নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
একসময় বঙ্গ দেশীয়রা ভর্তা ঝুড়ি চচ্চরি আর মাছের ঝোলেই বেজায় খুশী ছিল। মুজতবা আলী সাহেব বলেছিলেন বাঙ্গালী মাংস রাঁধতে জানে না। জানবে কেমনে বাঙ্গালী তো মাংসই খেত না প্রায় এক সময়! কচু-ঘেচু শাক-সব্জী আর স্বাদু পানির মাছ এসব খেয়েই এক জীবন এমনিতেই পার হয়ে যেত। আর এখন কত শত খাবারের রঙ্গ! তবুও কোন কিছুতেই আর আশ মেটে না। পোলাওয়ের সাথে কোপ্তা টিকিয়া কোর্মা রেজালা না রোস্ট নাকি বিশাল গলদা চিংড়ি নারকেলের দুধের ঝোল সেটা কোনটা রেখে কোনটাকে প্রিয় তালিকায় রাখি নাকি তেহারি অথবা কাচ্চি কিংবা পাক্কি বিরিয়ানি আমার প্রিয় বুঝি না। এক সময় একটা ভাল লাগে। ওদিকে দম মাংস, কালা ভুনা, চুই ঝাল মাংস, মেজবানী গোস্ত ও সাতকরার ঝোল সহ হাজারো বাহারি কাবাব আর কত লোভনীয় খাবার।সর্ষে ইলিশ-এর স্বাদ নেবার জন্য মানুষ এখন পুরো দেশ দৌড়ে বেড়ায়।
কি কি খেলেন? কি খাওয়াল- আর কি খাবার আছে? এই ভাবনা দিন রাত আমাদের মাথার ভেতরে ঘুরে বেড়ায়। বাঙ্গালী বাই ডিফল্ট খাদ্য ছাড়া অন্য কোন আলাপে এখন আর মজা পায় না। যেখানে ভ্রমণে যাবে আগেই খোঁজ নেয় কি স্বাদের আর কি পদের খাবার আছে?
সেদিন দেখি সুন্দরবন দুই রাতের ভ্রমণে ১৭ বেলা আহার, তাও আবার বুফে!!! তারা ঘোরাঘুরির গল্প ছবি বাদ দিয়ে শুধু খাবারের মেন্যু আর ছবি দিয়ে তাদের ফেসবুক পেইজ ভর্তি করে ফেলেছে। আমি নিশ্চিত নব্বুইভাগ ভ্রমনার্থীরা ওই খাবারের লোভে সুন্দরবনে যাবে।
কেউ কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসলেই প্রথম প্রশ্ন থাকে কি কি খাইলা? কেউ বাড়িতে বেড়াতে আসলে দু'মিনিট পরেই বাড়ির কর্তা আর কথা খুঁজে না পেয়ে বলেন খাইতে আসেন?
খাবার সময় না হলে হালকা স্ন্যাক্স কিছু একটা অফার করেন- না হয় নিদেন পক্ষে শরবত অথবা পান। এরপর যতক্ষন গেস্ট থাকে শুধু ঘুরে ফিরে খাবারের অফার। কেউ কোন ভ্রমন সেরে আসলে এমনকি হজ্জ করে আসলেও সবার এক প্রশ্ন; খাবার দাবার কেমন ছিল? বাঙ্গালীর ঘুরে ফিরে যেন ওটাতেই শান্তি। আমাদের সব ধরনের এন্টারটেইন যেন খাবারেই লুকিয়ে আছে।
এবার আপনি একটুচোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন( না চোখ বন্ধ কইরেন মা, তা হলে আবার পড়বেন কেমনে- শুধু কল্পনা করেন) একটা জাতি যারা জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি কোনদিন গাছের সবুজ, পাতার সবুজ দেখেনি হয়তো শ্যাওলার সবুজ কিংবা মাছ পাখির অথবা অরোরার সবুজ দেখেছে। তুষারের মধ্যেই জন্ম তুষারের মধ্যেই মৃত্যু। এক জীবনে কোনদিন শাক সব্জি ফল মুল খায়নি- হাজারো বাহারী স্বাদের মশলা চেখে দেখেনি। পৃথিবীতে কতই না টক ঝাল মিষ্টি খাবার আছে তারা জানেই না এই স্বাদ কাকে বলে। ছানা মিষ্টি ঘোল মাখন চিজ কেক পেস্ট্রি বিস্কুট থেকে শুধু করে মানুষের কত দুর্দান্ত স্বাদযুক্ত আবিস্কারের গল্পও পৌছায়নি তাদের কাছে। এমনকি গাঁজা মদ ভাং থেকে শুরু করে সিগারেটের নেশা বলেও কোন নেশা আছে তারা জানত না।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তারা শুধু কাঁচা না হয় সিদ্ধ, ঝলসানো, শুকনো কিংবা বড়জোর চর্বিতে ভাজা সিল, হরিন, সি লায়ন, তিমি হাঙ্গর, মেরু ভল্লুক, মাছ আর পাখির মাংস খেয়ে কাটিয়ে দেয়। সেখানে গেলাস ভরে পানি খাবার বালাই নেই। দাত মাজার হ্যাঁপা নেই, গোসল নামে শরির ধোয়ার একটা বিষয় আছে সেটা তারা বাপের জন্মে শোনেনি।
~ বরফের চাঁই দিয়ে ইগলুর ঘর তৈরি।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তারা যোদ্ধা আর সংগ্রামী। সূদীর্ঘ ছয় মাসের নির্মম শীতল অন্ধকার জীবন তাদের কেটে যায় একই গল্প করে একইভাবে আড্ডা দিয়ে ভয়ঙ্কর একঘেয়েভাবে যা আমরা এই আধুনিক জীবনে ভাবতে গেলেও শিউড়ে উঠব! তবুও তারা হতাশ হয়না- হয়না মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত! তাদের ভেতরের রক্ত যেন শিকারের জন্য সবসময় টগবগ করে ফুটতে থাকে- কি যাদুকরি মন্ত্রে তারা উদ্দীপ্ত থাকে তাঁর নাগাল আধুনিক মানুষ আজও পায়নি।
ভাবছেন বুঝি অবসরে তারা যৌন উন্মত্ততায় মেতে ওঠে?
মোটেও তা নয়। মাইনাস ৬০ ডিগ্রীতে সেই বরফের ঘরে সারাক্ষন ফায়ারপ্লেস জ্বালিয়ে রাখা অসম্ভব! যেখানে নিজেকে গরম রাখাই ভীষন কষ্টকর এক কর্ম! সেখানে সেখানে পোষাক খুলে শরিরের বিপরিত লিঙ্গের স্পর্শ নেবার স্পর্ধা দেখানোর দুঃসাহস সেই মেরু ইনুইতদের'ও নেই।
ইনুইত নারীদের শরিরের গড়ন আর চেহারা প্রায় পুরুষদের মতই। এদের স্তনের আকৃতি প্রায় ফ্লাট- যা ভারি পোষাক পড়লে বোঝাই যায় না। সন্তান হবার পরে খুব কম সময়ের জন্য তারা স্তন্য পান করতে পারে। সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মাস - তাও সেটা পর্যাপ্ত নয়। ইনুইত বাচ্চারা একেবারে শুরু থেকে নাকি বিকল্প খাবারে অভ্যাস্ত হয়ে ওঠে।
ওদের সেক্সচুয়াল এক্টিভিটিস একেবারেই কম। বিবাহিত কোন পুরুষ হয়তো বছরে দু'চারবার তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় - তাও কোন লুকোছাপা ছাড়াই। সবার সামনেই তারা স্ত্রী সঙ্গম করে। অবশ্য এ ছাড়া উপায় কি-ই বা?
