নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
২০ সেপ্টেম্বরঃ দোয়ারাবাজার সীমান্তে ভারতের পাচারের সময়ে ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশে গতবারের সমপরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম তো কমেই নি বরং বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
ইলিশপ্রেমী বাংলাদেশীদের চাহিদা ছিল ভারতে যেন ইলিশ রপ্তানি না হয়- তাহলে আমরা সস্তায় দু চার টুকরে ইলিশ পাত পেড়ে খাব।
গতবার দূর্গা পূজার আগে বেশ কয়েক হাজার টন ইলিশ ওপারে রপ্তানি হয়- পাচার য় প্রচুর। এই নিয়ে এদেশের ইলিশ খেকোদের হা হুতাশ ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু এবার ইলিশের মৌসুমে ওপারে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ হয়ে গেল- তবুও ইলিশের দাম তো কমলই না উল্টো বেড়ে গেল!! কেন?
গত সরকারের সমর্থকেরা বেজায় ট্রল করছেন এই নিয়ে- যারা ভারতে মাছ রপ্তানী নিয়ে হা-হুতাশ করতেন মাছ রপ্তানীর বিপক্ষে বেজায় সরব ছিলেন তারা বাংলা পাঁচের মত মুখ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই সরকারের উচ্চমহল কোন কুল-কিনারা পাচ্ছে না; শুভঙ্করের ফাঁক টা কোথায়? পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদকেরা তালকানা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোন দিশা পাচ্ছে না ...
ওদিকে ফেসবুকে চলছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী বনাম বাংলাদেশীদের সেইরকম ডিজিটাল যুদ্ধ।
বাংলা ট্রিবিউনে 'একটা নিউজ দেখলাম। নদীতে ইলিশ ধরা বাদ দিয়ে অনেক জেলেই চলে যাচ্ছে সুমুদ্রে ইলুশ আহরনের জন্য। নদীতে মাছ ধরে মহাজন ফরিয়া দাদন ব্যাবসায়ী আর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে যায় তারা। আসলে ঘাটে যেই দামে ডাক ওঠে সেটা কোনভাবেই জেলেদের দাম নয়জেলেরা আগে থেকেই দাদন বা লোন নিয়ে রাখায় আর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি থাকায় তাদের দাম বেঁধে দেয়া থাকে- তাছাড়া বাকিতে মাছ নেয় অনেকে। তারা কোনভাবেই বাইরে মাছ বিক্রি করতে পারে না। সেজন্য নদী মোহনার কাছ থেকে মাছ ধরে অনেকে গোপনে নিয়ে যায় বাংলাদেশ ভারতের সুমুদ্র সীমানায় কিংবা তারা সরাসরি সুমুদ্রেই মাছ ধরে সেই সুমুদ্র সীমানায় অপেক্ষারত ভারতীয় ব্যবসায়ী বা জেলেদের কাছে মাছ বিক্রি করে দেয়। মুলত ওরা কোন দরদাম করে না - এবং নগদ টাকায় মাছ কিনে নেয়।
