নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাজার টাকার বাগান খাইল দুই টাকার ছাগলে!!

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২৭


সামনের নির্বাচনে অনেকেই চরমভাবে হতাশাগ্রস্থ হবে যদি এই টার্মে হাসিনা সরকার ক্ষমতায় না আসে।
কেন? তবে কি তারা আওয়ামীলীগের অন্ধ সাপোর্টার? না সুবিধাভোগী? ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। এই মুহুর্তে তারা শেখ হাসিনার বিকল্প কাউকে দেখছে না। আমিও মনে হচ্ছে এই দলের বাইরে নই -আমার মত অনেকেই ভাবছে অন্য যে কোন দল ক্ষমতায় এলে দেশটা ছ্যাড়াবেড়া হয়ে যাবে।
তাঁর মানে দেশটা কি এই মুহুর্তে ছ্যাড়াবেড়া অবস্থায় নেই।?
জ্বালানী-বিদ্যুতের এই অবস্থা কেন? দ্রব্য মুল্যের নিয়ন্ত্রন ভার কার হাতে? এর উর্ধমুখীর পাগলা ঘোড়াকে কেন থামানো যাচ্ছে না? সাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের এই দুরবস্থা কেন?
এটা নির্বাচনের বছর। এক দল আন্দোলন করছে তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। ওদিকে দেশী বিদেশী চাপ আছে সুস্থ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য।
চারিদিকে চাপ চাপ আর চাপ- এই মুহুর্তে সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকার সাধারণ জনগনকে না ক্ষেপানো আগামী নির্বাচনে নিজেদের গায়ের চামড়া বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন অন্তত দ্রব্যমুল্যের লাগাম টেনে ধরা। প্রয়োজনে রিজার্ভের উপর ঝুঁকি নিয়ে পর্যাপ্ত তেল কয়লা গ্যাস আমদানী করে ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখা। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য সারা বিশ্বের আবহাওয়া ভয়ঙ্কর বিরূপ আচরন করছে। গরম এবার বিগত দিনের সব রেকর্ড ভঙ্গ করছে। এই গরম আর দ্রব্যমুল্যে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা! শুধু উচ্চবিত্ত বাদে দেশের বাকি সব নাগরিকের ত্রাহি অবস্থা! যেখানে যাবেন একই কথা বিদ্যুৎ আর দ্রব্যমূল্য নিয়ে আলোচনা। মানুষ বাইরেও টিকতে পারছে না ঘরেও না। ব্যাপারটা কেউ কোন আমলেই নিচ্ছে না।
নির্লজ্জের মত মন্ত্রীরা যখন তখন একটা বয়ান দিয়েই খালাস;
আশা করা যাচ্ছে এই মাসের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো বাংলাদেশের দ্রব্যমুল্য সহনীয় পর্যায়ে আছে।

আর কতদিন এইসব বয়ান আর বাণী দিয়ে চলবে???
শতকরা নব্বুইভাগ সাধারণ মানুষের এইবারের বাজেট নিয়ে কোন আগ্রহ ছিল না। অথচ এক সময়ে আমরা বাজেটের দিনে টিভির সামনে সেঁটে থাকতাম। রাস্তা ঘাটে মানুষ রেডিও কানে ধরে রাখত।
বাজেট শেষে এবার সবারই একই প্রশ্ন; কোনটা কোনটার ফের দাম বাড়ল?

মার এক পরিচিত দশ দিন আগে এয়ার কন্ডিশন কেনার টাকা দিয়ে আসছে শো-রুমে কিন্তু এখনো বুঝে পান নাই। গতকাল আমি একটা স্ট্যান্ড ফ্যান কেনার জন্য কমপক্ষে বিশখানা শো-রুমে ঘুরেছি, সবার স্টক শেষ। ওয়ালটনের শো-রুম পর্যন্ত বলছে; এক সপ্তাহ আগে ওরা চাহিদা দিয়েছে এখনো মাল আসেনি।
আই পি এস এর চৌদ্দ হাজার টাকার ব্যাটারি ২৫ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন সারা দেশ জুরে হাজার হাজার আইপিএস বিক্রি হচ্ছে। নাভানা, রহিম আফরোজ, হ্যামকো ব্যাটারি সাপ্লাই দিতে গিয়ে অস্থির। প্রতিটা আই পিএস এ জমা হচ্ছে একটু একটু করে শত শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ!
অটোরিক্সার তান্ডবে মানুষ কোণঠাসা।
সারা দেশের অলি গলি রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লক্ষ লক্ষ অটো রিকসা। এরা প্রতিদিন গিলে খাচ্ছে প্রয়োজনীয় শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। লাইসেন্স ছাড়া এইসব মোটরযান থেকে প্রতিদিন প্রশাসন থেকে দলীয় পর্যায়ে শত কোটি টাকা চাঁদা বানিজ্য হচ্ছে। ওদিকে পঙ্গু হাসপাতালগুলোতে ৮০% রোগী ভর্তি হচ্ছে; এইসব রিক্সা আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার জন্য।

সেদিন আশুলিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কাছে জানতে চাইলাম এই এলাকায় ফ্যাক্টরির সংখ্যা কত?
তারা বলল, তাদের লিষ্টে ৩৩০০ এর মত ছোট বড় মাঝারি ফ্যাক্টরি আছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর থেকেও বেশী।
আশুলিয়ার কোন কোন ফ্যাক্টরিতে ২৫-৩০ হাজার ওয়ার্কার কাজ করে। বিশাল তাদের কর্মযজ্ঞ আর বিদ্যুদের চাহিদাও অনেক। এক ঘন্টা ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখার উপায় নেই।
অথচ ওই এলাকায় প্রতিদিন এভারেজ ১০-১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। প্রতিদিন হাজার হাজার জেনারেটরে লক্ষ লক্ষ লিটার ফুয়েল লাগছে। টান পড়ছে জ্বালানী তেলের রিজার্ভে আর অন্যদিকে পরিবেশ হয়ে পড়ছে চরম উত্তপ্ত!
চরম প্রতিযোগীতামূলক এই বিশ্ববাজারে নিজেদের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে গিয়ে শুধু জ্বালানী তেলের মুল্য দিতে গিয়ে অনেক ছোট ফ্যাক্টরি মুখ থুবড়ে পড়ছে। এ অবস্থা শুধু আশুলিয়ার নয়-সারা দেশের।

[আপনি কি জানেন যে,কমার্শিয়াল বিদ্যুৎ লাইন নিতে ট্রান্সফর্মার থেকে শুরু করে তাঁর খুটি মিটার সব নিজের টাকা দিয়ে কিনতে হয়?
এরপরে চরম হাস্যকর ও অমানবিকভাবে প্রতি মাসে প্রিপেইড (পোষ্ট পেইড নয় কিন্তু) লাইনের জন্য প্রায় দুই হাজার টাকা চার্জ দিতে হয়- সে আপনি বিদ্যুৎ ব্যাবহার করেন বা না করেন। বিদ্যুতের মুল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই চার্জ বেড়ে যায়!]

গে যারা দেড়-দুলাখ টাকা বেতন পেত- দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলে তাদের গায়ে তেমন কোন আঁচ লাগত না। কিন্তু এখন লাগছে। দ্রব্য মুল্যের অসহনীয় উর্দ্বগতি মানুষকে ভোগাচ্ছে ভীষণ।
শাসকেরা এখনো বিষয়টা গায়ে মাখতে চাইছে না। ফাঁকা বুলি আর হুমকি ধামকি দিয়ে জনগনকে 'বাইল্যা বুঝ'* দিতে চাচ্ছে-কিন্তু সেটা খুব বেশী কাজে লাগছে বলে মনে হয় না।

এ সবকিছুই সামনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে ভোগাবে। প্রধানমন্ত্রী আফসোস করে বলেন এত উন্নয়ন করার পরেও মানুষ যদি আমাদের ভোট না দেয় – তাহলে আর কিছু বলার নেই।
মানুষ দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে এই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করে এটা ঠিক কিন্তু তাঁর পরেই প্রায় সবার মাথায় ঘুরপাক খায় দুর্নীতির প্রসঙ্গ। যতবর প্রজেক্ট ততবড় দুর্নীতি। সরকার যতই বলুক দেশের ৯৫ ভাগ মানুষকে কোনভাবেই কেউ বোঝাতে পারবে না যে, কোন এক প্রজেক্ট একেবারে স্বচ্ছ ছিল সেখানে কোন দুর্নীতি হয়নি।

রাশিয়া উক্রাইনের যুদ্ধের দোহাই দিয়ে তেলের দাম গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কয়েক দফা বাড়িয়ে যখন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উতপাদনের রেকর্ড বাজিয়ে – ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সাফল্যগাথা প্রচার করে সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে যখন লেজে গোবরে পাকিয়ে ফেলে তখন আর যা-ই হোক একে বুদ্ধিমত্বার দ্বারা সরকার পরিচালনা বলে না।
পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার কল্যানে এদেশের নাবালক পুলাপাইন ও জানে নয় মাস ধরে বাকিতে কয়লা নিয়ে দাম পরিশোধ করতে না পেরে চলমান কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এটা যে বন্ধ হবে তা আগে থেকেই সরকারের টপ টু বটম সবাই জানত। কয়লার দাম পরিশোধ ও নতুন কয়লা আমদানীর জন্য প্রচুর সময় হাতে থাকার পরেও কে বা কাহার ইশারায় এর উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।
এতদিন কয়লা দিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হল সেগুলো কি মাগনা সরবরাহ ও বিতরণ করা হয়েছে? সে টাকা কই গেল? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন।
উত্তরঃ সে টাকা আছে যায়নি কোথাও। কিন্তু কয়লা কিনতে হবেতো রিজার্ভের টাকা মানে বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে। আর ঘাপলাটা ওখানেই। কেন সরকার ২৮/৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকার পরেও এই নির্বাচনী বছরে কয়লা আমদানী করতে পারছে না?

