নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।
ঈদের পরদিন ভোর বেলা আমরা পাঁচজন ঢাকা থেকে লোকাল বাসে আর স্থানীয় মাছ ব্যাবসায়ীদের টেম্পোতে করে বান্দরবান শহরে পৌছে কোন হোটেল মোটেলে সিট না পেয়ে হতাশ হয়ে রাস্তায় হাত-পা ছড়িয়ে বসে পড়ব বলে ভাবছি তখনি দেবদুতের মত একজন এসে বলল এই রিসোর্টের কথা। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। বান্দরবান তখনো পর্যটন এরিয়া হিসেবে তেমন জমজমাট হয়নি। পর্যটনের রিসোর্ট চালু হয়নি তখনো। কিছু মানুষ চিম্বুক পাহাড়ের টানে যায়, বাকি লোক টাইগার হিল আর লেক পাহাড়ের টানে ছুটে আসে।
রাত কাটানোর জন্য উত্তম ব্যাবস্থা গড়ে ওঠেনি তখনো। রুমা হয়ে বগা লেক আর সেখান থেকে কেউক্রাডং ও তাজিংডং এর মত পাহাড়ে যাবার রাস্তা ছিল না। অল্প কিছু দুঃসাহসী মানুষ অমন সুন্দর নির্জন পাহাড়ি পথে ট্রেকিং করত। ডিম পাহাড়, আলী কদম চিনত খুব কম মানুষ। পাহাড়ি নদী বেয়ে নৌকায় যে বড় পাথরের মত দুর্দান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক্সপ্লোর করা যায় সেটা ছিল কল্পনার বাইরে। এমন খরস্রোতা পাথুরে অগভীর নদী বেয়ে মানুষ সমেয় নৌকা কেমনে উপরে ওঠে সেটা নিজচোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত।
যা হোক বাশের সিড়ি বেয়ে সেই রিসোর্টের বিশাল রেস্টুরেন্ট কাম-ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে চরম হতাশ হয়ে জেনে গিয়েছি ওদের সবগুলো কটেজ বুকড। বোর্ডারের আবার বেশিরভাগ বিদেশী- যারা ঢাকা থেকে বুক করে এসেছেন। ক্যাশ কাউন্টারে যিনি ছিলেন তিনি অতীব দয়ালু ও বাগ্মী নন শুধু এই রিসোর্টের মালিকের ভাইও। তিনি আমাদের আশ্বাস দিলেন, কোন একটা ব্যাবস্থা হবেই। কোন কিছু না হলে তিনি অন্তত রেস্টুরেন্টের ছাদে কিংবা পাহাড়ে তাবু খাটিয়ে দিবেন।
তাঁর একথায় আমাদের উত্তেজনা চরমে! রেস্টুরেন্টে লাগোয়া ওয়াশরুমে ফ্রেশ হয়ে বিশাল অর্ধচন্দ্রাকৃতির রেলিং ঢাকা বারান্দায় দাড়াতেই কুয়াশা এসে আমাদের ঘিরে ফেলল। পাহাড়ের উপরে ঝুলন্ত এই বারান্দা যেন পরাবাস্তব এক জগতে নিয়ে গেল!
চা- নাস্তা আপ্যায়ন স্বাদ সবকিছুতেই যেন ভিন্নধর্মী এক আমেজ, কিন্তু গোল বাঁধল একখানে। সভ্যতা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন সবাই। এখানে কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, কোন ইন্টারনেট সংযোগ নেই। কোথাও কোন টিভি রেডিও কিস্যু নেই। পৃথিবীতে অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করতে হলে ছয় কিলোমিটার পাহাড়ি পথে দাবড়ে শহরে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। আর পাহাড়ি রাস্তা সন্মন্ধে যাদের ধারনা আছে তারা জানেন যে ছয় কিলোমিটার কতটুকু রাস্তা!!
সেদিন আমাদের সারা পৃথিবীর সব সভ্যতা থেকে দুরে বসে আলসে দিন কেটে গেল। চমৎকার উপভোগ্য একটা দিন তবুও বাসায় খবর পৌছানো হয়নি বলে সবার মনেই খচ্ খচ্ করতে লাগল।
রাতে খোলা আকাশের নীচে পাহাড়ের উপরে লক্ষ তার আর হালকা কূয়াশা ভেজা শীতের আমেজে মোড়া এক রাত কাটালাম তাবুতে শুয়ে।
ভোরে উঠে পাহাড়ি পথ বেয়ে সূর্য বাড়িতে( ছন আর বাশে ছাওয়া টং ঘড়) মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে সুর্যোদয় দেখা ছিল যেন এক অপার্থিব আনন্দ, বিস্ময় আর অমিত উত্তেজনার! পায়ের নিচে পেজা তুলোর মত সোনালী রাঙ্গা মেঘের দেশে মনে হচ্ছিল লাফ দিয়ে হারিয়ে যাই।
আশেপাশের সারা এলাকা চক্কর দিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে চা খেয়ে গল্পে মশগুল হলাম।
সকাল নয়টা বাজে- তখন কুয়াশা কাটেনি, দুরের পাহাড়গুলো আবছা দেখা যায়। সামনের রুমা নদী(খাল) তখনো ভারি অস্পস্ট! আচমকা হায়দার চরম উত্তেজিত হয়ে দৌড়ে আসল। কাছে এসে ফিস্ফিস করে বলল, দারুণ এক খবর আছে?
