নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আমার ধারনা;এখনো সময় আছে রোহিঙ্গাদের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে কোন একদিন উখিয়া-তো বটেই কক্সবাজার টেকনাফ এমনকি পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হাপিশ হয়ে যেতে পারে। ওদের সশস্ত্র সংগঠনগুলো যেভাবে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে তাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে গিলে খেতে উদ্যত হলেও আশ্চর্যের কিছু হবে না।
আমার নিবন্ধের শিরোনামটা হাস্যকর মনে হচ্ছে অনেকের কাছে কিন্তু আমি নিশ্চিত ইতিহাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছে রোহিঙ্গাদের শর্তহীনভাবে এদেশে জায়গা দিয়ে। মানবিক কারনে আমরা হয়তো তাদের উপেক্ষা করতে পারিনি কিংবা আশ্রয় দিতে না চাইলে যে কোনভাবেই হোক অবৈধভাবে ঢুকে পড়ত তারা তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হোতো নিঃসন্দেহে। কিন্তু কেন যেন মনে হয় আমরা আটকে গিয়েছিলাম গ্যাঁড়াকলে- এছাড়া আমাদের উপায় ছিলই বা কি?
আশ্রয় দেয়া ও তাদের প্রাথমিক পুনর্বাসনের ব্যাপারটা আমরা হযবরল হলেও সামলেছি বেশ ভালভাবে। কিন্তু এরপরে দাতার সংস্থাদের মাতবরি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ( মনে হচ্ছিল মায়ানমার অন্য কোন গ্রহে, ওরা যতই মানবতাবিরোধি কাজ করুক এদের কোন মাথাব্যথা নেই) তড়পানি ও স্থানীয়দের অসহযোগিতা আর এদেরকে ঘিরে ভয়ঙ্কর সব ব্যবসায়িক জাল, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক গেম প্লানের জন্য অনেকগুলো ইস্যু তৈরি হয়েছে যার ফলে ওদের লাগামের দড়ি আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।
আমরা ধরে নিচ্ছি; মায়ানমার আর রোহিঙ্গাদের ফেরত নিবে না। নিলেও দশ বিশ পঞ্চাশ হাজার, তাঁর অধিক নয়। যদি সবগুলো রোহিঙ্গাদের না নেয় তবে কি হবে?
এরা কতদিন ক্যাম্পে থাকবে?
বিদেশি দাতারা যখন এদের সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে দিবে তখন কি উপায়ে বাংলাদেশ তাদের দেখভাল করবে?
এরা কি বিহারিদের মত একসময় ক্যাম্প জীবন বেছে নিয়ে সাধারণের সাথে মিশে যাবে?
সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যাবে- তখন পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিবে?
নীচের সংবাদগুলো পড়ে দেখেন; রোহিঙ্গাদের এখন আর বিষফোঁড়া বিষকাঁটা মনে হবে না- এরা এখন মরণঘাতি ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে।
***
মে ২০২৩ সালে সংবাদ বাংলাদেশ প্রতিদিন;
ক্যাম্পে ঘরে ঘরে অস্ত্র
নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই খুনোখুনি, ছয় মাসে শতাধিক খুন
আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের শক্তি বাড়াতে প্রতিযোগিতা করে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে কক্সবাজারের উখিয়া- টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গা হিসেবে ছদ্মবেশে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীর কাছে অত্যাধুনিক এম-১৬, একে-৪৭ ও মরণঘাতী গ্রেনেড পর্যন্ত রয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ক্যাম্পের ঘরে ঘরে এখন অবৈধ অস্ত্র। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে সরেজমিনে অনুসন্ধানে এমন আশঙ্কাজনক তথ্য উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে প্রায় প্রতিদিনই খুন-গুম ঘটছে।
***
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অত্যাধুনিক এম-১৬, একে-৪৭সহ মরণঘাতী গ্রেনেড -বাংলাদেশ প্রতিদিন
শরনার্থী শিবিরে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা
উখিয়া নিউজ ২০ মে ২০২৩ সুত্র: বিডি প্রতিদিন
সরেজমিনে জানা যায়, মিয়ানমারের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারী অস্ত্র বাংলাদেশে ঢুকছে। কৌশলে সেসব অস্ত্র ঢুকে যাচ্ছে ক্যাম্পে। পাহাড় লাগোয়া ক্যাম্পগুলো অস্ত্রধারীদের অভয়ারণ্য। সেখানে বাংকার করে তারা অবস্থান নিয়ে থাকে। বিভিন্ন সুড়ঙ্গ তৈরি করে অস্ত্রৈর ভান্ডার করে রেখেছে তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত এখনো অরক্ষিত। এসব জায়গা দিয়েই ওই দুটি দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্ত্র আসে। তারপর বিভিন্ন কৌশলে সেগুলো পৌঁছে যায় ক্যাম্পে। তবে এসব অস্ত্রের প্রধান উৎস মিয়ানমার। এ ছাড়া কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্তের সহায়তা নিয়েও পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের কারখানা বানিয়ে তারা সংগ্রহ করছে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও নানা ধরনের দেশি অস্ত্র।
সীমান্ত ও ক্যাম্প নিয়ে কাজ করেন উচ্চ পর্যায়ের এমন একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে মাদক চালানের সঙ্গে অস্ত্র আসছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। মাদকের মূল হোতারা মাদক পাচারকালে ব্যবহারের জন্য তাদের বহনকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্রশস্ত্র। আবার অনেকে মাদক বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গাদের। সেই সুবাদে ক্যাম্পে তারা যে কোনো কর্মকান্ডে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছে। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। ’
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা বলছেন, ‘ক্যাম্পে মাদকসহ নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসার আধিপত্য কেন্দ্র করেই এ সংঘাত। এ গ্রুপগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের যোগাযোগ থাকার দাবি করেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে এর পেছনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ইন্ধন থাকার অভিযোগ তোলেন। তাদের দাবি, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অস্ত্রের প্রধান উৎস মিয়ানমার। তা ছাড়া সহায়সম্বল ফেলে ছয় বছর আগে বাংলাদেশ আসা রোহিঙ্গাদের হাতে কীভাবে এত অস্ত্র এলো? সে সময় আমরা অনেকে বলেছিলাম, তারা মিয়ানমার থেকে আসার সময় ইয়াবার চালানের সঙ্গে অস্ত্রও এনেছিল। বর্তমানে ক্যাম্পের অবস্থা দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার। ’ নাম না বলার শর্তে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘অধিকাংশ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পাহাড়ি এলাকায়। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের গুদামও সেখানে। রাতে জনপদে নেমে আসে ডাকাতিসহ খুন-খারাবি করতে। এমনকি পেশাদার এসব খুনি চুক্তিতে খুন করে। হত্যা শেষে আবার চলে যায়। এমনকি একজনের কাছেই আছে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র। কিছু বিদেশি, কিছু দেশি। ক্যাম্পে অত্যাধুনিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এখন সন্ত্রাসীদের হাতে হাতে। তবে তাদের সঙ্গে কিছু স্থানীয় লোকজনও জড়িত রয়েছে। ’ র্যাব ও পুলিশ জানায়, ‘ক্যাম্পে সন্ত্রাসী দলের অস্ত্র এগুলো। খুন-জখম, মাদক-মানব পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ-দোকান বাণিজ্য এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এসব অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলে তারা। মূলত সমুদ্র, উপকূল, সীমান্ত জল-পাহাড়ি জনপদ দিয়ে ক্যাম্পে অস্ত্র ঢুকছে। তবে এক প্রকারে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে মিয়ানমার থেকেও অস্ত্র আসে। পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির কারিগর এনে ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি জনপদে অস্ত্র নির্মাণ করছে তারা। বলতে গেলে সীমান্তের সব রুট দিয়ে মাদক চালানের সঙ্গে অস্ত্র ঢু্ফোড়া!!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরবরাহের জন্য গহিন পাহাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অস্ত্র তৈরির অস্থায়ী কারখানাও। সেখানে চারপাশে পাহারা বসিয়ে লেদ মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের সহায়তায় দেশি প্রযুক্তিতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা ধরনের দেশি অস্ত্র তৈরি করা হয়। গোয়েন্দাসূত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকার সীমান্ত দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অস্ত্র আসে। বিশেষ করে মিয়ানমারের কাছাকাছি কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো হওয়ায় নাফ নদ, সমুদ্র উপকূল ও পাহাড়ি এলাকা দিয়ে ক্যাম্পে অস্ত্র ঢুকছে। এ ছাড়া ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি জনপদে কারিগর নিয়ে এসে তৈরি করা হচ্ছে দেশি অস্ত্র। বিশেষ করে সাতকানিয়া, বান্দরবান, রাঙামাটি, নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা-আলী কদম, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পতেঙ্গা, সীতাকুন্ড, ঘুমধুম, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত হয়ে ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে অস্ত্রগুলো। এসবের কিছু ধরা পড়লেও অধিকাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
***
রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছেই
দি ডেইলি স্টার
কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা শিবিরে গত তিন বছরে বেড়ে গেছে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং মাদক চোরাকারবারের মতো অপরাধ।
২০১৭ সালের আগস্টে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর থেকেই বেড়ে গেছে অপরাধের সংখ্যাও। সে বছরের শেষ প্রান্তিকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
২০১৮ সালে এই মামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৮ এবং ২০১৯ সালে ২৬৩টি। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১৭৮টি।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, এই মামলার সংখ্যা রোহিঙ্গা শিবিরে ঘটে যাওয়া অপরাধের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। সেখানে প্রচুর পরিমাণে হত্যা, অপহরণ এবং যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু, এর জন্য কোনো মামলা করছে না ভুক্তভোগীরা।
আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের (এপিবিএন-১৬) কমান্ডিং অফিসার মো. হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতিদিন আমরা হত্যাসহ গড়ে ১০ থেকে ১২টি অভিযোগ পাই। কিন্তু, রোহিঙ্গারা কোনো মামলা করতে আগ্রহী হয় না বলে আমরাও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
***
এই সংবাদ প্রকাশের মাত্র দুদিন আগের সংবাদঃ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩০ মাফিয়া
বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৮ মে,২০২৩
৩০ মাফিয়ার হাতে জিম্মি কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মাদক ইয়াবা আইস কারকার, অস্ত্র চোরাচালান, অপহরণ, খুন, গুম, ডাকাতিসহ অন্তত ১২ ধরনের অপরাধের নেতৃত্ব দিচ্ছে এরা। রোহিঙ্গাদের ৩৩টি ক্যাম্পে এদের কথাই শেষ কথা। এদের নির্দেশে যেমন লাশ পড়ে, এদের নির্দেশেই অরাজকতা চলছে প্রতিটি ক্যাম্পে। মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, জমিয়তুল মুজাহিদীন ও আল ইয়াকিনের নেতা এরা। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে এসে এরা এ সংগঠনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রত্যেকের রয়েছে অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার। অস্ত্রের ভান্ডারে রয়েছে অত্যাধুনিক একে ৪৭সহ চায়নিজ ভারী অস্ত্র। এরা প্রত্যেকেই অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষিত। নিজেরাও তাদের সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আর এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাহাড়ের দুর্গমতম স্থানে- যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি কখনোই পৌছাতে পারেনি।
অথচ এ ব্যাপারে আজ থেকে ৬ বছর আগেই সতর্ক করা হয়েছে;
অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা
২০১৭ সালে ২৭ ডিসেম্বর- নিউজঃ ব্যানার নিউজ বাংলা
মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৪ মাসে ৬০৭ জনকে রোহিঙ্গাকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সময়ে ৪৫ জন ইয়াবা পাচারকারীর কাছ থেকে প্রায় ১৬ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ বেনারনিউজকে জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনের দেওয়া ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসনের ২ জন কর্মকর্তা ও ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছেন। তারা এ পর্যন্ত ৬০৭ জন রোহিঙ্গাকে নানা অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, গত ৪ মাসে হত্যা, ইয়াবা বহন ও কেনাবেচা, চুরি, ডাকাতি, মারামারি ও মানবপাচারের অভিযোগে ২৮টি মামলায় ৪১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও দাসহ র্যাব আরও ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ৫৫০ জন রোহিঙ্গাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই বছর থেকে সর্বনিম্ন ২ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার, মানব পাচার, খুন, মারামারি ও পুলিশকে নাজেহাল করার দায়ে বৈদেশিক আইনে ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার ইয়াবা করা উদ্ধার হয়েছে।
***
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ঙ্কর অস্ত্র!
