নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি, সালিহ ইব্রাহিম।

সালিহ্ ইব্রাহিম

যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, সে বিষয় থেকে বিরত থাকা কঠিন

সালিহ্ ইব্রাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপসারিত হবে হিমালয়

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২২



হিমালয় অঞ্চলে অদূর ভবিষ্যতে ৯ রিখটারের অতি প্রবল ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। যা ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। ভূ-বিশ্লেষণে বিজ্ঞানীরা জেনেছেন, হিমালয়ে ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে তিনটি খাঁজ রয়েছে। আর এর মধ্যে প্রধান প্রান্তীয় (মেন বাউন্ডারি) খাঁজটি অনেক আগে থেকেই সবচেয়ে অস্থির হয়ে আছে।
গত শনিবারের এতদাঞ্চলে ৭.৯ রিখটার স্কেলের যে ভূমিকম্পটি হয়েছিলো সেটিও ঘটে এই খাঁজে। ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে, এতে আরও অস্থির হয়ে পড়েছে খাঁজটি। তারা বলেছেন ওই খাঁজের এলাকার দু’টি প্লেটের মধ্যেকার ছোট ছোট চ্যুতি-বিচ্যুতিগুলো শক্তির বিচ্ছুরণ ঘটাতে শুরু করেছে। এছাড়াও শনিবারের ভূমিকম্পের পর কোথায় কোথায় ফাটল ধরেছে, তা স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে না। ওই সব ফাটলেও শক্তি সঞ্চিত হতে পারে। আর এই শক্তি যত বাড়বে, ভূমিকম্পের আশঙ্কা ততই বাড়তে থাকবে। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, হিমালয় অঞ্চলে ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশীয় প্লেটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ভূমিকম্পপ্রবণ খাঁজ ও চ্যুতিগুলিকে ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছেন ভারতীয় ভূ-পদার্থবিদ্যার গবেষকেরা। তারা আশঙ্কা করছেন, সেগুলোয় সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ শক্তি নেপাল, সিকিম, কাশ্মীর কিংবা অ‍াসম-অরুণাচল এলাকায় অদূর ভবিষ্যতে একাধিক অতি প্রবল ভূমিকম্প ডেকে আনতে পারে। গোটা হিমালয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বলেই মত এই ভূ-গবেষকদের। তারা বলছেন, ব্যাপকভাবে বন-জঙ্গল ধ্বংস আর ভূকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বিধি ভেঙে যত্রতত্র বাড়ি-সেতু-হোটেল ইত্যাদি গজিয়ে ওঠায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

অদূর ভবিষ্যতে অবশ্যই হিমালয়ে ভূমিকম্পের ফলে সেটি ডুবে যাবে বা অপসারিত হবেই। কেননা এখন যে ভূমিকম্প হচ্ছে তা কেয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার উপায় মাত্র, যাতে মানুষ আল্লাহর পথে চলে আসে । এবিষয়ে আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে বলছেন,
“তিনি আকাশমন্ডলী থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমুদয় বিষয় পরিচালনা করেন। সব শেষে তাঁর নিকট পৌঁছায় এমন এক দিনে, যার পরিমাণ তোমাদের গণনায় এক হাজার বৎসর হয়” (সূরা-সাজদ, আয়াত: ৫)

ওই এক সূরার ২১ নাম্বার আয়াতে তিনি বলছেন, “ মহাশাস্তির পূর্বে ওদের আমি অবশ্যই লঘু শাস্তি আস্বাদন করাব, যেনো ওরা ফিরে আসে”

আর কিয়ামতে পাহাড়গুলোর অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলছেন,
“যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে - একটি মাত্র ফুৎকার। এবং পৃথিবী আন্দোলিত হবে, এবং এর উপরের পর্বতসমূহ এক ধাক্কাতে চূর্ণবিচূর্ণ হবে” (সূরা-হাক্কা, আয়াত; ১৩-১৪)

তিনি আরো বলেন, “ যখন পর্বতসমূহ অপসারিত হয়ে যাবে” ( সূরা-তাকভীর, আয়াত: ৩)


তথ্য সূত্র:- আল-কোরআন, বাংলানিউজ।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

আলমগীর_কবির বলেছেন: যা কি দিয়ে শুরু করলেন আর কি দিয়ে শেষ করলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.