নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেপালে বাংলাদেশপ্রেম ও ভারত বিদ্বেষ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০


কাঁকড়ভিটা ( ভারত-নেপালের বর্ডারে নেপালের ছোট্ট শহর)
✦ছোট্ট বাজার আমাদের মফস্বল শহরের অনুরুপ। মিনিট বিশেকের মধ্যে এমাথা ওমাথা ঘুরে আসা যায়। এমনিতেই দেখার তেমন কিছুই নেই, তার উপরে প্রায় সব দোকানপাটই বন্ধ হয়ে গেছে। কিছুদুর এগুতেই একটা ভাঙ্গাচোরা গাঁও গেরামের ডিসপেনসারী নজরে এল। সাদা চুলের বয়স্ক বিক্রেতার কাছে এক বোতল ‘পিরিটন’ চাইতেই তিনি যে অষুধের প্যাকেটটা এগিয়ে দিলেন তার গায়ে দেখি ‘বাংলাদেশে’র নাম লেখা। ভাল লাগল দেখে- ভারতকে টেক্কা দিয়ে এখানে আমাদের দেশে তৈরি ঔষুধ যে এসে পৌছুছে এটা কম কথা নয়!

✦২০০৩ সালে নেপাল ছিল এক গভীর রাজনৈতিক সংকট ও গৃহযুদ্ধের মধ্যে আটকে থাকা দেশ। অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল, বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পায়, আর পর্যটন শিল্প—যা নেপালের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস—প্রায় ধ্বংসের পথে ছিল।
নেপালের পর্যটন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
✦২০০১ সালে রাজকীয় হত্যাকাণ্ড (Royal Massacre) ও চলমান মাওবাদী সংঘাতের কারণে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করেছিল, ২০০৩ সালে সেটি আরও কমে যায়।
নিরাপত্তা হুমকি, পর্যটক অপহরণ ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশ নেপাল ভ্রমণে নাগরিকদের সতর্কতা জারি করেছিল।

বাসে করে কাঠমুণ্ডুতে যাবার পথে এম পি চেকপোস্ট এ যাত্রীদের চেকিংঃ
✦চেকিং হচ্ছে শুধু পুরুষদেরই মেয়েদের নয়। ছেলে বুড়োরা সব নিজ নিজ মাল সামানা কাধে করে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে আছে। ভারি অস্ত্রে সজ্জিত দুজন মিলিটারি পুলিশ একে একে সবাইকে তল্লাশী করছে। তল্পিতল্পা থেকে দেহ তল্লাশী কোনটাই বাদ যাচ্ছেনা। তবু কেন যেন মনে হল তারা অসম্ভব দ্রুত গতিতে চেকিং পর্ব সারছি। আমাদের পর্ব আসতেই আমরা দুজন- আর্মি অফিসারের সামনে পাসপোর্টটা বের করে -‘বাংলাদেশী ’বলতেই –চেহারার দিকে তাকিয়ে সামান্য একটু হেসে হালকা নড করে সামনে এগুতে বলল।
‘ব্যাগ চেকের প্রয়োজন নেই ?’ আমি একটু অবাক কন্ঠেই প্রশ্নটা করলাম।
‘জ্বী-না , আপনারা গিয়ে বাসে বসুন।’ অফিসার কথাটা বলেই লাইনের পরবর্তী জনকে তল্লাশী করতে শুরু করলেন। বাংলাদেশী হিসেবে এতটুকু সন্মান পেয়েই আমারা যে বেশ অভিভুত হয়েছিলাম সন্দেহ নেই।
এরপরে পথে আরো কয়েক জায়গায় সেনাবাহিণী তল্লাশী করেছে। আমরা প্রতিবারই কষ্ট করে ব্যাগ না টেনে বাস থেকে নেমে শুধু পাসপোর্ট দেখিয়ে তল্লাশী এড়িয়ে সবার সামনে অহংকারী ভঙ্গীতে গট গট করে হেটে ফের বাসে উঠেছি।

পোখারায়‘মুনসুন বার এন্ড গ্রিল ’ পর্যটকদের জন্য যে কোন স্পেশাল ড্রিঙ্কস এর সাথে ফ্রি বারভিকিউ অফার করছে।

