নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়া আসার পথে এই কবরস্থানটা পেরিয়ে যেতে হত। তখন আমার বাড়ি থেকে এটা মাত্র মিনিট তিনেকের পথ ছিল।
খুব কাছে তবুও এদিকে আসতাম না। কবরস্থানের পাশেই একটা খাল মত ছিল তারপরে উঁচু ঢিবি- বড় অবহেলিত ছিল জায়গাখানা। কোন গোছানো কবরস্থান নয়। জানাজা করে কোন মতে মাটি চাপা দিয়ে আসা। কবরস্থান জুড়ে ছিল জংলা গাছ আর লতা। একেবারে সামনের দিকে ছিল বড় বড় ধুতরা ফুলের গাছ- কাঁটাযুক্ত ধুতরা ফল ছিল আমাদের কাছে ছিল আতঙ্কের।! এ ফল খেয়ে নাকি হর হামেশাই লোকে পাগল হয়। গোরস্তানের পাশ দিয়ে একাকী বাড়ি ফিরতে গিয়ে গা ছম ছম করত। সন্ধ্যের ছায়া নামলে তো কথাই নেই- দোয়া দরূদ পড়ে বুকে ফুঁ দিয়ে চোখ বন্ধ করে দিতাম ভোঁ দৌড়। সন্ধ্যে হলেই কবরস্থান বা গোরস্থান জুড়ে বসত শেয়ালের আড্ডা। ওদের হুক্কা-হুয়া রবে আতঙ্ক আরো বেড়ে যেত।
সদ্য দাফন করা লাশ ওরা নাকি গর্ত খুড়ে টেনে নিয়ে যেত। সচক্ষে কতবার দূর থেকে এমন খোঁড়া কবরের পাশে টাটকা কফিনের কাপড় পড়ে থাকতে দেখেছি। কেউ কেউ কবর পাহারা দেবার ব্যবস্থা করত। কেউবা ঘন করে অনেক গভীর অব্দি বাঁশ পুতে রাখত, যাতে গর্ত খুড়ে লাশ নিয়ে যেতে না পারে।
***
এবার দেখি সেই কবরের চেহারা পালটে গেছে বহুখানি। চারপাশে কোমর সমান দেয়াল। ভিতরে সু-উচ্চ গাছের সারি। একেবেঁকে গেছে হাটার পথ। চারিদিকে সুসজ্জিত বাঁধানো কবর। ভিতরে ঢুকে ছিম ছাম পরিবেশ দেখে মনটা ভাল হয়ে গেল। কবরস্থানের চারপাশ ঘিরে দেখি অনেক পাকা বাড়িও হয়ে গেছে।
কিন্তু মনটা খারাপ হল অন্যখানে। প্রতিটা কবরের সামনেই এক বা একাধিক নাম ঝোলানো। কোনটায় স্থায়ী এপিটাফ। প্রতিটা কবরের গায়ের নাম পড়ি আর নস্টালজিক হই। এরা প্রায় সবাই আমার ছোট বেলার পরিচিতজন। এদের নিয়েই ছিল আমার ক্ষুদ্র পৃথিবীর সেই ছোট্ট ভুবন। কেউ এখানকার চেয়ারম্যান, মেম্বার মাতবর, কেউবা মুদী দোকানি, কেউ মাষ্টার। আমার দু’চারজন আত্মীয়, অতি প্রিয় ছোট ভাই, বন্ধু এমনকি অনুজেরাও চিরনিদ্রায় শায়িত আছে। এদের সাথে কত শত স্মৃতি। চারিদিকে শুধু চিরতরে তালাবন্ধ করে রাখা আমার হারিয়ে যাওয়া শৈশব কৈশোরের স্মৃতির বাক্স।
***
সামনেই খাঁ সাহেবের কবর: বেশ ছিমছাম বাঁধানো কবরের সাদা এপিটাফে তাঁর নাম লেখা। ‘ ওস্তাদ কানাই ইসমাইল খাঁ’
এই খানদানী ক্লাসিক্যাল গায়ককে।ছোট বেলায় দেখেছি। সেই মফস্বল শহরে যে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলেই আমন্ত্রণ পত্র না পেয়েও তিনি গরদের পাঞ্জাবী, কাঁধে একটা শাল আর ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খাঁ এর মত কিস্তি টুপি মাথায় হাজির হয়ে যেতেন। বয়স্ক মান্য-গন্য মানুষ। আয়োজকদের মুখ কালো হলেও ‘আমন্ত্রণ পত্র না পাঠাতে পারায়’ তারা ভীষণ লজ্জিত এমন ভাব করে সমাদর করে সামনের সারিতে বসিয়ে দিত।
একদিনের কথা বেশ মনে আছে;
ঘাট এলাকা! আনসার ক্লাবের খোলা মাঠে সামিয়ানা টাঙ্গানো। সামনে কয়েক-সারি গুটিকতক অভিজাত মানুষ আর পেছনে সারি সারি আম জনতা। স্বভাবতই চটুল গানের সমাদর বেশী। একের পর এক গায়ক স্টেজে উঠছে নামছে কিন্তু খাঁ সাহেবের নাম ঘোষণা হচ্ছে না।
খাঁ সাহেব অধৈর্য হয়ে খুঁজছেন আয়োজকদের – কিন্তু ওরা বেমালুম গায়েব! একটারও দেখা নেই। আচমকা আধো অন্ধকারে দুর থেকে কাউকে ঠাহর করে তিনি বজ্র নিনাদে হাঁক ছাড়লেন, কেরামত তুমি এদিকে আসতো।
কেরামতের তখন ঘাম ছুটছে- কাঁচুমাচু ভঙ্গীতে তাঁর কাছে আসতেই, বললেন; এই ব্যাটা আমি গাইব কখন?
কেরামত ভীষণ লজ্জিত কণ্ঠে বলল, চাচা- আর দু’জনের পরেই আপনার পালা। দেখেন না পেছনে ইতর ফাউল লোকজন বসছে- ওরা কি আপনার গানের মর্ম বুঝবে?
খাঁ সাহেব ঘাড় ঘুড়িয়ে পেছনে নজর বুলিয়ে শান্ত হলেন।
দুজন গায়ক তো বটেই, নতুন সিনেমার চটুল গানের তালে ক’জন নটিও নেচে গেল। একজন মেয়েলি কণ্ঠে প্রথম থেকেই কাঁদো কাঁদো স্বরে 'কবর' কবিতাও আবৃতি করে গেল! শুধু কি তাই; একখানা নাটিকাও মঞ্চায়িত হয়ে গেল।
কিন্তু খাঁ সাহেবকে আর ডাকে না।
খাঁ সাহেব বিরাট বিরক্ত। যদিও গান গাওয়াটা মুখ্য বিষয়- মান ইজ্জতের খুব বেশী পরোয়া করেননা তিনি। এবার নিজেই উঠে গিয়ে স্টেজের পেছনে গুলতানি মারতে থাকা আয়োজক কমিটিকে গিয়ে ধরলেন, -কিরে ব্যাটারা আমকে কি আজকে পুরো বেইজ্জতি করবি।
ততক্ষণে আমন্ত্রিত গায়কেরা-তো বটেই, এলাকার আতি-পাতি গায়কও গাইবার বাকি নেই।
প্রায় মাঝরাত তখন। ক্লান্ত শ্রান্ত দর্শক ঘোলা চোখে ঘুমে ঢুলু ঢূলু।
খাঁ সাহেব খুব সাজগোজ করে স্টেজে উঠে হারমোনিয়ামের রিডগুলো পরীক্ষা করে তবলচিকে বেশ খানিক্ষণ নির্দেশনা দিলেন।
এরপরে চোখ বন্ধ করে গভীর ভাবের জগতে চলে গিয়ে হারমোনিয়ামের রিডে আঙ্গুল বোলাতে বোলাতে খাকড়ি দিয়ে গলাটা পরিষ্কার করে নিয়ে অবশেষে গানের আঙ্গিনায় প্রবেশের চেষ্টায় আ আ আ করে মিনিট তিনেক রাগ সঙ্গীতের সপ্তম সুরে চড়ে ফের খানা খন্দ দিয়ে গড়াতে গড়াতে নীচে নেমে কাজী নজরুলের সুবিখ্যাত গান,
'বাজল কিরে ভোরের সানাই
নিঁদ মহলার আঁধার পুরে!'
'তিন চারবার একই লাইন রিপিট করে এ এ এ বলেই মুদ্রিত আঁখি আধখানা খুলতেই ভিমড়ি খাবার যোগার।
পেছনের আর মাঝের সারির দর্শক সব হাওয়া! সামনের সারিতে কিছু ভদ্রলোক 'মাছের চোখে' চেয়ে উঠে যাবার জন্য উসখুস করছে। শুধু আয়োজকদের কোথাও যাবার গতি নাই; তারা এদিক ওদিকে গল্প গুজবে ব্যাস্ত আর পান বিড়ি ফুঁকছে।
চান্দিতে আগুন ধরে গেল খাঁ সাহেবের। গান ছেড়ে বাঁজখাই কণ্ঠে তিনি খিস্তি করে বললেন, ‘শালার ছেলেরা গান বোঝেনা- গান শুনতে আসছে’।
তারপরেই ফের গানে মশগুল হলেন!
আ আ আ বাজলো –বাজলো-আ আ আ বাজলো কিরে- এ এ এ ভো-রের সানাই…
ইজ্জতের কুছ পরোয়া নেহি- তাঁকে আজ গাইতেই হবে।
***
এখানেই এক কবরে শায়িত আছেন এলাকার সবার প্রিয় শিক্ষক আমিনুল হক। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম তাঁর কবরের সামনে দুটো নাম বাঁধানো!!
