![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উচ্চবিত্ত বা নিম্নবিত্তের চেয়ে মধ্যবিত্ত সমাজে ত্রিশোর্ধ অবিবাহিত মেয়ের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। এই মেয়েগুলো সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী,দেখতে চলনসই আর পরিবারের প্রতি একটু বেশী দায়িত্ববান। মধ্যবিত্ত পরিবারের বড়মেয়েটিকে অনেক সময় নিজের সুখের চিন্তা বাদ দিয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। আর বেশীর ভাগ ছেলেই এমন মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হয় না।
সামাজিক অবস্থার কারনেই মেয়েদের বিয়ে হতে বিলম্ব হচ্ছে বলে আমার ধারণা। কিন্তু কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন অথচ উচ্চশিক্ষিত মানুষ ইমাম আলেমদের শরনাপন্ন হচ্ছেন এই বিলম্ব বিয়ের কারণ ও প্রতিকার জানতে। অনেকে নাকি উপকৃত হয়েছেন। অদ্ভুত ব্যাপার আমি যে কজনার কথা শুনেছি তারা সবাই বিয়ে না হওয়ার একটি কারণই জেনেছেন তা হচেছ,শত্র“তা বশত তাদের বিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।!! আর এর প্রতিকার হচ্ছে,হুজুর এই অচলাবস্থা প্রথমে নিরসন করেন তারপর সেই মেয়ের দেহে তাবিয ধারণ করতে হয় বা বালিশের মধ্যে সে তাবিয রাখতে হয়। এর সংগে একটা চিরুনী পড়ে দেয়া হয় যা দিয়ে দিনে তিনবার চুল আঁচড়াতে হয় যেন দ্রুত বিয়ের প্রস্তাব আসে।
আমি জানি তাবিয গ্রহন করা ইসলামে হারাম। বিয়ের জন্য এমন তদবীর করাও ঠিক না। আপনাদের মতামত ?
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৮
ঈগলু-আইস বলেছেন: যারা এই ধরেনর তাবিয,কবজ,চিরুনী related কাজ করে.....এদের ধরে জুতানো উচিত!! আর হ্যাঁ,যাদের বিয়ে হচ্ছে না বা দেরী হচ্ছে তাদের জন্য,অনেক রকম দোয়া আছে ইসলামী বইগুলোতে(যা কিনা কোরআনের আলোকে)....সেগুলো পড়া উচিত এবং সেই সাথে আল্লাহ্-র কাছে দোয়া ও সাহায্য চাওয়া উচিত.
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫২
রিয়াল ফেরদৌস বলেছেন: মেয়েরা ভালো চাকুরী, গাড়ি বাড়ি এস্ট্যবলিস্ট ছেলে ছাড়া আজকাল বিয়ে করে না, আর একটা ছেলেকে লেখাপড়া শেষ করে ভালো চাকুরী সহ ঐসব সহ এস্ট্যবলিস্ট হতে ৩৫ পার হয়ে যায়। আর ছেলেরা যদি দেরি করে বিয়ে করে মেয়েদেরও তো বিয়ে হবে না কারন ছেলেরা তো মেয়েদেরই বিয়ে করে তাই না।
এছারা লিভটুগেদার বেড়েছে ব্যপক হারে। যার ফলে বিয়ের প্রয়োজনটাও কমে গেছে অনেকাংশে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শেষ পর্যন্ত তাদের আইনানুগ মিলন হয় না ।
যে মেয়েটা আজ তাবিজ কবজ নিচ্ছে সে কিন্তু ৫ বছর আগে সবাইকে বিয়ে না করার কথাটাই বলতো যে আগে লেখাপড়া তারপর সব কিন্তু এর মধ্যে মদ রুটি ফুরিয়ে যায় আর প্রিয়াদের কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যায় আর
হুজুরদের ইনকাম বাড়ে।
সবারি সঠিক বয়সে বিয়ে করা উচিত।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫৩
ময়নামতি বলেছেন: আপনার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধারেখেই বলতে চাই,
যে ঘরে বড় ছেলে বলতে বড় মেয়েকে বুঝায় সেখানে অনেক সময় পরিবারের দায়ীত্ব বড় মেয়েকে নিতে হয়,
সে ক্ষেত্রে পড়াশুনা থেকে শুরুকরে বিভিন্ন কারনে মেয়েদের বয়স বাড়তে পারে যারা এগুলিকে ভিন্ন চোঁখে দেখে ওদের কথা বলে কি লাভ,কোন মেয়েকি বিয়ে ছাড়া থেকেছে ?