২০২২ সালের ১৭ জুন( খবর বাংলাদেশ ট্রিবিউনের)
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অটোমেটিক এসল্ট রাইফেলসসহ গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এপিবিএনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ আরসা কমান্ডার ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন।
আরেকটি পৃথক অভিযানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-১৬) পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম জানান, টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের নুরালীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ঘেরা গহীন অরণ্যে রোহিঙ্গা ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের আস্তানার সন্ধানে ড্রোনের সাহায্যে অভিযান চালানো হয়। অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি।
মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে এতে সহিংসতা করার পরিকল্পনা ছিল কিনা জানতে চাইলে এসপি শিহাব কায়সার বলেন, এ বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। এছাড়া কোনো গ্রুপ এই অস্ত্র নিয়ে আসছে সেটাও জানা যায়নি। তবে রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে এ ধরনের ভারী অস্ত্র কখনো দেখিনি।
***
রোহিঙ্গা ক্যাম্প : অপরাধের অভয়ারণ্য
সংবাদ ১০ আগষ্ট ২০২২
রোহিঙ্গা ক্যাম্প নয় যেন অপরাধের অভয়ারণ্য। ৩২টি শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, অস্ত্র, মাদক, স্বর্ণ পাচার ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে উঠে আসছে রোহিঙ্গাদের নিত্য-নতুন এ অপরাধের চিত্র। এসব অপরাধ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত পাঁচ বছরে শিবিরগুলোতে প্রায় ১০১টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রোহিঙ্গারা শুধু নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি নয়, রোহিঙ্গাদের হামলায় কয়েকজন বাংলাদেশিও নিহত হয়েছে। পাশাপাশি অপহরণের শিকারও হচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গা হলো উখিয়া এবং টেকনাফে এখন রোহিঙ্গারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বাংলাদেশিরা সেখানে এখন সংখ্যালঘু। সে কারণেই শরণার্থী ক্যাম্পের পরিস্থিতি কতদিন নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে সে উদ্বেগ রয়েই যাচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে। তাই প্রত্যাবাসনে যত বেশি সময় লাগবে, ক্যাম্পের পরিস্থিতি ততই খারাপ হবে বলে ধারণা করছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল।
কে বুধবার (১০ আগস্ট) উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা মাঝি নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার ১২টার দিকে জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পে অবস্থানকালে সি ব্লকের হেড মাঝি আবু তালেব এবং সি/৯ সাব ব্লকের মাঝি সৈয়দ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। নিহত হেড মাঝি আবু তালেব জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি/১ এর আবদুর রহিমের ছেলে এবং সাব মাঝি ব্লক সি/৯ এর ইমান হোসেনের ছেলে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ কামরান হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৮ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতকারী পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্যাম্পে ব্লক অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া সর্বশেষ গত দুই-আড়াই মাসে মায়ানমারভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ২ নেতাসহ অন্তত পাঁচজন খুন হয়েছে। এদের মধ্যে ১ আগস্ট বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা শিবিরে নুরুল আমিন (২৬) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক খুন হয়। জানাযায়, ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের আই ব্লকে এই হত্যাকান্ড ঘটে। মৃত নুরুল আমিন ওই ক্যাম্পের আবু শামার ছেলে।
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসাকে দায়ী করে আসছিল। এরপর ২২ অক্টোবর ১৮ নম্বর ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুলি করে ছয়জন ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এসব বড় ঘটনার পরেও একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটলেও তা ঠেকানো যাচ্ছে না। এমনকি রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) উপস্থিতির বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এলেও এতদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। সর্বশেষ ১৩ জুন পুলিশের দেয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে শরণার্থী শিবিরে আরসা সদস্যদের উপস্থিতি স্বীকার করে পুলিশ। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুহিব উল্লাহকে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর নির্দেশে হত্যা করা হয়। মুহিব উল্লাহ আরসা প্রধানের চেয়ে জনপ্রিয় নেতা হয়ে যাচ্ছিলেন বিধায় তাকে হত্যা করে আরসার সদস্যরা। মুহিব উল্লাহর সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের কারণে আরসার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের ভাষ্য, রোহিঙ্গা শিবিরে আরসা সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ রোহিঙ্গারা। শিবিরে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণসহ এমন কোন অপরাধ নেই যেখানে আরসা জড়িত নয়। তাদের মতে, নানা অপরাধের পাশাপাশি আরসা সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে কাজ করে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর অপরাধের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও সেদিকে ইঙ্গিত করছে। জেলার দুর্গম সব এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ক্যাম্পগুলোতে পারিবারিক সংঘাত থেকে শুরু করে ডাকাতি যেমন হয়, তেমনি অপহরণ, মানবপাচার, ধর্ষণ বা পুলিশের ওপর হামলার মতো অপরাধের খবর হরহামেশাই আসছে। মামলাও হচ্ছে সংশ্লিষ্ট থানায়। অপরাধের তালিকায় মাদক ও অস্ত্রের আধিপত্য রয়ে গেছে আগের মতোই।
***
১০ ধরনের অপরাধে লিপ্ত রোহিঙ্গারা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র কারবার, মাদক কারবার, মানবপাচার, কথায় কথায় খুন, অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ, ডাকাতি, চুরি, আধিপত্য বিস্তার, সাইবার ক্রাইম, যৌন নির্যাতন, অবৈধ সিম বাণিজ্য, স্থানীয়দের জমি দখল, হুন্ডি, জাল টাকার কারবার, স্বর্ণ কারবার, বাল্য বিবাহ, চোরা কারবার, ভয়ংকর কিশোর গ্যাং, গ্রুপভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার, ধর্ষণ, পুলিশের ওপর হামলাসহ অহরহ অপরাধ সংঘঠিত করছে রোহিঙ্গারা। তবে জেলা পুলিশের হিসাব বলছে, মূলত ১০ ধরনের অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, অপহরণ, পুলিশের ওপর হামলা, ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা ও মানবপাচার। অন্যদিকে, স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মে মাসে দেশব্যাপী শুরু মাদকবিরোধী অভিযানে কক্সবাজারে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ২৭৯ জন। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা ১০৯ জন। নিহত রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিনজন নারী ছিলেন।
লম্বাশিয়া ক্যম্পের ওসমান গনি নামে এক যুবক বলেন, রাতের বেলায় ক্যাম্পের ভেতর অস্ত্রধারী লোকজনের ঘোরাফেরা দেখে এখানকার বাসিন্দারা অভ্যস্ত। এই অস্ত্রধারীদের অনেকেই নিজেদের আরসার উপদল আল ইয়াকিনের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। আবার কিছু স্থানীয় দলও আছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তারা ক্যাম্পের ভেতরে যারা ব্যবসা বা অন্য উপায়ে উপার্জন করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়। বাইরের দিক থেকে এই শরণার্থী ক্যাম্প আপাতত শান্ত মনে হলেও ভেতরে-ভেতরে অস্থিরতা কাজ করে।
***
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এত অস্ত্র কোত্থেকে এলো?
ঘটনাস্থল উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ছোট-বড় রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এখানে দলগত সশস্ত্র তৎপরতা, মাদক-মানবপাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ বাণিজ্য ও দোকান দখল থেকে শুরু করে তুচ্ছ ঘটনায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। ক্যাম্পে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও ক্ষমতা বিস্তারে দেশীয় নানা অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে একশ্রেণির রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। গত ১-৮ অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দু'পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত আট জন নিহত হয়। তখনই নেমে আসে বড় আশ্রয় ক্যাম্পটিতে ভয়াবহ অশান্তি। এরপর যৌথ অভিযান শুরু হলেও সংঘর্ষ থেমে নেই। এমন হত্যার ঘটনা ঘটেছে গত তিন বছরেও। তাই প্রশ্ন উঠেছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পাহাড়ি ক্যাম্পে এত অস্ত্র-গোলাবারুদ আসছে কোত্থেকে? তা-ও আবার অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র!