কি এমন খবর আমরা শোনার জন্য উদগ্রীব?
হায়দায় একগাল হেসে বলল। মোবাইলের নেটওয়ার্ক তো পাওয়া গেছে!
- তাই নাকি? কোথায় ক্যামনে?
-এই পাহাড়ের মোড় ঘুরে, ঐ পাহাড়ে উঠলে ওর কোনায় এক খোলা জায়গায়। অল্প অল্প আসে- তবে আমি কথা বলছি।
-কি কও সত্যি?
আমরা সবাই- লাফিয়ে উঠে দৌড়াইতে শুরু করলাম।
এর মাঝে নোমান হায়দারকে সতর্ক করে দিল। এই কথা কাউরে কইও না। 'সবাই জানলে শেষে আমরাই চান্স পাব না'।
***
ভ্রমন গল্পটা এখানে শেষ হয়নি ( এই ভ্রমনটা রুমা খাল দিয়ে হেটে হেটে বগা লেক হয়ে কেউক্রাডাং হয়ে তাজিংডং-এ শেষ হয়েছিল) -তবে আমি এখানেই ইতি টানছি।
কেন যেন মাঝে মধ্যে মনে হয়; সামু হল 'রিগ্রিখ্যাং' এর সেই রিসোর্ট। সারা বিশ্বের সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এখন এক রকম বিচ্ছিন্ন। এর মোবাইল নেটওয়ার্ক; মানে এই ব্লগে ফিরে আসার জটিল পথ। যার সন্ধান আমাদের মত অতি অল্প কিছু মানুষ অনাকাঙ্খিতভাবে পেয়ে গেছি। আমরা কেন যেন বাইরের পৃথিবীকে এর সন্ধান দিতে চাই না- ভয় হয় 'যদি আমরাই শেষে আর চান্স না পাই'।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: আহা কত দিন বাদে প্রথম মন্তব্যখানা আপনার কাছ থেকে পেলাম! মনে হচ্ছে বাঁধিয়ে ঝুলিয়ে রাখি।
সেই ২২ বছর আগে ভ্রমন করেছিলাম- তখন জন্ম নেয়া পোলাপান এখন বিয়ে-সাদি করে ফেলছে অত পুরনো কথা কি আর মনে আছে সেরকম করে।
যদিও ঠিক বলেছেন ভ্রমন আর যাপিত জীবনের রম্য আমার লেখার মুল উপজীব্য ছিল- বয়স বাড়ার সাথে সাথে খটমট লেখায় মনযোগী হয়েছি, বুড়ো বয়সে যেমন ভীমরতি হয় আর কি।
আপনার কথা কি আর ফেলতে পারি। আলকাশ-তো শেষ করেছি মূলত আপনার গুতো ধাক্কায়। দেখি এইটার কি হাল হয়?
২| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: প্রাঞ্জল ভাষায় সুন্দর বর্ননা পড়ে মন ভরে গেলো।পহাড়ে যেয়ে এই যে সভ্য জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এখানেইতো আনন্দ।
‘no news is good news’ এই বিশয়টা সবাই মাথায় রাখলে, খবর পৌঁছানো নিয়ে অতো ঝামেলায় থাকতে হয় না।খারাপ খবর না পাওয়া পর্যন্ত ভালো আছে, এমন করে ভাবলে আর অতো দুশ্চিন্তা থাকে না।ইতি না টেনে চললে ভালো লাগতো।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমি কঠিন একটা বিষয় নিয়ে লিখছিলাম- সেই বিষয় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশুনা করছি। এর মাঝে ব্লগের একটা পোস্টে কিছু ব্লগারের মন্তব্যে মনে হল কেন যেন মডু সহ সবাই চাচ্ছে না ব্লগ সবার জন্য আগের মত উন্মুক্ত হয়ে যাক- কিসের যেন শঙ্কা আর ভয়! সেই জন্য ভ্রমন কাহিণীর এই অংশটুকু লেখলাম। এই ভ্রমণ কাহিনীর সাথে অনেক অনেক ছবি আছে- যেগুলো ছাড়া পুরো লেখাটাই অসম্পুর্ণ রয়ে যাবে। কিন্তু রিলে তোলা সেই ছবিগুলো নেগেটিভ থেকে স্ক্যানিং করে কম্পিউটারে দেয়া বেশ হ্যাঁপা - তাই দেব দেব করে আর দেয়া হয় না। এছাড়া ভুলে গেছি অনেক কথা।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে দারুণ অনুপ্রাণিত হলাম কামাল ভাই। ভাল থাকবেন।
৩| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অফ টপিকে একটা মন্তব্য করছিঃ
@কামাল১৮ ভাই সেদিন কোন এক পোষ্টে আপনার মন্তব্যে দেখলাম মুন্সিগঞ্জের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করতে। আপনার যদি কোন আপত্তি না থাকে আপনার সাথে এই ব্যাপারে কিছু তথ্য নিতাম। যদি দয়া করে আমাকে [email protected] একটা মেইল করতেন।
আপনার ব্লগে কোন পোষ্ট নেই বিধায় এখানে মন্তব্য করতে হোল বলে ক্ষমা প্রার্থী।
৪| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ৩:২৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি ভ্রমণ বৃত্তান্তও ভালো লেখেন। লেখাটি ভালো লাগলো।
আমার মতে আপনার লেখাটা সবচেয়ে বেশি ইন্টারেস্টিং হয়েছে "এমন খরস্রোতা পাথুড়ে অগভীর নদী বেয়ে মানুষ সমেত নৌকা কেমনে উপরে উঠে এটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত" এখানে এসে।
রুমা খাল দিয়ে হেটে বগা লেক হয়ে কেওক্রাডং হয়ে তাজিংডংয়ের এর ভ্রমনের বর্ননা থাকলে পুরোটা বুঝতে পারতাম আপনি ভ্রমণ লেখক হিসেবে সত্যি সত্যি কেমন। আংশিক হলেও যতটুকু বুঝলাম, তা মন্দ নয়!
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার প্রথম পাহাড়ে ট্রেকিং ছিল এটা। তখন ফটোগ্রাফির একটা গ্রুপ ছিল- সবাই যুবক আর দুরন্ত ছিল! প্রকৃতির ঙ্গভীরে নতুন আবিস্কারের একটা নেশা ছিল সবার মধ্যে। ভ্রমনটা চমৎকার আর কষ্টকর ছিল বটে। সবকিছুতে ছিল নতুনত্ব আর রোমাঞ্চকর! এরপর অনেকবার দেশ ও দেশের বাইরে ট্রেকিং করেছি কিন্তু এমন মজা আর পাইনি কখনো।
তবে লেখান মুন্সিয়ানায় সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারব কি না তা বলা দূঃসাধ্য। আমি যদিও এখানে শেষ করতে চেয়েছিলাম- তারপরেও সবার আগ্রহ আছে যেহেতু তাহলে চেষ্টা করে দেখি না হয়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
"এমন খরস্রোতা পাথুড়ে অগভীর নদী বেয়ে মানুষ সমেত নৌকা কেমনে উপরে উঠে এটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত"
এটা অধুনাকালের ভ্রমন। পরিবার সমেত করেছিলাম।
সেই নদীর একটা ছবি দিলাম;
৫| ১১ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: @ মনিরা সুলতানা,দুঃখের সাথে জানাচ্ছি,আমি ব্যক্তিগত ভাবে কারো সাথে যোগাযোগ করি না।এটা আমার অহংকার না আমার অক্ষমতা।আমার কোন ইমেইল নাই,আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না।
কি জানতে চান, যদি জানা থাকে তবে,যেখানে আমার মন্তব্য থাকে সেখানে প্রশ্ন করলেই জানাবো।ক্ষমার কথা বলে আমাকে ছোট করছেন কেন।এখানে ক্ষমার কিছু নাই।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: ফেবুতে একাউন্ট নাই সেটা ঠিক আছে কিন্তু একটা ই-মেইল একাউন্ট নাই এইটা কি কইলেন!!!
৬| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @কামাল সাহেব - আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক সমৃদ্ধ, তাই আমি মনে করি ব্লগে কিছু না কিছু আপনার লেখা উচিৎ।
আার ইমেইল না হোক অন্য কোন মাধ্যমে হলেও মনিরা সুলতানার সাথে আপনার যোগাযোগ করা উচিৎ, এটা আপনার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে বলে আমার মনে হয়।
৭| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার আধখানা গল্প ভালো হয়েছে আমরা যখন প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করি তখন গ্রামিন নেটওয়ার্ক দারুন ভোগায় ।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামীনের থেকে এয়ারটেল বা রবি ভাল কাজ করে। গ্রামীন আমার মতে ঢাকার জন্য ভাল। নেটে রবি অনেক সাশ্রয়ী।
৮| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পোস্ট পুরোটাই পড়েছি, ভালো লেগেছে। আর এই ব্লগে আম পাবলিক হুমড়ি খেয়ে পরুক তা আমি চাই না, ওরা ব্লগটাকে ফেসবুকের মতো বিষ্ঠায় মাখিয়ে ফেলবে।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: এককথায় আপনার কথা ঠিক আছে। আগে কোন একটা পোস্ট দিলে ঘন্টা না যেতেই দ্বিতীয় পাতায় চলে যেত- অনেক পাঠকের নজরেই আসত না। সেই সময়ের ভুক্তোভুগীরা চায় না ফের এমন দিন আসুক
৯| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: @কামাল১৮!