এমন অনেককেই দেখেছি বরং ভাল পাত্র পেয়েছে ।
আর পীর ফকির হুজুরের কাছে যাওয়া একটা রোগ এগুলো অনেক সময় মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত মাবাবা অন্যের কুপরামর্শে এসব করে যার সাথে ইসলাম ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।
ভাল থাকবেন ।
আপনার দায়ীত্ব আপনি পালন করুন ..............
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫৬
সারিয়া তাসনিম বলেছেন:
আমরা যারা মুসলমান, তাদের কে অবশ্যই একটা কথা বিশ্বাস করতে হবে যে আল্লাহ্ পাক প্রতিটি জোড়া নির্ধারিত করে রেখেছেন। তাই বিয়ে বন্ধ করে রাখা ইত্যাদি , ইত্যাদি বিশ্বাস করা এবং সেই সব তাবিজ, চিরুনি'র ওপর আস্থা রাখা শিরক্ এর শামিল।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৬
শিউলীমালা বলেছেন: ধন্যবাদ তাসনিম। সব মুসলমানেদর আকীদাই এমন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০০
রাজীব দে সরকার বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো পড়ে ...
মেয়েরা এখন সত্যি অনেক দায়িত্ব কাঁধে নেয়
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৪
শিউলীমালা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব দে।
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৩
শিউলীমালা বলেছেন: সুন্দর সুন্দর মন্তবের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৭
তামীম বলছি বলেছেন: আমি জানি তাবিয গ্রহন করা ইসলামে হারাম।
আপনার জানার মধ্যে ভুল আছে বলে আমার বিশ্বাস। তবে কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তাবিজ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
বিয়ের জন্য এমন তদবীর করাও ঠিক না।
বিয়ের জন্য এসব তদবির করা ঠিক কি না, সেই ব্যাপারে আমার সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার জন্যে মন্তব্য থেকে বিরত থাকছি। তবে বিয়েটা সময়মত করাই সর্বাপেক্ষা ভাল।
ইসলামে হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু এবং ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা এর মধ্যকার বিয়েকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। বিয়ের সময় খুব সম্ভবত হযরত আলীর বয়স ছিল ২১ বছর এবং ফাতিমা এর বয়স ছিল খুব সম্ভবত ১৬/১৮। যদিও আমি নিজেই এই বয়সে বিয়ে করতে পারি নাই, কিন্তু ইনশাল্লাহ আমার ছেলে-মেয়েদেরকে [যদি হয়] এই বয়সেই বিয়ে দিব।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৬
শিউলীমালা বলেছেন: তামীম বলছি বলেছেন: আমি জানি তাবিয গ্রহন করা ইসলামে হারাম।
আপনার জানার মধ্যে ভুল আছে বলে আমার বিশ্বাস
আমার জানার মধ্যে কতটুকু ভূল আছে?????????
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৫
তামীম বলছি বলেছেন: এখানে প্রথমেই আসে যে, জ্বীন এবং জাদু টোনায় আপনার বিশ্বাস কতটুকু। যদি আধুনিক প্রগতিশীলবাদিতার স্রোতের তোড়ে এই দুই ব্যাপারের অস্তিত্ব সম্পর্কে আপনার কোন বিশ্বাস না থাকে, তবে বলতে হবে যে, আপনার প্রগতিবাদি চিন্তাচেতনার দম্ভ আপনার ইসলামি চেতনাকে বিলুপ্তপ্রায় করে দিয়েছে। এই অবস্থা থাকলে আমার পরবর্তি কথাগুলি মূল্যহীন।
জ্বীন এবং যাদুটোনার থেকে নিরাপদ থাকার জন্য তথা নিজেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনের খাতিরে আপনি তাবিয গ্রহণ করতে পারেন। এখানে বলাই বাহুল্য যে আপনার উদ্দেশ্য অবশ্যই সৎ হতে হবে।
১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৪
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: বিয়ে কি করতেই হবে? একা কি থাকা যায় না?