✦দু’জনে বসে গল্প জুড়ে দিয়েছি হাতে মকটেলের চিলড মাগ! বারবিকিউ এখনও আসেনি - বেয়ারাটা বলে গেছে সেটা আসতে মিনিট দশেক দেরী হবে।
- স্যার কিছু মনে করবেন না।
তাকিয়ে দেখি সেই বেয়ারাটা হাসিমুখে দাড়িয়ে আছে।
- হ্যা বলো?
- আপনারা কোত্থেকে এসছেন?
- বাংলাদেশ থেকে।
- ও ... বাংলাদেশ থেকে! তাহলেতো আপনারাই বোধ হয় আমাদের রেস্টুরেন্টে প্রথম বাংলাদেশী।
- তোমার নাম কি?
- রাজু -রাজু সিং। এ রেস্টুরেন্টে দুজন রাজু আছে -আমাকে রাজু সিং বললে সবাই চিনবে।
- সিং? তোমরা কি শিখ নাকি?
- নাহ্ হিন্দু ।
- হিন্দি বলতে পারো নাকি?
- হ্যা পারি। কিন্তু সে ভাষায় কথা বলতে ইচ্ছে করেনা ।
- কেন?
-ওদের আমরা পছন্দ করিনা। আমাদের এই দুরবস্থার জন্য ওরাই দায়ী। এত সুন্দর দেশটাকে ওরা ধীরে ধীরে ধ্বংস
করে দিচ্ছে।

✦পাহাড়ীরা এমনিতেই কথা একটু কম বলে, আমি নেপালের সেই দুঃসময়ে কাকড়ভিটা থেকে কাঠমুন্ডু হয়ে পোখারা ঘুরে এসেছি। কোন নেপালীর সাথে প্রথম দেখায় হাই হ্যালো করে খাতির জমাতে গেলেই তারা এক্কেবারে চুপসে যেত, বেশীরভাগ সময় এড়িয়ে যেতে পারলে যেন বাঁচে এমন ভাব। কিন্তু একবার বাংলাদেশী পরিচয় দিলেই কথার ঝাঁপি খুলে বসে। পরে জেনেছি; অরা প্রথমে আমাদের দেখে ভারতীয় বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের লোক ভাবে। ভারতীয়দের এত বেশী অপছন্দ করে নেপালিজরা সেটা আমি নেপালে না গেলে বুঝতাম না কোনদিন।

✦যাইহোক ফের আগের প্রসঙ্গে আসি; সেখান থেকে বের হয়ে ভাবলাম যাই লেকের পাড়টায় একটু হেটে আসি। আলো ঝলমলে প্রধান সড়কটা ছেড়ে অপেক্ষাকৃত অন্ধকার ও নির্জন রাস্তায় পা বাড়ালাম। অবশ্য ওখান থেকে লেক পাড় যাবার জন্য কোন বিকল্প রাস্তাও নেই।

কিছুদুর এগিয়েছি কি আচমকা জলদগম্ভীর কন্ঠে কে যেন আদেশ করল ‘হল্ট’। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তখুনি দাড়িয়ে পড়ে চোখ সরু করে তাকাতেই আবছা নজরে এল ফুট বিশেক দুরে অস্ত্র হাতে এক নেপালী আর্মী। আশেপাশে আরো বেশ কয়েকজন পজিশন নিয়ে দাড়িয়ে আছে। এদের হয়তো আমাদের মানে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে ।
দুরে দাড়ানো আর্মি ভদ্রলোক আবার তেমনি কড়া কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
- কোথায় যাচ্ছেন?
- লেকপাড়ে।
- কোত্থেকে এসছেন?
- বাংলাদেশ থেকে।
বাংলাদেশ শুনে এবার যেন সুর কিছুটা নরম হল।
- কিছু মনে করবেন না। এপথ দিয়ে সন্ধ্যের পরে সিভিলিয়ানদের চলাচল নিষিদ্ধ।
- ও- স্যরি। জানতাম না।
- অন্ধকার পথে বেশী হাটাচলা করবেন না- সমস্যা হতে পারে।
- ধন্যবাদ।’ বলে বিদায় নিয়ে উল্টোপথে ফিরে চললাম।
রাস্তায় ওদের চলাফেরা নজরে না এলেও সেদিন রাতে লক্ষ্য করলাম রাস্তার পাশে কিছুদুর পর পরই বড় বড় গাছের গা ঘেষে অন্ধকারে মিশে গিয়ে টহল দিচ্ছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। ট্যুরিস্টদের থেকে মনে হয় এদের সংখ্যাই এখন বেশী হবে!