কিন্তু সাতচল্লিশের দেশভাগের আগে পরের পদ্মা যমুনা মেঘনা সহ ফরিদপুর বরিশাল বৃহত্তর নারায়ঙ্গঞ্জ ও বিক্রম পুরের যেসব হিন্দু বাঙ্গাল ওপারে ঘাটি গেড়েছে তাদের নাকে এখনো লেগে আছে পদ্মা আর মেঘনার ইলিশের গন্ধ। এই ইলিশের এক টুকরো মাছ মুখে নিলেই যেন পুব বাংলার বাপ-দাদার সব স্মৃতি ঝাঁপি খুলে যেন বেরিয়ে আসে।
'গতবার ঠিক এই ২২ শে সেপ্টেম্বর আমার পোস্ট 'এপারের ইলিশ ওপারে' তে -পশ্চিমবঙ্গের পদাতিক ভাই বলেছিলেন,
'আমি গতকাল বাজারে গেছিলাম ওপারের ইলিশের খোঁজে। দেখলাম ভালোই আমদানি আছে পদ্মার ইলিশের( স্থানীয় ভাষায় বাংলা ইলিশ) সঙ্গে এপারের ডায়মন্ডহারবারের ইলিশের। এক কেজি সাইজের বাংলার দাম১৭০০ টাকা যেটা ডায়মন্ডহারবারের দাম ১৩০০ টাকা।আমি বাজার থেকে গন্ধ নিয়ে ফিরে এলাম।'
পোস্ট রেফারেন্স;
এপারের ইলিশ ওপারে ( ওপারে যাচ্ছি ... দোয়া রাইখেন)
৩০০০ টন অর্থ টনে ১০০০ পিস মাছ ধরলে ৩০ লক্ষ পিস মাছ। এগুলো সব নদীর মাছ-মানে বরিশাল 'লোকাল মাছ'। ( আজ সরকারের পক্ষ থেকে বলে হয়েছে, এটা লোকাল আহরিত মাছের মাত্র ১ দিনের মাছ।)
বাংলা ট্রিবিউনের খবর যদি পক্কা হয় তবে এত ইলিশ ওদেশের ব্যাবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাবার পরেও কেন চোরাই পথে ইলিশ যাচ্ছে। আমাদের দেশেই একটা বড় সাইজের (এক কেজির উপরে) মাছ ১৭০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, কখনো সেটা পাইকারি দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম আরো বেশী। যদি আমি ধরে নিই প্রতিদিনের আহরিত লোকাল ৩০০০ টন মাছের ১০০০ টন বড় শ্রেণীর- তাহলে ১০০ টন পাচার হলেও ৯০০ টন মাছ তো স্থানীয়ভাবে বিক্রি হচ্ছে? না হলে মাছের দর নিশ্চিতভাবে কমত।
তাহলে কিসের লোভে এই মাছগুলো ককশিটে ভালমত বরফজাত করে, পলি প্যাকিং, প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে সিলগালা করে, গোপনে বর্ডারে নিয়ে বিএসেফ বিজেবি কে পয়সা কড়ি দিয়ে হাত করে- স্থানীয় চোরাকারবারির যোগসাজসে-ধরা পরার পর পুরো মাল বাজেয়াপ্ত হবার মত পরিপূর্ণ রিস্ক নিয়ে কেন ওপারে নিয়ে যায়? এরপর সেটা যায় কয়েক হাত ঘুরে শহরের বাজারে। (এখানে কেজি প্রতি কত টাকা খরচ হয় কারো ধারনা আছে?)
কত টাকা বেশী দামে ওপারে এ মাছ বিক্রি হয়?
নিশ্চয়ই বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ(আদপে বরিশালের লোকাল) ইলিশ খাবার জন্য ওপারের এলিট কিছু শ্রেণী আছে যারা তিনগুন চারগুন দামে এই মাছ কিনে নাহলে যে মাছ আমাদের নিজেদের বাজারেই খুব সহজে ভালদামে বিক্রি করা যায় সেটা কিভাবে কেচ্ছা কাহিনী করে রিস্ক নিয়ে ওপারে যাবে?