এর একটাই উত্তরঃ আই এম এফ এর কাছে এখন দেশ ও দেশের অর্থনীতির হাত পা বাঁধা। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান দেশের বড় মাপের কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও দেশের বড় ধরনের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আই এম এফ থেকে লোন নিতে বাধ্য হয়েছে। আই এম এফ সুযোগ বুঝে সম্ভব অসম্ভব কিছু শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে। আর তাদের শর্ত পূরণ করতে গিয়েই সবকিছু ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছে।
লোনের দ্বীতিয় কিস্তির টাকা পাবার জন্য অমুক সময়ে রিজার্ভে এত টাকা থাকতেই হবে এই মুহুর্তে আই এম এর একটা শর্ত। এমনিতেই শত চেষ্টা করে সেই টার্গেট ছুতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে- তাঁর পরে যদি কয়লা সহ আরো কিছু বড় মাপের আমদানীকৃত পণ্য ও কাঁচামালের দাম এই মুহুর্তে শোধ করতে হয় তবে সব কিছু গিট্টু লেগে যাবে।

ই এম এফ এর লোন ক্যান্সেল হলে বিশ্ব ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থারও পাইপ লাইনে থাকা লোন ও সাহায্য বাতিল হবার সম্ভাবনা থাকে।
সরকার একটা মাইনক্যা চিপায় পড়ছে। কিছু অর্বাচীন লোভী,দালাল ও ধান্দাবাজ, ক্ষমতালোভী লোকের পরামর্শে স্মরণ কালের সবচাইতে নাজুক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। নিজেদের জালে এমন করে পেঁচিয়ে গেছে যে, সে জাল গলে তো দূর কি বাত কেটেও বেরিয়ে যাবার উপায় নেই। বিদ্যুতের বর্তমান সঙ্কট নিরসনের জন্য একমাত্র ‘আল্লা ভরসা’ ঝড় বৃষ্টি কিংবা জুন জুলাইতে শীতের আগমন ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
***
* ভাবনাটা কিছুটা সত্যের মিশেলে আমার কল্পনা প্রসুত- ভুল ভ্রান্তি থাকা অস্বাভাবিক নয়। ব্লগারেরা এই বিষয়ে কি ভাবেন?
এটা আমাদের এলাকার ভাষা। ‘বাইল্যা বুঝ’ মানে আলগা বুঝ যা অনেকটা বালির বাঁধের মত।

*খোদ ঢাকায় বসে আমি এই লেখার সময়ে দু’বার লোড শেডিং এর কবলে পড়েছি।*

কেউ আরো জানতে চাইলে লিঙ্কের আর্টিকেলটা পড়ুনঃ
আইএমএফ ঋণের শর্ত রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়ন করতে হবে জুনের মধ্যে

ছবি-স্বত্ত্বঃ শেরজা তপন

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সময়মত কয়লা না কেনা হতে পারে টোটাল গেমের একটা অংশ।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে গেম- কিংবা হতে পারে মাইনক্যা চিপায় পড়েছিল।
তবে অবশ্যই এর পেছনে অনেক গভীর জলের মাছদের খেলা আছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য- ডার্ক ম্যান। ভাল থাকুন

২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: দেড় লাখ টাকা মাসে বেতন পেলে এখন আপনার কাছ থেকে ট্যাক্স কেটে রাখবে ২৫,০০০ টাকা। থাকবে ১২৫,০০০ টাকা।
বাসা ভাড়া ৪০,০০০ টাকা।
দুই সন্তানের স্কুলের খরচ ৪০,০০০ টাকা।
বাসার গ্যাস ও বিদ্যুৎ খরচ ৫,০০০ টাকা।
বাসার বাজারঃ মাছ ও মাংস ১৫,০০০ টাকা।
বাসার বাজারঃ চাল, আটা, সবজি ও ফলমুলঃ ১০,০০০ টাকা।
হাতে থাকে ১৫,০০০ টাকা।
বছরে অন্তত দুইবার আপনাকে ৫০,০০০ টাকার জামা কাপড় জুতা কিনতে হয়, মাসে আসে ৪,০০০ টাকা।
বছরে একবার আপনাকে ৫০,০০০ টাকা খরচ করে কক্সবাজার যেতে হয়, মাসে ৪,০০০ টাকা।
বছরে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসায় অন্তত ৫০,০০০ টাকা খরচ করতে হয়, মাসে আসে ৪,০০০ টাকা।

এভাবে দেড় লাখ টাকা বেতন পাওয়া একজন কেরাণী (!) মাসে কত টাকা জমাতে পারবে?

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল একটা হিসেব দিয়েছেন। তবে দেড় লাখ টাকা যারা বেতন পান তাদের অনেকেরই লোনে বা নিজের টাকায় কেনা একটা গাড়ি বা নুন্যতম মটর সাইকেল থাকে।, সে হিসেব যোগ করলে মাসান্তে দেনা করতে হয়। যা এখন যার ওসব কিছু নেই তাঁর ও করতে হচ্ছে।

এভাবে দেড় লাখ টাকা বেতন পাওয়া একজন কেরাণী (!) মাসে কত টাকা জমাতে পারবে?
জমানো তো দূর কি বাত। কয় টাকা লোন করতে হবে সেই হিসাব করা ছাড়া উপায় নেই।

৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: সরকারের ব্যর্থতা হলো ,নিজেদের যোগ্য লোককে ঠিক যায়গায় বসাতে না পারা।কিছু কিছু যায়গায় ভেজাল লোক ঢুকে গেছে।সঠিক লোক নির্বাচন করা একটা কঠিন কাজ।বড়রকমের যোগ্যলোক না হলে এটা করা সম্ভব না।নেতৃত্বের এটা একটা বড়গুন যেটা অনেকের মধ্যেই নাই।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: এই দেশের নিয়তিতে লেখা হয়ে আছে একজন মাত্র লোকের হাতে শাসিত হবে। বাকি সবাই থাকবে; জ্বী হুজুর, ধুরন্ধর, জোচ্চর, দুর্নীতিপরায়ন, মোসাহেব, স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া তথাকতিথ সৎ প্রসাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ দিয়ে।
এদেশে সবাই বিরোধী দলে থেকে দেশমাতৃকার প্রতি আচমকা প্রচন্ড টান ও দায়িত্ববোধ থেকে কিভাবে দেশটা সঠিক ট্রাকে চালানো যায় সেই নিয়ে বয়ান দিবে আর ক্ষমতায় গেলে 'থোড় বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি' থোড় হবে।

৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিশ্লেষণ ভালো হয়ছে তপন ভাই। সব সময় বলে এসেছি উন্নয়ন আর টেকসই উন্নয়ন আর টেকসই উন্নয়ন এক জিনিস নয়। আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন, আদানি থেকে বিদ্যুৎ কিনছে সেটার বিল ডলারে পরিশোধ করছে অথচ নিজেদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লোকজন বসে আছে, মেশিনারিজ আছে কিন্তু ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে পারছে না! তো আমি ডলার দিয়ে বিদ্যুৎ না কিনে নিজের বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলির জন্য কাঁচামাল কিনে এনে উৎপাদন করি। তাতে আমার লোকজনকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেওয়ার দরকার পড়ছে না। এছাড়াও হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে অনেকগুলি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রাখছি। এসব কোন কিছুই টেকসই উন্নয়নের মধ্যে পড়ে না।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আজ আদানীর এই ব্যাপারটা নিয়েই এক হাই প্রোফাইল ব্যক্তির সাথে আলাপ হচ্ছিল;
তিনি ভীষণ বিরক্ত আপনার মত একেবারে অযথাই আদানীর সাথে ভয়ঙ্কর চুক্তি করে আজাইর‍্যা দায়ভার টানছে।
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, তা স্যার এই টাকার ভাগের কিছু অংশ কি কারো কারো পকেটে ফিরে আসছে না?
তিনি আঁতকে উঠে বললেন ছিঃ ছিঃ কি বলেন। না না একথা বলবেন না। তাঁরপরেই হেসে বললেন- কিছু টাকাতো ঈশ্বরের ভোগে যাচ্ছে রে ভাই!
আদানী আগেই তো টিপে দিয়েছিল। কোন মতেই সময়মত সরবরাহ লাইন সময় মত শেষ হবে না। আর এই দায়ভার নুন্যতম দুই বছর টানতে হবে।
এই দেশ নিয়ে আমি ভীষণ হতাশ ব্রাদার।

আপনার কথা শোতভাগ সঠিক। এটা সবাই জানে বোঝে। সব হিসাব কিতাব আল্লাহই করেন না - মানুষ ও সময় মত কিছু হিসাব নেয়।

৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

আমি সাজিদ বলেছেন: আমার অভিযোগ - এই এক দশকে সরকারী দল করে অনেক অযোগ্য লোকেরাও কোটি টাকার বিল্ডিং ফ্ল্যাট করেছে, ব্যবসা করেছে। মহাসড়কে কিংবা বড় শহরের ফুটপাতে কোন গাড়ি চালক / বিক্রেতার সাথে কথা বললেই বুঝা যায় কত কোটি প্রতি দিন চাঁদা উঠে, এর ভাগ কারা কারা পায়। ক্যাসিনো কান্ডের সেই হাই প্রোফাইলদের একজন আজকে চিকিৎসায় দেশের বাইরে, আরেকজন হকি ফেডারেশনের ইলেকশনে অংশ নিচ্ছে। ছোট উদাহরণ দিলাম। তার মানে শুদ্ধাচার অভিযান হয় নাই, হলেও লোক দেখানো ছিল। আজকাল মন্ত্রী মিনিস্টারের আশেপাশে থাকলেই বা রাজনৈতিক পদে থাকলে কয়েক কোটি ( এমনকি শত কোটি) কামানো কোন ব্যাপার না। গেন্ডেরিয়া, ফরিদপুরের গত বছরের সেই আলোচিত ঘটনাগুলো তো মানুষ ভুলে নাই। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে লিস্ট এত বড় যে - হলমার্ক, শেয়ারবাজার, বেসিক ব্যাংক, নানা গ্রুপের কান্ড ( প্রথম পাঁচ ছয় বছরের) সবাই ভুলে গেছে।

আমার প্রশ্ন - দেশপ্রেম দেখানোর দায় কি শুধুই আমার বা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের? আমরাই শুধু ইউরোপ আমেরিকায় যাবো না? আমরাই শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবো? কম কেনাকাটা করবো? সৎ হয়ে চলবো? আর রাজনৈতিক দল যারা করে তাদের জন্য বুঝি এসব রুলস খাটে না?


