নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেয়েছিলুম বটে! ২

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৪


ওহ্‌ আরো দুটো আনাজের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম; একটা হচ্ছে গাবলু গুবলু রশুন আর 'সালাদকাইয়া প্যারিস! সালাদকাইয়া প্যারিসের বাংলা করলে হয় মিষ্টি মরিচ।আমরা যেটাকে ক্যাপসিকাম হিসেবে চিনি জানি। নব্বুইয়ের দশকে অমন গাবলু রশুন, ভোদকা পেয়াজ আর ক্যাপসিকাম আমাদের একেবারেই অচেনা ছিল। রাশিয়ায় ক্যাপসিকামের বরাবরই ব্যাপক কদর। টম্যাটো শশা আর গাজরের পরেই ক্যাপসিকাম আর তার সাথে রশুন। ওরা আলুর মত রশুন ভক্ত জাতি! প্রায় সব রান্নায় আমরা যেমন কাঁচা মরিচ ঠেসে দেই তেমনি ওরা দেয় রশুন! ( ওদের রশুন খাওয়া নিয়ে গল্প হবে একদিন 'খেয়েছিলুম বটে'র কোন এক পর্বে)
***
বা
জারে চাল ডাল কিছু খুঁজে পাই নি। অগত্যা 'বাতন' বা সাদা পাউরুটিই বিকল্প! রান্নার উপকরন যা পেয়েছি তা দিয়েই হয়তো চালিয়ে দেয়া যাবে কিন্তু হাড়ি-পাতিল পাই কই? হস্টেলের ছেলে মেয়ে সব ক্যান্টিনে খায়। রান্না ঘরে কালে-ভদ্রে! মুলত যারা 'লিভ টু গেদার' করে তারাই একটু আলু, সসেজ কাটলেট ভেজে খায় কিংবা স্যুপ করে বড়জোর। ছোট্ট ফ্রাই প্যান ছাড়া ওদের কাছে আর কিছুই নেই। আমাদের বুড়ি আখরান মহিলার (গার্ড) বিশাল বপুর মত তার মায়াবতি মন।
ছেলেগুলোর মন খারাপ দেখে তিনি তার পাহাড়া শিকেয় তুলে ছুটলেন তার বাড়িতে। আধাঘন্টা পরে নিয়ে হাজির হলেন ইয়া বড় দু খানা সনপ্যান আর বড় হাতাওয়ালা চামচ। পুরো হোস্টেল যেন তাই দেখে নেচে উঠল!
চলছে রান্নার যোগাড় যন্ত! চারিদিকে রুশ ছেলেমেয়ে কিলবিল করছে। হস্টেলে এমন হুলস্থুল রান্নার দৃশ্য তাদের বাপ দাদার জন্মে কেউ দেখেনি! ওদের কাছ থেকে চপার বোর্ড ছুড়ি, পিলে'র ধার নিয়ে হাত পা ছিলে কেটে আমরা কাটা ছেড়া করছি।
একমাত্র আনাড়ি শেফ আর তার চ্যলা চামুন্ডা। আমি ভীষন গম্ভীর মুখে সবাইকে আদেশ নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছি। পিয়াজ কি জুলিয়ান না কিউব হবে, আলুর সাইজ কেমন হবে, মুরগীর চামড়া ছিলে কাটবে নাকি চামড়া সহ কাটবে এই নিয়ে বেশ তর্কাতর্কি থেকে মান অভিমান হয়ে গেল! দুয়েকজন রাগ করে রান্নাঘর ছেড়ে দুরে গিয়ে গ্যাট হয়ে অভিমানে মুখ ফুলিয়ে বসে রইল।
এতবড় মুরগী কাটতে গিয়ে এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা! আমারও সব এলেমদারি শেষ! অবশেষে রুশীয় এক মেয়ে এসে উদ্ধার না করলে আস্ত মুরগীই রাধতে হোত।

মাদের অর্ধেক ছেলেরা এদেশে আসবার আগে মাখন নামক বস্তুটা শুধু দলা পাকিয়ে ঘোল দিয়ে চেখে দেখেছি। সেটা দিয়ে রান্না কি প্রকারে হয় তার তরিকা জানব কি ভাবে? যা করা আল্লা খোদা ভগবান হাশেম কিংবা ঈশ্বর (কয়েক ধর্মের লোক ছিল সেখানে); চুলায় প্যান চাপিয়ে মায়ের কথা স্মরণ করে একসাথে দু'কেজি মাখন ঢেলে পিয়াজ ক্যাপসিকাম আর গোল মরিচ দিয়ে বেশ খানিক্ষন কষাতেই বেশ একটা সুগন্ধ ছুটল চারিদিকে! অবস্থা গুরুতর তখন- হস্টেলের ওদেশি বোর্ডারদের ভীড় ঠেকাতে তখন মনে হচ্ছিল লাঠি চার্জ করতে হবে। আমাদের নিকটজন রুশীয় ছাত্ররাতো গায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে যেন পাতিলে সেঁধিয়ে যেতে চাচ্ছিল।

প্রিয় বন্ধু শাশা দেখি আমার বগলের নিচ দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে রাজহাসের মত গলা বাড়িয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে সুঘ্রান নিয়ে তাড়াতাড়ি পেট ভরছে! কি এক জ্বালা!! এখান থেকে এক চামচ করে সুরুয়া সবাইকে চাখতে দিলে এই চারখানা মুরগীর ঝোলে অর্ধেক হোস্টেল ম্যানেজ করতে পারব না।
তবে আমি তখন নিজের রান্নার কারিশমাতে নিজে বিমোহিত! প্রথমবারেই বাজিমাত। আমাদের ছেলেরাও সবাই সুঘ্রানে মাতোয়ারা- তাদের সবার চেহারায় স্পস্ট সম্ভ্রমের ছাপ- দু চারজন পিঠ চাপড়ে দিচ্ছিল! নিজেকে তখন বিশ্বের সেরা শেফের কাতারে ফেলে দিচ্ছিলাম প্রায়! মনে হচ্ছিল এখনকার সবচেয়ে সুন্দরী এক রুশীয় ললনার সাথে দু'পাক ব্যলেরিনা নেচে নিই।
সবশেষে দিলাম মুরগী আর দু'ভাগ করা আলু। রান্নার শেষের দিকে মাখনে ভাজা একটু পেয়াজের বেরেস্তা ছিটিয়ে দিতেই যেন চারিদিকে হুল্লোড় শুরু হয়ে গেল! রান্নার এমন সুঘ্রান রাশিয়ার জারের রসুইখানাতেও কেউ যেন কখনো পায়নি।

দেশী সবার জিভের আগায় লালা জমে টইটম্বুর হয়ে আছে - লোভাতুর চোখে চেয়ে আছে বড় প্যানটার দিকে। আমাদের কিচ্ছু করার নেই- সবাইকে উপেক্ষা করা ছাড়া অন্য কোন গতি নেই। তবুও একটা প্লেটে খানিক মাংস আর ঝোল উঠিয়ে শাশার হাতে দিয়ে বললাম, শাশা তুমি এখান থেকে তোমার বন্ধু বান্ধব নিয়ে চেখে দেখ। ও সেটা হাতে নিতেই যেন হুল্লোড় পড়ে গেল!

