![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক
আগে বলে নিই। আমি শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একমত। কিন্তু তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। এতে আসলে কাজের কাজ হবে কিনা?
১।একজন শিক্ষকের সম্মান কখনও সচিবের বেতন স্কেলে মাপা যাবে না। কিন্তু কথা হচ্ছে শিক্ষক কি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়, প্রাইমারী, হাইস্কুলের শিক্ষকেরা কি শিক্ষক নয়? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলে "তারা সচিব হবে কেন? তারা তো সচিব বানায় " তাহলে প্রাইমারী, হাইস্কুলের শিক্ষকেরা কি বলতে পারে না "তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সচিবদের মনে স্বপ্ন তৈরি করার কারনেই তো আজ তারা এই পর্যায়ে। অথচ এই সকল শিক্ষকেরা সামান্য বেতন বাড়ানোর জন্য যখন আন্দোলন করলো তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কোথায় ছিল? তখন কি শিক্ষক নামের সম্মানহানি হয় নিই। নাকি উনারা শিক্ষক ছিল না? একবারও তো কোন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মানবন্ধন করলো না। টিভিতে টকশো করলো না একটা কলামও লিখলো না। অথচ অাজকে যখন নিজেদর উপর এসে পড়লো তখন কতযুক্তি, কত কলাম, কত টকশো? এখন কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বার্থপর বলে তবে তা কি বেশী বলা হবে?
২। আপনারা যদি সম্মানের জন্যই আন্দোলণ করে তবে যখন সাদা, কালো, লাল, নীল দলে ভাগ হয়ে শিক্ষক সমিতির জন্য লড়াই করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানারে তখন আপনাদের মৌলিক মুল্যবোধ কোথায় থাকে? যখন ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্ররাজনীতির কাছে আপনাদের মূল্যবোধ চ্যাপটাঘাত খায় তখন তো কোন আন্দোলন হয় না? । লোজড়োবৃত্তি রাজনীতি তো আপনাদের শেল্টার দিচ্ছে। এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন?
৩। শিক্ষকদের কাজ কি শুধু শিক্ষা দান নাকি অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাও পড়ে? তবে আপনারা কিভাবে ১৫৩ সংসদীয় আসন বিনানির্বাচনে জয়ী হওয়া সরকারী দলের কাছে বেতন বাড়ানো আশা করেন? আপনারা কি পারতেন না, এর প্রতিবাদ করতে?
৪। আপনারা নাকি শিক্ষা এবং সুনাগরিক তৈরি করার কাছে নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন। তবে যখন পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এবং মেডিকেলের মতো গুরুত্ব পূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয় তখন তো পারেন নি দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয় জোরালো আন্দোলন করতে?
৫। আপনারা বলেন, অমুক দেশ, তমুক দেশ অপেক্ষায় আপনাদের বেতন কম। কিন্তু একবারও কি এটা মনে প্রশ্ন জাগে না, এশিয়ার ২ হাজারটা ইউনিভার্সিটির মধ্যে কেন ঢাবি নেই? অন্য গুলো বাদই দিলাম । আপনারা রাজনৈতিক আর নিজেদের পদোন্নতির পেছনে যতটা সময় ব্যয় করেন তার ১০% সময় যদি শিক্ষা আর গবেষনার কাছে ব্যয় করতেন তবে দেশের ভার্সিটি গুলোর এই হাল হতো না। আর আপনাদেরও রাজপথে বেতন আর সম্মান রক্ষায় নামতে হতো না? বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির জন্য কি, কখনও অাপনারা আন্দোলন করেছেন ?
৬। ক্লাসের ফার্স্ট হলেই যে তার নৈতিক দিকও ভালো হবে এমনটা ভাবা ভুল। ম্যাক্সিমাম শিক্ষকই সরকারি ভার্সিটির টিচার হয়, কারণ এখান থেকে সহজে স্কালারশিপ পাওয়া যায়। আর কোন মতে একবার বাহিরে গেলে, দেশে ফেরার খবরই থাকে না। সেই তুলনায় আমলারা আরো ভালো, তারা দুর্নীতি করলেও দেশেই থাকে এবং দেশের জন্যই কাজ করে হয়তে যেখানে ৮০ভাগ করার কথা সেখানে ৪০ভাগ তো করে।
আসলে বর্তমানে অধিকাংশ ভার্সিটির শিক্ষক নিয়োগ খোঁজ নিলে দেখা যাবে " অধিকাংশ শিক্ষকই তো বিভিন্ন আমলাদের পাওয়ারে শিক্ষকতা পেশায় আসতে পেরেছে? "
"শিক্ষক" শব্দের সম্মান যদি সত্যিকার অর্থেই উদ্ধার করতে চান তবে আমার মতে প্রাইমারি স্কুল থেকেই শুরু করতে হবে। শিক্ষকদের জন্য আলাদা স্কেল ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে বেতন সচিবদের চাইতেও কম হলেও চলবে। আর যদি আজ আপনারা নিজেদের জন্যই আন্দোলন টা করে শেষ করে দেন তবে এটা হবে আরেকটা ঐতিহাসিক ভুল। ( কথা গুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন )
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ধন্যবাদ, সহমত প্রকাশের জন্য।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪
জাহিদ নীল বলেছেন: সহমত
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ধনবাদ।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৮
আদম_ বলেছেন: উচিত কথা।
স্ট্যাটাসে টান পড়্তেই সব হুরহুর করে রাস্তায় নেমেছে। যাক দেশ রসাতলে। প্রতিবাদ করে এতো সাধের চাকরিটা কে খোয়ায়।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: উনারা বড়ই স্বার্থপর হয়ে ঊঠেছে আজকাল।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: এরা বড় সুবিধাবাদী। শিক্ষক ক্যানভাসে সমাজের সব দধির মাথাগুলো খাচ্ছে। পড়ানোর চেয়ে এনজিওতে কনসালটেন্সী করেই সময় পার করে বেশী
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: উনারা এমন ভাবে লেয়াজু করতে চায় সরকারের সাথে, যাতে সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে। উনাদের বিবেক বিকারগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার সাথে সহমত