১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:০১
নেক্সাস বলেছেন: হি হি আমার একখান তাবিজ দরকার....শিউলি মালা নামের একজন কে তাবিজ করবো..!!!!
...........................................................................
তাবিজ ধারণ করা ইসলামে হারাম এবং গুনাহের কাজ।
১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৭
নেক্সাস বলেছেন: জ্বীন এবং যাদুটোনার থেকে নিরাপদ থাকার জন্য তথা নিজেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনের খাতিরে আপনি তাবিয গ্রহণ করতে পারেন। এখানে বলাই বাহুল্য যে আপনার উদ্দেশ্য অবশ্যই সৎ হতে হবে।
তামীম এসব মনগড়া কথা না বল্লেই কি নয়।ইসলামি আইন শাস্ত্রের (কুরআন ও হাদিস) কোথায় লিখা আছে এই কথাটা।
ইসলামে বলা হয়েছে যাদুটোনা হারাম।যাদু এবং জ্বীন কুরআন স্বীকৃত ব্যাপার।কাজেই এই দুটোকে অস্বীকার করার কোন অবকাশ নাই।
কিন্তু তাই বলে কুরআন বা হাদিসের কোন জায়গায় বলা হয়নি জ্বীন ও যাদু থেকে রক্ষা পেতে হলে তাবিজ ধারণ করতে হবে।অধিকিন্তু তাবিজ বা মাদুলি ধারণ করাকে ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বরং বলা হয়েছে একজন পবিত্র ও ঈমানদার মুত্তাকীর জীবনে যাদুটোনা ও জ্বীন কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারেনা।তদুপুরি পবিত্র কুরআনে বেশ কিছু ফজিলতপূর্ণ সুরা ও আয়াতের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে যেগুলো তেলাওয়াত বা পাঠ করলে যাদুটোনা বা জ্বীনের এমনি কি শয়তানে হাত থেকেও নিরাপদ থাকা যায়। উদাহরণ স্বরূপ আয়াতুল কুরসী,সুরা ইখলাস,সুরা ইয়াছীন কথা উল্লেখ করা যায়।
কাজেই তাবিজ ,কবজ ,পীর -মুর্শীদ, মাজার, ওরস সবকিছু কুফরী।আসুন সমস্ত মুসলিম ভাই ও বোনেরা এসব কুফরী কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখি।
০১ লা নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:২৭
শিউলীমালা বলেছেন: নেক্সাস এর সঙ্গে সহমত।ধন্যবাদ
১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৪০
তামীম বলছি বলেছেন: কাজেই তাবিজ ,কবজ ,পীর -মুর্শীদ, মাজার, ওরস সবকিছু কুফরী।
আপনার ইলম দেখে আমি বিমোহিত। আমি মানি আমার ইসলামিক জ্ঞান অনেক কম। আপনার কেমন তা আমি জানি না। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে, অন্তত এই একটা ক্ষেত্রে হলেও আপনার চেয়ে আমার ধারণা কিছুটা হলেও বেশি আছে। ইসলামে পীর কুফরী এই জ্ঞানের দ্বারা আপনার জ্ঞানের দৌড় বুঝতে পারলাম।
১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৬
দাম বলেছেন: @তামীম বলছি
নেক্সাস এর শেষ প্যারা টা কোট করলাম
কাজেই তাবিজ ,কবজ ,পীর -মুর্শীদ, মাজার, ওরস সবকিছু কুফরী।আসুন সমস্ত মুসলিম ভাই ও বোনেরা এসব কুফরী কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখি।
আমাদের দেশে আজকাল এইসব পীর টিরের নামে যা হচ্ছে সেটার রেফারেন্স দেন।
এই গাধা গুলি বলে উছিলা ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না, অনেকটা খ্রীষ্টানদের ফাদারদের মত।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৭
গরম কফি বলেছেন: আপনি যা জানেন তা সত্য । আতএব সত্যের পক্ষে থাকাটিই কি সঠিক নয়?