সিক্রেট। কেন তারা যাচ্ছে; সংখ্যা লঘু থাকার কারনে, ধর্মীয় কারনে, অস্তিত্ব সংকটে ভুগে, জীবন নাশের আশঙ্কায়, উন্নত জীবনের লোভে নাকি ওপারের আত্মীয় বন্ধুদের প্রলোভনে সে কথায় আমি যাচ্ছি না।
আমার স্কুলে সহপাঠীদের মধ্যে ৩০ ভাগ হিন্দু ছাত্র ছিল আর শিক্ষক ছিল অর্ধেকের কাছা কাছি। কিন্তু এখন ছাত্রের আনুপাতিক হার নেমে এসেছে ১০ শতাংশের কমে। শিক্ষকদের কথা নাই-বা বললাম। আমার জীবনে আমি কোনদিন ওখানে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে অসম্প্রীতি দেখিনি। হিন্দুরা ব্যবসা শিক্ষা সব সব ক্ষেত্রেই বেশ প্রভাবের সাথে আছে। কিন্তু দিন দিন তাদের সংখ্যা কমছে। অনেকেরই শুনতে পাই পরিবার পরিজনকে ওপারে রেখে এসে এখানে ব্যবসা দেখ ভাল করছে। বছরে দু’চারবার ওপারে যাচ্ছে পরিবার পরিজনের সাথে দেখা করতে আর সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে যতটুকু পারে অর্থ আর সোনা গয়না। এমন ঘটনা বা কাহিনী একজন দু’জনের নয় শতকরা ৭০ ভাগের। সবাই এদেশে হয় টাকা কামাচ্ছে ওপারে নিয়ে যাচ্ছে অথবা অপেক্ষা করছে সহায় সম্পদ ধীরে সুস্থে বিক্রি করে সব অর্থ কড়ি একসাথে গুছিয়ে চিরতরে পারি জমানোর। এসব কথা লিখতে গেলে অনেক কথাই আসে তবে আমি পাকিস্তান আমলের কথা ধরছি না; শুধু বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে যত লক্ষ হিন্দু এদেশ থেকে ওদেশে পারি জমিয়েছে তারা প্রত্যেকেই অর্থ, সোনা রূপা, গয়না,এন্টিক( জমিদার আমলের তৈজস পত্র, গয়না,কষ্টি পাথর সহ অন্যান্য মূর্তি ইত্যাদি) সহ অনেক দামী সম্পদ এদেশ থেকে নিয়ে গেছে বা পাচার করেছে এবং এখনো করছে।
এ বিষয় নিয়ে কোন সরকারই আলোচনায় যায় না। কেন যায় না। এটা মূলত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণ। বিষয়টা খোলসা হলে বহির্বিশ্বের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপনের সম্ভাবনা আছে। সবাই ভাববে এরা ধর্মীয় ও সামাজিক নিপীড়নের জন্য এদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
কিন্তু আমি বহুভাবে আলোচনা ও বিচার করে দেখেছি। বিষয়টা তেমন মোটেও নয়। ধর্মীয়, সামাজিক ও অস্তিত্ত্ব সঙ্কটের কারনে কিছু মানুষ ওপারে গেছে এবং যাচ্ছে সত্য কিন্তু বেশীরভাগ যাচ্ছে উন্নত জীবনের লোভে। ভারতের মত শক্তিধর একটা দেশের নাগরিকত্ব লাভের জন্য।
এদের পাচার করা অর্থ ও সম্পদের হিসাব কোনদিনও জানা যাবেনা। ওপার থেকে মাঝে মধ্যে হুমকি আসবে বাংলাদেশ থেকে এত কোটী লোক অবৈধভাবে ওদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। কিন্তু কত হাজার লক্ষকোটি টাকা ও সম্পদ তারা নিয়ে গেছে সে হিসেব ও কেউ দিবে না কেউ চাইবে ও না।
*কেউ স্বীকার করুক আর না-ই করুক আমার ধারনা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশী অর্থ-পাচার হয়েছে এই খাতে।
***
আপনি কি জানেন আমদানিতে ওভার ইনভয়েস হয়?
হয় খুব বেশী রকমের হয়- এটা মূলত টাকা পাচারের সবচেয়ে বড় খাত!