খাবারে যেন কারো তর সইছিল না। যার কাছে যা শানকি-থালা-বাটি ছিল তাই নিয়ে বসে পড়েছে। রুটির ভাগ নিয়ে আগেই একটা কাড়াকাড়ি হয়ে গেছে। যেই রুটির সবাই এদ্দিন ঘেন্না ভরে তাকাত - তার বেশ কদর আজকে।
যেহেতু শেফ আমি -তাই পরিবেশনের গুরু দায়িত্বটাও ছিল আমার হাতে। আমাদের সবার সিনিয়র রফিক ভাই- আমার সাথে তার ব্যক্তিগত খাতিরটাও বেশ প্রগাঢ়! মাঝে মধ্যেই আমার কাছে গিয়ে শুয়ে বসে গল্প করেন। অবশ্য আমাদের বেশীরভাগ গল্প জুড়ে থাকে খাবার কথা- তিনি এসেই কখনো বলেন;
তপন তোমার মা ওই 'কাঠালের বিচি আর ডাটা দিয়ে যেই তোলা শিকেয় করা নোনা ইলিশের চচ্চরিটা করত সেইটার রেসিপিটা কও তো?

কিংবা শোল মাছের দোসসা কোনদিন খাই নাই- দেশে গেলে আমারে খাওয়াইবা? ফের কও তো কেমনে রাঁধে?
আমি বলতাম; এটা শুধু শীত কালে হয়। শীতের শোল সবচেয়ে মজার। প্রথমে শোল মাছ ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে
বেশী করে লবন আর একটু হলুদ মেখে বাঁশের চালনে করে সারা রাত ছড়িয়ে রাখতে হয়। পরদিন মাছগুলো বেশ শক্ত হবে আর একটা শুটকি শুটকি ঘ্রান আসবে। সে মাছ গোল করে কাটা পেয়াজ, বেশী করে রশুন আর কাচা মরিচ দিয়ে বাটা মশলা সহ আচ্ছা মত কষিয়ে
ধনে পাতা মটরশুটি আর টক টম্যাটো দিয়ে রান্না করে গরম আউশ চালের ভাত দিয়ে খাইতে ভাইরে...

সে মাঝ পথেই থামিয়ে দিয়েই বলত, থাক থাক আর কইও না- আমার মনে হচ্ছে এক্ষুনি প্লেনের টিকিট কাইট্যা দেশে চইল্যা যাই।
কি শালার আজব দেশে আসলাম কও। কোন শালায় ঝাল খায় না। কাচা মরিচ ছাড়া একটা দেশের লোক বাঁচে কেমনে?


মি ডিসিসান নিলাম, সিনিয়র আর আমার ঘনিষ্টজন হিসেবে রফিক ভাইরে সবার আগে দিব। তিনি প্রথম খাবার মুখে দিয়ে বউনি করবেন।
তার পাতে বেছে বেছে সবচেয়ে বড় মাংসের টুকরোটা দিলাম। তিনি আমার এমন শ্রদ্ধা-ভক্তিতে আবেগার্ত হয়ে পড়লেন। এক এক করে সবাইকে মাংস ঝোল দিয়ে শেষে নিজের পাতে বেড়ে নিয়ে আসন পেতে বসে তাকিয়ে আছি রফিক ভাইয়ের দিকে। শুধু আমি নই সবাই-ই তাকিয়ে আছে তার দিকে তার এক্সপ্রেশান দেখার জন্য। রফিক ভাই মাংসের টুকরোটা পরম মমতায় হাতে নিয়ে বড় একটা কামড় বসিয়ে গিলতে গিয়েও গিললেন না। মুখ বন্ধ করেই আমার দিকে তাকালেন। দেখি তার দু'চোখ জলে টলমল করছে।
তার এই আবেগ দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারলাম না। আহারে বেচারার মনে হয় মাংসের টুকরোয় কামড় দিয়ে মমতাময়ী মায়ের কথা মনে পড়ে গেছে। আমি নিজের জায়গায় যেন তার মাকে-ই কল্পনা করছি তখন।
আমার মনের মধ্যে সুর উথলে উঠল ' কতদিন দেখি না মায়ের মুখ -শুনিনা সেই কালা পাখির গান, হায়রে পরান-হায়রে পরান!'

কয়েক সেকেন্ড বাদে রফিক ভাই মুখগহ্বরে রাখা মাংসের টুকরোটা অতিকষ্টে পাকস্থলীতে চালান করে ফ্যাসফেসে বিকৃত কন্ঠে বললেন,~তপন তুমি কি বাল রান্না করছ- এ মানুষে খায়?
সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের যারা হাতে করে মাংস নিয়ে যারা খেতে যাচ্ছিল বা খাব খাব করছিল তারা সাটা সাট করে প্লেটে মাংসগুলো যেন তেলাপোকা ছোড়ার মত করে ছুড়ে ফেলল!!!

আমার চোখের কোলে যে জলটুকু অতি আবেগে নিস্ক্রান্ত হবে বলে ঢলঢল করছিল সেটুকু সুরুৎ করে উল্টো পথে দৌড়ে পালাল।
***
সিন আভি বাকি হ্যায় মেরা দোস্তঃ
এর পর থেকে আর কোন রান্নায় শেফ হিসেবে তো দুরের কথা আমাকে কেউ হেল্পার হিসেবেও সুযোগ দেয়নি বহুদিন। এমনকি পেয়াজ কাটতে গেলেও রে রে করেছে। আমার মায়ের একমাত্র স্মৃতি এক বয়াম আচার নিয়ে গিয়েছিলাম- যেটা যক্ষের ধনের মত আগলে রেখে মুখের স্বাদ একেবারে মজে গেলে গভীর রাতে চুপি চুপি তার থেকে দুয়েক খন্ড মুখে দিয়ে মার কথা স্মরণ করে চোখের জল ফেলে স্বাদ ফিয়ে আনতাম। সে বয়াম ধরে একদিন হাপিস হয়ে গেল! আমার খানা-খাদ্যের গল্পের আখড়ার সভ্য কমতে কমতে শুন্যের কোঠায় নেমে এল!
শুধু লঙ্কান দিমিত ছিল ব্যতিক্রম। সে-ই একমাত্র মুচকি হেসে কানে কানে বলেছিল, ' আই নো ইউ আরএ গুড শেফ। বাট ইট ওয়াজ এন এক্সিডেন্ট ম্যান!!'

প্রথম পর্বের জন্যঃ খেয়েছিলুম বটে!!
****
ই লেখার জন্য ফের আন্তরিক ধন্যবাদ মিরোর আপুকে; তিনি একমাস তার ফ্রেন্ড লিষ্ট থেকে আমাকে বর্জনের হুমকি দিয়ে; স্মৃতি জাগানিয়া রান্না সমাচার (২) লেখাটা না দিলে পৌনে তিন যুগ আগের এই আমার জীবনের ঘটে যাওয়া 'এই করুণ রস কাহিনী'টা হয়তো মনেই পড়ত না।

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: হাহাহা প্রথম মন্তব্য

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: কিন্তু না পড়ে মন্তব্য করেছেন- আমার কথাও তো ঠিক না কি?