আজকে আরেকটা বিষয় জানলাম; (সোর্স সন্মন্ধে শতভাগ নিশ্চিত নই) ইলিশ মাসের এই মৌসুমে দুর্গা পুজাকে সামনে রেখে ভারতীয় কিছু মাছ ব্যাবসায়ী বরিশালে আসে। তারা ও বরিশালের একটা সিণ্ডিকেট মিলে সবচেয়ে সেরা জাতের মাছগুলো যে কোন মুল্যে এই সময়ে স্টোর করে। এরপর যেভাবেই হোক সরকারকে মানিয়ে গুছিয়ে কিংবা বাধ্য করে এই মাছগুলোই রপ্তানী করে। সম্ভবত এই মাছ ওপারের সাধারন ক্রেতারা কখনো বাজারে পায় না (এগুলো দেড় কেজির উপরে। এমন কিছু মাছ আমি দেখেছিলাম, জুলাইয়ে গণআন্দোলনের কার্ফিউয়ের সময়ে। এক মাছ ব্যাবসায়ীর কাছে তারা বলছিল, এগুলো আড়ত থেকে বাকিতে এনেছে সন্ধ্যেয় টাকা দিবে। এই মাছ কোনভাবেই বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না তাই বাধ্য হয়ে লোকালি বিক্রি করছে, তাচ্ছিল্য করে এও বলছিল, বড়জোর এই সাইজ মাছ কোল্ড স্টোরেজের পাবেন টাটকা মাছ চোখেও দেখবেন না। বেশ সরেস সেই মাছ গুলোর এভারেজ সাইজ ছিল ১ কেজি ৬০০ গ্রাম। দাম ছিল ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা * ডিসকাউন্ট প্রাইস।) । তাদের কাছে কিছু পদ্মার মাছ যায় যদিও সেগুলো চোরাই পথে যাওয়া কিংবা সামুদ্রিক বর্ডারে ওই ব্যাবসায়ীদের কেনা মোহনার মাছ। তবে সেগুলো তুলনামূলকভাবে পশ্চিমবঙ্গের মোহনা ও লোকাল মাছের থেকে স্বুসাদু।
কলকাতায় একটা অনলাইন মার্টে ২০০০ রূপিতে নাকি অরিজিনাল পদ্মার ইলিশ বিক্রি করছে!!!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমার সুমুন্দি কিছু ইলিশ কিনে পাঠিয়েছে বরিশাল লোকালের। সে মালয়েশিয়া গেছে ট্যুরে আসলেই ফের বায়না করব
ভাইবেন না আবার সুমুন্দি দেখে এইবার ফের ফাউ নিব
২০০০ টাকা দিয়ে একটা ইলিশ কেনা সাধ্য থাকলেও আমার কাছে অপচয় মনে হয়।
আমাদের আজিজ ভাই জুলভার্ন ভাই আবার ইলিশ বিশেষজ্ঞ। পাথরঘাটার ইলিশ নাকি সবচেয়ে সুস্বাদু।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলে চিল্কা হ্রদের ইলিশ আবার কেউ বলে ইরাবতী নদীর ইলিশ নাকি সবচেয়ে স্বাদের। তার কোন স্বাদের মানদন্ড থেকে এটা বলেন আমার জানা নেই।
এইটা পাঠাইতেই হইত- নাইলে আজাইর্যা ক্যাচাল হইত।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: ওহ্ ৪০০০ টাকা দিয়ে ইলিশ আমি পিটাইলেও কিনব না! এতো ভাই টাকা চিবিয়ে খাওয়া। আপনি সেইরকম ভোজন রসিক মানুষ।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ৩০০০ টন অর্থ টনে ১০০০ পিস মাছ ধরলে ৩ লক্ষ পিস মাছ।
উহু! ৩০ লক্ষ পিস হবে ভাইয়া।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: আহা এত দিকে খেয়াল রাখলে হবে
ঠিক করে দিয়েছি ভাডি। শুকরিয়া