এখানে চলে বড় বড় গেমারদের খেলা।
আমদানিতে সেই সব ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েস হয় মূলত যেই পণ্য ট্যাক্স ফ্রি বা একান্তই মামুলি ট্যাক্স।
এর মুল খাত হচ্ছে গার্মেন্টস সহ রপ্তানিমুখী বিভিন্ন-কারখানার মেশিনারিজ ও জনস্বার্থে দেশীয় উৎপাদনের সাথে জড়িত কিছু ফ্যাক্টরির কাঁচামাল, মেশিনারিজ ও পণ্যের।
দেশের ব্যবসায়ী,আমলা ও রাজনীতিবিদদের একতা বড় অংশ(যারা মূলত টাকা পাচার করে) এই খাতে পাচার করে বলে ধারনা।
ধরুন আপনি একটা পাওয়ার প্ল্যান্টের অনুমতি পেলেন। প্ল্যান্ট মেশিন কিনলেন রিফার্বিস্ট (রি কন্ডিশন)। দরাদরির পরে দাম নির্ধারিত হোল ২৫ মিলিয়ন ডলার।
একে-তো পাওয়ার প্লান্ট তাঁর উপরে ক্ষমতাবানদের ক্ষমতার জোরে; বেশ বড় অঙ্কের ব্যাঙ্ক লোণ ও অতি অল্প মার্জিনে এল সি খোলার অনুমোদন পেলেন। মেশিন বিক্রেতাদের সাথে যোগসাজশে ক্রয় মূল্য দেখালেন ৩৫ মিলিয়ন। ১০ মিলিয়ন প্রথমেই গাপ (হজম করা)। কইয়ের তেলে কই ভাজা আর কাহাকে বলে। * হিসাব কিতাব কিংবা ধারনায় ভুল হইলে আওয়াজ দিয়েন।
আরেকখানা খাত যেটার জন্য দায়ী ইপিজেড এর বিদেশী ইনভেস্টরেরা। এখানে কিছু প্রবাসী ও দেশী যৌথ ইনভেষ্টর ও জড়িত আছে। ইপিজেডে অবস্থিত ফ্যাক্টরির পুরো রপ্তানিমুখী হওয়ার দরুন রপ্তানিতে সম্পূর্ণ ট্যাক্স ওয়েভার(ছাড়) পায়(সম্ভবত) এবং বিদেশী অর্থলগ্নি কারকেরা তাদের লভ্যাংশ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারেন।
কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে, বৈধভাবে টাকা নিয়ে গেলে এই দেশে এবং তাঁর নিজের দেশে দুইখানেই বেশ বড় অঙ্কের ট্যাক্স দিতে হয়।
দুপক্ষের কিংবা এক পক্ষের এই ট্যাক্স ফাঁকি দেবার জন্য তারা অন্য একটা রাস্তায় টাকা পাঠায়। সেটা হচ্ছে আমদানিতে ওভার ইনভয়েস করে। ইপিজেডের সব ফ্যাক্টরিরই যে কোন মেশীনারিজ আমদানিতে কোন ট্যাক্স দিতে হয় না!
ধরুন টাকা যাবে জার্মানিতে। জার্মান থেকে একটা ‘বয়লার’ আনল ২ লাখ ডলার দিয়ে কিন্তু সেটার মূল্য দেখানো হোল ৪ লাখ ডলার। বয়লার বিক্রেতা অতিরিক্ত টাকা(যদি ট্যাক্স দিতে হয় তবে সেটা বাদ দিয়ে) বাকি টাকা ওই দেশে সেই কোম্পানিকে প্রদান করল। এখানে আরো কিছু বিষয়াদি ও ঘাপলা আছে যার বিষয়ে আমি পুরোপুরি অবগত নই। সম্ভবত ‘সিস্টার কনসার্ন’ ছাড়া ওইসব দেশে এই লেনদেনটা করা সম্ভব নয়!
তবে কাহিনী সত্য।
আমার আলোচিত উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা কিংবা সমালোচনা করা যেতে পারে।
প্রিয় ব্লগার আপনার কি অর্থ পাচারের অন্য কোন খাত সন্মন্ধে সম্যক ধারনা আছে? জানার অপেক্ষায় রইলাম …
১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে মাথায় (On Top) যতদিন গণ্ডগোল থাকবে - ততদিন দেশ-প্রেম থেকেও বিশেষ উপকার হবে না
২| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাচার করা অর্থ প্রয়োজনে কীভাবে আবার বৈধভাবে দেশে আনা হয় সেই ব্যাপারে আমার ধারণা আছে। আমি একটা বড় কোম্পানির কথা জানি যারা বিভিন্ন ভাবে টাকা বিদেশে পাচার করে রেখেছে আগে থেকেই। তাদের একাধিক কোম্পানি শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত। এই কোম্পানির লাভ এবং লভ্যাংশ বেশী করে দেখানোর জন্য তারা বিদেশে থাকা টাকা বৈধভাবে দেশে নিয়ে আসে ঐ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মাধ্যমে। তারা অনলাইন সফটওয়্যার রপ্তানি দেখিয়ে টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে নিয়ে আসে। ফলে ঐ কোম্পানির লাভ বেড়ে যায়। সফটওয়্যার পোর্টের মাধ্যমে আসে না এবং সফটওয়্যার রপ্তানি আয়কর মুক্ত। কাস্টমস, পোর্ট বা আয়করের ঝামেলা নাই। অথচ কোম্পানির লাভ বেশী করে দেখানো যাচ্ছে। লভ্যাংশ বেশী দেখাচ্ছে। শেয়ার মার্কেটে ঐ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে ঐ কোম্পানির মালিকরা লাভবান হচ্ছে।
পরে সময় করে আরও কিছু বলার চেষ্টা করবো।
১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার দারুণ তথ্যপূর্ণ মন্তব্য এই পোস্টটাকে নিশ্চিতভাবে অনেক সমৃদ্ধ করবে।
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
