![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবার চলন্ত মাইক্রোবাসে ধর্ষিত হল নারী । ইদানীং এসব নিয়ে কিছু লিখতে ভাল লাগে না । বহুবার বহুভাবে লিখেছি । বুঝেছি এসব চুদুরবুদুর লিখে কিছু হবে না । কুকুর কুকুরই থাকে মানুষ হয় না । আমি যা লিখতাম তার প্রায় সবই এই শারমিন শামস উইমেন চ্যাপ্টারে লিখে দিয়েছেন । আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই ,
ডিয়ার আইজিপি সাব আপনার দুষ্টু মিষ্টি বালকেরা এবারো কি পাঁচজনে মিলে মেয়েটির সাথে দুষ্টুমি করেছে ? যদি তাই করে থাকে তাহলে আমার কোন কথা নেই আর যদি সেটা না হয় তাহলে দ্রুত আসামীদেরকে গ্রেফতার করুন । যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার পুলিশ বাহিনীতে কোন পুরুষ নেই । সেক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গধারী মানুষেরাই এদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য উত্তম ।
শারমিন আফসানার পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার হোক তারা জানুক কতটা অসহায় বোধ করলে নারীরা এই উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয় ।
'গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে দেড় ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রাতভর তিন তিনটে থানা ঘুরে, সর্বশেষটিতে ওসির জন্য ঘণ্টা চারেক অপেক্ষা করে, আরো তিন ঘণ্টা বসে থেকে তারপর মামলা করতে পেরেছে মেয়েটি।
কনগ্র্যাচুলেশনস মেয়ে! মামলা করতে পারার জন্য অন্ততপক্ষে। পুলিশেরও ধর্ষণের ইচ্ছে জাগে। সুযোগ পেলে তারাও ধর্ষণ করে। তুমি পাঁচ পুরুষের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছো থানায়, সেখানে আরো দশটি পুরুষাঙ্গওয়ালার কাছে গিয়ে বিচার চাওয়ার সুযোগ চেয়েছো। এতো সহজে তুমি পার পেয়ে যাচ্ছো ক্যামনে?
১৪ই এপ্রিল থেকে ২২শে মে। মাস খানেকের মধ্যে ধর্ষণ করে করে সাড়া ফেলে দিলেন আমাদের পুরুষরা। পারফরমেন্স ভালোই! ধর্ষণ তো প্রতিনিয়তই হয়। পাটক্ষেতে, জঙ্গলে, পাকা বাড়িতে, অফিসে, হোটেলে, রান্নাঘরে, বাথরুমে, পাহাড়ে, বাগানে।
কোথায় নয়? বাদ ছিল এই মাইক্রোবাস। প্রতিবেশি দেশকে দুবেলা গালি দিয়ে আজ আমাদের বীর পুরুষরাই লুঙ্গি তুলে নেমে পড়লেন। এবার ধর্ষণ হবে বাসে, সিএনজি অটোরিক্সায়, টেম্পুতে, ট্রেনে, ফেরিতে।
এই ধর্ষকদের চিনতে পেরেছে মেয়েটি। পাহাড়ের কর্মঠ সাহসী মেয়ে বলেই হয়তো সে এতটা দৃঢ়চেতা আছে এখনও। সে তো কাজ করে খায়। সারাদিন পরিশ্রম করে। সন্ধ্যায় ক্লান্তশ্রান্ত বাড়ি ফিরে বাসে। নিম্ন আয়ের মেয়ে। দোকানে বিক্রয়কর্মী। আগে থেকে তার ওপরে নজর রাখা পুরুষ, সঙ্গীসাথী নিয়ে তাকে মাইক্রোবাসে তুলেছে। একই এলাকায় ধীরে গাড়ি চালিয়েছে দেড় ঘণ্টা। আর পুরো সময়টা পাঁচজনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে।
এ ব্যাপারে আমাদের চেনামুখ পুলিশ কর্মকর্তারা কী বলবেন এবার? ব্যস্ত নগরী, রাজধানীর বুকে ভর সন্ধ্যায় একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে ব্যস্ত সড়ক জুড়ে ঘুরে ঘুরে এই যে ধর্ষণ করা সম্ভব, এটা তো প্রমাণ করে দিলেন আপনাদের জাত ভাইরা। তো এ নিয়ে কী ভাবছেন? যাই ভাবছেন বলে দিন। টিভি ক্যামেরা রেডি আছে। রাতের বেলায় বউবাচ্চা সঙ্গে নিয়ে মুরগীর হাড় চিবাতে চিবাতে মন দিয়ে দেখবেন টিভিতে নিজের চেহারা।
বউ বলবে, ‘এ্যাই, কালও কিন্তু এই একই হলুদ শার্টটা পরে ইন্টারভিউ দিয়েছো। ভাল্লাগে না ছাই! উমম!!’ আপনি মধুর হেসে প্রতিশ্রুতি দেবেন যে কাল ঠিক নীল শার্টটা পরে যাবেন অফিসে। কালও তো ধর্ষণ হবে, যৌন নিপীড়ন হবে। তো ইন্টারভিউ নেয়া তো চলছেই। আপনি এখন টিভি স্টার।
তো আপনাদের ইন্টারভিউ চলতে থাকুক। আপনাদের কাছ থেকে আর কিছু পাওয়ার নেই আমাদের। তদন্ত, গ্রেফতার, চার্জশিট, বিচার, শাস্তি, ফাঁসি, যাবজ্জীবন… নাহ, আর কিছুই দিতে পারেন না আপনারা। শুধু অপেক্ষায় আছি কবে হিজাব পরার, সংযমী হয়ে চলার, ‘মেয়েমানুষ মেয়ে মানুষ হয়ে’ থাকার উপদেশ আসবে আপনাদের কাছ থেকে।
আমি নিশ্চিত, এই উপদেশ আসবে শিগগিরই। যাই হোক, বসে থাকবো না আর। মেয়েকে স্কুলে পাঠাবো, নিজে অফিসে যাবো, রাস্তায় চলবো, পথে ঘুরবো, দোকানে-বাজারে-বাসে-ট্রেনে পুরুষাঙ্গধারীরা ধর্ষণ করতে এগোলে সঙ্গে রাখা ছুরি-কাচি-ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে নেবো। মেয়েকে স্কুলে পাঠাবো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে।
আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। যদি জন্মেছিই এই দেশে, যেখানে নারীর প্রতি রাষ্ট্রেরও ন্যুনতম মর্যাদাবোধ, সম্মানবোধ নাই, সেখানে আর কী-ইবা করার আছে আমার? আমাদের?
