নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কফি হাউজ নিয়ে পরের সেই গানটাই কোথায় হারিয়ে গেল- আজ আর নেই!

২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

~ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও মান্না দে।
ফিহাউজ গানটি নিয়ে মান্না দে সবসময় নিজের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব দিয়েছিলেন গীতিকার সুরকারকে - তিনি শুধু গানটা গেয়েছিলেন মাত্র।। আসলেই তো এমন কালজয়ী একটা গান লেখা আর সুর দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। একটা গানে যেন অনেকগুলো মানুষের পুরো একটা জীবনের গল্প বলা আছে।
তার মতে, হেমন্ত গাইলে গানটা সুপারহিট হতো আর শ্যামল মিত্র গাইলে তো হিট। তবে মান্নার কণ্ঠে যে গানটি চিরকালীন পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন গানটির সুরকার সুপর্ণকান্তি।
তবে মান্না দে এ গানটির দ্বিতীয় অংশ হিসেবে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ শীর্ষক একটি গান প্রথম গানটির ঠিক কুড়ি বছর বাদে গেয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যময় কারণে সেটি শোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বাঙালি।
কফি হাউসের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ নামে গানটি একটি নতুন রেকর্ড কোম্পানিই রেকর্ড করিয়েছিল । কিন্তু সুপর্ণকান্তি জানিয়েছেন, সেই গানের অরিজিনাল স্পুলটি পাওয়া যায়নি। ফলে অন্য স্পুল দিয়ে কাজ করতে হয়েছিল। নিখিলেশ, মইদুলদের নিয়ে দ্বিতীয় গানটি লিখেছিলেন শমীন্দ্র রায় চৌধুরী। প্রথম গানের স্কেলেই গানটা করেছিলেন মান্না দে। দ্বিতীয় গানটি প্রথমটির থেকেও সুরের বৈচিত্রের বিচারে অনেক ভাল হয়েছিল। কিন্তু কোথায় গেল সেই স্বপ্নের কফি হাউস কেউ জানে না। মান্না দেও হতাশ। তিনি শুধু বলেছেন, বাঙালি তো জানতেই পারল না সেই গানের কথাঃ

কফি হাউজ-২
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই, আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই
নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে-এখানেই পুজোটা কাটাবে
কী এক জরুরি কাজে ঢাকার অফিস থেকে-মইদুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতা-আসবেনা অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে-ওদের কখনো কি ভোলা যায়?
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,আজ আর নেই

ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা-শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে তবু-কিসের অভাব যেন সুজাতার
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা-অভিমান ছিল খুব অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেই সব কবিতাই-মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের

নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরস্কার-নিখিলেশ হ্যাপি থেকে গিয়েছে
একটা মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার-দুহাত উজার করে দিয়েছে
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতে-নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্ক স্ট্রীটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়-ইচ্ছে বা তার কোন শখে নয়

কার দোষে ভাঙলো যে মইদুল বলেনি-জানি ওরা একসাথে থাকেনা
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে-কেউ আর কারো খোঁজ রাখেনা
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়-রমা রয় পারেনি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন-হারালো সে চেনা মুখ খুঁজতে

দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা পোস্টার-বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই,যে আসে বন্ধু সেই-আড্ডা তর্ক চলে সমানে
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো-হয়ত আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে-ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গীটার
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,আজ আর নেই।।

মান্নাদের মধ্য বয়সের উদাত্ত কন্ঠের এই গানটির প্রথম সুর চিরতরে হারিয়ে গেছে। তবু দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য তার শেষ বয়সের কফি হাউজের সেই আড্ডার মত ভেঙ্গে যাওয়া কন্ঠে এই গানটি শুনে শ্রোতা আপাতত আক্ষেপ মেটাতে পারেন;

সপ্নের কফি হাউজ
***
এবার আসি অন্য একটা প্রসঙ্গেঃ
~ কফি হাউজের সুরকার সুপর্নকান্তি ঘোষ (নচিকেতা ঘোষের ছেলে) ।
এই গানের সুরকার সুপর্নকান্তি ঘোষ একটা কথা বলেছেন; কফি হাউজের সব চরিত্র নাকি কাল্পনিক! আপনার কি মনে হয়? তাহলে ঢাকার সেই মইদুল কোত্থেকে আসল?