✦হোটেলে ফিরে ফের ছাদে।গতদিনের সেই তিন বিদেশী বিদেশীনীকে আজও দেখলাম।তবে আজ বিয়ারের পরিবর্তে বই নিয়ে পড়ে আছে।
ছাদে আজকে আরো দু’জন সঙ্গী পেলাম। চেহারা দেখে বুঝলাম এরা এই সাব-কন্টিনেন্টের। তবে চেহারা মোটেই নেপালীদের মত নয়। ঘন্টাখানেক পরে আড্ডা মেরে ফিরে যাবার মুখে ভদ্রলোকদ্বয় কি মনে করে ঘুরে আমাদের সামনে এসে দাড়ালেন।
-কিছু মনে করবেন না,আপনারা কোত্থেক এসেছেন?
-বাংলাদেশ থেকে।
-ওহ -বাংলাদেশ থেকে। বেড়াতে এসছেন বুঝি? কথা শুনে মনে হল ভাষটা পরিচিত,তাই আলাপ করতে এলাম।
- ধন্যবাদ। হ্যা আমরা বেড়াতে এসেছি। আপনারা ...?
-ওঁনারা নিজেদের পরিচয় দিলেন। ফের অবাক হলাম শুনে যে এরা নেপালীজ! এদের চেহারাও ভারতীয়দের মত। বার বার এক ভুল কেন হচ্ছে? সেই বন্দনা ব্রজেশ্বরী কিংবা রাজু সিং আর এই দুই ভদ্রলোক?
একজন রিয়েল এষ্টেট ব্যাবসা করেন অন্যজন নেপালী টিভির সাংবাদিক। কাল নেপালী প্রধান মন্ত্রী আসছেন এখানে, ভদ্রলোক নিউজ কাভার করতে এসেছেন।
বাংলা শুনে তার কেন মনে হল চেনা সুর জিজ্ঞেস করতেই হেসে বললেন,-আমি ন’বার গিয়েছি আপনাদের ওখানে! ধানমন্ডি মতিঝিল মিরপুর ফকিরার পুল সবই চিনি।
কথা প্রসঙ্গে; ভারত ও ভারতীয়দের নিয়ে আলাপ আসতেই তারা ব্যস্ততার ভঙ্গী করে কেটে পড়েছিল ওখান থেকে।
এর মানে কজন নেপালী সাংবাদিক ভারত বা ভারতীয়দের নিয়ে উন্মুক্ত আড্ডায় কথা বলতেও ভয় পায়।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪০

লুধুয়া বলেছেন: বাংলাদেশী মোল্লাদের পেলে ঠেঙ্গিয়ে দেবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: কারা? কোথায়?

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সারা বিশ্ব আমাদেরকে সমিহ করুক এটাই কাম্য।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: সেটার আর কোন সুযোগ নিকট ভবিষ্যতে দেখছি না!!

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

আমি নই বলেছেন: সমস্যা ভারতের, না হলে একটা প্রতিবেশির সাথেও সম্পর্ক ভালো নয় কেন? পাকিস্তান, চীন, নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ কারও সাথেই সম্পর্ক ভাল নয়।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: আসল সমস্যা ভারতের মানুষদের নয় তাদের কিছু ব্যাবসায়ীশ্রেনীর রাজনীতিবিদদের আর পররাষ্ট্রনীতির।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৯

রাসেল বলেছেন: বাংলাদেশী হিসাবে আপনি সন্মান পাওয়াতে আমিও গর্বিত। এই সন্মান সাধারণত আমরা দেশের বাহিরে পেয়ে থাকি না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন- অন্য কোথাও সন্মান পাই না দেখে একটুতেই আপ্লূত হই।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