ধন্যবাদ ভাই আপনি আমার কিছু অনুসন্ধানের সাহায্য করতে চেয়েছেন, সেটুকু আমার জন্য অনেক। জীবনের বাস্তবতায় মুনশিগঞ্জ শহরে তেমন যাওয়া হয় না, তাছাড়া জানতে চাওয়ার মত মানুষ ও খুব বেশি নেই। আর আপনার ইমেইল বা ফেসবুকের অপারগতা টুকু অবশ্যই ফেয়ার এনাফ।
আমি জানতে চাইছিলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলা কালীন সময়ে কাটাখালি সরকারি হাসপাতালের ঔষধের গোডাউন থেকে যে নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুলে দেয়া হত, সেখানে তাদের আশ্রয় দেয়া। এবং পরবর্তীতে সে সূত্র ধরে পাক বাহিনীর রেইড এই ব্যাপারে কিছু আলোকপাত করতে পারেন ?
আমি আমার আব্বার মুখে কিছুটা শুনেছিলাম , আফসোস খুব বেশি এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করার আগেই আমার আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
@শেরজা!
বারংবার আপনার লেখায় অফটপিকে মন্তব্য করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: কোন সমস্যা নাই- আমার পোস্টে মন্তব্যের পাল্লাতো ভারি হচ্ছে
আপনার মত ব্লগার আকাম্যা প্যাচালে ব্লগের পাতা ভরাবেন না সেইটা আমি নিশ্চিত।
১০| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাকি অংশ জানার আগ্রহ রয়ে গেল। প্রচারেই প্রসার এই কথাটা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক। কিন্তু সামু সম্ভবত প্রচার বিমুখ। প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড বা গুডউইল টিকিয়ে রাখতেও ক্রমাগত প্রচার চালাতে হয়।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: সেইজন্যই তো মাঝে মধ্যে আইসিইউ রাখতে হয়। ব্লগারেরা কান্নাকাটি করে ব্লগের অন্তিমদশা চলছে বলে রব তুলে
আমার মনে হয় এইটা এক্টা অভিজাত ব্যাপার স্যাপার- অন্য কেউ বুঝতে না পারলেও আমরা নিজে ব্যপকভাবে বুঝতে পেরে ভীষন আমোদিত হচ্ছি।
বাকিটুকু দিলে আপনাকে পাওয়া যাবেতো?
১১| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
পায়ের নিজে পেজা তুলোর মত
পায়ের নিচে হবে।
মনে হচ্ছিল লাফ দিয়ে হারিয়ে যাই।
আমারও পাহাড়ের চূড়ায় গেলে চারপাশের অপার সৌন্দর্য দেখে নিচে লাফ দিতে ইচ্ছে করে।
বান্দারবানে গিয়েছিলাম।
শেরজার লেখা পড়ে সেই স্মৃতি মনে পড়ছে।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: তাইতো বলি আপনার চোখের তারা এত কালো কেন- গভীর দৃষ্টিশক্তি না হলে এমন উজ্জ্বল কাল চোখের তারা থাকার কথা নয়
দিনক্ষন ঠিক করে আসেন একদিন একসাথে লাফ দিমুনে।
বান্দারবানে গিয়েছিলাম।
শেরজার লেখা পড়ে সেই স্মৃতি মনে পড়ছে।
কবে গিয়েছিলেন- কোথায় কোথায় ঘুরেছেন?
১২| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: পাহাড়ে বা উঁচু স্থানে উঠে লাফ দেবার ঝোঁক আমারো আছে । অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করি ।
সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার মধ্যেই আনন্দ আছে । বেড়াতে গেলে ফেইসবুক আর মোবাইল দুইটাই যন্ত্রনার ।
১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: অতি সৌন্দর্যের কাছে আত্মসমর্পন বা অতিসুখে আত্মবিসর্জন এমন অনুভুতি জাগে মাঝে মধ্য! এভাবেও আত্মহত্যা করে কিছু মানুষ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন। ওই দুইটার মত যন্ত্রনার জিনিস আর নাই যদিও তবে ম্যাপ- আর ভাষার জন্য খুব দরকারি কিন্তু।
১৩| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: ''আমরা চান্স না পাই'' এই ধারনা আপনার কেন হল ?
