নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শোয়াইব খোন্দকার

শোয়াইব খোন্দকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘু নির্যাতনঃ আওয়ামী রাজনীতির পুরানা ট্রাম্পকার্ড...

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

পৃথিবীর বুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরন আমাদের বাংলাদেশ। যুগ যুগ ধরে একই সাথে বসবাস করলেও বাংলাদেশে ঘটেনি কোণ সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাতের ঘটনা। ভারতসহ বর্তমান পৃথিবীর উন্নত দেশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে সাম্প্রদায়িক এবং বর্নবাদী সংঘাতের অসংখ্য ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশ এর ব্যাতিক্রম। এমনকি ভারতে শিবসেনা ও যুক্তরাজ্যে ই.ডি.এল ও বি.এন.পি’র মত চরম বর্নবাদী ও সাম্প্রদায়িক কোণ দলের সৃষ্টি হয়নি আমাদের এই দেশে। যেমন শান্তি প্রিয় আমাদের দেশের মুসলমানেরা ঠিক তেমনি সংখ্যালঘুরা ও। তবে একথা সত্য যে বিভিন্ন সময় তাদের উপড় নির্যাতনের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে তবে তা হয়েছে ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে। ভিন্ন রাজনৈতিক মতালম্বীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দমন-নিপিড়ন আজকাল আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। এখানে হিন্দু-মুসলিম পরিচয় খুবই নগণ্য।



এদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ধর্মীয় পরিচয়ের কারনে নির্যাতনের শিকার না হলেও একটি দল তাদের কে ব্যাবহার করে আসছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। আওয়ামী লীগ নামের সেক্যুলার এই দলটি হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে আসছে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে। যখনই এই দলটি কোণ ক্রাইসিসের মুখমুখি হয় ঠিক তখনই তারা ব্যাবহার করতে শুরু করে “ সংখ্যালঘু নির্যাতন” নামের রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড।দূর্নীতি, অবিচার ও দেশ পরিচালনায় চরম ব্যার্থতার কারনে আজ যখন তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি ঠিক তখনি তারা আবার সংখ্যালঘু নির্যাতনের বায়বীয় গুজব ছড়াচ্ছে। এমন কি কোন কোন জায়গায় নিজেরাই মন্দিরে আগুন লাগিয়ে জামাত-শিবিরের নামে চালিয়ে দিয়ে জনমত ও বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছে। আজকের এই টেকনোলজির যুগে তাদের এই কু-চেষ্টা কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে ইনশাল্লাহ।



এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে সফলতার পিছনে আম্লীগের এই ট্রাম্পকার্ডের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আজগুবি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা বানিয়ে তারা বিশ্ব জনমত কে তাদের পক্ষে এনেছিল।



আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হিন্দুদের প্রতি পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কথা আমরা সবাই জানি কিন্তু আম্লীগের নেতা কর্মীরা ও যে সেদিন হিন্দুদের বাড়ি ঘর লুটপাট করে নি তা আজ আর বিশ্বাস হয় না। ছোট বেলায় আম্লীগের নেতাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দেখেছিলাম পিতলের বিশাল ডেকচি আর তামা-কাশার নানান সরঞ্জামাদি। আজ আম্লীগের কর্মকান্ড দেখে মনে প্রশ্ন জাগে সেগুলো কোথা থেকে জোগাড় করেছিল ঐ নেতা? সেগুলো অবশ্যই হিন্দুদের থেকে লুট করা হয়েছিল। আজ যখন দেখি ছাত্রলীগ নেতারা হিন্দুদের নির্যাতন করে শিবিরের নামে চালিয়ে দিচ্ছে তখন বিশ্বাস করতে বাধ্য হই যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্থানি আর্মীদের সাথে তাল মিলিয়ে আম্লীগ ও লুট করেছিল হিন্দুদের বাড়ি ঘর যা সহজেই পকিস্থানি সেনাবাহীনির নামে চালিয়ে দেয়া গেছে।



সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বলছিঃ



আপনারা এই বাংলাদেশেরই অংশ। জানি আপনারা ও এদেশকে ভালবাসেন সবার মতই। এ দেশটা আমাদের সকলের তাই সকলের অংশগ্রহন করতে হবে এ দেশ গঠনে। এদেশের কোন মানুষই আপনাদের শত্রু নয় ঠিক তেমনি কোন রাজনৈতিক দল ও আপনাদের শত্রু মনে করে না। আমরা এদেশে একে অপরের ভাই ভাই হিসেবে বাস করি। কারও উপকারের সময় হিন্দু মুসলমান বিবেচনা করা হয়না এখানে। জীবনের ঝুকি নিয়ে ও আল্লামা সাঈদীর পক্ষে গনেশ ও সুখরঞ্জনের সাক্ষী প্রদানের ঘটনা কি এটা প্রমানের জন্য যথেষ্ঠ নয়?





আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা কারো ভোট ব্যাংক হিসেবে থাকবেন না। আম্লীগ আপনাদের বন্ধু নয় বরং ওরাই আপনাদের সবচেয়ে ক্ষতি করছে। নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে দেখুন কোন ধর্মপ্রান মুসলমান বা জামাত-শিবির আপনাদের প্রতি কোন আক্রমন করেছে বলে প্রমান পাবেন না। সাথে সাথে খবর নিয়ে দেখুন আপনাদের আশেপাশে যত চাঁদাবাজ সব আম্লীগের, ওরাই আপনাদের প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে, আপনাদের বাড়ি দখল করছে। একটি বার হিসেব করে দেখুন অর্পিত-শ্ত্রু সম্পত্তি আম্লীগের নেতাদের দখলেই সবচেয়ে বেশী। খোজ নিয়ে দেখুন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লুটপাটের মাল আম্লীগের নেতাদের ঘরেই সবচেয়ে বেশী সংরক্ষিত রয়েছে। আপনারা সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। আপনাদের প্রতি কেউ আক্রমন করতে আসলে তাকে পাকড়াও করে জনতার সামনে হাজির করুন। প্লিজ আপনারা আম্লীগের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

নন্দনপুরী বলেছেন: সংখ্যা লঘুরা জামাত বিএনপির দুই চোখের বিস...
ফাক পাইলেই মাইর...........

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

বাবুআনা বলেছেন: সুন্দর এবং বান্তুনিস্ঠ ....
চালিয়ে যান সংগে আছি।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কঠিন সত্য।

শেখ বংশে ব্যাংক লুটেরই যখন কাহিনী বর্নিত আছে শিষ্য চেলারা কি করতে পারে কল্পনা করে নিন!!!!

এই পুরানা কৌশল আর খাটবে না!

এখন সবাই সচেতন। তারা বিএনপির অফিস ভেঙ্গে দেশের বাল উদ্ধার করতে পারে- আর এতদিন হল মন্দির ভাঙ্গার আসামী ধরতে পারে না!!!!

ধরবে কেমনে? বগুড়ার শহীদ মিনার ভাঙ্গতে গিয়ে ধরা খাওয়া লিগ নেতার মতোই যে সব খানে....

প্লিজ আপনারা আম্লীগের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে মন্দিরে মন্দিরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয়, এটা সত্য. কিন্তু প্রত্যেকটা এলাকাতেই গ্রাম্য পুলিশ এবং আনসার-ভিডিপির সদস্য আছে, যাদেরকে জাতীয় ইলেকশনের সময় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৬ জন করে মোতায়েন করা হয়. এখন জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তাদেরকে হাতে চুড়ি পড়িয়ে বসিয়ে না রেখে মন্দিরে কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না??? এরা নিযুক্ত থাকলে সনাক্ত হয়ে যাওয়ার ভয় থাকায় হামলাকারীরা প্রতিমা ভাঙ্গা থেকে বিরত থাকত, এটা কি আমরা আশা করতে পারি না !

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

ইউরো-বাংলা বলেছেন: দূর্নীতি, অবিচার ও দেশ পরিচালনায় চরম ব্যার্থতার কারনে আজ যখন তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি ঠিক তখনি তারা আবার সংখ্যালঘু নির্যাতনের বায়বীয় গুজব ছড়াচ্ছে। এমন কি কোন কোন জায়গায় নিজেরাই মন্দিরে আগুন লাগিয়ে জামাত-শিবিরের নামে চালিয়ে দিয়ে জনমত ও বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছে। আজকের এই টেকনোলজির যুগে তাদের এই কু-চেষ্টা কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে ইনশাল্লাহ।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

কে বা কারা বলেছেন: মিথ্যাই আওয়ামী লীগের সম্বল।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১০

সালটু বলেছেন: মিথ্যাই আওয়ামী লীগের সম্বল
চুরির শুরু নিয়ে কম্বল......