কবরের উল্টোদিকেই খানিকটা এগিয়ে গেলেই আমার এক বাল্য বন্ধুর বাড়ি। আমিনুল স্যার ছিলেন ওরই বড় ভাই।
অবশ্য আমি তাঁকে ভাইজান বলেই ডাকতাম। উঁনার আরেক ভাই একটু ছোট বেলা থেকেই ছিল উড়নচণ্ডী-ভবঘুরে। সারাদিন দুনিয়ার বখাটে ছেলেদের সাথে টই টই করে ঘুরে বেড়াত। এই নিয়ে ওদের দুঃখের অন্ত ছিল না। বিশাল বারোয়ারি বাড়ি ছিল তাদের -পঁচিশ ত্রিশ জনের থালা পড়ত প্রতি বেলা।
তাঁর সেই ভবঘুরে ভাইয়ের বেশ কিছু গুন ছিল; কোনদিন কারো সাথে বেয়াদপি করেনি আর তাঁর মুখে কেউ গালি শুনেনি। রাত গভীর হলেই সে তাঁর কাচারি ঘরে টেপ রেকর্ডারে হেমন্ত সতিনাথ, মান্নাদে শ্যামলমিত্র আর তালাত মাহমুদের গান বাজাত। গভীর রাতে( মফস্বলে গভীর রাত মানে ১০টা সাড়ে দশটা) অনেকেই উৎকর্ণ হয়ে সেই গান শুনত। চাঁদনী রাতে আমি লক্ষ্য করেছি; এলাকার অনেক মেয়েই বাতি নিভিয়ে জানালার কাছে বসে নিবিষ্ট মনে চাঁদের দিকে উদাস চেয়ে সেই গান শুনত।
‘তোমারে লেগেছে এত যে ভাল চাঁদ বুঝি তা জানে’ ~ গানের সুরে তারা হারিয়ে যেত কোন সুদূরে কোন এক ফ্যান্টাসির জগতে।
কিন্তু তাদের এই ফ্যান্টাসির জগতে নিয়ে যাওয়া সেই ভবঘুরে ছেলকেকে কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে দেখিনি কোনদিন। যে কেউ দু’কথা জিজ্ঞেস করলে, সে মাটির দিকে তাকিয়ে কথা বলত।
আমাদের ছোট্ট আধা-শহরটাকে কাঁদিয়ে একদিন তাঁর বড়ভাই সেই অমায়িক,নিরহঙ্কার অতি আমুদে শিক্ষকটা (পারিবারিক ব্যবসাও সামলাতেন) মারা গেলেন – বয়স তখন তাঁর চল্লিশ ছুঁয়েছিল কিনা সন্দেহ আছে। এইতো তাঁর কবরখানা- তাঁর সেই অকাল মৃত্যুটা কেউ মেনে নিতে পারেনি। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছিল ছেলে বুড়ো সবাই।
***
আমিনুল স্যার যদিও ছিলেন গার্লস স্কুলের শিক্ষক তবুও পুরো মহকুমা জুড়ে তাঁর শিক্ষকতার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি নাকি একবার ফেরিঘাটে এক সাদা চামড়ার বিদেশীর সাথে ইংরেজিতে কথোপকথন করেছিলেন। কাছে দূরে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিলে সে দৃশ্য! মুহুর্তেই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল সে কথা; সেই থেকে তিনি সবার সমীহের পাত্র হন।
সবার ধারনা ছিল তিনি ইংরেজির বিশাল পণ্ডিত ( তবে ইংরেজীতে বেশ দখল ছিল তাঁর- বিটিভিতে অডিশন দিয়ে তিনি ইংরেজী খবর পাঠক হিসেবে যোগদানের আমন্ত্রন পেয়েও উপেক্ষা করেছিলেন)। দলে দলে ছাত্র ছাত্রী এসে তাদের পড়ানোর আবদার করতে থাকল। তিনি বড্ড লাজুক, নিরহঙ্কার সাধা-সিদে মানুষ ছিলেন- কাউকে না করতে পারতেন না। ঘরের বারান্দায় বসে পড়াতেন তিনি, ছাত্র ছাত্রীরা উঠন জুড়ে বসত। কারো সাথে রেগে কথা বলেননি কখনো। সারাক্ষণ পান চিবুতেন আর হেসে হেসে আদর করে পড়া শিখাতেন। এমনিতেই তিনি ভয়ানক ব্যস্ত মানুষ ছিলেন-কিন্তু কাউকে বুঝতে দিতেন না।
বাজারে বাপের তেলের ব্যবসা ছিল। তেল বলতে পেট্রোলিয়াম-জাত তেল। কখনো কখনো মধ্যরাতে তেলের লরি আসত। লরি থেকে তেল বুঝে নিয়ে দোকানে সাজিয়ে রাখতেন তিনি। এলাকায় পত্রিকার ব্যবসাও ছিল তাদের। ফজরের নামাজ সেরেই বাস-স্ট্যান্ডে চলে যেতেন দৈনিক ঢাকার বাইরের সংস্করণ টাটকা পত্রিকা আনার জন্য। পত্রিকা এনে সাজিয়ে গুছিয়ে বাঁধা হকারকে বুঝিয়ে নিজে একগাদা পত্রিকা কাঁধে নিয়ে বাজারের দোকান ও এলাকার গণ্যমান্য মানুষের বাড়িতে বিলি করে বাসায় ফিরতেন।
সেই ছোটবেলায় দেখেছি, বাড়িতে ফেরার পথে তাঁর মাথায় কখনো এক বস্তা চাল কিংবা উনুন জ্বালাবার খড়ি। মাথায় বোঝা নিয়ে হাটা অবস্থায় তিনি হাসিমুখে পথচারীদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।
বাড়িতে ঢুকেই দেখতেন; সেই সাত সকালেই তাদের উঠোন জুড়ে ছাত্র ছাত্রীরা বসে আছে। ফের একগাল হাসি দিয়ে সবাইকে প্রবোধ দিতেন, তোমরা দুই মিনিট বসো আমি আসতেছি।
কোন মতে নাকে মুখে একটু গুঁজে তিনি এক খিলি পান মুখে দিয়ে বারান্দায় বসে যেতেন পড়াতে। পড়ানোর মাঝেই এক-ফাঁকে গোসল সেরে পোশাক পাল্টে নিতেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় দিয়েই ছুটতেন তাঁর কর্মস্থল গার্লস স্কুলে। দুপুরের টিফিন টাইমে প্রায় দৌড়ে আসতেন দোকানে। বাপকে দুপুরের খাবার খেতে বাড়িতে পাঠিয়ে নিজে খালি পেটে একখান পান মুখে দিয়ে পত্রিকায় মুখ গুঁজতেন। এর মাঝেই খদ্দের এলে ড্রাম থেকে পাইপ চুষে তেল নামাতেন( এ বিষয়টা হয়তো অনেকের জানা নেই; তেলের বড় ড্রাম-তো কাত করা যায় না। কেউ তেল কিনতে আসলে নীচে গ্যালন ধরে ড্রামের মধ্যে পাইপ ঢুকিয়ে জোরে টান দিলেই পাইপ দিয়ে গল গল করে তেল বের হত)- তাঁর মুখ দিয়ে তখন কেরোসিন আর পেট্রোলের গন্ধ ভুরভুর করত।
স্কুল ছুটির পরেও তাঁর বিশ্রাম নেই। ফের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো- সংসারের টুকি টাকি কাজ করা, বাজার সদাই করা ছোট ভাই-বোনদের খোঁজ খবর নেয়া। কত দিকেই না নজর ছিল।
ছোট বেলা থেকেই তাঁর বাড়িতে ছিল আমাদের অবাধ যাতায়াত। কতদিন তিনি আমাকে কাঁধে চড়িয়ে ঘুড়িয়ে বেড়িয়েছেন। তাঁর ভাইবোন সবাই তাঁকে 'মিয়া ভাইজান' বলে ডাকত। সেই সুবাদে আমরাও তাঁকে ভাইজান সন্মোধন করতাম।
উঁনার মা ছিল দু'জন( এই গল্প অন্যসময় হবে ফের)। দু’জনে দুই বাড়িতে থাকতেন। ছোট মায়ের কোন সন্তানাদি ছিল না। তিনি দুই মায়েরই যত্ন-আত্বি করতেন সমান তালে। ছোট মা মানে তাঁর সৎ মা একা থাকত বলে প্রতিদিন যাওয়া আসার পথে দু’তিনবার তিনি তাঁর তত্ত্বতালাশ করতেন।
সন্ধ্যের পরে ফের চলে যেতেন দোকানে। বিদ্যুৎ বিল বেশী আসবে বলে তাঁর বাবা দোকানে বিদ্যুতের লাইন নেন নি তখনো। হারিকেন দিয়েই কাজ সারতে হোত। একবার-তো হারিকেন দিয়ে পেট্রোল ঢালতে গিয়ে তাঁর মুখটাই ঝলসে গেল! সে ব্যাপারটা সেই ছোট্ট মফঃস্বল শহরে ভীষণ আলোড়ন তুলেছিল তখন।
নিজে মাসিক,পাক্ষিক, ত্রৈয় মাসিক আর দৈনিক পত্রিকার ব্যবসা করেন বলে- প্রতিদিন ঘাটে হকারেরা পত্রিকা বিক্রি শেষে যে উদ্বৃত্ত্ব থাকত।সেগুলো ডাঁই করে রাখতেন দোকানে। সন্ধ্যের পরে হারিকেনের আলোয় মুখ গুঁজে পড়তেন রাজ্যের খবর। তাঁর বাবা ভীষণ বদমেজাজি ছিলেন বলে দিনের বেলা কেউ খুব একটা দোকানের কাছে ঘেঁষত না। কিন্তু ভাইজান বসলেই আশে পাশের সবাই এসে ভীড় জমাত। কেউ দোকানেই দাঁড়িয়ে বা বসে ম্যাগাজিন বা পত্রিকা পড়ত কেউবা নিজের দোকানে নিয়ে গিয়ে পড়া শেষে ফেরত দিয়ে যেত। কাউকে তিনি না করতেন না।
আমরা একটু বড় হয়ে ভাইজানের কাছ থেকে চেয়ে চিত্রালী, বিচিত্রা বাসায় নিয়ে আসতাম। সবার পড়া শেষে কখনো ফেরত দিতাম, কখনো দিতাম না। ছেঁড়া- ফাটা তরকারির ঝোল লাগানো ম্যাগাজিন দেখেও তিনি কখনো গোস্যা করতেন না। এলাকার মা-বোনেরাও সুযোগ মত তাঁকে বিশেষ কোন ম্যাগাজিন বা পত্রিকা এনে দিতে অনুরোধ করলে, তিনি যেভাবেই হোক খুঁজে এনে দিতেন।