ভালো অভিজ্ঞতা।

ঢাকায় যদি কোন রেষ্টুরেন্টে ১ জন নেপালী হিন্দু ও ১ জন ভারতীয় হিন্দু ও ১ জন ভারতীয় মুসলমান খেতে আসে, বেয়ারারা কাকে বেশী সমাদর করবে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রশ্ন আপনি করেছেন উত্তরটা আপনিই দিয়ে যাইয়েন। কুশিক্ষিত একজন ব্লগারের যে কোন কথায় আপনি ভুল ধরার জন্য ওত পেতে আছেন। ব্লগের এমন দুর্দিনে আপনার মত এমন আকাইম্যা ব্লগার খুব দরকার।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




আপনি পাকিস্তানে গেলে আরো বেশী সমাদর পাবেন। তবে, এসব অর্থহীন; বাংলালাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মীয় কারণে পাকীদেরকে ভালোবাসে, ভারতীয়দের ঘৃণা করে।

আপনি ইউরোপে ব্যবসা করেছেন; কিন্তু সুশিক্ষার অভাবে কোনকিছু সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কার্লমার্ক্সের ভক্ত জানি। শ্রেণীশত্রু খতমের পক্ষে। আপনার মগজ ও মননে এত কেন কলুষতা!!
ওহে মহা শিক্ষিত ঘিরিঙ্গীবাজ আর্য প্রাণী, নিজের সত্য পরিচয়ে ব্লগে আসুন তারপর দেখা যাবে কার কতটুকে গুপ্তকেশ ছেড়ার ক্ষমতা আছে।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আজকের সোস্যাল মিডিয়ার লেভেল যেখানে পৌঁচেছে, বিশেষ করে ব্লগিং, আপনাদের মতো লেখকের লেখা গার্জেজ ছাড়া অন্য কিছু নয়।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: ''গার্জেজ'' ভাল। আপনি বলেন তো; সোস্যাল মিডিয়ার কোন লেভেলে পৌছেছে আপনি যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন- পিলিজ,
আর সেইখানে আপনার মত লেখকের লেখার অবস্থান কি?
একবার একটু নিজের পরিচয়ে আসেন না, দেখি কেমন হ্যাডাম আছে আপনার।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: চারিদিকে কি একটা অবস্থা!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা আরো ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ঢুকে পড়ছি দ্রুত সম্ভবত।

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৬

বিজন রয় বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা আরো ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ঢুকে পড়ছি দ্রুত সম্ভবত।

কেন? এরকম মনে হলো কেন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: কিসের যেন অস্থিরতা আর অস্বস্তিকর একটা ভয়ঙ্কর পরিবর্তনের পদধ্বনি বাতাসে- দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ এমন আতঙ্কে থাকেনি কখনো বলে মনে হয়। পরিবর্তনের প্রথম ধাক্কা ছিল আরব বসন্তে, দ্বীতিয় ধাক্কা করোনায় বৈশ্বিক একটা বিশাল পরিবর্তন, আর তৃতীয়টা এখন চলমান। কেন কিজন্য শুধু কার এবং কাহাদের স্বার্থে এটা বোঝার ক্ষমতা আমার বা আমাদের নেই সম্ভবত। আমরা খালি চোখে যা দেখি তা সত্য নয় সর্বাংশে- আপনার কি মনে হয়?

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৩

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: সত্য বলতে কি আমি ভারতের কোন দোষ দেখি না। বৃহৎ দেশ , তারাতো চাইবেই আধিপত্য বজায় রাখতে। দোষতো আমাদের রাজনীতির। আওয়ামীলীগ যদি ক্ষমতার দুর্নিবার লোভে ভারতকে সুযোগ না দিত , তবে কি তারা আগ্রাসনের সুযোগ পায় ? ২০২৪ এর জুলাই এ আমাদের তরুন প্রজন্ম রক্ত দিয়ে যে শিক্ষা দিয়ে গেছে , আমাদের সেটার উপড় আমল করতে হবে। রাজণিতিবিদেরা যাতে কোনভাবেই ক্ষমতায় থাকার জন্য কোনভাবেই আর দেশদ্রোহী হবার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: এদেশে আর কিছু হবে বলে মনে হয় না। ৭২ এ শুরু ভয়ঙ্কর দুর্নীতির- এখন সেটা ডালপালা মেলে মহীরুহ হয়ে গেছে। এ জাতির আর কোন ভবিষ্যত নেই বলে মনে হচ্ছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের মহাশত্রু- ভারতের কথা বলে আর কি লাভ।

