নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগিং এই ৬ মাসঃ প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তি

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩


আগে একটা ছোট্ট ঘটনা বলি। ২০০৮ এর কথা। সবেমাত্র আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হল । একদিন আব্বু আমাকে আমাদের বাজারে নিয়ে যান। তারপর সাউথ এশিয়ান কম্পিউটার সেন্টার নামক প্রশিক্ষন সেন্টারে ভর্তি করায় । আমার প্রথম কম্পিউটারের হাতিখড়ি ঐখানে। এ কাহিনি বলার আরেকটা কারণও আছে, আমি প্রথম ব্লগ শব্দটি ঐ সেন্টারেই শুনতে পাই। তবে একটু অন্য ভাবে। তখন ব্লগ সম্পর্কে একটা ধারনা ছিল ব্লগিং করে নাকি ঘরে বসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। এখনও আমি ঐ টাকা ইনকামের পথ খুঁজতেছি কিন্তু পাচ্ছি না। যদি কেউ পান তবে লিংক সহ দিবেন। কৃতজ্ঞ থাকিবো।
এবার শুনুন সামুর সাথে কিভাবে যুক্ত হলাম। ২০১৩ সাল ডিসেম্বর মাস, আমি যে বাসাতে থাকি ঐ বাসার মালিকের ছেলে একদিন আমাদের বাসাতে আসে। তারপর জসিম ভাই (উনি একটা অফিসে কম্পিউটার অপারেটরের চাকুরি করেন। টাইপিং অনেক ভালো জানতেন ) এর কাছে একটা ডায়েরী নিয়ে আসে। একটাই উদ্দেশ্য সে কিছু লেখা লিখেছে ঐগুলো টাইপ করে দিতে হবে। পরে জানতে পারলাম লেখাগুলো ব্লগে দিবে। আর ওর কাছে প্রথম সামুর নাম শুনলাম। পরে ব্লগ দেখতে কেমন তা জানার জন্যই মূলত সামুতে অ্যাকাউন্ট খুললাম। আর এভাবেই সামুর সাথে আমার পরিচয়।
প্রথম প্রথম কিছু লেখালেখি করেছি।তেমন কিছু না, আমার কিছু পুরানো কবিতা ছিল ঐগুলোই পোষ্ট করেছিলাম। কিন্তু যেহেতু আমি নতুন সদস্য সেহেতু আমার পোষ্টগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হতো সরাসরি প্রথম পাতায় আসতো না। ফলে মন্তব্যও পরতো না পোষ্টে। আর এদিকে আমিও ব্লগে আসা বন্ধ করে দিই। ভালো ভাবেই বন্ধ করে দিই। প্রায় এক বছর আর ব্লগে আসি নি।
২০১৫ জুলাই। নাস্তিক আর আস্তিকের তর্কে তখন অনেকেই জীবন দিয়ে দিছে। তখন ব্লগার মানে আপনি নাস্তিক এমন একটা হিউমর ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। একদিন ফেসবুকে অভিজিতের একটা লেখা পড়ে চোখে। তখন অভিজিৎ মৃত। অন্য কেউ শেয়ার করেছিল। তারপর আগ্রহ হল দেখি অভিজিৎ কি নিয়ে লেখালেখি করে। তাই মুক্তমনা তে একটা টুঁ মারলাম কিন্তু না ভালো লাগলো না। ব্লগ টানলো না আমায়। কিছুদিন পর সিলেটে আরেক ব্লগারকে হত্যাকরা হলো। নামটা এই মুহূর্তে মনে আসতেছে না। সে লেখালেখি করতো ইস্টিশন.কম এ। তার লেখার লিংক পাইছি ফেবুতে। কি জন্য হত্যাকরা হলো সেই বিষয় জানতেই মুলত ইস্টিশনে টুঁ মারা। পরে চিন্তা করলাম একটা অ্যাকাউন্ট খুলি। এখানে একটা সুবিধা আছে তা হলো সামুর মতো আমাকে পর্যবেক্ষণে রাখেনি। ফলে কয়েকটা লেখা পোষ্ট করলাম। মন্তব্যও পেলাম। ভালোই লাগলো। কয়েকদিন চললো মানে একমাসের মতো।
আগষ্ট ২০১৫। হঠাৎ একদিন মনে হলো আরে আমার তো সামুতে অ্যাকাউন্ট আছে। কিন্তু দীর্ঘ বিরতির কারণে নাম মনে থাকলেও পাসওয়ার্ড গেছি ভুলে। পরে ইমেইলের মাধ্যমে নতুন পাসওয়ার্ড দিলাম। লগইন করে দেখি আমি এখন নিরাপদ ব্লগারের মধ্যে আছি। সত্যি কথা তখন আমার খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করেছিল। আর এইভাবেই আবার আমার সামুতে প্রত্যাবর্তন। প্রথম পোষ্ট ১৩ আগষ্ট ২০১৫।
সামু আগের মতো নাই আর। হোম পেইজ অনেক ঘুচানো। নতুন সংযোজন "আলোচিত ব্লগ " সামুকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। আমিও টুকটাক লেখালেখি শুরু করলাম। দিনদিন সামু আমার প্রিয় হয়ে উঠলো। কিছু লেখা আলোচিত এবং কয়েকটা নির্বাচিত পোষ্টে স্থানও পেল। লেখার মান বাড়ানোর চেষ্টা করলাম অবশ্যই এখনও করি, নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার ।
