নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইফতেখার আমিন

সৃজনশীল সাহিত্যের শৈল্পিক প্রয়াসে নিমগ্ন একজন প্রকাশক

ইফতেখার.আমিন

আমি কোন অতীত চিনি না, চিনি না বর্তমান, তাই ভবিষ্যৎ বলেও কিছু নেই! আমার আছে শুধু মহাকাল!

ইফতেখার.আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালির বৈশাখ ও পান্তা ইলিশ সমাচার

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

প্রাণের উচ্ছাসে বছর ঘুরে আসে পহেলা বৈশাখ। প্রতিবার এই দিনকে ঘিরে বাঙালি জাতি আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। থাকে নান ধরনের খাবার দাবার। যার মধ্যে হাল আমলে পান্তা ইলিশ আবশ্যক। কিন্তু প্রশ্ন হলো বৈশাখের সঙ্গে পান্তা ইলিশ খাওয়ার কি সম্পর্ক? তাও আবার মাটির পাত্রে!

বৈশাখের উৎসবের সঙ্গে পান্তা ইলিশের সম্পর্ক জানতে হলে বৈশাখ আয়োজনের ঐতিহ্যগত দিকটি জানা জরুরী। কেননা এই পহেলা বৈশাখ কি করে বাঙালি জাতির উৎসবে পরিণত হলো সেই ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালেই এই পান্তা ইলিশের আবশ্যকতার বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে মনে করি।

১৫৫৭ সালে মোঘল স¤্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। এটিকে বলা হয় ‘সন-ই-এলাহী’। মোট বারো মাসের সমন্বয়ে এই সন। মূলত: কৃষকের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে বাংলা সনের আবিষ্কার। বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম মাস। ১৫৬৩ সালে আকবরের সভাসদ আবুল ফজল ও আমির সিরাজী বৈশাখের প্রথম দিনটি খাজনা আদায়ের জন্য ধার্য করেন। কারণ এ সময় কৃষক ঘরে নতুন ফসল তোলে। আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল থাকে, ধার দেনা শোধ করে। মনের আনন্দে নতুন জিনিস পত্র কেনে। বকেয়া খাজনা পরিশোধ করে। ব্যবসায়ীরা আগের বছরের বকেয়া আদায় করে হিসাব নিকাষ বুঝিয়ে নতুন হিসেবের খাতা খোলে অর্থাৎ হিসাবের খাতা করে হাল নাগাদ। এই হালখাতাকে ঘিরেই মূলত উৎসবে রুপান্তরিত হয় পহেলা বৈশাখ। এদিন সকালে বিন্নি ধানের খই, দই, চিড়া, মুড়ি, মিষ্টি বিভিন্ন খাবার দিয়ে আপ্যায়নের রেয়াজ শুরু হয়। তখন ব্যবসায়ীরা বৈশাখের দিনে ক্রেতাদের মিষ্টিদ্রব্য দিয়ে আপ্যায়ন করত। সোনার দোকনগুলোতে এখনও ঐতিহ্যগত আনন্দের ধারাটি বজায় রেখেছে। ক্রমে এই হালখাতা উৎসবটিই বাঙালির বৈশাখ উৎসবে পরিণত হয়।



বৈশাখ উৎসব কি কেবল বাঙালির?

রাজা যায়, রাজা আসে। নতুন নতুন অব্দ যায় অব্দ আসে। বঙ্গাব্দ, মৌযাব্দ,হুনান্দ, কনিষ্কান্দ, ত্রিপুরাব্দ, হর্ষাব্দ, হোসনি অব্দ (সুলতান হুসেন শাহ), চৈতন্যব্দ, বৈষ্ণাব্দ, দানেশমন্দ সন, কত কত অব্দ দেখল অঙ্গ-বঙ্গ-পুন্ড্রু-সুক্ষ-সমতট-রায়-গৌড়ি-হরিকেল এর এই পবিত্র মাটি। রাজা শশাংকের বনানো তখনকার চলতি বঙ্গাব্দকেই আকবরের সভাসদেরা গ্রহণ করেছিলেন নাকি বঙ্গাব্দ নামটি তাঁরাই দিয়েছিলেন কেন জানে!