তবে সেই মহকুমা শহরের সবচেয়ে, অমায়িক-সদা লাস্যময়, নিষ্কলুষ চরিত্রবান সবার আদর্শ সেই তরুণ শিক্ষক মাঝে মধ্যে দুই তিনদিনের জন্য উধাও হয়ে যেতেন। কোথায় যেতেন কেন যেতেন এবিষয়ে কিছু মানুষ জানলেও মুখে কুলুপ এঁটে রাখত। তিনি ফিরে আসার পরে ছাত্র-ছাত্রীদের কেউ জিজ্ঞেস করলে ভীষণ লজ্জা পেয়ে শুধু প্রতিউত্তরে বলতেন, বর্ডারে গিয়েছিলাম।
সবাই নিশ্চিত যে উনি চোরাচালানীর সাথে জড়িত নন তবে কেন তিনি মাঝে মধ্যে দু-চারদিনের জন্য বর্ডারে যান। আমাদের কাছে বিষয়টা ভীষণ রহস্যজনক মনে হোত। এ বিষয়ে কৌতুহল মেটাতে বড়দের কাছে জিজ্ঞেস করলেই ধমক খেতাম।
অবশেষে তাঁর ছোট ভাই, যে আমাদের জিগার দোস্ত ছিল সে-ই খুলে বলল ব্যাপারটা। ওর বাবা একসময় ভয়ঙ্কর মাদকাসক্ত ছিল। যৌবনে সময়ে এমন কোন নেশা দ্রব্য নেই যেটা তিনি গ্রহণ করেনি(৫০-৬০ এর দশকে)। একসময় আফিমে আসক্ত হয়ে পড়লেন।দ্বিতীয় বিয়ে করার পরে তিনি ধীরে ধীরে সব ছেড়ে দিলেও আফিম ছাড়তে পারলেন না। নিয়মিত আফিম সেবন না করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমার বন্ধুর কথায় আফিমের বিষক্রিয়ায় তাঁর রক্ত এতটাই বিষাক্ত হয়ে গেছে যে, কোন সাপ বিচ্ছু কামড়ালে তাঁর কিছুই হয় না উল্টো যে দংশন করে সেটারই মরণদশা হয়।
আফিম এর স্টক শেষ হয়ে গেলে ভাইজানের দায়িত্ব ছিল সেটা সংগ্রহ করে। আফিম মজুত ও বিক্রি করা ছিল অবৈধ। বাংলাদেশে আফিমের তেমন চাহিদা না থাকায় কেউ এ মাদক গোপনেও বিক্রি করত না। তাই ভারতের বর্ডারে গিয়ে কোন এক উপায়ে চোরাচালানীদের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে আফিম সংগ্রহ করতেন তিনি। আমাদের স্থানীয় থানাও বিষয়টা অবগত ছিল- তারাও মানবিক কারনে বিশেষ ছাড় দিত।
(এবার উনার বাবা মোরাই চাচার গল্পটা একটু করি; ভীষণ বদরাগী আর স্বল্পভাষী মানুষ ছিলেন তিনি। হাতে গোনা কয়েকজন গণ্যমান্য লোক ছাড়া আর কারো সাথে খুব একটা কথা বলতেন না। তিনি কৃপণ ছিলেন না কিন্তু খুব হিসেবী মানুষ ছিলেন। লুঙ্গী পরে জামাটা সবসময় কাঁধে ঝুলিয়ে উদোম গায়ে চলাফেরা করতেন। এর খানিক ব্যাত্যয় হত শুধু শীতকালে।
আমার বন্ধুকে তাঁর জামা কাঁধে রাখার কারনটা জিজ্ঞেস করলে বলত; আফিম খাবার জন্য গায়ে নাকি সারাক্ষণ জ্বালা করে।
পড়াশুনা করলে ছেলেরা বিগড়ে যাবে, সাহেব হবে বাপের কথা শুনবে না সেজন্যই তিনি ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করার বিপক্ষে ছিলেন। ম্যাট্রিক পাশ করলেই খতম। ভাইজান তাঁর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে পড়াশুনা করেছেন বলে তিনি বেশ খাপ্পা ছিলেন তাঁর উপরে। পদে পদে তাঁর ভুল ধরতেন আর শিক্ষিত হওয়ার জন্যই এমন করছেন বলে গালি দিতেন! তাঁর মতে; সমাজের সব অনাচার অজাচারের মুলেই হল উচ্চশিক্ষা। এত করার পরেও তিনি কোনদিনও ভাইজানের উপর খুশী হতে পারেননি। সামান্য ভুলচুক হলেই ভীষণ বকতেন। ভাইজান কোনদিনও তাঁর সামনে গলা উঁচিয়ে কথা বলেননি। তাঁর সবচেয়ে ক্ষোভ ছিল ভাইজানের 'ফুল প্যান্ট' পরা নিয়ে সম্ভবত।
এ প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ছে; তাঁর ছোট ভাই আমার বন্ধু যখন ম্যাট্রিক পাশ করে বাপের মতের বিরুদ্ধে ভাই এর সহযোগিতায় কলেজে ভর্তি হলে বাপের চক্ষুশূল হল। জেলা শহরে কলেজ। সেখানে তো লুঙ্গি পরে যাওয়া যায় না- তাই সে বাপের কাছে একদিন আর্জি করল একটা ফুল প্যান্ট বানানোর।
কথা শুনেই ওর বাপ কষে দিল এক থাপ্পড়, তাঁর পর কান ধরে বলল, 'ব্যাটা প্যান্ট পরে আমিনুলের মত সাহেব হবা? তুই পড়বি পায়জামা, তুই প্যান্ট বড়বি ক্যান?
আমারে ক তুই কি আমিনুল হইতে চাইস?
আমার সেই বন্ধু গ্রাজুয়েশন মাস্টার্স করেছিল সার্টের নীচে পায়জামা পরে। ভাগ্যের ফেরে এক সময় পুরো ব্যবসা তাঁর হাতে চলে এসেছিল- তখনই সে ফুল প্যান্ট পরা শুরু করেছিল।)
সদা হাস্যময় সুদর্শন মাটির মানুষ ভাইজান বিয়ে করে আনলেন এক কর্কশ চেহারার শুষ্ক মহিলাকে। পুরো এলাকার মানুষ সেই বউ দেখে হতাশ!
সবার এক কথা ‘আমিনুল এইডা কি বিয়া করল’!! কেউ কেউ বলল, আহারে কি সুন্দর ছাওয়ালডারে সহজ সরল পাইয়্যা এট্টা বুইড়্যা বেটিরে ধরায় দিল। ( আসলে তিনি বেটি নন –তরুণীই ছিলেন, কাঠ খোট্টা চেহারার কারনে বয়স্ক লাগত তাঁকে)। চারিদিকে ফিসফাস হচ্ছে; তাঁকে নাকি পাত্রী দেখাতে নিয়ে গিয়ে এক ধুরন্ধর ঘটক এলাকার লোকদের সহায়তায় জোড় করে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন। নিপাট ভদ্রলোক ভাইজান লজ্জায় না করতে পারেননি।
তবে এ বিয়েতে আমাদের একটা লাভ হয়েছিল। ভাবির ছোট ভাই ছিল আমাদের বয়েসী। তাঁর সাথে আমাদের দারুণ সখ্যতা হয়ে গেল। একসময় সবাই আমরা হরিহর আত্মা হয়ে গেলাম। ছুটিতে সে বুবুর বাড়িতে বেড়াতে এলে দিন-রাত আড্ডায় মেতে থাকতাম।
নতুন বউ বাড়ির উঠোনে পা দিয়েই তাঁর কারিশমা দেখাতে শুরু করল ফলে মাসখানের মধ্যেই আলাদা চুলো আর ছ’মাসের মধ্যে গৃহান্তর!
ভাইজান ভীষণ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে চলে এলেন ঠিক আমার বাড়ির সামনেই তাঁর ছোট মায়ের পাশে। সেখানেও শান্তি নেই। সেই মহিলার এলাকার কারো সাথেই সদ্ভাব হয় না। শিক্ষিত ভদ্রমহিলা উচ্চস্বরে ঝগড়া করেননি তিনি কখনো কিন্তু তাঁর কাষ্ঠ-কঠিন আচার ব্যাবহারে প্রতিবেশীর পিত্তি জ্বলে যেত।
ভাইজান কিন্তু তাঁর বৌকে প্রচণ্ড ভালবাসতেন। সে যা চাইত তা এনে হাজির করার প্রানন্ত চেষ্টা ছিল তাঁর। প্রথম সন্তান হবার পরে মায়ের বুকের দুধ পেত না। বৌয়ের আদেশে ঢাকা থেকে কৌটার দুধ কিনে নিয়ে যেতেন। কাঁথা আর ইজের ছাড়া বাচ্চার জন্য অন্য কিছু ভাবতে পারেনি তখ। কিন্তু তিনি বাচ্চাকে ডায়াপার পরাতেন।
মেয়েটাকে যে কি আদর করতেন তিনি- সারাক্ষণ তাঁকে কোলে বসিয়ে ছাত্র পড়াতেন আর বাবুটাকে চকাস চকাস করে চুমু খেতেন। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও ভিতরে ভিতরে হয়তো ক্ষয়ে যাচ্ছিলেন। তবে স্কুল শেষে কলেজে ভর্তি হয়ে ঢাকায় চলে আসায় চাক্ষুষ দেখা হয়নি তাঁকে।
পর পর দুটো মেয়ে হবার পরে তাঁর ভীষণ সখ ছিল একটা ছেলের।তার স্ত্রী তখন সন্তান সম্ভবা। আচমকা তিনি সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেলেন।
মোরাই চাচা ছেলের মৃত্যুতে ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছিলেন। অল্প ক'দিন বাদেই তিনি শয্যাশায়ী হন। শুনেছি গভীর রাতে ‘আমার আমিনুল- আমার আমিনুলরে’ বলে চিৎকার করে তিনি কাঁদতেন। চাচা মারা যাবার পরে তাঁকে তাঁর বড় ছেলের কবরেই শায়িত করা হয়। এই ভুবনে পুত্র বাবার স্নেহের পরশ না পেলেও অন্য ভুবনে চিরনিদ্রায় তাঁরা পরম মমতায় জড়াজড়ি করে শুয়ে আছেন!!