পরিবারের ২০/২২ ত্রিশ জন থাকে একটা কিংবা দুটো কুড়েঘরে বা ইগলুতে- সেখানে কোন আড়াল আবডাল নেই। রাতে নারী পুরুষ সব একসাথে ঘুমায়। গায়ের ভারি পোষাক আর প্রায় মুখ ঢেকে রাখা টুপিতে চেহারায় বোঝার উপায় নেই কে নারী কে পুরুষ ( কোন যৌন অনুভুতি আসার সম্ভাবনা নেই)।
সামারে ( মানে ছয় মাস দিন- তখনো চারিদিকে বরফ থাকে। তাপমত্রা মাত্র মাইনাস ১৫-২০ ডিগ্রীতে নেমে আসে) ওরা কেউ কেউ প্রেম করে জুটি বাঁধে, বিয়ে করে, তখন একটু আধটু শারিরিক লেনদেন হয়। এক আধবার নেংটা হয়ে গড়াগড়ি খায় বরফের উপরে- এটাই নাকি তাদের গোসল!!!
~ একজন পুরুষ শিকারির সিল শিকারের দৃশ্য( অঙ্কন)
মোবাইল নেই, কম্পিউটার নেই, টিভি নেই, রেডিও মায় একখান লুডু দাবার কোর্ট নেই, তাদের সময় কাটে কেমনে?
প্রতিদিন বিকেলে তাদের গল্পের আসর বসে । পরিবারের সবচেয়ে প্রবীন মানুষটা দারুণ অঙ্গভঙ্গী করে তাঁর শিকারের গল্প করে য়ার সবাই হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ে। দুই তিন ঘন্টা তাঁর এই গল্প চলে-আর সবাই মিলে উচ্চকন্ঠে হাসতে থাকে এই পুরোটা সময় ধরে।
আপনি ভাবছেন; গল্পটা খুব হাসির? মোটেও তেমন নয়। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন বুড়ো নিত্যদিন নতুন নতুন গল্প করেন তাই ছেলে বুড়ো সবাই এত মনযোগ দিয়ে গল্প শুনতে আসে আর হাসে?
সেটাও নয়। বুড়োর গল্প বড় একঘেয়ে। একই গল্প সে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর করে। দলের প্রত্যেকটা সভ্য প্রতিদিন একইভাবে মনযোগ দিয়ে উৎসাহ নিয়ে সেই গল্প শোনে। আমারতো ভাবতে মাথা ঘুরছে!! আপনার ঘুরছে না।
ইনুইত বা এস্কিমোদের নিয়ে অনেক অনেক গল্প করে গেছেন আমাদের এক বাঙ্গালী ভু পর্যটক 'বিমল দে'। তিনি সুদীর্ঘ ছয় মাস তাদের পরিবার হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন আইসল্যান্ড ও গ্রীনল্যান্ডের মেরু অঞ্চল। তাঁর মত করে সম্ভবত অন্য কোন বাঙ্গালী এত গভীরভাবে এস্কিমোদের পর্যবেক্ষন করেনি। বিশ্ব ইতিহাসে ইনুইতদের নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষন অত্যান্ত দামী একটা নথি!
এবার আসি দারুণ একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। এস্কিমোদের মৃত্যু নিয়ে।
আকস্মিক রোগ শোকে কিংবা দুর্ঘটনায় যে কোন সময় মানুষ মারা যেতে পারে। এস্কিমোরা খুব কম ক্ষেত্রেই রোগে আক্রান্ত হয়। ওরা কিছু ক্ষেত্রে শিকার করতে গিয়ে শিকারের আক্রমনে মারা যায়। একজন ইনুইত সদির্ঘ সময় সুস্থ সবল দেহে বেঁচে থাকে। ইনুইত সমাজে অকর্মণ্যদের কোন স্থান নেই! হোক সে বয়স্ক কিংবা নারী। ইনুইত বৃদ্ধরা যখন এত বেশী শারিরিকভাবে সুস্থ থাকে যে, তাদের বার্ধক্যজনিত কারনে বিভিন্ন অর্গ্যান দুর্বল হয়ে পড়লেও মৃত্যু এসে সহজে হানা দেয় না। একজন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যখন বুঝতে পারে যে সে প্রায় অক্ষম হয়ে যাচ্ছে তখন সে স্বেচ্ছা মৃত্যু বেছে নেয়।
~ পুরুষেরা শিকারে গেলে মহিলারা কাজ না থাকলে বসে না থেকে মাছ মেরে শুকিয়ে প্রিজার্ভ করে শীতকালের জন্য।
কোন এক কঠিন শীতের রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে- সে ধীরে ধীরে তাঁর প্রিয় কম্বলখানা ছেড়ে উঠে পড়ে। শেষবারের মত 'তিমির তেলে'র পিদিমের আলোতে ইগলু ঘরখানা আর তাঁর অতি প্রিয় ও আপনজনদের ভাল করে দেখে নেয়। তাঁরপর ধীরে ধীরে লাঠি হাতে বের হয়ে যায় অজানার উদ্দেশ্যে... তাঁর এই শেষ প্রস্থান কেউ হয়তো দেখে- কিন্তু আটকায় না। এইটাই ওদের নিয়তি!
যে দেখে সে একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে তাকেও বেঁচে থাকলে একদিন নিশ্চিত এমন নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে হবে!
~ আধুনিক সাজসজ্জার ইনুইত।
* এটা সত্তুরের দশকের ঘটনা! বিমল এইসব স্মৃতি বুকে ধারন করে এখনো বেঁচে আছেন। এস্কিমোদের অধিকাংশ এখন আধুনিক জীবনে অভ্যাস্ত হয়ে পড়েছে- সেই সাথে তারা আধুনিক অভ্যাস, রোগ শোক, বেধ ব্যাধি, লালসা লোলুপতা, যৌনতা, বিকৃতকাম, নেশা থেকে শুরু করে অনেক কিছুতেই অভ্যাস্ত হয়ে পড়েছে। তবুও কিছু ইনুইত আজো সবকিছু উপেক্ষা করে তাদের সেই পুরনো সাংস্কৃতিকে বুকে ধারন করে সব আধুনিকতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ভয়ঙ্কর শীতল মৃত্যুর হাতছানির সেই মেরুর মাঝে বুক চিতিয়ে লড়াই করে দেখিয়ে দিচ্ছে মানুষ অদম্য!