বাকি কথাগুলো শোনার অপেক্ষায় রইলাম। সময় করে আসবেন
৩| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দেশে কিছু বহুজাতিক কোম্পানি শুল্কমুক্ত বা কম শুল্কের পণ্যে ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে আমদানি করে ফলে তাদের লাভ কমে যায় এবং ট্যাক্স কম আসে। পক্ষান্তরে এই পণ্যের বিক্রেতা কোম্পানি হোল বিদেশে তাদের সিস্টার কোম্পানি ফলে একদেশে লোকসান হলেও আরেক দেশে লাভ বেড়ে যায়। কিন্তু ঐ দেশে আয়করের হার কম বা ঐ পণ্যে ট্যাক্স ফ্রি সুবিধা তাদের আছে। ফলে সমস্যা হয় না। এই ধরণের লেনদেনের ফলে সার্বিকভাবে পুরো গ্রুপের ট্যাক্স কম আসে। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে টাকা বাইরে চলে যায়। এই ধরণের লেনদেনের আন্তর্জাতিক টার্ম হোল 'ট্রান্সফার প্রাইসিং'। ট্রান্সফার প্রাইসিং একটা বড় অপরাধ সকল দেশে। সারা বিশ্বেই এটা হয়। ধরা একটু কঠিন।
লভ্যাংশের উপর ট্যাক্স হয় তাই অনেক কোম্পানি ওভার ইনভয়সিং করে তাদের বিদেশী সিস্টার কোম্পানির প্রতি। এই ধরণের একটা ঘটনা আমি জানি। আপনি এই ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন।
আন্ডার ইনভয়সিং এর সংজ্ঞায় আপনি ভুলে (টাইপো) মনে হয় বলেছেন পণ্যের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশী দেখানো। এটা কম দেখানো হবে।
রি কন্ডিশন গাড়ির ক্ষেত্রে আপনি ওভার ইনভয়সিং বলেছেন। কিন্তু এর ফলে আমদানি কারকের শুল্ক বেড়ে যাবে। এটা করার কথা না। বরং আমি জানি আমদানিকারকরা আন্ডার ইনভয়সিং করে যেন শুল্ক কম আসে। আমি একজন গাড়ি আমদানিকারকের কাছে থেকে এটা জেনেছি। কম টাকার এল সি খোলে গাড়ির মূল্য কম দেখিয়ে। বাকি টাকা অন্যভাবে পাঠায়। ফলে শুল্ক কম আসে এবং গাড়ির কষ্ট কম পরে। ফলে আমদানি কারকের লাভ বেশী হয়।
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: টাইপো টা ঠিক করে দিয়েছি।
রি-কন্ডীশন গাড়ির বিয়াপারেও টাইপো হয়েছে। ওটাও আন্ডার ইনভয়েসিং হবে।
ধন্যবাদ এমন দুটো ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য। আমি একসময় এই ব্যাবসার সাথে জড়িয়ে ছিলাম। এর ফাঁক ফোকড় গুলো ভালোই জানি।
আসলে একসময় আন্ডার ইনভয়েসিং করে লাভ ছিল এখন ট্যাক্স হয় প্রতিবছরের অবচয়ের উপর ( প্রতিবছর ১০% হিসেবে সম্ভবত)। জাপানের ইয়োলো বুক থেকে গাড়ির প্রকৃত দাম দেখে তাঁর অবচয় করে ট্যাক্স বসানো হয়।
এখন দাম কম দেখানোর অন্য কারণ অন্য পরে একসময় বলব।
৪| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৩
নতুন বলেছেন: দুবাইতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় হুন্ডিতে।
দেশের বাইরে টাকা পাঠানো এবং ব্যবসায়ীরা তাদের টাকা পরিশোধেই সম্ভবত বেশি টাকার ব্যবহার হয়।
* ব্যক্তিগত/পরিবারের খরচের কাজে টাকা পাঠানোর ব্যাপারটা খুবই ছোট একটা অংক।
কিন্তু বড় অংকটা ব্যবহার করে ব্যাবসায়ীরা।
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: যেখানে বাঙ্গালী যত বেশী সেখানে হুন্ডির কারবার তত বেশী- যদি সেসব দেশ গোল্ডেন ভিসা/সম্পদ কেনার অনুমতি/ ব্যাবসায়ে বিনিয়োগ করার শর্তে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয় তবে তো কথাই নেই।
আপনার কথায় সেই ছোট ছোট অঙ্কই একের হাতে গিয়ে বিশাল হয়ে যায়।
ব্যাবসায়ীদের দোষ অস্বীকার করার উপায় নেই।
ধন্যবাদ ব্রাদার তথ্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।
৫| ১২ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ১। যারা অর্থ পাচার করছেন, সরকার তাদের ধরছে না কেন?
২। সাংবাদিকরা তাদের নামধাম প্রকাশ করছে না কেন?
৩। সূইচ ব্যাংক টাকা জমা রাখার আগে, অর্থের উৎস জানতে চায় না কেন?
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কি মনে হয় এদেশে এসব হওয়া সম্ভব??
সুইস ব্যাঙ্কের আসল ব্যাবসাই ওইখানে। ওদের গচ্ছিত কত বিলিয়ন ডলার আছে জানেন যার কোন দাবিদার নেই। ভীষণ গোপনীয়তার জন্য বেশীরভাগ অবৈধ অসচ্ছ অর্থের কোন নমিনিও থাকে না সম্ভবত। যারা একবার ওদের কাছে অর্থ জমা রাখে - তাদের সিঙ্ঘভাগ একসময় মরে হাপিস হয়ে যায় তবুও সেই অর্থ কোন কাজেই লাগে না!