শেষ কথাঃ আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে ভাইজানের মত আর একটা মানুষের দেখা পাইনি যাকে একজন মানুষও অপছন্দ করে। তাঁর মৃত্যুতে আমার সেই ছোট্ট শহরটা শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। শত শত ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল সেদিন। আমিনুল স্যার বা ভাইজানের বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প ও তাঁর সাথে জুড়ে থাকে মানুষদের কথা পরিপূর্ণভাবে এত স্বল্প পরিসরে লেখা সম্ভব নয়। তিনি তো বটেই তাঁর ছোট মায়ের ( আমার ‘নটি’ নামে দু’পর্বের এক স্মৃতিকথায় তাঁর গল্প আছে) জীবনকথা নিয়েই একটা উপন্যাস হয়ে যায়। তাই লেখাটা এখানে শেষ করতে মন চাইছিল না- অনেক কথা অব্যক্ত রয়ে গেল।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: মৃত মানুষদের গল্প- অবশ্যই পড়ে জানাবেন। আলোচনা সমালোচনা করলে আনন্দিত হব।
২| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬
অশুভ বলেছেন: আগে মন্তব্য করে গেলাম। পুরোটা পড়ে ফের মন্তব্য করবো।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্য যখন এত তাড়াতাড়ি করেছেন তখুনি বুঝেছি পড়া হয়নি।
লেখাটা দুদিন বাদে দেবার ইচ্ছে ছিল- কিন্তু রিভাইস করতে গিয়ে লেখা বেড়েই যায়। তাই আর রিস্ক নেইনি। এতবড় লেখা পড়তে সময় লাগবে- সময় নিয়ে পরে জানাবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
৩| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮
অশুভ বলেছেন: ওস্তাদ খাঁ সাহেবের অংশটুকু পড়ে মজা পেয়েছি। তবে আমিনুল স্যারের জন্য খুবই মায়া লাগছে। আপনি একটু ব্যতিক্রমী স্মৃতিচারণ করেছেন। মনটা কেমন বিষন্ন হয়ে গেলো। লেখায় ভালো লাগা।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমে মন-খারাপের আমৃতিচারণ দিয়ে শেষে ওইটুকু দিতে চেয়াছিলাম- পরে ফের সিদ্ধান্ত পাল্টেছি। কষ্টের আগে একটু হাসি ঠাট্টা দিয়ে শুরু হোক।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।
৪| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
অশুভ বলেছেন: তাই লেখাটা এখানে শেষ করতে মন চাইছিল না- অনেক কথা অব্যক্ত রয়ে গেল।
-অব্যক্ত কথাগুলো নিয়ে কয়েকটা পর্ব লিখা যায় কি? লেখা বেশী বড় হলে অনেকেই পড়তে চায় না।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমারটা পরে হবে -আপনি শৈশোবকালের স্মৃতিকথা লিখে ফেলুন ঝটপট।
* আমার আরো অনেক অনেক আত্মজন প্রিয়-অপ্রিয় মানুষকে নিয়ে লেখা বাকি আছে- কিন্তু হাতে কতটুকু সময় আছে, তাতো জানিনা।
৫| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
চাঁদনী রাতে আমি লক্ষ্য করেছি- এলাকার অনেক মেয়েই বাতি নিভিয়ে জানালার কাছে বসে নিবিষ্ট মনে চাদের দিকে উদাস চেয়ে সেই গান শুনত।
শেরজা সেই মেয়েদের জানালার পাশে কি করতো এতো রাতে????
আলো নেভানো থাকা সত্ত্বেও সেই নারীদের দৃষ্টি যে উদাস, সেটাও শেরজার চোখ এরায়নি, প্রখর অভজারভেশন চান্দু
তাও আবার একটা বা দুটা মেয়ে না, অনেক মেয়ে!!!
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় এমন একটা সেন্টিমেন্টাল লেখা দিলাম আর কিনা আপনি বেছে বেছে ঐ লাইনটাই ধরলেন!!!!
তখন কি আর বুঝেছি- এখন সাত ঘাটের জল খাওয়া মনটা বুঝে । এর মধ্যে আমার দুই বড় বোন ও ছিল
৬| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার লিখাটি পড়তে পড়তে বেশ নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম।
কিন্তু, আমি যে প্রশ্নটি করতে চেয়েছিলাম সে প্রশ্নটি মিরর উত্থাপন করে ফেলেছে, দেখি তপন দা কি জবাব দেয় তা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা আপনাকে অতীত রোমন্থন করিয়েছে জেনে আপ্লুত হলাম।
ডল আপুর কথায় কান দিবেন না। আমি খুব শান্ত নিরিহ গোবেচারা টাইপের সুবোধ বালক ছিলাম।
ওই বয়সে ভাবতাম প্রেম করে খারাপ মানুষ!!
৭| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
‘তোমারে লেগেছে এত যে ভাল চাঁদ বুঝি তা জানে’ ~ গানের সুরে তারা হারিয়ে যেত কোন সুদূরে কোন এক ফ্যান্টাসির জগতে।
তাই নাহ???
এখানে তারা বলতে মেয়েরা না, আমার মনে হয় সেই ভাইয়ের গান শুনে শেরজা আর তার প্রেমিকা চাঁদের আলোয় ফ্যান্টাসির জগতে হারিয়ে যেতো। লজ্জা পাচ্ছে নিজেদের কথাটা বলতে, its okay man! লজ্জাইতো পুরুষের ভূষণ
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আরেহ আমার বয়স তখন কতই বা বড়জোর ১১/১২। আমি এলাকার সর্বকালের লাজুক আর নম্র স্বভাবের বালক ছিলাম তবে গান শুনে ফ্যান্টাসির জগতে হারিয়ে যাবার মত রোমান্টিক ছিলাম কি না বলতে পারি না
৮| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এর মধ্যে আমার দুই বড় বোন ও ছিল
সত্যি সত্যি বোন, নাকি সেদিন রানার পোষ্টের শেফালি আপার মতো সিনিয়র আপা?
দেখলাম রানাকে বললো, এরকম সিনিয়র স্টোরি শেরজারও আছে।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: না নাহ আমার আপন দু'বোন। 'আইরিন আর জেসমিন'। আমি সিনিয়র রমণীদের প্রেমে পড়িনি কখনো। ইনফ্যাক্ট আমি প্রেমে পড়িই নি কখনো। প্রেম কি চিজ তাই বুঝলাম না আজও অব্দি
৯| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
ভাইজান কিন্তু তাঁর বুকে প্রচণ্ড ভালবাসত।
এখানে মনে হয় শব্দটা বৌকে লিখতে চেয়েছিলো।
কিন্তু শেরজার লেখার সময় পুরনো প্রেমিকাদের কথা মনে হওয়ায় বাই মিস্টেক বুকে হয়ে গেছে।
মায়ের বুকের দুধ পেত না বলে বুয়ের আদেশে ঢাকা থেকে কৌটার দুধ কিনে নিয়ে যেতেন।
সেইম হিয়ার, বৌয়ের আদেশে হবে মনে হয়।
লেখার সময় মনটা যে কোথায় ছিলো!!!
সেই চাঁদের আলোয় কোন জানালায় কে জানে!!!
২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
শেরজা তপন বলেছেন: ওটুকু শেষ মুহুর্তে তাড়াহুড়ো করে লিখেছি। অনেকটুকু অংশ জুড়েছি আবার কেটে ফেলেছি, তাই ভুলে মিসটেক হয়ে গেছে।
যাই হোক আপনার চোখ কিন্তু ঈগলের। শুনেছি অষ্ট্রেলিয়ার এক আদিবাসী ছয় মাইল দূর থেকে শিকার দেখতে পায়- আপনি কি তাদের জ্ঞাতি গুষ্টি?
বৌ এর কথা লিখতে গেলে যে হাত-বুক কাঁপে এটা অসত্য নয়
ঠিক করেছি- আর কি ভুল আছে জানান প্লিজ।
আপনার একটা বাল্য স্মৃতিকথা পড়ার জন্য আকুল অপেক্ষায় আছি। পিলিজ লিখেন।
১০| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চলুক মিরর আপু... প্রোভাইডিং লাইক অন অল অব ইওর কমেন্টস।
২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২
শেরজা তপন বলেছেন: ফের আগুনে ঘৃতাহুতি দিলেন ব্রো।
এবার তাঁর বাল্য-স্মৃতিকথা লেখার কথা বলে থামিয়ে দিলাম।
১১| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো আগের কথা কীভাবে যে মনে রাখেন। আমার মনে থাকে না।
দুই জায়গায় বউকে বু লিখেছেন।
বাপের জন্য আফিম কিনতে যেত ছেলে।
২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: মিরোর আপু ভুলগুলো ধরেছিল। ঠিক করে দিয়েছি। ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
চোখের সামনে ঘোরে যাওয়া নিত্যদিনের ঘটনা- আর বহু বছর বাদেও এই নিয়ে আলোচনা। সব মিলিয়ে রি-কল করতে একটু কষ্ট হলেও জোড়া তালি দিয়ে মিলিয়ে দিয়েছি। আসলে সেই কবস্থানে না গেলে এই স্মৃতিগুলো হারিয়েই যেত।
হ্যাঁ যেত- এটা শতভাগ সত্য। শুধু তাই নয় উনার ছোট মায়ের ভয়ঙ্কর এক অতীত ছিল, সেটাকে মেনে নিয়েছিলেন খুব সাবলীলভাবে।
এখানে একটুখানি আছে চাইলে পরে দেখতে পারেন; নটী- পর্ব ২
১২| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
বৌ এর কথা লিখতে গেলে যে হাত-বুক কাঁপে এটা অসত্য নয়
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:
দুই জায়গায় বউকে বু লিখেছেন।
অন্যের বৌকে নিয়ে লেখার সময়ও নিজের বৌয়ের চেহারা সামনে চলে আসে।
শেরজার এতো বছরের সংসার আর পোলাপান নিয়ে এখন জামাই বৌয়ের সম্পর্ক হয়ে গেছে ভাইবোনের মতো।
তাই যখনই সে বৌ লিখতে যায়, মনের অজান্তে সেটা বু হয়ে যায়, আই মিন বুবুজান
সেকারনেই হাত বুক কাঁপে।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: আরে নাহ এখন রোমান্স আছে- ঝগড়াতে রোমান্স বাড়ে। বিয়ের বয়স সবে সতেরোতে পড়ল- এ আর এমন কি!! হাঃ হাঃ
দোয়া করেন 'বু' যেন না হয়। আমার টপ কর্পোরেট বন্ধুরাতো কেউ বউ-এর সাথে ঘুমায় না
হাত বুক কাপলে সমস্যা নাই, বউ ই তো
১৩| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
শুনেছি অষ্ট্রেলিয়ার এক আদিবাসী ছয় মাইল দূর থেকে শিকার দেখতে পায়- আপনি কি তাদের জ্ঞাতি গুষ্টি?
