![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ্
১. হযরত আবু মুসা (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, সুসংবাদ গ্রহন করও অন্যদেরকে সুসংবাদ দান কর, যে ব্যক্তি খাটি দিলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ স্বীকার করিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।(মুসনাদে আহমাদ, মাজমাউয়ে যাওয়ায়েদ)
২. হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযি বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখিয়াছে এবং আমার উপর ঈমান আনিয়াছে তাহার জন্যতো একবার মোবারবাদ। আর যে আমাকে দেখে নাই তারপরও আমার উপর ঈমান আনিয়াছে তাহাকে বারবার মোবারকবাদ।(মুসনাদে আহমাদ)
৩. হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযি বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমার আকাংখা হয়,যদি আমার ভাইদের সহিত আমার সাক্ষাত হইত। সাহাবা (রাযি
আরজ করিলেন, আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি এরশাদ করিলেন, তোমরা তো আমার সাহাবী। আমার ভাই হইলো তাহারা যাহারা আমাকে না দেখিয়া আমার উপর ঈমান আনিবে।(মুসনাদে আহমাদ)
৪. হযরত আবু উমামা (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, এক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করিল, ঈমান কি? তিনি এরশাদ করিলেন, যদি তোমার নেক আমল তোমাকে আনন্দিত করে ও তোমার মন্দ কাজ তোমাকে দু:খিত করে তবে তুমি মুমিন।(মুসতাদারাকে হাকিম)
৫. হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযি হইতে বর্নিত অছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমরা যদি আল্লাহতায়ালর উপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করিতে আরম্ভ কর যেমন তাওয়াক্কুলের হক রহিয়াছে তবে তোমাদিগকে এমনভাবে রুজী দান করা হইবে যেমন পাখিদেরকে রুজী দান করা হয়। উাহারা সকালে খালি পেটে বাহির হইয়া যায় এবং বিকালে ভরা পেটে ফিরিয়া আসে।(তিরমিযী)
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
১. হযরত মালেক ইবনে আনাস (রহ বলেন, আমার নিকট এই রেওয়ায়েত পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমি তোমাদের নিকট জিনিস রাখিয়া গিয়াছি, যতক্ষন তোমরা উহাকে মজবুতভাবে ধরিয়া রাখিবে কখনও গোমরাহ হইবে না। উহা হইল আল্লাহতায়ালার কিতাব এবং তাহার রাসূলের সুন্নত। (মোয়াত্তা ঈমাম মালেক)
২. হযরত আবু হোরায়রা (রাযি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদ বর্ননা করেন যে, আমার উম্মতের ফেৎনা ফাসাদের যামানায় যে ব্যক্তি আমার তরীকাকে দৃঢ়ভাবে আকড়াইয়া ধরিয়াছে সে শহীদের সওয়াব পাইবে।(তাবারানী, তারগীব)
৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, কোন ব্যক্তি ঐ পর্র্যন্ত (পূর্ন) ঈমানদার হইতে পারে না, যতক্ষন পর্যন্ত তাহার মনের খায়েশাতসমূহ আমার আনীত দ্বীনের অধীন না হইয়া যাইবে।(শারহুস সুন্নাহ)
৪. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমার সকল উম্মত জান্নাতে যাইবে, ঐ সমস্ত লোক ব্যতীত যাহারা অস্বীকার করিবে। সাহবা (রাযি
জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! (জান্নাতে যাইতে) কে অস্বীকার করিতে পারে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে এরশাদ করিলেন, যে ব্যক্তি আমার অনুসরন করিল সে জান্নাতে দাখেল হইল। আর যে ব্যক্তি আমার নাফরমানী করিল অবশ্যই সে জান্নাতে যাইতে অস্বীকার করিল।(বোখারী)
৫. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদ নকল করেন যে আমার এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগনের দৃষ্টান্ত এমন যেমন এক ব্যক্তি ঘর বানাইয়াছে এবং উহার মধ্যে সকল প্রকার কারুকার্য ও সৌন্দর্য সৃষ্টি করিয়াছে কিন্ত ঘরের কোনে এশটি ইটের জায়গা খালি রাখিয়া দিয়াছে। এখন লোকেরা