আসুন আমার সামু ভালো লাগার প্রধান কারণ গুলো বলিঃ
১। প্রধান কারণ হলো সামুতে আস্তিক নাস্তিক নিয়ে তর্কাতর্কি কম, তবে লেখালেখি করলেও তা নির্বাচিতও হয় না। এবং অনেক সময়ে দেখা গেছে তা মুছে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। এই জিনিসটা আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনি কি বিশ্বাস করবেন আর কি বিশ্বাস করবে না। তা আমি বা আমরা জেনে কি করবো? আপনার বিশ্বাস আপনার মাথায় গুঁজে রাখুন আর না পারলে মাথাকে পানিতে চুবিয়ে রাখুন।
২। সামুতে অনেক ব্লগারকেই( সবার নাম এই ছোট্ট পরিসরে লেখা সম্ভব না বলে লিখলাম না ) দেখেছি, দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি, বিশ্বরাজনীতি নিয়ে তথ্যপূর্ণ, গঠনমুলক সমালোচনা করতে। যেটা আমাকে সামুতে টুঁ মারতে চুম্বকের মতো আকর্ষন করে।
৩। তাছাড়া সামুর মোবাইল ভার্সনও আছে। সেটার কারণে এখন আমি যেকোন জায়গা থেকেই সামুকে ফলো করতে পারি।
এইরুপ আরো অনেক কারণ লেখা যাবে। যেটার কারণে এখন আমি একজন পার্মানেন্ট সামুর ব্লগার।
সামুর একটু সমালোচনা করি।
প্রথমত, সামুর " নির্বাচিত পোষ্ট " এ সবসময় একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি যে, ভ্রমন নিয়ে যখনই কেউ ছবি ব্লগ পোষ্ট করে সেটা অটোমেটিক "নির্বাচিত পোষ্ট"-এ স্থান পেয়ে যায়। অথচ কেউ ভ্রমন কাহিনি লেখলে সেটা অত গুরুত্ব পায় না , তবে অতিরিক্ত ছবি ব্লগ আমাকে বিরক্তই করেছে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে।
আর একটা সমস্যা হল, মোবাইল ভার্সন নিয়ে। মোবাইল ভার্সনে পোষ্ট করা গেলেও Editing করা যায় না। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আশা করি সামু কর্তৃপক্ষ নতুন বছরে এই সকল সমস্যার সমাধান করবে।
এই ছয় মাসের ব্লগিং জীবনের প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি তুলনা করলে প্রাপ্তির পাল্লায়ই ভারী হবে। একটা উদাহরণ যথেষ্ট হবে আশা করি। আমি ছোট বেলা থেকেই বই পড়ি। বিভিন্ন ধরনের বই। তবে সবচেয়ে বেশি পড়ি গল্পের বই। একদিন সামু একটা গোয়েন্দা গল্প পড়ি। গল্পটা আমার ভালো লাগে,এমনিতে আমি ব্যোম্বকেশ বক্সী, ফেলুদা, পড়েছি। ঐ গল্পটাও আমার ভালো লাগে। মনের ভেতরে একটা শক্তি পাই, তারপর আমিও গোয়েন্দা একটা গল্প লিখতে বসি। গল্পটা প্রায় শেষ পর্যায়ে, আশা করি আগামি বছর গল্পটা সামুতে পোষ্ট করতে পারবো। এরই মধ্যে আমি সামুতে কিছু গল্প এবং কবিতাও লিখি। একটা গল্প নির্বাচিত পোষ্টে স্থানও পেয়েছে। সামুর সাথে পরিচিত না হলে হয়তো আমার ভেতরেও যে গল্প লেখার যে প্রবণতা আছে সেটা আমি কখনও অনুভবই করতে পারতাম না। ইনসাল্লাহ্, আমি বাংলার সাহিত্যে নতুন একটা ধারা নিয়ে কাজ করতেছি, অচিরেই সেটা সবার সামনে উন্মেচন করবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
সামু পরিবারেরর সকল সদস্যকে নতুন বছরে অগ্রীম শুভেচ্ছা। আর সামু তার গৌরবান্বিত মস্তক ঊঁচু করেই আগামী বছর অতিক্রম করবে, এটা শুধু প্রত্যাশা না আমার বিশ্বাস।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

প্রতিবাদী অবলা বলেছেন: দোয়া রইলো অনেক।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

আরজু পনি বলেছেন:
হোম পেইজ অনেক ঘুচানো

আপনি সম্ভবত "গোছানো" কথাটা বলতে চেয়েছেন ।
আপনার ব্লগ ভ্রমন আনন্দময় হোক ।
শুভকামনা রইল ।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল| লিখুন, পড়ুন মন্তব্য করুন| এতেই স্বর্গীয় আনন্দ
ভ্রমণ পোস্ট আমাকে টানে না| কিছু কিছু ছবি ব্লগ অবশ্য অসাধারণ হয়| গল্প পড়তে ভালবাসি অথচ গল্পই আসে সবচয়ে কম|
আপনার নতুন ধারার গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.