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হয়েছে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমি তো কাল থেকেই মাইকিং করছি - আজকে সকালেই এই পর্ব দিচ্ছি :)
এখন বলেন দেখি; এই লেখার সেরা কথাটা কে বলেছে? কি বলেছে সেটা বলার দরকার নেই।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

বিজন রয় বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি ২য় পর্ব!!! এট্টু সময় তো দিবেন!!

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: না আর সময় নাই- গরম গরম পড়ে ফেলেন- নাইলে লেখার রেশ থাকবে না। পরে বলবেন আগে কি লিখেছিলেন ভুলে গেছি। মুড ছিল লিখে ফেলেছি একটানে।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: না পড়ে মন্তব্য করেছি এটা তো জানা কথা।

এত সাধনার পরে জ্যোতিষ শাস্ত্রের যে সামান্য জ্ঞান অর্জন করেছিলাম তা এক নিমিষে মাটিতে মিশিয়ে দিলেন?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: না না ঠিক আছে আপনি এক্কেবারে কাউসার চৌধুরির সাক্ষাত গুরু!

এখনো পড়েন নাই- ওদিকে আমি কত ট্রাফিক ঠেঙ্গিয়ে ঢাকা থেকে আসুলিয়ে এসে পড়লাম!!

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ব্লগে এরকম লেখা পড়িনা বহুদিন। আহা কি দেশ ঝাল খায়না ! আপনার লেখা, উপমা, শব্দ প্রয়োগ, স্মৃতিচারণ সব মিলে সুপারহিট।

ধন্যবাদ ভাই।

নিন শীতকালের শুরুতেই আপনার জন্য আমার ভর্তা ভান্ডার থেকে মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা-

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে মন ভরে গেল!

মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা আমার খুব প্রিয়। আসলে ভর্তা আর চর্চড়ির উপরে বাংলা খাবার আর নাই।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: আগের পর্বে মন্তব্য পড়তে পড়তেই ক্লান্ত হয়ে গেছি।তাই আগেবাগেই এসে গেলাম।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার জন্য এইবার অনুগল্প লিখতে হবে- আপনি যা লেখি তাই পড়ে ক্লান্ত হন - ওদিকে দেখেন গাজী সাহেব মনে হয় চুপি চুপি আপনার মন্তব্যে একখান লাইক দিয়ে গেছেন :)

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনার লেখায় ভিটামিন আছে।
পড়ে আরাম পাওয়া যায়।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: এই ভিটামিন কষ্টের ভিটামিন। লেখালেখির জীবনে সখ ছিল রম্য লেখক হবার- আর করুণ রস কাহিনী আমার প্রিয় বিষয়। কিন্তু কেম্নে কি যেন হয়ে গেল! এক্কেবারে কাঠখোট্টা হয়ে গেছি।
ধন্যবাদ ভাই আমার ভেতরের রসবোধসম্পন্ন ফাজিলটারে লাথি মেরে চেগিয়ে দেবার জন্য।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: সেইম স্টাইলে রান্না করে একবার দাওয়াত করে খাওয়ান, কথা দিচ্ছি এতো বছর আগে উল্টো পথে ঘুরে যাওয়া আবেগের জল ফিরিয়ে দিব প্রশংসা করে। :|

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: সেই রফিক ভাই গত পনের বছর ধরে বাংলাদেশে আছে আমারে কতবার ফেসবুকে ভুংভাং করে কইছে, ভাইডি আইস দেখা করি। ওই শালার ভাইরে সেই অপমানের কথা আইজ পর্যন্ত আমি ভুলি নাই। ওর এখনো কায়েশ আছে আমার মার হাতের শোল মাছের দোস্‌সা খাবার! আমি দোস্‌সা রান্না করে দরকার হলে প্লেনের টিকিট কেটে লঙ্কায় গিয়ে দিমিতরে খাওয়ায় আসব কিন্তু হেরে দাওয়াত করে খাওয়াব না। আমার আইজ ও কইলজ্যার মধ্যে জ্বলেরে ভাই!!!!

এই পর্বে কি উসুল হয়েছে??

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: তরকারিটায় কি সমস্যা হয়েছিলো বুঝতে পারলাম না।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা হোল 'আপনি যখন সেভেন আপ মনে করে পানি খান তখন যেই অনুভুতি হয় সেরকমটা' :)

রান্নায় সবকিছু ঠিকঠাক ছিল তবে রান্নার একটা মুল ও অত্যাবশকীয় উপাদান দিতে ভুলে গিয়েছিলাম- আরেকবার উপকরণগুলোতে চোখ বুলিয়ে দেখেন ভায়া!

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: আহারে রিফিক ভাই কী ঘা'টাই না মেরেছিল; এতোগুলো বছর পরেও তা টাটায়। :|
অপেক্ষায় ছিলাম, অপেক্ষার পালা শেষ হল।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: আর কইয়েন না- খালি টাটায়; আমার বিশাল এই প্রতিভাটাকে প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েগিয়েছিল ব্যাটায়!!!

:)

১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: কি একটা অবস্থা! :D

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আর কইয়েন না!
আগে আমি সিগারেটের ধোয়া মুকের মধ্যে রেখে না গিলে ফুড়ুৎ করে ছেড়ে দিতাম। সে একদিন সবগুলা পুলাপাইনের সামনে এই না আমারে এইরকম অপমান করল; কয়, ওতো ছেমড়িগো মত বিড়ি টানে!
সেই অপমানে দুঃখে কষ্টে আমি পুরা বিড়িখোর হয়ে গেলাম! এখনো ঘরে বাইরে এই নিয়ে খোটা খাইতে হয়। :(

১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ! এত সুন্দর মজার সুখপাঠ্য (রুশ খাবার-দাবার সংক্রান্ত তথ্য বহুলও বটে) নাতিদীর্ঘ পোস্ট টি উপহার দেবার জন্য।

পোস্ট পাঠে বেশ মজাই পাচ্ছিলাম, কিন্তু বেরসিক রফিক ভাই যেন বাড়া ভাতে পানি ঢেলে দিলেন। ~তপন তুমি কি বাল রান্না করছ- এ মানুষে খায়? তারচেয়ে সবাইকে না খাইয়ে এপর্ব শেষ করে দিলেই ভাল হতো।

লঙ্কান দিমিত এর কথাটা দারুন ইম্প্রেসিভ ছিল ' আই নো ইউ আরএ গুড শেফ। বাট ইট ওয়াজ এন এক্সিডেন্ট ম্যান!!'