~ বিখ্যাত ভু পর্যটক বিমল দে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ও ভীষণ ভালো লাগে। ইচ্ছে করে এই পরিবেশে ওদের সাথে কিছুদিন থেকে আসি।
কত স্বপ্নের মত এগুলোও কল্পনাতেই থেকে যআয় বাস্তবে আর ধরা দেয় না! তাইতো এমন ভ্রমন গল্প পেলে গোগ্রাসে গিলতে থাকি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এস্কিমো - এই শব্দটাই কতকাল পরে পড়লাম, তা মনে পড়ছে না। প্রাইমারি ক্লাসের কোনো এক বইতে প্রথম জানতে পারি এস্কিমোদের নাম। এরপর হাইস্কুলের ভূ-গোল ক্লাসেও বোধহয় পড়েছিলাম। সেই শেষ।
পোস্ট পড়তে পড়তে এস্কিমোদের 'অসহায়ত্ব' দেখে আমি খুব হাঁপিয়ে উঠছিলাম - কীভাবে সম্ভব এমন বরফাচ্ছাদিত জীবনে বেঁচে থাকা? সব শেষে জেনে ভালো লাগলো যে, তারা আজ আধুনিক সভ্যতায় উঠে এসেছে।
নানান বিচিত্র বিষয়ে আপনার পোস্টগুলো খুব ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো এ পোস্টটি।
ফিরে এসে ভোট কেমন দিলেন, কেমন আড্ডা হলো, নিশ্চয়ই জানাবেন
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০২
শেরজা তপন বলেছেন: ভোট দিতে হয় তাই দিলাম- এলাকায় যাদের সাথে উঠাবসা আড্ডা দেয়া, ভোট না দিলে তাদের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে।
কেমন ভোট হচ্ছে- ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি সারাদেশের অবস্থা আলোচনা সমালোচনায় বেশ ভালই আড্ডা জমে উঠেছিল! শুনতে থেকে আবার ম্যারাথান চলবে...
বরাবরের মত আমার লেখায় দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ভালো থাকবেন।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তারা শুধু কাঁচা না হয় সিদ্ধ, ঝলসানো, শুকনো কিংবা বড়জোর চর্বিতে ভাজা সিল, হরিন, সি লায়ন, তিমি হাঙ্গর, মেরু ভল্লুক, মাছ আর পাখির মাংস খেয়ে কাটিয়ে দেয়।
থ্যাংকস গড এস্কিমো হয়ে জন্মাইনি।
অবশ্য আমার এরকম ডকুমেন্টারী দেখতে ভালো লাগে।
জানতে ভালো লাগে, কতরকম জীবন!
এমনকি গাঁজা মদ ভাং থেকে শুরু করে সিগারেটের নেশা বলেও কোন নেশা আছে তারা জানত না।
you got your potential clients.
সাপ্লাই দিবে নাকি শেরজা?
মনে আছে, পার্টনারশিপ বিজনেসের কথা?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমার তো তাদের জীবনটা বেশ মজারই মনে হয়েছে আপনার কাছে এত বোরিং লাগছে কেন!!
তার পার্টনারশিপ ব্যবসা করা যায়। বুঝতে পারছি ইনভেস্টর আপনি কিন্তু সাপ্লাই টা করবে কে?
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: ভোট দিলেন কারে? নৌকাকে নাকি নৌকাকেই?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: মার্কা ছিল ছয়টা তিনজনরে চিনি না একজন লাঙ্গল যে ছিল হালকা হালকা চিনি- আরেকজন নৌকার বিকল্প আরেকটা নৌকার এখন বলেন আমি কি করবো?
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অল্প কিছুদিন আগেও সব মানুষ এইরকমই ছিল।
মানুষ যান্ত্রিক হয়েছে মাত্র২০০- ২৫০ বছর আগে।
মানুষ পাটি বোনা শিখেছে ১০ হাজার বছর আগে, এর আরো ২ হাজার বছর পর কাপড় বোনা শিখে।
এর পর ধারালো পাথরাস্ত্র বানানো সিখে এর পর পশু শিকার করে চামড়া দিয়ে দেহ আবৃত করা শিখে।
অর্থাৎ মানবকুল আবির্ভাবের পর ৯৯% সময়কাল দিগম্বর অবস্থায় কাটিয়েছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২
শেরজা তপন বলেছেন: ওইখানে দিগম্বর অবস্থায় কাটানো সম্ভব বলে আপনার মনে হয়? হোমোসেপিয়েন্সের শুরুর ব্যাপার আর ওদের জীবনধারা ভিন্ন বিষয়। আশা করি পুরোটা ভাল করে পড়ার পড়ে বুঝতে পারবেন। সবুজ বিহীন উষর মেরিরে হিমাঙ্কের নীচে ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রী হীম শীতলতায় ছয়মাসের সুদীর্ঘ অন্ধকারে শুধু আমিষ খেয়ে একটা বরফের ঘরে গাদাগাদি করে বেঁচে থাকা যা তা বিষয় নয়।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো ঠাণ্ডায় মানুষের শরীরের যন্ত্রপাতি ঠিক মত কাজ করে?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: করে তো নাহলে যুগের পর যুগ তারা কি করে টিকে আছে। তবে জন্মহার আমাদের মত নয় -অতি ধীর, কারনটা সহজেই অনুমেয়।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬
নতুন বলেছেন: মনে পাইরা গেলো... ঠান্ডার সমস্যা টের পাইছিলাম বিয়ের পরে নেপাল বেড়াতে গিয়ে
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: শীতের কামড়ে হানিমুন তো পয়মাল হয়ে গিয়েছিল ভাই
হানিমুনে যেতে হয় সুমুদ্রে- পাহাড়ে যাবেন একটু স্থির হলে
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
বিজন রয় বলেছেন: এদের বিচিত্র জীবন কাহিনী জেনে বা পড়ে আমি সবসময় অবাক হই।
আপনার এই লেখায় আজ আবার জানলাম।
অবাক হলাম।
গুড পোস্ট।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা নিশ্চয়ই আবজাব লেখা নয় কি বলেন?
মন্তব্য পড়ে উপলব্ধি হল আপনি রাগ করেননি এই লেখা পড়ে -ঠিক কিনা কন?
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমার তো তাদের জীবনটা বেশ মজারই মনে হয়েছে আপনার কাছে এত বোরিং লাগছে কেন!!
আমি যখন ঘরে বসে রিল্যাক্স করে ডিসকভারিতে ওদের লাইফ দেখি, তখন অনেক ইন্টারেষ্টিং কিন্তু ওই জীবন আমি চাই না।
আমি হচ্ছি সামার পার্সন।
Winter or freezing cold & snow, those are not for me.
okay for short pleasure trip only but not for living
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: শীত আমার খুব ভাল লাগে। বরফের ঘ্রানে আমি মাতাল হয়ে যাই...
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বাহ...
অনেক অজানা তথ্য জানলাম তপন দা...
ধন্যবাদ এত কষ্ট করে রিসার্চ করে, এমন লেখা উপহার দেওয়ার জন্য...
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: এমন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
নিশ্চিতভাবে দারুণ উদ্বুদ্ধ হলাম। ভাল থাকুন- শুভকামনা রইল।
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আয়ারল্যান্ডের মেরু অন্চল বলতে কি বুঝাইলেন, বুঝলাম না। চাপা মারলেন নাকি?