আমি প্রথমবার যখন বান্দরবান যাই তখনও গ্রুপভিত্তিক এবং বানিজ্যিক ট্যুর শুরু হয় নি । তাই ভীড় ছিল । আর এখন যখন যাই মাঝে মাঝে মনে গুলিস্তানে চলে এসেছি । একবার পুজোর ছুটিতে গিয়েছিলাম কেউক্রাডং । সেইবার এমন ভয়ংকর অবস্থা হয়েছিলো খাবার পর্যন্ত সবাই পায় নি । তখন থেকেই সরকারি হলিডে গুলো এড়িয়ে বান্দরবান যাই ।
১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: এই ধারনাটা আসলে ২০০৮-০৯ এর দিকের যারা আমাদের মত সাধারণ মানের ব্লগার ছিল; যাদের লেখা কেউ তেমন কেউ খুঁজে পড়ত না। লেখা দেবার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই দ্বিতীয় পাতায় চলে গেলেই কেল্লা ফতে। দু-য়েকখানা মন্তব্য নিয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হত। সেই আমরা এখন যারা ব্লগের কেউকাটা। এখনো দু-চারদিন একই লেখা ব্লগের প্রথম পাতায় ঝুলে থাকে- বড় শান্তি লাগে দেখতে। সবাই ফের আসলে তো এই মজা থাকবে না।
২০২২শে শেষবার বান্দরবানে গিয়ে আমার ধারনা ঠক আপনার মত হয়েছিল। কক্সবাজারের অবস্থা সত্যিই বেতাল!!!! আমি যখন কেউক্রাডাং এ গিয়েছি তখন সেই সপ্তাহে আমাদের নিয়ে দুটো মাত্র গ্রুপ ওখানে গিয়েছিল। দুটোই ফটোগ্রাফি গ্রুপ- একটা ছিল পাখির ফটোগ্রাফির জন্য।
১৪| ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৬ মাইল রাস্তা আসলে কয় মাইল! ভালো লেগেছে কথাটা
কত পাহাড়ে, কত নালায় হেঁটেছি, সেসবের নামও ভুলে গেছি। কালাপাহাড় রেঞ্জের অন্ধগলিতে অন্ধের মতো হাঁটাহাঁটির দুঃসহ স্মৃতির কথাটাই শুধু এখন মনে পড়ছে।
লেখা ভালো লাগলো শেরজা তপন ভাই।
১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: পাহাড়ে ৬ মেইল আসলেই সমতলের ২০ মাইলেরও বেশি সেটা নিশ্চিত তবে সেটা নির্ভর করে পাথুরে পথ না মাটির পথ, ছড়া আর
জঙ্গল কেমন আছে? পাহাড় কতটুকু উঁচু-সর্বোপরি রাস্তা কেমন? কখনো ওরকম পথে চলাচল করতে অনভ্যস্ত সেটা দুশো মেইল সমান হয়ে যেতে পারে
কত পাহাড়ে, কত নালায় হেঁটেছি, সেসবের নামও ভুলে গেছি। কালাপাহাড় রেঞ্জের অন্ধগলিতে অন্ধের মতো হাঁটাহাঁটির দুঃসহ স্মৃতির কথাটাই শুধু এখন মনে পড়ছে।
আপনার সেইসব দিনের স্মৃতিকথা তো আর পড়লাম না- লিখেছেন না লিখবেন নাকি লেখার ইচ্ছে নেই?
১৫| ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: @মনিরা সুলতানা।
প্রথমে আপনার আব্বার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।আরো বেশি দুঃখিত আপনাকে কোন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারছি না।মুন্সিগঞ্জ এবং এর আশেপাশে অপারেশনের দায়িত্বে ছিলো মহিউদ্দিন সাহেবের ছোট ভাই আনিস।বতর্মানে পৌরসভার চেয়ার ম্যান।সে কিছু সাহায্য করতে পারে।আর পারে বিএনপির সময়কার এমপি মজিবর রহমান।তারা ঐ এলাকায় মুক্তি যুদ্ধের নয়মাস কাজ করেছে।আমি ছিলাম অন্য এলাকায়।যদিও মুন্সিগঞ্জ শহরেই ছিলাম বহু বছর।তারা সবাই আমার বন্ধু।বতর্মানে আমি বাংলা দেশের বাইরে।
১৬| ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: গিয়েছিলাম বান্দরবানের আলীকদমে সেই সময়ে যখন মোবাইল নামক জিনিষ আবিস্কৃত হলেও বাংলাদেশে তখনও পৌছায়নি। এখন ভাবি যে ভাগ্যিস মোবাইলের যুগ ছিল না। সেলফি তোলার হিরিকে কয়জনা এখন আর প্রকৃতি ও ঘুরে বেড়ানো উপভোগ করে ? চান্দের গাড়ীতে করে রুমা পর্যন্ত গিয়েছিলাম । কেওকারাডং যাওয়া হয় নাই। রুমার অপার্থিব সৌন্দর্য্য অবলোকনের সুযোগ হয়েছিল। তয় যেই ভয়ঙ্কর জার্নি তাতে আর জীবনে দ্বিতিয়বার মনে হয় না যে ওমুখো যাবার সাহস হবে !!
