নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিমুল২

শিমুল২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাস্থের আদব

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

আল্লাহপাক মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি সুখ সফলতা রেখেছেন একমাত্র দ্বীনের মধ্যে। যেমন মাছের শান্তি রেখেছেন পানির মধ্যে। আল্লাহপাকের হুকুম নবীর তরীকায় পুরা করাকে দ্বীন বলে।



মানুষ যখনই দ্বীন থেকে গাফেল হয়ে গেছে, আখিরাতকে ভূলে দুনিয়ামুখী হয়েছে, একমাত্র আল্লাহপাকের উপর ভরসাকে ছেড়ে সৃষ্ট বস্তুর উপর একীন করেছে তখনই আল্লাহপাক মানুষের কামিয়াবী ও নাজাতের জন্য পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক নবী রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। দাওয়াতের এই মেহনত করতে গিয়ে কোন নবীকে আগুনের মধ্যে যেতে হয়েছে, কাউকে মাছের পেটে যেতে হয়েছে, কারও শরীর থেকে লোহার চিরুনী দ্বারা চামড়া-গোশত খসিয়ে নেওয়া হয়েছে। তথাপি তারা কেহ দ্বীনের মেহনতে সামান্যটুকু কমতি করেন নি।



হযরত ঈসা (আ:) এর পর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুয়ত প্রাপ্তি পর্যন্ত দীর্ঘ সময় দাওয়াতের মেহনত বন্ধ থাকায় গোটা আরব বদ্বীনীতে ভরপুর হয়ে যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে তারা নিজের কন্যা সন্তা নকে জীবন্ত কবর দিয়েছে। এমনকি ক্বাবা ঘরে ৩৬০ টি মূর্তি ঢুকিয়েছিল। এজন্য ঐ যুগকে অন্ধকার যুগ বলা হয়। এজন্য আল্লাহপাক দয়াপরবশ হয়ে কিয়ামত পর্যন্ত সারা দুনিয়ার সমস্ত মানব জাতির হেদায়েতের জন্য হযরত মোহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আখেরী নবী করে দুনিয়ায় পাঠালেন। নবুয়ত প্রাপ্তির পর মাত্র ২৩ বছরের মেহনতে সেই অসভ্য, বর্বর, ঘৃনীত মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিনত হলেন।



যেহেতু আর কোন নবী দুনিয়াতে আসবেন না তাই এই মেহনতের জিম্মাদারী এখন আমাদের সবার উপর। আমরা যদি এই দাওয়াতের মেহনত না করি কাল কিয়ামতের মাঠে আমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। আর আমরা যদি এই মেহনত করি আল্লাহপাক আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে ইজ্জত ও সম্মান দান করবেন। এই মেহনত করার জন্য সবাই তৈয়ার আছি না ভাই ?



ফজীলত:

১. আল্লাহপাক বলেন ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন।(আল-কোরআন)

২.আল্লাহপাকের রাস্তায় এক সকাল অথবা এক বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।(বোখারী)

৩.আল্লাহর রাস্তার ধূলাবালি আর জাহান্নামের ধূয়া কখনো একত্রিত হবে না।(তিরমিযি)

৪. আল্লাহর রাস্তায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা শবে ক্বদরের রাত্রে হাজরে আসওয়াদ পাথরের পার্শ্বে দাড়িয়ে সারারাত ইবাদকত করার চেয়ে উত্তম।(ইবনে হিব্বান)

৫. আল্লাহর রাস্তায় কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকা আপন ঘরে থেক ৭০ বছর নামায পড়ার চেয়ে উত্তম।(তিরমিযী)



তরতীব:

১. সারা দুনিয়াকে সামনে নিয়ে আল্লাহপাকের রাজির জন্য গাস্তে যাওয়া।

২. জামাত আকারে যাওয়া, জামাতের সাথে আল্লাহপাকের রহমত থাকে। জামাতের মধ্যে একজন স্থানীয় রাহবার, একজন মুতাকাল্লিম, কিছু মামুর এবং একজন জিম্মাদার থাকবে।

৩. গাস্তে যাওয়ার আগে নিজের দুর্বলতা পেশ করে দোয়া করা।

৪. ৭-১০ জন সাথী হলে ভালো হয়।

৫. নজরের হেফাজত করা।

৬. জিকিরে ফিকিরে যাওয়া।

৭. রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলা।

৮. মহল্লার শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে মসজিদের দিকে আসা।

৯. মসজিদেও আমল চলবে। এক ভাই ঈমান একীনের কথা বলবে, কিছু ভাই কথা শুনবে, ২/১ ভাই এস্তেকবাল করবে, ২/১ ভাই দোয়া ও জিকিরে লিপ্ত থাকবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.