এস্কিমোদেরকে আধুনিক জগতের স্বাদ না দিয়ে উপায় কি? লেজকাটা শেয়ালদের লেজ পছন্দ হয় না।
শেষে দেয়া বিমল বাবুর ছবিটা কি মেরু অন্চল থেকে তোলা?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল জিনিস ধরেছেন ওটা আইসল্যান্ড হবে - মগজের এরর বা টাইপিং মিসটেক! আপনার জন্য মিয়া দুই চাইরটা ফাঁকি ঝুকি দেবার ও জো নাই
এস্কিমোদেরকে আধুনিক জগতের স্বাদ না দিয়ে উপায় কি? লেজকাটা শেয়ালদের লেজ পছন্দ হয় না।
~ ঠিক সহমত।
না ওটা সম্ভবত অরুনাচলে ভারত চীন সীমান্তে কিংবা লাদাখে তোলা।
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
কোলড বলেছেন: Eskimo is nowadays considered a pejorative term like Negro. Please use Inuit only.
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আমরা আসলে এ বিষয়টাকে ওভাবে বর্ণবিদ্বেষ হিসেবে চিন্তাই করি না! এস্কিমো শব্দটার সাথে আমরা যেভাবে পরিচিত ইনুইত শব্দের সাথে সেভাবে পরিচিত নই। যারা ওদের নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা বা গবেষনা করে কিংবা যে সমাজে ওরা অনেক পরিচিত সেখানে এমন শব্দ ব্যাবহারে সতর্ক হওয়া উচিৎ। তবুও আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: শীত আমার খুব ভাল লাগে। বরফের ঘ্রানে আমি মাতাল হয়ে যাই...
তাহলে তখন গাঁজা মদ ভাং না খেলেও হবে
বাংলাদেশের উইন্টার আমার ভালো লাগে, কারণ তখন টেম্পারেচার অস্ট্রেলিয়ার স্প্রিং টাইমের মতো।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার উইন্টার সো কোল্ড, দিন খুব ছোট, আবার তখন টিপটিপ বৃষ্টি, সবমিলিয়ে একটুও ভালো লাগেনা।
জুন জুলাই উইন্টার সবচেয়ে অপছন্দের মাস।
সেসময় আমি অস্ট্রেলিয়ার বাইরে কাটাতে পছন্দ করি।
আমি যেহেতু রাত জাগা পাখি, শীতের ভোরে ঘুম থেকে উঠা আমার কাছে একটা পানিশমেন্ট মনে হয়।
প্রতিদিন ভোরে আমি মনে মনে বলি, জব ছেড়ে দিবো শুধু ঘুমের জন্য
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ায় আছেন ক্যান এখনো? ভাগেন ওইখান থেকে- ওখানে নাকি গরমও মাঝে মধ্যে ভয়ঙ্কর! শীত উপভোগ করতে হয় বরফে। কত রকমফের বরফপাতের মধ্যে শীত উপভোগের মজাই অন্য রকম!
আমি গাঁজা মদ ভাং খাই আপনারে কে কইছে??? কত গন্ধ স্বাদে আমি নিত্য মাতাল হই আপনি জানেন?
আমি ভোরে উঠি প্রতিদিন- আমার বরং দেরিতে শুয়ে থাকা পানিশমেন্ট মনে হয়! কত কিসিমের মানুষ আছে দুনিয়ায়
১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাতজাগা পাখি কোন ভালো জিনিস না। পেচা, বাদুর, চামচিকা এগুলো হলো রাত জাগা পাখি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার তিনটে পাখির নাম বলেছেন গো ভাইঃ আপনি নিশ্চিত বাদুর আর চামচিকা পাখি গোত্রের! পেঁচাও পাখি কি না আমি সন্দিহান!!
দুনিয়ার বদখত তিনখান প্রাণীর নাম কইলেন
১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পরলাম, সত্যিই এক্সট্রিম ওয়েদার। তবে যাই বলেন শীত কিন্তু আমার ভালো লাগে। সাইবেরিয়াতে গিয়ে আমার ছয় মাস থাকার ইচ্ছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: চলেন যাই ঘুরে আসি! মাত্র তো দুই-চার মাসের ব্যাপার, গ্রীনল্যান্ডের যাদুঘরে গিয়ে বিমল বসুর জুতা জোড়া দেখে আসার খুব সখ। নুক শহরে ইনুইতদের সাথে ঘুরে তিনি নাকি প্রথম বাঙ্গালী হিসেবে পা রেখেছিলেন বলে সেখানকার মেয়র খুব শ্রদ্ধাভরে তাঁর জুতোজোড়া সেখানকার মিউজিয়ামে রেখে দিয়েছিলেন।
আর ইনুইতদের সাথে থাকার মজাই আলাদা। ওদের মুখ দিয়ে নাকি পচা মরা শেয়ালের গন্ধ আসে- মেরু ভল্লুকের লাফাতে থাকা কাঁচা কলিজা খায়। তাতে কি এইসব সয়ে নেব খন
১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মিরোরডডল বলেছেন:
সবাই যদি ভালো হয়, কিভাবে হবে!
কাউকেতো মন্দ হতে হবে।
পেঁচা আমি ভালো পাই
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১০
শেরজা তপন বলেছেন: পেঁচা নিয়ে জুন আপু দারুণ কিছু কবিতা লিখবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। আপনি তাঁর সাথে যোগাযোগ রাইখেন।
১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ইনুইত বা এস্কিমোর জীবনাচার , তাদের সংস্তৃতি ও আরো বহুবিদ অজানা তথ্য নিয়ে
একটি মুল্যবান সচিত্র পোষ্ট । বেশ মনযোগ দিয়ে পাঠ করলাম , মুগ্ধ হয়ে ছবিগুলি
দেখলাম । জানা হলো বেশ কিছু অজানা তথ্য । পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রায় বছর ছয়েক আগে এই সামুতে
উত্তরের যাত্রা : ২ য় পর্ব – এস্কিমো জীবনাচার দর্শন শীর্ষক
একটি লেখা পোষ্ট করেছিলাম । আমার পোষ্টটি ছিল খুবই সাদামাটা ।
আপনার পোষ্টটির লেখা হতে এস্কিমোদের জীবনাচারের ভিতরের
অনেক কথা জানতে পেরেছি আরো অনেক বিষদভাবে ।
নির্বাচনের আড্ডা নিয়ে নিশ্চয়ই কিছুটা মেতে আছেন ।
ভাল থাকুন এ কামনাই করি ।
শুভেচ্ছা রইল
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে একটা নন ফিকশান বই পড়ার অনুরোধ করছি; মহাতীর্থের শেষযাত্রী- বিমল দে লিঙ্কটা দেয়া গেল না! অনলাইন পিডিএফ ভার্সান পাবেন। না পড়া থাকলে পড়ে নিবেন।
আপনার লিঙ্কের অনেক জন্য ধন্যবাদ। রাতে এসে পড়ব। আপনার লেখা মানেই অন্যরকম কিছু। আমিতো বারোয়ারী লেখা লিখি- কোন গভীরতা নাই।
নির্বাচনের আড্ডা ভালই জমেছিল কাল। আজকেও জমবে।
ভাল থাকবেন- সুস্থতা কামনা করছি। শুভকামনা রইল
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘদিন বেড়াতে যাই না।
গত বছর আমাদের শ্যাইয়ান ভাইয়ের সাথে সিলেট গিয়েছিলাম।
মাঝে মাঝে খাওয়া দাওয়াটা বিরক্তকর মনে হয়।
ইনুইত দের সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। এদের সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা ছিলো না।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: নিয়মিত আড্ডা না দিলে বেড়াতে না গেলে মানুষের মানসিকতা সঙ্কীর্ন হয়ে আসে।
যান কোথাও বেড়িয়ে আসুন, পাহাড় সুমুদ্র কিংবা জঙ্গলে।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওইখানে দিগম্বর অবস্থায় কাটায় নাই।
বস্ত্র ও উন্নত ধাতব অস্ত্র উদ্ভব হওয়ার পরেই ওরা খাদ্য সন্ধানে বা শত্রুপক্ষের ধাওয়া খেয়ে এদিক ওদিক চলে যায়, কিছু মানব গোষ্টি শিকারের পিছে পিছে আরো উত্তর দিকে গেলে হঠাৎ শীত এসে তুশারপাত শুরু হলে পথ ভুলে আরো ডিপ নর্থে চলে যায় আর ফিরিতে পারেনি। যারা সাহসি ও বুদ্ধিমান তারাই লড়াই করে টিকে যায়। হাস্কি কুকুর পোষ মানায়, স্লেজ গাড়ী বানায়,
হাজার বছর পর একপর্যায়ে বেরিং প্রনালীর জমাট বরফের উপর দিয়ে এদের কয়েক উত্তর আমেরিকায় চলে আসে।
এরাই নেটিভ আমারিকান(বা রেড ইন্ডিয়ান)
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু ফসিল পূরাকীর্তি আর আদিমকালের মানুষের ব্যবহার্য যন্ত্রপাতির নমুনা থেকে এর সবই ধারনা্মাত্র। সত্য হবার সম্ভাবনা ১০ ভাগের ও কম! মানুষ কল্পনায় শতভাগ সত্যি অনেক কিছু ধরে এগুতে থাকে- একসময় দেখে গোড়াটাই পুরো ভুল ছিল, তখন তালগোল পাকিয়ে ফেলে। মানুষের অতীত নিয়ে কোন কল্পনাই নির্ভুল নয়।
২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট!