স্বাধীনতার আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের অনেকের এ দেশে ব্যবসায়িক সূত্রে আসা-যাওয়া ছিল। তবে সামরিক নিপীড়ন শুরু হওয়ায় আশির দশক থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে থাকে। ২০১৭ সালের আগে অন্তত সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। এরপর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নিপীড়ন শুরু হলে মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ সরকার। সে সময় এক বছরে চলে আসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৩৪টি স্বীকৃত ক্যাম্পে ১১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে। এসব রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে জায়গা দেওয়ার সময় তাদের সঙ্গে আনা সামগ্রী সরকারের পক্ষে যথাযথভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মানবিক কারণেই তখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলি থেকে তাদের পিঠ বাঁচানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে সরকার। তবে তারাই এখন হয়ে উঠেছে সরকারের মাথাব্যথার কারণ। একে তো তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নানা কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়েও এখনও সফলতা মেলেনি পাশাপাশি তারা নষ্ট করছে উখিয়া-টেকনাফের শান্তিময় পরিবেশ। গোলাগুলি ও হামলায় প্রায় মাসেই রক্তাক্ত হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর পরিবেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মানবেতর পরিস্থিতির মুখে পড়া রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জায়গা দেওয়ার সময় সরকারের পক্ষে তাদের সঙ্গে আনা ব্যাগপত্রের সব মালামাল পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এই সুযোগে সিংহভাগ সাধারণ রোহিঙ্গার সঙ্গে সে সময়ে কিছু অস্ত্রবাজও ঢুকে পড়ে। এর প্রমাণ পাওয়া যায়, প্রথম বছর যেতে না যেতেই এসব ক্যাম্পে সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করতে দেখা যায় অনেককেই। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পরিষ্কার, এসব রোহিঙ্গা মূলত ডাকাতি এবং মানব ও মানবপাচার কারবারের জন্যই এমন সশস্ত্র পেশা বেছে নিয়েছে। তবে ক্যাম্প ছেড়ে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডেও মাঝে মাঝে ডাকাতি করায় তারা এখন দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ফলে শুরু থেকেই এদের দমন করতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের পাহারার ফাঁক গলিয়ে নানাভাবে উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে এখনও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা। ফলে তাদের অস্ত্রগুলোর উৎস কি সেটা যাচাই এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তাছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে উত্তেজনা এবং সংঘর্ষ জিইয়ে রেখে পরিবেশ ঘোলাটে করতে মিয়ানমারের কোনও গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের কাছে গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করছে কিনা সেটাও যাচাই জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারত ও মিয়ানমারে সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত এখনও অরক্ষিত। এসব জায়গা দিয়েই ওই দুটি দেশ থেকে রোহিঙ্গার জন্য অস্ত্র আসে। তারপর বিভিন্ন কৌশলে সেগুলো পৌঁছে যায় ক্যাম্পে। তবে এসব অস্ত্রের প্রধান উৎস মিয়ানমার। এছাড়া কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্তের সহায়তা নিয়েও পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের কারখানা বানিয়ে তারা সংগ্রহ করছে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ (১২ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফের শামলাপুরের জলসীমানায় ঢুকে জেলেদের অপহরণের চেষ্টাকালে মিয়ানমারের ডাকাতসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে ৪টি অস্ত্র পাওয়া যায়। এছাড়া চলতি মাসের ১-১২ অক্টোবর পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পসহ পাহাড়ি এলাকা থেকে পিস্তলসহ ২১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং অর্ধশতাধিক গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় রোহিঙ্গাসহ ৪০ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই থানায় ৭টি মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এ বছরের গেলো ৯ মাসে এসব এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল ৯০টি। এই পরিসংখ্যান হিসাব করলে বোঝা যায় ক্যাম্পে বর্তমানে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবির যেন অস্ত্রের ভান্ডার শিরোনামে সময় টিভি এবং রোহঙ্গা ক্যাম্প যেন অস্ত্রের ভান্ডার শিরোনামে যমুনা টিভি দুটো নিউজ প্রচার করেছিল।রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়ছে অপরাধ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
***
এফ এন এস ২৪ (১৯ জানুয়ারি ২০২৩) সম্পাদকীয়
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দিন দিন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরগুলো আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িঁয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ক্রমেই বাড়ছে সংঘাত, ডাকাতি, ধর্ষণ, অপহরণসহ হত্যাকান্ডের মত ঘটনা। রোহিঙ্গারা স্থানীয় বাসিন্দাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপরও হামলা করছে বলে জানা যায়। সংবাদমাধ্যমের থেকে জানা যায়, বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলার হার বেড়েছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন আদালতে ২ হাজারের মতো মামলা চলমান। ৩২ রোহিঙ্গা শিবিরে গত পাঁচ বছরে ১৩৫ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পারিবারিক সহিংসতা ছাড়াও মাদক, অস্ত্র, ছিনতাই বেশি হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ২০১৭ সালে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গদের একটা অংশ ২০১৮ সালের শুরু থেকে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। এর পর থেকে গত পাঁচ বছরের অধিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একে একে ১৩৫টির মতো খুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত চাঁদাবাজি, মানব পাঁচার, সোনা চোরাচালানসহ ১৪ ধরনের অপরাধের অভিযোগে ৫ হাজার ২২৯টি। ২০১৮ সালে দেশব্যাপী চালানো মাদকবিরোদী অভিযানে কক্সবাজারে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ২৭৯ জন। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ১০৯ জন। বর্তমানে ক্যাম্পে ছোটবড় মিলিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এই গ্রুপগুলোতে একেকটির সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৫০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত। ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ইসলামী মাহজ, জমিওয়তুল মুজাহিদীনসহ আরও কয়েকটি সংগঠন। সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে টার্গেট কিলিংসহ অন্যান্য অনেক অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায়। পান থেকে চুন খসলেই হঠাৎ করেই স্থানীয়দের ওপর আক্রমন চালানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয় না তাই দিন দিন তাদের আগ্রাশন বেড়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এভাবে চলতে থাকলে আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই আইন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ক্যাম্পের চিহ্নত অপরাধীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি চেকপোস্ট ও টহল জোরদার করা জরুরি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। সরকারকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। অন্যথায় পুরো দেশকে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রভাবে পড়তে হবে। যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও বিভিন্ন অপকর্ম নির্মূল হবে এমনটাই কাম্য থাকবে।
****
বিশেষ মন্তব্যঃ
সোহানী আপু ফেসবুকে তাঁর একটা মন্তব্যে বলেছিলেন; সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭ সালে ( সময়টা বিশেষভাবে উল্লেখ্য- কেননা এইসব কথা ভাববার মত জ্ঞান বা দুরদর্শীতা থাকতে হয়)ঃ
আচ্ছা বুঝলাম আপনি অসম্ভব একজন মানব দরদী মানুষ এবং কঠিন ইসলামী ঝান্ডা উড়াচ্ছেন তাই তো সত্য মিথ্যা যত ছবি ফেইবুকে পেয়েছেন তা শেয়ার করে ইমন্যাস্টি ইন্টান্যাশনালের কঠিন দায়িত্ব পালন করেছেন..... ওকে এবার একটু জিড়ায়ে নেন। আচ্ছা বলেন দেখি মায়ানমার সরকার ৭/৮ লাখ রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে পিটায়ে দেশ থেকে তাড়ালে এবং আমরা কঠিন দরদী ভাই-বোনরা মানবতা গেল, ইসলাম গেল বলে ওদেরকে আদর করে জায়গা দিলাম।
এখন ১ম প্রশ্ন- ওরা কি আদৌ দেশে ফিরে যেতে পারবে? যদি ফিরে না যায় তাহলে আমাদের পরিকল্পনা?
২য় প্রশ্ন- যে সন্ত্রাসী আক্ষা দিয়ে ওদেরকে তাড়ালো, তাদের মধ্যে কতজন সন্ত্রাসী বা ভবিষ্যতে এ কাজে পা বাড়াবে না তার গ্যারিন্ট কি?
৩য় প্রশ্ন- আম্রিকা ভারত, চীন, ই ইউ যাদের হাতে বিশ্ব মানবতা রক্ষার পতাকা তারা কিছুই বলছে না। কেন???? উল্টো সুচিকে প্রশংসা করছে সন্ত্রাস দমনের জন্য . . . . . . . ভাই-বোনরা একটু হিসেব কষেন, ওই সব সত্য মিথ্যা ছবি ফেইবুকে শেয়ার করার আগে নিজের লাভ ক্ষতি ভাবেন। নিশ্চয় নিজের পায়ে কুড়াল মেরে অন্যের ক্ষেত পাহাড়া দিবো না...