এ দিন কি শুধুই আমাদের? তাহলে দক্ষিণ ভারতে এই একই দিনে কি উৎসব করে ওরা? সারা ভারত বর্ষ জুড়ে এই একই দিনে কি উৎসব করে ওরা? আর বাংলা থেকে সুদূর পাঞ্জাবে যে উৎসবের নাম ‘নয়া সাল’ বা ‘বিছাখী’ কেন? ওদের মাসগুলোর নাম:

১. বিছাগ (আমাদের বৈশাখ)

২. জেঠ (আমাদের জৈষ্ঠ)

৩. আ’ঢ় (আমাদের আষাঢ়)

৪. শাওন (আমাদের শ্রাবণ)

৫. ভাদো (আমাদের ভাদ্র)

৬. আশুন (আমাদের আশ্বিন)

৭. কাত্তাক (আমাদের কার্তিক)

৮. মা’আঘর (আমাদের অগ্রহায়ণ)

৯. পো’হ (আমাদের পৌষ)

১০. মাঘ (আমাদের মাঘ)

১১. ফাগুন (আমাদের ফাল্গুন)

১২. চেত (আমাদের চৈত্র)

এটা কেবল নামের আশ্চর্য মিল নয়, আসলে বোধ হয় একই নববর্ষের উৎসব করি পাঞ্জাব থেকে আসাম পর্যন্ত আমরা সবাই। কারণ এই সময়ে নতুন ফসল ওঠে বলে। অবশ্য অঞ্চল বিশেষে প্রত্যেক জাতি তাদের নিজস্ব বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক সম্ভার নিয়ে এই দিনে উৎসবে মেতে ওঠে। কিন্তু ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করলে বাঙালির বৈশাখ উৎসবে হাল আমলে যুক্ত হওয়া রমনার পান্তা ইলিশের অস্তিত্ব নেই।

ষাটের দশকের শুরুতে আমাদের ছায়ানট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্ম দিয়েছেন পহেলা বৈশাশের রমনার বটমূলে প্রভাতী অনুষ্ঠান দিয়ে। তাঁরা তখন হয়তো কল্পনাও করেননি শীগগিরই সে অনুষ্ঠান বাঙালির প্রধানতম উৎসবের একটি হয়ে উঠবে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ছায়ানটের বৈশাখ উৎসবের শুরু থেকে কিন্তু এই পান্তা ইলিশ খাওয়া রেয়াজটি ছিল না। আর ভাত দৈনিক খাদ্যভাসের তালিকায় থাকলেও বৈশাখ উৎসবের ইতিহাস পর্যালোচনায় তার উপস্থিতি নেই। বৈশাখে আপ্যায়নে মূলত মিষ্টি জাতীয় খাদ্য ও দই, মুড়ি, মুড়কির প্রচলন ছিল। যতদূর জেনেছি ১৯৮৩ সালে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে এই পান্তা ইলিশের সংযোজন ঘটে। তখন দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক বোরহান আহমেদ এই পান্তা ইলিশ যুক্ত করার উদ্যোগ নেন।

পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের কোন ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি থেকে এ ধরনের উৎসবী খেয়ালী চিন্তার উদ্ভব তা জানিনা। এমন লেখাও চোখে পড়েছে যেখানে পান্তা ইলিশের উদ্যোগের ইতিহাসের রচনা করা হয়েছে অত্যন্ত দম্ভভরে, যেন এটি একটি বিশাল মহান কাজ। যা বাংলা সংস্কৃতি করেছে সমৃদ্ধ আর সেই সাথে বাঙালিকে করেছে ধন্য।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সাথে পান্তা ইলিশের কোন সম্পর্ক তো নেই’ই বরং রয়েছে এক ধরনের বৈপরীত্য। কেননা বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলের সাধারণ চর্চা সকালে পান্তা ভাত খাওয়া। মূলত: দুপুরে বা রাতে রান্না করা ভাত যাতে সকালবেলা নষ্ট না হয় সেজন্য পানি দিয়ে রেখে খাওয়া হতো। বিদুৎতের অভাবে তখন বা এখনও গ্রামাঞ্চলে খাবার সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ছিলনা। এ কারণেই এটি প্রাধানত গ্রামাঞ্চলের চর্চ। এই পান্তাই আজ পহেলা বৈশাখ উৎসবের অন্যতম বিষয় যার সাথে ঐতিহ্যের কোন মিল নেই। তবে সবচেয়ে মারাত্মক যে বিষয়টি তা হলো পান্তার সাথে ইলিশের সংমিশ্রণ, শুধু মারাত্মক নয়, মমার্ন্তিকও বটে। বছরের প্রথম দিন রমনায় ঘটা করে পান্তা ইলিশ খাবার সংস্কৃতিকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেন না। এমকি তারা বলেছেন, এর সঙ্গে বাংলা সংস্কৃতির কোন সম্পর্ক নেই। অনেকেই আবার বলেন, শহরে পান্তা ভাত খাওয়া আমাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ব্যঙ্গ করা। এটি শুরু হয়েছিল টাকা কামানোর ধান্দায়, সংস্কৃতিপ্রেমের জন্য নয়। আজকাল শহরের মানুষের মধ্যে এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে, বছরের প্রথম দিনটিতে পান্তা ইলিশ না খেলে বছটাই মাটি! তবে বছরের এই দিনটির ইলিশপ্রীতি ইলিশের ভবিষ্যত নষ্ট হওয়ার কারণ হিসেবে আশঙ্কা অনেকের মনে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়ে এবার ইলিশ হালি ২০/২৫ হাজার টাকা। ভাবা যায়!