আমি এখনও বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা যে কাজগুলো করেছেন তা অন্য কেউ করতে পারবে না। উনি বেশ অনেক ভালো কাজ করেছেন। বয়স উনাকে অভিজ্ঞ করেছে। উনার যে ইমেজ তৈরী হয়েছে তার বিকল্প নেই। আবার আমি এইটাও বলতে চাই, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামীলীগের ও প্রশাসনের কিছু মানুষের এত বড় মাত্রায় করাপশন না করলেও চলতো।


লোড শেডিং এ আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এর কারন আপনি চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। মনে প্রাণে চাইবো ক্রাইসিস যেন দীর্ঘ না হোক।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: কোন সংকটের সময়ে কেন শুধু সাধারণ মানুষ মিতব্যায়ী হবে? সচিবালয়, বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও প্রতিদিন লোড শেডীং হতে হবে- শুধু তাই নয় সে সময় তারা কোন বিকল্প ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারবে না। মানুষের জ্বলুনি না বুঝলে সঙ্কটের সমাধান হবে না।

মিতব্যায়ী হউন আর মুল্য নিয়ন্ত্রন না করতে পেরে এটা ছাড়ুন ওটা ছেড়ে দিন এই কথায় আমার দেবদাস- সিনেমার একটা বিশেষ ডায়লগের কথা মনে আসছে;
মা বলেছি বাড়ি ছেড়ে দাও-আমি বাড়ি ছেড়ে দিলাম
বাবা বলেছিল পারুকে ছেড়ে দিতে- আমি পারুকে ছেড়ে দিলাম
তুমি বলছ তোমাকে ছেড়ে দিতে- আমি না হয় তোমাকেই ছেড়ে দিলাম
কবে ভগবান বলবে এই দুনিয়াই ছড়ে দে-সেদিন পৃথিবীই ছেড়ে দিব।


দারুণ বিশ্লেষনধর্মী সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ক্রমাগত দূর্নীতি দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে।যার ফল পাচ্ছে দেশের সাধারন জনগন।
তবে এই দূর্নীতির ফল এক সময় ক্ষমতসীন দলেরাও পাবে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: হিসেব যখন দিতে হবে তখন আফসোস করে লাভ হবে না।
সব কিছু পচে গলে গেছে- মানুষের ক্ষোভ কি ভয়ঙ্কর উপায়ে ও কত চরম ত্যাগের বিনিময়ে প্রশমিত হবে এটা ভাবতেও ভয় হয়।

৭| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




হাযার বা লক্ষ টাকার যে বাগানই বানান না কেন, ছাগলে খাবেই, কম আর বেশী। এখনকার সোনার বাগান ছাগলে রেখে-ঢেকে খায়নি, খেয়েছে আগাছাশুদ্ধ।
যেসব কথা আপনি বলেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন।
তাহলে শেষমেশ কি হবে ?
টাকা নেই , তেল-কয়লা কেনা যাবেনা। তেল-কয়লা না থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবেনা। বিদ্যুৎ না থাকলে কলকারখানা বন্ধ হবে । কলকারখানা বন্ধ হলে পন্য উৎপাদন হবেনা। পন্য উৎপাদন না হলে বাজারে অবশিষ্ট পন্যের দাম আকাশচুম্বী হবে। পন্যের দাম আকাশচুম্বী হলে পাবলিক ........ :(( :( :((

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি জানি না কি হবে ভাই। তবে সহসাই অর্থবান ও শিক্ষিত বহু মানুষ যারা ক্ষমতালোভী, দুর্নীতিবাজ, অসৎ নয়( এরা মুলত দেশের সম্পদ) তারাও দেশ ছেড়ে ভাগবে। যাদের কোন উপায় নেই তারা পড়ে পড়ে মার খাবেই। এর থেকে বেরুবার কোন পথ আমি দেখছি না।

তারপর শেষমেশ কি হবে;
শেষ গাছ

৮| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: এখনই একজন আসবে এবং বলবে, বিকল্প আছে ?
:D

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ উনি এসেছেন :) :)
বাঃ ভালই জানেন আপনি।

৯| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১০

মোগল সম্রাট বলেছেন:

আজকের পত্রিকায় দেখলাম বড় ধরনের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সেক্টর। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, পিডিবি ও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর কতিপয় অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের সঙ্গে জড়িতরাই এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা। তাদের হাতেই জিম্মি হয়ে আছেন দেশের মানুষ। আর পুরো সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন পিডিবির এক অসীম ক্ষমতাধর ব্যক্তি।

অভিযোগ আছে, পিডিবির অদক্ষতা আর অপরিকল্পনায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা, রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের চুক্তি বারবার নবায়ন করা, সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়তি সুবিধা দেয়ায় এখন তিন বছরের চুক্তিবদ্ধ রেন্টাল প্রকল্প ১৫ বছরের জন্য ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েই চলেছে।

একটা সময় ছিল, যখন সারা দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বাসাবাড়ি, কলকারখানায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। কারণ, উৎপাদন হতো চাহিদার অর্ধেকেরও কম। এখন চিত্র পুরোপুরি উলটো। চাহিদার দ্বিগুণ উৎপাদনক্ষমতা। আর এই অতিরিক্ত উৎপাদনক্ষমতাই এখন সরকারের গলার কাঁটা।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: পিডিবিতে মহা ক্ষমতাধর শুধু নয়, ওয়াসা, তিতাস সহ রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানেই এমন মহা ক্ষমতাধরেরা ক্ষমতা আকড়ে ধরে সিন্ডিকেট করে আমাদের বাঁদর নাচ নাচাচ্ছে।
সেদিন এক বিচারক উষ্মা প্রকাশ করে পিপিকে অনেকটা এভাবে বলেছিলেন,
ক্ষমতাবানদের বলবেন এত টাকা নিয়ে কই যাবেন, আমেরিকা-কানাডায়?
একসময় ওরা সব টাকা নিয়ে লাথি মেরে বের করে দিবে। আপনারা এই দেশের মানুষ এই দেশেই থাকতে হবে- অতেব দেশটাকে ভাল করে গড়ার চেষ্টা করুণ।
দ্বীতিয় অভিযোগ একদম ঠিক।
শেষটা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না- আসলে কোথায় শুভঙ্করের ফাঁকি!

ধন্যবাদ ব্রাদার চমৎকার বিশ্লেষ্ণধর্মী মন্তব্যের জন্য। এমন অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য।

১০| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

জটিল ভাই বলেছেন:
২০২৩-এ দুর্ভিক্ষের ভবিষ্যত বাণীর কথা স্মরণ আছে কি প্রিয় ভাই?

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ হ্যাঁ তা থাকবে না কি বলেন। ম্যাডামতো আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন। :) আইলো বইল্যা

১১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মতামত হলো, জনগণের উচিত একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান দলকেই ক্ষমতায় রেখে দেয়া অন্তত আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে দেশের যে বৈদেশিক ঋণ আছে, তা সামাল দেয়ার জন্যই বর্তমান দলকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: ২০৪১ পর্যন্ত বাঁচার অবস্থা থাকবে না তো ভাই! লোনডা শোধ হইলেও - আমরা সবাই ল্যাংটা হয়ে ঘুরে বেড়াব।

তারপরেও বিকল্প দেখছি না এখনো।

১২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, কি বলব ।
বলার কিছু নাই।

আবার বলার সুযোগ দিলে বলার আছে অনেক কিছুই। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদৌলতে দেশের মানুষ কিছু বলাও ছেড়ে দিয়েছে। যাদের সংখ্যা দেশের প্রায় ৯০ ভাগ (দেশের ১০ ভাগ মানুষ আওয়ামী সুবিধাভোগী। তাদের জন্য দেশ এখন সোনার খনি । আর বাকী মানুষ নানা রকম চাপে ভর্তা হয়ে যাচছে )।

আপনি যদি গঠনমূলক কিছুও বলেন তবেও বিপদ। কারন ,তারা কোন কিছুই শুনতে রাজী না।

হামলা-মামলা ও অপবাদের চাপে বাঁচার পথও থাকবেনা। আর যদিও দ্রব্যমূল্যের চাপ-প্রকৃতির রোষানল থেকে কোন ভাবে জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা যায় তবে তাদের রোষানল থেকে বাঁচার কোন পথ পাওয়া যাবেনা। একবার নেক নজর পড়লে জীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত (হাওয়া হওয়া তথা বাতাসে মিলিয়ে যাওয়া কিংবা ওপারে পৌছে যাওয়া) থেমে যাবেনা। কাজেই , সাধু সাবধান । নো :( comment ।

শুধু বেঁচে থাক, জান নিয়ে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: এত্তোটুকুন সমালোচনা করে একটা পোষ্ট দিতে গিয়ে আমিও আতঙ্কবোধ করি।
কোনখান দিয়ে কার কোপানলে পড়ি। সবাইতো আওয়ামীলীগের শুভাকাঙ্ক্ষী!
চুপ চাপ থাকলেও আপনার ওই রোষানল থেকে বাঁচবেন সব সময় এমনটাও ভাববেন না। বেকুব আর বোকাচোদা লোক উঠতে বসতে ঝাড়ি লাথি খায়।

তবু পরামর্শটা স্মরণে রাখলাম। এখন শুধু বেঁচে থাকা জান নিয়ে!!!!

১৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কয়লার বিষয়টা টেব্লোয়েডের বিষয় নয়।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১০

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যটা একটু বিশ্লেষণধর্মী হলে ভাল হোত। অপেক্ষায় রইলাম...

১৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

তানভির জুমার বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী গতকালও বলেছে কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না, দাম অনেক বেশী, গ্যাস, ডিজিলের দাম অনেক বেশী, বিশ্বমন্দা। এইসব ডাহা মিথ্যা কথা। বর্তমানে অতীতের তুলনায় গ্যাস, কয়লা, ডিজিল এইসবের দাম অনেক কম এবং সবই এবেলেবল আছে। গুগল করলেই সব বিস্তারিত পাওয়া যায়। এখনও আওয়ামীলিগাররা পাবলিক কে বলদ মনে করে। কুইকরেন্টাল নামে দলীয় লোকদের লুটপাট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার ইন্ডেমনিটি দেওয়া হয়েছে যাতে এই লুটপাটের বিচার না করা যায়।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

শেরজা তপন বলেছেন: ওরা এখনো নব্বুইয়ের দশকে পড়ে আছে। ভাবে 'বাইল্যা বুঝ' দিলেই জনগন ঠান্ডা!
নব্বুইভাগ মানুষ এখন সব বুঝে সব জানে। আপনার লিখাটা পড়েছিলাম। ভাল লিখেছেন। মন্তব্য করব বলে আর হয়ে ঊঠেনি।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বিকল্প অবস্যই আছে।
দুর্নিতিতে ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গোষ্ঠির দলের আমলে একটিও বিদ্যুৎকেন্ত্র হয়নি। বিদ্যুৎ এক মেগাওয়াট কেন কিলোয়াটও বাড়েনি। কোন বড় সেতু হয় নি, মেগা প্রকল্প দুরের কথা, এসবের নামও শুনেনি। সাইফুর রহমানের ৫ টি বাজেট বক্তৃতা শুনে দেখবেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। মাত্র আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে একটি দেশ কিভাবে চলতে পারে ৫ বছর?
তাদের আমলে কোন অর্থ পাচার হয় নি, রিজার্ভ হ্যাকিংও হয় নি। রফতানি ভাল, রেমিটেন্সও বেশ ভাল ছিল।
তাহলে সে আমলে অর্জিত ডলারগুলো কোথায় গেল?
রিজার্ভে ৩ বিলিয়ন ছিল, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ২০০৬ এ ক্ষমতা ছাড়ার সময়ও একই ৩ বিলিয়ন।

পাকিস্তানের বন্ধু হয়ে পাকিস্তানের পরামর্শে জেমবি আলকায়দা বালকায়দাকে অর্থ দিয়ে ট্রাককে ট্রাক অস্ত্র উলফাকে কিনে দিয়ে এয়ার ড্রপ করে অস্ত্র ফেলে ভারতের সাথে গুতোগুতি করাটাই ছিল তাদের তথাকথিত উন্নয়ন।
ভারতের ক্ষতি করার আয়োজন করাটাই তাদের তথাকথিত সুশাসন।

০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: তাদের এইসব দুস্কর্মের জন্যই তো জনগন বিশাল ম্যান্ডেড দিয়ে আওয়ামীলীগ ও তাদের সমমনা দলকে ক্ষমতায় এনেছিল।

* আপনি কি ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে ব্লগের আলোচনাগুলো দেখেছিলেন?
এই নির্বাচনের আগে সম্ভব হলে আমি সেই রেফারেন্সগুলো নিয়ে আসব। তখন মানুষ কি পরিমান বি এন পি জামাতকে ঘৃনা করত আর এই সরকারের কাছে কি চাওয়া পাওয়া ছিল সেগুলো বুঝতে পারবেন।

১৬| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিএনপি জামাত লবিষ্ট বা ডাইরেক্ট টাকা পয়সা খাইয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা অনুরূপ কঠিন কিছু একটা করার অঙ্গিকারের মত ব্যাবস্থা করেছিল।
কিন্তু অশ্বডিম্ব বাদে কিছু পায় নি বিএনপি। বিএনপি জামাতের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি লবিংয়ের মিলিয়ন ডলার জলে গেল।

পরে টাকা হালাল করতে ৫ কংরেসম্যানকে দিয়ে একটা চিঠি লেখানো হয়েছে, সেটাও ট্রাস বাস্কেটে গেছে। কারন সেই সময়ে আমেরিকা নিজেই দেউলিয়াত্ব থেকে রক্ষা পাওয়ার বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল
আমেরিকা উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট রেখে কিছু একটা করতে একটা ভিসা নীতি ঘোষনা করলো, যে ভিসা নীতি মোটামুটি আগেই বিদ্যমান ছিল।
নির্বাচনে কাউন্টারফিট বা বাধাদান একটি আমেরিকা ও বাংলাদেশ সবদেশেই ফৌজধারি অপরাধ,
কোন অপরাধীকে বা ব্যাকগ্রাউন্ড রিপোর্ট ভাল না থাকলে আমেরিকা আগেও ভিসা দিতনা এখনো দিবে না, সিম্পল ব্যাপার।

০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের এই কথাগুলো আমি আগে শুনেছি।
যদিও খবরগুলো অথেনটিক কি-না সেটা আমার জানা নেই। সে জন্য বিষয়টা জেনে আমি ফের আপনার মন্তব্যের উত্তর দেবার চেষ্টা করব।

১৭| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: দুর্নীতি বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা এতে কারো দ্বিমত থাকার কথা না। গত কয়েক বছর ধরেই খেয়াল করলে দেখবেন বাজেট ঘোষণার আগে অর্থাৎ মে-জুন মাসে লোড শেডিং প্রকট আকারে দেখা দেয়, এটা কুইক রেন্টাল প্লান্ট গুলোর মেয়াদ রিনিউ করার পরিবেশ তৈরী করার একটা প্রয়াস হলেও হয়ে থাকতে পারে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল বলেছেন ভ্রাতা- এই বছর থেকে নোট রাখলাম।
সামনের বছর শ্যেন নজর রাখতে হবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

জ্যাকেল বলেছেন: সরকারের খারাপ লোকদের দালালেরা বলবে বিম্পি আমলের কথা। এই দালাল শ্রেণির ভাষ্য আমলে নিলে দেখা যায় কতটা খারাপ আমরা নই সেটা দেখানোর একটা চেস্টা। তাদের কাছে প্রশ্ন আনয়ন করা হলে উহা অগ্রাহ্য করে উল্টো বলবে যে এর চেয়ে ভাল কিছু করা সম্ভব নয়। তো যদি নাগরিকদের নুন্যতম সেবা দেওয়া অসম্ভব হয় তবে আমার কোন বালের কামটা উহারা কুরতেছে?

** হিন্টস পাশ কাটাতে গিয়ে আবারো জামাত-বিম্পি নামক আগাছার কথা আবার আনা হবে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: কথা শুনতে তিক্ত হলেও একেবারে খাঁটি কথা।
আফসোস বড়ই আফসোস!

ধন্যবাদ ব্রো

১৯| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

মিরোরডডল বলেছেন:




সাধারণ মানুষের কাছে কোন দল আসলো গেলো, they don’t care.
তারা চায় দিনশেষে একটু স্বস্তি, নিত্যদিনের কষ্টটা যেনো একটু কম হয় এটাই তাদের চাওয়া।
কিন্তু যারা তাদের এই কষ্ট কমাতে পারে, সেই মানুষগুলো ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতেই ব্যস্ত থাকে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: এদেশে কি এমন কেউ আসবে না কোনদিন যে সত্যিকারে নিজের ও নিজের পরিবারের স্বার্থের উর্ধ্বে দেশ নিয়ে দেশের মানুষকে নিয়ে ভাববে?
আপনার সাথে সহমত। আলোচনায় মাঠ গরম করলেও কেউ আসলে এসব নিয়ে খুব বেশী ভাবে না।
আমি কোন আশার আলো দেখছি না :(

২০| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:



দ্রব্যমুল্যের লাগাম টেনে ধরা। প্রয়োজনে রিজার্ভের উপর ঝুঁকি নিয়ে পর্যাপ্ত তেল কয়লা গ্যাস আমদানী করে ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখা।

সেটাই, দীর্ঘ এতবছর এতো সুন্দর বিদ্যুৎ সার্ভিস দিয়েছে যার জন্য অবশ্যই কৃতজ্ঞ।
আর এখন সামনে ইলেকশন আর এ সময় অবস্থা এমন বেগতিক, স্বাভাবিকভাবেই পাবলিক ক্ষ্যাপা।
কষ্ট করে হলেও বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে সুফল পেতো।

সারাবিশ্বে এখন মন্দা যাচ্ছে, বাংলাদেশও তার বাইরে না কিন্তু যেহেতু এখানে অসৎ ব্যবসায়ী বেশি তাই তারা সুযোগ নিয়ে বেশি লাভের আশায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের আওতার বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র সরকার পারে সেটা কন্ট্রোল করতে।


০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: পরশু আমাদের ওকে তো বলিলেন; বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দ্রব্যমুল্যের দাম অনেক সহনীয় পর্যায়ে আছে।
:) :) উনি কোন দেশের সাথে ক্যামনে কি তুলনা করেছেন সেটা নিয়ে আমি ভাবিত। এর পরেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দেয়া হল। পেয়াজের দাম নাকি ওদের থেকে এখনামাদের এখানে ৪ গুনের বেশী। কলকাতায় ১ কেজি গরুর মাংস ১২০ রূপি, ছাগলের মাংস -২৫০ রুপি। চাল ডাল ফল-মুল সব কিছুই আমাদের থেক দাম কম। কাউরে তো বেশীদুর যাইতে হয় না। মায়ানমারে আমাদের থেকে বেশীরভাগ পন্য অনেক অনেক সস্তা।
আমরা মাথাপিছু মাংস খাই ৫ কেজির কিছু বেশী আর মায়ানমার ৬১ কেজি।
সুযোগ সবাই নেয় সব দেশেই কম-বেশী নেয়। কিন্তু এখানকার বেশীরভাগ ব্যাবসায়ী ও রাজনীতিবিদ এবং প্রসাশনের মানুষ অসুস্থ ও উন্মাদ!!