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ভালবাসা ও আন্তরিক ধন্যবাদ!
আমার কষ্টে সমব্যাথি হবার জন্য কৃতার্থ হইলাম ভ্রাতা।
শ্রীলঙ্কানদের আমি খুব ভালবাসি। আমার জন্য আরো দুজন শ্রীলঙ্কান, মিঃ অশোকা ও সুব্রামোনিয়াম অনেক করেছেন।

১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: ঝরঝরে সাবলীল লেখা। আয়োজন ও রাশানদের আগ্রহে জল ঢেলে দিল রফিক ভাইয়ের মন্তব্যটা। আমিও বিশ্বাস করি ইউ আর এ গুড শেফ। এক্সিডেন্ট ছিল ওটা। রফিক ভাই আর দিমিত কেমন আছে? ওদের সাথে যোগাযোগ আছে আর?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: এত ব্যস্ততার মধ্যে আপনি এসে আমার লেখা পড়েছেন দেখে খুব প্রীত হলাম!
আপনার মন্তব্যে বরাবরই অনুপ্রাণিত হই।
রফিক ভাইয়ের কথা বলে মাথাটা আর গরম করে দিয়েন না :)
রফিক ভাই দেশে আছেন। ফেবুতে টুক টাক ম্যাসেজ আদান প্রদান হয়। দেখা হয় না। যাদের সাথে একসময় খুব ভাল সম্পর্ক ছিল সে একবার দূরে চলে গেলে তাদের সাথে আমি সাধারনত দেখা করি না। বহু বছর বাদে মানুষ অনেক পালটে যায়- সেই আগের মানুষটাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না - তখন হারিয়ে যাওয়া মানুষটার জন্য কষ্ট লাগে।

১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আহা সৈইয়দ মুজতবা আলীর স্বাদ পাওয়া গেল লেখায়। কিন্ত যা রেসিপি দিলেন , তাতেতো মুরগী বিস্বাদ হবার কথা না। সমস্যা কোণখানে ? লবন দিতে ভুলে গিয়েছিলেন ?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

শেরজা তপন বলেছেন: এইতো ঠিক ধরেছেন :) আপনি ভাই পাকা রাধুনি।
ওই মাল দিতে ভুলে গেলে পৃথিবীর সব রান্নাই বিস্বাদ লাগে!!
আমার জিন্দেগিতে আর কোন্দিন রান্নায় লবন দিতে আর ভুল হয় না। খাবার নিজে না চেখে আমির কারো পাতে দেই না।

যদিও মুজতবা নখের ময়লার যোগ্য নই আমি তবুও তার কথা বললেই আবেগে চোখে জল চলে আসে।

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নিজের রাঁধা সুস্বাদু মাংস খেতে আপনার কেমন লেগেছিল বড় ভাই ?

;) ;) ;); )

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: বিষের চেয়ে বিষাক্ত!! তবুও চোখের জলে নাকের জলে খেয়েছিলুম- তাইতো শিরোনাম - খেয়েছিলুম বটে!!!
শুধু বলেছিলাম, ব্যাটা শালারা একটু লবন দেই নাই তাইতে এত দিকদারি! তখন শুধু মাইর খাইতে বাকি ছিল :(

আমার দুঃখে আপনি হাসেন -বেশ!

১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আমি খুব ছোট মানুষ। বয়সেও আপনার জুনিয়র। আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে আমি একই সাথে লজ্জিত ও অনুপ্রাণিত হলাম।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: এইসব সিনিয়র জুনিয়র ক্লাস বাড়ি আর অফিসে - ব্লগে ইতার বেইল নাই!
লজ্জাটুকু বাদ দেন অনুপ্রেরণা নিয়েই থাকেন। :)

১৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:




শেরজা আমার মনে কেমন যেনো একটা প্রশান্তি, খুব তৃপ্তি পেলাম শেরজার এই অবস্থা দেখে :)

শেরজাকে বড় বেশি আপন লাগছে এখন :)

আমার দলের একজন মনে হচ্ছে।

একই পথে হাঁটা পথিক যেনো! :)






২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তাহলে এসেছেন!! আজকে মনে হয় ব্যস্ত ভীষন?

এই খোঁচাগুলো ট্যাডা দিয়ে দিবেন বলে কালকে ওখানেই ফুলস্টপ দিয়েছিলাম :)
আমিতো সবসময় আপনার দলে। হুদাই মারে একমাসের জন্য নির্বাসনে দিতে চাচ্ছিলেন।

১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০০

মিরোরডডল বলেছেন:




সামুর একটা গেট টুগেদার করাই যায়, যেখানে শেরজা রান্না করবে।
অনেকেই দেখলাম শেরজার হাতের রান্না খেতে চাচ্ছে।


২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে এর থেকে আপনার ওই আসেদ্ধ ভাত আর গরুর মাংস পোড়াই খেতে সবাই উদ্গ্রীব! :) দেখেন না কমেন্টের টাইফুন বয়ে গেছে!!
আপনি যদি আসেন তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি সেখানে দারুন ভোজের আয়োজন হবে :-B

১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: চ্যলা চামুন্ডা শব্দটা কি বাংলা শব্দ?
এই শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে আমাকে জানাতে পারবেন?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যতদুর জানি এইটা আদি বাংলা প্রবাদ প্রবচন- আমি এমন ব্যাবহার দেখেছি।

চ্যালা-চামুন্ডাঃ
পুরাণ মতে, চন্ড-মুন্ড বধের সময় দেবী দুর্গার ভ্রূকুটি ললাট থেকে চামুন্ডা দেবীর উদ্ভব। দেবীর হাতে অস্ত্র, দন্ড । দেহের বর্ণ গাঢ় নীল পদ্মের মত। দেহ অস্থিচর্মসার। দীর্ঘ রক্তবর্ণ জিহ্বা, বিকটাকার দাঁত। জটাধারী আর বাঘের চামড়াপরিহিতা এই দেবীর সঙ্গিসাথীরাও যেমন তেমন কেউ নয়- ডাকিনী, প্রেতিনী, শাঁখিনী এরা। এমনিতে দেবী নিজেই বিকটাকার মূর্তিধারী, তায় সেরের উপর সোয়া সেরের মত তার সাথে যোগ হয়েছে রক্তহিমকরা ভয়ংকর চেহারা আর স্বভাবের সাথীগুলো। এখান থেকেই মূল নেতা বা ষণ্ডার সাথী বা চ্যালাদের বুঝাতে এসেছে ‘চ্যালা-চামুন্ডা’ শব্দটি। (ইংরেজিতে হলে ব্যাকরণসম্মতভাবে বলতে পারতাম ‘দ্য চ্যালাস অব দি চামুণ্ডা’।)

২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

বিদ্রোহী পুরুষ বলেছেন: দারুন লেখা, চোখের সামনে যেন পুরো ঘটনা সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম।
রান্নার প্রসেস শুনে মনে হলো আপনার মুরগিটা ভালোমতো কষিয়ে (ব্রেজিং) নেননি তাই সিদ্ধ হয়নি, আর ভারতীয় মশলা না দেয়ায় মশলার ব্যালান্স হয়নি।
দারুন কমেডি ছিল লেখাটায়।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: এই পর্বে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল । সব ঠিক ছিল ভাইডি- কিন্তু সমস্যা ছিল দুইটা; ওরা অপেক্ষায় ছিল দেশি স্বাদের ( যার কথা আপনি বলেছেন, ভারতীয় মসলা) আর লবন না দেয়ায় পুরো গুবলেট হয়ে গেছে।
শুভিকামনা ও আন্তরিক ধন্যবাদ রইল।

২১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:





আপনি যদি আসেন তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি সেখানে দারুন ভোজের আয়োজন হবে :-B

ব্লগারদের মাঝে যদি কারো সাথে কারো শত্রুতা থাকে, তাহলে আমি তাদের জন্য রান্না করতে রাজি :)
সুকৌশলে এমন রান্না করবো যে নির্ঘাত ঘায়েল হবে।
বেশি কিছু না, পার্পল জর্দা আর আঁশসহ ইলিশই যথেষ্ট।

আমি চিরতরে দূরে সরে যাবো,
তবু আমারে দেবো না ভুলিতে

সেই গানের মতো আমি চলে আসলেও, তারা মনে রাখবে আমাকে :)


২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: তা ও আসেন আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি ওই দুইটা আমি খাব - পরে বমি করি আর যাই করি সেইটা পরে দেখা যাবে :)
আপনি চলে গেলে আমরা সমস্বরে গাইব;

বন্ধু রঙ্গীলা রঙ্গীলা রঙ্গীলা রে
আমাগো ছাড়িয়া বন্ধু কই গেলা রে...