ইলিশ একটি অভিজাত মাছ। যে মাছ এ দেশ ও জাতিকে আন্তজার্তিকভাবে গৌরবান্বিত করেছে। যে মাছ সম্মানিত মেহমানদের আতিথেয়তার অন্যতম একটি উপাদান। তার সাথে বাধ্য হয়ে খাওয়া পান্তা ভাতকে অপূর্ব সমন্বয় করে বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার এই নিদারুণ উন্মাদনা সত্যিই ব্যাথিত করে। কেননা বাঙালির খাবারের সংস্কৃতির ইতিহাসে কে কবে কোনকালে আনন্দ করে, উৎসব করে বৈশাখে পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ খেয়েছে? আর বর্তমানে ইলিশ এদেশের ধনীক শ্রেণি ছাড়া অন্যদের কাছে সোনার হরিণ নয় কি? বাঙালির সার্বজনীন উৎসবে এই ইলিশ পান্তার আহামরি চর্চায় যে শ্রেণিগত বৈষম্যকে প্রকট করে তোলে তা কি মুহূর্তের জন্যও ভাবিত করে না বাঙালিকে?



মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টের সাথে আমি একমত।

কাকতালীয় ব্যাপার হলো, ফেইসবুকে এ নিয়ে আমি একটা স্টেটাস দিয়েছি। উৎসাহী পাঠক সেটা দেখতে পারেন, যেখানে বেশ অভিজ্ঞ মতামত রয়েছে।


এ ব্যাপারে গভীরতর অধ্যয়নের জন্য আরো দুটো পোস্ট পাঠকের জন্য দিলামঃ

শূন্য (০) থেকে বাংলা সন শুরু হয় নি। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররম=৯৬৩ বাংলা সনের ১ বৈশাখ


সাবধান, মাথায় চক্বর দিতে পারে;);) ১০০ দ্বারা বিভাজ্য ইংরেজি সালগুলো লিপ-ইয়ার না, কিন্তু ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলো লিপ-ইয়ার কেন?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩২

ইফতেখার.আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ। চমৎকার লেখা গুলো শেয়ার করার জন্য।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ইলিশ কিনার টেআ নাই। খালি পান্তা খাইয়াই দিন কাডাই। সখ-আল্লাদ বড়লোক-গো লেইগ্যা। আমরা গরীব-মিসকিন, সখ আল্লাদ করতে নাই।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: যে মাছ আর নতুন কাপড় কিনতে বাঙালীর ঘাম বের হয় বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণীর তা বাঙ্গালীর সংস্কৃতি হয় কি করে ------ এটা টিভি মিডিয়া আরো প্রচার করে ফুলিয়ে ফাপিয়ে এক ধরনের ব্রেণ ওয়াস করে দিয়েছে ----- এখন প্রায়ই শোনা যায় পহেলা বৈশাকে নতুন কাপড় আর ইলিশ কিনতে পারে নাই বিধায় সংসারে ঝগড়া আর ছাড়াছাড়ি মত ঘটনাও ঘটছে -----হায়রে পহেলা বৈশাখ ----কর্পোরেট ব্যাবসা এখন জমজমাট যা আমাদের সংস্কৃতি আর বোধ নিয়ে ব্যবসা করছে --------বন্ধ হোক এই অপসংষ্কৃতি ------আমাদের আসল সংষ্কতি তুলে ধরা হোক -------। অতি দরিদ্র মানুষরা নুন আনতে পান্তা ফুরোয় আর ইলিশ মাছ !!!!!!!!!!! আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি এই অপসংষ্কতি শিখবে যা আমাদের সংষ্কৃতিতে যায় না ---------- আমাদের গ্রামে দেখা যেত এই দিনে বকেয়া আদায় করা হতো, রান্না হতো ১৩ ধরণের শাক মিশিয়ে একটা শাক, বিভিন্ন ভর্তা, গরম ভাত, সজনে ডাল, গরম ভাত, বিভিন্ন দেশী মাছ আর সাথে বেশি হলে ভাজি ------সাথে বাজার হতে আনা মিষ্টি/দই ---------। কালে কালে কত কিছুই যে দেখবো ----------

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৫

ইফতেখার.আমিন বলেছেন: কালে কালে কত কি দেখবো!