এবার তবে নেমে পড়ছি পুরুষাঙ্গ কর্তনে। আর কোন বিকল্প নেই। আর হ্যাঁ, চোখ দিয়ে ধর্ষণ করবে যারা, সেই সব পুরুষকে বলছি, সাবধান হোন, খুঁচিয়ে চোখ তুলে উপড়ে নেবো এইবার!' - শারমিন শামস উইমেন চ্যাপ্টার ।
২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:০৭
সীমাবেস্ট বলেছেন: আর উপায় নেই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে । এদেশের ধামাধরা আর দুর্নীতিবাজ আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা অন্যান্য কারিকে অন্যায় করার জন্য উস্কে দিচ্ছে । ধন্যবাদ অশেষ ।
২| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
এসব চলবে না..... বলেছেন: যেই দেশে ধর্ষিতাকে বিচার চাইতে গিয়ে এ থানা ও থানা ঘুরতে হয়, পত্রিকায় বড় বড় করে সংবাদ না ছাপলে মামলা নেয়া হয় না। সেই দেশের কাছে কিছুই আশা করি না। দুঃখিত।
২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:০৮
সীমাবেস্ট বলেছেন: আমাদের দুঃখের জায়গা সেটাই । সবকিছু নষ্টদের দখলে চলে যাচ্ছে ।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমন হবেনা।
অপরাধীকে অপরাধী বলেনা যেখানে। ধর্ষনের সেঞ্চুরী করে সরকারী চাকুরী পাওয়া যায় যেখানে! ছাত্রলীগ ধর্সন করলে যেই দেশে মিডিয়া ছাত্রলীগের নাম বলতে সাহস পায়না!
পুলীষ বলে দুষ্টুমি! নেত্রী থাকে নিরব! স্পিকার নারী হযেও স্পিকটি নট! নারীবাদীরা মিনমিন করে ম্যাও ম্যাও করে- যারা আবার দিনাজপুরের ইয়াসশীন নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছিল! কারণ তখন ছির বিরোধীরা ক্ষমতায়- এইবার চিল্লালেতো সরকারে কাঁধে দোষ চাপে- তাই মিউ মিউ!!
ময়মনসিংহের গণনারী নির্যাতন নিয়ে মিডিয়া চুপ! গত একমাসের নারী নির্যাতেনর ছাত্রলিগ যুবলিগ আওয়ামীরীগের সম্পৃক্ততা দেখুন আর বুঝুন কেন প্রশাসন নিরব!
আর তাদের যারা সমর্থন করে তাদের বিবেক বোধ বুদ্ধি নিয়ে আর যাই হোক বিচার চাওয়া সাজে না।
অনির্বাচিত স্বেরাচারি সরকারে ষ্টাইলতো বিশ্বজুড়ে এরকমই! ন্যায় বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে!
আপনি জেগে উঠতে চাইছেন? সাধূবাদ। কিন্তু একটা সোনার ছেলের উপর আপনার আইডিয়া প্রয়োগ করে দেখূন- এই সরকার এই মিডিয়া মেই প্রয়োগকারিনিকে বারবণিতা না বানিয়ে ছাড়বেই না! কোথায় পাবেন ণ্যায় বিচার!
আগে গোড়া ঠিক করেন। জনতার কাছে দায়বদ্ধ জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেন-তবে অন্তত মিনিমাম টুকু আশা করতে পারেন।
২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:১১
সীমাবেস্ট বলেছেন: কি বলব । যে লঙ্কায় যায় সেই রাবন হয় । দেখলাম তো যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তখন তারা প্রশাসনের ভাশুর হয়ে যায় মুখে নাম আনতে পারে না সুযোগ মোট নিজেদের আখের গোছায় আর জী হুজুর জী হুজুর করে । সবই মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠ । মধ্য থেকে আম জনতার ভোগান্তি ।
৪| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১:০৮
ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: আরও ধর্ষণ হবে, আপনি আমি এরকম আরও লেখা লিখব, "ভদ্রলোকেরা" প্রতিবাদ করবে, টি এস সি , প্রেস ক্লাবে মানব বন্ধন হবে............
পুরা ব্যাপারটা একটা চক্র !!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
ফেরেশতা বলছি বলেছেন: ব্যাপক সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দরকার আমাদের। কাউন্টার এটাক আমাদের মেয়েদের কে দিতে পারে রাস্তায়, বাসে সিনেমা হলে, জ্যামে আঅয়াজ উঠানোর সাহস। সাহস করে যদি একজনে ছুরা বসিয়ে দিতে পারে তবে আমার বাকি বোনেরা জাস্ট ছিলে খুব্লে শেষ করে দিবে জানুয়ার্দের।