------------****--------------
শুনতে খুব অমানবিক হলেও জলদস্যুর উপদেশটা খারাপ নয়ঃ
~মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রথম থেকেই আমার মতামত ছিলো- পাঁচ ফুট মোটা ২০ ফুট উঁচা দিয়াল দিয়ে রোগিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে দিতে হবে। ওর ভিতরে যারা ঢুকবে তারা সেখানেই থাকবে, সেখানেই খাবে, সেখানই হাগবে, সেখানেই চিকিৎসা হবে, সেখানেই মারা যাবে, সেখানেই কবর হবে। দেয়ালের উপরে ইলেকট্রিক কাটা তারের বেড়া থাকবে। সেটা কেউ পার করার চেষ্টা করলেই গুলি করা হবে।
মতামতটা শুনতে খারাপ লাগলেও সেটাই করা উচিত ছিলো। এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। তবে সমস্যা হচ্ছে যাদের এই দিকে নজর দেয়া উচিত তারা চেয়ারের দিকে নজর দিয়ে রেখেছে, অন্য কোনো দিকে নজর দেয়ার সময় তাদের নেই।
------------***--------------
ব্লগের অন্যতম ঋদ্ধ ও দুরদর্শী ব্লগার আহমেদ জী এস-ভাই এবিষয়ে দু'দুটো পোষ্ট দিয়েছিলেন। পড়ে দেখতে পারেন- বুঝবেন দেশ নিয়ে আমাদের ব্লগারেরা এখনো কত ভাবেন। সেই সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন বর্তমান অবস্থার সাথে( পোষ্ট দুটো আমার পোস্টের সম্পুরক হিসেবে যুক্ত করলাম)ঃ
মহাবেকুব জাতক কথন - তিন । ডেভিল'স অল্টারনেটিভ।
মহাবেকুব জাতক কথন - দুই..... খেসারত
_____________________
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হয়না বর্তমান সরকার তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে খুব বেশী আন্তরিক।
আর পাঠাতে চাইলেই কি - আপনি নিশ্চিত থাকেন মায়ানমার আনর্জাতিক চাপে হয়তো দৃশ্যমান অগ্রগতি ও আন্তরিকতা দেখাতে মাঝে মধ্যে দুই চারশ বহু যাচাই বাছাই করে ফেরত নিবে। ফের সব চুপ চাপ হয়ে যাবে। নব্বুই শতাংশ রোহিঙ্গা নিশ্চিতভাবে আজন্ম সিন্দাবাদের ভুতের মত আমাদের মুণ্ডুতে বসে মুণ্ডু চটকাবে।
এর পেছনে ভু-রাজনৈতিক অন্য এক খেলা আছে। সেইটা আমাদের বুঝে আসতেছে না।
ওরা যে আরো কত রকমের ভয়ঙ্কর কর্মকান্ডে জড়িত সেগুলো শুনলে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।
প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার ভাগ্নি বেশ কয়েক বছর ওখানে চাকুরি করে শেষে ঢাকা ফিরেছে নিরাপত্তার অভাবে । ওর ভাষ্য অনুযায়ি বিদেশ থেকে আসা অর্থে এদেশি কিছু মানুষ বেনিফিসিয়ারি বলেই তারা চায়না রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক । শুরুর দিকে ইসলামী সংগঠনগুলো এককভাবে তাদের সেবা দিয়েছে অস্ত্র ও ট্রেনিং সহ । ব্যাপক সেনা অভিযান কিছুটা হলেও কমবে ওদের দাপট ।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
শেরজা তপন বলেছেন: মাদের দেশের কিছু রাজনীতিবিদ, আমলা, ড্রাগ ও অস্ত্র চোরাচালানকারি, ক্ষমতা ও অর্থলোভী কিছু মানুষ, সাংবাদিক আর দেশী বিদেশী এনজিও সহ কিছু দেশ কখনোই চায়না রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাক। বেকুব দেশের ঘাড়ে ওদের চাপিয়ে দিয়ে সবাই মিলে তামাশা দেখছে।
ওরা দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়েই ঊঠবে- শুনতে খারাপ লাগলেও বড় ধরনের নিশ্বংস অপারেশন ছাড়া ওদের আপাতত দমানো অসম্ভব।
ধন্যবাদ ভাই- আপনার মেয়ে আই হুইটনেস, সে নিশ্চিত আরো অনেক গোপন খবর জানে যা আমরা জানিনা বা জানবও না কোনদিন।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ইন্ডীয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। মানবিক কারনের প্রশ্নই উঠে না। যে সরকার নিজ দেশের জনগনের প্রতি চুরান্ত অমানবিক, সে আবার আরেক দেশের জন্য কেন মানবিকতা দেখাবে? রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে ,কি পরিমান লাভ হয়েছে সরকারের একটু ভেবে দেখুন। বারবার রোহিঙ্গা ইস্যূতে পশ্চিমার প্রসংসা জুটছে প্রতিনিয়ত। আর যে পরিমান অর্থ সাহায্য বিদেশ থেকে আসে, তার কতটাই আর রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে জুটে? মাদক, সন্ত্রাসে জড়িয়ে পরা ছাড়া আর কি বা করার আছে রোহিঙ্গাদের? রোহিঙ্গা তাই আমাদের দেশের জন্য বিষফোঁড়া হলেও বর্তমান সরকারের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
শেরজা তপন বলেছেন: তারা রোহিঙ্গাদের নেয়নি ঠিকই( অতি অল্প কিছু গেছে ওদেশে) কিন্ত আমাদেরকে ভীষণ উৎসাহিত করেছে ওদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার জন্য।
ওরা হল সরকার ক্তৃক ও নিজ দেশের জনগণ কতৃক বিতাড়িত জনগোষ্ঠী। ওদের প্রতি সারা দেশের সিঙ্ঘভাগ মানুষের কোন সহানুভূতি নেই। এটা কি এমনিতেই হয়েছে। তারা না প্রে নিজেদের বিষকাটাকে উগড়ে দিয়েছে আমাদের খানায়- আমরা সেগুলো গিলে এখন নিজেদের অস্তিত্ত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। এরা ধর্মান্ধ মুর্খ একগুঁয়ে অসভ্য ও হিংস্র- এধরনের জাতিগোষ্টীকে জেনেশুনে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
তবে নাদিয়েও উপায় ছিল না। একেতো আন্তর্জাতিক চার তাঁর উপরে মানবতা নামক একটা মুলা, ধর্মীয় কারনতো আছে বটেই- সবচেয়ে বড় কথা পার্বত্য অঞ্চলে বর্ডার সিল করার মত সক্ষমতা আমাদের ছিল না। আমাদের দেশের কিছু লোভী ও অসাধু মানুষের সহযোগীতায় যেভাবে ফাঁক ফোকর গলে তারা ঢুকে পড়ছিল তা ঠেকানোর কোন সাধ্য ছিল না। পরন্তু এভাবে যারা আসছিল তাদের কোন ডাটা ছিলনা তারা সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেত সহজে। সরকার কিছুটা বাধ্য হয়ে নিবন্ধন করে এদের ঢুকিয়েছে। যাতে আর যাই হোক এদের লিষ্ট দেখিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি সহজ হয়।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: কেবল মাত্র জাতে মুসলমান বলেই এই অসভ্য বর্বর জনগোষ্ঠীকে আমাদের দেশের একটা বিলুপ সংখ্যক মানুষ এখন সমর্থন করে আসছে । আজ থেকে ১০ বছর পরে দেখবেন এটা আমাদের দেশের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ শুরু করবে !
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
শেরজা তপন বলেছেন: ্রবাদ আছে চুন খেয়ে যার মুখ পুড়েছে দই দেখে তাঁর ভয়।
কিন্তু আমরা একবার চুন খেয়ে মুখ পুড়িয়েও হুশ ফেরেনি। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে কোন যুদ্ধ ছাড়া নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত বিহারী জনগোষ্ঠীকে এদেশে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিলাম। যার জের ভুগে চলছি আমরা এখনো। আমরা স্বাধীনতার দলিলে এ চুক্তি করতে পাকিস্থানকে বাধ্য করতে পারিনি, আগে তোমরা বিহারীদের নিয়ে যাবা তারপরে নিজেদের সৈন্যদের নিবা। এরা শুধু অসভ্য বর্বর জনগোষ্ঠী নয় এরা মহা মুর্খও- আমাদের মুক্তিযুদ্ধে এরা ভয়ঙ্কর তৎপরতা চালিয়েছিল। কোনভাবে দেশ স্বাধীন না হইলে এদের হাতেই বাঙ্গালী জাতি নিশ্চিণহ হয়ে যেত।
ফের আমরা সেই ভুল করলাম- এটা আরো বড় ভুল। রোহিঙ্গারা বিতারিত হয়েছে নিজেদের দেশের জনগণ ও ক্ষমতাসীন সরকার দ্বারা। ভাবেন; কম দুঃখে এদেরকে দেশছাড়া করেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় যতনা এগিয়ে যাচ্ছে- এদের দৌরাত্মে সব উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। তখন কোনমতে নিজেদের জান বাচানোই কষ্ট হয়ে যাবে।
আপনি মিরপুর বা মোহাম্মদপুরে একজন বিহারীকে আজেবাজে কিছু বলে দেখেন। পুরো দোষ তাঁর হলেও আপনাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে ফেলতে চাইবে। আর ক্যাম্পের আশেপাশে হইলেতো কথাই নেই।
বড় ভুল হয়ে গেছে নিশ্চিত।
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০১
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আগুন পোস্ট, এ পোস্টের সুবাদে রোহিঙ্গা উপমানব কিংবা দানবেরা বেশ কিছু বিশেষণ অর্জন করবে, এ প্রত্যয় ব্যক্ত করাই যায়।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: নিজের দেশে যে জাতি ত্যাজ্য অচ্ছুৎ তাদের নতুন করে পরিচয় দেবার কিছু নেই। কিছুদিন পরে দানব ও হয়তো লজ্জা পাবে এদের অমানবীয় কর্মকান্ড দেখে। যার ট্রায়াল এখন চলছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এস এম মামুন অর রশীদ - ভাই। অনেকদিন পরে আমার ব্লগে আপনাকে পেলাম। খুব ব্যস্ত নাকি ইদানিং?
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০২
লিংকন বাবু০০৭ বলেছেন: এত অস্র কোথায় পায়?
তাদের দমনে সরকার-সামরীক বাহিনীর পরিকল্পনা করা দরকার।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: অস্ত্রের উৎস সন্মন্ধে কিছু কিছু তথ্য এখানে দেয়া আছে। স্ট্রাটেজিকেলি কিছু অস্ত্র যে আমরাও দেইনি সেটাও বলা যায় না।
এখুনি দরকার বড় ধরনের পরিকল্পনার। এদের তাপে পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া সতস্ত্রগোষ্ঠীগুলো ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
পুরো পাহাড় এখন অশান্ত!
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রথম থেকেই আমার মতামত ছিলো- পাঁচ ফুট মোটা ২০ ফুট উঁচা দিয়াল দিয়ে রোগিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে দিতে হবে। ওর ভিতরে যারা ঢুকবে তারা সেখানেই থাকবে, সেখানেই খাবে, সেখানই হাগবে, সেখানেই চিকিৎসা হবে, সেখানেই মারা যাবে, সেখানেই কবর হবে। দেয়ালের উপরে ইলেকট্রিক কাটা তারের বেড়া থাকবে। সেটা কেউ পার করার চেষ্টা করলেই গুলি করা হবে।
মতামতটা শুনতে খারাপ লাগলেও সেটাই করা উচিত ছিলো। এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। তবে সমস্যা হচ্ছে যাদের এই দিকে নজর দেয়া উচিত তারা চেয়ারের দিকে নজর দিয়ে রেখেছে, অন্য কোনো দিকে নজর দেয়ার সময় তাদের নেই।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: কথাগুলো খুব নিশ্বংস মনে হলেও এমনটাই দরকার ছিল। যে অসুখের যে দাওয়াই।
আমাদের অস্তিত্ত্ব রক্ষা করার জন্য এমন চরম কিছু পধক্ষেপ নেয়া উচিৎ ছিল। এখনো সময় আছে।
তবে সমস্যা হচ্ছে যাদের এই দিকে নজর দেয়া উচিত তারা চেয়ারের দিকে নজর দিয়ে রেখেছে, অন্য কোনো দিকে নজর দেয়ার সময় তাদের নেই।
~ এখানে কিছু আর বলা যাচ্ছে না। নোবেল কমিটিকে অনেকে তুলোধুনো করেছেন!!
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি কিছু বলব না, ধর্ম চলে আসবে।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: ধর্ম আসুক- তাঁরপরেও আপনি বলুন। তবে একটু ফিল্টার করে ভাই। আমরা যারা আধা ধার্মিক তাদের বদহজম হয়।
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭
সেতু আমিন বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু ঠিকই বলেছেন, এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ?
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ সেতু আমিন আপনাকে। ব্লগে আপনার বিচরন বেজায় কম!