১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আলীকদম সুন্দর জায়গা- বান্দরবান দিয়ে গেলে দারুণ একটা থ্রিলিং ছিল তখন!
মোবাইলে সব বেড়ানোর আনন্দ মাটি করে দেয়। কেউ কেউ লাখে লাখে ছবি তুলে মন ভরে না!!
এখন রুমা যাওয়া অতীব সহজ- ডাল ভাত, তবে বান্দরবানে যে ক্যাচাল চলছে, ভ্রমনকারীদের জন্য অনেক স্থান নিরাপদ নয়-সবখানে যেতেও দেয়া হয় না। পর্যটন স্পটগুলোর ভীষন দুর্দশা যাচ্ছে!
১৭| ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি গত বছর প্রথম বান্দরবানে গিয়েছি। নীলগিরি পর্যন্ত গিয়েছিলাম। সকালে গিয়ে বিকালে ফিরে এসেছিলাম। তাই বেশী কিছু দেখার সুযোগ হয় নাই। ফেরার পথে বিকাল ৪ টার দিকে গাড়ির ব্রেকপ্যাড দেখি গরম হয়ে ধুয়া বের হচ্ছে। মহা বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম। আশে পাশে শুধু জঙ্গল আর পাহাড়। গাড়ি ঠিক করার মত কোন ব্যবস্থা নাই। গাড়ি থেকে নেমে ১ ঘণ্টার মত পাহাড়, জঙ্গল, ছোট সরু নদী, ছোট বাজার দেখে সময় কাটালাম। কারণ হল ব্রেকপ্যাডকে কিছুটা ঠাণ্ডা করার চেষ্টা। তারপরে ঐ উঁচু, নিচু পাহাড়ি রাস্তায় বহু কষ্টে ঝুকি নিয়ে বান্দরবান শহরে এলাম। খুব ধীরে চালাতে হয়েছে কারণ গাড়ির ব্রেক জোরে চাপলে আবার ধোয়া ওড়া শুরু করবে। আর ব্রেক নাও ধরতে পারে। ঐ রাস্তাগুলি শুধু আঁকাবাঁকা আর উঁচু নিচু। বান্দরবান শহরেও গাড়ি ঠিক করানো গেলো না। গাড়িতে পুরানো একটা ব্রেকপ্যাড ছিল সেটা ওরা লাগিয়ে দিয়েছিল। ওটারও অনেকটা একই অবস্থা। ইতিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। রাতের বেলা ধীরে ধীরে চালিয়ে আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে পরিবার সহ বেশ রাতে চট্টগ্রাম পৌঁছেছিলাম। গাড়ি নিয়ে এই রকম বিপদে আর কখনও পড়ি নাই। বিশেষ করে ব্রেকের সমস্যা নিয়ে গাড়ি চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।
১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: বড় ধরণের রিস্ক নিয়েছিলেন। বান্দরবানে বাংলাদেশের সবচাইতে উঁচু ও আঁকাবাঁকা সড়কগুলো অবস্থিত। আগে থেকে তথ্য উপাত্ত না নিয়ে পাহাড়ি পথে পার্সোনাল গাড়ি নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। ৪ হুইল ড্রাইভ গাড়ি ছাড়াতো একদমই বেঠিক ওপথে যাওয়া। বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন!
