![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শত প্রতিকূলতার মাঝেও যে লোক হারায় না নিজ মনোবল...বিজয় তার অধিকার শুনে রাখ ওরে দুর্বল।
ইয়াহু! ... অনেকদিন পরে লগ ইন করতেই দেখতে পেলাম আমি এখন একজন নিরাপদ ব্লগার।
অফিস থেকে ফেরার পর থেকেই মনটা কেমন যেন উদাস হয়ে ছিল। কোন কাজেই মন বসাতে পারছিলাম না। এটা সেটা ভাবতে ভাবতে অনেকের কথাই মনে হলো। তাদের অনেকেই বাস্তব। আবার অনেকেই প্রতিভাবান কল্পবিলাসী লেখকদের সৃষ্ট চরিত্র।
পেশাগত কারণে আমাকে অনেক শ্রেণীপেশার লোকদের সঙ্গে সারাদিন কথা বলতে হয়। তারা প্রায় সবাই বিত্তবান ও শিক্ষিত। তাদের অনেকের কথাই মনে পড়লো। সেই সাথে মনে পড়লো আমার পরিচিত সকলের মধ্যে অন্যতম সেরা বুদ্ধিমতী, চঞ্ছলা, প্রাণোচ্ছল, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষটির কথা; যিনি আমার কাছে 'শার্লক হোমসের' 'আইরিন অ্যাডলার' এর সাথে তুল্য। তো অনেক কথাই মনে হলো। মনে হলো, সবসময় অর্ধেকটা কথা বলতে নেই। এর পরিণতি কখনোই ভালো হয় না। ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। স্পষ্টভাবে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সঠিক সময়ে উপলব্ধি করতে না পেরে আমি অনেক বড় একজন শিক্ষকের সঙ্গ হারিয়েছি।
জীবনে এ ধরনের ভুল যেন না করি সে ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছি।।।
কিন্তু এখন সোচ্চার হয়ে কি লাভ! যা যায় তা কি আর ফিরে আসে?
যাইহোক উদাসী মনের বাউন্ডেলে কল্পনার খেই ধরে ফিরে আসি।
নানা বিষয়ে ভাবতে ভাবতে মূলভাবনা যা দাড়ালো তা এই...
আজ কেনো জানি না, রবীন্দ্রনাথ হতে ইচ্ছা করছে।
লম্বা পাঞ্জাবী পড়ে রবীন্দ্রনাথের বেশ ধরে জমিদারি ধাচে প্রাসাদে দেবদাসের মতো কোনো এক চন্দ্রমুখীর সামনে বসে শূরা পান করতে করতে জীবনান্দের বনলতাকে নিয়ে লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।
'চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন...
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক...
আমারে দুদন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন...'
কৃষ্ণকান্তের উইলের রোহিণীর জন্য গোবিন্দলাল হতেও মনে চায়।
ইচ্ছে করে হিমু হয়ে খালি পায়ে সারারাত ঢাকা শহর চষে বেড়াতে। মিসির আলির মতো সূক্ষ্ণভাবে সবকিছু নিয়ে ভাবতে। অমিতের মতো বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভাঙ্গা ঘরে বাস করে লাবন্যর জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করতে। আবার পরক্ষণেই মন চাইছে মহা মহা আবিষ্কারের কৃতিত্বধারী সফদর আলির মতো ভন্ড বাবাদের আস্তানায় গিয়ে দুই টান দিয়ে টাল হয়ে তাদের ভন্ডামির গোমর ফাঁস করতে। এমআর নাইন হয়ে উ সেনের বিরুদ্ধে লড়তে।
জার্মান লেখক হেরমান হেসের সিদ্ধার্থই অন্য সবার চেয়ে বেশি আকর্ষণ করে আমাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার মাঝেও এক ধরনের মজা আছে। সে মজা সবাই অনুভব করতে পারে না। বোকা বলেই মনে করে খুশি থাকতে চায় আধুনিক সমাজের অত্যাধুনিক মানুষজন। তারা প্রায় সবাই চায় মোশারফ করিমের মতো চাপাবাজি আর অপূর্বর মতো ফ্ল্যার্ট শিখতে। কেউ চায় না ইরেশ, তাহসান হতে।
তাহসান আমার অনেক পছন্দের একজন মানুষ।
জানি আমি কিছুই পারি নি। হয়তো পারবোও না। আমার ভিতরে শেলি, কীটসের মতো সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা নেই স্টিভ জবসের মতোও। আমি তুচ্ছ নগন্য এক অতিসাধারণ মানুষ। প্রকৌশল বিদ্যার জ্ঞান অর্জন করে হিসাবের কাজ করে জীবনধারন করা এক পরাজিত সৈনিক।
বই বাদ দিয়ে গল্পের বই, ফেসবই, ব্লগ, ম্যাপ, প্রোগ্রামিং সব জায়গায়ই নড়বড়ে হলেও আমার একটা গুণ আছে। আর যাই হউক আলতু-ফালতু পোস্ট দিয়ে গুটিকয়েক মানুষের বিরক্তির উদ্রেকতো সৃষ্টি করতে পারি। এটাইবা কম কি! কেউ বিখ্যাত হয় আবার কেউ হয় কুখ্যাত।
তিল থেকে তাল হয়...আর সর্ষে থেকে বেল...
আমার থেকে কি হবে !!!
শেষে একটা গান মনে পড়ছে...
'একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর...
মন আমার কেনো বান্ধো দালান ঘর...'
অবশ্য এটাও ঠিক...
'মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়'
ধন্যবাদ সকলকে।
[কষ্ট করে সময় ব্যয় করে পড়ার পর আপনাদের মধ্যে ভালো লাগার অনুভূতির বদলে সামান্যতম বিরক্তির উদ্রেকও যদি ঘটাতে পেরে থাকি তাতেও আমি অনেক পেলাম। আপনারা বড় বড় লেখকেরা এই ক্ষুদ্র লেখকের লেখা পড়তে আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়েছেন এই আমার কাছে অনেক।]
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১০
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বিরক্ত লাগেনি পড়েতে।
আগ্রহ নিয়েই পড়লাম । আপনার লেখার হাত ভাল। কিন্তু এত কম লিখেন কেন? প্রায় এক বছরের মত ব্লগে নিক কিন্তু মাত্র কটা পোষ্ট!!
লিখুন আরও ।পাঠক ভালবেসেই পড়বে। শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২০
শবদাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাসরিন চৌধুরী। স্বাগতম আমার ব্লগে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১০
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: দারুন! শুভকামনা রইলো!