আমিও তাঁর সাথে একমত- কাউকে না কাউকে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধতে হবে। সময় আছে এখনো নিশ্চিতভাবে।
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৭
আমি নই বলেছেন: আমার মনে হয় ওদের আটকানো কোনো ব্যাপারই না, বিপুল পরিমানে অস্ত্র উদ্ধারের পর এখনতো আরো সহজ। আসল সমস্যা যারা আটকাবে তাদের চোখে দেশের একমাত্র সমস্যাই হল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ধংশ হয়ে গেলেই দেশটা সিংগাপুর থেকে আমেরিকায় আপগ্রেড হয়ে যাবে, রোহিংগা-পোহিংগা বা অন্য সমস্যা কোনো বিষয়ই নয়।
মরুভূমির জলদস্যুর সাথে শতভাগ একমত।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বিষয়টাকে অতি সহজভাবে দেখছেন। ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। ওদের কতগুলো যে সন্ত্রাসী সংগঠন আর উপ সংগঠন আছে আর তাঁর কোন দল কার পক্ষে লড়ছে সেটাই এখনো পুরো জানা সম্ভব হয়নি। ওই অস্ত্র যত বিপুলই মত হোক সেটা অতি অল্প। ওদেরককে নিরস্ত্র ধ্বংস করা এত সহন কর্ম নয়। দুর্গম গহীন বনে অভিযান পরিচালনা করা অতিশয় কষ্ট সাধ্য। তা ছাড়া ওরা এত বর্ডার ক্রস করে ফেলে যে, যৌথ ও স্ট্রিং অপারেশনের প্রয়োজন।
১১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক চূড়ান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, নিজেরা খেতে না পেলেও অন্যদের খাওয়াতে ও জীবন বাঁচাতে আমরা বদ্ধপরিকর। নোবেল কমিটির উচিত বাংলাদেশকে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ দেয়া। নোবেল প্রাইজ পাওয়া গেলে রোহিঙ্গাদের এই অরাজকতা, অস্ত্রবাজি, খুনাখুনি নিতান্তই তুচ্ছ ব্যাপার মনে হবে।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ যা বলেছেন ভাই- এসব কথা শুনলে দুঃখে হাসিও পায়।
হ একখান নোবেল অতীব দরকার আমাদের। চাইলে এজন্য সারাবিশ্বের সব মুর্খ অসভ্য বর্বর বাপে খ্যাদানো মায়ে ভাগানো সব জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে রাজী আছি। আমার দেশের মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি- খারে সোনা, সোনা কত খাবি খা।
১২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আমাগো দেশের অনেক মোল্লারা ৪টা কইরা রোহিংগা বিয়া করে বিবি বানাইতে চাইয়া তাদের দুঃখে কাইন্দা বুক ভাসাইছিলো। এখন তারা কি খোয়াব দ্যাখে কিছু জানেন?
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: আর কিছু না পারুক ডজন ডজন বিয়া আর ফি বছর ঘর আলো করে বাচ্চা কাচ্চা ফুটাইতে তারা ওস্তাত। মাগনা খেয়ে শুয়ে বসে কাটালে এমনটাই জোশটা আরো বেড়ে যায় ভাই। ওগো মাল ওরাই কেদমত করতেছে মোল্লারা বেল পাইতেছেনা বলে মনে হয়। তাইতো অদের নিয়ে আর হা-পিত্যেস করে না।
১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে আসতে দেওয়া, থাকতে দেওয়া বড় ধরনের অপরাধ হয়েছে। এখন রোহিঙ্গা পুনর্বাসন না করতে পারলে এর ভার বাংলাদেশ সইতে পারবে বলে মনে হয় না।
রোহিঙ্গাদের টেস্ট কেস হিসেবে: -
তাদের নানা টেকনিক্যাল কাজ ও কৃষি কাজে লাগাতে হবে। যদি টেস্ট কেস ফেইলর হয় তাহলে ফেঞ্চ অবরুদ্ধ করে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: ওরা যেভাবে সব বাঁধা তুচ্ছ করে যে কোন উপায়ে ঢুকে পড়ছিল আমাদের দেশে আর উখিয়া টেকনাফ সহ বর্ডার এলাকার কিছু ক্ষমতাবান লোভী, ড্মারাগ ও অস্ত্র চোরাকারবারী মানুষগুলো থেকে শুরু করে নাফ নদীদে জেলেরা পর্যন্ত পয়সার লোভে যেভাবে ওদেরকে নিয়ে আসছিল তাতে করে সরকারের উপায় ছিলনা বলতে গেলে। তবে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করলে সম্ভবত আটকানো যেত কিন্তু সেটা ভয়ঙ্কর অমানবিক হয়ে যেত- তবুও সেটাই দরকার ছিল। কারণ যারা নিজেদের নাগরিককে অত্যাচার করে অন্যদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে- মুল চাপটা তাদের উপর থাকা উচিৎ, আমাদের এত দায় ঠেকেছে কেন?
*এর সাথে দুই এর অধিক বাচ্চা নিলে সেই সব পুরুষ/নারীদের ধরে ধরে বন্ধ্যা করে দিতে হবে। কৃষিকাজ না করিয়ে বড় শিল্প পার্ক ( নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা) করে সেখানে ওদের দিয়ে কাবিখা'র ভিত্তিতে কাজ করানো উচিৎ।
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শুরু থেকেই আমি এমনটি আশংকা করে আসছি কিন্তু আমার কথা কেউ শুনলো না। আপনি পোস্ট করে ভালো করেছেন।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১
শেরজা তপন বলেছেন: এইবার আপনি শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারেন
অনেকেই প্রথম থেকে এমন আশঙ্কা করেছিল- আপনার আমার মত।
১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
রোহিঙারা এক হয়ে দফার রাজনীতি শুরু করবে বলে মনে হয়?
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: এখনি বহু দল উপদল সহ নেতা-ফেতা হয়ে গেছে! ভবিষ্যতে কি যে হয় -তবে এমন কিছু হলে আশ্চর্য হব না।
অনেকেই নিজের লাভের জন্য তাদের সুযোগ দিবে।
১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রোহিঙ্গারা হচ্ছে ভয়ংকর এক টাইম বোম্ব।শুধু বিস্ফোরণের অপেক্ষায়।
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ওদের পক্ষে একটা মন্তব্য পেলাম না। দল মত ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেকেই ভাবছে রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য শুধু অভিশপ্ত ভয়ঙ্কর সময় বয়ে আনবে।
১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৭
জুন বলেছেন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের শুধু সরকারই নয়, সাধারণ মানুষও পছন্দ করে না। অত্যন্ত ভয়ংকর এই জাতিগোষ্ঠী কি বর্তমান মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনে হয়েছে নাকি তারা আজন্মই নানা রকম ছল চাতুরীতে অভ্যস্ত? অবশ্য তাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পেছনে ভু-রাজনৈতিক কারনও আছে। নানা রকম সরকারি শাসন বাড়নে অনগ্রসরমান এই জাতিকে ঠেলে দিয়েছে আরও গভীর অন্ধকারে। আর এখন তারা আমাদের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভুত হয়ে চেপে বসেছে আজীবনের জন্য শেরজা তপন? ভালো লিখেছেন।
+
২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: এই কথাটাই আমি বলতে চেয়েছি। যাদের প্রতি নিজেদের মাতৃভুমির মানুষের কোন সহানুভূতি নেই- যারা নিজেদের সরকার কতৃক বাস্তুচ্যুত হয় জনগোষ্ঠী হিসেবে মোটেই সুবিধার নয়। যুদ্ধের কারনে পালিয়ে আসলে কথা ছিল কিন্তু এরা বিতাড়িত জাতি। এদের নিয়ে দশবার ভাবা উচিৎ ছিল। মানুষের প্রতি মানুষ মানবিকতা অবশ্যই দেখাবে কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ত্ব বিপন্ন করে নয়।
আমরা ভয়ঙ্কর এক ফাঁদে পা দিয়েছি- জানিনা কি কপালে আছে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুনাপু।
১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রোহিঙ্গাদের পক্ষে হাজার হাজার মন্তব্য পাবেন ২০১৭-২০১৮ সামুর বিভিন্ন পোস্টে। ব্লগার ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ব্লগাররা প্রত্যেকেই চাইছিল রোহিঙ্গাদের অবাধে জাতীয় প্রবেশ করতে দিতে।
তখন রোহিঙ্গা বলা হতো না বলতো 'রোহিঙ্গা মুসলিম'।
প্রবাসী বাঙালি আমেরিকানরা তখন রোহিঙ্গাদের জন্য প্রচুর দান করত, নিউ ইয়র্কে একটা মসজিদে ফান্ড রাইজিং অনুষ্ঠানে দেখেছিলাম মিলিয়ন ডলারের মত উঠেছিল। আরো শত শত মসজিদে দয়ালু বাংলাদেশীরা যে কত টাকা দিয়েছে, দিচ্ছে, থেকে মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া থেকে কত আসছে তার কোন হিসাব জানা নাই।
টাকা এখনো উঠানো হয়। কারণ দেখানো হয় শীতের কাপড় বিভিন্ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র এবং রোহিঙ্গাদের কথাও বলা থাকে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি রোহিঙ্গাদের জন্য এসব অর্থ যাচ্ছে পাকিস্তান ভিত্তিক এনজিওর মাধ্যমে। কখনো কক্সবাজার বেড়াতে গেলে দেখবেন ফাইভ স্টার হোটেলে প্রচুর পাকিস্তানি। চকচকে নতুন দামী গাড়ি, ব্রেকফাস্ট টেবিলে আমি কয়েকবার দেখেছি কথাও বলেছি। বলে কোরআন শিক্ষা দেই। ওরাও বলেছে পাকিস্তানি আছে অনেক।
অফুরন্ত অর্থ এবং পাকিস্তানিরা থাকলে অস্ত্র সন্ত্রাসও আসবে।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি চাক্ষুস ও বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন তবে শুধু পাকিস্তানিদের ট্যাগ দিলে হবে না এর সাথে অনেক দেশেরই অল্প বিস্তর স্বার্থ জড়িত আছে।
মুল খেলার কেন্দ্রে আমরা ঢুকতে পারিনি। কক্সবাজারে এমন কোন দামি হোটেল রেস্টুরেন্ট নাই যেখেনে বিদেশী এইসব এনজিওর সাদা চামড়াদের উপস্থিতি পাবেন না। তারা ডোনারদের টাকা দিয়ে আজীবন খানা দানা মৌজ মাস্তি করার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে! রোহিঙ্গাদের পুষ্টি পুরণের নাম করে এমন সব হেলদি অখাদ্য ফুড দেয় যেগুলো সব রোহিঙ্গাদের হাত ঘুরেই পানির দরে বিক্রি হয়। রোহিঙ্গারা হাইজিন, আর স্যানিটাইজেশন ব্যাপারটাই বোঝে না। সেইসব সামগ্রীও সব বাইরে চলে যাচ্ছে।
ওদিকে কনডম তারা সারাদিন পরে ঘুরে বেড়ালেও কামের সময় খুলে রাখে- আল্লার মাল আল্লা দেবে আল্লা খাওয়াবে, এই হল ওদের কনসেপ্ট। ধর্ষন করলে পাপ নাই জন্মনিয়ন্ত্রন করলে পাপ।
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ১। মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গারা মার খাচ্ছিলো। তখন বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ চিৎকার করে বলেছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগে ওদের আশ্রয় দেন। ওরা মানুষ, ওদের বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
২। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। ওরা আমদের দেশে সুখে নেই। বলা চলে খেয়ে না খেয়েই আছে।
৩। রোহিংরা নারীরা পতিতা হয়েছে। ২০ টাকা, ৫০ টাকার বিনিময়েও নিজেকে বেঁচে দিচ্ছে। উপায় নেই।
৪। শেখ হাসিনা নোবেল পাওয়ার পর ওদের আমরা জুতো দিয়ে পিটিয়ে দেশ ছাড়া করবো।
৫। প্রতিটা রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: ওদের এদেশে আশ্রয় দেবার আগে বড়সড় একটা জরিপ করা উচিৎ ছিল। তথাকতিথ জঙ্গনের সরকার শুধু নিজেদের খেয়ালে এমন একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ হয়নি।
কে বলে ওরা সুখে নেই? গিয়ে দেখে আসেন একটু। ফাউ মাল সামানা যা পায় সেগুলো বাইরে বিক্রি করে গাঞ্জা বিড়ি মদ আর মোবাইল কেনে। আশেপাশের কত ব্যাবসায়ী তাদের থেকে মাল কিনে কোটিপতি হয়েছে তাঁর হিসাব আছে?