ঘরের চারিদিকে ঘুরিয়া দেখে, ঘরের সৌন্দর্যের প্রশংসা করে, কিন্তু এই কথাও বলে যে এই জায়গায় একটা ইট কেন রাখা হইল না? সুতরাং আমিই সেই ইট এবং আমি শেষ নবী।(বোখারী)
নামায
১. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে কুরত (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব করা হইবে। যদি নামায ঠিক থাকে তবে বাকি আমলও ঠিক হইবে। আর যদি নামায খারাপ হইয়া যায় তবে বাকি আমলও খারাপ হইয়া যাবে।(তাবারানি, তারগীব)
২. হযরত আমর ইবনে শৈাআইব তাহর পিতা হইতে এবং তিনি তাহার পিতা (রাযি হইতে বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, নিজ সন্তানদিগকে সাত বৎসর বয়সে নামাযের হুকুম কর। দশ বৎসর বয়সে নামায না পড়িলে তাহাদেরকে মার এবং এই বয়সে (ভাই বোনের) বিছানা পৃথক করে দাও।(আবু দাউদ)
৩. হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ যুহানী (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে তারপর দুই রাকাত নামায এইভাবে আদায় করে যে, বূল করে না অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ রাখে তবে তাহার পিছনের সমস্ত গুনাহ্ মাফ হইয়া যায়।(আবু দাউদ)
৪. হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাযি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, যে এশার নামায জামাতের সহিত পড়ে সে যেন অর্ধরাত্রি এবাদত করিল, আর যে ফজরের নামাজও জামাতের সহিত পড়িয়া লয়সে যেন সারারাত্র এবাদত করিল।(মুসলিম)
৫. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমার ইচ্ছা হয় কতিপয় যুবককে বলি যে, তাহারা অনেকগুলি লাকড়ি যোগাড় করিয়া আনে। অত:পর আমি ঐ সকল লোকদের নিকট যাই যাহারা বিনা ওজরে ঘরে নামায পড়িয়া লয় এবং তাহাদের ঘরগুলিকে জ্বালাইয়া দেই।(আবু দাউদ)
এলেম
১. হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে কুরআন শরীফ শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।(তিরমিযী)
২. হযনত আবু জর (রাযি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এরশাদ করিয়াছেন, হে আবু জর তুমি যদি সকালবেলা যাইয়া কালামুল্লাহ শরীফের একটি আয়াত শিখিয়া লও তবে তাহা একশত রাকাত নফল হইতে উত্তম। আর যদি এলেমের একটি অধ্যায় শিখিয়া লও, চাই উহার উপর আমল হউক বা না হউক (যেমন তায়া¤উমের মাসায়েল) তবে হাজার রাকাত হইতে উত্তম।(ইবনে মাজাহ্)
৩. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, তুমি হয়তো আলেম হও অথবা তালেবে আলেম হও অথবা মনোযোগ সহকারে এলেম শ্রবনকারী হওঅথবা এলেম আলেমদের মহব্বতকরনেওয়ালা হও।(এই চার ব্যতীত)পঞ্চম প্রকার হইও না, নতুবা ধ্বংস হইয়া যাবে। পঞ্চম প্রকার এই যে তুমি এলেম ও আলেমদের প্রতি শত্রুতা পেষণ কর।(তাবরানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
৪. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, এমন ব্যক্তির উদহারন যে এলেম শিক্ষা করে, অত:পর লোকদেরকে শিক্ষা দেয় না সেই ব্যক্তির ন্যায় যে ধন ভান্ডার জমা করে, অত:পর উহা হইতে খরচ করে না।(তাবরানী, তারগীব)
৫. হযরত জুন্দুব ইবনে আব্দুল্লাহ আযদী (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, এমন ব্যক্তির উদহারন যে লোকদেরকে নেক কাজের কথা শিক্ষা দেয় আর নিজেকে ভুলিয়া যায় (অর্থাৎ নিজে আমল করে না) সেই চেরাগের ন্যায় যে লোকদের জন্য আলো দেয় কিন্তু নিজেকে জ্বালাইয়া ফেলে।( তাবরানী, তারগীব)
জিকির
১. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি বর্ননা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এরশাদ করিয়াছেন, আমি বান্দার সাথে ঐরূপ ব্যবহার করি যেরূপ সে আমার প্রতি ধারনা পোষন করে। যখন সে আমাকেস্মরন করে তখন আমি তাহা সাথে থাকি। যদি সে আমাকে আপন মনে স্মরন করে তবে আমিও তাহাকে আপন মনে স্মরন করি। অর যদি সে মজলিসে আমার স্মরন করে তবে আমি সেই মজলিস হইতে উত্তম অর্থাৎ ফেরেশতাদের মজলিসে তাহার আলোচনা করি। যদি বান্দা আমার প্রতি এক বিঘত অগ্রসর হয় তবে আামি এক হাত তাহার প্রতি াগ্রসর হই। যদি সে আমার প্রতি হাটিয়া অসে তবে াামি তাহার প্রতি দৌড়াইয়া আসি।(বোখারী)
২. হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাযি বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, জান্নাতীদের জান্নাতে যাওয়ার পর দুনিয়ার কোন জিনিসের প্রতি আফসোস হবে না। শুধু ঐ জিনিসের জন্য আফসোস হইবে যাহা দুনিয়াতে আল্লাহ্ তায়ালার জিকির ব্যাতীত অতিবাহিত হইয়াছে।(তাবরানী, বায়হাকী, জামে সগীর)
৩. হযরত আবু মুসা (রাযি বর্ননা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহতায়লার যিকির করে আর যে যিকির করে না, তাহাদের উভয়ের উদহারন জীবীত ও মৃতের ন্যায়। যিকিরকারী জীবীত ও যে যিকির করে না সে মৃত। এক রেওয়াতে ইহাও আছে যে, সেই ঘরের উদহারন যাহাতে আল্লাহতায়ালার যিকির করা হয় জীবীত ব্যক্তির ন্যায়, অর্থাৎ উহা আবাদ। আর যে ঘরে আল্লাহতায়ালার যিকির করা হয় না উহা মৃত ব্যক্তির ন্যায়।(বোখারী, মুসলিম)
৪. হযরত আবু মুসা (রাযি বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যদি এক ব্যক্তির নিকট অনেক টাকা পয়সা থাকে আর সে উহা বন্টন করিতেছে আর অপর এক ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার যিকিরে মশগুল থাকে তবে যিকিরকারীই উত্তম।(তাবরানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
৫. হযরত এমরান ইবনে হুসাইন (রাযি বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমদের মধ্যে কেহ কি দৈনিক ওহুদ পাহাড় পরিমান আমল করিতে পারে না? সাহাবা (রাযি
করিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ওহুদ পাহাড় পরিমান কে আমল করিতে পারে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিলেন, তোমদের প্রত্যেকেই করিতে পারে। সাহাবা (রাযি
আরজ করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উহা কোন আমল? এরশাদ করিলেন “সুবহানাল্লাহ্”-র সওয়াব ওহুদ হইতে বড়। “আলহামদুলিল্লাহ্”-র সওয়াব ওহুদ হইতে বড়। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”-র সওয়াব ওহুদ হইতে বড়। “আল্লাহুআকবার”-এর সওয়াব ওহুদ হইতে বড়।(তাবরানী, বাযযার, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
একরামে মুসলিম
১. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি, এক মুসলমানের অপর মুসলমানের উপর পাচটি হক রহিয়াছে - সালামের জওয়াব দেওয়া, অসুস্থ কে দেখতে যাওয়া, জানায়ার সহিত যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাচি দাতার জবাবে ইয়ার হামুকাল্লাহ্ বলা।(বোখারী)
২. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, শক্তিশালী সে নয় যে (নিজের প্রতিপক্ষকে) ধরাশায়ী করিয়া দেয়। বরং শক্তিশালী ঐ ব্যক্তি যে গোস্বার সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রন করিতে পারে।(বোখারী)
৩. হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি আপন কোন ভাইয়ের কাজের জন্য পায়ে হাটিয়া যায়, তাহার এই কাজ দশ বৎসরের এতেকাফ অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি একদিনের এতেকাফও আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য করে, আল্লাহতায়ালা তাহার ও জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক আড় করিয়া দেন। প্রতি খন্দক আসমান ও জমিনের দূরত্ব হইতেও বেশী।(তাবরানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