২২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:





আমাদের এখানে স্টুডেন্ট অবস্থায় কি সব খেতাম ন্যুডুলুস, স্যান্ডউইচ এগুলোর ওপর থাকি।
আমরা কেউই খুব একটা রান্না করিনা তখন, সময়ও হয়না কারণ ফুলটাইম ইউনিতে যাই, আবার জব করি।

একদিন কয়েকজন ভীষণ করে ধরলো, বিশেষ করে এক ফ্রেন্ড খুব দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছে কতদিন খিচুড়ি হাঁসের মাংস খাইনা!
তার এই দুঃখ দেখে আমার কোমল মন কি বলবো, কষ্টই লাগলো।

সিদ্ধান্ত নিলাম যা হয় একটা কিছু ট্রাই করি।
যেমন ভাবা, তেমন কাজ।
ভুনা খিচুড়ি, হাঁসের মাংস আর গরুর বট করলাম।

খিচুড়ি আগে করেছি, অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু কখনোই হাঁসের মাংস আর বট রান্না করিনি, সেদিনই প্রথম।
দুটো রান্নাই কঠিন, একটু এদিক ওদিক হলেই ফ্লপ।
মনের মাধুরী মিশিয়ে রাঁধলাম।
হাতের কাছে যা মশলা পাচ্ছি সবই দিচ্ছি।
মরিচ যেনো কৌটা ধরে পুরোটাই দিয়ে দিলাম।

আশ্চর্য!!! রান্না সত্যি ঝাল ঝাল মজাই হয়েছে, সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর রান্না।
সবাই কব্জি ডুবিয়ে খেলো।
কিন্তু তারপর????

আমি আর একটা ফ্রেন্ড ঠিক ছিলাম, বাকি সবাই অনস্পট স্টমাক আপসেট :(
সে এক ভয়াবহ অবস্থা !!!!


২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

শেরজা তপন বলেছেন: চাপাবাজি কইরেন না আপসেট আপনার ও হইছে!
এই লেখাটা সবিস্তারে ব্লগে চাই। আমি নিশ্চিত আপনি মুজতবা আলীর থিউরি ফলো করেছিলেন :)
বটে যত ঝাল তত মজা- কিন্তু সমস্য হইল আমার বাসায় বউ বাচ্চা দেখলেই ওয়াক ওয়াক করে :(
হাসের মাংস রান্না করা কঠিনতম কাজ! আপনার সাহস আছে বলতে হবে।
আপনি জনদরদী মানুষ- শেখ হাসিনা এমন দরদী নারীদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন এবার ইলেকশনে নমিনেশন দিবেন বলে :)

২৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: ঘটনা মারাত্মক ! নুনের মতো ভালোবাসা।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: যাক এতক্ষণে বুঝলেন তাহলে :)
ফের এসে বুঝে যাওয়ার জন্য এবং মন্তব্যে জানান দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:




আরেহ সিরিয়াসলি শেরজা, আমাদের গ্রামের এলাকা থেকে খবর নিয়েছিলো, বাংলাদেশে পার্মানেন্টলি ব্যাক করার পসিবিলিটি আছে কিনা। কারণ আমাকে ইলেকশনে নমিনেশন দিতে চায় :)
ওরা বলেছে পাশ করানোর দায়িত্ব নাকি ওদের, শুধু দাঁড়ালেই হবে।

বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের সাথে অনেক সময় ইনভল্ভ থাকি সেই কারণে মনে করেছে যোগ্য প্রার্থী।
রাজনীতির 'র' ও বুঝিনা, ইভেন ন্যাশনাল আইডি পর্যন্ত নেই, আবার বলে নির্বাচন প্রার্থী =p~

তারমানে আমাদের দেশে অভিজ্ঞতা ছাড়া যে কেউ রাজনীতি করতে পারে :)

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: দেখছেন আমার সিরিয়াস বেরেনের নমুনা!! আগের থেকে বুঝে ফেলছি যে আপনার ভিতরে নেত্রী হওয়ার সব গুণাবলী আছে- শুধু হ কইলেই কম্ম কাবার :)
আইয়া পড়েন একসাথে ইলেকশান করুমনে। নৌকা মানেই সরাসরি সংসদের টিকিট!
এই দেশের রাজনীতি করতে কিছুই লাগে না- শুধু কি কি যে লাগে সেটাও জানিনা :(

২৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সামুর একটা গেট টুগেদার করাই যায়, যেখানে শেরজা রান্না করবে।
অনেকেই দেখলাম শেরজার হাতের রান্না খেতে চাচ্ছে।



তো সেখানে কী দ্বীপকন্যা আয়নাবিবি যোগ দেবে ?

মনে তো হয় না । তো শেরজা ভাই কী মনের দুঃখে আর কিছু রান্না করবে নাকি ?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আয়নআবিবির উপস্থিতি নিশ্চিত করলে আমি অবশ্যই আসছি :)

২৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তা ও আসেন আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি ওই দুইটা আমি খাব - পরে বমি করি আর যাই করি সেইটা পরে দেখা যাবে :)

ভাই এই পর্যন্ত এমন ঢপ আর কয়টা মাইয়ারে দিছেন ?? :P

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: মেয়েদের আমি কখনো ঢপ দিই না উল্টাপাল্টা কথা বইলেন না- আমি চরম পুরুষবাদী হলেও নারী জাতিকে আমি বিশেষ সম্মান করি। ;)

২৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: তপন ভাই ৪ নং মন্তব্যটি অনুগ্রহ করে মুছে দিন । তাড়াহুড়ার কারণে মাথা কিঞ্চিত গরম ছিল। তাই কি সব লিখেছিলাম।কি মন্তব্য করেছিলাম তা ভুলে যান। তাহলে আমিও আপনার পোস্টও ভুলে যাব B-)) । যাই হোক বাসায় এসে বরফ ঠেসে মগজ ঠান্ডা করার পর মনে হল মন্তব্যটি হত এরকম:
না পড়ে মন্তব্য করেছে এটা তো জানা কথা। পড়লে আর প্রথম হতে হতো না।

মাইকিং তো আমিও শুনেছিলাম। মাইকিং শুনেই তো--- :P :P

তাই বলে, এত সাধনার পরে জ্যোতিষ শাস্ত্রের যে সামান্য জ্ঞান অর্জন করেছিলাম এক নিমিষে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলেন? :(

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ওই মন্তব্য ঠিক আছে - আমিতো কোন সমস্যা দেখছি না। থাক যেভাবে আছে। :)
গরম আর ঠান্ডা মাথার মন্তব্যের পার্থক্য বোঝা যাবে।

২৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শোল মাছের অনেক দাম। এখন আবার চাষের শোল দিয়ে বাজার ভর্তি। চাষের টেস্ট কম।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আর বলবেন না ভাই- শোল মাছ খেয়ে আর মজা পাই না। বহুদিন বাদে গোপালগঞ্জ গিয়েছিলাম - বিলের শোল খেলাম; আহা কি স্বাদ!