৬| ১২ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরেকভাবে টাকা পাচার করা যায়। সেটা হোল রপ্তানিকারকরা রপ্তানি থেকে পাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার ৫% থেকে প্রায় ২০% (খাত ভেদে তারতম্য আছে) এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটার অধীনে (Export Retention Quota- ERQ) বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যাঙ্কে অর্থ রাখতে পারেন। এই বৈদেশিক মুদ্রা বিভিন্ন ব্যবসায়ীক কারণে খরচ করা যায়। এটার উপর তেমন কোন বিধি নিষেধ নাই। আগাম কোন অনুমতি লাগে না। এখান থেকে অনেকে কমিশন, দালালি বিদেশের অফিসের খরচ ইত্যাদি দেখিয়ে টাকা বা মিথ্যা খরচ দেখিয়ে টাকা বিদেশে পাঠাতে পারে।
অনেক রপ্তানিকারক আন্ডার ইনভয়েসিং করে এবং কম বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনে। বাকি টাকা বায়ারকে বলে বিদেশে পেমেন্ট করতে। ফলে রপ্তানির কিছু টাকা দেশে আসেই না। ফলে আমাদের দেশ বৈদেশিক মুদ্রা হারায়। রিজার্ভের উপর চাপ পড়ে।
এখন যারা অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করে তারা পেয়নিয়ার বা এই জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পায়। এই বৈদেশিক মুদ্রা তারা চাইলে নিজের দেশের ব্যাংক হিসাবে না এনে পরিচিত বন্ধু বা আত্মীয়ের বিদেশের হিসাবে ট্রান্সফার করে দিতে পারে পেয়নিয়ার হিসাবের মাধ্যমে।
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: ফের আপনার মন্তব্য দেখেই ভেবেছিলাম নতুন কোন তথ্য পাব।
পেয়েছিও তাই।
আমার জানার গন্ডিতে এবিষয়টা একেবারেই নতুন। ব্লগে না আসলে এমন কিছু জানতামই না কোন দিন।
ধন্যবাদ ফের।
৭| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
অর্থ পাচারের ধারনা না থাকলেও লাস্ট উইক আবার আজকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটো পোষ্ট থেকে যে ধারনা পেলাম সেটা বলি। আমার ধারনা শেরজা অতি শীঘ্রই একটা স্মাগ্লিং বিজনেস শুরু করতে যাচ্ছে।
তার প্রস্তুতিস্বরূপ একটা সার্ভে করে মার্কেটের অবস্থা বুঝে নিচ্ছে, সাধারণ মানুষেরা কতখানি কি জানে বা বোঝে।
কোনটা সেইফ, কোনটাতে ঝুঁকি বেশি, কোনটা মোস্ট পপুলার, কোন লাইনে লেস ইনভেস্টমেন্ট মোর প্রফিট, ওভারল একটা আইডিয়া নিয়ে তারপর আটঘাট বেঁধে শুরু করবে। গুড লাক ম্যান!
by the way, do you need a crime partner?
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
শেরজা তপন বলেছেন:
দাড়ান কিছুক্ষন হাইসা লই।
খোদাতালওয়া আমার সেই রকম বুকের পাটা দেয় নাই!
শুনেন সেইদিন সপ্নে দেখলাম 'গায়েবি( জ্বীন হবে সম্ভবত) কেউ আমারে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার দিয়ে কইতাছে- এইগুলা তোর। খুশী মনে উড়া' ঘুম ভাঙ্গার পরে দেখিয়া আমি ঘামতেছি। মনটা ব্যাপক খারাপ! ক্যান? টাকা হারানোর কষ্টে না- মন খাপা হইল এই ভাইবা যে, এত্তগুলান টাকা নিয়ে আমি করতাম কি? আমার সপ্ন পুরনের জন্য এত অর্থের প্রয়োজন নাই। আর মোদ্দা কথা; কষ্ট ছাড়া টাকা ইনকামের মজাই নাই।
এখন আপনি ভাইবেন না আমি লোভী মানুষ না। লোভ, আকাঙ্খা, লোলুপতা, ইর্ষা আমার অন্য দশটা সাধারণ মানুষের মত একই রকম।
আপনি পার্টনার হইলে আর কি চাই। এই কামে এইরকম ড্যাশিং, শিক্ষিতা, রূচীপূর্ন, শিল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিমনা লেডি ক্রাইম পার্টনার হইলে আর কি চাই। দুনিয়া তাফা তাফা কইরা ফেলামু
৮| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন আপনার ক্রাইম পার্টনার হতে চায়। আপনি রাজী আছেন নাকি দলে নিতে?
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
শেরজা তপন বলেছেন:
আমি সম্মতি জানাইছি। এগ্রিমেন্টে সাক্ষী-সাবুদ লাগবে। আপনি কিন্তু পয়লা সাক্ষী।
৯| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২
বিষাদ সময় বলেছেন: উচ্ছ মার্গের খেলা। আউট অফ নেটওয়ার্ক।
পপকর্ন নিয়ে গ্যালারিতে বসলাম।
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি কন এইটা তো স্মাগ্লিং বিজনেসের প্রথম ধাপ!