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: গত বছরের মতই তথ্যবহুল পোস্ট । সেই পোস্টে সবাই তেঁতে উঠেছিলাম ভারতে অনায্য ইলিশ রপ্তানির বিরুদ্ধে আর এবার সেই আমরাই বলছি যে ইলিশ পাঠানোর সরকারী সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে। আসলে পুরো বিষয়টাই নির্ভর করে পরিস্থিতির উপড়ে। বছরের পর বছর ইলিশ সিন্ডিকেটবাজী এক লহমায় ভেঙ্গে ফেলা বর্তমান সরকারের পক্ষে এত দ্রুত সম্ভব নয়। বরং একটা পরিবর্তনতো আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি যে, এবার ভারতকে অনুরোধ করে ইলিশ নিতে হচ্ছে , আগে যেটা না চাইতেই পাঠানো হত । আর দামতো দেখতে পাচ্ছি দুই দেশেই বেশি। তারপমানে এইবার রপ্তানিমূল্য বেশি ধার্য করা হয়েছে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ তখন মনে হয়েছিল ইলিশ রপ্তানী করে সব সর্বনাশ করে দিচ্ছে। আসলে অবৈধভাবে বা অন্য রাস্তায় ভারতে যা ইলিশ যায় সেই তুলনায় এই রপ্তানীকৃত ইলিশ নেহায়েত অতি তুচ্ছ। এটা স্পেশাল কিছু মাছের জন্য মাত্র।
পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও সাধারন মানুষ সবসময়েই পুজার আগে একটু আবদার করে ইলিশের জন্য- সেটা কখনো মিডিয়াতে আসে কখনো আসে না।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ইলিশ ইন্ডিয়া কিম্বা অন্য কোথাও পাঠানো হবে- বাম্পার লাভ করবে ব্যবসায়ীরা। আমাদের মতো মধ্যব, নিম্নবিত্তের সাধ্যি হবেনা ইলিশ কেনার!
ইলিশের স্বাদঃ ইলিশ মাছ যদিও সাগর থেকে উঠে আসে, অর্থাৎ নোনা পানিত থেকেই আসে। তবে নোনা পানির ইলিশের স্বাদ কম।ইলিশ মাছের স্বাদ বেশী কম নির্ভর করে নদীর নাব্যতা, ইলিশ মাছের খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং পানির খাড়ের পরিমাণের উপর। যে বা যারা যে এলাকার বাসিন্দা, সে বা তারা তাদের এলাকার ইলিশ স্বাদে সেরা বলতে অভ্যস্ত। তবে নিরপেক্ষ খাদক হিসেবে আমি এগিয়ে রাখবো চাঁদপুর এবং বরিশাল অঞ্চলের নদীর ইলিশ। অর্থাৎ লবণ পানির মোহনা পেরিয়ে অন্তত ৫০ মাইলের মধ্যে মিঠা পানি এলাকায় ইলিশ চলে এলে সেই ইলিশের স্বাদ বেশী হয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশ এমনিতেই মধ্যবিত্ত আর নিন্মবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে! এক কোটি টন ইলিশ ধরা পড়লেও আর তাদের নাগালের মধ্যে আসবে না।
আপনার মত আমিও বরিশালের লোকাল ইলিশকে এগিয়ে রাখব। তবে টাটকা মাছের হালকা ঝোলের জন্য পদ্মার মাছ ভাল কিন্তু প্রিজার্ভ করে খাবার উপযোগী নয়।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩
অস্বাধীন মানুষ বলেছেন:
ভারতকে ইলিশ দেয়া সময়উপযোগী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্তকে সহমত জানাই।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: এছাড়া আর উপায় কি বলুন?
সামান্য একটা বিষয় নিয়ে বেশী মাত্রায় আলোচনা হচ্ছে!!