~নুর আহমেদ মঈদুল ১৯৩৬ সালের ১৩ জানুয়ারি কলকাতার উত্তর চব্বিশ পরগণায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ১৫ বছর বয়সে মান্না দে'র সঙ্গে পরিচয় হয়। মান্না দে'র গানের আসরে নিয়মিত যোগ দিতেন। কলকাতার ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়াড় হিসেবে সফল মঈদুল ঢাকায় এসে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব এবং ইকবাল স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ব্যাডমিন্টন ও ফুটবল খেলেন। ১৯৬৪ সালেই তিনি পাকিস্তান রেডিওতে ক্রীড়া ধারা ভাষ্যকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৬৬ সাল থেকে দৈনিক আজাদ, ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, ইনকিলাব, সংবাদ, বাংলার বাণী ও দৈনিক পূর্বদেশে খেলাধুলা নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে গেছেন। বিভিন্ন সাপ্তাহিক ও পাক্ষিকেও লেখালেখি করে গেছেন তিনি। ~ কফি হাউস গানের সুরকার সুপর্নকান্তি ঘোষ কথা সত্য হলে সারাজীবন মিথ্যে কথা বলে গেছেন মঈদুল। তার কথায় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার নিজে কখনো কফি হাউজে আড্ডা দেন নি। সব চরিত্রগুলো তার কল্পনায় আঁকা। হয়তো মান্নাদের পরিচয়ের সুত্র ধরে ঢাকার মঈদুলের সাথে পরিচয় হয়ে এই নামটা তার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল।


এরপরে আসি সুজাতার কথায়;
লকাতা আর্ট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন সুজাতা রানী দাশ। গাইবান্ধা থেকে সত্তরের নির্বাচিত এমপি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ওয়ালিউর রহমান রেজাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। যদিও তাঁদের প্রেম হয় ১৯৬২ সালে, তাঁরা বিয়ে করেন ১৯৭২ সালে। সুজাতার বাসস্থান ঢাকার মোহাম্মদপুরে।
সুজাতা এখনো বেঁচে আছেন - আমি তার কোন সাক্ষাতকার পাইনি। কেউ কেউ বলেন তাকে নাকি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ভালবেসেছিলেন।
এটাও একেবারে ডাহা মিথ্যে কথা। সুপর্নকান্তি ঘোষ নিজের মুখে বলেছেন এসব চরিত্র কেউ নেই পৃথিবীতে।
হায় আমরা কত কত ভুল ইতিহাস আর ভুল মানুষকে ভুল জেনেই না বেঁচে আছি ...


*** সুত্রঃ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ মিডিয়া***

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১৫

জটিল ভাই বলেছেন:
ঘটনাগুলি বিক্ষিপ্তভাবে পড়েছিলাম।
সাজিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মাথা হ্যাং হয়ে আছে- ভাবলাম একটু গান-বাজনা নিয়ে থাকি খানিক্ষন :)
অনেক ধন্যবাদ ও জটিলবাদ আপনাকে।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মনে হয় ব্যাপারটা এমন যে, গানের কিছু চরিত্র বাস্তব আর কিছু চরিত্র কাল্পনিক। একজন মোটামুটি নিম্নমানের লেখক হিসাবে জানি, কেউ যদি কিছু লিখে (ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট বাদে) তার সবটাই কাল্পনিক হয় না; অবচেতনভাবে হলেও কল্পনা আর বাস্তবের একটা মিশেল থাকে।

এই গানের বিষয়টা জানতামই না। এই প্রথম শুনলাম। প্রথমটার মতো চমৎকার না হলেও বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ বিষয়টা সামনে আনার জন্য। :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বাস্তবের কিছুটা মিশেল না থাকলে একেবারে বাস্তব্ধর্মী কিছু লেখা যায় না।
সুপর্নকান্তি ঘোষ ছিল গৌরীপ্রসন্নের ছেলের মত। কেমব্রিজে পড়াশুনা শেষে সে নিয়মিত আড্ডা দিয়ে বেড়ায় সেটা উনার বাবা নচীকেতা ঘোষের পছন্দ ছিল না- প্রফেশান ও বন্ধুত্বের সুতে গৌরীপ্রসন্নও নাখোশ ছিল, তাই সুপর্নকান্তির অনুরোধে আড্ডার একটা গান যখন লিখলেন, তখন ইচ্ছেয় হোক অনিচ্ছায় হোক তিনি স্বীকার করেননি আড্ডা দিয়ে এ গান লিখেছেন তিনি- ওকে বোঝাতে চেয়েছেন আড্ডা দেয়া ছাড়াও আড্ডার গান লেখা যায়।
অনেক ধন্যবাদ বিশ্লেষন ও মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