তবে ০০৭ টাইপ স্মাগ্লিং হইলে উচ্চমার্গের হইলেও হইতে পারে
আপনি পপকর্ণের সাথে কোক-টোক টাইপের ঠান্ডা কোন পানীয় নিবেন? না হলে গলায় আটকাতে পারে।
১০| ১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই হবু পার্টনার কিন্তু জীন গোত্রের মহিলা সদস্য। ওনার বাড়িতেই জীন ছিল (এখনও আছে মনে হয়)। হুজুর ডাকিয়া জীন তারাইছে বনিবনা হয় নাই বলিয়া। এই মর্মে পোস্ট দিয়েছিলো ২ বছর আগে। এনাদেরকে পেত্নি বলে। ব্লগে আরেকটা পেত্নি আছে যে নিজেকে শ্রী দেবী ভাবে। জীনের মাধ্যমে নিমিষে হাজার মাইল দূরের খবর আনা যায়। তাই ইহাদের দ্বারা ডলার পাচার করলে সিআইএও ধরতে পারবে না। কিন্তু সমস্যা হোল এরা নিমিষেই হাওয়ায় মিলাইয়া যায়। ডলার সহ হাওয়ায় মিলাইয়া গেলে তখন আম ছালা সব যাবে।
সাক্ষী হিসাবে আমার স্বাক্ষর করতে কোন সমস্যা নাই। ডাক দিলেই পাবেন আমাকে।
১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আরেকটা জ্বীনরে চিনি। সেইদিন রাইতে দেখলঃ), এই দুই জ্বীন মিলে আপনার সাথে খুব বাতচিত করল
আমি স্মাগ্লিং করবতো টাকা কামাইয়ের জন্য না- মজা নিবার জন্য। আর নিলে তো একবারই নিবে না-কি?
তবে পেত্নীরে আমি খুব ডরাই! ওই ভয় দিয়েন না ভাই পিলিজ
১১| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০০
বিষাদ সময় বলেছেন: সুইস ব্যাংকের নাকি কিছু নীতিমালা হয়েছে যার ফলে অবৈধ অর্থ সেখানে জমা রাখা যায়না। কথাটা কতটুকু সত্যি?
*কেউ স্বীকার করুক আর না-ই করুক আমার ধারনা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশী অর্থ-পাচার হয়েছে এই খাতে
ব্যাপরটার সাথে কিছুটা দ্বিমত আছে । স্বাধীনতার পরপর ব্যাপক হারে এই ঘচনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে যারা ওপারে অর্থকড়ি জমায় তারা কেউই খুব বড় মাপের বিত্তশালী নয়। বিত্তশালীদের গন্তব্য ওপার নয়, উন্নত বিশ্ব।
আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। যারা এদেশ থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে জাননি তারা এদেশের অর্খনীতিতে অবদান রাখছেন। কিন্তু যারা পরিবার পরিজন নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন তারা তাদের বাড়ি , গাড়ি সব বিক্রি করে অর্থ বিদেশে নিয়ে গেছেন, এমনকি অনেকে বাড়িভাড়া বা পেনশনের টাকা পর্যন্ত হুন্ডি করে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরই আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব বা ক্লায়েন্ট মিলেে এ সংখ্যা নেহায়েত কম না। যদিও টাকার অংকে এই শ্রেনীর ব্যাক্তিদের দ্বারা পাচারকৃত অর্থ দেশের মোট পাচারকৃত অর্থের তুলনায় নগন্য। তাপরও এরাও একটা শ্রেণী দেশের অর্থ পাচারে যাদের অবদান আছে বলে আমার মনে হয়।
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আমরা যা শুনি যা দেখি যা জানি তা কতকু সত্য বলা মুস্কিল।
তবুও নিচের লিঙ্কটা দেখুন। এখান থেকে সুইস ব্যাঙ্কে টাকা জমানো সন্মন্ধে কিছু ধারনা করা যায়;
Why do millionaires keep their money in Swiss banks?
*কেউ স্বীকার করুক আর না-ই করুক আমার ধারনা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশী অর্থ-পাচার হয়েছে এই খাতে;
আমি গত অর্ধ শতকের মোট গ্রোস হিসাব বোঝাতে চেয়েছি।
আপনার কথা ঠিক। আমার এক বন্ধু অস্ট্রেলিয়াতে গেনারেল প্রাক্টিশিয়ান, তাঁর গিন্নি ব্যঙ্কার!
দেশে তাদের দু;'জনেরই পূর্বপুরুষ প্রচুর সম্পত্তি রেখে গেছেন। তারা নিশ্চিত আর দেশে ফিরে আসবেন না। সেই অর্থ তারা কিভাবে নিবেন সেখানে? হুন্ডী ছাড়া আর কি কোন উপায় আপনার জানা আছে?
পপকর্ণ খাওয়া শেষ করে তো জোরে এক ধাক্কা দিলেন। আমিতো বেসামাল হয়ে গেছি
১২| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:২৪
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: view this link
এখানে হুন্ডি নিয়ে আলোচনা আছে। আপনার গত লেখাটাও পড়েছি। সুন্দর ও বিস্তারিত লেখা।
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ফের আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ব্রো!