জ্ঞাতি গুষ্টি হবো কেনো!! আমিই সেই এক আদিবাসী
লেখক বলেছেন:
এবার তাঁর বাল্য-স্মৃতিকথা লেখার কথা বলে থামিয়ে দিলাম।
আর ইউ সিওর, সে থেমেছে???
তাকে থামাতে গিয়ে শেরজাই থেমে গেছে, লগ আউট অলরেডি।
এখন সাত ঘাটের জল খাওয়া মনটা বুঝে
ইনফ্যাক্ট আমি প্রেমে পড়িই নি কখনো।
প্রেম কি চিজ তাই বুঝলাম না আজও অব্দি
কিন্তু শেরজা কি চিজ সেটাতো জানি।
সাত ঘাটের জল খেয়েও বলে প্রেমে পড়েনি।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: এই ফাঁকে কত বড় আগুন নেভালাম আপনি তা আর কি উপলব্ধি করবেন
আজ ছেলে-মেয়ের শেষ ক্লাস। কাল ক্লাস পার্টি। কত সব ফর্দ। বু স্যরি বউ এর আদা রশুন মাছের বায়না। কাল করেছিল-কাজে ব্যাস্ত ছিলাম দেখে একটু খটমট হয়েছিল। আজকে পুরো উসুল করল। আদার কেজি ৫০০ টাকা- ভাবা যায়!!
বিশ্বাস করেন না। রাশিয়ায় আমার এক বাবনিক বন্ধু কোন এক মৌলভীর খপ্পরে পড়ে সাত দিন রোজা রেখে বেজায় খুশ। জিগাই কিরে দোস্ত রোজা রাইখা এত খুশ ক্যান? ও কইল, দোস্ত আমিতো ভার্জিন হয়ে গেছি!!!!
১৪| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
আমি সাজিদ বলেছেন: মধ্যরাতে ওস্তাদ কানাই ইসমাইল খাঁয়ের গলায় বাজলো কিরে ভোরের ও সানাই- নিদ মহলার আধার ও ফুড়ে শুনে শ্রোতাদের অবস্থা কল্পনা করতেই হাসি থামাতে পারলাম না।
আমিনুল স্যার ও তার ভবঘুরে কিন্ত গানপ্রেমী বিনয়ী ভাইটি সমন্ধে জেনে বিমোহিত হলাম। এই ভাইটি নিয়ে বিস্তারিত জানার আগ্রহ হচ্ছে। তাদের বাবা মোরাই চাচা যে নানা গুনে গুনান্বিত বড় পুত্রকে ভালোবাসতেন তা শেষে শোকে শয্যাশায়ী বাবার অবস্থায় ফুটে উঠে। আমার তো আমিনুল স্যারের দজ্জাল বউয়ের উপর বেশ রাগ হচ্ছে। ভেতরে ভেতরে মানুষটিকে শেষ করে দিল এভাবে! বাবার জন্য স্যারের আফিমের স্টক কিনে আনার কাহিনী বেশ রোমাঞ্চকর।
ছুঁয়ে যাওয়া কাহিনী শেরজা ভাই। আপনার স্মৃতিকথায় আমিনুল স্যার ও আপনাদের সেই ছোট্ট শহরে তার ছায়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: ওটা ফুড়ে হবে না টুটে হবে? দারান দেখে নিই
ওরে খাইছে ফুড়ে টুটে কোনটাই হবে না হবে 'পুরে'
বাজল কিরে ভোরের সানাই
নিঁদ মহলার আঁধার পুরে!
আমি আগে থেকেই দ্বীধান্বিত ছিলাম কিন্তু দেখার সুযোগ পাই নাই!!
হ্যাঁ ভবঘুরে ভাই, আমার সেই বন্ধুর কথা যে একসময় বিশাল ধনী পরে দেউলিয়া হয়ে দেশান্তরী হয়েছে এদের অনেক গল্প আছে। আমাদের সেই বিয়াই বন্ধু এখন তাঁর এলাকায় চেয়ারম্যান।
ওহ তাঁর সেই কাঠখোট্টা গিন্নীর চরম সংগ্রামের গল্প আছে। সে এখন বিধবা নারীদের আদর্শ।
মন্তব্যে দারুণ অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ।
১৫| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি সাজিদ বলেছেন: মধ্যরাতে ওস্তাদ কানাই ইসমাইল খাঁয়ের গলায় বাজলো কিরে ভোরের ও সানাই- নিদ মহলার আধার ও ফুড়ে শুনে শ্রোতাদের অবস্থা কল্পনা করতেই হাসি থামাতে পারলাম না।
হাসিও লেগেছে, আবার সেই ওস্তাদ ভদ্রলোকের জন্য মায়াও লেগেছে, বেচারা !!!
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আমি একজন গুণী মৃত মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা করেছি- সেজন্য দুঃখিত। তিনি আসলেই গোবরে পদ্মফুল ছিলেন।
সারাজীবন সব প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ে একাকী সাধনা করে গেছেন। মানুষকে ক্লাসিক্যাল গানের প্রতি ভালবাসা জাগাতে চেয়ে বার বার ব্যার্থ হয়েছেন।
কেউ তাঁকে কখনো মুল্যায়ন করেনি।
তাঁর কষ্টের কথাও লিখব এক সময়।
১৬| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
আমি সাজিদ বলেছেন: মিরর আপু আর ভূত ভাই মোক্ষম জায়গায় পয়েন্ট আউট করেছে। তপন ভাইয়ের রুশ স্বর্ণকেশী কোন প্রেমিকা ছিল না এইটা আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না! বাঙালি যুবক চোখের মায়ায় দুনিয়া নাচাতে পারে।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: সব 'মায়া' রে ভাই সব মায়া। সত্য বলে কিছু নাই।
বিয়ার পরে অতীতের প্রেম পিরিতি বলে কিচ্ছু নাই। এখনতো আমি নির্বাক সাধু
১৭| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
আমি সাজিদ বলেছেন: মিডো আপু ও বাকিরা হ্যাঁ কিছুটা অনুভব করেছি বটে ওস্তাদের জন্য।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১০
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ- আমি তাঁকে নিয়ে কিছু কথা বলেছি মিরর আপর মন্তব্যের উত্তরে। আশা করি পড়বেন।
১৮| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে ভাইজানের মত আর একটা মানুষের দেখা পাইনি যাকে একজন মানুষও অপছন্দ করে।
এ লাইনটা পড়ে আমার বোনের কথা মনে হলো। আমি একজন মানুষ পাইনি যে তাকে অপছন্দ করতো, উল্টো প্রতিটা মানুষ ফ্যামিলি, ফ্রেন্ডস, রিলেটিভ সবাই তাকে এতো বেশি পছন্দ করতো!! সবাইকে কাঁদিয়ে খুব অকালে সে চলে গেলো।
ভালো মানুষেরা কেনো এতো তাড়াতাড়ি চলে যায়!!!
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আপন বোন?
তাঁর জন্য কষ্ট লাগছে। আমার সবচেয়ে প্রিয় ছোট ভাইটাও তো অকালে চলে গেল- ওখানেই ওর কবর আছে। একটু দুরন্ত দুষ্টু ছিল কিন্তু অন্তরটা ছিল ইয়া বড়।
মানুষ বেশী দিন বেঁচে থাকলে খারাপ হয়ে যায়- তাই ভাল মানুষেরা আগেভাগেই চলে যায়।
১৯| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি সাজিদ বলেছেন: তপন ভাইয়ের রুশ স্বর্ণকেশী কোন প্রেমিকা ছিল না এইটা আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না!
no one will trust him, we know he's a liar
প্রেমিকাতো ছিলোই, কয়টা ছিলো সেটাই প্রশ্ন!
গল্প অনেকেই লেখে কিন্তু বাবনিকে সৌম্য আর এলিনার প্রেমের যে বর্ণনা, ইমোশনগুলো এত সুন্দর করে লেখা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বলেই সম্ভব হয়েছে। প্রেমিক সৌম্যের কথা মনে থাকবে সবার।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০০
শেরজা তপন বলেছেন: ছি ছি ছি নাউজুবিল্লাহ্ !! কি কন এইসব আপু
আপনি আমার দেখি পুরা বোল্ড আউট করে দিবেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি; স্বর্ণকেশী মেয়েদের আমার ভীষণ অপছন্দ।
কুচকুচে কালো চুল কালো ভারি ভ্রু আমার ভীষণ পছন্দের ছিল একসময়। মানে আমি যখন জীবিত ছিলাম!!!
মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ তা আমি জানি!
২০| ২৪ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: আজকাল মানুষ জীবিত মানুষের চেয়ে মৃত মানুষকে বেশি ভালো বাসে।বনানী কবরস্থানে গেলে তাই মনে হয়।
আম জনতাই ঠিক ছিল।ইতর লাগাতে গেলেন কেনো।এতে মানুষকে অপমান করা হয়।
এতো বড় লেখা আমি সাধারণত পড়ি না।লেখাটা আমাকে ধরে রাখতে পেরেছিলো বলে পড়েছি।পড়ে ভালো লাগলো।লেখেন কম কিন্তু যখন লেখেন তখন বড় করে লেখেন।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো কম লিখিনা আমি অনেক লিখি মনে হয়। মাঝে মধ্যে ভাবি এত লেখা দেখে ব্লগারেরা বিরক্ত হচ্ছে হয়তো।
ইতর বলেছি- উনার ভাষ্যে। ঘাটের দালাল কুলি-দোকানদারদের এলিটেরা ইতর শ্রেণীর বলে ভাবতেন। ফের এডীটে পালটে দিতে পারি।
মৃত মানুষকে নিয়ে ভাল মন্দ যা খুশী বলা যায়- তারা প্রতিবাদ করতে পারেনা বলে তাঁর সবচেয়ে জানে দুশমনও লোক দেখানো ভালবাসা উপুড় করে দেয়।
পুরো লেখা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
২১| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: ্কয়েক লাইন পড়েছি। আর এগুতে পারিনি ।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: কেন ভাই আর এগুতে পারলেন না- অখাদ্য তাই?