কত অজানারে... জীবনে কত কিছু অজানা থেকে যায়!
আপনি একটু কষ্ট করতে পারবেন? অষ্টম অনুচ্ছেদে বর্ণিত 'ইনুইত'দের স্বেচ্ছামৃত্যু বরণের সেই 'ইন্টারেস্টিং' (হৃদয়স্পর্শী?) ঘটনাটুকু কপি করে মন্তব্যের ঘরে দিতে পারবেন? তাহলে আমি সেটা (শুধু সেই দুটো অনুচ্ছেদ, "সিদ্ধান্ত নিতে হবে" পর্যন্ত) কপি-পেস্ট করে আমার ফ্যামিলি গ্রুপে শেয়ার করবো, প্রকৃতির বিরুদ্ধে আজন্ম (এবং আমৃত্যুও বটে!) যুদ্ধ করা 'ইনুইত'জাতির জীবন কাহিনী পরিবারের সবার জ্ঞাতার্থে।
সম্পাদনা প্রয়োজনঃ
"আঁশ মেটে না" - (তৃতীয় লাইনের শেষ শব্দ)। "আঁশ"মানে মাছের আঁশ। আর আশ মানে আশা।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা...!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন। টাইপোটা ঠিক করে দিয়েছি।
আপনার মন্তব্য সবসময় অভিভুত করে আমাকে। লেখার অংশটুকু কপি করে দিচ্ছি;
এবার আসি দারুণ একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। এস্কিমোদের মৃত্যু নিয়ে।
আকস্মিক রোগ শোকে কিংবা দুর্ঘটনায় যে কোন সময় মানুষ মারা যেতে পারে। এস্কিমোরা খুব কম ক্ষেত্রেই রোগে আক্রান্ত হয়। ওরা কিছু ক্ষেত্রে শিকার করতে গিয়ে শিকারের আক্রমনে মারা যায়। একজন ইনুইত সদির্ঘ সময় সুস্থ সবল দেহে বেঁচে থাকে। ইনুইত সমাজে অকর্মণ্যদের কোন স্থান নেই! হোক সে বয়স্ক কিংবা নারী। ইনুইত বৃদ্ধরা যখন এত বেশী শারিরিকভাবে সুস্থ থাকে যে, তাদের বার্ধক্যজনিত কারনে বিভিন্ন অর্গ্যান দুর্বল হয়ে পড়লেও মৃত্যু এসে সহজে হানা দেয় না। একজন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যখন বুঝতে পারে যে সে প্রায় অক্ষম হয়ে যাচ্ছে তখন সে স্বেচ্ছা মৃত্যু বেছে নেয়।
কোন এক কঠিন শীতের রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে- সে ধীরে ধীরে তাঁর প্রিয় কম্বলখানা ছেড়ে উঠে পড়ে। শেষবারের মত 'তিমির তেলে'র পিদিমের আলোতে ইগলু ঘরখানা আর তাঁর অতি প্রিয় ও আপনজনদের ভাল করে দেখে নেয়। তাঁরপর ধীরে ধীরে লাঠি হাতে বের হয়ে যায় অজানার উদ্দেশ্যে... তাঁর এই শেষ প্রস্থান কেউ হয়তো দেখে- কিন্তু আটকায় না। এইটাই ওদের নিয়তি!
যে দেখে সে একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে তাকেও বেঁচে থাকলে একদিন নিশ্চিত এমন নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে হবে!
২১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: পৃথিবীর কত কিছুই আমাদের অজানা। সেই ছেলেবেলা ইংরেজি বইয়ে শুধুমাত্র ইস্কিপো নিয়ে খানিক একটু জেনেছিলাম, আর এক দুইটা ইংলিশ নোবেলে টুকটাক কথা। অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ, দারুণ পোস্টটার জন্য।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হয় না আধুনিক বিশ্বের অন্য কেউ বিমল দে'র মত এত গভীরভাবে ইনুইতদের একেবারে গভীরে ঢুকে পর্যবেক্ষন করেছেন। তাঁর আগে অবশ্য (৩৮-৩৯ সালে) আরো এক বাঙ্গালী ভু পর্যটক বিমল মুখার্জী বেশ কিছু সময় ইনুইতদের সাথে কাটিয়েছিলেন, তাঁর দিনপঞ্জি উল্লেখ করেছেন; অতি অল্প পরিসরে। কিন্তু সেটা পড়লেই বোঝা যায় তিনি ইনুইতদের ভেতরে ঢুকতে পারেননি। আমি নেটে অনেক ঘাটাঘাটি করেছি; অনেক শোর্ট ফিল্ম ডকুমেন্টারি দেখেছি কিন্তু বিমল দের থেকে এত বেশী গভীরভাবে ইনুইতদের থেকে কাউকে জানতে দেখিনি।
আপনাকে ওনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১২
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম আপনার এই লেখা থেকে। মনে রাখবার মত একটা পোস্ট। বিশেষত, ইনুইটদের মৃতু নিয়ে আপনার বর্ণনাটি মনে দাগ কেটে গেল।
বিমল দে'র "মহাতীর্থের শেষযাত্রী" বইটি সম্পর্কে জানানোর জন্য ধন্যবাদ। বইটি পড়ার আগ্রহ অনুভব করছি।
ইনুইট বানানটি "ত" দিয়ে লিখেছেন বিশেষ কোন কারনে কী? "ইন-উ-ইট" উচ্চারণটি "ট" দিয়েই হবে মনে হলো।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: বিমল দে ওই জাতিকে 'ইনুইত' হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। এছাড়া উইকির বাংলায় ইনুইত হিসেবে বলা আছে। পুর্ব ইউরোপ বা পুর্ব সাইবেরিয়াতে কেউ 'ট' বা টি এর উচ্চারণ সম্ভবত করে না - আবার আলাস্কার ওই পারটাতে 'টি' এর উচ্চারণ বিদ্যমান। সেখানে ওদের ইনুইত'ই বলা হয়। মোদ্দা কথা হচ্ছে ওদের নামকরনটা কারা করেছে?