শায়মা বলেছেন: বুঝেছি এই সব নাম দেখে শুনে কবি মানে গীতিকার কল্পনায় সত্য মিথ্যা মিশিয়ে গানা লিখে কালজয়ী হয়ে গেছেন.... :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এখনো বিশ্বাস করি না পুরো কাল্পনিক চরিত্র আর ঘটনা নিয়ে এমন একটা কালজয়ী গান লেখা যায়। কেন সেটা আগের মন্তব্যে ব্যাখ্যা করেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে- বেশী বেশী গান শুনুন -জেগে জেগে সপ্ন দেখুন :)

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৫:০২

রবিন_২০২০ বলেছেন: শুধু কথা আর সুর ই নয়, মূল গানটির মিউজিক ও অসাধারণ। অজস্রবার শোনার পরও আবেদন একটুও কমেনি।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: মান্নাদের সময়ে আসলেই দুর্দান্ত প্রতিভাধর কিছু লিরিক্স রাইটার ও মিউজিশিয়ান এসেছিলেন। এখন যে নেই তা নয়, কিন্তু তারা সঠিক পরিচর্যা আর পরিবেশ মাধ্যমের ( খুব বেশী হয়ে গেছে) অভাবে তাদের প্রতিভার সঠিক প্রকাশ করতে পারছেন না।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

কাছের-মানুষ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। কফি হাউজের ব্যাপারে অনেক কিছু জানলাম! এটি আমার প্রিয় একটি গান। দ্বিতীয় গানটির ব্যাপারে জানতাম না—এই প্রথম শুনলাম, ভালোই লাগল।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: দ্বিতীয় গানটার ব্যাপারে প্রায় অনেকেই কিছুই জানেন না।
এটা আড্ডাপ্রিয় সব বাঙ্গালীর হৃদয়ের গান। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য -শুভকামনা রইল।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




সোজা প্রিয়তে.............................

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই- বহুদিন আপনার কোন পোস্ট যে নাই!!
মহাবেকুব জাত কথন এখন বড় দরকার

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার লিখেছেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: মাথা খালি করার জন্য এইদিকে মনোযোগ দিলাম :) অনেক ধন্যবাদ

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

কিরকুট বলেছেন: এমন তো হতে পারে । চরিত্র কাল্পনিক ঘোষণা দিয়ে জীবত চরিত্রদের বিব্রত হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন । কারন পুরা গানটাতে এমন কিছু ঘটনার কথা ইঙ্গিত করা আছে যা নিয়ে কন্ট্রভার্সি হতে পারে ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে- আমিও এমনটা আভাস দিয়েছি আগের একটা মন্তব্যে।
বিশ্লেষনেমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার নিজে কখনো কফি হাউজে আড্ডা দেন নি। সব চরিত্রগুলো তার কল্পনায় আঁকা।
- এটা আমিও শুনেছি কোনো একটা ইউটিউবের অনুষ্ঠানে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এইরকম ম্যাদা মেরে গেলেন কেন- ব্লগে আর তেমন কোন উপস্থিতি দেখছি না ইদানিং যে?

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার শিরোনাম! পোস্ট পড়েও চমৎকৃত হলাম।

এই গান শুনিনি জানতাম না শুনে খুব ভালো লাগলো।

আমার মনে হয় বাস্তব চরিত্রের কিছুটা ছিল গানে! জানবার কোন উপায় আপনার নেই। কিন্তু আপনি এই ভিডিওটা কিভাবে পেলেন?