উচিৎ ছিল বান্দরবানে কোন রিসোর্টে পরিবার রেখে আপনার চিটাগাং এ গিয়ে ব্রেকপ্যাড এনে গাড়ি ঠিক করে তারপরে আসা।
১৮| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৭
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন:
দুঃখিত, বিশ্বাস করতে পারছিনা।
২০০৮ সালের আগে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান এই দিন পার্বত্য জেলায় মোবাইল ফোন কোম্পানি গুলো নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এর জন্য অনুমতি প্রাপ্ত ছিল না। এর বাহিরে চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য বিজিবি /বিডিআর /স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেও টেকনাফের কিছু এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর অনুমতি ছিল না।
একইভাবে বান্দরবানের আশেপাশে চট্টগ্রামের সীমান্ত এলাকাতেও নেটওয়ার্ক টাওয়ার বসানো রেস্ট্রিক্টেড ছিল।
২০০২ সালের ৯০০ মেগাহার্টজ জিএসএম নেটওয়ার্কের তাত্ত্বিক কাভারেজ সীমা ৩৫ কিলোমিটারের মতো। জন মানব শূন্য সমতল এলাকায় কোন বাধা না থাকলে এবং উঁচু পাহাড়ের উপরে টাওয়ার স্থাপন করা হলে এর কাছাকাছি রেঞ্জ পাওয়া যেতেও পারে।
বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ আরবান এলাকায় সমতলে এই রেঞ্জ ৮ কিলোমিটার এর কাছাকাছি। বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় এই রেঞ্জ দুই থেকে চার কিলোমিটার হতে পারে।
বান্দরবানের যে এলাকার কথা আপনি বলছেন তার নিকটতম যে এলাকায় মোবাইল টাওয়ার ছিল তা হলো সাতকানিয়া । আপনার রিসোর্ট থেকে এই জায়গার এরিয়াল দূরত্ব ২০ কিলোমিটারের মতো। এমন কি ঠিক সীমান্ত বরাবর নেটওয়ার্ক পিলার লাগানো হলেও (যা সেই সময় নিষিদ্ধ ছিল) এর রেঞ্জ কোনভাবেই বান্দরবানের ওই এলাকায় পৌঁছাবেনা।
আপনার গল্প বিশ্বাসযোগ্য না।
আমি বলছি না আপনি মিথ্যা কথা বলেছেন।
হয়তো ২০১২ লিখতে গিয়ে ভুল করে ২০০২ লিখেছেন।
ছবি সূত্র: https://www.thedailystar.net/news-detail-31107
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমার সেই সময়ের ছবি ডকুমেন্ট সব আছে। ২০১২ সাল নাগাদ আমি প্রায় ৮ বার বান্দরবান গিয়েছি। সেইবার ওখানে যাবার পর ওই যায়গাটা এতটাই প্রিয় হয়ে উঠেছিল যে আমাদের অবকাশ যাপনের সবচাইতে পছন্দের জায়গা ছিল বান্দরবানের রিগ্রিখ্যাং রিসোর্ট।
আপনার কথা তৎসংক্রান্ত অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য কিন্তু যেই যায়গাতে আমরা শুধু দিনের একটা বিশেষ সময়ে খুব দুর্বল নেটওয়ার্ক পেয়েছিলাম তা ছিল পাহাড়ের সংকীর্ন এমন একটি কোনাকৃতি যায়গায় যেখান থেকে বহুদুর পর্যন্ত দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত করার মত উঁচু কোন পাহাড় ছিল না। চিম্বুকের উপর থেকেও সুন্দর প্রকৃতি দেখা যেত না। আমার যতদুর মনে পরে আকাশ মেঘলা বা কুয়াশা থাকলে নেটোয়ার্কের রেঞ্জটা ভাল থাকে। সেখানে শুধুমাত্র তখন একেটেলের পাওয়া যেত সম্ভবত।
আপনি যদি এ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য চান তবে আমি আরো কিছু তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করতে পারি। তবে সময়কালটা ২০০২/৩ সালই ছিল।
১৯| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৯
শায়মা বলেছেন: আমিও এই রিসোর্টে গেছি মনে হচ্ছে। তবে বান্দরবানে নিলগিরিতেও এত্ত জোক!!!!!!!!!!
আমি তো ভয়ে শেষ!!!!!!!!!
যদিও জোক অনেককে ধরলেও আমাকে ধরার সাহস পায়নি!!!
১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: জোক মানুষ চিনে
আপনারে ধরলে বান্দরবানে জোকের গুষ্টি নির্বংশ হয়ে যেত
বর্ষা কালে ওখানে গিজ গিজ করে জোকে- সেজন্য গুল থ্যারাপি দিতে হয়। মানে হাতে পায়ে গুল লাগালে জোক ধরে না।
২০| ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: সতি হলো ই- মেইল একাউন্ট একাধিক আছে।কিন্তু একটাও আমি জানি না বা ব্যবহার করি না।ফেবুতে একাউন্ট আছে যেখানে আমার মেয়েরা আর দুই এক জন ঘনিষ্ট বন্ধু কল করে।আমি কোন কিছু পোষ্ট করি না।
২১| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৫
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: এই ব্লগে যে ধরনের গালিগালাজ এবং উগ্র মন্তব্য পাল্টা মন্তব্য করা হয় তাতে কোন পোস্টে মন্তব্য করতে ভয় লাগে।
আমার মন্তব্যের জবাব অত্যন্ত শোভন ভদ্রভাবে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওই সময়টাতে চট্টগ্রাম কক্সবাজার অঞ্চলে একটেলের নেটওয়ার্ক সবচেয়ে ভালো ছিল এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ওটা প্রথম পছন্দের নেটওয়ার্ক ছিল। আমার জানা নেই বান্দরবানের সবচেয়ে কাছের টাওয়ারটা কত দূরে ছিল, তবে যেমনটা বলেছেন সেরকম ফাঁকা জায়গা হলে নেটওয়ার্ক থাকা অসম্ভব হবে না।
এরকম আরো জীবন থেকে নেয়া গল্পের অপেক্ষায় থাকবো।
অনেক শুভকামনা।
২২| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: @কামাল১৮ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য। আপনার উল্লেখ করা শ্রদ্ধেয় দুজনের কাছেই চেষ্টা করবো জেনে নেবার। দেশ থেকে দূরে প্রবাসী জীবনে কোন মুক্তিযোদ্ধা আছে জানতে পারলে ভীষণ খারাপ লাগে, তাদের অভিমান বা মনের কষ্টগুলো অনুভব করার চেষ্টা করি।শুভ কামনা আপনার জন্য
২৩| ১৩ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
কবে গিয়েছিলেন- কোথায় কোথায় ঘুরেছেন?