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

লামাজ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, তথ্য বহুল ও যুগোপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৬

ইফতেখার.আমিন বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: চমৎকার লেখা, প্রিয়তে নিলাম। তবে ভাই, সালটা ঠিক করেন (১৯৬৩ সালে আকবরের সভাসদ আবুল ফজল ও আমির সিরাজী বৈশাখের প্রথম দিনটি খাজনা আদায়ের জন্য ধার্য করেন। কারণ এ সময় কৃষক ঘরে নতুন ফসল তোলে।) হবে ১৫৬৩

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

ইফতেখার.আমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সালটি ঠিক করেছি।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: চমৎকার, তথাকথিত বাংগালী সংস্কৃতির ধারক-বাহকদের সংযোজন এটা। ওদের বাসায় যেয়ে দেখেন ওরা মদ্যপান করে উৎসব পালন করছে।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ইলিশ কিনার টেআ নাই। খালি পান্তা খাইয়াই দিন কাডাই। সখ-আল্লাদ বড়লোক-গো লেইগ্যা। আমরা গরীব-মিসকিন, সখ আল্লাদ করতে নাই।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আমি এটাকে পরিহাস বলেই মেনে থাকি।। খেয়াল করলে দেখবেন মধ্যবিত্ত,নব্য জাতে উঠতে চাওয়া লোকজনই এখানে ভীড় করে বেশী।। খাবে আর বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে ছবি তুলে ফেবু বা পারলে বাধিয়ে ড্রয়িইং রূমকে সাজাবে।।
আর যাদের হাজার টাকা খরচ করে ইলিশ খাওয়ার সৌভাগ্য হয় না তারা পান্তাভাতে শুকনো মরিচ ডলেই খাবে।। বৈশাখ কিন্তু এদের জন্যও আসবে।।
লেখাটিতে ভাললাগা জানালাম।। ধন্যবাদ।।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৮

ইফতেখার.আমিন বলেছেন: শ্রণিগত বৈষম্যকে প্রকট করে তোলার এই আয়োজন থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন মনে করি। ধন্যবাদ আপনাকেও। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: Panta elish!?

Nothing but modern day joke by some ultra cultural bangali higher class.

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৯

ইফতেখার.আমিন বলেছেন: সহমত

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট । খুব ভাল লেগেছে ।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

কৌশিক আজাদ প্রণয় বলেছেন: আসলে আবহমান একটি অভিব্যক্তি হচ্ছে আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। তবে উৎসবের ধারায় ভাত কেন পানতা হয়ে গেল তার ব্যাখ্যা হল আমাদের দরিদ্র গ্রামীণ সমাজ। এটা ঠিক যে বর্তমান সময়ের দরিদ্ররাও পান্তা খায় না তবে আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে পান্তার বেশ প্রচলন ছিল। তাই পান্তা আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর মাছের জায়গাটা ইলিশের দখল হওয়ার বাস্তবিক কারণটি হচ্ছে এটির জাতীয় স্বীকৃতি। তাছাড়া অনেক মাছ হয়তো চাষের কারণে তার স্বাদ আর গ্রহণযোগ্যতা হারালেও ইলিশ এখনো পর্যন্ত স্বাদে, মানে ও গ্রহণযোগ্যতায় অপরিবর্তিত। তাই উৎসবে ইলিশের প্রাসঙ্গিকতা এসেছে।

হ্যাঁ ভাই, পান্তা ইলিশের আয়োজনকে উপলক্ষ করে ধনীক উচ্ছ্বাস ও তথাকথিত আভিজাত্য সমর্থনযোগ্য নয়। আমির সিরাজী নয়, সম্ভবত ফতেহউল্লাহ সিরাজী বৈশাখের প্রথম দিনটি খাজনা আদায়ের জন্য ধার্য করেন।

সর্বোপরি ঐতিহাসিক রেফারেন্স ও তার সাথে বৈশাখী উৎসবের সমন্বয়ে আপনার লেখাটি অসাধারণ লেগেছে ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.