কোথায় কোন সমস্যা আছে একটু য়াভাস দিলে শুধরে নিতে পারতাম।
২২| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে মৃত কিছু মানুষের অতীত জীবনের কাহিনী বেশ ভালো লাগলো। ভাই একটু উপন্যাস লিখে ফেলেন না আমিনুল ভাইয়ের স্মৃতি নিয়ে। চমৎকার একটা স্মৃতিচারণ পোস্ট পরলাম।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: আসেন ভাই গলায় লাগেন। এতক্ষন পর একজনরে পাইলাম- যে 'বু' নিয়ে কোন আলোচনা না করে,পুরো লেখার রস আস্বাদন করেছে।
মজা করলাম!
অনেক ধন্যবাদ ভাই। লেখার এত্তোগুলো প্লট পড়ে আছে- কিন্তু সময় কতটুকু আছে সেইটার সলিড হিসাব না পেয়ে লেখায় মন বসাতে পারছি না।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫২
শায়মা বলেছেন: স্মৃতিচারণের শেষে এসে মনটা খারাপ হয়েছিলো কিন্তু বৌকে বু বলা এটা দেখে হাসতে হাসতে আমি শেষ।
গোপাল ভাঁড়ের গরু হারিয়েছিলো
অনেক খোঁজাখুজির পর সে বাড়ি এসে ধপাস করে উঠোনে বসে বৌকে বললো - এক গেলাম পানি দাও দিদি
বউ বললো- মুখপোড়া মিনসে চোখের কি মাথা খেয়েছে বৌকে বলে দিদি
গোপাল বললো- গরু হারালে অমনই হয় মা ......
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: এইবার আইচে আরেক হাসুনি।
আপনিতো হারানো গরু খোঁজেন নাই কখনো খুঁজলে বুঝতেন নিজের জামাই বাপ ভাই হয়ে যেত
আমিও অবশ্য হারানো গরু খুঁজি নাই কখনো। তাহলে বুঝলাম ক্যামনে?
প্রশ্নটা কঠিন হয়ে গেছে থাক বাদ দেন
এক 'বু' লিখে পুরা লেখাটার 'কড়কড়ে সেন্টিমেন্টে'র দফারফা হয়ে গেছে
২৪| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
মা শায়মার জোকসটা দারুণ!!!!!
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনারা দু'জনে মিলে দাঁত কেলিয়ে হাসুন। আমি একটু এই ফাঁকে আড্ডা দিয়ে আসি।
২৫| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার এই স্মৃতিচারণমূলক লিখাটা দারুণ হয়েছে !
বিক্ষিপ্ত মনের কারণে কী মন্তব্য করা যায় বুঝতে পারছি না তাই এখানেই ইস্তফা দিলাম ! তবে বলে রাখি আপনি আমাকে ছোট বেলায় তালাত মাহমুদের গলায় শোনা গানটা মনে করিয়ে দিলেন !!!
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: মনটা কেন এত বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে? বেশ কিছুদিন আপনি মনঃসংযোগ করতে পারছেন না।
আশা করি সব সমস্যা কাটিয়ে ফের সদর্পে ফিরে আসবেন।
কোন সমস্যা নেই- ইচ্ছে হলে মন্তব্য করবেন নাইলে নাই। তবে আপনি আছেন বা আমার ব্লগ বাড়িতে এসেছিলেন সেটা জানিয়ে গেলে প্রীত হব।
ধন্যবাদ ভাল থাকুন।
২৬| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
এক 'বু' লিখে পুরা লেখাটার 'কড়কড়ে সেন্টিমেন্টে'র দফারফা হয়ে গেছে
হা হা হা ...... আহারে আমাদের শেরজাটা কি ভুলই না করলো।
ইমোশনাল পোষ্ট হয়ে গেছে ফান পোষ্ট।
শায়মাপু, তুমি এতো লেইট কেনো আসো।
আরও আগে আসলে কতো মজা হতো!
তুমিও এলে, আমিও যাচ্ছি
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে যান- সুনিদ্রা হলে কালকে ফের সরস গালগপ্পো হবে।
এই পোস্টটায় দারুনভাবে মাতিয়ে রাখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভরাত্রি!
২৭| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর সৃতি কথা। বড় লেখা কিন্তু পড়তে একটু বিরক্ত লাগেনি।
লেখাতে আবেগ আছে। কিছুটা হাহাকার আছে। পাওয়া না পাওয়া আছে।
২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: পরের উত্তরটা আগে দিয়েছিলাম।
আরেকটা সমস্যার কথা বলা হয়নি। আমি ব্যক্তিগত সমস্যার বিষয় নিয়ে ব্লগে আলোচনা করতে দ্বীধাবোধ করি।
অন স্ক্রিনে বেশী সময় থাকলে আমার প্রচন্ড চোখ আর মাথা ব্যাথা করে। ট্রিটমেন্টে লাভ হয়নি। একমাত্র আইসপ্যাকই ভরসা।
কাল এমন হচ্ছিল- শেষ দিকে সব কিছু অসহ্য লাগছিল। সব ফেলে রেখে শেষ মেষ আইস প্যাক নিয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলাম।
স্যরি ব্রো। এত চমৎকার মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে পারা যায়।
২৮| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০১
ঢাবিয়ান বলেছেন: কারন কবরস্থান, এপিটাফ, মৃত্যূূ। বড় অমোঘ সত্য কিন্তু জীবনের গল্পই ভাল লাগে পড়তে।লেখা যে দারুন হয়েছে, তা মন্তব্য্ দেখেই বুঝতে পারছি
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: ও তাই। বিষয়টা এখন বুঝলাম- বিষয়গুলো আসলেই ভয়ঙ্কর! ভাবতে গেলে পাগল দশা হয়।
আমি ভেবেছিলাম লেখাটা মনে হয় যা-তা হয়েছে। মনের মধ্যে খচ খচ করছিল। ব্যাপারটা খোলসা করে ভাল করলেন। ধন্যবাদ।
২৯| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৩০
স্মৃতিভুক বলেছেন: @তপন, আপনার 'স্মৃতিকথা' পড়লাম। বুঝলাম, বর্ণিল এক শৈশব ছিল আপনার, বিচিত্র সব চরিত্রের সাথে বেড়ে ওঠা। ওস্তাদ কানাই ইসমাইল খাঁ এবং আমিনুল হক, দু'টি চরিত্রই এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন!
"চারিদিকে শুধু চিরতরে তালাবদ্ধ করে রাখা আমার হারিয়ে যাওয়া শৈশব কৈশোরের স্মৃতির বাক্স" - কি যে সুন্দর এক লাইন! গুণী লেখক আপনি, বরাবরের মতোই চমৎকার এক লেখা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: 'দিন আগেও মনে হোত আমার শৈশবটা বড্ডবেশী ম্যাড়মেড়ে ছিল।
কিন্তু ইদানিং পুরনো স্মৃতিগুলো এমন করে মনের জানালায় ভীড় করছে যে সেগুলো আর বর্ণহীন মনে হচ্ছে না।
তবে আমার খুব তালগোল পাকানো শৈশোব ছিল। কেমন সেটা -ওসব নিয়ে গল্পতো হবেই।
একটু বেশী বলে ফেলেছেন। আমি নিতান্তই এলেবেলে মানুষ গুণীদের কাতারে দাড়ানোর প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছি। সফলকাম হতে বহুশত ক্রোশ পথ বাকি। তবে আমি নিশ্চিত আমি ওই আসমানে পৌছাতে পারব না।
আপনাকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
৩০| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আসলেই মানুষ নিজেই যে কতো বিচিত্র আর কতো বিচিত্র যে তাদের জীবনের গল্প!
পাঠককে মুগ্ধ করে রাখার মতো স্মৃতিকথা।
অবশ্য সব স্মৃতি কথা-ই মুগ্ধতা ছড়ায় না বটে তবে বিভিন্ন ভাবের জন্ম দেয়। আপনার এই লেখাটি এই দুটোরই মিশেল।
বিশেষ করে ভাইজান আমিনুলের জীবন ও সাথে তার ছোট ভাইয়ের ঘটনা যেমন মুগ্ধ করেছে লেখার গুনে তেমনি পাঠকের মনে বিভিন্ন ভাবের জন্মও দিয়েছে। সে কারনেই মনে হয় মন্তব্যে মিরোরডডল সহ অন্যান্যরাও পালা করে বিভিন্ন ভাব তুলে ধরে পুরো পোস্টটাকেই সুপাঠ্য করে তুলেছেন। আর আপনিও তাদের তবলার তালে তালে ঘুঙ্গুরু বাজিয়ে গেছেন।
পোস্টে ++++++++++
২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আসলেই আমরা নিজেদের জীবনটা অনেক এলেবেলে সাদামাটা নিস্তরং মনে হলেও সেটা মোটেও অমন নয়।
আমরা নিজেদের অজান্তেই বিচিত্র অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি, য়ামাদের কান্ড কারখানা নিজেদের কাছে সাধারণ স্বাভাবিক মনে হলেও কেউ কেউ এর মধ্যেই বিচিত্র অনেক কিছু খুঁজে পাবে।
আমার শৈশবে ব্যাতিক্রমী তিনিটে গ্রামের সাথে বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাঁর একটা নিয়েই লিখতে চেয়েছিলাম। পরে ভাবলাম ওটা নাহয় লিখব কোনদিন কিন্তু এই হারিয়ে যাওয়া অন্যরকম মানুষগুলোকে নিয়ে এই সময়ে লিখে না গেলে তাদের স্মৃতি পৃথিবীর পাতা থেকে হয়তো চিরতরে মুছে যাবে।
ছোট বেলায় দেখার চোখ ভিন্ন ছিল- এইবেলায় এসব মানুষের সাথে পরিচয় হলে হয়তো তাদের বিশেষত্বগুলো আমার নজরে পড়ত না।
আপনার মন্তব্যে বরাবরের মতই অনুপ্রাণিত হলাম। ভাল থাকবেন।
* আপনার স্মৃতি কথা। শোনার অপেক্ষায় আছি...