রোহিঙ্গা নারীদের কিছু অংশ অবহেলিত ও নির্যাতিত। সেটা আগেও ছিল। ওদের নির্যাতন আর সম্ভোগ মুলত রোহিঙ্গা পুরষরাই করে- কিংবা নিজেদের ফায়দার জন্য বাইরে ভেট পাঠায়। ক্যাম্পে গিয়ে পারলে ২০/৫০ টাকায় ভাড়া নিয়ে দেখেন, চামড়া থাকবে না।
নোবেল নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
কিছু রোহিঙ্গা অবশ্যই মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে অধিকাংশই তুলনামুলক শরনার্থীদের থেকে ভাল আছে।
সিরিয়ান শরনার্থীরাতো সব ইউরোপে গেছে- ওদের খবর নিয়েন, মেয়েরা কয় টাকায় দেহ দেয় আর বাচ্চারা কিভাবে চুরি আর ভিক্ষা করে?
২০| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: রোহিঙ্গারা যখন এদেশে প্রবেশ করছিল তখন ফেইসবুকে দেখছিলাম শত শত পোষ্ট আসছিল রোহিঙ্গা মেয়েদের বিয়ে করার ব্যাপারে, পোষ্টগুলো ছিল এরকম রোহিঙ্গা বোনদের বিয়ে করুন, যাঁদের স্ত্রী আছে তারাও এগিয়ে আসুন, কোরআন শরিফের আয়াতসহ পোষ্টগুলো দেখে হতবাক, আশাহত হয়েছিলাম, ধর্মকে ব্যাবহার করে কতটা নিচে নামতে পারে মানুষগুলো, আমি এরপর থেকে রোহিঙ্গা পোষ্ট আর এই নিয়ে সংবাদগুলো এড়িয়ে গেছি, আমি হতাশ।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনাকে পেলাম ভায়া।
সে কথা আর বলবেন না। কিছু মুসলিম নামধারী অতি উৎসাহী ধার্মিকেরা তাদের ঈমানি জোশ প্রকাশের জন্য কত কিসিমেরই না বয়ান দিয়েছিল!!!
এরা কখনো কিন্তু মায়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে শহিদ হবার তাগিদে যেতে চায়নি কিন্তু আফগান ফিলিস্তিন কিংবা ইরাকে গিয়েছে কাফেরদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে।
ধর্মের লেবাসে ৪খান করে বিয়া করতে পারলে কি আরামটাই না হোত- কিন্তু রোহিঙ্গা দামড়া পুরুষগুলোর কি উপায় হোত সেটা তারা ভাবেনি!
২১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৬
সোহানী বলেছেন: ভাইজান, আমার ২০১৭ সালের স্ক্রীনসট দেখেন!!
এ ভয়ংকর দানবেদের দেশে লালন পালন করছে কিছু লোভী কুকুর। আর তার খোসারত দিতে হবে সারা দেশের মানুষদের। আজ যদি তারা দেশের বড় অংশ দখল নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষনা দেয় তাহলে তাদের জন্য ভয়ংকর সব আধুনিক অস্র আসা সময়ের ব্যাপার। আর আমাদের দোনলা বন্দুক দিয়ে পুলিশ আর্মি কি করবে????????
সময় থাকতে এখনি সাবধান হতে হবে। সময় কিন্তু ভয়ংকরের দিকে মোড় নিচ্ছে খুব দ্রুত। পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে তখন কিন্তু বিড়ালও হিংস্র হায়েনা হয়ে উঠে।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২২
শেরজা তপন বলেছেন: দারুণ দুরদর্শীতো আপনি। কত আগে কি চমৎকার ভাবেই না ভেবেছিলেন - আহা আপনার এই কথাগুলো সত্য না হলেই ভাল হত।
আমি আপনার ফেসবুকে করা পুরো মন্তব্যটা মুল পোস্টে যুক্ত করে দিয়েছি। দেখবেন।
সময় থাকতে এখনি সাবধান হতে হবে। সময় কিন্তু ভয়ংকরের দিকে মোড় নিচ্ছে খুব দ্রুত। পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে তখন কিন্তু বিড়ালও হিংস্র হায়েনা হয়ে উঠে। ~ একদম ঠিক।
২২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
ভয়ঙ্কর অবস্থাই বটে। এমন ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া যে গজাচ্ছে তেমন চিত্রটি আমি এঁকেছিলুম ২০২০ সালের অক্টোবরে দুখানা পোস্টে্।
মহাবেকুব জাতক কথন - দুই..... খেসারত
মহাবেকুব জাতক কথন - তিন । ডেভিল'স অল্টারনেটিভ।
আপনি যে বিষ্ফোরক তথ্য ও চিত্র তুলে ধরেছেন, সেই বিষফোঁড়া গজিয়ে ওঠার জন্য সতর্ক করে ছিলো আমার ঐ লেখা দুটি। আপনার এই পোস্ট তারই বর্ধিতাংশ মনে হওয়াতে পাঠকদের চোখের সামনে ভয়ঙ্কর দিনগুলোর বাস্তব চিত্র যাতে আরো পরিষ্কার করে ফুটে ওঠে তার চেষ্টাতেই লিংক দুটি দেয়া।
আপনার সাথে গলা মিলিয়ে বলি- এখনি সময় এই বিষফোঁড়াটিকে সার্জারী করে সমূলে উপড়ে ফেলা নয়তো পচন লাগবে সারা দেশের গায়েই।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাথে গলা মিলিয়ে বলি- এখনি সময় এই বিষফোঁড়াটিকে সার্জারী করে সমূলে উপড়ে ফেলা নয়তো পচন লাগবে সারা দেশের গায়েই।
~ দারুণ কথা বলেছেন ভাই।
আপনার পোস্টগুলোর লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমি সেগুলো আমার পস্টের সাথে সম্পুরক হিসেবে যুক্ত করে দিয়েছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বরাবরের মত অনুপ্রাণিত করার জন্য।
২৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:০০
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি বিষয়টাকে অতি সহজভাবে দেখছেন। ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। ওদের কতগুলো যে সন্ত্রাসী সংগঠন আর উপ সংগঠন আছে আর তাঁর কোন দল কার পক্ষে লড়ছে সেটাই এখনো পুরো জানা সম্ভব হয়নি। ওই অস্ত্র যত বিপুলই মত হোক সেটা অতি অল্প। ওদেরককে নিরস্ত্র ধ্বংস করা এত সহন কর্ম নয়। দুর্গম গহীন বনে অভিযান পরিচালনা করা অতিশয় কষ্ট সাধ্য। তা ছাড়া ওরা এত বর্ডার ক্রস করে ফেলে যে, যৌথ ও স্ট্রিং অপারেশনের প্রয়োজন।
জী ভাই, ঠিক বলেছেন।
আমি আসলে অস্ত্র উদ্বারের কথা বলতে এটা বুঝাতে চেয়েছি যে অস্ত্র উদ্ধারের কারনে ওদেরকে সস্ত্রাসি প্রমান করা সহজ হবে, এটা নয় যে ঐ পরিমানে অস্ত্র উদ্ধারে ওরা দুর্বল হয়েছে। আর যেহেতু ওরা হুমকির কারন সেহেতু দেয়াল নির্মানে আন্তর্জাতিক বাধাও কম আসার কথা।
তবে বর্ডার লাইন এলাকায় নির্মুল করা খুব কঠিন হবে।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: এটা অবশ্য খারাপ নয়- তবে আন্তর্জাতিক মহল অনেকে আগে থেকেই জানে যে রোহিঙ্গারা সন্তাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সব জেনেও তারা চুপ- এসব প্রচার হলে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত ওদের বিপক্ষে যাবে-ওদের প্রতি সহানূভুতি কমে আসবে। দান ধ্যান কমে গেলে অনেকের স্বার্থসিদ্ধি হবে না।
লাভ-লসের অনেক ব্যাপার জড়িত। এটা হোক দেশী কিংবা কিছু বিদেশী সবার জন্যই।
ফের মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের নেতারা আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়ানোর জন্য রোহিঙ্গাদের প্রবেশের অনুমতি দেয়। কিন্তু এই কাজ করে দীর্ঘ মেয়াদী স্থায়ী সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। বিহারীদের মত রোহিঙ্গাদের বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে যেন তারা নিজের আয় রোজগার নিজেরা করতে পারে। রোহিঙ্গাদের নামে আন্তর্জাতিক সকল হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
তবে বর্তমানে এদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বাংলাদেশের জন্য বড় কোন সমস্যা না। রোহিঙ্গাদের নামে অনেক বৈদেশিক সাহায্য আসছে। ফলে টাকা পয়সার সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয় না। কিছু স্থানীয় সামাজিক সমস্যা হচ্ছে। আর এই সমস্যার কারণে দেশের কোন লাভ হয় নাই এবং এখনও হচ্ছে না বরং দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি হচ্ছে। এটাকে জিয়িয়ে না রেখে সমাধান করতে হবে দ্রুত।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আয় রোজগার করার সুযোগ দিলেই হয়েছে। চাটগাঁ দখল হতে সময় লাগবে না।
ওরা যে কতটা ভয়ঙ্কর এটা বুঝতে আমাদের মত বেকুব জাতির আরো সময় লাগবে। মিডিয়াতে ওদের নিয়ে বোড় সংবাদ না আসা মানে যে, ওরা চুপ চাপ আছে বা চিপায় আছে তা ভাবা কোন কারণ নেই।
এদের নিয়ন্ত্রনে রাখা এখন দিন দিন দুরূহ হয়ে যাচ্ছে, সেটা মাদের কিছু ক্ষমতালোভী অর্থ পিশাচদের জন্য।
২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
জুন বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী ১৮ নং মন্তব্যে আপনি লিখেছেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিভিন্ন আর্থিক কর্মকাণ্ডে কক্সবাজারের ফাইভ স্টার হোটেলে শুধু পাকিস্তানি আর পাকিস্তানি। আপনি কোথায় দেখলেন এত পাকিস্তানি! আমি তো কক্সবাজার গেলে রয়েল টিউলিপ আর সাইমনে উঠি যারা কি না তারকা খচিত। বহুবার ঊঠা সেই সব হোটেলে বিভিন্ন এনজিওর সাদা ছাড়াও বাংগালী প্রচুর। কিন্ত পাকিস্তানি দেখি নাই। উল্লেখ্য আমার হাজবেন্ড জাতিসংঘের এক খাদ্য সংস্থার কর্মকর্তা। তারা সেই প্রথম থেকেই রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। তাদের ক্যাম্পেও আমি গিয়েছি। কোন পাকিস্তানি দেখি নাই।
আপনার মনে হয় জানা নেই বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের ঢুকতে আমাদের সরকারের বিশেষ পার্মিশন লাগে। তার প্রমান আমার এক আত্মীয়র আন্তর্জাতিক সংস্থায় এক উচ্চ পদস্থ সহকর্মী বস পাকিস্তানিকে পার্মিশন ছাড়া আসার জন্য বিমান বন্দর থেকেই পরবর্তী প্লেনে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। আত্নীয় প্রবেশ করে ঢাকায়। যার জন্য তার কোপানলে পড়তে হয়।
কোথা থেকে এইসব খবর পান আপনি!