রেফারেন্সটা কাজে লাগবে। ওর চুম্বক অংশ পরবর্তীতে হুন্ডি নিয়ে যখন বিস্তারিত আলোচনা করব তখন জুড়ে দিব। ভাল থাকুন নিরন্তর!
১৩| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
টাকা নাই তাই পাচারও করতে পারি নাই, হুন্ডিও না । তাই বলতে পারছিনে, কোন খাতটা বড়। তেমন ভাবনাও নেই।
তবে আপনার মতো স্বপ্নে টাকা পেলে ভেবে দেখতুম কি করা যায় .....................
সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যে অনেক কিছু জানা হলো, যেমন জানা হয়েছে আপনার পোস্ট থেকেও।
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার উপস্থিতিই আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করে।
আমারও নাই- বেশী আশা ও নাই। আরেকজনের পয়সা কড়ি নয়ে হুদাই ফালাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সাড়ে চুয়াত্তুর বেশ ভাল জানেন। ব্লগে আরো ছুপা রুস্তম আছে- কিন্তু তারা তাদের গুপ্ত জ্ঞান বিতরন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১৪| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
বিষাদ সময় বলেছেন: পপকর্ন গলায় লাগায় কেশে ফেলেছি....
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: থাক ভাই আর প্যারা দিয়েন না! আপনি ফের আরেক প্যাকেট পপকর্ণ খান- আমি বিল চুকিয়ে দিব।
১৫| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:১৮
বিষাদ সময় বলেছেন: প্যারাদায়ক হওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ ব্লগারদের আলোচনার বা জানার আর কোন স্কোপ রইলো না ভাই। ধন্যবাদ।
১৩ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি দেখি সিরিয়াসলি নিলেন ভায়া।
এই সব সওয়াল-জওয়াব না হইলে আমরা নির্ভুল তথ্য জানব কিভাবে??
আপনি যে কোন প্রশ্ন করার অধিকার রাখেন। তেমনি আমার ভুল ধরে যাচ্ছে তাই বলার অধিকারও আপনার আছে।
১৬| ১৩ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অন্যতম জাতীয় গুরত্বপূর্ন একটা ইস্যু আপনার লেখায় উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে সচেনতা তৈরি অতি আবশ্যক। আমাদের দেশে রক্ষকরা যেহেতু ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় সেহেতু বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক জনসচেনতা তৈরির বিকল্প নাই। কবে যে ওই দানবগুলা দেশটাকে নিজের দেশ মনে করবে!
১৩ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমার যতটুকু জ্ঞান গম্যি আছে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বয়ান করে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ব্লগারদের সাথে আলোচনা করে নিজেকে আরো ঋদ্ধ করতে চাইছি।
মানছি এখানে অনেক ভুল-ভাল তথ্য আছে কিন্তুএভাবেই একদিন দারুণ কিছু হবে বলে আশা।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
১৭| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: হুন্ডি ও অর্থ পাচার একে অপরের পরিপুরক। বিদেশে থাকায় এই বিষয়টা সম্পর্কে ভাল ধারনা আছে। হুন্ডি এজেন্ট বিদেশে ও দেশে উভয় জায়গাতে থাকে। দুই জায়গার এজেন্টরা যৌথভাবে এই ব্যবসা করে ।বিদেশের এজেন্টররা ডলার কালেকশন করে প্রবাসীদের( মুলত প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে) থেকে এবং দেশে থাকা এজেন্টরা টাকা কালেকশন করে যারা বিদেশে টাকা পাঠাতে চায় তাদের কাছ থেকে। এরপর দেশীয় এজেন্টরা টাকা পৌছে দেয় প্রবাসীদের পরিবারের কাছে বা টাকা জমা দেয় ব্যাংক একাউন্টে। একই ভাবে বিদেশি এজেন্টরা ডলার জমা করে দেশ থেকে যারা টাকা পাঠাতে চায় তাদের ক্লায়েন্টদের কাছে। অর্থাৎ টাকার কোন লেনদেনই হয় না এই প্রক্রিয়ায়। ব্যাাংকিং চ্যনেলে টাকা পাঠালে টাকার লেনদেন হয় এবং দেশ উপকৃৃত হয়।