যেহেতু সর্বপ্রথম এস্কিমো নামুটা মর্যাদাহানিকর মনে করে কানাডা ও আমেরিকা তাদের ইনুইত জাতি হিসেবে নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় সেহেতু আসল নাম 'ইনুইট' হতে পারে। তবে সেটা পুর্ব সাইবেরিয়াতে আসতে আসতে 'ইনুইত' হওয়া অসম্ভব নয়!
কিছুটা আন্দাজে কিছুটা অভিজ্ঞতায় বললাম; ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: জানিনা কেন আজকাল আপনার পোস্টে খাবার-দাবারের উল্লেখ বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে থাকে! যেমন এই পোস্ট! ভর্তা ভাজি ভুনা আরও নানারকম খানাপিনা, সুন্দরবনের বুফে, সাতকরা, কচু ঘেঁচু গলদা চিংড়ি ছানা মিষ্টি ঘোল কেক পেস্ট্রিসহ চেনা অচেনা সব খাবারের সংখ্যা গুনলে শখানেক হয়ে যাবে!!
বাঙালি বাই ডিফল্ট খাদ্য ছাড়া অন্য কোন আলাপে এখন আর মজা পায় না। একেবারে ঠিক বলেছেন।
কেউ বাড়িতে বেড়াতে আসলে দু মিনিট পরেই বাড়ির কর্তা আর কোন কথা খুঁজে না পেয়ে বলেন খাইতে আসেন? হায় হায়! এ কেমন কথা! আপনার বাড়িতে গেলে দুই মিনিট পরেই বুঝি আপনি মেহমানকে জিজ্ঞেস করেন, "আমার বাড়িতে খাইতে আসেন?"
এস্কিমোরা যে ঘরে থাকে তাকে ঈগলু বলে, এইটুকুই জানা ছিল। তাই এস্কিমোদের নিয়ে এই সব যা লিখেছেন তার সব কিছু আমার কাছে নতুন, গোগ্রাসে গিললাম। কেক পেস্ট্রি পোলাও কালাভূনার মতো সুস্বাদু লাগলো...
চমৎকার পোস্ট!! বিমল দে এক বিস্ময়!!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: ইদানিং খাঁটি বাঙ্গালী হয়ে যাচ্ছি তাই! ভাবছি ধুতি পরে গামছা কাঁধে নিয়ে ঘুরব
আপনার বাড়িতে গেলে দুই মিনিট পরেই বুঝি আপনি মেহমানকে জিজ্ঞেস করেন, "আমার বাড়িতে খাইতে আসেন?
মহা ঝামেলা! আমি কই কি আর আমার সারিন্দা গায় কি!! আমি বলছি ড্রইং রুম থেকে ডাইনিং রুমে খাইতে আসার কথান- আর আপনি কোথায় গেলেন
ঠিক বলেছেন বিমল দে এক বিস্ময়! তবে আরো এক ভু-পর্যটক বিমল মুখার্জীও আমার কাছে কম বিস্ময় নয়! এদের মত অভিজ্ঞতা থাকলে আমি লক্ষাধিক প্রমাণ সাইজের ভ্রমণ পুস্তিকা লিখে ফেলতাম
২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো পোষ্ট !!
ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের পোষ্টে বিশদ পড়েছিলাম। যখন শুধু বিটিভি ছিল একটা নাটক দেখেছিলাম মহা প্রস্থান নামে, খালেদ কাহ্ন যুবরাজ, রওশন জামিল অভিনীত। সেই নাটকে এমন স্বেচ্ছা মৃত্যু ছিল, তখন ব্যাপারটা বুঝতাম না যদিও।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০
শেরজা তপন বলেছেন: নতুন বছর আর বতুন সরকারের শুভেচ্ছা
আপনার চাঁদ বদনখানা দেখে বড় আপ্লুত হলাম! আলী ভাইয়ের পোস্ট দেখে আমি বড় লজ্জা পেলাম! তার ওই পোস্ট আগে নজরে আসলে আমি এমন পোস্ট দিতামই না
মহা প্রস্থান মনে হয় আমিও দেখেছিলাম। খুব হিট করেছিল সবার মুখে মুখে ছিল ওই নাটকের কথা।
ভাল লাগল বহুদিনবাদে আপনাকে পেয়ে। এবার একটু ব্লগমুখী হন।
২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
এই যে মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে এলে তারা কোনও এক রাতে চুপি চুপি সব মায়া বুক ভরে একবার দেখে তারপর গোপনে চলে যায় - এটা তো মারাত্মক জীবনবোধ আর দর্শন ও ফিলোসফির প্রকাশ। এই একটা ঘটনাতেই বুঁদ হয়ে আছি দুপুর থেকে। অফিসে বসে পড়ছিলাম এই পুরো পোস্ট টা।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি চেয়েছিলাম তাদের এই স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে পুরো একটা পোস্ট দিতে- পরে ভাবলাম দু' লাইনে দিলেই কি। পুরো বিষয়টা শুধু উপলব্ধির। আসলেই কিন্তু তাই হয়েছে। এই অল্প ক'লাইন কিন্তু স্পর্শকাতর মানুষের হৃদয় আর ভাবনাকে নাড়া দিয়েছে ভীষনভাবে।
ধন্যবাদ ভ্রাতা চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন নিরন্তর।
২৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: তাদের মৃত্যুর বিষয়টা বড় মর্মান্তিক।এখানে একটা উঁচু ব্রীজথেকে লাফিয়ে পড়ে অনেকে আত্মহত্যা করতো।এখন অনেক উঁচু করে তারের বেড়া দেয়ায় সেটা বন্ধ হয়েছে।বৃদ্ধ বয়সে অসহায়তা বড় মর্মান্তিক।এর থেকে কবে যে মানুষের মুক্তি মিলবে।
অনেক অজানা কিছু জানলাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: ব্রিজের বেড়া দিয়ে দিয়ে লাভ কি? মানুষের মনের ভেতরের কষ্ট একাকিত্ব নিঃসঙ্গতা বেড়া দিয়ে আটকাবে কেমনে????
ঠিক বলেছেন। বৃদ্ধ বয়সে নিঃসঙ্গতা ও অসহায়তা বড়ই মর্মান্তিক!!!