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২০
ঢাবিয়ান বলেছেন: সরল মনে একটা জিজ্ঞাসা , এখনকার পদ্মার ইলিশ ভাজলে কি ঘ্রান ছড়িয়ে পড়ে ? বহুকাল ধরে মিয়ানমারের ইলিশ খাই প্রবাসে। স্বাদ ভালই। কিন্তু ভাজলে কোন ঘ্রান বের হয় না
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমি গতমাসে আগে একটা সুপারশপ থেকে দুটো মাছ কিনেছিলাম। দুটো মিলে ১৪০০ গ্রাম- দাম নিয়েছিল ২৩০০ টাকা। দামটা বড্ড বুকে লেগেছিল। কিন্তু ভাই রে মাছ দুটো ছিল সেইরকম! রান্নার সময়ে ঘ্রানে মৌ মৌ করছিল।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০১
আজব লিংকন বলেছেন: শেষ ইলিশ খেয়েছিলাম গত বছর নববর্ষে। ইলিশ নামটা শুনলেই মনে হয় বিলাসিতা।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: কথা খারাপ বলেন নি- এটা বিলাসি খাদ্যপণ্যের মধ্যে পড়ে গেছে, লাইক লবস্টার।
বড় ইলিশের থেকে ভাল জাতের মাছ হলে ৬/৭ শ গ্রাম ওজনের মাছ খেতে কম স্বুসাদু নয়, দামেও সস্তা হয়।
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুর্গা পুজায় ইলিশ মাছ না দিলে দাদারা মাইন্ড করতো তাই দেয়া হয়েছে। দুই অঞ্চলের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন আছে অনেক। ওদের দিবো না তো কাদের দিবো। অথচ এটা নিয়ে কত রাজনীতি হচ্ছে। অনেক উপদেষ্টার চাকরীও চলে যেতে পারে এই কারণে। আমার মনে হয় যতই উদ্যোগ নেয়া হোক না কেন ইলিশ মাছের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে কখনও আসবে না। এটার জন্য যদি কোটা সিস্টেম করা হয় তাহলে ভাগে কিছু পড়তে পারে যদি কোটা কপালে জোটে। যে সব এলাকা ইলিশের এলাকা থেকে অনেক দূরে (যেমন উত্তরবঙ্গ, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চল ইত্যাদি) তাদের জন্য ১০% ইলিশের কোটা রাখা উচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদের জন্য ইলিশের কোটা রাখা যেতে পারে ২০%। এই বারের আন্দোলনের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১০% কোটা। প্রবাসীদের জন্য ১০% কোটা রাখা যেতে পারে। শর্ত হল টাকা হুন্ডি করে দেশে পাঠানো যাবে না। নারীদের জন্য ২০% কোটা। কারণ কষ্ট করে ইলিশ মাছ ওনারাই রেঁধে খাইয়ে থাকেন। কাজের বুয়াদের জন্য ১০% কোটা। কারণ এরা মাছ কূটে দেয় কিন্তু খেতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের জন্য ১০% কোটা। শর্ত হল হাসিনার পক্ষে কোন কথা বললে মাছ ফেরত দিতে হবে। পহেলা বৈশাখে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১০% কোটা রাখা যেতে পারে। শর্ত হল ইলিশ মাছ পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে পান্তা ভাতের সাথে খেতে হবে (ছবি পরে ফেইসবুকে পোস্ট করতে হবে প্রমাণ স্বরূপ) আর পেঁচা, বাদুর, ইঁদুর, হনুমান ইত্যাদির মূর্তি নিয়ে কোন বে শরিয়তি শোভাযাত্রা ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের পূর্বানুমতি ছাড়া করা যাবে না। বাকি মাছ লটারির মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতরণ করা যেতে পারে (হেলমেট লীগের সদস্য ব্যতীত)। এতে সবার ভাগে কিছু ইলিশ মাছ পড়বে বলে আমার মনে হয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল কোটার সিস্টেম করেছেন ভাই কিন্তু মুল্য নির্ধারন হবে কেমনে?
সব মাছ কি সরকার কিনে পরে মুফতে বিতরন করবে নাকি রেশনে দিবে?
পুরো মৌসুমে যে মাছ ধরা পড়ে তার মুল্য ৫০ হাজার কোটি টাকার কম নয়!!!