২১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , হাসিনাকে নামিয়ে দিলে অনেক কাজই অসম্পন্ন থেকে যাবে এই চিন্তায় হাসিনাকে মাথা থেকে নামানো যাচ্ছে না । তবে তিনি ব্যাবসায়িদের উপর খুব আবেগপ্রবন । টুক টাক কিছু বাদ দিলে এই দুঃসময় কাটিয়ে ওঠা যেত । লীগের এই অসাধারন উন্নতির কাছে বি এন পি কিছুই নয় । রাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করে দেখা যেতে পারে ট্যাকল দেয়া যায় কিনা । তবে হাসিনাকে একটু নির্দয় হতে হবে ।

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: উনি প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশী নির্দয় ডঃ ইউনুস সহ কিছু মানুষের প্রতি।
আপনার কথা ঠিক কিন্তু নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করতে গিয়ে ভাবমুর্তি বেড়েছে ঠিকই কিন্তু অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে- রিজার্ভ এর উপরে চাপ বেড়ে যাবার কিন্তু এটা একটা বড় কারণ। যেভাবেই হোক লোন নিয়ে এটা করা উচিৎ ছিল। এই ভাব দেখিয়ে এখন আই এম এর কাছে হাত পা ধরে সব শর্তে রাজী হয়ে ঋন নেয়াটা কি ঠিক হচ্ছে?
বাকিটা ঠিক থাকলেও শুধু দৃশ্যমান উন্নয়ন দিয়ে জনগনের ভালবাসা আদায় করা যায় না।

২২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



শুধু উচ্চবিত্ত বাদে দেশের বাকি সব নাগরিকের ত্রাহি অবস্থা!
আই পি এস এর চৌদ্দ হাজার টাকার ব্যাটারি ২৫ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না।


বাংলাদেশে একমাত্র উচ্চবিত্তরা ভালো আছে কিন্তু তাদের সংখ্যাটা লিমিটেড।
বাজেটে কি বাড়লো কমলো, তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না।
কিন্তু মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত সংখায় বেশি।
ব্যক্তিজীবনে তারা হয়তো হ্যাপি কিন্তু পারিপার্শ্বিকতা আর বেসিক চাহিদা মেটানোর চাপে তারা কেউ ভালো নেই।
সবসময় একটা অজানা আতংক তাদের মাঝে, এভাবে চলতে থাকলে সামনে কি হবে!!

আগের মন্তব্যে এটাই বলতে চেয়েছি ১৪ হাজারের ব্যাটারি ২৫ হাজার।
দাম বাড়ার একটা লিমিট থাকবে যেটা বাংলাদেশে নাই।
সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা এই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে আর সাধারণ মানুষের অবস্থা বারোটা!




০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আদা দেড়শ থেকে পাঁচশ টাকা, শুকনা মরিচ ৬০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা এখন ১০০।
আলুর বাম্পার উতপাদনের পরেও পঞ্চাশ টাকা কেজি।
গরুর মাংস প্রায় প্রতি সপ্তাহে কেজিতে পঞ্চাশ করে বাড়ছে।
এরকম কত আর উদাহরণ দিব।

২৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:



সুযোগ সবাই নেয় সব দেশেই কম-বেশী নেয়। কিন্তু এখানকার বেশীরভাগ ব্যাবসায়ী ও রাজনীতিবিদ এবং প্রসাশনের মানুষ অসুস্থ ও উন্মাদ!!

I agree 100%.
সাধারণ মানুষ হচ্ছে ভিকটিম।
তাদের হাত পা বাঁধা কিচ্ছু করা নেই।
রক্ষক যখন ভক্ষক, বাকি সবাই তখন নিরুপায়!






০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে ভবিষ্যতেও কিছু করার থাকবে না।
অনেক ধন্যবাদ বরাবরের মত অতি আন্তরিকভাবে সাথে থাকার জন্য।

২৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই পরিস্থিতি একদিনে তৈরী হয়নি। একটি অগনতান্ত্রিক সরকারকে জোড়পুর্বক টিকিয়ে রাখতে প্রসাষনকে লাগামহীন দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ৫০০০ কোটি টাকা দেনা কিভাবে হয় পিডিবির ? জবাবদিহিতা যখন শূূন্যের কোঠায় পৌছে , তখন দেশময় একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরী হয়।

০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

শেরজা তপন বলেছেন: পিডিবির শুধু এই দেনা নয় আরো আছে।
আসলে দেনা শোধ করেওতো লাভ নেই। সরকার আই এম এর ভয়ে রিজার্ভে হাত দিতে চাচ্ছে না।

* বসুন্ধরা অবশ্য এই ফাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিল তাদের কাছে ১৫ দিন পাওয়ার প্ল্যান্ট চালানোর মত কয়লা আছে সেটা নিতে। সরকার যে কয়েকগুন দামে কেন সেটা কিনল না সেই নিয়ে আমি ভাবিত!

২৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: খুব গুছিয়ে বিষয় গুল তুলে ধরেছেন ভাইয়া।

০৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল-অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ভাল থাকুন।

২৬| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
এই পোষ্ট টা স্টিকি করা যেতে পারে।

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: একটু বেশী বললেন ভাই- স্টিকি হবার মত যোগ্যতা এই পোস্টের নেই।
তবুও আপনার উচ্চ-ধারনা পোষনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৭| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কোভিড মহামারি থেকে পৃথিবীর যে অল্প কয়টা দেশ নিজেদের কম ক্ষতিগ্রস্থ রাখতে সক্ষম হয়েছিল তার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম।
করোনা বিপর্যয় ও ইউক্রেন যুদ্ধ সংকটে খাদ্য-পন্য সংকট গ্লোবাল মুদ্রাস্ফিতিতে পৃথিবীর যে অল্প কয়টা দেশ নিজেদের অর্থনীতিকে কম ক্ষতিগ্রস্থ রাখতে সক্ষম হয়েছিল তার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম।
বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতিতে বর্তমান বাস্তবতা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই না, বরং সারা পৃথিবীতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু মিডিয়াতে ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক গুজব প্রচারিত হচ্ছে যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশী দ্রব্যমূল্য।

আটা-ময়দা চাল, ডাল, তেল আরও যেসব জরুরি খাদ্যপন্য মুল্য - বাস্তব প্রকৃত মুল্য জানতে এই সাইটটি ঘুরে আসুন।
এখানে কোন দ্রব্যের মূল্য কতো, সারা দুনিয়ার ৯১ টি দেশের ডাটা আছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশেই খাদ্যপন্য মুল্য অনেক কম। মুল্যবৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান একদম শেষের দিকে।
www.globalproductprices.com


এই দেশ আমাদের, এই দেশের সব উন্নয়নের সমান অংশীদার আমরা সবাই। যখন আমাদের দেশের অতিব গুরুত্বপুর্ন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল, বৃহৎ বিদ্যুতকেন্দ্র আর বড় বড় স্থাপনাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করা হয়, সঙ্গবদ্ধ ভাবে গুজব ছড়ায় তখন বুঝবে হবে সেই চক্রটি কারা?