২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৩
সোহানী বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার লিখা।
কানাডায় একটা বড় অংশ আছে ইনুইত। আমার এক ক্লায়েন্ট ছিল ইনুইত। খুব কম বলতো এবং নিজেদেরকে নিয়ে কোন প্রশ্ন করা পছন্দ করতো না। শুধু যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকুই বলতো।
আর হাঁ, ওরা নিজেদেরকে এস্কিমো বলতে পছন্দ করে না। কারন তাদের ভাষায় এস্কিমো মানে "কাঁচা মাংস যারা খায়।" তাই এখন আর তাদেরকে এস্কিমো বলা হয় না। নিজেদেরকে ইনুইত বলে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ও এস্কিমো মানে তাহলে 'কাঁচা মাংস খেকো'! তাইতে ওদের এত বিরাগ এ নামে!
ওরাতো কাঁচা মাংস-ই খায় তবে এ নামে ডাকলে কি সমস্যা? কানা কে কানা বললে যে সমস্যা হয় সেটাই না কি বলেন!
আপনার সাথে একজন ইনুইতের পরিচয় ছিল জ্জেনে ভাল লাগল। ব্যতিক্রমী ব্যাপার।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।
২৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: আগেই পোস্টটি পড়েছিলাম। ইনুইতদের সমাজে প্রবীণ সদস্যদের গল্প করার রেওয়াজ আর মৃত্যুর ব্যাপারটা খুবই হৃদয়গ্রাহী। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিনবাদে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। সময় পেলে বিমল দের লেখা মুল বইটি পড়বেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ ও মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন- ব্লগে আরেকটু নিয়মিত হউন।
২৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৪
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ায় আছেন ক্যান এখনো? ভাগেন ওইখান থেকে-
for me, this is the best place to live, তাই আছি।
তাই প্রতি বছর হাজারো মানুষ এখানে মাইগ্র্যান্ট হয়ে আসে বা আমার মতো স্টুডেন্ট এসে রেসিডেন্সি নিয়ে থেকে যায়।
কেনো বেস্ট বলতে গেলে অনেক কারণ, তাই আর লিখছি না।
ওখানে নাকি গরমও মাঝে মধ্যে ভয়ঙ্কর!
অনলি হাতে গোনা কয়দিন এক্সসেসিভ হিট, তাছাড়া সামার টাইম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি খুবই ভালো, লং ডে যা আমি পছন্দ করি, দিনে কখনো সামান্য গরম হলেও রাতে আবার নরমাল টেম্পারেচার।
শীত উপভোগ করতে হয় বরফে।
বরফে আমি হলিডেতে যেতে পছন্দ করি অল্প সময়ের জন্য কিন্তু নট ফর লিভিং।
আমি গাঁজা মদ ভাং খাই আপনারে কে কইছে???
স্বপ্নে দেখেছি
কত গন্ধ স্বাদে আমি নিত্য মাতাল হই আপনি জানেন?
নাহতো, শুনি একটু।
আমি ভোরে উঠি প্রতিদিন- আমার বরং দেরিতে শুয়ে থাকা পানিশমেন্ট মনে হয়!
ভোর আমারও ভালো লাগে। এটা সত্যি রাত জাগি বলে ভোরে উঠতে কষ্ট হয় বা পানিশমেন্ট মনে হয় কিন্তু আমিও ভোরে উঠি।
তিন থেকে চার ঘন্টা ঘুমিয়েই আমি অফিস করতে যাই।
ট্রাফিক এভয়েড করার জন্য আরলি মর্নিং যাই, তখন খুব ভালো লাগে।
তবে উইকেন্ডে সারারাত না ঘুমিয়ে ভোরে ঘুমাতে যাই, তারপরও খুব বেশিক্ষন বেড এ থাকা হয়না।
অল্প ঘুমে অভ্যস্ত আমি
শেরজা কেমন আছে, বহুদিন দেখা নেই। শেষ কবে কথা হয়েছে মনে নেই
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: শেরজা কেমন আছে, বহুদিন দেখা নেই। শেষ কবে কথা হয়েছে মনে নেই
সোনাগাজী ব্যাটায় খুব বিরক্ত করছে- এমনিতেই ব্যস্ত এরপর ওর কমেন্ট দেখলে মাথা ঠান্ডা রাখা কষ্ট হয়ে যায়!
আপনি বলবেন যে, ইগ্নোর করলেই হয়। আমিও বুঝি কিন্তু বেইজ্জতি নিয়মত সহ্য হয় না। আমি তো লিখে ওর উত্তর দিতে পারি শুধু
নিজের ইমেজ ও আপনাদের কয়েকজনের কথা ভেবে চুপ আছি, সেটা আর এক কষ্ট!
মিনিমাম ৬ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। বয়স তো বাড়ছে না কি
আপনি সপ্নে আমারে গাজা মদ ভাং খাইতে দেখছেন শুধু ভাল কিছু দেখেন নাই?? হায় আল্লা!!!!!
আপনাকেও ইদানিং ব্লগে কম দেখছি হুম্মম্ম
৩০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
দেশে দেশে অঞ্চল ভেদে মানুষের জীবনযাত্রা যে কতো বৈচিত্রময় তার একটি উপাখ্যান তুলে ধরলেন।
ইনুইতদের এককালের জীবনযাত্রা এখন হয়তো আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বদলে গেছে ( যার উল্লেখও আছে আপনার লেখাতে) কিন্তু একসময়ে তাদের জীবনযাত্রার কষ্টকর আর একঘেয়েমীর যে চিত্র আপনার লেখায় অনবদ্য দরদের সাথে চিত্রিত হয়েছে তা অমন ঠান্ডার রাজ্যে ঐসব মানুষদের কথা ভেবে যে কারো মনেই "আহারে জীবন!!!!!!!" এই কথাটিই বারেবারে ঘুরপাঁক খেয়ে মরবে।
মর্মস্পর্শী লেখা । লাইকড.............
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ইনুইতদের এককালের জীবনযাত্রা এখন হয়তো আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বদলে গেছে
এরপরেও কিছু যাযাবর আছে যারা কোনমতেই ঘর বাঁধবে না। বরফের রাজ্যেই ছুটে চলে আর বুক চিতিয়ে লড়াই করে কঠিন শীতল ভয়ঙ্কর প্রকৃতির সাথে। মানুষ আসলেই অন্য চিজ। আরব আমিরাতে আজও কিছু বেদুইন শহরে ঘর বাধেনি- সরকার কতভাবে চেষ্টা করেছে -কত সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। ওদের জন্য তৈরি করা কোটি কোটি টাকার ভিলাগুলো খালি পড়ে আছে আর তারা মরুভুমিতে তাবু খাটিয়ে ঘুমাচ্ছে। প্রকৃতির মধ্যে মিশে গিয়ে লড়াই করে মানুষ অন্য রকম এক বাঁচার আনন্দ পায়- যেটা আমরা শহুরে মানুষ কোনদিন উপলব্ধি করতে পারব না।
যদিও আমরা বলি 'আহারে জীবন' কিন্তু আসলে এই জীবন ওদের কাছে কতই না শান্তির কতই না আনন্দ আর উপভোগের কে জানে??
শুভকামনা রইল- ভাল থাকবেন।
৩১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনি বলবেন যে, ইগ্নোর করলেই হয়। আমিও বুঝি কিন্তু বেইজ্জতি নিয়মত সহ্য হয় না। আমি তো লিখে ওর উত্তর দিতে পারি শুধু নিজের ইমেজ ও আপনাদের কয়েকজনের কথা ভেবে চুপ আছি, সেটা আর এক কষ্ট!
