নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃশব্দ যাত্রা

নিঃশব্দ যাত্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার রক্ত কণিকার প্রতিটি অণুচক্রিকা সাক্ষ্য দিবে আমি ছিলাম!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

নিজেকে কখনো প্রকাশ করতে পারিনি। কিছুই বলতে পারিনি আমি, কিছুই লিখতে পারিনি। আমাকে বলতে দেয়া হয়নি কোন কথা। লিখতে দেয়া হয়নি কোন ব্যথা ভরা আর্তনাদের কোন কথা। প্রতিবারই আমাকে আঁটকে দেওয়া হয়েছে। শুধুই একাকীত্বের মাঝে আমাকে বদ্ধ করে রেখেছ তুমি। বদ্ধ করে রেখেছ অন্ধকারের ঐ নিভে যাওয়া আলোর এক পাশে। স্কুল কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এখন আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ভাবতেই অবাক লাগে!! মনে হয় এইতো সেদিন ভাইয়া আমাকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে আর আজ একাই পথ চলতে শিখে গেছি।

এই তো সেদিন তোমার সাথে দেখা করার প্রথম দিন। তাই একটু আগেই ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে রেডি হয়ে বের হয়। ধুরুধুরু বুকে বসে আছি কখন আসবে সেই সময়টা। কারো সাথে দেখা করার প্রথম দিন নাকি একটু অন্য রকম অনুভূতি হয়। অপরাজয়ে বাংলায় গিয়ে দাঁড়ালাম। আসার জন্য অপেক্ষা করছি। সকাল ৯ টার কাছাকাছি সময়ে আসলে। মনের কোথায় আনচান করছিলো আসবে কি আসবেনা? অতঃপর আসলে তুমি। দেখেই বুঝা গেল একটু নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলে কোন অজানা ভয়ে। যাক অবশেষে আসলে। একটু দুরুত্ব নিয়ে বসে আছ অথচ কিছুই বলছো না। আমিও চুপ করে ছিলাম। দেখছিলাম ইচ্ছে করে কিছু বলো কি না।

হঠাৎ করেই তোমাকে প্রথম দেখাতেই কেমন যেন আমার কেন যেন অনেকখানি ভালো লেগে গেল। হয়তো ভালোবেসে ফেলেছিলাম বুঝতে পারছি না। কারণ এর আগে কাওকে ভালোবাসিনি। তারপর থেকে প্রতিদিন ই তোমার সাথে সাথে আমার কথা হত। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি নি। ভয়ে যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়? মনে আছে একদিন সুমনকে তোমার সাথে পরিচয় করে দিয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম সে তোমার অনেক কাছে যাবে তোমাকে বুঝবে। অতঃপর সুমন বললো না এখন পর্যন্ত তুমি কাওকে পছন্দ করোনি। পছন্দ করোনি বলতে কারো সাথে এখনো রিলেশনে যাও নি।

যাক মনে একটা সাহস পেলাম। তোমাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। এরপর একদিন আমার জীবনে একটা অন্যন বিকাল আসলো। তুমি আমাকে বিমোহিত করে গেলে। আর সেদিন থেকে বুঝতে পারলাম আমি তোমাকে ভালবাসি। ভয় হতে শুরু করলো তোমাকে পাব কিনা। ছলে বলে তোমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করতাম। কথাগুলো কেমন যেন মনে হয়। মনেহয় তুমি আমার কাছে কিছু একটা চাও। আমি বুঝতে পারি না। তারপর হঠাৎ একদিন সুমনকে জোর করলাম। ও তোমার সাথে দেখা করে আমার মনের না বলা কথাটা বলে দিল। প্রথম প্রথম অনেক ভয়ে ছিলাম। তারপরও তুমি ইগ্নোর করলে। এরপরের ঘটনা আজ আর লিখলাম না।

আমি তোমাকে ভালবাসি এই কথাটার ইঙ্গিত করলে। অনেকদিন এর অপেক্ষায় ছিলাম। রাতে, সময়টা নয়টার কাছাকাছি আমি গাড়িতে ছিলাম আর তুমি ক্যান্টিনে খাবার নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছ। তখন কলিজা টা প্রায় ১ ইঞ্চি হয়ে গিয়েছিল। তারপর তোমার কথা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। তোমার এই কথাটা বলতে এতোদিন সময় লাগল? আমি সেই কবে তোমার মুখ থেকে এই ছোট্ট কথাটার শুনার অপেক্ষায় আছি তুমি জান?

কথাটা শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না। অজানা এক সুখের কষ্টে চোখ মেঘ জমল। তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সুখের আভাস। তারপর আমাদের সম্পর্কটা অনেক গভীরে চলে গেল। ভালোই কাটছে আমাদের দুজনের জীবন। ইতিমধ্যেই আমরা ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ৩য় বর্ষে ওঠে গেছি। কিন্তু এই পোড়া কপালে সেই সুখ বেশী দিন অবস্থান করলো না। তুমি সিলেটে গিয়ে আমাকে ভুলে গেলে। আমার ভুলের জন্য অনেকদিন ধরে আমার খোঁজ খবর নিলে না।

আমি তোমার অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকলাম। একদিন তুমি ফিরে আসলে কিন্তু সেই আগের মত নয়, অনেক পাল্টে গেলে। নিজেকে অনেক চেষ্টা করেছি মেনে নেওয়ার কিন্তু তোমাকে মানিয়ে নিতে পারিনি। তাই একদিন ভুলে তোমাকে আঘাত করলাম। অতঃপর ভুলের জন্য মা’য়ের অসুস্থতার খবর নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় রিকশায়..................। ১৪ই ফেব্রুয়ারি কাগজে..................। অতঃপর ..................। ক্ষমা চেয়ে তোমার হাত ধরে পথ চলতে চাই কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন ভুল করি। ভুল আমার পিছু ছাড়ছেনা। আজ তাই নিজেকে তিলে তিলে শেষ করবো বলে হাতের আঙ্গুল গুলি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তোমার জন্য। আজ কটি রাত সারারাত নির্ঘুম থেকে লিখে যাই মনের কথা। তবুও অস্পষ্ট তোমার কাছে আমি। তবুও বুঝতে চাওনা আমাকে। আমার ভুলগুলোর জন্য আমাকে ক্ষমা করতে পারনা।

ঠিক যেমন হাসিমুখে তোমাকে রক্ত দিয়েছিলাম তেমনি হাসিমুখে আমি তোমার না ফেরাটা মেনে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারছিনা। বিশ্বাস করো আমি হাসতে চাই; অট্টহাসি; কিন্তু পারিনা। তুমি আমাকে ভুলে যেতে পারো কিন্তু তোমার প্রতিটি রক্তকণার অণুচক্রিকাকে জিজ্ঞেস কর। দেখবে তারা সাক্ষ্য দিবে আমি ছিলাম আমি আছি আমি থাকবো। যতোদিন তুমি বেঁচে থাকো আমিও থাকবো। তুমি আমাকে ক্ষমা করো আমি তোমাকে ভুলতে পারলাম না বলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.