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের কালবৈশাখী ভাই চমৎকার সব খবর পরিবেশন করে ব্লগ সরগরম করে রাখেন। ব্যাপারটাকে পজিটিভলি দেখেন আপু।
উনার কারনেই আপনি আজকে তিন তিনটে দারুণ তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্য করেছেন
২৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ওরা এখন আর বিষফোঁড়া নয় পুরো বিস্ফোরক হয়ে গেছে । আমরা চট্টগ্রামের লোকেরা আশঙ্কা করছি যে তারা পুরো কক্সেসবাজার বিচ্ছিন্ন করবার চেষ্টা করছে । তারা সেটাই দখল করতে চায় । এদেশের এরা আসবার পর থেকেই দেখেছি এদের হাতে টাকা কোন ব্যাপারই না । কোত্থেকে না কোত্থেকে যেন টাকা এদের হাতে আসছে । আর অত্যাধুনিক অস্ত্র তো আছেই । এদের ভাষা কিন্তু চট্টগ্রামের মূল চট্টগ্রাম থেকে আলাদা কিন্তু দক্ষিণ চট্টগ্রামের কিছু অংশের উচ্চারণগত মিল আছে যার কারণ শহরের দিকে এরা মিশে যাচ্ছে ঐসব অঞ্চলের নাম বলে ।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না , আমার জাতীয় পরিচয়পত্র করতে আমাকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে । দক্ষিণ চট্টগ্রামে পিতৃভূমি বলে আমাকে রোহিঙ্গা বলা হচ্ছিল । অথচ আমার সমস্ত কাগজপত্র দেখালাম এবং বললাম কোন রোহিঙ্গাকে আপনি ভার্সিটিতে পড়তে দেখেছেন আর দেখলেও তারা কী চোস্ত চলিত ভাষা বলতে পারে ? কোন উত্তর পাইনি । কিন্তু আমি দেখেছি রোহিঙ্গারা সহজে জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে । এটা একটা ভয়াবহ ব্যাপার !
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ওরা এখন আর বিষফোঁড়া নয় পুরো বিস্ফোরক হয়ে গেছে । ~ একদম ঠিক তবে দিন দিন এটম বোমা হয়ে যাচ্ছে।
আপনি চমৎকার কিছু তথ্য দিয়েছেন। এগুলো লেখার সাথে সম্পুরক হিসেবে থাকবে। আশা করি রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে।
আপনার পরিচয় পতের কথা শুনে তো বাকহারা হইলাম। আর কি ভোগান্তি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে কে জানে।
পাসপোর্টের জন্য এমন ভোগান্তি হয়েছিল রাশিয়াতে। আমার এম্বাসিতে দিনের পর দিন পরিক্ষা দিতে হয়েছিল শুধু প্রমাণ করার জন্য যে আমি বাংলাদেশী- পশ্চিমবঙ্গের নই!!!!!
২৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ জুন আপা এত সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই।
আমার চোখে যা দেখেছি তাই বললাম। মনে কিছু নিবেন না।
আমাদের দু ফ্যামেলি ছেড়ে আগবাড়িয়ে দুজনের সংগে কথাও বলেছি। খুবই সজ্জন ভদ্রলোক মনে হলো। দুজনই শিক্ষকতা করেন , একজন করাচির আরেকজন পাকিস্তানি কোর্তা পরা পেশোয়ারের।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে এটা অস্বীকার করা যাচ্ছে না কিন্তু এককভাবে কিংবা সবক্ষেত্রে পাকিস্তানীদের টেনে আনা ঠিক নয়।
ওদের নিজেদের পেটে ভাত নেই পরনের কাপড় নেইওরা কি করবে দান দক্ষিনা।
আমি এর মাঝে তিনবার গিয়েছি ওদিকে- কখনো কোন পাকিস্তানীদের সাথে সাক্ষাৎ হয়নি।
জুন আপু খারাপ বলেন নি।
২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮
জুন বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী শোনেন পাকিস্তানি না, পাকিস্তানিদের আমরা ৭১ সালেই তাড়িয়েছি। তবে এখন রোহিঙ্গাদের মত বাংলাদেশকে গ্রাস করছে এবং করেছে ভারত। আর পোশাক আসাক ছাড়াও হিন্দী আর উর্দু ভাষায় অনেক মিল আছে শুনতে প্রায় একই রকম লাগে।
২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
জুন বলেছেন: @ শেরজা ভারতীয়দের সম্পর্কে বলেছি তো এখন বানানা গার্ডেন আইসা আমাকে কিছু কইলে ঐটা আপনি ট্যাকেল কইরেন
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: না না উনি প্যাঁচাবেন না নিশ্চিত!
অবশ্য আমি সব সময়ই 'দৌড়ের আগে মাইরের পেছনে' থাকি
৩০| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের দূরদর্শিতার অভাব যতটা ছিল যেমনটা আমরা বলে আসছি ঠিক তেমনি ভাবে আমরা যারা নাগরিক সমাজ তাদেরও দায় কিন্তু একেবারে কম নয়, একটু পেছনে ফিরে দেখুন সেই ২০১৭ সালে আমরা বিষয়টাকে কিভাবে উৎসাহিত করেছিলাম! সেসময়ের অনেকের ফেসবুক পোস্ট যদি দেখেন তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। অনেক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এমনকি আমরা অনেকে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সেসময় তাদেরকে সাহায্য করতে দলবল নিয়ে কক্সবাজারে ছোটে গিয়েছিলাম। ১৭ সালে ওদেরকে সাহায্য সহযোগিতার ছবিতে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজ ফিড একেবারে ভরে থাকতো।
যাইহোক এখন আমরা বুঝতে পারছি ওরা ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া নয় শুধু, একেবারে মরণব্যাধি ক্যান্সারে রূপ নিতেও পারে যদিনা আমরা সময় মত সঠিক চিকিৎসা নিতে বার্থ হই। আবার ক্যান্সার যদি ছড়িয়ে পরে তখন কিন্তু আর অস্ত্রোপচারের সুযোগও থাকেনা।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমরাতো অতি উৎসাহী জাতি- হুজুগে লাফাই। দেশ, ভাষা, ধর্ম, পোশাক, কৃষ্টি, সাংস্কৃতি সহ সব কিছু নিয়েই আমাদের বাড়াবাড়ি! কারো মাথায় উঠাইতেও সময় লাগেনা ফের তাঁকে পা দিয়ে দলিত মথিত করতেও দ্বীধা করি না।
এর পাশাপাশি আমরা আবেগী জাতি - টইটুম্বুর আবেগ আমাদের। নিজের পাছায় কাপড় নাই কিন্তু কারো ন্যাংটা দেখলে অন্তরটা হু হু করে।
তবে কিছু মানুষ আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। তারা বাঙ্গালী হলেও বুদ্ধি দিয়ে চলে আবেগ দিয়ে নয়। কিন্তু আবেগের জোয়ারে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কথা বার্তা মানবতার দোহাই আর ধর্মের হুজুগে কল্কে পায়নি।
ভোগান্তির তো সবে শুরু- আমার ভয় নিজ দেশে আমরা পরবাসী না হয়ে যাই।
যাইহোক এখন আমরা বুঝতে পারছি ওরা ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া নয় শুধু, একেবারে মরণব্যাধি ক্যান্সারে রূপ নিতেও পারে যদিনা আমরা সময় মত সঠিক চিকিৎসা নিতে বার্থ হই। আবার ক্যান্সার যদি ছড়িয়ে পরে তখন কিন্তু আর অস্ত্রোপচারের সুযোগও থাকেনা। ~ ঠিক ঠিক একদম ঠিক।
৩১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
রাজসিংহ ২০২৩ বলেছেন: এরা সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে আর বের হবে না। এদের নিয়েই চলতে হবে। এদের নিয়ে দেনদরবার করার ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। এদের বাংলাদেশ থেকে বের করতে হলে, বাংলাদেশ সরকারকে দুইটা কাজ করতে হবে৷ প্রথমত, চীনকে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের অনুমতি। তাহলে চীন এদের ফিরিয়ে নিবে।
বিষয়টা এখানে শেষ হবে না। আমেরিকা/ ভারত অবশ্যই এর বিরোধিতা করবে।
তখন সরকারকে তার দ্বিতীয় কার্ড খেলতে হবে।
ভারত/ আমেরিকা অথবা উভয়কে সেন্টমার্টিনে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার একথা শুধু অনুমান নির্ভর নয়- এখানে গোপন কোন মারপ্যাঁচ তো অবশ্যই আছে। এমন কিছু কথা আমিও শুনেছি।
আমি আরেকটা খবর শুনেছি, শ্রমিক মুজুরি বেড়ে যাওয়ায় চীন এখানে বিশাল এক্সপোর্ট প্রমোশোন জোন নিয়ে তাদের গার্মেন্টস শিল্পের কিছু অংশ শিফট করতে চাইছে। সম্ভব রোহিঙ্গাদের সেখানে সবচেয়ে সস্তা শ্রমে খাটানোর প্লান করছে, সেই আগের সময়ের দাস প্রথার মত।
আমাদের ভাবনা ও জানা শোনার বাইরেও আরো গভীর ও টপ সিক্রেট কিছু বিষয় থাকতে পারে - অসম্ভব নয়।
* খানিক আগেই আপনি রেজিস্ট্রেশন করেছেন দেখলাম। যদিও আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে আপনি অনেক পুরনো ব্লগার! সমস্যা নেই, যেভাবেই থাকেন- ব্লগের সাথে থাকুন।
৩২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৬
করুণাধারা বলেছেন: একটা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন, এমন একটা সমস্যা যা ধীরে ধীরে ভয়ংকর আকার ধারণ করছে অথচ আমরা সেটা নিয়ে ভাবছি না একেবারেই। পোস্টের মন্তব্য প্রতিমন্তব্যগুলোও যথাযথ পর্যবেক্ষণমূলক। তবে এই সিরিয়াস পোস্টে জুনের মন্তব্য পড়ে হাসি বন্ধ করতে পারছি না... তার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার একটি প্রতিঘাত নিজে সামলে নিয়ে সম্ভাব্য আরেকটি প্রতিঘাত সামলানোর ভার আপনার উপর চাপিয়ে দিলেন!! তবে দ্বিতীয় প্রতিঘাত এখনো এলেন না দেখে একটু হতাশই হলাম!