১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: নেপালিদের নিয়ে ভারতের একটা রেজিমেন্ট আছে।গুর্খা রেজিমেন্ট।তাছাড়া হাজার হাজার নেপালি আছে ভারতে।আমি যখন নিয়মিত ভারতে যেতাম চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক কাজে তখন হোটেলের কাজের লোক বেশির ভাগ নেপালি পেতাম।সেই তারা কিনা আজকে বাংলাদেশ প্রেমে গদ গদ।বিচিত্র মানব প্রজাতি।যেখানে একজনও নেপালি নাই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশে কয়েক হাজার নেপালী ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করে কিন্তু ভাই। নেপালের প্রচুর ডাক্তার বাংলাদেশ থেকে পাশ করে সুনামের সাথে ডাক্তারী করছে। ভারতের কত-শত ছাত্র এখানে ডাক্তারী পড়ছে জানেন?

১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৪

বিজন রয় বলেছেন: আপনার কি মনে হয়?

বলবো, এক সময়ে। আজকে সময় নেই।
প্লিজ রাগ করবেন না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা নেই সময় করে বলবেন না হয়

১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



জনতার মাঝে কোনও দেশের প্রতি প্রেম আর কোনও দেশের সাথে বিদ্বেষ তখনই দেখা যায় যখন সেসব দেশের সরকারের নেয়া পররাষ্ট্রনীতি আর কার্যকলাপ বন্ধুত্ব অথবা বৈরীতার হয়ে থাকে , সম্মান অসম্মানের হয়ে থাকে। জনতা তাদের কারনেই কারো প্রতি প্রেম দেখায়, কাউকে বৈরী ভাবে।

নেপালে বাংলাদেশ প্রেম ও ভারত বিদ্বেষ, নেপালের প্রতি ভারত সরকারের বছরের পর বছর ধরে নেয়া পদক্ষেপের-ই ফল।

লেখা ভালো হয়েছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০

শেরজা তপন বলেছেন: এক দেশের মানুষ আরেক দেশের মানুষকে মুল্যায়ন করে মুলত গায়ের রঙ ধর্ম ও অর্থবিত্তের বিবেচনায়, বাদবাকি সবকিছুই নির্ভর করে পররাষ্ট্রনীতির কারনে। আজ পাকিস্তান ভারতের প্রেসিডেন্ত আর প্রধানমন্ত্রী 'আ ভাই গলে লাগ যা' বলে ঝাপিয়ে পড়ুক - কাল থেকেই দেখবেন সবচেয়ে বেশী ভারতীয়রা পাকিস্তানে ভ্রমন করছে। নেপালীদের ভুমি কেড়ে নেয়া, ওদেরকে পৃথিবী থেকে ল্যান্ড লকের মাধ্যমে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, মোড়ল্গিরি বা গডফাদার সাজার চেষ্টা বিবিধ কারনে ওরা ভারতীয়দের দেখতে পারে না।
আপনাকে অনেক দিন বাদে আমার ব্লগে পাইলাম। শুভকামনা রইল ভাই।

১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:৫০

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: @জেনারেশন রাজাকার- আপনাকে যদি বিহারী কেউ, কুত্তালীগের কেউ আর যায়নিস্ট কেউ হাগা পরিষ্কার করতে বলে, জিভ দিয়ে কারটা আগে পরিষ্কার করবেন?

১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:৫২

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: ব্লগের কিছু ভাতাজীবী ভাদা ছাড়া ভারত বা ভারতীয়দেরকে পছন্দ করে জগতে এমন কেউ আছে কি?

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

শেরজা তপন বলেছেন: ভারতীয়দের নিয়ে সত্য কিছুও বললেও সবচেয়ে ঘা লাগে কিছু বাংলাদেশী(!) ভারতীয়দের নিয়ে। ওদের বাসটা শুধু বাংলাদেশে কিন্তু মনন মগজে ' সারে জাঁহা সে আচ্ছা- হিন্দুস্থান হামারা''

১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভিন্ন ধরনের সুপাঠ্য ভ্রমণকাহিনী!