গিয়েছিলাম অনেক আগে, জাস্ট দুইদিনের জন্য।
সাঙ্গু নদী, পাহাড়ের ওপরে কিছু টেম্পল, মেঘলা, এরকম বেশ কিছু জায়গায়, সব মনে নেই।
বোমাং রাজার সাথে দেখা করে কিছুক্ষণ গল্প করেছিলাম, এটা মনে আছে।
২৪| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা কত দিন বাদে প্রথম মন্তব্যখানা আপনার কাছ থেকে পেলাম! মনে হচ্ছে বাঁধিয়ে ঝুলিয়ে রাখি।
সেই ২২ বছর আগে ভ্রমন করেছিলাম- তখন জন্ম নেয়া পোলাপান এখন বিয়ে-সাদি করে ফেলছে অত পুরনো কথা কি আর মনে আছে সেরকম করে।
যদিও ঠিক বলেছেন ভ্রমন আর যাপিত জীবনের রম্য আমার লেখার মুল উপজীব্য ছিল- বয়স বাড়ার সাথে সাথে খটমট লেখায় মনযোগী হয়েছি, বুড়ো বয়সে যেমন ভীমরতি হয় আর কি।
আপনার কথা কি আর ফেলতে পারি। আলকাশ-তো শেষ করেছি মূলত আপনার গুতো ধাক্কায়। দেখি এইটার কি হাল হয়?
সত্যি কি দুর্দান্ত সব ব্লগিং সময় গেছে আমাদের !!! প্রিয় লেখার জন্য অপেক্ষা করতাম, ব্লগারের নামের পাশে সবুজ বাতি দেখলে তক্কেতক্কে থাকতাম, কখন লেখা পোষ্ট করবে। এক নিঃশ্বাসে পড়া শেষ করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মন্তব্য করা। এখনকার মত প্রথম মন্তব্যের জন্য জায়গা দখল প্রতিযোগিতা না, তবে প্রথম মন্তব্য করতে পারলে অন্যরকম ভালোলাগায় ভরে যেত মন।
দেখেন ২০/২২ বছর আগের স্মৃতিগুলো ই কিন্তু রোমন্থন করতে ভাললাগে এবং সে লেখায় নস্টালজিয়া থাকে বলেই লেখা মোহনিয় হয়। সুতরাং যতটুকু মনে আছে আমাদের সাথে ভাগাভগি করেন।
কোন অসুবিধা নেই আমাদের আপনার খটমট লেখায়, সেসব লেখায় মন দিয়েছেন বলেই না কিছু কঠিন বিষয়ে আপনার সহজ বর্ণনায় আমাদের কাছে সরল পাঠ হিসেবে ধরা দেয়। তবে সাথে মাঝে মাঝে সিগনেচার স্টাইল লেখার জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখবেন মনে করে।
আহা আলকাশ! আহা মিশুভাই !!! বারংবার পড়ার মত।
২৫| ১৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আধখানা ভ্রমন গল্প পড়ে গল্প শোনার সাধ অবশ্যই মিটলো না, তবে যতটুকু লিখেছেন, তার সবটাই উপভোগ্য হয়েছে। জায়গাটা মোটামুটি পরিচিত হওয়ায় আপনাদের অনুভূত পরাবাস্তব রোমাঞ্চ পাঠক হিসেবেও বেশ অনুভব ও উপলব্ধি করতে পারলাম।
"জোক মানুষ চিনে। আপনারে ধরলে বান্দরবানে জোকের গুষ্টি নির্বংশ হয়ে যেত" -
২৬| ১৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লিখতে চেয়েও ভুলে গেছিলাম, দুটো ছবিই খুব সুন্দর!
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: না না একদম এখানে শেষ করা যাবে না। পরের পর্বে অবশ্যই আমাদের রুমা খাল দিয়ে হেটে হেটে বগা লেক হয়ে কেউক্রাডাং হয়ে তাজিংডং-ভ্রমণের গল্প শোনাবেন।
অনেকদিন পর আপনার সিগনেচার লেখায় ফিরলেন।