মজার জন্য ঠিক আছে- সিরিয়াসলি কইয়েন না কিন্তু
৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: সমুদ্রে চোরাচালান কাঁটাতারের বেড়ার চেয়ে সহজ।রপ্তানি হবার আগেই কলকাতার বাজারে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেতো।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের কিছু নদনদীতে, ডায়মন্ড হারবারে ও ওদের গভীর সুমুদ্র থেকে প্রচুর ইলিশ আহরিত হয়।
কিন্তু কিছু বাঙ্গালের এদেশী পদ্মার ইলিশ ছাড়া মন ভরে না যে।
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৯
আহরণ বলেছেন: ভাইয়া, ইলিশ আমার পছন্দের মাছ না। একদম গিজগিজে কাটা। ভাজি/টাজি হলে একটু চলে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: একবার আমার দু'জন জাপানিজ বায়ার এসেছিল। তাদের সখ ছিল ট্রাডিশনাল ইলিশ রান্না খাবার। আমি বেশ বড় সাইজের ডিমওয়ালা ইলিশ কিনে সরিষা ইলিশ রান্না করে তাদের সামনে প্লেট সাজিয়ে দিলাম। অবিশ্বাস্যভাবে তারা দু'জনেই সবগুলো মাছ পুরো কাটাশুদ্ধ চিবিয়ে খেয়ে ফেলল। আমি ইলিশের বিশেষ করে পেটির মাছের ট্রায়াঙ্গল কাটা কাউকে চুবিয়ে খেতে দেখিনি।
ইলিশের কাটা বাছার একটা পদ্ধতি আছে সেটা শিখে গেলে পুরো মাছের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আপনাদের জন্য ইউটিউবে এর একটা টিউটেরিয়াল ভিডিও করা উচিৎ
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমি শুনেছি ওপারেও প্রায় একই দাম; সামন্য পার্থক্য হতে পারে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমিওতো তেমনই জানি- ওপারের মাছের আড়ত ও বাজারের ভিডিওতে দেখলাম তেমনই- তবে এত কষ্ট করে আর রিস্ক নিয়ে পাচার হয় কেন????
১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
নদীকান্ত বলেছেন: আপনার পোস্ট ভ্রমণ করে ইলিশ সম্পর্কে কিছু তথ্য আহরণ করলাম।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশ নিয়ে 'ইলিশনামা' লিখেছি আমি ওটা পড়তে পড়তে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন
~ কখনো সুযোগ পেলে শওকত ওসমানের 'আপ্যায়ন' রেসিপি বইটা কিনবেন, এখানে ভরপুর অথেনটিক ইলিশের রেসিপি পাবেন।
১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইলিশ রপ্তানী সঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের শত্রুতা মোইদ্দার সাথে। সাধারন জনগনের সাথে না। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর মানুষ আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও বানিয়েছে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ অবশ্যই। তাদেরকে তো আমরা কষ্ট দিতে পারি না!!!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের মহা শয়তান কিছু খচ্চর মানুষের ফেসবুকে আর ইউটুবে বাংলাদেশীদের সন্মন্ধে কথা শুনলে ওদের সাথে আর সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছে করে না। তবে এই কাতারে বাংলাদেশীরাও আছে- এরাও খোঁচাবার তালে থাকে।
ওদের মর্যাল সাপোর্ট আমাদের আন্দোলনকে বেগবান করেছে সেটা নিশ্চিত।
১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭
কিরকুট বলেছেন: ভারতীয়দের পাতে বাংলাদেশের জলে হাওয়ায় বেড়ে ওঠা এক পিস ইলিশ পরুক এটা আমি চাই না ।