বাংলাদেশি হিসেবে নেপালিদের কাছে সম্মান পাওয়ার ঘটনাগুলো জেনে খুবই আনন্দিত হলাম। ফার্মেসিতে বাংলাদেশি ওষুধ কেনার ঘটনাটিও আনন্দদায়ক।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফের। শুভকামনা রইল।
নেপালীজরা বাংলাদেশের সাথে সব ধরনের আত্মিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চায় কিন্তু ভারত এর মুল বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:১১

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: এ ভ্রমন কাহিনী কবেকার?একসময় আমার ফ্লাট মেইট এক নেপালি ছিলো নাম রঘু বীর রানা।পাহাড়ি গড়ন চেহারা, এরা একটু বোকা কিসিমের ভদ্র মানুষ। আর ইন্ডিয়ান টাইপের খোমা যাদের তারা একটু চালাক টাইপ।ইহা আমার অবজার্ভেসন।রঘুর আংকেল নেপালি আর্মির উচ্চ পদের অফিসার।লন্ডনে আইছিলো ট্রেইনিং নিতে,চান্ছে কাছে পায়া ইন্ডিয়ার গুষ্ঠি উদ্বার করছিলাম।জিগাইছিলাম আপনারা কিছু করেন না কেন?আপনার অনুভুতি কি? ;) উনি কোন উত্তরই দেন নাই। নেপালিদের ইন্ডিয়া হেইট্রেড আগে এতোটা ছিলো না মনে হয়।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মানুষ যারা ইন্ডিয়ার সুবিধাভোগী তারা আমার এই দেশের মানুষদের মত ভারতের সব কামেই নাচে।
এটা বাইশ বছর আগের ঘটনা। তখন আমি ব্যাচেলার ছিলাম :)
আমার বের হওয়া একটা গ্রন্থ ' ডেভিস ফল' থেকে ঘটনাটুকু নেয়া। তখন মাওবাদীদের ব্যাপক ক্যাচাল চলছে পুরো নেপালজুড়ে।

১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: নেপালে এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ারা পরই স্বাগতম জানানো হয়। শুধু বাংলাদেশ না যে কোনো দেশের লোক গেলেই তারা আদিখ্যেতা করে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: এটা আর ওটা ভিন্ন গল্প! ট্যুরিষ্টপ্রধান যেকোন দেশে এমন আদিখ্যেতা দেখানো হয়। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে গেলে তো আপনি অস্থির হয়ে যাবেন।

১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা আর ওটা ভিন্ন গল্প! ট্যুরিষ্টপ্রধান যেকোন দেশে এমন আদিখ্যেতা দেখানো হয়। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে গেলে তো আপনি অস্থির হয়ে যাবেন।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩

শায়মা বলেছেন: নেপালীদেরকে সব সময় আমার কাছে খুবই ভদ্র ও সাহসী মানুষ মনে হয়েছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: কিছুটা আবেগী, জাতীয়তাবোধ মারাত্মক!

২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অধিকাংশ নেপালীদেরকে ভালো পেয়েছি। তারা শান্ত, নির্বিরোধ ও নিরীহ প্রকৃতির। শিক্ষা গ্রহণের জন্য যারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদেরকেও অত্যন্ত ভদ্র এবং এ দেশের সাংস্কৃতিক আচার আচরণের প্রতি অনুগত থাকতে ও সম্মান জানাতে দেখেছি। হিন্দু হবার কারণে ওদেরকে কখনো নিগৃহীত হবার কথা শোনা যায়নি। হলে ওরা দলে দলে এদেশে আসতো না।

২০১৩ সালে নেপাল সফরে গিয়ে আমিও নেপালি জনসাধারণ এবং হোটেল স্টাফদের কাছ থেকে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছিলাম। আরেকবার যাবার ইচ্ছে রয়েছে।

পোস্ট পড়ে ভালো লাগল। মানুষের কাছ থেকে সম্মান ও সদ্ব্যবহার জোর করে পাওয়া যায় না, সেটা অন্তর থেকে আসতে হয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মোটামুটি শান্ত ও ভদ্র জাতি। বাংলাদেশীদের ওরা পরম বন্ধুভাবে।
আমারও পরিবার নিয়ে ফের যাবার ইচ্ছে আছে।
'' মানুষের কাছ থেকে সম্মান ও সদ্ব্যবহার জোর করে পাওয়া যায় না, সেটা অন্তর থেকে আসতে হয়।''
-একদম ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.