৩১| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৩৬
নাজনীন১ বলেছেন: আপনি তো শায়মা বু-র মতো বিখ্যাত ব্লগার। সতত, নিরন্তর, অবিরাম! এতো কমেন্ট পড়ে শেষ করা যায় না।
তবে আপনি ভীষণ বুদ্ধিমান। বিবাহিত লোকেদের যে অতীত স্মৃতি ভুলে যেতে হয়, এটা আপনি ঠিকই জানেন!
আপনার সেই বিখ্যাত গায়েন ভাইটা এখন কি করেন? আর মহকুমাটা কোন এলাকা?
২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:২২
শেরজা তপন বলেছেন: শায়মা আপুর কত বৈচিত্র জীবনে- কত গুণবতী তিনি। তাঁর সাথে কি আমার তুলনা চলে!
আমার এলেবেলে লেখা সদয় হয়ে কিংবা ভালবেসে কিছু পাঠক পড়ে এই যা।
আমার গিন্নী, পরিবার আর বন্ধুরা বলে এখনো নাকি আমি বোকার দলে আছি। তবে চতুর হবার ভীষণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি
আমার এলাকার নাম আমি বহুবার উল্লেখ করেছি। এককালের বিখ্যাত রেল স্টেশন ও স্টীমার ঘাট, নদী বন্দর গোয়ালন্দ।
আপনি কি ভাইজানের ছোট ভাইয়ের কথা বলছে?
তাঁর নাম ছিল 'নাজরুল'। যদি সে হয় তাঁকে নিয়ে অন্য একদিন গল্প হবে।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপু- ভাল থাকুন।
৩২| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:২২
কিরকুট বলেছেন: শৈশবের কথা মনে থাকে কি করে কে জানে? আমার তো শৈশবের কথা ভাবতে গেলে মাথা শূন্য শূন্য লাগে। মনে হয় বুড়া হয়েই পয়দা হইছি শৈশব বলে কিছু নাই।
২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: এই কথাটা অন্যের শৈশোবের গল্প পড়ে আমিও ভাবতাম।
এখন দেখি কোন নির্দিষ্ট কিছু ভাবতে বসলে, ধীরে ধীরে সব চ্যাল-ব্যাল করে বেরিয়ে আসে। তবে মানুষের স্মৃতি চরম প্রতারণা করে কিছু ক্ষেত্রে। যে ঘটনা ঘটেইনি কখনো সেটাকে সত্য হিসেবে ভাবতে বাধ্য করে- আর ঘটে যাওয়া ঘটনাকে একদম পালিশ করে মুছে ফেলে।
এই নিয়ে একটা গল্প লিখব, আমার ডায়েরিতে লেখা মুল ঘটনা আর বহু বছর বাদে বন্ধুদের মুখে শোনা সেই দিনের গল্প!
আমি আসলে খুব অল্প বয়স থেকে ডায়েরি লিখি। যদিও কতক হারিয়ে গেছে- তবুও যা আছে মন্দ নয়। সেটা মার লেখালেখিতে ভীষণ কাজে দেয়।
আপনার শেষ কথাটা চমৎকার, মনে হয় বুড়া হয়েই পয়দা হইছি শৈশব বলে কিছু নাই।
৩৩| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি বৌ আর বু নিয়ে ভালই ক্যাচালে পরেছেন দেখতে পাচ্ছি ।
সাত ঘাটের জল খাওয়া লোক প্রেমে পরে নাই ইহা বিশ্বাস করার থেকে ময়ুরপংখী ঘোড়া আছে এটা বিশ্বাস করা সহজ ।
২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: বুঝতে পারছি ব্লগে আমার ভাবমুর্তির কেমন। বাবনিক লিখে ইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেছে
ময়ুরপঙ্খী আছে বিশ্বাস করেন। আমি নিজের চোখে দেখেছি ( সিনেমাটার নাম এই মুহুর্তে মনে আসছে না )
৩৪| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২০
শাওন আহমাদ বলেছেন: ছোটবেলায় আমি ভয় বলতে কবর আর মৃত মানুষই বুঝতাম। এলাকায় কেউ মারা গেলে সে রাতে আর ঘুমাতে পারতাম না। কবরস্থানের পাশ দিয়েও দৌড়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতাম। তবে এখন মন খারাপ হলে কবরস্থানে গিয়ে হাঁটতে ভালো লাগে, ভালো লাগে হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলো নিয়ে ভাবতে।
ভাইজানের মতো লোকেরা সত্যিই কোটিতে একজন জন্মায় হয়তোবা কোটিতে না আরও বেশি সংখ্যায় একজন জন্মায়।
খাঁন সাহেবের মতো আমাদের এলাকায়ও একজন লোক ছিলেন যিনি বিনা দাওয়াতে সেজেগুজে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে হাজির হতেন।
আপনার লেখা নিয়ে কিছুই বলব না কারণ আপনার লেখা নিয়ে আমার বলার কিছুই নেই। ব্লগে আমি যাদের লেখা আগ্রহ নিয়ে পড়ি তার মধ্যে আপনি একজন।
২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: এমন ধারনা আমাদের বয়েসী সব পোলাপাইনের ছিল।
এখন পরিচ্ছন্ন গাছ গাছালী ঘেরা কবরস্থানে বসে থাকতে ভাল লাগে। ভাবি ওদের কথা- কতই না বৈচিত্রময় জীবন আর নানা রঙের সপ্ন ছিল তাদের।
কয়জন মানুষ এখানে সব পাওয়ার পরিপূর্ন তৃপ্তি নিয়ে মরতে পেরেছে??
ভাবনা আছে অনেক কিছু। ইচ্ছে হল; কোন একদিন কবরস্থানে বসে একটা গল্প লিখব।
ধন্যবাদ
৩৫| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে ভালো করেছেন।
নিদেরপক্ষে একটা ধন্যবাদ দেননি সেটা ভালো হয়েছে।
অন্যকে হেয় করলে, একধরনের ভাব আসে মনের মধ্যে।
আমি আবার এসেছি কারন, এই পোষ্টে কে কি মন্তব্য করলো সেটা জানতে।
২৬ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে তো বটেই আমি কোন ব্লগারকে কখনো অবহেলা করি না। ব্যাপারটা ভুল হয়ে গেছে। আমি আসলে তাড়াহুড়ো করে কাল রাত্রে মন্তব্যের উত্তর দিয়েছিলাম। আপনারটা কেমনে যেন চোখ ফাঁকি দিয়ে গেল! সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে নিচের মন্তব্যের উত্তরগুলি দিয়েছি। পরে দেখি মন্তব্য একটা বেশি- কিন্তু স্ক্রল করে আমি আবার মিস করে গেছি! এরপরে আর এ পর্যন্ত ব্লগে ঢুকতে পারিনি।
ফ্যাক্টরিতে এসে দেখি বিদ্যুৎ নেই ফের বিদ্যুৎ আসার পরে ওয়াইফাই নেই! ব্লগে ঢুকতেই পারছিলাম না।
এইমাত্র ঢুকতে পারলাম আপনার মন্তব্য দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল বড় কষ্ট পেলাম ভাই।
আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী আমাকে মাফ করে দিবেন মনে কষ্ট রাখবেন না প্লিজ।
৩৬| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমিও রাজীব ভাইয়ার দলে আঁটকে গেলাম দেখছি।
২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: সারাদিন পরে খানিক আগে ব্লগে আসলাম ভাই। ভাল খারাপ যা-ই হোক আমার এই বদনাম নেই যে কোন ব্লগারের মন্তব্য এড়িয়ে চলি।
উত্তর দিয়েছি। দেখে নিবেন
৩৭| ২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২১
নীলসাধু বলেছেন: বহুদিন পর ব্লগের পোষ্ট পড়ে ভালো লাগা টের পেলাম।
সেরা লেখা।
বিষয়বস্তু আঙ্গিক লেখনী সব মিলিয়ে অতুলনীয়।
কদিন আগে আমার এক ভাই মারা গেছে। তার কবর থেকে ফিরে আমি একটি লেখা নিয়ে ভাবছিলাম, ৮/৯ দিন আগের কথা- আপনার লেখা তার সাথে প্রায় শতভাগ মিলে গেল। যদি লিখি সেটা শেয়ার করবো আপ্নার সাথে।
ভালো থাকুন।
২৫ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ব্লগার নীলসাধুকে অনেকদিন পরে আমার ব্লগবাড়িতে দেখে আনন্দিত হলাম।
যেহেতু একটা প্রকাশনা সংস্থা চালান সেহেতু লেখালেখির ব্যাপারে আপনার ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে।
সেই আপনার কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেয়ে আমিতো আহ্লাদে আটখানা!!
আপনার আপন ভাই মারা গিয়েছে? আমিও আমার ছোট ভাইকে হারিয়েছি। এ কষ্ট বলার নয়- বললেও অন্য কেউ তেমন করে অনুধাবন করতে পারে না।
শেয়ার করলে- আমি নিজেকে ভীষণ সৌভাগ্যবান মনে করব।
আপনি শোক কাটিয়ে উঠুন- সুস্থ থাকুন।
৩৮| ২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
অসাধারন স্মৃতিচারন । লেখার মধ্যে ডুবে গিয়ে আামারও কিছু পরলোকগত প্রিয় মানুষদের কথা মনে পড়েছে । আামার শিক্ষক আত্নিয়-স্বজন, অনেক প্রতিবেশির কথাও মনে পড়েছে।
আমাদের এলাকায় ২টা কবরস্থান ছিলো দুটোই সরকারী কবরস্থান। এলাকার কেউ মারা গেলে সরকারী কবরস্থানে মাটি দিতো। তাই কয়েক বছর পর পরে কার কবর কোথায় চিন্হিত করা যেতো না । তবে প্রথম দিকে প্রভাবশালীদের কবর থাকতো তাতে এপিটাফ লেখা থাকতো দুই একজণের।
শুভকামনা।
২৫ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে মোগল সম্রাটকে ফের স্বাগতম!