২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১

রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্ত না হয়ে, মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি জানি আপনিও ওটা জানেন তারপরেও উত্তর দিলাম! আমি আমার লেখায় অনেক আবজাব শব্দ লিখি -ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে। ভাষা নিয়ে অত কারিকুরি করতে রাজী নই আমি। মনে যা আসে তাই লিখি।

৩০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১২

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: লেখক বলেছেন:
এখন বলেন দেখি; এই লেখার সেরা কথাটা কে বলেছে? কি বলেছে সেটা বলার দরকার নেই।

আমার কাছে দুইটা কথা সেরা :
এক. রফিক ভাইয়ের কাঁচা মরিচের লাইনটা।
দুই.দিমিত ব্রোর ফিসফিসানি।

বি.দ্র: উপরের মন্তব্যে না পড়ে মন্তব্য করেছি হবে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: দুটোই ঠিক কিন্তু রফিক ভায়ের আমার হৃদয় খান খান করে ভেঙ্গে ফেলা মন্তব্যটা কোন মানে পড়ে বলে আপনার মনে হয়?

৩১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ষোল মাছের আশ ছাড়ানো ও ধৌত করাটাই এর রান্নার কাজের
একটি বড় অংশ ।
ষোল মাছে বিজলা থাকে খুবই বেশী, তাই বেটা এর আশ ছড়ানো
ও ধোয়া বেশ কষ্টকর,এর মত পিচ্ছিল মাছ দ্বিতীয়টা আর দেখিনি ।

একটু অবকাশ পেলে হরেক পদের ভাত রান্নার অভিজ্ঞতা আর জানা
বিষয়গুলি নিয়ে পোষ্ট দেয়ার বাসনা আছে ।

আপনার রান্নার বিশেষ আয়োজনে শরীক হওয়ার ইচ্ছাও এসাথে
রেখে গেলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: ছোট বেলায় শোল মাছের মাথা খুব প্রিয় ছিল কিন্তু এর ইংরেজী নাম জানার পর থকেই আমার মাথা দেখলেই পাইথনের কথা মনে করত- আর ভয়ে খেতে পারতাম না!
হ্যাঁ এই মাছ কাটাকুটি করা বেশ ঝামেলার। আর বাজার থকে তাজা শোল বাসায় আনা বেশ কষ্টের। শোল মাছ ধরেছেন কখনো? সাঙ্ঘাতিক শক্তি এই মাছের- তবে খুব সহজেই টোপ গেলে।
আপনার হেঁশেলে ঢোকার ইচ্ছে রইল। আসবেন ফের সেই অপেক্ষায় রইলাম ...

৩২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪১

শায়মা বলেছেন: ওহ এটা আবার আরেক থালাবাটি রান্না বান্না পোস্ট!! !

তোমরা শুরু করলে কি??

সবাই রাঁধুনী হয়ে গেলে আর থালাবাটি পোস্ট দিলে শেষে সামু ব্লগের না কি হবে একটু চিন্তা করে দেখো তো!!!!!! :(

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ওস্তাদ আর শিষ্য মিলে বেশ খাপ্পা হয়ে আছে!
সারাদিন আসেন আমরা হামাস আর ইসরাইল নিয়া চিক্কুর পাড়ি - - নির্বাচন কি কি হবে ক্যামনে হবে এইসব নিয়া পাগলা কুত্তার মত ঘাউ ঘাউ করি। ব্লগে বইসা দেশ জাতির চৌদ্দ গুস্টি উদ্ধার কইরা দফা-রফা কইরা দেই। সারা দেশ আর পুরা বিশ্ব আক কইরা চাইয়া আছে সামু ব্লগের দিকে হেতেরা কি আলোচনা করে হেইডা দেখার লেইগ্যা।
নিজের বউ বাচ্চার ছবি দিয়া ব্লগ ভাসাইয়া বিরিয়ানি কোর্মা জর্দা ফিরনি খাইয়া পেট ভাসাইয়া জ্বীন পরী আর সুন্দরী বেটিগো নিয়া ফ্যান্টাসির জগতে ফস্টি নস্টি করলে দোষ হয় না। সাজ গোজ আর রসনার গল্পে দুনিয়ার দোষ!

এত চেষ্টা করি আটকাতে আপু তারপরও কি বোর্ডে আঙ্গুল চলে যায়!!!!

৩৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮

শায়মা বলেছেন: জ্বীন তাড়ানো ওঝা দরকার ব্লগে। :P

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক কইছেন -তয় জ্বীন কার কার ঘাড়ে ভর কইরছে এইটা যদি কইতেন :)

৩৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


‍@শায়মা
সামু যদি টিকে থাকে তাহলে থালাবাটি নিয়েই টিকে থাকবে ।
মনগড়া আর গোজবে ভরা রাজনৈতিক কথাবর্তা আর ধর্মান্ধতা
নিয়ে বেশী মাতামাতি সামুকে নিয়ে যেতে পারে খাদের কিনারে ।

জীবন গতি , সংসার নীতি , সামাজিকতা , রাজনীতি, সমাজনীতি
কুটকাচালী , মিশ মিশালি সকলইতো সেই থালাবাটিকে ঘিরেই।
সবার আগে পেটেতো দানা পানি চাই তা না হলে কেমন হবে
তাইতো কবি বলেই গেছেন-
ভাত দে হারামজাদা তা না হলে মানচিত্র চিবিয়ে খাব
আর
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পুর্ণিমার চাদ যেন জ্বলসানো রুটি

থাই থালাবাটি আর রান্না বান্না হলো জীবন পথের প্রধান চালিকা শক্তি ।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: খাদ্য ছাড়া অর্থনীতির চাকাই ঘুরবে না।
মৌলিক চাহিদার অন্যতম 'অন্ন'। এখানে যারা বড় বড় ডায়লগবাজি করেন তারা রসনা-ভোজে কম যান না।

৩৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

শায়মা বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাইয়া

একদম ঠিক ভাইয়া। আর ব্লগের সংজ্ঞা কি না জেনেই কেউ কেউ ঘেউ ঘেউ করে।
জীবন গতি , সংসার নীতি , সামাজিকতা , রাজনীতি, সমাজনীতি
কুটকাচালী , মিশ মিশালি সকলইতো সেই থালাবাটিকে ঘিরেই।
সারা বিশ্বে ব্লগ এসবের উপরেই চলে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাথে আমি অন্তত একমত- এম আলী ভাই তো আর কিছু বলল না তবে তারও একমত না হবার কথা নয়।

৩৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা চমৎকার লিখেছেন।
ডেনমার্কে আমার প্রাক্তন এক ল্যাব-মেট রাশিয়ান ছিল। আমার সাথে ক্লোজ ছিল। ল্যাবে আমার আর ওর ডেস্ক মুখোমুখি ছিল, বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের আড্ডা হত -দিল খোলা লোক ছিল! আমেরিকায় আমার প্রথম ছিল রাশিয়ান, তবে
তিনি ছিলেন খুবই কড়া, তবে তার ল্যাবে ৬-৭ জনের মধ্যে একজন ইন্ডিয়ান বাদে বাকি সবাই বাঙ্গালি ছিলাম,তিনি বোধ হয় বাংলাদেশী স্টুডেন্ট পছন্দ করতেন! ওভারল রাশিয়ানদের আমার ভাল মনে হয়েছে!