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আগে গানের কথা জেনেছি তারপর ভিডিওটা খুঁজে খুঁজে পেয়ে গেলাম!
কিছু চরিত্র কিংবা সেই আড্ডাটাও বাস্তবে থাকা খুবই সম্ভব। হয়তো অন্য কারো আড্ডার গল্প শুনে তিনি লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপু।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যে অনেকগুলো ভুল হয়ে গেল। :( আশা করি বুঝতে পারবেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি কোন ভুল-টুল পাইলাম না তো!! :)

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গানের চরিত্রগুলি সত্যি হোক বা মিথ্যে হোক না কেন গানটা আমার স্ত্রীর প্রিয় গান। আমারও প্রিয় অবশ্যই। মান্নাদের বহু গানই প্রিয়। এক জায়গায় পড়েছি যে মান্নাদে কফি হাউজে জীবনে কখনও যাননি। মান্না দে কুস্তিতে পারদর্শী ছিলেন তরুণ বয়সে। বহু বিখ্যাত হিন্দি গান আছে মান্নাদের গাওয়া।
অনেক কিছু জানা হল আপনার পোস্ট থেকে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: মহান এই শিল্পী মান্নাদে একটু একগুঁয়ে দাম্ভিক টাইপের মানুষ ছিলেন- তিনি বেশ চাঁছাছোলা কথা বলতেন।
রপ্তহম দিকে এইসব গান নিয়ে তার আবেগ অনুভুতি কম ছিল মনে হয়। তবে শেষ জীবনে অনেক বেশী আবেগী হয়ে যেতেন। উনি একটা সময় হিন্দী চলচ্চিত্রের মিউজিকের প্রতি বেশী অনুরক্ত হয়ে পড়েন।
কফি হাউজ নিয়ে তার কোন ফিলিংস ছিল না। আসলে সারা বাংলাভাষী মানুষ দুলেছে এই গানের কথা সুর আর গায়কীতে। সবার অন্তরেই যেন গেঁথে আছে নিরন্তর এ গানের রেশ। ধন্যবাদ আপনাকে।

* মিসেস সাড়ে চুয়াত্তর-ও আড্ডাবাজ নাকি?

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: সবসময়ের মতো চমকপ্রদ পোস্ট। কফি হাউজ -২ আছে আগেই জানতাম না।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি কি ভাই জানতাম- জেনেছি অনেক পরে :)

ভাল আছেন আপনি?

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টটা অফ লাইনে পড়ে গিয়েছিলাম। এরপর ইউটিউবে খুঁজলাম এ গানের অন্য ভার্সন পাওয়া যায় কিনা। যেটা পেলাম সেটা আর এটা একই বস্তু, তবে এটার মিউজিকটা একটা বেশি অরিজিন্যাল মনে হলো, অর্থাৎ আপনার লিংকের গানটি এডিটেড, বা ডাটা লস হয়েছে বেশি, ফলে গানের মাধুর্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমি যেটা পেলাম, এটার মিষ্টতা একটু বেটার, যদিও রেকর্ডিং একই।

কফি হাউস - পার্ট-২। মান্না দে।



আমার কাছে তো গানটা অরিজিন্যালই মনে হয়েছে। তবে, দুটি গানই যদি একই স্কিলনেসে গাওয়া হতো, ইভেন, পরেরটার মাধুর্য যদি আগেরটার চাইতে বেটারও হতো, প্রথমটার ঔজ্জল্যের কাছে পার্ট-২ চিরকালই ম্লান থাকতো বলে আমার মনে হয়। কারণ, প্রথম গানটা খুবই মেলোডিয়াস ও জীবনমুখী হওয়ায় ওটা আগেই কালজয়ী গানে রূপান্তরিত হয়েছে (মান্না দে'র প্রায় সব গানই এমন, বিশেষ করে আধুনিক গান)। এ অস্থায় ২য় গানটি প্রথম গানটির কাতারে আসতে পারে না।

তবে, ২য় গানের লিরিক খুবই আবেগময় ও বেদনাঘন। এখানে ট্রাজেডির পরিমাণ বেশি। ডিসুজা নামক এক চরিত্র দেখা যায়, যার মেয়ে পার্ক স্ট্রীটে রাতে নাচে গায়, কিন্তু শখে বা নিজের ইচ্ছায় নয়। খুব করুণ এ ঘটনাটা। এ গানটার শেষ ৪ লাইনে হাই নোট দিয়ে শেষ করা হয়েছে, তবে গানে সেটা ভালো মতো ফুটে ওঠে নি।