শেরজা, please do what you feel is right. Don't worry about me or us.
আমার মনে হয় যে বোঝে তাকে কাউন্টার দেয়া বা বুঝিয়ে বলা যায়।
যার মাঝে হাজারবার বুঝিয়ে বললেও কোনো বোধোদয় হবেনা, তাকে বোঝানো বা কাউন্টার ব্যাক করা মানে এনার্জি আর সময় নষ্ট। এপাশ থেকে কোনো রিঅ্যাকশন না পেলে একসময় নিজে থেকেই অফ হবে। এটা একান্তই আমার অভিমত।
শেরজা যা ভালো মনে হয় করবে।
৩২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৫
জুন বলেছেন: শেরজা আপনি যখন আমার প্রিয় একটি বিষয় নিয়ে লেখাটি দিয়েছেন তখন আমি সামুর বাগে আক্রান্ত। লেখা পড়তে পারি না, মন্তব্য করতে পারি না সারাক্ষণ কোথা থেকে একটা আফগানী নীল বোরকা এসে অর্ধেক পেইজ ঢেকে দিচ্ছিল
যাক গতকাল থেকে কিছুটা ভালো।
এবার আসি আপনার লেখা নিয়ে। তুন্দ্রা সাইবেরিয়া আর গ্রীনল্যান্ডে থাকা মানুষ জন নিয়ে আমার বরাবরই কৌতূহল, বিশেষ করে আলাস্কার এস্কিমো নিয়ে। কি কঠোর জীবন তাদের। সেখানকার সাথে তুলনা করলে এই সামান্য শীতে আমরা কাহিল হয়ে যাচ্ছি আর ওরা কি ভাবে বাচে!
তাদের জন্ম, মৃত্যু জীবনযাত্রা নিয়ে সংখেপে লেখাটি মন ছুয়ে গেল, বিশেষ করে তাদের স্বেচ্ছা মৃত্যু। তবে ইদানীং মনে হয় তারা আধুনিক জীবনযাত্রার কিছুটা আস্বাদ পেয়েছে।
শেরজা অনেক অনেক ভালোলাগা জানাচ্ছি
+
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: মেলা দেরি করে এলেন। আমি তো আপনার এ পোস্টে আসার আশা বাদই দিয়েছিলাম
সামুর বাগে আমিও আক্রান্ত হয়েছিলাম। এখন ফের দেখছি ঠিকঠাক আছে।
আপনার কোন দেশ আর সেই দেশের প্রকৃতি মানুষ আর সংস্কৃতি নিয়ে কৌতুহল নেই তাই বলেন?
ঠিক বলেছেন এইবার শীতে কাহিল লাগছে বেশী। মনে হচ্ছে এমন শীত এই জনমে পড়ে নাই। যদিও শীতকাল আমার অতীব প্রিয়।
ওই অংশটুকু অনেকের মন আপনারও মন ছুঁয়েছে ভাবছি আরেকটু বিষদ লিখলে ভাল হত।
অনেক ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।
৩৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩১
ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। কিছুই জানা ছিল না এস্কিমোদের সম্পর্কে। +++++++++্
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার। শুভকামনা রইল।
৩৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এখানেও লাইন দিলাম
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: এই লাইন ভাই এন্টার্টিকায় যাচ্ছে -শীতের কাপড় নিয়েছেন তো?
৩৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
গতকাল শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যারের পোস্টে যে কথা বলেছিলাম,
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "তপন ভাইয়ের পোস্ট পড়া হয়নি কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে ইনুইটদের গভীর জীবনবোধ মর্মানুভূতির পরিচয় পেলাম।এগারো বারো ক্লাসে আমাদের এস্কিমোদের জীবনযাপন সম্মন্ধে পড়তে হয়েছিল। আমাদের সিলেবাসে ছিল ওদের বরফের তৈরি গৃহ ইগলুর কথা।সিলমাছ শিকার করার কথা। ওদের সুঠাম দেহ সৌন্দর্যের জন্য পশুর চামরার নির্মিত ব্যাগে দুধ পচিয়ে চক করে খাওয়ার প্রথা জেনেছিলাম। অনেকটা আমাদের টক দই খাওয়ার মতো। ওদের ধারণা নাকি দুধ টক করে খেলে তা শরীরের পক্ষে বেশি উপযোগী।আমি তপন ভাইয়ের পোস্টে গিয়ে ওনার পোস্টের বিষয়বস্তু ও আমার স্কুল জীবনের ধারণা মিশিয়ে একটা কমেন্ট করবো। সেদিন থেকে আজ অব্দি জানতাম না যে এস্কিমো শব্দটা একটা জাতির কাছে আপত্তিকর। আপনার সঙ্গে আমিও স্থির করেছি আর কখনো ঐ শব্দটা মুখে আনবো না।এখন থেকে শুরু ইনুইট।
কিন্তু তার আগে আপনি যেভাবে ঐ পোস্টের নির্যাস তুলে ধরেছেন তা রীতিমতো মর্মস্পর্শী বটে। পরিবারের বোঝা না হবার জন্য নির্জন নিশুতিতে প্রিয় বাসস্থান ইগলু ছেড়ে শেষবারের মতো আপনজনদের একপলকে দেখে নিয়ে মাইনাস টেম্পারেচারের খোলা আকাশের নিচে অগস্ত যাত্রায় বের হবা কতোটা জীবন বোধ ও মুল্যবোধে আদর্শীত ভাবলে অবাক হতে হয়।
সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন স্যার।
প্রথম কমেন্টে সোনাগাজীর আক্রমণাত্মক বিদ্রূপ কমেন্ট দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি ওনার স্বভাব ইহজীবনে যাওয়ার নয়।উনি বর্গীয় শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। ওনার অসুস্থ মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই।ছি সোনাগাজী ছি।
খুব শীঘ্রই যদি ওনার এই নিকের ব্লগিং অগস্ত যাত্রায় গমনে মডু বাধ্য করেন অবাক হবো না।
ভালো থাকবেন স্যার। শুভেচ্ছা আপনাকে।"
এবার আপনার পোস্ট সম্পর্কে নুতন করে যেটা জানলাম এবং বলার যে তাদের বিবাহ রীতি, সন্তান ধারণ, আধুনিক সভ্যতার অবক্ষয়তার গ্রাস, কষ্ট সহিষ্ণু পরিশ্রমী জীবন যাপন, বিনোদনমূলক গল্পের আসরের মতো বিবিধ বিষয়ে নানান কথা। সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: ভালবাসা আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।
আপনার মন্তব্যের উত্তরে আর কিছু বলার মত কথা এ মুহুর্তে খুঁজে পাচ্ছি না।
'মানুষকে সম্মান দিলে ভালবাসলে-সম্মান ও ভালবাসা পাওয়া যায় সেটা তো মিছে নয়'
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
নতুন বলেছেন: পৃথিবির এই বৈচিত্র সম্পর্কে জানতে অনেক ভালো লাগে...
মাঝে মাঝে গুগুল ম্যাপে বিশ্বের দূর্গম এলাকা গুলি দেখে... ঐখানেও মানুষের বসতির ছাপ দেখি....