কারো স্মৃতিচারণ শুনে বা পড়ে নিজের ভুলে যাওয়া স্মৃতিগুলো ফের জীবন্ত হয়ে ধরা দেয়! কেননা মানুষের সাথে মানুষের গল্পের কোথাও যেন মিল আছে।
আপনার দুটো কবরস্থান মানে বেশ বড় এলাকা ছিল। বেশীরভাগ কবরস্থান সরকারী হয়। এক সময় মানুষ টাকা দিয়ে কবরের জমি কিনতে চাইত না। এসব ব্যাপারে সবাই একটু উদাসীন ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে সুপ্রিয় ব্লগার। ভাল থাকুন।
৩৯| ২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ- বিষয়টা অনুধাবন করার জন্য।
৪০| ২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান,
অনেক অনেক দিন পরে আইলাম সামুতে । আর আইসাই এমন একটা লেখা। কি কমু, কওয়ার কিছু নাই। শুধু কমু -
১। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (স্মৃতি) ।
২। যে কোন মৃত্যুই বেদনার আর তা যদি হয় বাবার আগে ছেলের তাহলে তা আরও বেশী বেদনার (মোরাই চাচা ও আহারে আমার আমিনুল) ।
৩। সবারই কিছু না কিছু বিশেষ গুন থাকে । তার জন্য শুধু দরকার অনুকূল পরিবেশ । সাইজ বা চেহারা যাই হোক না কেন ।(বিশেষ কারিশমায় ৬ মাসেই আলাদা চুলা। এই জন্যই বলে size doesn't matter for chopper wood)।
৪। নেশাই জীবন, নেশাই মরণ (পরিমিত হলে সব কিছুই ভালো । বেশী হলে সব কিছুই খারাপ । আবার ইডাও কতা - নেশা খাবি খা, মইরে যাবি যা)।
সব শেষে , " তোমারে লেগেছে এত যে ভাল চাঁদ বুঝি তা জানে"র নয়া ভার্সন " লেখা আপনার এত যে ভাল ভাইজান, সামুর সবাই জানে ''।
২৫ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আরে ব্লগ মাতিয়ে রাখা সুপ্রিয় ব্লগার মোহামমদ কামরুজজামান -ভাই কতদিন বাদে আপনাকে দেখলাম।
এতদিন অবশ্যই আপনাকে মিস করেছি। আর ক'দিন গেলে আপনার ব্লগ বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিতাম সম্ভবত।
একদিন বড় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। ভাল ভাল শিল্পী এসেছে গান গাইবার জন্য। এক রুমে উকি মেরে দেখি, আবদুর রহমান বয়াতি উদ্ভট পোষাক পরে পায়ের উপর পা তুলে নাচাচ্ছে আর ভীষণ বিরক্ত হয়ে বিড় বিড় করে কি যেন বলছে। তখন আরেকজন শিল্পী' স্টেজে গাইছে 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম' বাউল সঙ্গীত।
স্টেজে সবার শেষে বয়াতী সাহেব উঠলেন। প্রথমেই কিশোরগঞ্জের ভাষায় হড়বড় করে আগে কি সুন্দর গানের বিষেদাগার করে একগাদা কথা বললেন, সারাংশ হচ্ছে; ব্যাটায়রা কয় খালি 'আগে কি-ই সোন্দর দিন কাটাইয়্যালাছি। আরে ব্যাটা অখন কি আমরাত খারাপ আছুইন?' পুরো স্টেজ জুড়ে ভদ্রজন বসা। কেউ কোন উত্তর দিচ্ছে না দেখে সে ভীষণ চুপসে গিয়ে তাঁর গান শুরু করল। কয়েকদিন আগে দেখি তিনি নেচে নেচে কোমড় দুলিয়ে ' আগে কি সোন্দর দিন কাটাইতাম গানটা গাচ্ছেন!!!'
সব শেষে , " তোমারে লেগেছে এত যে ভাল চাঁদ বুঝি তা জানে"র নয়া ভার্সন " লেখা আপনার এত যে ভাল ভাইজান, সামুর সবাই জানে ''
আনন্দে আমি আত্মহারা হইলাম।
ফিরে আসুন স্বমহিমায়। ব্লগে আগের মত নিয়মিত হউন আর শৈশোবের কিছু স্মৃতিকথা আমাদের সাথে শেয়ার করুণ। ভাল থাকুন।
৪১| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৮
শায়মা বলেছেন: মিররমনি কি যে ঝামেলায় আছি!!!
সারাদিনে চোখ তুলে তাকাতেই পারিনা। একাডেমিক ইয়ার এন্ডিং না??
এত এত ঝামেলা দিয়ে রেখেছে ঘাড়ের উপর।
তাই অনেক রাতে একটু চোখ মেলি তারপর বুজে যায় আপনা আপনি!
৪২| ২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ব্যাক্ত কথা পড়লাম , জানলাম আপনার দেখা
ও একান্ত কাছ থেকে পরিচিত ওস্তাদ কানাই
ইসমাইল খা আর আমিনুল হক শিক্ষকেরমত
গুণী কতেক মানুষের বিচিত্র ও বৈচিত্রময় জীবন
গাথার খন্ড চিত্র আর পরে তাদের তিরোধানের
পর তাদের বিষয়ে আপনার নীজের সহ অন্যদের
বলা কথার সুন্দর কিছু বর্ণনা ।
অব্যক্ত কথাগুলি শুনার তীব্র বাসনা রেখে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে আপনার আগমন ও মন্তব্যে বরবরই আমি দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হই।
ছোট্ট এই জীবনে কত অভিজ্ঞতা আর স্মৃতি কথা জমে আছে। দিন দিন এর পাল্লা ভারীই হচ্ছে। কত শত বিবিধ বিষয়-ই নিয়ে না লেখার আছে।
তবে আমি জানি আপনার অভজ্ঞতা আমার থেকেও অনেকগুন বেশী। আপনার হাতে ছোঁয়ায় একটা গল্প প্রবন্ধ বা নিবন্ধে যেভাবে মনি মানিক্য ছড়ায় সেটা সত্যি অভাবনীয়।
সেজন্য আমি ও আমরা আপনার কাছ থেকেও তেমন কিছু গল্প শুনতে চাচ্ছি। যে মানুষগুলো হারিয়ে গেছে- যাদের গল্প ও স্মৃতি বিস্মৃত হয়েছে কালের গর্ভে সেইসব ব্যাতিক্রমী মানুষের গল্প। সাথে আমরাও বলঅব আমাদের যতটুকু সাদ্যে কুলোয়।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
৪৩| ২৭ শে মে, ২০২৩ ভোর ৫:১৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাইজানের অংশটুকু পড়ে খুব খারাপ লাগল! আহারে আলাভোলা মানুষটা!
লেখাটা চমৎকার হয়েছে।
২৭ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাইজান আর তাঁর পরিবারের অতীত ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে আরেকটা পর্ব লিখার ইচ্ছে আছে।
তাঁকে নিয়ে লেখার সময়ে বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছিল আমার। এমন চমৎকার মনের নির্ভেজাল মানুষের সান্নিধ্য পাওয়া ভাগ্যের বটে।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ ব্লগার সাধু। ভাল থাকুন
৪৪| ২৭ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:০৮
সোহানী বলেছেন: মন ছুয়েঁ গেল লিখাটা, শেরজা ভাই।
২৭ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে প্রীত হলাম। লেখাটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।
৪৫| ২৭ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
ওস্তাদ খাঁ সাহেবেকে বড্ড পরিচিতজন বলেই মনে হচ্ছে। এই ব্লগেও আছেন নাকি?
আমিনুল স্যারের জন্য সম্মান ও শ্রদ্ধা। ♥
আর আপনার জন্য জটিলবাদ
২৮ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
শেরজা তপন বলেছেন: সারাদিনে যেটুকু সুযোগ পাই তাতে অন্যের পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করতে করতে নিজের পোস্টে এসে মন্তব্যের উত্তর দেবার অবকাশ পাই না।
আপনি কি ব্লগে খাঁ সাহেবের অনুরূপ কাউকে আবিস্কার করেছেন?
মন্তব্যের জন্য জটিল ধন্যবাদ।
৪৬| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজাকে নিয়ে এই পোষ্টে কতকিছু হয়ে গেলো, আর শেরজা ঘুমাচ্ছে।
২৮ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ইজ্জতের তুলোধুনা করে সেটা ফের আমার চোখেই আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছেন
গাঁজা বাবা হয়ে গেলাম!!!
৪৭| ২৮ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারনের মাধ্যমে একজন ভাল মানুষের কথা জানতে পেরে ভাল লাগল।
আল্লাহ ভাইটিকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
আপনার শৈশব অনেক মজার ছিল।লেখাটা পড়তে পড়তে নিজেই কেমন আবেগে আক্রান্ত হয়ে গেছি।খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
২৮ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: নাহ্ আমার শৈশব ঠিক মজার আর রঙ্গীন ছিল বলে ভাবিনি কখনো। সেজন্য শৈশব নিয়ে আমার কোন আদিখ্যেতা ছিল না। সবসময় ভেবেছি বড্ডবেশী ম্যাড়ম্যাড়ে শৈশব কাটিয়েছি আমি। এখন এই বয়সে এসে পুরনো স্মৃতির ভান্ডার উপুড় করে দেখি-সেটা একদম ধুসর নয়, কিছুটা রঙ্গীন ছিল তো বটেই। এখন নতুন করে শৈশবের প্রতি ভালবাসা তৈরি হচ্ছে।
আপনার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। ভাল থাকুন।
৪৮| ২৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অন্যতম স্মৃতিকাতর ঘটনা সব। হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।
আমিনুল স্যারের মত মানুস দুনিয়াতে কমই হয়। সকাল থেকে একটু একটু করে পড়ে নিয়েছি
২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি নরম দিলের ( দুর্বল হার্ট) মানুষ -এমন স্পর্শকাতর বিষয় দাগ কাঁটা স্বাভাবিক।
অনেক সময় নিয়ে কষ্ট করে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়মু কিন্তু