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ভ্রাতা!
বেশীরভাগ রাশানরাই এমন দিলখোলা আড্ডাবাজ হয়। আর একটু পেটে পড়লেতো কথাই নেই। মানসিক উদারতায় রাশিয়ান মেয়েদের তুলনাই হয় না।

আড্ডাবাজী আর উদারতার জন্য ওরা বাংলাদেশীদের পছন্দ করে।

৩৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: ভুল বুঝেছেন।আপনার লেখার কথা বলিনাই,বলেছি মন্তব্যের কথা।হাজার হাজার মন্তুব্য।পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত যাবার আগেই ক্লান্ত হয়ে গেছি।তার আর মন্তব্য লেখা হয় নাই।শেষে যাবার অন্য কোন উপায় আছে কি?

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: ও তাই!! কোন সমস্যা নাই কামাল ভাই- আপনি আমার ব্লগে আসলেই ভাল লাগে- পড়লেই কি না পড়লেই কি হাজিরা দেন যে তাতেই আমার শান্তি!!!
আমাদের দু-চারজনের পোস্টে ইদানিং মন্তব্যের বেশ রমরমা খেলে হচ্ছে! ব্যাপারটা বেশ উপভোগ্য- ক'জনার ভাগ্যে এমন হয় বলুন

৩৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী আপনার প্রিয় লেখক। তার ছাপ পাওয়া যাচ্ছে আপনার এই লেখায়। আপনি আর মিরোরডডল দুই জনেই আপনাদের রান্নার দুর্ঘটনার কাহিনী শোনাচ্ছেন। কিন্তু মনে হচ্ছে আপনারা দুইজনেই ভালো রাঁধেন। আপনাদের রান্না খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কোন গল্প এবার শেয়ার করেন আমাদের সাথে। রান্না আসলে একটা শিল্প। সবাই রান্নায় ভালো করতে পারবে না। হাজার বছর রান্না করলেও অনেকের রান্না ভালো মানের হবে না। ছেলেদের মধ্যে যারা রান্নায় ওস্তাদ তারা খানা পিনাতেও ওস্তাদ হয়। রসনা বিলাস সবাই করতে পারে না।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আমার অনেক লেখাতেই ইচ্ছে অনিচ্ছায় তার লেখার ছাপ চলে আসে।
আমি মন-প্রান দিয়ে চেষ্টা করি রম্য-গল্পগুলো তার স্টাইলে লিখতে- কেননা বাংলা সাহিত্যে আর কেইবা রসকষহীন প্রবন্ধের মাঝে রসের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন।
নিজের রান্নার গল্প অনেকেই করেন -আমি একটু অন্য ধারায় নিয়ে যাচ্ছি আমার এই সিরিজটা- সেটা অন্য কিছু ঘরনার খানা পিনা ও রন্ধন শিল্পের গল্প!
আমিও রসনা বিলাসী :)
আপনার কথার সাথে সহমত।

৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই ব্লগে ঢুকতে পারছি কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিনা। আমার নিজের পোস্টে অনেক কমেন্ট জমে গেছে।দেখি কখন আবার সময় নিয়ে আপনার পোস্টে আসতে পারি।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: কোন সমস্যা নাই ভাই- আমি জানি সময় পেলেই আপনি আমার ব্লগে এসে ঢু দিয়ে যাবেন। আমার প্রতি আপনার স্নেহ ভালবাসা প্রীতির কোন ঘাটতি নেই সেটা আমি জানি। যখন সময় পাবেন এসে পড়ে দুকলম মন্তব্য করে যাবেন। এত সমস্যা নিয়ে আসলে ব্লগিং করা যায় না- ব্লগ চলছে আল্লার ওয়াস্তে!

৪০| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




হা..হা.... "বালের রান্না"র (রফিক ভাই থেকে) কথা লিখতে গিয়ে এত্তো এত্তো মজা করে লিখেছেন যে, না খেয়েই মুখে লালা এসে গেছে! :P
খেলে মনে হয় রুশ তরুনীর সাথে একপাঁক ব্যালে হয়ে যেতেই পারতো। :((
আপচোচ......... :(

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ আমার সিগারেট খাওয়ার একটা গল্প আছে সেইখানে রফিক ভাইয়ের দারুন কিছু ডায়লগ ছিল!
আমাদের হস্টেলে আমি ছিলাম বয়সে সবার ছোট-সেজন্য সবাই আমাকে বিশেষ আদর স্নেহ করত। আমি কার্ড খেলেয় বিশেষ পারঙ্গম ছিলাম বলে আড্ডাটা জমত আমার রুমেই। রফিক ভাই আবার ফাও খাবার ওস্তাদ ছিল- ফাও সিগারেট খাবার লোভে ছলে কৌশোলে সে আমারে পুরো সিগারেট খোর বানিয়ে ফেলে। তবে তিনি দারুন মজার মানুষ ছিলেন- রসবোধ সম্পন্ন চমৎকার মানুষ।


সেদিনের রান্নার কথা মনে পড়লে আজো আমার কান্না আসে! :(
হ্যাঁ সত্যিই আপচোচ!!!

৪১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:




জী এস একটা ভালো পয়েন্ট মনে করিয়ে দিলো।

সব সমস্যার মূলে আসলে সেই রুশ ললনা।
যাকে নিয়ে ব্যালেরিনার চিন্তায় মগ্ন থেকে লবণ দিতে ভুলে গেছে :)

শেরজা যে কি এক্সসাইটেড ছিলো সেই কথা বলার সময়!

সবচেয়ে সুন্দরী এক রুশীয় ললনার সাথে দু'পাক ব্যলেরিনা নেচে নিই।

সেই নাচের স্বপ্ন কি কখনো মিটেছিলো শেরজা? :)



২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: রাশিয়ায় গিয়েছি নাচব না সেটা কি হয়!!!
আমাকে হাতে ধরে নাচ শিখিয়েছিল 'ভারোনিকা' নামে তাম্বোভ পোস্তা ( পোস্ট অফিস কাম টেলিফোন অপারেটিং অফিস) এক অপারেটর! দারুন নাচত সে। ওর জামাই কিন্তু আমার বন্ধু ছিল- তার প্রত্যক্ষ সায় ছিল এটায় :) (আমি ছিলাম বেচারা টাইপের)


লবন কি কিনেছিলাম আসলে- মনে করতে পারছি না :( কেন যে দেই নাই সেইটা আসলেই একটা রহস্য!!

৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:





তার প্রত্যক্ষ সায় ছিল এটায় :)

এ কথার মধ্যে কি যেনো একটা লুকিয়ে আছে।

একজন আরেকজনকে নাচ শিখাচ্ছে, এতে সমস্যাতো নেই কোন।
তাহলে সায় ছিলো এটায়, হাসি দিয়ে এ কথা বলে ঠিক কি বুঝানো হচ্ছে?

নাচানাচির পাশাপাশি নিশ্চয়ই আরও কোন কাহিনী আছে :)


২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: কিছুতো একটা আছেই... আপনি ঘোড়েল মানুষ 'ক' কইলে 'কলম' বোঝেন!!
এ জীবন শুধু কাহিনীময় :)

৪৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




সেই কাহিনীগুলো নিয়ে লেখা চাই :)

আজ হয়ে যাক একটা।


২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: এইসব গুপোন কাহিনী - জনসমক্ষে বলা যাইবে না।:)
প্রতিদিন ব্লগে লেখালেখি করলে ছ্যাবলামী হয়ে যাবে। আপনি আমার থলের বিড়াল সব বের করে ছাড়বেন দেখছি...

৪৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




বাবনিকের মতো গল্পের আকারে বলবে, আমরা বুঝে নিবো:)

ঠিক আছে প্রতিদিন না, একদিন পর পর?
:)

এখন আছি, তাই বলি।
না থাকলে তখন কে বলবে এমন করে!! :|

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো বাবনিকে ঘোষণা দিয়েছিলাম রাশিয়া নিয়ে এটা আমার শেষ প্রেম-উপখ্যান!
ফ্রম লাভ উইথ রাশিয়া খতম! আলকাশ আর বাবনিক লেখার পরে সবাই আমারে মাতাল গাঞ্জাখোর লুচ্চা ভাবা শুরু করছে। নিজের হারিয়ে যাওয়া ইমেজটারে এখন নতুন করে গড়া পেটা শুরু করছি। এই মুহূর্তে এসব গল্প সব পয়মাল করে দিতে পারে।

আপনার আগে আমিও চলে যেতে পারি! কে কখন যায় কে থাকে কে জানে :(
আজকে আসার সময় যখন এই গানটা শুনছিলাম শেষের কটা লাইনে বুকের ভিতর হু হু করে উঠলো;
আয়রে আমার পাশে বয় মামনি
এ হাতটা ভালো করে ধর এখনি
হারানো সেদিনে চল চলে যাই
ছোট্টবেলা তোর ফিরিয়ে আনি...

আচ্ছা বাবা-মেয়ের রসায়নের এত গান মা-মেয়ের কেন কোন গান নেই? আপনার কি মনে হয় মাকে নিয়ে কোন মেয়ে কখন কোন গান লিখেছে?

৪৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:



জানি না মা মেয়ের আছে কিনা কিন্তু আয় খুকু আয় গানটা আমার কি যে ভীষণ প্রিয়!!!
আমি প্রায়ই শুনি।

ছোটবেলা থেকে এই গান শুনেছি, বাবা বাজাতো।
এখন আমি শুনি।
খুব খুব ভালো লাগে।



২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার বাবা সম্ভবত নেই -তিনি মারা গেছেন কত বছর আগে?
আপনারা সব বোন মিলে যে বাবার সাথে ভাত রান্না করেছিলেন খুব ভালো লেগেছিল। এরকম অনেক স্মৃতি নিশ্চয়ই আছে বাবার সাথে সেগুলো শেয়ার করলে ভালো লাগবে।

৪৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আচ্ছা বাবা-মেয়ের রসায়নের এত গান মা-মেয়ের কেন কোন গান নেই? আপনার কি মনে হয় মাকে নিয়ে কোন মেয়ে কখন কোন গান লিখেছে?

কে বলেছে নেই ? পিলু খানের একটা গান আছে !!

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: মেয়েদের কন্ঠে বাংলা সিনেমায় আরো অনেক গান মা মেয়ের এমন রসায়ন নিয়ে আছে।
প্রথমত আয় খুকু আয় এর মত গানের মধ্যে যে গভীরতা এবং আবেদন আছে এই সকল গান তার ছিটেফোঁটা মাত্র নেই। আর দ্বিতীয়তঃ এর প্রায় সব গানই ছেলেদের লেখা এবং ছেলেদের সুর করা মেয়েরা গেয়েছে মাত্র!

৪৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথমত আয় খুকু আয় এর মত গানের মধ্যে যে গভীরতা এবং আবেদন আছে এই সকল গান তার ছিটেফোঁটা মাত্র নেই।

সেটা আপেক্ষিক বড় ভাই । প্রতিটা বাবা মেয়ের এই গান খুব পছন্দের । যে গভীরতার কথা বলেছেন তা এই গানে আছে । আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না । যে শূণ্যতার কথা এই গানে আছে সেটা পিলু খানের গানেতেও আছে । তবে এখানে মায়ের ভূমিকা বা বক্তব্য নেই । এই যা !!

দ্বিতীয়তঃ এর প্রায় সব গানই ছেলেদের লেখা এবং ছেলেদের সুর করা মেয়েরা গেয়েছে মাত্র!

বাংলাদেশে নারী সুরকার বা গীতিকার কী আদৌ ছিল বড় ভাই ? থাকলেও কী তারা জনপ্রিয় হয়েছে ?

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি দার্শনিক মানুষ আপনার কাছে এই গানের সুর কথার আবেদন যে ভাবে ধরা দিচ্ছে আমার কাছে সেভাবে ধরা দিচ্ছে না। তারপরে পিলু মমতাজের গানের ভঙ্গিতে মনে হচ্ছে ধরে থাবড়াই!
শুধু বাংলাদেশে এই উপমহাদেশেই নয় সারা বিশ্বেই নারী গীতিকার ও সুরকারের বড় অভাব! এটা নারীদের জন্য খুবই বিব্রতকর এবং খুব আশ্চর্যজনক একটা ব্যাপার!!

৪৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তারপরে পিলু মমতাজের গানের ভঙ্গিতে মনে হচ্ছে ধরে থাবড়াই!

এখানে আমি একমত B-))

শুধু বাংলাদেশে এই উপমহাদেশেই নয় সারা বিশ্বেই নারী গীতিকার ও সুরকারের বড় অভাব! এটা নারীদের জন্য খুবই বিব্রতকর এবং খুব আশ্চর্যজনক একটা ব্যাপার!!

এখন এত সুযোগ থেকেও এই দিকে নারীদের অবদান কম এটা আসলেই একটা ভাববার বিষয় !!


যাইহোক আসি মিয়া ভাই । ইদানিং অসুখটা বাড়ছে কে জানে কী হয় , ভালো থাকবেন সবসময় !

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আপনার শারীরিক একটা সমস্যার কথা বলছেন ইদানীং - বিষয়টা ভাবনায় ফেলছে।
ঘটনাটা কি জানানো যায়? যে কোন অসুখ পুষে রাখা ভাল নয়- অনেক অসুখ বিসুখ সহজেই উপশম হয় যদি সঠিক পথ্য বা ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া যায়।
কোন সহযোগিতা করতে পারুলে জানাবেন- চাইলে ম্যাসেঞ্জারে নক দিবেন। অপেক্ষায় রইলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.