নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার

সোহান চৌধুরী

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

সোহান চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবে বরাতের বিদ\'আত নিয়ে বিদ\'আতপন্থীদের জবাব

০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

মধ্য শাবানের রজনীতে শবে বরাত নামের একটি বিদ'আতি কর্মকান্ড উদযাপনের বিপক্ষে বলায় কিছু বিদ'আতপন্থীর গায়ে আগুন ধরে গেছে! বিষয়টা কাম্য ছিল না তবে বিস্মিতও হয়নি। ভালোভাবেই জানি এই দেশকে শিরক ও বিদ'আতমুক্ত করতে বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। যাইহোক, শবে বরাত নিয়ে বলছিলাম তো। পূর্বেও বলেছি, শবে বরাত পালন করা বিদ'আত এই কারণেই যে এর ব্যাপারে কোরআন ও সহীহ হাদিস থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট দলিল পাওয়া যায় না। আর ইসলামে কোনো কর্মকান্ডের দলিল যদি কোরআন ও সহীহ হাদিসে না পাওয়া যায় তবে সেই কর্মকান্ড থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। তা সে যতই নেকীর আশায় ইবাদত, সালাত, রোজা পালন করা হোক, এর কোনোটাই আল্লাহর নিকট কবুল হবে না বরং বিদ'আতের অপরাধে গুনাহগার হতে হবে। বিদ'আত সম্পর্কে কোরআন ও সহীহ হাদিস কিভাবে আমাদের সাবধান করছে তার সামান্য কিছু অংশ এখন তুলে ধরছি। আশা করে এতে আপনারা অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন।

আল্লাহ সূরা মায়িদার ৩ নং আয়াতে বলেন:
اليوم أكملت لكم دينكم وأتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الإسلام دينا. (المائدة :
অর্থঃ আজ আমি তোমাদের দীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের জন্য আমার নেআমাত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসাবে মনোনীত করলাম। (সূরা আল - মায়িদা: ৩)
আল্লাহ সূরা আশ শুরা র ২১ নং আয়াতে আরো বলেনঃ
أم لهم شركاء شرعوا لهم من الدين ما لم ياذن به الله.(الشورى : ২১)
অর্থঃ তাদের কি এমন কতগুলো শরীক আছে যারা তাদের জন্য ধর্মের এমন বিধান দিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?

আর হাদীসে এসেছেঃ
عن عائشة رضى الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال : من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد.
(رواه البخاري ومسلم)
অর্থঃ যে আমাদের এ ধর্মে এমন কিছুর প্রচলন করবে যা ধর্মের মধ্যে ছিল না তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাদীসে আরও এসেছেঃ
عن جابر رضى الله عنه أن النبى صلى الله عليه وسلم كان يقول في خطبة يوم الجمعة : أما بعد فإن خير الحديث
كتاب الله وخير الهدى هدى محمد صلى الله عليه وسلم وشر الأمور محدثاتها وكل بدعة ضلالة.
(رواه مسلم
অর্থঃ সাহাবী জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমু‘আর খুতবায় বলতেনঃ আর শুনে রেখ! সর্বোত্তম কথা হল আল্লাহর কিতাব ও সর্বোত্তম পথ-নির্দেশ হল মুহাম্মদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পথ-নির্দেশ। আর ধর্মে নতুন বিষয় প্রচলন করা হল সর্ব নিকৃষ্ট বিষয়। এবং সব ধরনের বিদ'আতই পথভ্রষ্টতা। (সহীহ মুসলিম)
এ বিষয়ে অনেক আয়াতে কারীমা ও হাদীস রয়েছে যা থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা ইসলাম ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। আর নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কোন রকম অলসতা করেননি বা কার্পণ্যতা দেখাননি। ইসলাম ধর্মের সকল খুটিনাটি বিষয় তিনি স্পষ্টভাবে তাঁর উম্মতের সামনে বর্ণনা করে গেছেন যা আজ পর্যন্ত সুরক্ষিত রয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

আহমেদ রশীদ বলেছেন: প্রত্যেক রাত-ই- আল্লাহর কাছে সমান। সারা বছর যদি আল্লাহ সোবহানা তাআলাকে পাওয়ার জন্য রাতের মধ্যভাগ জাগ্রত হই তাহলে সমস্যা কিসের? আাজ পর্যন্ত কোন আলেম উলামা শবে বরাতের কোন সঠিক হাদিস দিতে পারে নাই। আর যারা শবে বরাতের হাদিস বা উক্তি পেশ করেছে তা কিতাবুল মফিজের অন্তর্ভুক্ত। তবে হ্যাঁ শবে মিরাজের কথা আল্লাহ কোরআনে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। এটা অস্বিকার করার কিছুই নেই। কিন্তু আজ এই শবে বরাতের ওছিলা করে যুব সমাজ খারাপের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সারা রাত জেগে থেকে মাজারে মাজারে হুক্কা টানছে। আর আতশ বাজির কথা নাই বল্লাম। অথচ অনেকেই এই সব অনৈসলামিক কর্ম করে ফজরের নামাজ না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে। অথচ ফরজ নামাজ কতই না মর্তবা। নফলের পিছে ছুটতে যেয়ে ফরজকে ধ্বংস করছে। হাই আফসোস এই সব ফালতু হাদিসের মাধ্যমে মানুষ আজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে এই সবের কোন বালাই নেই। শবে বরাত সম্বন্ধে তারা কোন কিছু জানেই না! আল্লাহ মাফ করুন! আমীন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.