২৮| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৫

কাঁউটাল বলেছেন: বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের জন্য বাড়তি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকার চেষ্টা করতেছে, আশা করা যায় মাস খানেকের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

শেখ হাসিনা আজকে সমস্যায় পড়ছেন এর কারণ আমার হিসাবে দুইটা

১। উনি ভারত-আমেরিকা লবির "ইলেকট্রিসিটি করিডোর" প্রস্তাব একযুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। শুকনা মৌসুমে বাংলাদেশের ৭০% পানি আসে যমুনা নদী দিয়ে। "ইলেকট্রিসিটি করিডোর" যমুনা নদীর উজানে ভুটান এবং অরুনাচলে যত ট্রিবিউটারি আছে, সেইগুলিতে ১৫০ এর অধিক বাঁধ দিয়ে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার (এক লক্ষ মেগাওয়াটের উপরে) একটা মহা পরিকল্পনার সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল অংশ। শিলিগুরি করিডোর দিয়ে ভারত অলরেডি অনেক গ্রিড লাইন বানিয়ে ফেলছে। কিন্তু সেই গ্রিড লাইন গুলি দিয়ে খুব বেশি হলে ৮ - ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মেইন ল্যান্ড ইন্ডিয়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। বাকি গ্রিড লাইন গুলি এরা বাংলাদেশের ভুমির উপর দিয়ে বানাতে চায়।

এমনিতেই আবহাওয়া চরম ভাবাপন্ন হওয়ার কারণে বাংলাদেশে নদীর পানির প্রবাহ আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে যমুনার উজানে যত বাঁধ হবে বাংলাদেশের অবস্থা তত খারাপ হবে। নিচের ম্যাপে ব্রম্মপুত্র বেসিনে অলরেডি কতগুলি বাধ আছে তা দেখানো হইছে। যেহেতু এইটা ভারত সরকারের অফিসিয়াল ম্যাপ তাই ভুটানের ভিতরের বাঁধগুলি এখানে দেখানো হয় নাই।



বাংলাদেশের উজানে বাঁধ নির্মানের এই মহা পরিকল্পনার ফান্ডিং করবে মুলত আমেরিকা কেন্দ্রিক ডোনার এজেন্সিগুলি (বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ইত্যাদি) এইভাবে এইখানে আমেরিকা ইনভল্ভ। যাই হোক শেখ হাসিনা প্রায় একযুগ ধরে করিডোর লাইনের প্রস্তাব ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। বিষয়টা নদী কমিশন নেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। এবং শেষ পর্যন্ত কয়েকদিন আগে কমপ্রোমাইজ করতে বাধ্য হইছেন।

ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

২। আরেকটা কারণ হইল মূলত চিন সমর্থিত মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে লজিসটিকস সাপোর্টের জন্য আমেরিকার প্রস্তাবিত দুইটি সামরিক চুক্তির প্রস্তাবকে গ্রহণ না করা। এই প্রস্তাবে রাজি হওয়া মানে দীর্ঘ মেয়াদে ঘরের পাশে শত্রু তৈরী করা। আমেরিকা আজকে আছে, কালকে নাই। কিন্তু নিকট প্রতিবেশি সবসময় থাকবে।

বর্তমানে সৃষ্ট ডলার ক্রাইসিস, আইএমএফ - এইগুলি শেখ হাসিনা সরকারের জন্য পানিশমেন্ট প্রোগ্রাম, ফকিন্নি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে স্বাধীন ভাবে দেশ চালাতে চাওয়ার স্পর্ধা দেখানোর ফল। হইতে পারে শেখের বেটি নিষ্ঠুর, হইতে পারে সে অনেক খারাপ, কিন্তু তার বাপের মত সে স্বাধীনচেতা, এতে কোন সন্দেহ নাই।

অতএব পরাণের দেশবাসি, আসেন প্রধানমন্ত্রির সাথে একাত্ম হয়ে আমরা একটা রোলার কোস্টার রাইডের জন্য রেডি হই। ইনশাআল্লাহ আখেরে ভাল হবে।

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপনার তথ্যবহুল সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।
"ইলেকট্রিসিটি করিডোর" নিয়ে আমার ভাসা ভাসা ধারনা আছে। বিষয়টা নিয়ে আমার একটু পড়াশুনা করতে হবে। এই ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে কোন মন্তব্য বা বিতর্কে যাওয়া ঠিক নয়।
আশা করি সময় করে ফের আসব।

২৯| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

কাঁউটাল বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাইরা সবসময় ভূল এংগেল থেকে প্রধানমন্তীকে ডিফেন্ড করেন। দেশের স্বার্থে এক হই আসেন।

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে- এর কোন বিকল্প নাই। সবাই আমরা এই দেশের নাগরিক, মাতৃভূমির প্রতি সবার কিছু দায়-দায়িত্ব আছে।

৩০| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪২

আমি সাজিদ বলেছেন: কাঁউটাল, উনি কম্প্রোমাইজ কেন করেছেন, না করলেও তো পারতেন। এইটার আরও এক্সপ্লেনেশন চাই। আর আমেরিকার কোম্পানি যে ইলেকট্রনিক করিডরের স্পন্সর এইটা নিয়ে বিস্তারিত লিখবেন। যারা আপনার মন্তব্যের বিরোধী তারা তো উলটো কথাও বলতে পারে যে, করিডোর দিয়ে এখন ভিক্টিম কার্ড খেলা হচ্ছে। তথ্য উপাত্ত সহ বিস্তারিত কমেন্ট করলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে।

আমেরিকার অস্ত্র বিক্রির চাপ ও তাতে না বলা বিষয়টা, এইটার প্রমানাদি সহ বিস্তারিত লিখবেন আশা করি।


সব কিছু বাদ দেন। ভোট, করাপশন, ফেয়ার ইলেকশন সব বাদ দিলাম ধরে নেন। বর্তমান পোস্টের বিষয়ে আসি, কয়লা গ্যাসের দাম বেশী বলে যে স্টেটমেন্ট দেওয়া হলো, সেটার সাথে তো বিশ্ব বাজারের দামের ক্রসচেক করলে স্টেটমেন্ট ফলস বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

৩১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: কাঁউটাল ভাই, দেশের স্বার্থ বিষয়টা একটু আমাকে বুঝান। ধরে নিলাম, আপনিই ঠিক। আপনি যা সাপোর্ট করেন তাতেই দেশের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে। আপনি আমি অন্য কোন দেশের ভিসা নীতি, নিষেধাজ্ঞা, স্যাংশন মানি না। ওয়েল। দ্যান গো এহেড। এইগুলা নিয়ে যদি মাথা ব্যাথা না থাকে দিনের পর দিন এইগুলা নিয়ে কমেন্ট করা বন্ধ করলেই তো হয়। ইফ য়ু আর কনফিডেন্ট এনাফ দ্যান এরেঞ্জ আ ইলেকশন এন্ড উইন ফেয়ারলি। ব্যস, সব সমস্যার সমাধান। সব প্রশ্নের উত্তর।

৩২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদ্যুৎ না থাকলে কি হয়? আগের জমানায় তো বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ ছাড়া তারা ভালোই ছিল। :)

কলকারখানা না থাকলে কি হয়? আগের জমানায় তো কলকারখানা ছিল না। তারপরও কোন সমস্যা হয় নাই। :)

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: একদম খাঁটি কথা বলেছেন- এর উপরে আর কথা নাই :)

৩৩| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

কাঁউটাল বলেছেন: @আমি সাজিদ, যেহেতু উনি শেখ হাসিনা, কাজেই আপাতত কমপ্রোমাইজ করা উনার একটা রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। পরে হয়তো সুযোগ মত আরেকটা প্যাঁচ লাগায় দিবেন। বাংলাদেশ নামক ডোংগা নৌকার মাঝি হওয়া কত কঠিন সেইটা আপনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চুলের রং মাত্র কয়েক বছরে কিভাবে সাদা হয়ে গিয়েছিল তা দেখে হয়তো কিছুটা অনুমান করতে পারবেন। টক-শো এর টকমারানিদের নজরে সরকার চালানো সহজ। কিন্তু বাস্তব অনেক অনেক অনেক কঠিন।

আমেরিকার দরকার একটা আশরাফ গনি ইকুইভ্যালেন্ট সরকার। মাইনাস টু দেন প্লাস ওয়ান আশরাফ গনি।

মনে হয় আপনার অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের কিছুটা অভাব আছে। শিক্ষিত পোলাপাইনের মত কথা বলেন। আপনাস সাথে তর্ক করলে আমার অনেক সময় নষ্ট হবে। আমি হিন্টস দিছি, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।

৩৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

কাঁউটাল বলেছেন: তাছাড়া বাংলাদেশ হইল চোরের খনি, মিরজাফরের দেশ। এইটাও মাথায় রাখতে হবে।

৩৫| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০২

কাঁউটাল বলেছেন: ফেয়ার ইলেকশন বাংলাদেশের জন্য একটা ফেয়ারি টেল হয়ে যাচ্ছে। একটা চোর এবং মিরজাফরে ভর্তি দেশে এইটা একটা বাস্তবতা। থউরিটিক্যাল আলোচনা করে লাভ নাই। বাংলাদেশের মসনদ অভিশপ্ত, এই মসনদে যারা বসে তাদের এবং তাদের পরিবারের ভাগ্যে কি হয় সেইটা ভেবে দেখেন।

৩৬| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৪

আমি সাজিদ বলেছেন: কাঁউটাল, আমি অর্ধশিক্ষিত, অনেক কম জানি। এইজন্যই আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি। আপনি ৩৩ নং মন্তব্যটিতে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেই পারতেন, শুধু শুধু "সময় নষ্ট " টার্মটি লিখে পাশ কাটিয়ে গেলেন কেন?

কোনটা পিএমএর রাজনৈতিক কৌশল আর কোনটা না তার বিষয়ে দেখা যাচ্ছে আপনি নিজেও কনফিডেন্ট না। তাই লিখেছেন - " পরে হয়তো সুযোগ মত আরেকটা প্যাঁচ লাগায় দিবেন। "

আমি এখনও - ওপেন টু এক্সেপ্ট এনি লজিক্যাল এক্সপ্লেনেশন। হতে পারে আমার ইন্টারপ্রিটেশন ভুল। আমার ভুল ধরিয়ে দিন। প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন উত্তর দেন।

৩৭| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৬

কাঁউটাল বলেছেন: সরি, আপনারে আঘাত করছি, মাফ কইরা দেন।

৩৮| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১২

আমি সাজিদ বলেছেন: কাঁউটাল ভাই, জানি না আপনি কে। বাট ইউ হ্যাভ নো রাইট টু এড্রেস সিটিজেনস লাইক দিস। জনগণকে গালি না দিয়ে সিস্টেমকে গালি দেন, কেন স্টাবলিশ করা গেল না সাসটেইনেবল সিস্টেম। ছোট দেশ, এত মানুষ, সীমিত সম্পদ.