৪. হযরত আনাস (রাযি বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে কষ্ট দিল সে আমাকে কষ্ট দিল আর যে আমাকে সে নিশ্চিতভাবে আল্লাহতায়ালাকে কষ্ট দিল অর্থাৎ আল্লাহতায়ালাকে অসন্তুষ্ট করিল।(তাবরানী, জামে সগীর)
৫. হযরত আয়েশা (রাযি বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে, যে আপন ঘরওয়ালাদের জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম হয় এবং আমি তোমাদের মধ্যে আমার ঘরওয়ালাদের জন্য বেশী উত্তম।(ইবনে হিব্বান)
এখলাসে নিয়ত
১. হযরত আবু উমামা বাহেলী (রাযি বর্ননা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আল্লাহতায়ালা সমস্ত আমলের মধ্যে হইতে শুধু সেই আমলকেই কবুল করেন যাহা খালেসভাবে তাহারই জন্য হয় এবং উহাতে শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টিই উদ্দেশ্য হয়।(বোখারী)
২. হযরত আবু দারদা (রাযি বর্ননা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি ঘুমাইবার জন্য বিছানায় আসে এবং তাহার নিয়ত এই হয় যে রাত্রে উঠিয়া তাহাজ্জুদ পড়িব। কিন্তু ঘুম প্রবল হওয়ার কারনে সকালেই চোখ খুলে। তাহার জন্য তাহাজ্জুদের সওয়াবই লিখিয়া দেওয়া হয় এবং তাহার ঘুম তাহার রবের পক্ষ হইতে তাহার জন্য দান স্বরূপ হয়।(নাসাঈ)
৩. হযরত সাদ (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, আল্লাহতায়ালা পরহেজগার মাখলুক হতে বেপরওয়া, অজ্ঞাত পরিচয় বান্দাকে পছন্দ করেন।(মুসলিম)
৪. হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে বান্দা দুনিয়াতে প্রসিদ্ধ হওয়া ও দেখানোর জন্য কোন আমল করিবে আালআহতায়ালা কেয়ামতের দিন সমস্ত মাখলুকের সামনে মুনাইয়া দিবেন (যে এই ব্যক্তি লোক দেখনোর জন্য নেক আমল করিয়াছিল, যদ্দরুন সে অপমানিত হইবে)।(তাবরানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
৫. হযরত মালেক (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, দুইটি ক্ষুধার্ত বাঘকে বকরীর পালের মধ্যে ছাড়িয়া দিলে উহারা বকরীর পালের এই পরিমান ক্ষতি করে না যে পরিমান মানুষের মালের লোভ ও সম্মানের লিপ্সা তাহার দ্বীনের ক্ষতি করে।(তিরমিযিী)
তাবলীগ
১. হযরত আনাস (রাযি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আল্লাহতায়ালার রাস্তায় এক সকাল অথবা এক বিকাল দুনিয়া এবং দুনিয়ার ভিতর যাহা রহিয়াছে তাহা অপেক্ষা উত্তম।(বোখারী)
২. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি বর্ননা করেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, আল্লাহতায়ালার রাস্তায় কিছুক্ষন দাড়াইয়া থাকা শবে কদরে হাজরে আসওয়াদের সামনে এবাদত করা হইতে উত্তম।(ইবনে হিব্বান)
৩. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাযি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমার পক্ষ হএত পৌছাইয়া দাও যদি একটি আয়াতও হয়।(বোখারী)
৪. হযরত আবু হুরায়রা (রাযি হইতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি হেদায়াত ও সৎ কাজের দাওয়াত দিবে সে ঐ সমস্ত লোকদের আমলের সমান সওয়াব পাইতে থাকিবে যাহারা সেই সৎ কাজের অনুসরন করিবে এবং অনুসরনকারীদের সওয়াব কোন কম হইবে না। এমনিভাবে যে গুমরাহীর কাজের দিকে দাওয়াত দিবে সে ঐ সমস্ত লোকদের আমলের গুনাহ পাইতে থাকিবে যাহারা সেই গোমরাহীর অনুসরন করিবে এবং ইহার কারনে সেই অনুসরনকারীদের গুনাহ্ কোন কম হইবে না।(মুসলিম)
৫. হযরত জয়নব বিনতে জাহাশ (রাযি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের মধ্যে নেক লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংস হইয়া যাইব? তিনি এরশাদ করিলেন, জি হাঁ, যখন অসৎ কাজ ব্যাপক হইয়া যাবে।(বোখারী)