সিমান্তে আমার মানুষের রক্তের দামে ইলিশ বেচবো না ।
আর যদি নিতেই হয় ৩০০০ টন ইলিশের বিনিময় ৩০০০ পিস গরু প্রতি সপ্তাহে চাই ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশ খাইলে হার্টের রোগ হয়না- গরুর মাংস বহু রোগের উৎস।
ওরা তো চায়-ই, পাশের দুই দেশে কত বড় ব্যাবসা কিন্তু হিন্দু মৌলবাদীদের আস্ফালন ওদেরকেই বঞ্চিত করছে বিশাল বৈদেশিক আয় থেকে।
১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যাক সামনের বার ভারতে না দিয়ে সব ইলিশ দেশে বেচার চেষ্টা চালালে ভালো। দেশের মানুষ ভোগ করুক। এবার গতবারের চেয়ে একটু বেশি দাম মনে হচ্ছে ইলিশের।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: দেশের মানুষের কপালে আর লোকাল ইলিশ নাই। জাটকা কিংবা ৫০০ গ্রামের নীচের সামুদ্রিক ইলিশ সবার পাতে উঠতে পারে।
১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
জটিল ভাই বলেছেন:
আমি বুইঝা পাইনা, এই ইলিশরে জাতীয় মাছ কেডায় করছিলো! আর সবাই যেমনে ইলিশ-ইলিশ কইরা মরে, বাস্তবে বাংলাদেশের ঠিক কতজন ইলিশ খাইতে পারে বা পছন্দ করে? কাঁঠালের বিষয়ডা যেমনে দৃশ্যমান, ইলিশেরটা শুধু দৃশ্যমান না। আমার পরিচিত অনেক আছে যাদের ইলিশের গন্ধই সহ্য হয়না। সেইসাথে কাঁটাতো আছেই। তাই ইলিশ যতোটা এই দেশে সুন্দর তা শুধু লিখাতেই
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: ইলিশকে বিজাতীয় মাছ করা উচিৎ- ওরা সব পরিযায়ী। সাইফুর রহমানের মতে এগুলা দাওয়াত ছাড়া অতিথি
আপনার পরিচিত ওই লোকগুলা মনে বাদশায় সালামাতের বংশধর। বাদশায় সালামাত ইলিশ মাছ খেতে গিয়ে গলায় কাটা বিঁধে নাকি মারা গিয়েছিলেন!!
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৮-১০ দিন বা আরো কিছু আগে দুটো ইলিশ কিনেছিলাম, ওজন ২.২৫৬ কেজি। দর ১৬০০ টাকা কেজি দর। দোকানদার চাইছিল ১৮০০ টাকা দর। আমি কড়াকড়ি করে ১৬০০ টাকায় নামাইছি। দাম হয় ৪০৯০-এর মতো, কিন্তু আমার কাছ থেকে ১০ টাকা বেশি নিয়ে ৪১০০ টাকা রাখলো
আজ একই বাজারে গেলাম। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ টাকা দর। আমি ১৬০০ টাকা বললাম। দামাদামি করার পর ১৭০০ টাকায় দিতে চাইল, কিন্তু আমি আর ১৭০০ টাকায় কিনলাম না।
গত বছর তিনেক ধরে ইলিশের দাম চড়া। করোনার কিছু আগে-পরে ৭৫০-৮০০ টাকা দরে ১ কেজি ওজনের ইলিশ কিনেছি। তার আগে কয়েক বছর ধরে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দর ছিল ১০০০-১১০০-এর মধ্যে।
কয়েকদিন ধরেই খবরে দেখতে পাচ্ছি, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। কিন্তু বাজারে দর কমছে না কেন?
পদ্মার ইলিশ আসলে একটা মিথ। যে পদ্মা শুকিয়ে যাচ্ছে, তাতে ইলিশ আসবে কই থেকে? আমাদের 'মৈনট ঘাটে' অনেক ইলিশ ওঠে, কিন্তু আমার সব সময়ই মনে হয় ওগুলো পদ্মার ইলিশ নয়, হয়ত কোনোভাবে সাগর বা অন্য জায়গার ইলিশ ওখানে আসে।
পদ্মার চাঁদপুর এলাকায় যে ইলিশ ধরা পড়ে, ওটি সবচাইতে বেশি স্বাদের হয়।
নিজে বাজার করি, তাই জিনিসপত্রের বাজারমূল্য অনেকটাই মুখস্থ।
যত ট্রল বা সমালোচনাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তটা ঠিক আছে। না পাঠাইলেই বরং সেটা খারাপ হতো।