এবার আসা যাক পাচার বলতে আমরা কি বুঝি ? আমাদের দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যায়। তাদের পিতামাতাকে বিদেশে টাকা পাঠাতে হয়। আবার অনেক প্রবাসী দেশ ছেড়ে বিদেশে সেটল ডাউন করেছে। তারা তাদের দেশীয় সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা বিদেশে নিয়ে যায়। এভাবে টাকা ট্রান্সফারকে যারা টাকা পাচার হিসেবে অভিহত করে, তাদের আসলে সভ্য দেশের নিয়ন কানুন সম্পর্কে কোন ধারনাই নাই। এসব ভ্রান্ত ধারনার কারনে আসল পাচারকারীরা পার পেয়ে যায়। টাকা পাচার হচ্ছে মুলত যারা অবৈ্ধ উপায়ে টাকা ইংকাম করে সেই টাকা দেশে না রেখে বিদেশের ব্যাাংকে জমায়। এই পাচারকারীদের কারনেই মুলত ব্যংকিং চ্যনেলকে শক্তিশালী না করে , অবৈ্ধ হুন্ডি চ্যনেল সক্রিয় রাখা হয়। হুন্ডি সচল থাকার কারনেই প্রবাসিরা ভাল রেট পাবার আশায় হুন্ডি এজেন্টদের কাছে ডলার দেয় আবার দেশে থাকা ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী বা বিদেসে যারা টাকা নিতে চায় তারাও এই পথে টাকা পাঠায়। ব্যাাংকের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানো মোটেও সহজ নয় আমাদের দেশে। হুন্ডি প্রক্রিয়াটাই যদি কঠোর হস্তে দমন করা হত তবেই কেউই আর এই পথে টাকা পাঠাতো না।
যেসব দেশের রাজনীতিবিদেরা জনগনের টাকা লুটপাঠ করে বিদেশে পাচার করে না সেসব দেশে হুন্ডি একটি অপরাধ হিসেবে গন্য হয়। উন্নত দেশের কথা বাদই দিলাম, আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতই তার ভাল উদাহরন।
১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে তথ্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অবৈধ আয় যাদের তাদের কতা বাদ দিলাম আপনি যদি আপনার বৈধ টাকা বৈধ চ্যানেলে বিশেষ প্রয়োজন বা কাজে অন্যদেশে পাঠাতে না পারেন তবে
হুণ্ডিই একমাত্র ভরসা।
তুমি বিদেশে বাড়ি গাড়ি সব কিনতে পারবা শুধু সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে টাকা সাদা করে বিদেশে পাঠাও( যেহেতু কালো টাকা সাদা করার এই বাজে নিয়মটা এখনো বলবত আছে) সমস্যা নাই।
অর্থপাচার বন্ধ হলে হুন্ডিতে টাকা আসাও বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার ভাবে যে বৈধ উপায়ে টাকা বাইরে পাঠালে রিজার্ভ কমে যাবে। এটা এক্কেবারে ভুল ধারনা। এটা করলেই বরং সুবিধা হবে বেশী।
যে দেশ থেকে বেশী রেমিটেন্স আসে তারা চায় যে টাকা হুন্ডিতে যাক- তাদের দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে- বৈদেশিক মুদ্রা্র রিজার্ভ ও কমবে না।
( এটা আমার ধারনা)। এবং সুযোগ তারাই দেয় বেশী বিজনেস ইমিগ্রেশন ও তাদের দেশে স্থায়ী আবাস গেড়ে বাড়ি গাড়ি কেনার ব্যাপারে।
১৮| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২১
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ এত এত অর্থ জমায়। অথচ সে ভোগ করে যেতে পারবে না যেনেও!!!!
১৩ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা কে কারে বোঝাবেরে ভাই। সবাই জানে তারপরে বলে
'মরুম বইল্যা করুম না বাইচ্যা থাকলে খামু কি'
১৯| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: সরকার ভাবে যে বৈধ উপায়ে টাকা বাইরে পাঠালে রিজার্ভ কমে যাবে।
বিষয়টা মোটেই তা নয়। বৈধ উপায়ে দেশ থেকে বিদেশে টাকা ট্রান্সফার বা বিদেশ থেকে দেশে রেমিটেন্স পাঠানো হলে ব্যাংকের রিজার্ভ আরো অনেক বাড়বে। ব্যংকিং খাত আরো অনেক শক্তিশালী হবে। কিন্ত সেটা করা হলেতো লুটপাঠের টাকা , ব্যাংকের ঋন খেলাপীদের টাকা বিদেশে পাচার করাতো সম্ভবপর হবে না।
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: সহমত। কিন্তু এটা করেনা কেন সেটা আমি আপনি ভালই জানি। নষ্টদের দখলে দেশ।
২০| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮
জটিল ভাই বলেছেন:
আপনার এই ধরণের শিরোনাম দেখে ভাবি,
"শেরজা ভাইয়ের এমন গুরুগম্ভীর লিখার বিষয়বস্তু নিয়ে ব্লগারগণ কি আদৌ ভাবেন?"
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি সবসময় স্যাটায়ার ও রম্য লিখতে পছন্দ করি।
কিন্রু কিসের চুলকানিতে যে এসব লিখি আল্লা মালুম!