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৭

সুনীল রায় বলেছেন: আমি আপনাকে প্রথমেই কয়েকটি প্রশ্ন করি:
১. আপনি নিজেকে মানুষ মনে করেন কি না?

২. যদি নিজেকে মানুষ মনে করেন, তাহলে নিজেকে কোন পর্যায়ের সাম্প্রদায়িক মানষ হিসেবে ভাবেন?

৩. আপনি কি নিজেই একজন সংখ্যা লঘু নির্যাতনকারী, যে কারণে জামা-শিবির-বিএনপির হায়েনাদের অপকর্ম ঢকার জন্য এই পোস্ট দিয়েছেন? আপনি কি নিজেও তাদের একজন?

আপনি লিখেছেন: যুগ যুগ ধরে একই সাথে বসবাস করলেও বাংলাদেশে ঘটেনি কোণ সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাতের ঘটনা। আপনি ঠিকই বলেছেন। এখানে কোন সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা দাঙ্গা হয়নি। যা হয়েছে তা হল একতরফা হামলা। হিন্দুরা কখনও প্রতিরোধ বা প্রতিঘাত করতে পারেনি, সে ক্ষমতাও তাদের ছিল না, এখনও নেই। হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়ে দেশান্তর হয়েছে। এদেশে হিন্দুর সংখ্যা প্রতিদিন কমছে।

আপনি লিখেছেন: আজ যখন দেখি ছাত্রলীগ নেতারা হিন্দুদের নির্যাতন করে শিবিরের নামে চালিয়ে দিচ্ছে তখন বিশ্বাস করতে বাধ্য হই যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্থানি আর্মীদের সাথে তাল মিলিয়ে আম্লীগ ও লুট করেছিল হিন্দুদের বাড়ি ঘর যা সহজেই পকিস্থানি সেনাবাহীনির নামে চালিয়ে দেয়া গেছে। কি চমৎকার মিথ্যার বেসাতি। পাকি পন্থীদের পক্ষেই এরকম অসভ্য তথ্য লেখা সম্ভব। যেখানে পাকিদের পক্রিকা বাদে দেশের সব প্রধান মিডিয়াতে জামাত-বিএনপি কর্তৃক হিন্দুদের উপর বর্বরতম অত্যাচারের সচিত্র প্রতিবেন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন আপনার মত পাঁড় সাম্প্রদায়িক লোক তাদের পাপকে আড়াল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আপনিও কি এই হামলায় অংশ নিয়েছিলেন? অপনিও কি সাইদীকে চাঁদে দেখতে পেয়েছিলেন? ঐ মিথ্যাচার থেকেই কি আপনি এ জাতীয় গোয়েবলসীয় মিথ্যাচারে অনুপ্রানিত হয়েছেন? আপনার রাজনৈতিক পরিচয় কি? শিবির করেন?

আপনি লিখেছেন: আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা কারো ভোট ব্যাংক হিসেবে থাকবেন না। আম্লীগ আপনাদের বন্ধু নয় বরং ওরাই আপনাদের সবচেয়ে ক্ষতি করছে। নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে দেখুন কোন ধর্মপ্রান মুসলমান বা জামাত-শিবির আপনাদের প্রতি কোন আক্রমন করেছে বলে প্রমান পাবেন না। সাথে সাথে খবর নিয়ে দেখুন আপনাদের আশেপাশে যত চাঁদাবাজ সব আম্লীগের, ওরাই আপনাদের প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে, আপনাদের বাড়ি দখল করছে। একটি বার হিসেব করে দেখুন অর্পিত-শ্ত্রু সম্পত্তি আম্লীগের নেতাদের দখলেই সবচেয়ে বেশী। খোজ নিয়ে দেখুন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লুটপাটের মাল আম্লীগের নেতাদের ঘরেই সবচেয়ে বেশী সংরক্ষিত রয়েছে। আপনারা সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। আপনাদের প্রতি কেউ আক্রমন করতে আসলে তাকে পাকড়াও করে জনতার সামনে হাজির করুন। প্লিজ আপনারা আম্লীগের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না। তো ৭১ জামাত-শিবির মুক্তিযুদ্ধ করেছিল আর আওায়মীলীগ লীগ রাজাকার হয়ে পাকিস্তানীদের দোসর হয়ে লুটপাট, হত্যা ধর্ষণ করেছে, আপনি কি একথাই বলতে চান। তা ভাইজান স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছিল। আপনাদের নেতা গো আজম?