হু আর য়ু এন্ড আই টু ভারডিকট "সবাই চোর / মীরজাফর"?

আমরা কে? হু দ্যা ফাক উই আর? আমাদের এইসব অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে দেশের মধ্যে শ্রেণী বিভাজন করার অধিকার কে দিয়েছে?

৩৯| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: কাঁউটাল ভাই, না আমাকে আঘাত করেন নাই। আপনি " কমপ্রোমাইজ / অস্ত্র বিক্রির" বিষয়টার তথ্য উপাত্ত দিয়ে লিখলেই তো হয়ে যায়।

আমি ইলেকশনের কথা বলতেই-
আপনি দেশের মানুষকে নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক " মীরজাফর, চোরের খনি " আপত্তিকর শব্দগুলো লিখেছেন। আর ইউ গাইজ চুজেন ওয়ান? বাকি সবাই " চোর বাটপার", অধিকার নাই তাই। ফাকিং স্লেভস? তাহলে দেশের সব মানুষ " সো কল্ড চোর বাটপার" দের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়ে দেশটাতে আপনারাই থাকেন না কেন?

৪০| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: কাঁউটাল ভাই, না আমাকে আঘাত করেন নাই। আপনি " কমপ্রোমাইজ / অস্ত্র বিক্রির" বিষয়টার তথ্য উপাত্ত দিয়ে লিখলেই তো হয়ে যায়।

আমি ইলেকশনের কথা বলতেই-
আপনি দেশের মানুষকে নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক " মীরজাফর, চোরের খনি " আপত্তিকর শব্দগুলো লিখেছেন। আর ইউ গাইজ চুজেন ওয়ান? বাকি সবাই " চোর বাটপার", অধিকার নাই তাই। ফাকিং স্লেভস? তাহলে দেশের সব মানুষ " সো কল্ড চোর বাটপার" দের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়ে দেশটাতে আপনারাই থাকেন না কেন?

৪১| ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই সব বড় বড় বিষয় নিয়ে মথা ঘামিয়ে আমি কিছু করতে পারবো না, আমি বরং আদা বিক্রি করতেই থাকি। তবে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি কবে নাগাদ হতে পারে আমাকে শুধু এতটুকু বলেন, তাহলেই আমার চলবে।

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ আপনি বরং এসি বাসে ভ্রমণ করেন।
বিদ্যুতের কোন ভরসা নেই। রিজার্ভ যায়গামত গেলে বিদ্যুৎ আছে নাইলে নাই। ভাই বেরাদাররে বলেন বিদেশ থেকে বেশী বেশী রেমিটেন্স পাঠাইতে :)

৪২| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্যাক স্মিথ, আমি আপনি প্রশ্ন করলে মার খাবো এইটা স্বাভাবিক। লুক এট দিস - জ্যাক স্মিথ, আমি আপনি প্রশ্ন করলে মার খাবো এইটা স্বাভাবিক। লুক এট দিস -

প্রতিবন্ধীরাও মার খাচ্ছে। আমি আপনি তো কিছুই না।

৪৩| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

@কাঁউটাল আমি প্রধানমন্তীকে ডিফেন্ড করছি না। গুজবের ভুল তুলে ধরে সেটাই বলছি।

আমেরিকার প্রস্তাবিত দুইটি সামরিক চুক্তির প্রস্তাবকে গ্রহণ না করা সঠিক।

"ইলেকট্রিসিটি করিডোর" ভাল তবে জলবিদ্যুতে পরিবেশ ও জমির বিপুল ক্ষতি। পুর্ব ভারত থেকেই বিপুল বাধা আসবে।
সবচেয়ে বেষ্ট হয় চীন থেকে বিদ্যুৎ কিনে ভারতকে রাজি করিয়ে করিডোর করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। আদানীর মত।

যে যাই বলুক আমি মনে করি আদানী চুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেষ্ট চুক্তি।
যদিও সর্বমহল প্রচন্ড গুজব অপপ্রচার চালানো হয়েছে আদানী চুক্তির বিরুদ্ধে।
বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরির ঝামেলা নেই, ইঞ্জিনিয়ার কর্মচারি বেতন দেয়ার ঝামেলা নেই, কয়লা কেনার ভেজাল নেই, ডলারের চিন্তা নেই এক পয়শাও ইনভেষ্ট নেই। অতচ পায়রা-রামপালের দামে অফুরন্ত বিদ্যুৎ, বিদ্যুৎ দিতে না পারলে জরিমানা। আমারাও ২৫% বিদ্যুৎ কিনতে না পারলে জরিমানা (মানে ক্যাপাসিটি চার্জ)

ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়েও অপপ্রচার আছে ব্যাপক।
আমার কথা হচ্ছে সরকার বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নিজেই করলে কোন কারনে জেনারেশন বন্ধ থাকলে অপারেটিং কষ্ট ইঞ্জিনিয়ার কর্মচারি বেতন কি দিতে হইতো না? সেটাই তো ক্যাপাসিটি চার্জ। লাগলে দিবে।

৪৪| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:২৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেক ভারতীয়রা নিজেরাই বলছে আদানী একটা scam!

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমারতো তেমনটাই মনে হয়। তবে আদানীর জায়গায় রিলায়েন্স থাকলেও একই কথা হইত।
অফারতো এইখান থেকে যায়- আর ওরাতো ব্যাবসায়ী। ফাও টাকা কে না কামাইতে চায়।

৪৫| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টে বিদ্যুত খাত সহ দেশের বিভিন্ন অত্যাবশ্যক খাতের দুরাবস্থার কিছু চিত্র সুন্দরভাবে উঠে এসেছে ।
IMF সংক্রান্ত কথামালার প্রতি আমার বিশেষ মনযোগ আকর্ষন করেছে । IMF থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তার
বেশ কিছু উপকারী দিক থাকলেও IMF এর সাথে মানবতার কোন সম্পর্ক নেই, কিছুই নেই। বিপরীতে। IMF
কার্যত মহান শক্তির যথা আমিরিকার একটি যুদ্ধ সরঞ্জাম । এটি বেশ স্পষ্টতই একটি আর্থিক যুদ্ধের সরঞ্জাম
যা গ্রহিতা দেশগুলিকে কেবল শোষণ করতেই ব্যবহৃত হয়।

ঋণের ফলে অধিকাংশ দেশকে প্রয়োজনীয় খাতে তাদের ব্যয় সীমাবদ্ধ করতে হয় , যাতে তারা নীজেদর
টেকসই খাতে কোনদিনই দাঁড়াতে না পারে । আবার জনগনের উপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় ভাবেই
কর বৃদ্ধি করে জন জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলে যাতে করে জনতাকে সুবিধামতভাবে তাদের লেজুর বৃত্তি
করা কোন দল কিংবা সুবিধাভুগির মাধ্যমে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তাদের পছন্দের ক্ষমতার পালা বদল
করা যায় । আইএমএফ ক্রমবর্ধমানভাবে 'লুকানো শর্ত ( Hidden conditions) ব্যবহার করছে। সুস্পষ্ট
শর্তাবলী ডেটাবেস এবং ঋণের নথির সংযোজনগুলিতে প্রদর্শিত হলেও ,গোপন নীতিমূলক ব্যবস্থাগুলি
(policy measures) প্রায়শই IMF প্রোগ্রামের নথিগুলির বর্ণনায় অনুবিদ্ধ (embedded) করা হয় ।
আর এখানেই নিহিত থাকে তাদের মারনাস্র যা বিবিধভাবে দেশী বিদেশী ও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের
মাধ্যমে দেশের ক্ষতাশীন সরকারকে প্রতিপালন করতে বাধ্য করে, তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার না
করলে গদি ধরে রাখা কঠীন হয়ে পড়ে , শুধু গদি হারানোই নয় জীবন নিয়েও টানাটানি হতে পারে ।
এই ব্যবস্থায় ক্ষমতার পালা বদলের ফলে যারাই আসুক না কেন সকলকেই সময়ে একই পরিনতি ভোগ
করতে হবে, দেশের জনগন শুধু যে তিমিরে ছিল সেখানেই থাকবেনা তাদেরকে পিছনের দিকেই হাটতে হবে ,
জাতি কোনদিনই তার Vicious circle of poverty হতে বের হয়ে আসতে পারবেনা যা IMF প্রভুদের
মুল লক্ষ্য। ঋণ গ্রহিতা দেশ যতদিন দরিদ্র থাকবে ততদিনই বিবিধ প্রকারে শোষন করা যাবে ।

শতকরা ১ভাগেরো কম সুদের হার, লোন পরিশোধে আকর্ষনীয় প্রেস পিরিয়ড বা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ প্রভৃতি বিশেষনে
গালভরা টার্ম সফট লোন হিসাবে একে যতভাবেই অভিহিত করা হোক না কেন IMF এর প্রকাশ্য ও গোপন
অন্ধিসন্ধিগুলি এতই ভারি যে তা পরিনামে অন্যান্য বাইলেটারেল /আন্তর্জাতিক হার্ড লোনের সুদের হার ও অন্যান্য
শর্তকে বহুগুনে অতিক্রম করে যায়, যদিউ ক্ষেত্র বিশেষে এর ব্যতিক্রম আছে ।
কিন্ত এসব কথা বলবে কে যারা বলার কথা তাদের বেশীর ভাগইতো এভাবে সেভাবে বিবিধভাবে প্রকারান্তরে
IMF মুরুব্বিদেরই তপ্পিবাহক ।