তবে সবাই না ভাবলেও দু'চারজনতো অবশ্যই ভাবেন।
২১| ১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
টাকা পাচারের পুরো বিষয়টা যেহেতু অবৈধ পন্থায় হয়ে থাকে
সেজন্য এর সঠিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া মুশকিল। খুব প্রচলিত
হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার। বাংলাদেশের ভেতরে
দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ উপার্জন করা হয় সেটি মূলত
হুন্ডির মাধ্যমেই পাচার হয়। তাই হুন্ডির মুন্ডো চেপে
ধরতে হবে ।
অর্থ পাচারের বিষয়গুলোর উপর নজরদারির জন্য বাংলাদেশ
সরকারের একটি ইউনিট আছে নাম ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স
ইউনিট।তবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে
সরকারের আইন যতোই কঠোর হোক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে
অর্থ পাচার থেমে নেই।পাচারকারীরা নিত্যনতুন কৌশল খুঁজে
বের করছে।
অর্থ পাচারে শুধুমাত্র পাচারকারী দেশই দায়ী নয়
যে দেশে টাকা পাচার হয় তাদেরো দায় কম নয়।
পৃথিবীর অনেক দেশে বিশেষ করে কানাডায়
যারা পুরোপুরি নগদ টাকা দিয়ে বাড়ি ক্রয় করে তাদের
অর্থের উৎস সম্পর্কে কোন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না বলে
জানা যায়
সুত্র : https://www.bbc.com/bengali/news-55097316
অবৈধভাবে অর্থ পাচার কারীদেরকে রাজনৈতিক
আশ্রয় দিয়ে অর্থ পাচারকারীদেরকে শক্ত ও পাকাপোক্ত
নিরাপত্তা দেয়া হয়। বিষয়গুলি দেখে দেশের ভিতরে থাকা
অন্য পাচারকারীগন নব উদ্যমে কোমর বাধে অর্থ পাচারে।
অর্থ পাচারে সে সব দেশ প্রত্যক্ষ পরোক্ষ বহু ভাবেই অর্থ
পাচারকারী দেশের ক্ষতিতে সহায়তা করে ।
একদিকে রাজনৈতিক আশ্রয়দান পাচার কারীর বিচারের
পথ রুদ্ধ করে অপর দিকে অর্থ পাচারের দিকে বিবিধ
ধরনের দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড
বিঘ্নিত করে , উদাহরণ পদ্মা সেতু প্রকল্প সহ আরো অনেক
প্রকল্পের অর্থায়নে বাধা বিগ্ন সৃষ্টি করে উন্নয়ন প্রকল্পকে
দীর্ঘায়ীত করা ।
যাহোক, দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতিকর অর্থপাচারের সকল রাস্তা
বন্ধ করে একে রুখতে হবে ।
পাশাপাশি পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সকলকে সমবেতভাবে সোচ্চার হতে হবে ।
উল্লৈখ্য বিদেশে পাচারকৃত আর্থ ফিরিয়ে আনা খুব সহজ কর্ম নয় , বলতে গেলে অসম্ভব , তবে পাচার
কৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার নজিরো আছে ।২০১২ সালে সিঙ্গাপুর থেকে দেশের পাচারকৃত ২১ কোটি
টাকা ফেরত আনা হয়েছিল।
তাই বিদেশ হতে পাচারতৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সকলের সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন ।
১৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ডঃ এম আলী ভাই, অনেকদিন পরে আমার ব্লগে আপনাকে পেলাম। আপনার মন্তব্য মানেই ব্যতিক্রম কিছু ভাবনার স্বাদ পাওয়া, নতুন করে অনেক কিছু জানা।
(ব্লগে আপনার নিয়মিত বিচরন দেখে বেশ ভাল লাগছে। আশা রাখছি খুব শীঘ্রই আপনার কাছ থেকে দারুণ কোন নিবন্ধ পাব। তবে অপ্রাসঙ্গিক হলেও আবেদন রাখছি, শৈশব নিয়ে একটা লেখার।)
মন্তব্যে আপনি হুন্ডি ও অর্থ-পাচারের খাত ও এটা বন্ধ করার উপায় বা পাচারকৃত অর্থ ফিয়ে আনার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি এর আগে আমার একটা লিখায় কানাডায় অর্থপাচার নিয়ে আলোচনা করেছিলাম;
একটি অসভ্য জাতির আড্ডার গল্প!
সেখানে ইঙ্গিতে অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমি মনে করি যাদের দেশে আমরা কামলা খাটি তারা সেই কামলার কষ্টার্জিত অর্থ নিজেদের কাছে রেখে দেবার জন্যই হুন্ডী বা অর্থ পাচারে উৎসাহিত করে। বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ কখনো হুন্ডি বা অর্থপাচার বন্ধ করার জন্য কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি। বিজনেস মাইগ্রেটেড ভিসা, গোল্ডেন ভিসা, গ্রীন কার্ড বিভিন্ন লোভনীয় ফাঁদ দেখিয়ে তারা মুলত আমাদের মত দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের ( যারা মুলত প্রবাসী রেমিটেন্সের উপরে নির্ভরশীল) লোকদের অর্থ পাচারে উৎসাহিত করে।
ওরা যতদিন আন্তরিকভাবে না চাইবে অর্থপাচার ও হুন্ডী বন্ধ হোক ততদিন আমরা চাইলেও বন্ধ করতে পারব না।
আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
২২| ১৫ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার এই পোস্ট আগেই একবার পড়েছি, কঠিন সব প্রশ্ন। তবে বর্তমান সময়ে অর্থ পাচার পুরোপুরি রোধ করা প্রায় অসম্ভব। ই-কারেন্সি, ক্রিপ্টো কারেন্সির এই যুগে অর্থ পাচার এখন ডাল ভাত।
১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ই-কারেন্সি বা ক্রিপ্টো কারেন্সীতে কিভাবে অর্থপাচার করা যায় সেটা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন তবে নতুন করে কিছু জানা হোত।
দেরীতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের জনগণের একটা অংশের মাঝে দেশ প্রেমের বড় অভাব, অন্য অংশ এদের শয়তানী থামাতে পারছে না, মেজন্যই আমারা অর্থ পাচারের ঝামেলায় হাবুডুবু খাচ্ছি।