২য় পার্ট-এর লিরিক খুব ভালো হলেও ১ম গানের তুলনায় এটি অনেক পিছিয়ে, অনেক দুর্বল দিক। মান্না দে'র গলায় তারুণ্যের তেজ ও মাধুর্য নেই। স্বর বসে গেছে। সুরে বৈচিত্র আনা হয়েছে, কিন্তু লিরিকের ভাবের সাথে অনেক ক্ষেত্রেই মিলে নি বলে আমার মনে হয়েছে। আমি গাইবার চেষ্টা করেছিলাম, সুর অনেক চেঞ্জও করেছি যেখানে প্রয়োজন মনে হয়েছে, যদিও এটা ধৃষ্টতা।

এ বিষয়ে ব্লগে এর আগে আমি দুটো পোস্ট পড়েছি, দুটো পোস্টে না হলেও অন্তত একটায় কমেন্ট করেছি। গানের চরিত্রের নামগুলো কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে, বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই, কিংবা বাস্তব কোনো চরিত্র থেকে এদেরকে গানে নেয়া হয় নি বলে আমি ব্লগ ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় পড়েছি। অনেকটা বনলতা সেনের মতোই এ নামগুলোর অস্তিত্ব রহস্যময়।

আমিও গান ও কবিতা লিখেছি। আমার গানে ও কবিতায় অনেক নায়িকা-চরিত্র আছে। আমার গান বা কবিতা নিয়ে তো কোনোদিন কেউ আলোচনা করবে না, তাই আমি এটা উহ্য রাখলাম, আমার নায়িকা-চরিত্রগুলো বাস্তবে আছে, কী নাই :)

পোস্ট খুব ভালো লাগলো। কফি হাউজের ২য় পার্ট খুঁজতে গিয়ে পেলাম আরেক হীরক খণ্ড, যেটি গেয়েছেনও এক হীরক তুল্য শিল্পী।

সেই স্বপ্নের কফি হাউস - নচিকেতা চক্রবর্তী



নচিকেতা চক্রবর্তীর গানে নচিকেতা চক্রবর্তীর চরিত্ররা আর আবহ বিদ্যমান। অর্থাৎ, একই গানের সিকোয়েল বলা যায়।



৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: নচিকেতা চক্রবর্তীর গানটা শুনেছি। সে ছিল তো আমাদের প্রথম যৌবনের প্রিয় শিল্পী।
আপনার দেয়া লিঙ্কের এই ভার্সানটা আসলেই বেশ উন্নত। অনেক ধন্যবাদ।
একেবারে আরাম করে গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্য গানটি নিয়ে বেশ প্রাকটিস করেছেন বোঝা যায়। এটা হুটহাট মন্তব্য নয়- অনেক গভীরবোধ থেকে উঠে আসা কিংবা বিশেষজ্ঞের মতামত বলা যায়।
দ্বিতীয় পর্বটার কিছু স্থানে আমারও খাপছাড়া মনে হয়েছে। আসলে প্রথম পর্বেই ট্রাজেডি এনে যবনিকা টানা হয়ে গেছে, দ্বিতীয় পর্বের আর প্রয়োজন ছিল না। এটা এমনিতেই তেমন জনপ্রিয়তা পেত না বরং প্রথম গানটার আবেদন ক্ষুন্ন করত।
সুদীর্ঘ সাজানো গোছানো আলোচনা কিংবা মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ। আপনার এই মন্তব্য আমার এই পোস্টের অনেকগুন শ্রীবৃদ্ধি করেছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
ভাল থাকবেন।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নচিকেতা চক্রবর্তীর গানে নচিকেতা ঘোষের চরিত্ররা আর আবহ বিদ্যমান। অর্থাৎ, একই গানের সিকোয়েল বলা যায়।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন -অনেক ধন্যবাদ ভাই ফের মন্তব্যে আসার জন্য।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিসেস সাড়ে চুয়াত্তর আমার চেয়ে বেশী আড্ডাবাজ, মিশুক আর আলাপী। হৈ হুল্লোড় পছন্দ করে। আমি কিন্তু আসলে বিপরীত চরিত্রের। :) আমার ব্যর্থতা, তাকে সেই রকম পরিবেশ সব সময় দিতে পারিনি। তবে আমি চেষ্টা করি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আহারে বেচারীর হাড় মাংস কালা কালা হয়ে গেল আপনার সাথে বিয়ে হয়ে :(
বড়ই দুষ্কের কথা ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.