একমাত্র উপাই হলো কষ্ট করে হলেও নীজেদের পায়ে দাঁড়ানো,পা পা হেটে নীজেদের সামর্থ আনুযায়ী সাসটেইনেবল
উন্নয়নের পথে পথ চলা। আই এম এফ এর ঋণের ফাঁদ হতে বেরিয়ে আসা এবং নতুন করে তাদের ফাঁদে পা না দেয়া।
এ লক্ষে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকলকে একাট্টা হওয়া এবং দেশে প্রবল জনমত গড়ে তোলা । সচেতনা সৃস্টিতে
দেশের নামি দামী অর্থনীতিবিদদের চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিচিরনকারী ব্লগারগন এ লক্ষ্যে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন
করতে পারে । যদিউ ডিজিটাল আইন দেশের ব্লগারদের শীরদারা কিছুটা দুর্বল করে দিয়েছে ।

আপনার মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ , এটা সংস্লিষ্ট সকলের মাঝে সচেতনতা সৃজনে কাজ করবে বলে মনে করি।

শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এর আগেও বলেছিলাম; আপনার কিছু কিছু মন্তব্যের ভাবে পোস্টদাতা অসহায়বোধ করেন। সেরকম একটা মন্তব্য এটি।
কি চমৎকারভাবে আই এম এর মুখোশের পেছনের মুল চরিত্রটা উন্মোচন করে দিলেন।
আমি অর্থনীতি নেহায়েত কম বুঝি। দেশী বিদেশী বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে বোঝার চেষ্টা করি মাত্র। তারপরেও ভুল ভ্রান্তি হয়। এমন ধারার পোস্টে আপনাদের মন্তব্য অনেক ভুলচুক শুধরাতে সাহায্য করে। আর নতু করে অনেক কিছু জানার ব্যাপারটাতো আছেই।

'একমাত্র উপাই হলো কষ্ট করে হলেও নীজেদের পায়ে দাঁড়ানো,পা পা হেটে নীজেদের সামর্থ আনুযায়ী সাসটেইনেবল
উন্নয়নের পথে পথ চলা। আই এম এফ এর ঋণের ফাঁদ হতে বেরিয়ে আসা এবং নতুন করে তাদের ফাঁদে পা না দেয়া।

এ লক্ষে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকলকে একাট্টা হওয়া এবং দেশে প্রবল জনমত গড়ে তোলা । সচেতনা সৃস্টিতে
দেশের নামি দামী অর্থনীতিবিদদের চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিচরনকারী ব্লগারগন এ লক্ষ্যে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন
করতে পারে।
~ একদম শতভাগ সঠিক ও যৌক্তিক পরামর্শ

৪৬| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি অত্যন্ত ভাল লিখেছেন ভাই।

বর্তমান সময়ের এই বাস্তবতাকে সরকার যদি আমলে নিত এবং সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতো, তাহলে হয়ত খুব শীঘ্র না হলেও ভবিষ্যতে এর সমস্যাগুলোর সমাধান আশা করা যেত। কিন্তু সত্যি বলতে আমাদের সরকার মানুষকে তোয়াক্কা করে না। আপনি কিছু বলতে গেলেই হয় তারা পুরো বিষয়টা অস্বীকার করবে, নয়তো অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তা দিয়ে সমস্যাটাকেই আড়াল করে ফেলবে। এখানেই বড় মুশকিল।

০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: অপ্রিয় সত্য কথাগুলো দারুনভাবে গুছিয়ে বলেছেন।
কিন্তু কারো কোন কথায়েদের বোধোদয় হবআর কোন সম্ভাবনা নেই- শুধু বিরোধী দলে গিয়ে লাথি ঝাঁটা খেইলেই একটু আত্মুপলব্ধি হয়। ব্যাস ফের সরকার গঠন করলেই দৈত্যরা তাদের আসল রূপ ফিরে পায়।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪৭| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:২২

কাঁউটাল বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: "ইলেকট্রিসিটি করিডোর" ভাল তবে জলবিদ্যুতে পরিবেশ ও জমির বিপুল ক্ষতি। পুর্ব ভারত থেকেই বিপুল বাধা আসবে। সবচেয়ে বেষ্ট হয় চীন থেকে বিদ্যুৎ কিনে ভারতকে রাজি করিয়ে করিডোর করে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। আদানীর মত।

একটা কনট্রাডিকটরি এবং একটা আজগুবি কথা একসাথে বললেন।

৪৮| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:২৯

সোহানী বলেছেন: দানব এক দিয়ে তৈরী হয় না। একটু একটু করে বেড়ে উঠে যদি বাঁধা না পায়।

আমাদের সমস্যার দানব তৈরী হয়েছে দিনের পর দিন। এটিকে রোখার কথা কেউ কি ভেবেছে? কেউ কি একবার ভেবেছে ভবিষ্যতের কথা?

করোনার ধকল সামাল দিতে না দিতেই ইক্রেন যুদ্ধ। সারা বিশ্ব টালমাতাল। কানাডার মতো দেশে দ্রব্যমূল্য আকাশছোয়া। জ্বালানী তেলে মূল্য দ্বিগুন। সরকার দুই হাতে ভূতুর্কি দিচ্ছে, বিভিন্ন সাহায্য প্যাকেজ দিচ্ছে লো ইনকাম গ্রুপকে।

আর আমাদেরতো দিশেহারা অবস্থা হবে জানি। কিন্তু কিছুতো করার দরকার ছিল না?

গত বছর শুনেছি আমরা নাকি বিদ্যুৎ রপ্তানী করার ক্ষমতা রাখি। তাহলে এ বছর কেন ভিক্ষা করতে হচ্ছে?

অসংখ্য কেন এর উত্তর আমি আপনি সবাই জানি। কিন্তু কার ধরে কয়টা মাথা এসব নিয়ে মুখ খুলবে?............

আরো অস্থিরতা বাড়বে, আরো দ্রব্যমূল্য। মিডল ক্লাস শেষ পর্যন্ত টিকতে পারবে তো !!!!!!!!!!!!!

০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: কানাডার খবর শুনেছি- তাদের মাথাপিছু আয় ব্যায়ের হিসাবের সাথে আমাদের শুধু ব্যায়ের মাথাপিছু হিসাবটা যায় না প্রথময়- দ্বীতিয়ত ওরা যে ভর্তুকি দেবার ক্ষমতা রাখে তাঁর নুন্যতম ক্ষমতা আমাদের নেই। অতএব তুলনা করার আগে নেতাদের ভাবতে হবে।
বড় বড় দানবেরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানবদের সৃষ্টি করে তারা একসময় ওদের থেকে বহুগুন বড় দানব হয়- সেজয় তাদের খাবারের চাহিদাও বহুশতগুন বেড়ে যায়।
তবে আমার মনে হয় বড় ধরনের রেভ্যুলেশন হবে তাঁর সাথে সংগঠিত হবে ভয়ানক হলোকাস্ট!
কে জানে সেই দিন হয়তো বেশী দূরে নেই।

'গত বছর শুনেছি আমরা নাকি বিদ্যুৎ রপ্তানী করার ক্ষমতা রাখি। তাহলে এ বছর কেন ভিক্ষা করতে হচ্ছে?
অসংখ্য কেন এর উত্তর আমি আপনি সবাই জানি। কিন্তু কার ধরে কয়টা মাথা এসব নিয়ে মুখ খুলবে?..


এ লেখাটাই দিতে গিয়ে বেশ সময় ধরে ভাবনা চিন্তা করেছি :) বাকি আর কি বলব।
ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৪৯| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে তীব্র লোডশেডিং। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে ত্রাহি অবস্থা। এই অবস্থার ব্যতিক্রম বনানীর ১৮ নম্বর সড়ক এলাকা। এই সড়কের পাশের বাসিন্দারা ভাগ্যবানও বটে। লোডশেডিংয়ের ভোগান্তির ছিটেফোঁটাও নেই এখানে। ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে। এজন্য এ সড়কে অবস্থিত বাড়িগুলোর জেনারেটরও চালাতে হয় না। ইউপিএস-আইপিএসে’র প্রয়োজনও পড়ছে না কারও। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ায় এই সড়ক এলাকার বাসিন্দারাও খুশি। কিন্তু কেন এই সড়কটি ব্যতিক্রম তা জানতে সরজমিন এলাকায় গিয়ে জানা যায় এই সড়কে অবস্থিত একটি ভবনের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী। সুত্র ঃ মানবজমিন

এই হচ্ছে আমাদের দেশের অবস্থা!! লোডশেডিং জনগনের সমস্যা , তাগো সমস্যা না

০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

শেরজা তপন বলেছেন: দেখেন কি অবস্থা! ওই রাস্তায় দেখবেন বাড়ি ভাড়াও বেশী- ভিভিআইপি প্রতিবেশী বলে কথা। সবাই যার যার হ্যাডাম শো করায় ব্যাস্ত!
মাল পাতি বাড়ি গাড়ি সব বাইরের দেশে রেডি আছে- এমনকি টিকিট, ভিসাও। সুযোগ বুঝে ভাগতে শুধু এক ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন।

৫০| ০৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কাঁউটাল বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপনার তথ্যবহুল সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য।
"ইলেকট্রিসিটি করিডোর" নিয়ে আমার ভাসা ভাসা ধারনা আছে। বিষয়টা নিয়ে আমার একটু পড়াশুনা করতে হবে। এই ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে কোন মন্তব্য বা বিতর্কে যাওয়া ঠিক নয়।
আশা করি সময় করে ফের আসব।


জলবিদ্যুৎ আমদানির স্বার্থে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাকে বিসর্জন নয়

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। আমি এটা সহ আরো কিছু আর্টিকেল পড়ে ফের প্রতিমন্তব্যে আসব আশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.