আপনি সংখ্যালঘুদের আহ্বান জানিয়েছেন কোন দলের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল এখনও পর্যন্ত এদশের হিন্দুদের আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আওয়ামী লীগ হিন্দদের পছন্দের দল নয়। তারা আওয়মী লীগের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সুবিধা পায়নি। বিশ্বজিতের হত্যাকান্ড ঘটার পর যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল তা নেয়নি। মিডিয়ার চাপে পরে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একমাত্র আওয়ামীলী হিন্দুদের ভোট চায়। বিএনপি কখনও হিন্দুদের ভোট চায়নি। তারা শুধু সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটিয়েছে। হিন্দদেরকে লুটপাট করেছে, হত্যা করেছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় যেয়ে কারা শুধু আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ কিবরিয়ার মত নেতাকেই হত্যা করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, গোপাল মুহুরী নাথের মত শিক্ষককে গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দিতে দ্ধিা করেনি।
আপনার কি খালেদার সেই কুখ্যাত উক্তি মনে আছে, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। উলুধ্বনি কারা দেয় ভাইজান?

তবে কি যার পাপে তারে খায়। পাকিস্তানে নব সময়ই সামপ্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় ছিল। এখনও আছে। তারা হিন্দুদেরকে প্রায় পুরোপুরি দেশছাড়া করতে সক্ষম হয়েছে। একন তারা ধরেছে খৃস্টানদেরকে। সপ্তাহ খানেক আগে সেখানে খৃস্টানদের ১০০ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান রাস্ট্র হিসেবে শেষ পর্যায়ে চলে এসছে। সেখানে প্রতিদিনই বোমাবাজি হচ্ছে শত শত মানুষ মরছে। এমনকি সেনাবাহিনী বোমা হামলায় মারা যাচ্ছে। আমি বলতে চাচ্ছি আপনাদের এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আপনাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যই খারাপ। পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন।

তবে আমি কিন্তু হতাশ নই। এদেশের আধিকংশ মানুষ যাদের অধিকাংশই মুসলমান অসাম্প্রদায়িক। আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধুই মুসলমান। আমি কি ধরনের অসাম্প্রদায়িক মুসলমান দ্বারা বেষ্টিত তা একটি উদাহরণ থেকে বুঝবেন। ২০১২ সালে আমার মা মারা যান। আমাদের বাড়িতে একটি মুসলমান ছেলে কাজ করে (গ্রামের বাড়িতে)। আমার মা প্রায় দু মাস অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে আমাদের সাথে ঐ ছেলেটিও থাকত এবং ঠিক আমাদের মতই আমার মাকে সেবা করত। এমন কি ওর মা পর্যন্ত কয়েকদিন হাসপাতালে আমার মায়ের কাছে ছিল। যখন মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয় সে তখন শ্রাদ্ধের জিনিসপত্র পর্যন্ত গুছিয়ে দিয়েছে।

কি হতাশ হলেন? কিছু করার নেই ভাই। এদেশকে এত সহজে পাকিস্তান বানাতে পারবেন না।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৪

সালটু বলেছেন:

কার নামে দোষ দিচ্ছে সেদিকে যাচ্ছিনা । তবে আমার এলাকায় যত গুলো হিন্দু বাড়ী দখল হয়েছে তার সব গুলই করেছে আম্লীগের নেতারা। এটি কঠিন সত্য।
কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আমার সবাই এই দেশের নাগরিক। ধর্মীও বিশ্বাসে সেটাকে পার্থক্য করা উচিৎ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.