রোহিঙ্গাদের আগমন এবং অবস্থানকে তুলনা করা যায় সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওয়ার সাথে। তুলনা টা ঠিক হলো না, কারণ সম্ভবত তারা বের হবে না বরং ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। আমাদের দেশের নীতি নির্ধারকেরা এ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল, কিন্তু তারা এর থেকে সুবিধা প্রাপ্ত হচ্ছেন দেখে রোহিঙ্গাদের অবস্থান এবং আচরণকে কোন সমস্যা বলে মনে করেন না। অবশ্য আমার একটা দুঃখ আছে, আমরা রোহিঙ্গাদের সাথে এত সদয় আচরণ করছি তবু একটা নোবেল পুরস্কার পেলাম না।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের ঘরে পেয়ে দারুণ প্রীত হলাম।
আমাদের কালবৈশাখী ভাই প্রতি মন্তব্যে এমন ঝড় তোলেন যে পুরো পোস্টটাই লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবার উপক্রম হয়। তবে তাঁর অনেক মন্তব্যই কিছু উদারমনের ব্লগার এন্টারটেইন হিসেবে নেন। কিন্তু জুন আপু একটু সিরিয়াস হয়ে গেছেন; যদিও তাঁকে উদ্দেশ্য করে উনার বাস্তবধর্মী বক্তব্যের ধার আছে।
আপনার হাসি পাওয়া যৌক্তিক! পালটা আক্রমনটা বেশ জুতসই হয়েছে কলাবাগানকে এই পোস্টে না পেয়ে আমিও কিছুটা বিস্মিত।
রোহিঙ্গাদের আগমন এবং অবস্থানকে তুলনা করা যায় সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওয়ার সাথে। তুলনা টা ঠিক হলো না, কারণ সম্ভবত তারা বের হবে না বরং ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। যে যাই-ই বলুক এটা একদম সত্য কথা। এখুনি ওদের সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে বড় দুর্ভোগ আছে।
৩৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২১
রাজসিংহ ২০২৩ বলেছেন: খানিক আগেই আপনি রেজিস্ট্রেশন করেছেন দেখলাম। যদিও আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে আপনি অনেক পুরনো ব্লগার! সমস্যা নেই, যেভাবেই থাকেন- ব্লগের সাথে থাকুন।
আপনার ধারণা সঠিক হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে।
অনেকের ধারণা, শেখ হাসিনা নোবেলের লোভে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। এটা একটা ভুল ধারণা। অনেকে এটা নিয়ে ট্রলও করেন।
তিনি নিরুপায় হয়ে কাজটা করেছেন। ঐসময় যদি অন্য কেউ ক্ষমতায় তারাও আশ্রয় দিত।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ট্রল করে সত্য তবে তাঁর দলের কিছু নেতারাও এ পরোক্ষভাবে মন্তব্য করেছেন। তাঁকে মাদার অফ হিউম্যানিটি উপাধী দিয়ে নোবেল কমিটিকে উপহাস করেছেন। বলুনতো কে নোবেলের আশা করে না? সে বাইডেন কিংবা আমাদের প্রধানমন্ত্রী। একবার নোবেল পাইলে দেইখেন উদযাপন কয়দিনব্যাপী চলে!
তবে হ্যাঁ রোহিঙ্গাদের খানিকটা চাপ, মানবিকতা ও একান্ত বাধ্য হয়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আরো বেশী অর্গানাইজড উপায়ে জাতিসঙ্ঘের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে হওয়া উচিৎ ছিল। বিষয়টা এমন হত যে অস্থায়ীভাবে যায়গাটা শুধু আমার আর বাদবাকি দায় নেই এবং কিছু শর্ত আরোপ করা দরকার ছিল। ২/৩/৫ বছরের বেশী কোনভাবেই তাদের জায়গা দেয়া হবে না। মায়ানমারে ফিরিয়ে দিতে না পারলে জাতিসঙ্ঘ অন্য কোন দেশে তাদের পূনর্বাসন করবে। ওরা মানবেতর জীবন যাপন করছে বা না করছে এ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা কোন দায় আমাদের উপর চাপাতে পারবে না। আমার ভুমির ভাড়া ও ফসল সহ অন্যান্য ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। অবশ্য এব্যপারে আমার থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা আরো ভাল বলতে পারবে।
আপনার কথার সুরে আমি বুঝেছি আপনি নতুন না পুরনো চাল।
যাক ফের মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।
৩৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৭
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: হ্যাঁ, প্রিয় ভাই, বেশ ব্যস্ততা যাচ্ছে ইদানিং। আশা করি, আপনি ভালো আছেন।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবশ্যই উদ্বেগজনক, তবে রোহিঙ্গারা অসভ্য বর্বর দানব ছল খল পশু আর এসব কারণেই তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে যথোপযুক্ত নৃশংসভাবে, এরূপ বলার মানে দাঁড়ায়, "চরিত্র খারাপ না হলে কি কোনো মেয়ে কেউ ধর্ষণের স্বীকার হয়"। মাঝেমাঝে এরকম পোস্ট দিয়েন, আমাদের শিক্ষিত সমাজের ভেতর যে সুযোগ পেলে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িকতার জিহ্বা লকলক করে উঠে, তার কিছু উদাহরণ উঠে আসে।
আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি, মন্তব্যটি আপনজনের কাছে আক্ষেপ বলে বিবেচনা করবেন।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, ব্যস্ততার ফাঁকে ফের মন্তব্যে আসার জন্য।
আমি মনে করি আমাদের ব্লগের বেশিরভাগ ব্লগারেরা ফেসবুকীয় ও আমজনতা থেকে একটু হলেও বেশী শিক্ষিত মানবিক, সৎ,উদার স্পর্শকাতর ও সহনশীল!
আমার এই লেখাটা পোষ্ট করে আরো বেশী ভীত হলাম, যখন দেখলাম ব্লগের নারী পুরুষ ছেলে বুড়ো প্রায় সবাই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে ভীষণ বিরক্ত ও আতঙ্কিত! একজন ব্লগারও প্রতিবাদ করেনি বা তাদের নিয়ে পজিটিভ কথা বলেছে।
এই প্রথম আপনি একটুখানি হলেও তাদের পক্ষে বললেন। এমন কিছু মন্তব্য আমি আশা করেছিলাম। তাহলে রোহিঙ্গাদের ভাল দিকগুলো আমাদের জানা হোত- অযথা তাদের আগের জাত-চরিত নিয়ে ঘৃনা বিদ্বেষ ছড়াত না।
আমার লেখার সুত্র ধরে, আপনি যদি অথেনটিক তথ্যের বরাত দিয়ে তাদের নিয়ে ভাল কিছু বলতেন তবে অন্তত মুষ্টিমেয় কিছু ব্লগার আসল সত্যটা জেনে উপকৃত হতাম।
কোথাও ভুল হয়তো আমাদের হচ্ছে। সত্যটা যদি আপনি জেনে থাকেন তবে সে ভুল ভাঙ্গানোর একটুখানি হলেও দায়িত্ব আপনার আছে। আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম...
আমার আন্তরিক শুভকামনা আপনার প্রতি।
৩৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আমার দেয়া লিংক যোগ করে দেয়াতে কৃতজ্ঞ।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আনন্দিত, আপনার এমন চমৎকার বিশ্লেষন্ধর্মী লেখা আমার লেখায় যুক্ত করতে পেরে।
অনেক ধন্যবাদ।
* আমি কিন্তু আপনার একটা পোস্টে মন্তব্য করে এসেছি।
৩৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩৭
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শেরজা ভাই,
একটি জাতির এক মিলিয়নেরও বেশি লোক (যাদের অর্ধেকের বেশি শিশু) ধর্ষণ ও জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাধ্য হয়ে আরেক দেশে মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাদেরকে যারা দানব বলে, চরিত্রদোষে নিধনের শিকার বলে যুক্তি প্রদান করে, তাদেরকে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে দুয়েকটি ভালো কথা বললেই যদি তাদের মনের সাম্প্রদায়িক সর্প বিনাশ হয়ে যেত, দুনিয়া কতই না সহজ-সুন্দর হতো। প্রিয় ভাই, দুঃখিত, আমার ক্ষীণদৃষ্টি, সমস্যা দেখি অন্য জায়গায়। আমাদের শিক্ষিতদের ব্রাহ্মণ্যাবাদী মানসিকতায় চণ্ডাল রোহিঙ্গাদের আবার শুভ গুণ কী, তার ছায়া মাড়ানোও তো অশূচি; এমনকি যে শিশুরা জন্ম নিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আজ রাতে, তারাও তো দানব একেকটি। আমি আর খুঁজে খুঁজে ভালো রোহিঙ্গা কোথায় পাই বলেন? তাই হার মেনে নিলাম। ভালো থাকবেন।
৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমার কি আর বলার আছে -তবুও আমি অন্তর আপনার এই মন্তব্যের সুত্র ধরে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তবে সেটা বেশ দুরূহ ব্যাপার।
ধন্যবাদ চরম ব্যস্ততার পরেও বারবার মন্তব্যে আসার জন্য। আপনি ব্যতিক্রমী মানবিক মানুষ হয়ে থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
সরকারের ব্যার্থ কুটনীতির ফসল হলো রোহিঙ্গা এবং এতো বছর পরও রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠাতে না পারা।
রোহিঙ্গারে মধ্যে যে মিলিট্যান্সি ও ক্রিমিনালিটি রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে তা দিন দিন চুড়ান্ত ভাবে প্রমানিত হয়েছে। এদের অপরাধমুখী প্রবনতা থামানো অসম্ভব।
এরা এইডসে আক্রান্ত, পাহাড়-জঙ্গল কেটি উজার করে ফেলছে, আদম পয়দা করতেছে ফাইভ-জি গতিতে আর খুনাখুানি তো এখন রোজকার ডালভাত এদের কাছে।
বাংলাদেশের যে কোন সরকারের জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ তাদের ফেরৎ পাঠানো।